৩০। আবেদনপত্র দাখিলপূর্বক প্রত্যর্পণ গ্রহণ।

৩০। আবেদনপত্র দাখিলপূর্বক প্রত্যর্পণ গ্রহণ।― (১) যে নিবন্ধিত ব্যক্তি―
(ক)    বাণিজ্যিক ভিত্তিতে রপ্তানি করেন; বা
(খ)    অব্যাহতিপ্রাপ্ত পণ্য প্রস্তুতকরণ বা উৎপাদনপূর্বক রপ্তানি করেন বা অব্যাহতিপ্রাপ্ত সেবা রপ্তানি করেন কিন্তু কোন করযোগ্য পণ্য সরবরাহ করেন না বা করযোগ্য সেবা প্রদান করেন না; বা
(গ)    যে ব্যক্তি  [আইনের] ধারা ১৬ অনুযায়ী নিবন্ধন হইতে অব্যাহতিপ্রাপ্ত তাহাকে, রপ্তানিকৃত পণ্য প্রস্তুতকরণে বা উৎপাদনে বা রপ্তানিকৃত সেবায় ব্যবহৃত উপকরণের উপর প্রদত্ত কর প্রত্যর্পণ গ্রহণের জন্য রপ্তানি সম্পন্ন হওয়ার  [ছয় মাসের] মধ্যে রপ্তানির প্রমাণ স্বরূপ সংশ্লিষ্ট দলিলাদিসহ  [ফরম] “মূসক-২২” এ  [শুল্ক রেয়াত ও প্রত্যর্পণ পরিদপ্তরে] আবেদনপত্র দাখিল করিতে হইবে।
[(২) বোর্ড, সরকারী গেজেট প্রকাশিত আদেশ দ্বারা, সমহার (Flat Rate) ভিত্তিতে রপ্তানী পণ্যের ক্ষেত্রে প্রত্যর্পণযোগ্য করের হার নির্ধারণ করিতে পারিবে এবং কোন রপ্তানিকারক  [মহাপরিচালক, শুল্ক রেয়াত ও প্রত্যর্পণ পরিদপ্তর] কর্তৃক নির্ধারিত সমহার ভিত্তিক প্রত্যর্পণ গ্রহণ করিতে চাহিলে, তিনি সংশ্লিষ্ট পণ্য বা সেবা প্রথমবার রপ্তানীর পর উপ-বিধি (১) এর বর্ণিত আবেদন পত্রের সহিত; সম্ভাব্য ক্ষেত্রে, রপ্তানি বন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা দ্বারা প্রমাণীকৃত নমুনাসহ ফরম “মূসক-২৩”-এ প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করিবেন।]
 [উপ-বিধি (৩) বিলুপ্ত]
(৪)  [বিলুপ্ত] আবেদনপত্র প্রাপ্তির পর  [মহাপরিচালক] বিধি ২৯ এর উপ-বিধি (৪) বা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, উপ-বিধি (৫) অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করিবেন এবং এই ক্ষেত্রে প্রাথমিক নিরীক্ষার ভিত্তিতে প্রত্যর্পিত পরিমাণে পরবর্তীতে কোন তারতম্য ঘটিলে সংশ্লিষ্ট রপ্তানিকরকের পরবর্তী প্রত্যর্পণ আবেদনপত্রের বিপরীতে সমন্বিত করিতে হইবে।
(৫) পরবর্তীতে একই সমহারের ভিত্তিতে প্রত্যর্পণ গ্রহণের ক্ষেত্রে উপ-বিধি (২) এ বর্ণিত নমুনা দাখিল ও তথ্য সরবরাহ করা আবশ্যক হইবে না এবং প্রত্যর্পণ আবেদনকারী “প্রতিষ্ঠিত রপ্তানিকারক” হিসেবে তালিকাভুক্ত হইলে বিধি ২৯ এর উপ-বিধি (৪) এ বর্ণিত পদ্ধতিতে এবং উক্তরূপে তালিকাভুক্ত না হইলে ১০[বিলুপ্ত] আবেদনপত্র প্রাপ্তির পনের দিনের মধ্যে বিধি ২৯ এর উপ-বিধি (৩)-এ বর্ণিত পরীক্ষা সমাপণপূর্বক প্রত্যর্পণযোগ্য অর্থ পরিদপ্তর কর্তৃক রপ্তানিকারকের ব্যাংক একাউন্টে জমা প্রদান করিতে হইবে।
(৬) কোন রপ্তানিকারক কোন রপ্তানিকৃত পণ্য বা সেবার ক্ষেত্রে চালান ভিত্তিতে প্রত্যর্পণ গ্রহণ করিতে চাহিলে তাহাকে  ১১[ফরম] “মূসক-২৪” এ প্রত্যর্পণের হার বা পরিমাণ নির্ধারণের জন্য আবেদনপত্র দাখিল করিতে হইবে এবং এই আবেদনপত্রের সহিত উপ-বিধি (১) এ বর্ণিত পদ্ধতিতে প্রত্যর্পণের আবেদনপত্রও সংযুক্ত করিতে হইবে।
(৭) ১২[বিলুপ্ত] উপ-বিধি (৬) এ বর্ণিত আবেদনপত্র প্রাপ্তির পর  ১৩[মহাপরিচালক] প্রাথমিক পরীক্ষায় আবেদনপত্রটি যথাযথভাবে পূরণকৃত হইয়াছে বলিয়া সন্তুষ্ট হইলে আবেদনপত্র পরিদপ্তরে পৌঁছাইবার একুশ দিনের মধ্যে জরিপ কার্য সম্পন্ন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
(৮) আবেদনপত্র পরীক্ষার সুবিধার্থে  ১৪[মহাপরিচালক] তাহার বিবেচনায় প্রয়োজনীয় দলিলাদি তলব করিতে পারিবেন এবং রপ্তানিকারক উক্তরূপ তলবের পনের দিন অথবা  ১৫[মহাপরিচালক] কর্তৃক বর্ধিত সময়ের মধ্যে তলবকৃত দলিলাদি দাখিল করিতে ব্যর্থ হইলে ১৬[মহাপরিচালক] প্রত্যর্পণের আবেদনপত্র প্রত্যাখান করিতে পারিবেন।
(৯) উপ-বিধি (৮)-এ বর্ণিত দলিলাদি প্রাপ্তির পনের দিনের মধ্যে  ১৭[মহাপরিচালক অথবা মহাপরিচালকের নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা] সরেজমিনে জরিপ কার্য সম্পন্ন করিবেন।
১৮[(১০) উপ-বিধি (৭) ও (৯)-এ বর্ণিত জরিপ কার্য সম্পন্ন হওয়ার সাত দিনের মধ্যে পরিদপ্তর প্রত্যর্পণ মঞ্জুর করিয়া প্রত্যর্পণযোগ্য অর্থ চেকের মাধ্যমে রপ্তানিকারকের ব্যাংক একাউন্টে জমা প্রদান করিবেন।]
(১১) সমহারভিত্তিক কর প্রত্যর্পণ নির্ধারণ অথবা পুনঃনির্ধারণের উদ্দেশ্যে পরিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ সংশ্লিষ্ট পণ্যের প্রস্তুতকরণে বা উৎপাদনে বা সেবা প্রদানে (যদি প্রযোজ্য হয়) নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান জরিপ করিতে পারিবেন এবং উক্ত প্রতিষ্ঠান জরিপ কার্যে পরিদপ্তরের কর্মকর্তাগণকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানে বাধ্য থাকিবে।
(১২) যে ব্যক্তি স্বয়ং রপ্তানিযোগ্য পণ্য প্রস্তুতকরণে বা উৎপাদনে নিয়োজিত নহেন এবং কোন প্রকৃত প্রস্তুতকারক বা উৎপাদকের নিকট হইতে কোন পণ্য ক্রয়পূর্বক রপ্তানি করেন তাহার রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রত্যর্পণ নির্ধারণের জন্য তাহাকে উপ-বিধি (২) বা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, উপ-বিধি (৬) এ বর্ণিত তথ্যসমূহ রপ্তানিকৃত পণ্যের প্রকৃত প্রস্তুতকারক বা উৎপাদকের নিকট হইতে নিজ দায়িত্বে সংগ্রহ করিয়া স্থানীয় মূল্য সংযোজন কর কার্যালয়কে সরবরাহ করিতে হইবে এবং তাহাকে প্রত্যর্পণ সংশ্লিষ্ট কার্যাবলী সম্পাদনে পরিদপ্তরের জরিপ কর্মকর্তাগণকে প্রকৃত পণ্য প্রস্তুতকারক বা উৎপাদকের নিকট হইতে সহযোগিতা প্রদান নিশ্চিত করিতে হইবে।


মূসক এসআরও নং-৮৫, তারিখ: ০৬/১২/১৯৯৩ দ্বারা “অধ্যাদেশের” শব্দের পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
মূসক এসআরও নং-৯০, তারিখ: ০৯/০৬/১৯৯৪ দ্বারা “তিন মাসের” শব্দগুলির পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
মূসক এসআরও নং-৮৫, তারিখ: ০৬/১২/১৯৯৩ দ্বারা “ফর্ম” শব্দের পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
মূসক এসআরও নং-১৭৯, তারিখ: ০৭/০৬/২০১২ দ্বারা “শুল্ক রেয়াত ও প্রত্যর্পণ পরিদপ্তরে” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত।
মূসক এসআরও নং-৫০, তারিখ: ২১/০৪/১৯৯২ দ্বারা উপ-বিধি (২) এর পরিবর্তে নূতন উপ-বিধি (২) প্রতিস্থাপিত।
মূসক এসআরও নং-১৭৯, তারিখ: ০৭/০৬/২০১২ দ্বারা “মহাপরিচালক, শুল্ক রেয়াত ও প্রত্যর্পণ পরিদপ্তর” শুব্দগুলি ও কমা প্রতিস্থাপিত।
মূসক এসআরও নং-১৭৯, তারিখ: ০৭/০৬/২০১২ দ্বারা উপ-বিধি (৩) বিলুপ্ত।
মূসক এসআরও নং-১৭৯, তারিখ: ০৭/০৬/২০১২ দ্বারা “কমিশনারের নিকট হইতে” শব্দগুলি বিলুপ্ত।
মূসক এসআরও নং-৮৫, তারিখ: ০৬/১২/১৯৯৩ দ্বারা “পরিচালক” শব্দের পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
১০মূসক এসআরও নং-১৭৯, তারিখ: ০৭/০৬/২০১২ দ্বারা “কমিশনারের নিকট হইতে” শব্দগুলি বিলুপ্ত।
১১মূসক এসআরও নং-৮৫, তারিখ: ০৬/১২/১৯৯৩ দ্বারা “ফর্ম” শব্দের পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
১২মূসক এসআরও নং-১৭৯, তারিখ: ০৭/০৬/২০১২ দ্বারা “কমিশনারের নিকট হইতে” শব্দগুলি বিলুপ্ত।
১৩মূসক এসআরও নং-৮৫, তারিখ: ০৬/১২/১৯৯৩ দ্বারা “পরিচালক” শব্দের পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
১৪মূসক এসআরও নং-৮৫, তারিখ: ০৬/১২/১৯৯৩ দ্বারা “পরিচালক” শব্দের পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
১৫মূসক এসআরও নং-৮৫, তারিখ: ০৬/১২/১৯৯৩ দ্বারা “পরিচালক” শব্দের পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
১৬মূসক এসআরও নং-৮৫, তারিখ: ০৬/১২/১৯৯৩ দ্বারা “পরিচালক” শব্দের পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
১৭মূসক এসআরও নং-৫১১, তারিখ: ১১/০৬/২০০৯ দ্বারা “মহাপরিচালক” শব্দটির পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
১৮মূসক এসআরও নং-৫০, তারিখ: ২১/০৪/১৯৯২ দ্বারা উপ-বিধি (১০) এর পরিবর্তে নূতন উপ-বিধি (১০) প্রতিস্থাপিত।

 

About Author

Profile Picture

Golden Bangladesh

Golden Bangladesh is a point of access to information.We present information from diverse sources in a unified way. It is the leading web portal, e-Directory and business guide in Bangladesh.

Leave a Comment