২৯। দাখিলপত্রের ভিত্তিতে রপ্তানি প্রত্যর্পণ।

২৯। দাখিলপত্রের ভিত্তিতে রপ্তানি প্রত্যর্পণ।― (১) যে রপ্তানিকারক করযোগ্য পণ্য প্রস্তুতকরণে বা উৎপাদনে বা করযোগ্য সেবা প্রদানে নিয়োজিত এবং যাহার ক্ষেত্রে উৎপাদ কর প্রদানের বাধ্যবাধকতা রহিয়াছে কিন্তু প্রতিটি করমেয়াদে রপ্তানিবাবদ রেয়াতযোগ্য কর প্রদেয় উৎপাদ কর অপেক্ষা অধিক হয়, তিনি এবং যে রপ্তানিকারক তৎকর্তৃক প্রস্তুতকৃত বা উৎপাদিত করযোগ্য পণ্য বা প্রদত্ত করযোগ্য সেবা একশত শতাংশ রপ্তানি করেন কিন্তু উক্তরূপ পণ্য বা সেবা দেশে সরবরাহ বা প্রদান করিলে উৎপাদ কর প্রদানে বাধ্য হইবেন তিনি দাখিলপত্রের ভিত্তিতে কর প্রত্যর্পণ গ্রহণ করিতে পারিবেন।
(২) রপ্তানি প্রত্যর্পণ প্রদানের নিমিত্ত কোন দাখিলপত্র  [কমিশনার] কর্তৃক পরিদপ্তরে প্রেরিত হইলে পরিদপ্তর দাখিলপত্রটিকে প্রত্যর্পণের আবেদনপত্র হিসেবে গণ্য করিবেন।
(৩) পরিদপ্তরের  [মহাপরিচালক], অতঃপর  [মহাপরিচালক] বলিয়া উল্লিখিত, এর নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দাখিলপত্রটি যথাযথভাবে পরীক্ষা করিবেন এবং রপ্তানিকৃত পণ্যের বা সেবার, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, স্বাভাবিক উপকরণ-উৎপাদ সম্পর্ক বা পূর্বনির্ধারিত সহগ, যদি থাকে, বিবেচনায় রাখিয়া, এবং সংশ্লিষ্ট কর মেয়াদে নিবন্ধিত ব্যক্তি কর্তৃক পণ্য সরবরাহ বা সেবা প্রদান করা হইয়া থাকিলে, উহার ক্ষেত্রে প্রদেয় উৎপাদ করের বিপরীতে গৃহীত কর রেয়াতের পরিমাণ, রপ্তানির প্রমাণ সম্বলিত বিল অব এক্সপোর্ট ও বিল অব লেডিং-এর অনুলিপি পর্যালোচনা করিয়া উক্তরূপ ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, তাহার সন্তুষ্টি সাপেক্ষে, তৎকর্তৃক নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ প্রত্যর্পণের জন্য  [মহাপরিচালকের] নিকট সুপারিশ করিবেন এবং উক্ত সুপারিশের ভিত্তিতে  [মহাপরিচালক] সুপারিশকৃত পরিমাণ অর্থ চেকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট রপ্তানিকারকের ব্যাংক একাউন্টে জমা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন এবং রেজিস্ট্রিকৃত ডাকযোগে তাহার নিকট এই মর্মে একটি অবগতিপত্র প্রেরণ করিবেন এবং  [মহাপরিচালক] স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া বা সংশ্লিষ্ট রপ্তানিকারকের আবেদনক্রমে দাখিলপত্রটি পুনঃ পরীক্ষার নির্দেশ দিতে পারিবেন।
(৪) “প্রতিষ্ঠিত রপ্তানিকারক” হিসাবে তালিকাভুক্ত রপ্তানিকারকের ক্ষেত্রে  [কমিশনারের] নিকট হইতে দাখিলপত্র প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে প্রাথমিক নিরীক্ষার ভিত্তিতে নির্ণীত প্রত্যর্পণযোগ্য অর্থ  [মহাপরিচালকে] রপ্তানিকারকের ব্যাংক একাউন্টে জমা প্রদান করিতে হইবে এবং এই ক্ষেত্রে যে কোন করমেয়াদের প্রত্যর্পিত অর্থের পরিমাণ, উক্ত কর মেয়াদ পূর্ববর্তী বারো মাসের ভিত্তিতে নির্ণীত মাসিক গড় প্রত্যর্পণের পরিমাণের সহিত উহার বিশ শতাংশ পরিমাণ অর্থ যোগ করিলে মোট যে অংক নির্ণীত হয়, উহার অধিক হইবে না এবং প্রাথমিক নিরীক্ষার ভিত্তিতে নির্ণীত প্রত্যর্পণযোগ্য অর্থের পরিমাণে পরবর্তীতে কোন রূপ তারতম্য পরিলক্ষিত হইলে উহা পরবর্তী দাখিলপত্রের মাধ্যমে সমন্বিত করিতে হইবে।
(৫) “প্রতিষ্ঠিত রপ্তানিকারক” হিসাবে তালিকাভুক্ত নহেন, এমন রপ্তানিকারকের ক্ষেত্রে [কমিশনারের] নিকট হইতে দাখিলপত্র প্রাপ্তির তিরিশ দিনের মধ্যে উপ-বিধি (৩) এ বর্ণিত পরীক্ষা সমাপণপূর্বক প্রত্যর্পণযোগ্য অর্থ পরিদপ্তর কর্তৃক রপ্তানিকারকের ব্যাংক একাউন্টে জমা প্রদান করিতে হইবে।
 ১০[(৬) এই বিধির আওতায় প্রত্যর্পণ আবেদন পেশ করার পদ্ধতি সম্পর্কে যে বিধানই থাকুক না কেন, স্বল্পতম সময়ে ও দ্রুততার সহিত প্রত্যর্পণ সম্পর্কিত আবেদন নিষ্পত্তির লক্ষ্যে পরিদপ্তর কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে ও প্রয়োজনীয় দলিলাদিসহ রপ্তানীকারকগণকে সরাসরি পরিদপ্তর কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন দাখিলের নিমিত্তে বোর্ড সাধারণ আদেশ জারী করিতে পারিবেন।]


মূসক এসআরও নং-১১৭, তারিখ: ১৫/০৬/১৯৯৫ দ্বারা “কালেক্টর” শব্দটির পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
মূসক এসআরও নং-৮৫, তারিখ: ০৬/১২/১৯৯৩ দ্বারা “পরিচালক” শব্দের পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
মূসক এসআরও নং-৮৫, তারিখ: ০৬/১২/১৯৯৩ দ্বারা “পরিচালক” শব্দের পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
মূসক এসআরও নং-৮৫, তারিখ: ০৬/১২/১৯৯৩ দ্বারা “পরিচালকের” শব্দের পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
মূসক এসআরও নং-৮৫, তারিখ: ০৬/১২/১৯৯৩ দ্বারা “পরিচালক” শব্দের পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
মূসক এসআরও নং-৮৫, তারিখ: ০৬/১২/১৯৯৩ দ্বারা “পরিচালক” শব্দের পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
মূসক এসআরও নং-১১৭, তারিখ: ১৫/০৬/১৯৯৫ দ্বারা “কালেক্টরের” শব্দটির পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
মূসক এসআরও নং-৮৫, তারিখ: ০৬/১২/১৯৯৩ দ্বারা “পরিচালকের” শব্দের পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
মূসক এসআরও নং-১১৭, তারিখ: ১৫/০৬/১৯৯৫ দ্বারা “কালেক্টরের” শব্দটির পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
১০মূসক এসআরও নং-৮৫, তারিখ: ০৬/১২/১৯৯৩ দ্বারা নূতন উপ-বিধি (৬) সংযোজিত।

 

 

About Author

Profile Picture

Golden Bangladesh

Golden Bangladesh is a point of access to information.We present information from diverse sources in a unified way. It is the leading web portal, e-Directory and business guide in Bangladesh.

Leave a Comment