Business Blog

Displaying 1-10 of 98 results.

Hijaz Hajj & Umrah Kafela - Best Agency in Bangladesh

Picture

Hijaz Hajj & Umrah Kafela - Best Agency in Bangladesh

Hijaz Hajj & Umrah Kafela Association of Bangladesh was established in January 2023. We aim to provide a comprehensive and fulfilling experience for individuals undertaking the holy pilgrimage of Hajj and Umrah from all over Bangladesh.

Available Umrah Packages from Bangladesh

Our distinguished Shariah consultants

Our Shariah consultants are esteemed scholars well-versed in the teachings of Islam and possess a deep knowledge of the Hajj and Umrah rituals.

Popular Hajj packages 2024

Our popular Hajj packages for 2024 have been meticulously crafted to ensure a seamless and memorable journey. We prioritize our member's comfort, safety, and well-being throughout their Hajj pilgrimage, providing a worry-free experience.

Key Highlights: Hijaz Hajj & Umrah Kafela

  • 20+ Ziyara Tours, provided in last 1 year
  • 200+ Customers served
  • 20+ Worldwide Consultants

We're associated with

Book your Umrah package now and experience the blessings.

Request for Online Booking

Cox’s Bazar Sea Beach: The Ultimate Travel Guide

Cox’s Bazar Sea Beach: The Ultimate Travel Guide

Cox’s Bazar is one of the most popular tourist destinations in Bangladesh, and for good reason. With its stunning beaches, lush forests, and breathtaking views, Cox’s Bazar is the perfect place to relax and rejuvenate. In this article, we’ll explore the many things that make Cox’s Bazar such a special destination, and why you should consider visiting it the next time you’re looking for a break from the hustle and bustle of city life.

Coxs bazar sea beach

More Details

কর ফাঁকি না দিয়েও আয়কর কম দেওয়ার উপায়

Picture

কর ফাঁকি না দিয়েও আয়কর কম দেওয়ার উপায়

আয়কর রিটার্ন দেওয়ার মাস নভেম্বর। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময়, তাই শেষ মুহূর্তের তাড়াহুড়া থেকে বাঁচতে এখনই নেওয়া প্রয়োজন প্রস্তুতি। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে। এবার কর মেলা হবে না। করদাতারা নিজ নিজ কর অঞ্চলে গিয়ে রিটার্ন দিতে পারবেন। সেখানে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হবে। শেষ মাসে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের জন্য আয়কর আইনজীবী মো. জাহাঙ্গীর আলমের নানা পরামর্শ।

স্বল্প আয়ের লোকজন তো বটেই, সবাই পথ খোঁজেন কীভাবে আয়কর কম দেওয়া যায়। চাকরিজীবী করদাতাদের প্রতিষ্ঠান উৎসে আয়কর কেটে রাখে। এ ক্ষেত্রে সঠিক খাতে বিনিয়োগ করলে তাঁদের অন্য কোনো আয় না থাকলে উৎসে কর কর্তনের টাকা দিয়েই আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া সম্ভব।

এ ক্ষেত্রে আপনাকে সঠিক পরিকল্পনা করে বিনিয়োগ করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় সঠিক ধারণা না থাকার পরিপ্রেক্ষিতে বেশি আয়কর দিতে হচ্ছে। যেমন অনেকে মনে করেন, জমি বা ফ্ল্যাট, স্থায়ী আমানত (ফিক্সড ডিপোজিট) বা আয়কর আইনে অনুমোদন খাত ছাড়া অন্য খাতে বিনিয়োগ করলে আয়কর রেয়াত পাওয়া যাবে না। আবার অনেকে মনে করেন, পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র কিনেছেন প্রথম বছর আয়কর রেয়াত গ্রহণ করেছেন, পরের বছর আর কোনো বিনিয়োগ করেননি। এ ক্ষেত্রে পরের বছর বেশি আয়কর আসবে। সঞ্চয়পত্র যে বছর ক্রয় করা হবে, সে বছর শুধু আয়কর রেয়াত পাওয়া যাবে।

বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ মুসলিম এবং ধর্মপরায়ণ হিসেবে অনেকেই যাকাত দেন। এ ক্ষেত্রে যদি সরকারি তহবিলে যাকাত দেন, তবেই আয়কর রেয়াত পাওয়া যাবে।

ডিপোজিট পেনশন স্কিম বা ডিপিএস ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত রেয়াত পাওয়া যায়, এর বেশি হলে পাওয়া যায় না। এ বছর ১ জুলাই ২০২০ থেকে জুন ২০২১ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যাঁরা অনুমোদিত খাতে বিনিয়োগ করেছেন, শুধু তাঁরাই এ বছর বিনিয়োগের ওপর রেয়াত পাবেন। যাঁরা করেননি, এখন থেকে পরিকল্পনা করুন যাতে আগামী বছর থেকে বিনিয়োগের সম্পূর্ণ সুবিধা ভোগ করতে পারেন। বিনিয়োগ-সংক্রান্ত বিষয়ে নিচের বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে এবং যথাযথভাবে তা প্রয়োগ করতে হবে।

বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সীমা হবে করযোগ্য মোট আয়ের (কর অব্যাহতি প্রাপ্ত বা হ্রাসকৃত করহারের আয় ব্যতীত) ২৫ শতাংশ বা প্রকৃত বিনিয়োগ অথবা ১ কোটি টাকা, এই তিনটির মধ্যে যেটি কম। রেয়াতের পরিমাণ নির্ধারিত হবে মোট আয় ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ১৫ শতাংশ হারে এবং ১৫ লাখ টাকার অধিক ১০ শতাংশ হারে।
বিনিয়োগ বা দানের অনুমোদিত খাতগুলো-

বিনিয়োগের খাত

একজন করদাতার বিনিয়োগ ও দানের সম্ভাব্য খাতের তালিকা-
১. জীবনবিমার প্রিমিয়াম;

২. সরকারি কর্মকর্তার প্রভিডেন্ট ফান্ডে চাঁদা;

৩. স্বীকৃত ভবিষ্যৎ তহবিলে নিয়োগকর্তা ও কর্মকর্তার চাঁদা;

৪. কল্যাণ তহবিল ও গোষ্ঠী বিমা তহবিলে চাঁদা;

৫. সুপার অ্যানুয়েশন ফান্ড প্রদত্ত চাঁদা;

৬. যেকোনো তফসিলি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডিপোজিট পেনশন স্কিমে বার্ষিক সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা বিনিয়োগ;

৭. সঞ্চয়পত্র ক্রয়ে বিনিয়োগ;

৮. বাংলাদেশের স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার, স্টক, মিউচুয়াল ফান্ড বা ডিবেঞ্চারে বিনিয়োগ এবং

৯. বাংলাদেশ সরকার ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ।

কোথায় দান করলে রেয়াত

১. জাতির জনকের স্মৃতি রক্ষার্থে নিয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানে অনুদান;

২. জাকাত তহবিলে দান;

৩. জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত কোনো দাতব্য হাসপাতালে দান;

৪. প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে স্থাপিত প্রতিষ্ঠানে দান;

৫. মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে প্রদত্ত দান;

৬. আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কে দান;

৭. আইসিডিডিআরবিতে প্রদত্ত দান;

৮. সিআরপি, সাভারে প্রদত্ত দান;

৯. সরকার কর্তৃক অনুমোদিত জনকল্যাণমূলক বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দান;

১০. এশিয়াটিক সোসাইটি, বাংলাদেশে দান;

১১. ঢাকা আহসানিয়া মিশন ক্যানসার হাসপাতালে দান এবং

১২. মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার্থে নিয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের কোনো প্রতিষ্ঠানে অনুদান।

বিনিয়োগ বা দানের প্রমাণপত্র রিটার্নের সঙ্গে দাখিল করতে হবে।

লেখক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, আয়কর আইনজীবী, নির্বাহী পরিচালক, গোল্ডেন বাংলাদেশ

 

Source:  https://www.prothomalo.com/business/personal-finance/%E0%A6%95%E0%A6%B0-%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%95%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%93-%E0%A6%86%E0%A7%9F%E0%A6%95%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%AE-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A7%9F-2

আয়কর রিটার্ন দেওয়ার জরুরি ১১ টিপস

Picture

আয়কর রিটার্ন দেওয়ার জরুরি ১১ টিপস

দেখতে দেখতে নভেম্বর মাসেরও ছয় দিন পার হয়েছে। আয়কর রিটার্ন দেওয়ার মাস এটি। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময়, তাই শেষ মুহূর্তের তাড়াহুড়া থেকে বাঁচতে এখনই প্রস্তুতি নিন। সংগ্রহ করুন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। এবার কর মেলা হবে না। করদাতারা নিজ নিজ কর অঞ্চলে গিয়ে রিটার্ন দিতে পারবেন। সেখানে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হবে। শেষ মাসে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের জন্য আয়কর আইনজীবী মো. জাহাঙ্গীর আলমের নানা পরামর্শ।

৩০ নভেম্বর ২০২১ ব্যক্তি করদাতাদের আয়কর রিটার্ন ২০২১-২২ করবর্ষ ও ২০২০-২১ আয় বর্ষের জমা দেওয়ার শেষ তারিখ (অর্থাৎ ১ জুলাই ২০২০-থেকে ৩০ জুন ২০২১ পর্যন্ত সময়ের আয়ের জন্য)। এ বছর করোনার কারণে মেলা হচ্ছে না। তবে করোনার প্রকোপ কিছুটা কম। অবশ্য অনেকের আয়ও হয়তো কমে গেছে। আয়কর আইন সংশোধন করার পরিপ্রেক্ষিতে যাঁদের টিআইএন আছে (যাঁরা ৩০ জুন ২০২১-এর আগে টিআইএন গ্রহণ করেছেন), তাঁদের আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। গত বছর ৫০ লাখের বেশি টিআইএনধারী করদাতার মধ্যে ২২ থেকে ২৩ লাখ আয়কর রিটার্ন জমা দিয়েছিলেন। আয়কর ফাইল একজন করদাতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।

আয়কর ফাইল ত্রুটিপূর্ণ হলে তাঁর সার্বিক ক্ষেত্রেই অসুবিধায় পড়তে হতে পারে। আমরা জমি, ফ্ল্যাট, স্থায়ী আমানত বা এফডিআর, সঞ্চয়পত্র, ইত্যাদির দলিল বা নথি যেভাবে সংরক্ষণ করি, প্রায় ক্ষেত্রেই দেখা যায় আয়করের ফাইল সেভাবে অনেকেই সংরক্ষণ করেন না। আয়কর ফাইল সঠিকভাবে রাখা করব্যবস্থাপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আবার অনেকের পক্ষেই কিন্তু আয়কর অধ্যাদেশ, প্রজ্ঞাপন, অর্থ আইন, আয়কর পরিপত্র বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা খুবই কঠিন।

আয়কর আইন প্রতিবছর সংশোধন ও পরিমার্জন হয়। তবে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতা, যাঁরা চাকরিজীবী বা ছোটখাটো ব্যবসা করেন, তাঁদের জন্য খুব একটা অসুবিধা হয় না। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই একটু সচেতন হতে হবে। এ বছর যেহেতু ৩০ জুন ২০২১-এর আগে যাঁরা টিআইএন গ্রহণ করেছেন, তাঁদের আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হবে। আবার এ বছর ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাকে অনলাইনে আয়কর জমা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু আছে। সেই সঙ্গে যাঁদের মোট পরিসম্পদ ৪০ লাখ টাকার নিচে, কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া তাঁরা শুধু এক পাতার ফরম পূরণ করে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারবেন।

এখনো প্রায় পুরো নভেম্বর মাস সময় আছে রিটার্ন জমা দেওয়ার জন্য। যাঁরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারবেন না, তাঁরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্ধারিত ফরমে সময় বাড়ানোর আবেদন করতে পারবেন। তবে ২ শতাংশ হারে বিলম্ব সুদ আরোপযোগ্য হবে। এ ক্ষেত্রে উপকর কমিশনার দুই মাস এবং পরবর্তী সময়ে যুগ্ম বা অতিরিক্ত কর কমিশনার আরও দুই মাস সময় মঞ্জুর করতে পারবেন। তবে অবশ্যই করদাতাকে তার যুক্তিসংগত কারণ দেখাতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থ হলে আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী জরিমানা আরোপ হবে।

ব্যক্তিশ্রেণির করদাতার ক্ষেত্রে পুরুষ করদাতার ক্ষেত্রে তিন লাখ টাকা, নারী অথবা ৬৫ বছরের অধিক পুরুষ করদাতার ক্ষেত্রে সাড়ে তিন লাখ টাকা, প্রতিবন্ধী করদাতার ক্ষেত্রে সাড়ে চার লাখ টাকা এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার ক্ষেত্রে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। আবার কোনো প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতা–মাতা বা আইনানুগ অভিভাবকের জন্য করমুক্ত সীমা ৫০ হাজার টাকা বেশি হবে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতা ও মাতা উভয়েই করদাতা হলে যেকোনো একজন এ সুবিধা ভোগ করবেন। আয় নির্ধারিত সীমার নিচে হলে করদাতাকে আয়কর রিটার্ন দিতে হবে, কিন্তু আয়কর দিতে হবে না। শুধু করসীমা অতিক্রম করলেই আয়কর দিতে হবে। অর্থাৎ করসীমার ওপর এক টাকার বেশি হলেও তাঁকে ন্যূনতম আয়কর দিতে হবে।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় অবস্থিত করদাতার ন্যূনতম করের হার পাঁচ হাজার টাকা, অন্যান্য সিটি করপোরেশন এলাকায় অবস্থিত করদাতার ন্যূনতম করের হার চার হাজার টাকা, সিটি করপোরেশন ছাড়া অন্যান্য এলাকায় অবস্থিত করদাতার ন্যূনতম করের হার তিন হাজার টাকা প্রদান করতে হবে।

বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সীমা হবে করযোগ্য মোট আয়ের (কর অব্যাহতিপ্রাপ্ত বা হ্রাসকৃত করহারের আয় ছাড়া) ২৫ শতাংশ; প্রকৃত বিনিয়োগ; অথবা এক কোটি টাকা; এই তিনটির মধ্যে যেটি কম। রেয়াতের পরিমাণ নির্ধারিত হবে মোট আয় ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ১৫ শতাংশ হারে এবং ১৫ লাখ বেশি হলে ১০ শতাংশ হারে। করদাতার মোট পরিসম্পদ যদি তিন কোটির বেশি বা একের অধিক মোটরগাড়ি বা ৮ হাজার বর্গফুটের অধিক আয়তনের গৃহসম্পত্তি থাকে, তাঁকে ১০ শতাংশ থেকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত সারচার্জ প্রদান করতে হবে।

আয়করের হার প্রথম তিন লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর শূন্য, পরবর্তী এক লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ৫ শতাংশ, পরবর্তী তিন লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ১০ শতাংশ, পরবর্তী চার লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ, পরবর্তী পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ২০ শতাংশ, অবশিষ্ট মোট আয়ের ওপর ২৫ শতাংশ। যদি কোনো কারণে আপনার আয়কর ফাইলে পূর্বে নগদ অর্থ, এফডিআর, সঞ্চয়পত্র, জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট ইত্যাদি দেখানো না থাকে, নির্দিষ্ট কর দিয়ে যেমন নগদ টাকার ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ হারে কর এবং পরিশোধযোগ্য করের ওপর ৫ শতাংশ হারে অর্থাৎ মোট ২৬.২৫ শতাংশ হবে এবং জমি, ফ্ল্যাট বা বিল্ডিং হলে পরিমাপের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট হারে ট্যাক্স দিলে আপনাকে কোনো প্রশ্ন করা হবে না।

 

আয়কর বিষয়ে কয়েকটি টিপস

১. গত বছরের রিটার্নের ফটোকপি সঙ্গে রাখুন।

২. প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের একটি তালিকা তৈরি করুন।

৩. কাগজগুলো ভালোভাবে পরীক্ষা করুন নির্দিষ্ট সময়ের কি না। যেমন ২০২১-২২ করবছরের জন্য জুলাই ২০২০ থেকে জুন ২০২১ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে হতে হবে।

৪. রিটার্নের একটি ফটোকপি করুন এবং গত বছরের রিটার্ন দিয়ে খসড়া রিটার্ন তৈরি করুন।

৫. প্রতিটি কাগজের দুটি করে কপি করুন।

৬. স্বাক্ষর করার আগে কমপক্ষে দুবার চেক করুন।

৭. যাঁরা নিজে রিটার্ন পূরণ না করে অন্যদের ওপর নির্ভরশীল, তাঁরা সুপ্রশিক্ষিত এবং দায়িত্বশীল ব্যক্তি ছাড়া কোনোমতেই খালি বা সাদা রিটার্নে স্বাক্ষর করবেন না।

৮. স্বাক্ষর করার আগে গত বছরের সম্পদগুলো যথাযথ পরীক্ষা করুন এবং এই বছরের নতুন কোনো সম্পদ থাকলে তা ভালোভাবে পরীক্ষা করুন।

৯. মনে রাখবেন, আয়নার সামনে দাঁড়ালে আপনার চেহারা যেমন দেখা যাবে, রিটার্নে আপনার সম্পদের আয় এবং ব্যয়ের সম্পূর্ণ চিত্র ফুটে উঠবে।

১০. স্বাক্ষর করার পর একটি সেট আপনার ট্যাক্স ফাইলে সংরক্ষণ করুন।

১১. রিটার্ন জমা হওয়ার পর রিটার্ন জমা দেওয়ার স্লিপ সংগ্রহ করুন।

লেখক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, আয়কর আইনজীবী, নির্বাহী পরিচালক, গোল্ডেন বাংলাদেশ

 

Source: https://www.prothomalo.com/business/personal-finance/%E0%A6%86%E0%A7%9F%E0%A6%95%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A7%A7%E0%A7%A7-%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%B8

২০২১—২০২২ কর বছরের জন্য প্রযোজ্য আয়কর হার

২০২১—২০২২ কর বছরের জন্য প্রযোজ্য আয়কর হার

(ক) ব্যক্তি শ্রেণির কর হার ঃ
(১) অর্থ আইন, ২০২১ এর মাধ্যমে ব্যক্তি করদাতা, হিন্দু অবিভক্ত পরিবার, অংশিদারী ফার্ম, ব্যক্তি সংঘ এবং আইনের দ্বারা সৃষ্ট কৃত্রিম ব্যক্তির। ২০২১—২০২২ কর বছরের জন্য এরূপ করদাতাদের আয়ের উপর প্রযোজ্য কর হার নিম্নরূপঃ

প্রথম ৩,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর  শূন্য
পরবতীর্ ১,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর  ৫%
পরবতীর্ ৩,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর  ১০%
পরবতীর্ ৪,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর  ১৫%
পরবতীর্ ৫,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর  ২০%
অবশিষ্ট মোট আয়ের উপর......... ২৫% 

(ক) তৃতীয় লিঙ্গের করদাতা মহিলা এবং ৬৫ বৎসর বা তদূর্ধŸ বয়সের পুরুষ করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা আয়ের সীমা হইবে ৩,৫০,০০০ টাকা।

(খ) প্রতিবন্ধী করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা ৪,৫০,০০০ টাকা।
(গ) গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার আয়ের সীমা ৪,৭৫,০০০ টাকা।

(ঘ) কোন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতামাতা বা আইনানুগ অভিভাবকের জন্য করমুক্ত সীমা ৫০,০০০ টাকা বেশী হবে; প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতা ও মাতা উভয়েই করদাতা হলে যে কোন একজন এই সুবিধা ভোগ করবেন; এবং

(ঙ) করমুক্ত সীমার ঊর্ধ্বের আয়ের ক্ষেত্রে প্রদেয় ন্যূনতম আয়করের পরিমাণ এলাকাভেদে নিম্নরূপভাবে বিন্যস্ত করা হয়েছে ঃ

এলাকার বিবরণ  ন্যূনতম করেরহার
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং চট্টগ্রাম সিটি 
কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত করদাতা 
৫,০০০ টাকা
অন্যান্য সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত করদাত ৪,০০০ টাকা
সিটি কর্পোরেশন ব্যতীত অন্যান্য এলাকায় অবস্থিত করদাতা ৩,০০০ টাকা  

*একজন চাকুরীজীবি করদাতা আয় বছরে একাধিক স্থানে কর্মরত থাকলে যে স্থানে তিনি অধিক কাল কর্মরত ছিলেন ন্যূনতম করের জন্য সে স্থানই তাঁর অবস্থান স্থল বলে বিবেচিত  হবে।
* করদাতা অনিবাসী হলে বাংলাদেশে তিনি যে ঠিকানা ব্যবহার করেন সে ঠিকানাই তাঁর 
 অবস্থানস্থল হিসেবে বিবেচিত হবে।
* করমুক্তসীমার ঊর্ধ্বে আয় আছে এমন করদাতার প্রদেয় আয়করের পরিমাণ হিসাব অনুযায়ী তাঁর জন্য প্রযোজ্য ন্যূনতম আয়করের পরিমাণ অপেক্ষা কম হলে বা বিনিয়োগজনিত কর রেয়াত বিবেচনার পর প্রদেয় আয়করের পরিমাণ প্রযোজ্য ন্যূনতম আয়করের কম বা ঋণাত্মক হলেও তাঁকে তাঁর জন্য প্রযোজ্য ন্যূনতম আয়কর পরিশোধ করতে হবে। অর্থাৎ  কর সীমা ৩,০০,০০০ টাকা এবং অন্য ক্ষেত্রে কর সীমা অতিক্রম করলেই নূন্যতম  আয়কর প্রদান করতে হবে।

 

(খ) ক্ষেত্রবিশেষে ব্যক্তি করদাতাদের উপর সারচার্জ আরোপ ঃ

অর্থ আইন, ২০২১ এর মাধ্যমে ব্যক্তি করদাতাদের প্রদেয় আয়করের উপর প্রযোজ্যসারচার্জ । আয়কর রিটার্নের সাথে দাখিলকৃত সম্পদ ও দায় বিবরণীতে প্রদর্শিত নীট সম্পদের পরিমাণ তিন কোটি টাকার ঊর্ধ্বে হলে নীট সম্পদের উপর ভিত্তি করে নিম্নলিখিত হারে প্রদেয় আয়করের উপর সারচার্জ আরোপিত হবেঃ

 নীট পরিসম্পদের মূল্যমান 

সারচার্জের হার

(ক) নীট পরিসম্পদের মূল্যবান তিন কোটি টাকা পর্যন্ত — শূন্য
(খ) নীট পরিসম্পদের মূল্যবান তিন কোটি টাকার অধিক কিন্তু দশ কোটি টাকার অধিক নহে;
 বা, নিজ নামে একের অধিক মোটর গাড়ি; 
 বা, কোন সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মোট ৮,০০০ বর্গফুটের অধিক আয়তনের গৃহ সম্পত্তি
 ১০% 
(গ) নীট পরিসম্পদের মূল্যবান দশ কোটি টাকার অধিক কিন্তু বিশ কোটি টাকার অধিক নহে—  ২০%
(ঘ) নীট পরিসম্পদের মূল্যবান বিশ কোটি টাকার অধিক কিন্তু পঞ্চাশ কোটি টাকার অধিক নহে—  ৩০%
(ঙ) নীট পরিসম্পদের মূল্যবান পঞ্চাশ কোটি টাকার অধিক হলে—  ৩৫%

এখানে 
 (১) “নীট পরিসম্পদের মূল্যবান” বলিতে Income tax ordinance, 1984 (Ordinance No. XXXVI of 1984)  এর section 80 অনুযায়ী পরিসম্পদ, দায় ও খরচের বিবরণী (statement of assets, liabilities and expenses) তে প্রদর্শনযোগ্য নীট পরিসম্পদের মূল্যমানকে (total net warth) বুঝাইবে; এবং

(২) “মোটরগাড়ি” বলিতে প্রাইভেট কার, জীপ বা মাইক্রোবাসকে বুঝাইবে।

সিগারেট, বিড়ি, জর্দা, গুলসহ যে কোন তামাকজাত পণ্য প্রস্তুতকারক করদাতার উক্ত ব্যবসায় হতে অর্জিত আয়ের উপর ২.৫% হারে সারচার্জ প্রদেয় হবে সিগারেট, বিড়ি, জর্দা, গুলসহ যে কোন তামাকজাত পণ্য প্রস্তুতকারক কোন ব্যক্তি—করদাতার নীট পরিসম্পদের মূল্যমান তিন কোটি পঁচিশ লক্ষ টাকা অতিক্রম করলে তাকে নীট সম্পদের ভিত্তিতে প্রদেয় সারচার্জ এবং তার উক্ত ব্যবসায় হতে অর্জিত আয়ের 
উপর ২.৫% হারে সারচার্জ— উভয়টি পরিশোধ করতে হবে।

একজন পুরুষ করদাতার (৬৫ বছরের নিচে) সারচার্জ কিভাবে পরিগণনা করতে হবে তা নিচের উদাহরণগুলোর মাধ্যমে দেখানো হল:

(১) একজন করদাতার নীট সম্পদ                                     ২,৯৫,০০,০০০
 মোট আয়—                                                                       ১০,০০,০০০
 আয়ের উপর আরোপযোগ্য আয়করের পরিমাণ                        ৮০,০০০
 প্রদেয় সারচার্জের পরিমাণ                                                           শূন্য।
(২) একজন করদাতার নীট সম্পদ                                   ৩,৩৫,০০,০০০
 মোট আয়                                                                          ১০,০০,০০০
 আয়ের উপর প্রদেয় আয়করের পরিমাণ                                   ৮০,০০০
 প্রদেয় সারচার্জের পরিমাণ (১০%)                                              ৮,০০০
(৩) একজন করদাতার নীট সম্পদ                                 ১৯,০০,০০,০০০

মোট আয়                                                                          ১০,০০,০০০
 আয়ের উপর আরোপযোগ্য আয়করের পরিমাণ                       ৮০,০০০ 
 প্রদেয় সারচার্জের পরিমাণ (২০%)                                           ১৬,০০০
(৪) একজন করদাতার নীট সম্পদ                                 ২৪,৫০,০০,০০০
 মোট আয়                                                                         ১০,০০,০০০
 আয়ের উপর আরোপযোগ্য আয়করের পরিমাণ                       ৮০,০০০ 
 প্রদেয় সারচার্জের পরিমাণ (৩০%)                                           ২৪,০০০
(৫) একজন করদাতার নীট সম্পদ                                ৫২,০০,০০,০০০
 মোট আয়                                                                         ১০,০০,০০০
 আয়ের উপর আরোপযোগ্য আয়করের পরিমাণ                       ৮০,০০০ 
 
 বিনিয়োগজনিত আয়কর রেয়াত                                               ১০,০০০
 বিনেয়োগজনিত আয়কর রেয়াত বাদে প্রদেয় আয়কর               ৭০,০০০ 
 অগ্রিম আয়কর পরিশোধ                                                         ৭০,০০০
 অবশিষ্ট প্রদেয় আয়কর                                                               শূন্য
 প্রদেয় সারচার্জের পরিমাণ ৭০,০০০ টাকার (৩৫%)                   ২৪,৫০০

*ব্যক্তি (রহফরারফঁধষ) শ্রেণীর করদাতা ভিন্ন অন্য কারো উপর এ সারচার্জ আরোপিত হবে না
(গ) অনিবাসী ব্যক্তির করহারঃ 
বাংলাদেশী নয় এমন অনিবাসী ব্যক্তিদের কর হার ৩০% করা হয়েছে। তবে অনিবাসী ব্যক্তি করদাতা বাংলাদেশী নাগরিক হলে তাদের আয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশী নিবাসীদের জন্য প্রযোজ্য হারে (০%, ৫%, ১০%, ১৫%, ২০% ও ২৫%) কর প্রদেয় হবে।

 

ডিজিটাল TIN প্রাপ্তির নিয়ম

ডিজিটাল TIN প্রাপ্তির নিয়ম

করদাতা হিসেবে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া দ্রুত ও সহজতর করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ই—টিআইএন (e—TIN) রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি প্রবর্তন করছে। এ পদ্ধতিতে কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে আপনি পেতে পারেন একটি নতুন টিআইএন। 

টিআইএন সনদের পাশাপাশি আয়কর রিটার্নে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র ও Computer Generated সার্টিফিকেট বিবেচনার বিধান [Section 184A]

টিআইএন সনদের পাশাপাশি আয়কর রিটার্নে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র ও  Computer Generated সার্টিফিকেট বিবেচনার বিধান [Section 184A]

আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ অনুযায়ী কতিপয় ক্ষেত্রে করদাতা সনাক্তকরণ নম্বর (ই—টিআইএন) সনদ দাখিলের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। উপ কর কমিশনার কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যায়নপত্র এবং সর্বশেষ কর বর্ষের আয়কর রিটার্নের প্রাপ্তি স্বীকার পত্রের পাশাপাশি Computer System এর মাধ্যমে প্রদত্ত Computer Generated সাটিফিকেটও নির্ধারিত এ সকল ক্ষেত্রে দাখিল করা যাবে। তবে একজন পুরাতন করদাতাকে এ ক্ষেত্রে টিআইএন এবং কর নির্ধারণ সম্পন্নের তথ্য সম্বলিত উপ কর কমিশনারের প্রত্যায়নপত্র দাখিল করতে হবে।

জাল টিআইএন ব্যবহারের জন্য জরিমানা/শাস্তির বিধান

জাল টিআইএন ব্যবহারের জন্য জরিমানা/শাস্তির বিধান

জাল করদাতা সনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ব্যবহারের জন্য ব্যবহারকারীর উপর আর্থিক জরিমানা আরোপসহ কারাদন্ডের বিধান রয়েছে। এলক্ষ্যে অধ্যাদেশে তিনটি ধারা রয়েছে, যা নিম্নরূপঃ

(ক) আয়কর অধ্যাদেশের Section 124A অনুযায়ী যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া যদি কোন ব্যক্তি অন্যের টিআইএন ব্যবহার করেন অথবা জাল টিআইএন ব্যবহার করেন বা আয়কর আইন অনুযায়ী যে সব ক্ষেত্রে টিআইএন ব্যবহার বাধ্যতামূলক, সেসব ক্ষেত্রে জাল প্রমাণ পত্র ব্যবহার করলে, জাল টিআইএন ব্যবহারকারীর উপর সংশ্লিষ্ট উপ কর কমিশনার কর্তৃক সবোর্চ্চ ২০,০০০ টাকা জরিমানা আরোপের বিধান প্রবর্তন করা হয়েছে। তবে জরিমানা আরোপের পূর্বে Section 130 এর বিধান পরিপালন করতে হবে।

(খ) আয়কর অধ্যাদেশের Section 124AA অনুযায়ী ১৮৪অ ধারায় উল্লিখিত কর্তৃপক্ষ করদাতাকে সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদানকালে টিআইএন সনদ যাচাই না করলে সর্বোচ্চ ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করতে পারবে। 
(গ) আয়কর অধ্যাদেশের Section 165A অনুযায়ী ইচ্ছাকৃতভাবে (Deliberately) যদি কোন ব্যক্তি জাল টিআইএন ব্যবহার করেন বা অন্যের টিআইএন ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রে ব্যবহারকারীকে সবোর্চ্চ ৩ বছরের কারাদন্ড বা ৫০,০০০ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত করার বিধান প্রবর্তন করা হয়েছে।

রিটার্ন দাখিলের পদ্ধতি

রিটার্ন দাখিলের পদ্ধতি

বর্তমানে রিটার্ন দাখিলের জন্য দু’টি পদ্ধতি প্রচলিত আছে। যথাঃ সাধারণ পদ্ধতি ও সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতি। নিম্নে পদ্ধতি দু’টি স¤পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ

সাধারণ পদ্ধতিঃ সাধারণ পদ্ধতির আওতায় দাখিলকৃত রিটার্নের ক্ষেত্রে প্রাপ্তি স্বীকারপত্রটি কর নিধার্রণী আদেশ (assessment order) বলে গণ্য হয় না। রিটার্ন দাখিলের পর উপ কর কমিশনার কর নিধার্রণ করেন। করদাতা কতৃর্ক রিটার্নে প্রদর্শিত তথ্য উপ কর কমিশনারের নিকট সঠিক মনে হলে তিনি করদাতাকে শুনানীতে না ডেকেই কর নিধার্রণ করতে পারেন। আবার প্রদর্শিত আয়ের সমর্থনে যথোপযুক্ত তথ্য ও প্রমাণাদি না থাকলে বা উপ কর কমিশনার প্রয়োজন মনে করলে করদাতাকে শুনানীতে উপস্থিত হতে অনুরোধ করে করদাতার বক্তব্য, তথ্য, প্রমাণাদি বিবেচনায় নিয়ে কর নিধার্রণ করতে পারেন।

সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিঃ সার্বজনীন স্বনিধার্রনী পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে করদাতা তার নিজের আয় নিজে নিরূপণ করে প্রযোজ্য আয়কর পরিশোধ করেন। ২০২১—২০২২ কর বছরে কোন ১২—ডিজিট টিআইএনধারী ব্যক্তি—করদাতা রিটার্নে প্রদর্শিত মোট আয়ের উপর প্রযোজ্য সমুদয় আয়কর ও সারচার্জ পরিশোধপূর্বক ৩০ নভেম্বর ২০২১ তারিখের মধ্যে বা উপ কর কমিশনার কতৃর্ক মঞ্জুরিকৃত বর্ধিত সময়ের মধ্যে সার্বজনীন স্বনিধার্রনী পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিল করতে পারেন। করদাতার ১২—ডিজিট টিআইএন না থাকলে করদাতা সার্বজনীন স্বনিধার্রনী পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন না । তাছাড়া , মোট আয়ের প্রযোজ্য সমুদয় আয়কর ও সারচার্জ পরিশোধ করা না হলে অথবা ৩০ নভেম্বর ২০২১ তারিখের মধ্যে বা উপ কর কমিশনার কতৃর্ক মঞ্জুরিকৃত বর্ধিত সময়ের মধ্যে দাখিলকৃত না হলে করদাতার রিটার্ন সার্বজনীন স্বনিধার্রনী পদ্ধতির আওতায় পড়বে না। বর্ণিত সকল শর্ত পূরণ করে সার্বজনীন স্বনিধার্রনী পদ্ধতির আওতায় রিটার্ন দাখিল করা হলে আয়কর বিভাগ থেকে করদাতাকে যে প্রাপ্তিস্বীকারপত্র প্রদান করা হয় তা—ই কর নিধার্রণী আদেশ(Assesment order) বলে গণ্য হয়।

কোন করদাতার জন্য পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণী দাখিল বাধ্যতামূলক?

কোন করদাতার জন্য পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণী দাখিল বাধ্যতামূলক?

১। যদি কোন বাংলাদেশি ব্যক্তি—করদাতা নিম্নোক্ত শর্তসমূহ পূরণ করেন তাহলে আয় বছরের শেষ তারিখে তার নিজের, ংঢ়ড়ঁংব এর (ংঢ়ড়ঁংব করদাতা না হয়ে থাকলে) এবং নির্ভরশীল সন্তানদের সকল প্রকার সম্পদ ও দায়ের বিবরণী ঐ ব্যক্তিরআয়কর রিটার্নের সাথে দাখিল করতে হবে। শর্তসমূহ হলো—
(ক) আয় বছরের শেষ তারিখে মোট পরিসম্পদ (মৎড়ংং বিধষঃয) এর পরিমাণ ৪০ লক্ষ টাকার অধিক হলে; অথবা
(খ) আয় বছরের শেষে তারিখে মোটর গাড়ি (জীপ বা মাইক্রোবাসসহ) এর মালিকানা থাকলে; অথবা
(গ) আয় বছরে কোন সিটি কর্পোরেশন এলাকায় কোন গৃহ—সম্পত্তি বা অ্যাপার্টমেন্টের মালিক হলে অথবা গৃহ—সম্পত্তি বা এ্যাপার্টমেন্টে বিনিয়োগ করলে।
২। তবে বর্ণিত শর্তসমূহ পূরণ না করা সত্বেও কোন ব্যক্তিকরদাতা চাইলে স্ব—প্রণোদিতভাবে (Voluntarily) পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণী দাখিল করতে পারবেন।
৩। অনিবাসী বাংলাদেশি এবং বাংলাদেশি নয় এমন ব্যক্তি শ্রেণীর করদাতারা কেবলমাত্র বাংলাদেশে অবস্থিত সম্পদ ও দায়ের বিবরণী দাখিল করবেন।
৪। ব্যক্তিশেণীর করদাতারা বাংলাদেশে দুই ভাবে নিবাসী হতে পারেন, যেমন—
 (ক) তিনি যদি বাংলাদেশে কোনোবছরে ১৮২ দিন বা ততোধিক দিন অবস্থান করেন; অথবা
 (খ) তিনি যদি বাংলাদেশে কোনোবছরে ৯০ দিন বা ততোধিক দিন এবং ঐ বছরের পূর্ববতীর্ ৪ বছরে মোট ৩৬৫ দিন অবস্থান করেন। এর ব্যতিক্রম হলে, ব্যক্তিশেণির করদাতারা অনিবাসী হিসেবে বিবেচিত হবেন।
৫। কোন আয়বছরে কোন ব্যক্তি করদাতার ৪ লক্ষ টাকার অধিক আয় থাকলে তাকে আবশ্যিকভাবে জীবন যাপনের ব্যয়ের বিবরণী দাখিল করতে হবে। 
৬। কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার ডিরেক্টদেরকে আয় নির্বিশেষে আবশ্যিকভাবে জীবন যাপনের ব্যয়ের বিবরণী দাখিল করতে হবে। 
৭।উপরোক্ত শর্তসমূহ পূরণ না করার কারণে পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণী দাখিল করেননি এমন যেকোন ব্যক্তিকে উপ কর কমিশনার ধারা ৮০ এর উপধারা (৭) অনুযায়ী নোটিশ প্রেরণ করে পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণী দাখিল করার জন্য বলতে পারবেন।