Business News

Displaying 1-10 of 172 results.

বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় চলছে সব

Picture

পর্যটন করপোরেশনের মালিকানায় বর্তমানে সারা দেশে ১২টি বার আছে। এর মধ্যে ঢাকায় ২টি, আর বাকি ১০টি ঢাকার বাইরে। তবে একটি বারও করপোরেশনের হাতে নেই। সব কটি বারই এখন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হচ্ছে। কোনো কোনো বার পাঁচ বছরের জন্য, কোনোটি আবার দশ বছরের জন্য লিজ দিয়েছে করপোরেশন।

বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়ার কারণ হিসেবে করপোরেশনের কর্মকর্তারা বলছেন, এসব বার থেকে মুনাফা করতে পারছে না করপোরেশন। ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হচ্ছে। তা ছাড়া বার পরিচালনার ক্ষেত্রে সরকারি নিয়মকানুন মানতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় করপোরেশনকে। সে কারণে ১২টি বারই বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত সাকুরা রেস্তোরাঁ ও বারটি পর্যটন করপোরেশনের মালিকানাধীন। এটি ২০০২ সাল থেকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হচ্ছে। পর্যটন করপোরেশন এটি লিজ দেয় আসিফ ট্রেডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে। ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠানটিকে আরও ১০ বছরের জন্য ৯০ লাখ টাকায় লিজ দেওয়া হয়। রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত রুচিতা রেস্তোরাঁ ও বার পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে মেসার্স নেস্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এটি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ছাড়া হয় ২০১৪ সালে।

বগুড়ার পর্যটন মোটেল–সংলগ্ন বগুড়া বার ২০১৬ সাল থেকে পরিচালনা করছে মেসার্স ট্র্যান্ড স্যাটারস নামের একটি প্রতিষ্ঠান। পাঁচ বছরের জন্য এই বারটি ৪৪ লাখ টাকায় লিজ দেওয়া হয়েছে। রাজশাহী মোটেল–সংলগ্ন রাজশাহী বার বছরে ২০ লাখ ৭০ হাজার টাকার লিজে পরিচালনা করছে মেসার্স সুবর্ণা নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

বাগেরহাটের মোংলা চত্বরে অবস্থিত বারটি পরিচালনা করছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স হোসেন চৌধুরী। সেটি পাঁচ বছরের জন্য ১৮ লাখ ৩২ হাজার টাকায় লিজ দেওয়া হয়েছে।

সিলেট পর্যটন মোটেল চত্বরে নির্মিত বারটি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার জন্য মেসার্স এস এ এস ট্রেডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে লিজ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মালিকানায় আরেকটি বার হলো মেরী এন্ডারসন ভাসমান রেস্তোরাঁ ও বার। এটি নারায়ণগঞ্জের পাগলায় অবস্থিত। পরিচালনা করছে মেসার্স সোনারগাঁও ট্যুরিজম লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ২০১৭ সালে চুক্তি করে করপোরেশন।

চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীতে গলফ ক্লাব বার পরিচালিত হচ্ছে ভাটিয়ারী গলফ ক্লাবের মাধ্যমে। চট্টগ্রামের মোটেল সৈকত চত্বরে নির্মিত রেস্তোরাঁ ও বার পরিচালনা করছে মেসার্স সুবর্ণা এন্টারপ্রাইজ। বার্ষিক ৪৬ লাখ ৬০ হাজার টাকায় প্রতিষ্ঠানটিকে পাঁচ বছরের জন্য ওই বার লিজ দেওয়া হয়েছে।

 

Source: https://www.prothomalo.com/business/%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%9A%E0%A6%B2%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%AC

করপোরেট দুনিয়ায় এক বিস্ময়কর প্রত্যাবর্তন

Picture

করপোরেট দুনিয়ায় প্রত্যাবর্তনের এমন বিস্ময়কর উদাহরণ আর দুটি আছে কি না সন্দেহ। থাকলেও টাটা গোষ্ঠীর হাতে এয়ার ইন্ডিয়া ৬৮ বছর পর যেভাবে ফিরে এল, এককথায় তা তুলনাহীন। হয়তো ইচ্ছাপূরণের কাহিনিও।

গত শুক্রবার ১৮ হাজার কোটি রুপির বিনিময়ে টাটা গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়া হয় রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান পরিবহন সংস্থা ‘এয়ার ইন্ডিয়া’ ও ‘এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস’-এর শতভাগ এবং গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সংস্থা ‘এয়ার ইন্ডিয়া স্যাটস’-এর ৫০ শতাংশ মালিকানা। এই প্রত্যাবর্তন অনেক সম্ভাবনার পাশাপাশি বেশ কিছু প্রশ্নও তুলে দিচ্ছে। সবচেয়ে বড় প্রশ্নটি সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা ও কার্যকারিতাকেন্দ্রিক। টাটারা পারবে তো এয়ার ইন্ডিয়ার হারানো গরিমা ও সাম্রাজ্য পুনরুদ্ধার করতে? নাকি নিমজ্জিত হবে অনিবার্য স্বখাত সলিলে?

অবিভক্ত ভারতে, ১৯৩২ সালে, ‘টাটা এয়ারলাইনস’ চালু করেছিলেন শিল্পপতি জে আর ডি টাটা। সেই বছরের ১৭ অক্টোবর করাচি থেকে চিঠিপত্র নিয়ে বোম্বে হয়ে মাদ্রাজ উড়ে গিয়েছিলেন জে আর ডি টাটা স্বয়ং। সেই ঘটনার ছয় বছরের মধ্যেই আকাশে ওড়ে টাটা এয়ারলাইনসের প্রথম যাত্রীবাহী বিমান। তার কয়েক বছরের মধ্যেই নামবদল। টাটা এয়ারলাইনস হয়ে যায় ‘এয়ার ইন্ডিয়া’। মালিকানা পুরোটাই থাকে টাটাদের হাতে।

সে ছিল স্বাধীনতা-পূর্বের ভারত। ব্রিটিশমুক্ত স্বাধীন ভারত ১৯৪৮ সালে এয়ার ইন্ডিয়ার ৪৯ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয়। সেই বছরেই প্রথম আন্তর্জাতিক উড়াল। বোম্বে টু লন্ডন। এর পাঁচ বছর পর, ১৯৫৩ সালে, জওহরলাল নেহরুর সরকার এয়ার ইন্ডিয়া রাষ্ট্রীয়করণের সিদ্ধান্ত নেন নাটকীয়ভাবে। তখন ভারতের যোগাযোগমন্ত্রী ছিলেন জগজীবন রাম। জে আর ডি টাটাকে তিনি ডেকে পাঠিয়েছিলেন। রুশি মোদিকে সঙ্গে নিয়ে জগজীবন রামের সঙ্গে দেখা করতে গেলে টাটার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছিল। তাঁকে জানানো হয়েছিল, সরকার এয়ার ইন্ডিয়া অধিগ্রহণ করে নিচ্ছে।

জগজীবন রামকে ক্ষুব্ধ ও বিস্মিত জে আর ডি টাটা জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘আপনি কি মনে করেন যেভাবে আপনারা সরকারি মন্ত্রণালয় চালান, সেইভাবে বিমান পরিবহন চালাতে পারবেন? পারবেন না। নিজেই সেটা দেখতে পারবেন।’ জগজীবন রাম ঠান্ডাভাবে উত্তর দিয়েছিলেন, ‘এটা সরকারি সিদ্ধান্ত। তবে সরকারি সংস্থা হলেও এয়ার ইন্ডিয়া চালাতে আমরা আপনার সাহায্য নেব।’ সেই দিনের সেই বৈঠক অসমাপ্ত রেখে টাটা ফিরে গিয়েছিলেন। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে এক সাক্ষাৎকারে সরকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে টাটা বলেছিলেন, ‘কোনো কিছুরই রাষ্ট্রীয়করণ দেশের জন্য মঙ্গলের হতে পারে না। কারণ, সংস্থা চালাবেন আমলারা। যেকোনো সিদ্ধান্তের জন্য তাঁরা তাকিয়ে থাকবেন রাজনৈতিক প্রভুর দিকে। ফলে ঠিক সময়ে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত কিছুতেই নেওয়া যাবে না।’ সাক্ষাৎকারের এক প্রতিলিপি নেহরুকেও পাঠিয়েছিলেন টাটা এই আশায় যে শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী পিছিয়ে আসবেন। কিন্তু কাকস্য পরিবেদনা।

শেষমেশ আরও একটা চেষ্টা টাটা করেছিলেন। নেহরুকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক উড়াল বিচ্ছিন্ন করে দুটি সংস্থা তৈরি করা হোক। দেশীয়টি রাষ্ট্রায়ত্ত করা হোক, আন্তর্জাতিক সংস্থা থাকুক তাঁর হাতে, যাতে দেশের সম্মানটুকু অন্তত বজায় রাখা যায়। নেহরু সেই যুক্তিও মানেননি। তবে টাটাকে তিনি চেয়ারম্যান হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। জে আর ডি টাটা তা মেনেও নিয়েছিলেন। সেই যোগসূত্রও অবিশ্বাস্যভাবে ছিন্ন হয় ১৯৭৮ সালে। ইন্দিরা গান্ধীর কংগ্রেসকে পরাস্ত করে আগের বছর প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন মোরারজি দেশাই। নেহরুর মতো শালীনতার ধার তিনি ধারেননি। জগজীবন রাম তাঁর দপ্তরে টাটাকে ডেকে পাঠিয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন, মোরারজি দেশাই চেয়ারম্যান পদ থেকে টাটাকে বরখাস্ত করার কথা জানিয়েছিলেন চিঠি লিখে। সেই পদে বসানো হয়েছিল অবসরপ্রাপ্ত এয়ার চিফ মার্শাল প্রতাপ চন্দ্র লালকে।

এয়ার ইন্ডিয়ার অবক্ষয় শুরু আশির দশক থেকে। কেন্দ্রীয় সরকার যত দুর্বল হয়েছে, ততই বেড়ে গেছে এয়ার ইন্ডিয়ার লোকসানের বহর। একটা সময় এমন অবস্থা হয়েছিল যে আমলারা কেউ দায়িত্বই নিতে চাইছিলেন না। উদার অর্থনীতির সরণি ধরে বেসরকারি বিমান পরিবহনব্যবস্থা চালু হওয়ার পর এয়ার ইন্ডিয়ার হাল আরও খারাপ হয়ে যায়। ২০০৭ সালে সরকার এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিয়ান এয়ারলাইনসকে মিলিয়ে একটি সংস্থা করে, যাতে লোকসান কমে। অসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী অজিত সিং ৩০ হাজার কোটি রুপির জোগানও দেন রুগ্‌ণতা সারাতে। কিন্তু লাভ তো দূরের কথা, ২০১৭ সালে দেনার বহর ৫২ হাজার কোটি রুপি পেরিয়ে যায়, যা কিনা দেশের ১০০ দিনের কাজের মোট বাজেটের চেয়েও বেশি। আজ, ২০২১ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত এয়ার ইন্ডিয়ার মোট ঋণ প্রায় ৬২ হাজার কোটি রুপি। দৈনন্দিন লোকসানের পরিমাণ ২০ কোটি। বার্ষিক ৭ হাজার ৩০০ কোটির ধাক্কা।

এয়ার ইন্ডিয়ার বিলগ্নীকরণের চেষ্টা চলছিল ২০ বছর ধরে। ২০০১ সালে সরকার ৪০ শতাংশ শেয়ার বেচতে চেয়েছিল। পারেনি। ২০১৮ সালে ৭৬ শতাংশ বিলগ্নীকরণের চেষ্টাও বাতিল হয় ক্রেতা না মেলায়। সরকারের সামান্য অংশীদারত্বও যে বিক্রির পথে প্রধান বাধা, অবশেষে সেই উপলব্ধিই কাজ হাসিল করে। টাটারা সবার চেয়ে বেশি দরপত্র দিয়ে হারানো নিধি ঘরে তুলেছে।

টাটাদের কাছে এটা ঘরের ছেলের ঘরে ফেরার কাহিনি। অথবা হারানো নিধি ফিরে পাওয়ার গল্প। সেই কাহিনিতে মিশে রয়েছে ‘নস্টালজিয়া ও পোয়েটিক জাস্টিস’। যে ভারত সরকার একদা এয়ার ইন্ডিয়া জবরদস্তির মাধ্যমে কেড়ে নিয়েছিল, সেই সরকারই এখন তা ফেরত দিয়ে জে আর ডি টাটার বক্তব্যকেই অমোঘ প্রতিপন্ন করল। টাটাদের পক্ষে অবশ্যই এ এক মধুর জয়।

সেই জয়ে বাণিজ্যিক দূরদৃষ্টি কতটা আর কতটাই-বা আবেগ, সময় সেই উত্তর দেবে। সরকারের লাভ এটুকুই, বছরের পর বছর তাদের ঘাটতি মেটাতে করের টাকা বরাদ্দ করতে হবে না। টাটার লাভ, ৬১ হাজার ৫৬২ কোটি রুপির মোট ঋণের মধ্যে তারা নিচ্ছে মাত্র ১৫ হাজার ৩০০ কোটির দায়। এ ছাড়া সরকারকে নগদ দিতে হচ্ছে ২ হাজার ৭০০ কোটি। এর অর্থ সরকারের ঘাড়ে ঋণ থাকছে ৪৩ হাজার ৫৬২ কোটির। সংস্থার সম্পদ, যেমন জমি-বাড়ি বেচে সরকারের ঘরে ঢুকতে পারে ১৪ হাজার ৭১৮ কোটি রুপি। তার মানে ২৮ হাজার ৮৪৪ কোটি ঋণ সরকারকে মেটাতে হবে।

সন্দেহ নেই, টাটা বিরাট এক ঝুঁকি নিয়েছে। চ্যালেঞ্জও। নিজের কাছে নিজেকে প্রমাণ করার। কাজটা নিঃসন্দেহে কঠিন। কারণ, ২০২১ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত ভারতের আকাশবাণিজ্যের ৫৯ দশমিক ৬ শতাংশের মালিকানা ‘ইন্ডিগো’র। এয়ার ইন্ডিয়ার স্থান দ্বিতীয় হলেও বহু দূরে তার অবস্থান। ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে ‘স্পাইসজেট’। মার্কেট শেয়ার ৯ দশমিক ১ শতাংশ। টাটাদের অন্য দুই এয়ারলাইনস ‘ভিস্তারা’ ও ‘এয়ার এশিয়া’র মার্কেট শেয়ার যথাক্রমে ৮ দশমিক ১ ও ৩ দশমিক ৩ শতাংশ! প্রত্যাবর্তন ও অর্জনের এই কাহিনিকে সফল করতে রতন টাটা ও তার সহযোগীদের অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে।

আবেগের সঙ্গে বাস্তবতার মেলবন্ধন কদাচিৎ ঘটে থাকে। পশ্চিমবঙ্গে ‘ন্যানো’ তৈরির সিদ্ধান্তের পেছনে আবেগ যে বেশি কাজ করেছিল, বহু দিন পর রতন টাটা নিজেই সে কথা স্বীকার করেছিলেন। গুজরাটেও ‘ন্যানো’ গুটিয়ে গেছে। টাটাদের ঝলমলে মুকুটে সেটা এক ব্যর্থতার পালক। এয়ার ইন্ডিয়া ফিরে পাওয়াও যে আবেগমিশ্রিত, রতন টাটার টুইটেই তা প্রমাণিত। তিনি লিখেছেন, ‘ওয়েলকাম ব্যাক এয়ার ইন্ডিয়া। এই নিলাম জয় দুর্দান্ত। জে আর ডি টাটা আজ আমাদের মধ্যে থাকলে সবচেয়ে বেশি খুশি হতেন।’ আবেগ কাটিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার সুদিন ফেরাতে পারলে অবশ্যই সেটা হবে প্রত্যাবর্তনের সফলতম উপাখ্যান। অর্থনীতির পণ্ডিতদের ভুল প্রমাণ করে দেখানো যাবে, এয়ার ইন্ডিয়া মহাশূন্যের কৃষ্ণগহ্বর নয়।

 

Source: https://www.prothomalo.com/business/%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%9F-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%8F%E0%A6%95-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%9F%E0%A6%95%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8

 

Corporate houses team up to form ‘Corporate Responsibility Network’

Picture

This forum is the first of its kind in Bangladesh, with an objective to promote Corporate Social Responsibilities (CSR)

A group of leading companies have launched a platform named the “Corporate Responsibility Network (CRN)” to promote and ensure sustainable development in the country. 

This forum is the first of its kind in Bangladesh, with an objective to promote Corporate Social Responsibilities (CSR) through knowledge-sharing and integration of initiatives by various companies, said a press release. 

Former Bangladesh Bank Governor Atiur Rahman inaugurated the network recently, at a hotel in the capital.

Speaking at the event, Atiur said: “By any economic standard, Bangladesh has done fairly well in the last 10 years, and has now emerged as a role model to be followed by the world. These success stories are attributed not just to the government organizations, but corporate companies as well.”

Moderated by Country Director of Social Responsibility Asia (SR Asia) Bangladesh Sumaya Rashid, the event covered different sustainable CSR projects including Bonayan, Probaho, Odomyo, and Swapna, undertaken by different companies. 

CRN President Riaz Uddin Al Mamun mentioned: “There are a significant number of companies in the country that are yet to come up with any CSR initiative. We are engaging with organizations for collaboration, and contributing in taking the country forward through sustainable CSR initiatives.”

Among others, representatives of the founder members of SR Asia, Epyllion Group, BAT Bangladesh, Nestlé Bangladesh, Olympic Industries Ltd, GSK, and Marico Bangladesh were also present at the event.

https://www.dhakatribune.com/biz-info/2018/11/29/corporate-houses-team-up-to-form-corporate-responsibility-network

শিগগিরই কয়েকটি ব্যাংককে একীভূত করা হবে: অর্থমন্ত্রী

Picture

রাজনৈতিক বিবেচনায় নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, শিগগিরই কয়েকটি ব্যাংককে একীভূত করা হবে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে নিজ দফতরে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় ইআরএফের সভাপতি সাইফুল ইসলাম দিলালের নেতৃত্বে কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

কিছুদিন আগে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, দেশের অর্থনীতির আকারের তুলনায় বর্তমানে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেশি। এ অবস্থায় কিছু ব্যাংক একীভূত করা প্রয়োজন। এর মধ্যেই পুলিশের জন্য একটি ব্যাংকের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জানা যায়, আরও তিনটি নতুন ব্যাংক অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'এ সময় নতুন ব্যাংক দেওয়ার কোনো দরকার ছিল না।' তা হলে দেওয়া হচ্ছে কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, পলিটিক্যাল গ্রাউন্ডে দেওয়া হচ্ছে। তবে শিগগিরই কিছু ব্যাংককে একীভূত করা হবে বলে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন।

সাবেক এক মন্ত্রীকে ব্যাংক দেওয়ার অভিজ্ঞতা ভালো নয়, আরেক মন্ত্রীর আত্মীয় ব্যাংক পেতে যাচ্ছে কি-না— এমন প্রশের উত্তরে মুহিত বলেন, অনেক মন্ত্রী ব্যাংকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আছেন। ব্যাংকের সংখ্যা বেশি হয়ে যাওয়ায় ব্যাংকগুলো একীভূত করা হবে। এ জন্য আইন ঠিকঠাক করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, 'আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় এলেই একীভূতের কাজ শুরু হবে। যদি অন্য কেউ আসে তাহলে তাদেরও ব্যাংক সংস্কারের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দিয়ে যাবো।'

রাজনৈতিক বিবেচনায় আরও তিন ব্যাংক অনুমোদনের কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে। যদিও এগুলো যাচাই-বাছাই করার জন্য ফেরত দেওয়া হয়েছে। এ গুলো হলো: বেঙ্গল ব্যাংক, পিপলস ব্যাংক এবং সিটিজেন ব্যাংক। এর আগেও রাজনৈতিক বিবেচনায় ৯টি ব্যাংকের অনুমোদন দেয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। ফলে বর্তমানে দেশে ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৮টি। রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়ায় শুরু থেকেই সমালোচনা করে আসছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেকরা।

বিশ্ব ব্যাংকের সদ্য প্রকাশিত 'ডুয়িং বিজনেস' রিপোর্ট নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মুহিত বলেন, এটি দেশের জন্য খুবই লজ্জার বিষয়। মুহিত স্বীকার করেন, বাংলাদেশে ব্যবসা শুরুর দিকে নানা প্রতিবন্ধকতা কাজ করে। এর কারণ কী জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, মূল সমস্যা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। তবে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা বিডা পরিবেশ উন্নতির জন্য কাজ করছে। আগামীতে ব্যবসার পরিবেশের উন্নতি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন অর্থমন্ত্রী।

Source (http://samakal.com/economics/article/181171/%E0%A6%95%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%95%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A7%80%E0%A6%AD%E0%A7%82%E0%A6%A4-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%B9%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80)

 

ইনভার্টার এসির কম্প্রেসারে ওয়ালটন দিচ্ছে ৮ বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি

Picture

ইনভার্টার এসির কম্প্রেসারে ওয়ালটন দিচ্ছে ৮ বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাসা বাড়িতে ব্যবহৃত ওয়ালটন ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির এয়ার কিন্ডশনারের কম্প্রেসারে এবার ৮ বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টির ঘোষণা দিলো ওয়ালটন। একই সঙ্গে, কমার্শিয়াল ব্যবহারকারীদের জন্য কম্প্রেসারে ঘোষণা করা হয়েছে ৩ বছরে রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি। আগে, আবাসিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে গ্যারান্টির মেয়াদ ছিলো ৩ বছর, কমার্শিয়ালের ক্ষেত্রে ২ বছর। চলতি বছর দেশব্যাপী যে সকল গ্রাহক ওয়ালটনের ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির এসি ক্রয় করেছেন তাদের সকলেই এই সুবিধার আওতায় আসবেন ।

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) এ উপলক্ষ্যে এক ডিক্লারেশন প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়। রাজধানীর মতিঝিলে ওয়ালটন মিডিয়া অফিসের কনফারেন্স হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বর্ধিত এই রিপ্লেসমেন্ট সুবিধার ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন গ্রুপের বিপণন বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ইভা রিজওয়ানা, নির্বাহী পরিচালক হুমায়ুন কবীর (পিআর এন্ড মিডিয়া), সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর প্রকৌশলী আব্দুল মালেক সিকদার (রেফ্রিজারেশন ইলেকট্রনিক্স আরএন্ডডি), ফার্স্ট সিনিয়র এডিশনাল ডিরেক্টর আনিসুর রহমান মল্লিক (রেফ্রিজারেন্ট এয়ারকন্ডিশনিং সার্ভিস ডেভলপমেন্ট), ডেপুটি ডিরেক্টর প্রকৌশলী সন্দ্বীপ বিশ্বাস, প্রকৌশলী আজমল ফেরদৌস বাপ্পিসহ অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক ইভা রিজওয়ানা বলেন, ওয়ালটন প্রোডাক্ট লাইনে ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির এসি ও ফ্রিজের সংযুক্তি একটি বিশাল মাইলফলক। গ্রাহকদের হাতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির পণ্য তুলে দিতে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় বিশ্বের লেটেস্ট/ সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন করেছে ওয়ালটন। এরই ধারাবাহিকতায় ইন্টিলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির এসি বাজারে এনেছে ওয়ালটন। তিনি আরো বলেন, কম্প্রেসারের উচ্চ গুণগতমান ও দীর্ঘস্থায়ীত্বের বিষয়ে শতভাগ আস্থা রয়েছে বলেই গ্যারান্টির মেয়াদ ৮ বছরে উন্নীত করা হয়েছে।

প্রকৌশলী আব্দুল মালেক সিকদার জানান, ইনভার্টার প্রযুক্তির এসিতে কম্প্রেসারে রয়েছে টার্বোমুড। যা কিনা রুমের তাপমাত্রা দ্রুত কমিয়ে আনে। নিশ্চিত করে দ্রুত শীতলীকরন। এই প্রযুক্তিতে রুমের তাপমাত্রা অনুযায়ী কম্প্রেসারের গতি নিয়ন্ত্রিত হয় পিসিবি বা মাদারবোর্ডে ¯হাপিত মাইক্রো প্রসেসরের বিশেষ প্রোগ্রামিং এর দ্বারা। অর্থাৎ, রুমের তাপমাত্রা কমার পাশাপাশি কম্পেসারের  গতিও কমে আসে, ফলে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়। এছাড়াও, ওয়ালটনের ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির এসির কম্প্রেসারে ব্যবহৃত হচ্ছে বিশ্বে স্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশ বান্ধব আর৪১০এ (জ৪১০ধ) রেফ্রিজারেন্ট। এসব কারনে ওয়ালটন ইনভার্টার এসিতে একদিকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়, অন্যদিকে কম্প্রেসারের স্থায়ীত্বও দ্বিগুণের বেশি বেড়ে যায়।

কর্তৃপক্ষ জানায়, সাধারনভাবে গ্রাহকরা মনে করে থাকেন এসির প্রাণ হচ্ছে এর কম্প্রেসার। কম্প্রেসার ঠিকমতো কাজ করলে গ্রাহকরা কাঙ্খিত সেবা পেয়ে থাকেন। বেশি লাভের আশায় অনেকেই এসিতে নিম্নমানের কম্প্রেসার ব্যবহার করে থাকে। এর ফলে ভোগান্তি পোহাতে হয় গ্রাহকদের। কিন্তু, গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি নিশ্চিত করতে ওয়ালটনের ইনভার্টার প্রযুক্তির এসিতে ব্যবহার করা হয়েছে উচ্চমানের কম্প্রেসার।

কর্তৃপক্ষের দাবি- অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, সঠিক বিটিইউ (ব্রিটিশ থারমাল ইউনিট) ও আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করা, গোল্ডেন ফিনের ব্যবহার, সাশ্রয়ী মূল্য, ৬ মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি, সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের সহজ কিস্তিতে ক্রয়ের সুবিধা, দেশব্যাপী বিস্তৃত সেলস ও সার্ভিস পয়েন্ট থাকায় গ্রাহক পছন্দের শীর্ষে উঠে এসেছে ওয়ালটন এসি।

ওয়ালটন রেফ্রিজারেন্ট এয়ারকন্ডিশনিং সার্ভিস ডেভলপমেন্ট বিভাগের ফার্স্ট সিনিয়র এডিশনাল ডিরেক্টর আনিসুর রহমান মল্লিক বলেন, ওয়ালটন ইনভার্টার এসিতে ব্যবহৃত কম্প্রেসারের কার্যক্ষমতা ও স্থায়িত্ব সাধারণ প্রযুক্তির কম্প্রেসারের তুলনায় দ্বিগুণ বেশি।

অনুষ্ঠানে জাানানো হয়, প্রাথমিকভাবে ১.৫ টনের এসিতে সংযোজন করা হয়েছে ইনভার্টার প্রযুক্তি। তবে, শীঘ্রই ইনভার্টার প্রযুক্তির ২ টনের এসি বাজারে আসছে।

প্রকৌশলীরা জানান, বাংলাদেশে প্রথমবারের মত এসির ইভা পোরেটরে অ্যান্টি করোসিভ হাইড্রফিলিক গোল্ডেন ফিন ব্যবহার করছে ওয়ালটন। যা ধুলো, ময়লা, বাতাসের আর্দ্রতা ও উষ্ণতার কারনে সৃষ্ট ক্ষয় রোধ করে। সেইসঙ্গে তা কনডেন্সারে হিট এক্সেঞ্জারের স্থায়িত্ব ও কার্যকারীতা বাড়ায়। এটি ব্যবহারের ফলে ক্রেতাকে ঘনঘন এসি পরিষ্কার বা মেরামতের ঝামেলা পোহাতে হয় না। এতে এসির স্থায়ীত্ব আরো বাড়বে।

 

ক্যান্টন ফেয়ার : বিভিন্ন দেশ থেকে রপ্তানি আদেশ পেলো ওয়ালটন

Picture

ক্যান্টন ফেয়ার : বিভিন্ন দেশ থেকে রপ্তানি আদেশ পেলো ওয়ালটন

 

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক

বিশ্বের বৃহত্তম বানিজ্য মেলা চীনের ক্যান্টন ফেয়ারে বিশ্ব ক্রেতাদের দৃষ্টিকাড়তে সক্ষম হয়েছে ওয়ালটন বিভিন্ন দেশের ক্রেতাদের কাছ থেকে ইতো মধ্যে বিশাল অঙ্কের রপ্তানি আদেশ পেয়েছে ওয়ালটন অনেক ব্যবসায়ী আমদানিকারক ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শনে আগ্রহ দেখিয়েছেন তাদের কাছ থেকেও রপ্তানির আদেশ পাবে বলে আশাবাদী ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ ।

 

ওয়ালটন সূত্র জানায়, সার্বিক বিবেচনায় দ্বিতীয় বারের মতো চীনের ক্যান্টন ফেয়ারে অংশগ্রহণ করে শতভাগ সফলতা নিয়েই ফিরেছে ওয়ালটন যা শুধু ওয়ালটনের জন্যই নয়; বাংলাদেশের প্রযুক্তি পণ্য রপ্তানি খাতেও এক বিশাল মাইলফল ।

জানা গেছে, সবচেয়ে বড় রপ্তানি আদেশ এসেছে লেবানন থেকে দেশটির মোহাম্মদ এন্ড আলী মোবারক কোম্পানির কাছ থেকে ১০ কন্টেইনার নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ রপ্তানির আদেশ পেয়েছে ওয়ালটন যেটির শিপমেন্ট খুব শীগ্রই সম্পন্ন হবে মায়ানমারের ব্যবসায়ী মায়িন্ট ইয়েন উল্লেখযোগ্য পরিমান ফ্রস্ট ফ্রিজ আমদানির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এছাড়াও,ওয়ালটন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন পণ্য আমদানির প্রতি ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছেন ফিজি রমুনেশ প্রাসাদ ঘানার তাজেদ্দিন হিচাম নামক দুজন ব্যবসায়ী।

লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা ব্র্যাজিলের ব্যবসায়ীদের মাঝেও ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ওয়ালটন পণ্য   আর্জেন্টিনার ব্যবসায়ী সিনথিয়ার ওয়ালটনের হোম এ্যাপ্লায়েন্স আমদানির কথা নিশ্চিত করেছেন আর ব্র্যাজিলের ব্যবসায়ী মার্টিনস এ্যাগুলিয়ারমেড ইন বাংলাদেশ লেবেল যুক্ত ওয়ালটন কম্প্রেসার আমদানি করার কথা জানিয়েছেন কম্প্রেসার নেবেন থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ী কোসিন শীগ্রই সেদেশের ব্যবসায়ী দল বাংলাদেশে ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শনে আসছেন ।

ওয়ালটন পণ্য আমদানির উদ্দেশ্যে কারখানা পরিদর্শন করার প্রস্তাব দিয়েছেন পেরু, আমেরিকা, থাইল্যান্ড সেনেগাল, রাশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ত্রিনিদাদ এর বেশ কয়েকজন বড় ব্যবসায়ী এদের মধ্যে পেরুর জেবিয়ার ত্রিনিদাদের ভিজাই ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর আমদানির আগ্রহ দেখিয়েছেন আর ওয়ালটন ব্র্র্যান্ডের ইলেকট্রনিক্স ইলেকট্রিক্যাল পণ্য আমদানির কথা জানিয়েছেন আমেরিকার মাহমুদ সংযুক্তআরব আমিরাতের মোহাম্মেদ এলইডিটিভি   ফ্রিজেরপ্রতি আগ্রহ দেখিয়েছেন রাশিয়ার রুডোমান ইগোর সেনেগালের ওয়্যাল ফাওজি ওয়ালটন কর্তৃপক্ষের প্রত্যাশা - তাদের কাছ থেকে বিশাল অঙ্কের রপ্তানি আদেশ আসবে   

চীনের গুয়াংজু শহরে এপ্রিলের ১৫ থেকে ১৯ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে ১২১ তম ক্যান্টন ফেয়ার যার অফিসিয়াল নাম চায়না আমদানি-রপ্তানি মেলা বিশ্বের মেগা পণ্য মেলা হিসেবে এটি পরিচিত এবারের মেলায় পৃথিবীর প্রায় টি দেশের লক্ষাধিক ক্রেতা অংশ নেন এর বাইরে আরো প্রায় লাখ ছিলেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা প্রতিনিধি পৃথিবীর প্রায় সকল শীর্ষ ব্র্যান্ডের পণ্য প্রদর্শিত হয় এখানে আসেন বিভিন্ন দেশের শীর্ষ ক্রেতা-ব্যবসায়ীরা সবমিলিয়ে যেন বানিজ্যের এক মহাযজ্ঞ মেলার ৬০ বছরের ইতিহাসে এবারই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম ঘটেছে বলে জানিয়েছে মেলা কর্তৃপক্ষ ।

বাংলাদেশী ইলেকট্রনিক্স ম্যানুফ্যাকচারার হিসেবে দ্বিতীয় বারের মতো ক্যান্টন ফেয়ারে অংশ নিয়েছে ওয়ালটন মেলার আন্তর্জাতিক প্যাভিলিয়নে স্থাপন করা হয়েছিল ওয়ালটনের দৃষ্টিনন্দন মেগা প্যাভিলিয়ন প্রদর্শিত হয়েছে বাংলাদেশে তৈরি ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার, এলইডি টেলিভিশন, এয়ার কন্ডিশনার, রিচার্জেবল ফ্যান, সিলিং ফ্যান, রাইসকুকার, ব্লেন্ডার, গ্যাস স্টোভ, ইলেকট্রিক সুইস-সকেটইন্ডাকশন কুকার, এসিড লেড রিচার্জেবল ব্যাটারি, বিশ্বের লেটেস্ট প্রযুক্তিতে তৈরি কম্প্রেসর এর আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশ সহ বিভিন্ন হোম ইলেকট্রিক্যাল এ্যাপ্লায়েন্সেস ।

জানা গেছে, ওয়ালটনের প্রতিটি পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়াসহ গুণগত মান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ক্রেতারা বিশেষ করে পণ্যের নিখুঁত ফিনিশিং, সাশ্রয়ী মূল্য এবং ব্যতিক্রমী ডিজাইন তাদের মন কেড়েছে ।

চীনে নিযুক্ত ওয়ালটনের কান্ট্রি ডিরেক্টর ক্যান্টন ফেয়ারের সমন্বয়ক মীর আবুল হাছান বলেন, ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, এশিয়া আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ক্রেতারা ওয়ালটন প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেছেন যাচাই-বাছাই শেষে বেশিরভাগ ক্রেতাই ওয়ালটন পণ্যের মানও দাম নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ।

ওয়ালটনের আন্তর্জাতিক বিপণন বিভাগের প্রধান রকিবুল ইসলাম বলেন, ক্যান্টন ফেয়ারে ওয়ালটনের প্রধান লক্ষ্য ছিলো - রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ করা সেদিক থেকে আমরা শতভাগ সফল হয়েছি ।  

 

 

২০১৯ সালের মধ্যে ১ কোটি করদাতা চান অর্থমন্ত্রী

Picture
২০১৯ সালের মধ্যে দেশে এক কোটি করদাতা খুঁজে বের করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় কয়েকটি সংসদীয় কমিটির সঙ্গে প্রাক বাজেট আলোচনার পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

 

সভার আলোচনার বরাত দিয়ে মন্ত্রী বলেন, “কর অফিস উপজেলা পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাবও এসেছে। এটা মাঝে মাঝেই আসে। বর্তমানে ৮১ উপজেলায় আছে। এটাকে দ্রুত গতিতে সব উপজেলায় নিয়ে যাওয়া।

“করদাতা এত কম কেন-এ প্রশ্নটা প্রত্যেক দিনেই উঠে। ১৬ কোটি মানুষের দেশে ১৫-১৬ লাখ করদাতা ছিল। এটা এক কোটি হওয়া উচিত। যুবকদের মাঝে আগ্রহ দেখা দিয়েছে। আমাদের করদাতা তাই এখন বেড়ে ২৮ লাখ হয়েছে। যেটা ভাল। সুতরাং আমার মনে হয়, ২০১৯ সাল পর্যন্ত এটা এক কোটি টার্গেট হওয়া উচিত।”

বাংলাদেশে কত মানুষ কর দেওয়ার যোগ্য- এমন কোনো তথ্য আছে কি-না, প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, “না, সেটা নাই। বললে আন্দাজে বলতে হবে।”

এরপর তিনি বলেন, “আমি এবার যেটা ঠিক করেছি, সেটা হচ্ছে, ঢাকা... অন্য কিছু ভুলে যান, ঢাকাকে আমি কয়েকটি জোনে ভাগ করব। প্রত্যেক জোনে আমার ইনকাম ট্যাক্স টিম যাবে। সম্ভবত এখানে আমি শিক্ষার্থীদেরকেও নিয়োগ দিতে পারি। তারা যত পাকা বাড়ি ...ইত্যাদি ইত্যাদি, এদের সবাইকে করের নোটিশ দেব।” 

বৈঠকে সংসদ সদস্যরা পেঁয়াজ, রসুন, আলুসহ বিভিন্ন ফল, ফসলের জন্য কৃষি পণ্যের সংরক্ষণের ব্যবস্থার কথা বলেছেন বলে জানান মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, “আমরা তথ্য পেলাম, ঢাকা চিড়িয়াখানার জন্য কোন জমানায় (বরাদ্দ) হয়েছিল, তারপর আর হয়নি। সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং বিষয় ছিল, আমরা যে হালদা নদী যে পোনা ছাড়ি, তার জন্য বার্ষিক বরাদ্দ মাত্র ১ লাখ টাকা।”

এরপর মন্ত্রী হাসতে হাসতে বলেন, ‍“আমি ভাবছি, আমি তাকে ৫ লাখ টাকা নিজে থেকে দিয়ে দেব।”

জ্বালানি ব্যবহারের দক্ষতা নিয়েও আলোচনায় বক্তব্য এসেছে বলে জানিয়ে মুহিত বলেন, “চট্টগ্রামে বিএসটিআইর যে দপ্তর আছে, সেটাকে শক্তিশালী করার জন্যও বক্তব্য এসেছে। অধিকাংশ পণ্যতো চট্টগ্রাম দিয়েই আসে। সেখানেই এটা করা উচিত।”

“কারিগরি শিক্ষাকে উপজেলা পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া এবং তার কনটেন্ট যেন এমন হয়, হাতেখড়িতেই যেন কিছু প্রশিক্ষণ হয়। রাস্তাঘাটে পলিথিনের ব্যবহার চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সারা দেশ পলিথিনময় হয়ে যাবে। এ জন্য হাছান মাহমুদ ১ শতাংশ হারে ইকো ট্যাক্সের প্রস্তাব করেছেন।”

অর্থমন্ত্রী বলেন, “ভ্যাট সম্পর্কে বক্তব্য এসেছে যে, এটা দোকানদাররা সংগ্রহ করেন, কিন্তু এটা রাজকোষে জমা হয় না। এটার জন্য কিছু করা।

“সোলার প্যানেল দেশে এখন দেশে প্রচুর হয়। এটাতে শুল্ক বাড়ানোর জন্য বলা হয়েছে। দুর্যোগ আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপন ও উন্নয়ন কাজকে আরও শক্তিশালী করা উচিত।”

প্রবাসীরা দেশে ফেরতের পর কর বিষয়ে যেন তাদের কোনো সমস্যায় পড়তে না হয় সেবিষয়ে ‘ট্রান্সফার অব রেসিডেন্স’ সুবিধা পুনর্বহালের চেষ্টার কথা জানান মুহিত।

“অনেক লোক বিদেশে থাকার পর দেশে ফিরে আসে। দেশে আসার পর শুল্ক কর্মকর্তাদের কাছে তাদের অনেক অসুবিধা হয়। আমি জিজ্ঞেস করলাম, আমাদের আগে একটা বিধান ছিল, ট্রান্সফার অব রেসিডেন্স হলে একটা বিশেষ সুবিধা পেত। একজন বললেন, এখন নাকি এই সুবিধা নাই। আমার চেষ্টা হবে, এটা পুনর্বহালের জন্য।”

এছাড়া স্কুল ফিডিং কার্যক্রমকে প্রসারিত করা এবং সংস্কৃতি খাতে বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর বিষয়েও প্রস্তাব এসেছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।

সভায় অন্যদের মধ্যে সাবের হোসেন চৌধুরী, হাছান মাহমুদ, মকবুল হোসেন, শওকত আলী, ফজলুল করিম চৌধুরী, তাজুল ইসলাম, সিমিন হোসেন রিমি উপস্থিত ছিলেন।

Source: http://bangla.bdnews24.com/economy/article1317698.bdnews

করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করার সুপারিশ

Picture
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করার সুপারিশ করেছে ব্যয় ও ব্যবস্থাপনা হিসাববিদদের সংগঠন আইসিএমএবি।

আগামী অর্থবছরের বাজেট সামনে রেখে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এক প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ প্রস্তাব দেওয়া হয়।

 

আলোচনায় সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট জামাল আহমেদ চৌধুরী বাজেট নিয়ে বিভিন্ন প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।

আইসিএমএবির প্রস্তাবনায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আয়কর ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করার কথা বলা হয়।

তবে তালিকাভুক্ত ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আয়কর ৪০ শতাংশ বহাল রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।

তার সঙ্গে বিদেশি কোম্পানিগুলির ক্ষেত্রে নগদ লভ্যাংশ ২০০ শতাংশের বেশি হলে ৫০ শতাংশ হারে তাদের উপর কর আরোপের প্রস্তাব দিয়েছে আইসিএমএবি।

আলোচনায় সিঅ্যান্ডএফ, শিপিং, ফ্রেইড ফরওয়ার্ডিং, ট্যাক্স লইয়ার, ইনডেন্টর, আইসিএবি ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে তাদের প্রস্তাব তুলে ধরে।

এসব সংগঠনের পক্ষ থেকে ব্যক্তির ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়সীমা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।

Source: http://bangla.bdnews24.com/economy/article1316988.bdnews

মেড ইন বাংলাদেশ’ পণ্যের প্রতিনিধিত্ব করছে ওয়ালটন

Picture

নিজস্ব প্রতিবেদক

এপ্রিলের A১৫ তারিখ শুরু হচ্ছে  চায়না আমদানি ও রপ্তানি মেলা; যা ক্যান্টন ফেয়ার নামে সারা বিশ্বে সুপরিচিত। বিশ্বের বৃহৎ পণ্যমেলা হিসেবেও এটি পরিচিত। চীনের ঐতিহ্যবাহী এবং মর্যাদাপূর্ণ এই মেলায় দ্বিতীয়বারের মতো অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশী ব্র্যান্ড ওয়ালটন। এবারও এই মেলায় ’মেড ইন বাংলাদেশ’ খ্যাত ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্যের একমাত্র প্রতিনিধিত্বকারি প্রতিষ্ঠানও ওয়ালটন।

চীনের গুয়াংজু প্রদেশে এপ্রিলের ১৫ থেকে শুরু হয়ে ১৯ তারিখ পর্যন্ত চলবে ১২১তম ক্যান্টন (চায়না ইমপোর্ট এ্যান্ড এক্সপোর্ট) ফেয়ার। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ৬০ বছর ধরে নিয়মিত বসছে এই মেলা। এপ্রিলের এই বসন্ত মেলায় (স্প্রিং ফেয়ার) ইলেকট্রনিক্স এন্ড হাউজহোল্ড ইলেকট্রিক্যাল এ্যাপ্লায়েন্সেস, লাইটিং ইক্যুইপমেন্ট, ভেহিক্যালস এন্ড স্পেয়ার পার্টস, মেশিনারি এবং হার্ডওয়্যার এন্ড টুলস পণ্য প্রদর্শিত হবে। ইলেকট্রনিক্স এন্ড হাউজহোল্ড ইলেকট্রিক্যাল এ্যাপ্লায়েন্সেস ক্যাটাগরীতে অংশ নিচ্ছে ওয়ালটন। ক্যান্টন ফেয়ার এর আন্তর্জাতিক প্যাভিলিয়নে স্থাপন করা হয়েছে ওয়ালটনের মেগা প্যাভিলিয়ন।

১২১তম ক্যান্টন ফেয়ার-এ স্থাপিত ওয়ালটন মেগা প্যাভিলিয়নের ডিজাইন।

 

মেলায় প্রদর্শিত হবে ওয়ালটন কারখানায় তৈরি আন্তর্জাতিকমানের ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্যসমূহ। এর মধ্যে রয়েছে ব্যাপক বিদ্যুত সাশ্রয়ী রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার, এলইডি টেলিভিশন, এয়ার কন্ডিশনার, রিচার্জেবল ফ্যান, সিলিং ফ্যান, রাইসকুকার, ব্লেন্ডার, গ্যাস স্টোভ, ইলেকট্রিক সুইস-সকেট,  ইন্ডাকশন কুকার, এসিড লেড রিচার্জেবল ব্যাটারিসহ বিভিন্ন হোম ও ইলেকট্রিক্যাল এ্যাপ্লায়েন্সেস।  থাকছে বিশ্বের লেটেস্ট প্রযুক্তিতে ওয়ালটন কারখানায় তৈরি কম্প্রেসর।

উল্লেখ্য, ক্যানটন ফেয়ারের ইতিহাসে গতবছর প্রথমবারের মত বাংলাদেশী কোনো ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে অংশ নিয়েছিল ওয়ালটন। এতে অংশ নেন বিশ্বের ২’শরও বেশি দেশ থেকে আসা তিন লক্ষাধিক বড় ব্যবসায়ী ও আমদানিকারক। গেলো বছল সাশ্রয়ী মূল্য এবং উচ্চমানের পণ্য দিয়ে গ্লোবাল বায়ারদের ব্যাপক প্রসংশা পেয়েছিল ওয়ালটন।

ওয়ালটন কর্তৃপক্ষের প্রত্যাশা, গতবছরের মতো এবারও তারা শতভাগ সফল হবেন। এরইমধ্যে ওয়ালটনের ২৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল চায়না পৌঁছেছে। ক্রেতা-দর্শণার্থীদের কাছে ওয়ালটন পণ্যের বিশেষ দিক তুলে ধরতে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ এবং আকর্ষণীয় স্থানে স্থাপন করা হয়েছে ওয়ালটনের জায়ান্ট বিজ্ঞাপন বোর্ড। ভিডিও স্ক্রিনে ওয়ালটনের বিজ্ঞাপন, ডক্যুমেন্টারি ও বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়া প্রদর্শন করা হবে। মেলার বাইরেও যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, আফ্রিকা, মধ্য প্রাচ্য, ভারত, নেপাল, ভুটানসহ বিভিন্ন দেশে চালানো হচ্ছে ব্যাপক প্রচারণা । ওইসব অঞ্চলে নিয়োজিত ওয়ালটনের পরিবেশক এবং প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দেশের যেসব ক্রেতা ক্যান্টন ফেয়ারে যাবেন তাদেরকে ওয়ালটন প্যাভিলিয়নে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

ওয়ালটনের আন্তর্জাতিক বিপণন বিভাগের প্রধান রকিবুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের বাজারে নীরঙ্কুশ প্রাধান্য রয়েছে ওয়ালটনের। এবার টার্গেট হলো- বিশ্ব বাজারেও শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করা। লক্ষ্য বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে চীনের ক্যান্টন ফেয়ার। তিনি যুক্তি দেখান, বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশ থেকেই ছোট-বড় মিলিয়ে কয়েক লাখ ব্যবসায়ী ও ক্রেতা আসেন এখানে। ওইসব ক্রেতাদের সঙ্গে ওয়ালটনের একটি আন্তর্জাতিক সেতুবন্ধন তৈরি হবে।

ওয়ালটনের সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম বলেন, ক্যান্টন ফেয়ার হচ্ছে বিশ্বের শীর্ষ প্লাটফরম। পৃথিবীর সব প্রান্ত থেকে ক্রেতারা আসেন। এখানে বিশ্বের সেরা মানের পণ্য নিয়েই হাজির হচ্ছে ওয়ালটন। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সংযোজন ঘটিয়ে উচ্চমানের পণ্য দিয়ে বিশ্বের যে কোনে ব্র্যান্ডকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি আমরা। প্রতিনিয়ত ইউরোপ আমেরিকাসহ বিশ্বের শীর্ষ পণ্যমেলায় অংশ নিচ্ছি। তিনি বলেন, ক্যান্টন ফেয়ারে অংশ নেয়ায় শুধু ওয়ালটনের নয়; বিশ্ব ক্রেতাদের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল হবে।   

মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু রোববার

Picture

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের আদলে মূল ফটকের কাজ শেষ। ভেতরে ইট-বালুর স্তূপ। সেই ইট বিছিয়ে হাঁটার পথ নির্মাণ চলছে। প্যাভিলিয়ন ও স্টলের অবকাঠামো নির্মাণ শেষ। তবে অধিকাংশের সাজসজ্জার কাজ প্রাথমিক পর্যায়ে।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে ২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার (ডিআইটিএফ) প্রস্তুতি দেখতে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে গিয়ে এমন চিত্রই চোখে পড়ল। পুরো মাঠেই ইট, বালু, কাঠ, বোর্ডসহ বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রী ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। নির্মাণশ্রমিকদের কর্মব্যস্ততা ও হাঁকডাকে পুরো এলাকা সরগরম।
অন্যবারের মতো এবারও মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলা ১ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে। রোববার মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) যৌথভাবে মেলাটির আয়োজন করছে। মেলায় এবার বিভিন্ন ধরনের প্যাভিলিয়ন ও সাধারণ স্টল বরাদ্দ নিয়েছে ৫৫৫টি।
মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেল, ওয়ালটন, হাতিল ফার্নিচার, আকতার ফার্নিচার, প্রাণ-আরএফএল, যমুনার মতো বড় প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রির জন্য দৃষ্টিনন্দন প্যাভিলিয়ন করছে। এসব বড় প্রতিষ্ঠানের প্যাভিলিয়নের কাজ বেশ এগিয়েছে। তবে অধিকাংশ সাধারণ স্টলের কাজ প্রাথমিক পর্যায়ে।
এদিকে, মেলার সামনের পার্কিংয়ের কাজ চলছে। টিকিট কাউন্টার নির্মাণ শেষ পর্যায়ে। ভেতরের অবকাঠামো নির্মাণ এখনো শেষ হয়নি। ভেতরে হাঁটার পথ তৈরির জন্য ইট বিছানোর কাজ চলছে। অনেক প্যাভিলিয়ন ও স্টলের সামনে যাওয়ার পথ তৈরি হয়নি।
বাণিজ্য মেলার সদস্যসচিব রেজাউল করিম বলেন, ‘সব কাজ শনিবারের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। প্যাভিলিয়ন তৈরির জন্য বড় বড় ট্রাক পণ্য নিয়ে মেলায় ভেতরে আসে। তাই কিছু জায়গার হাঁটার পথ শেষ মুহূর্তে করা হয়।’

তথ্যসূত্র : প্রথমআলো