New Rules-2016

Displaying 61-70 of 121 results.

৫৯। মূসক কর্মকর্তার আদেশ বা সিদ্ধান্ত সংশোধনে বোর্ডের ক্ষমতা।-

৫৯। মূসক কর্মকর্তার আদেশ বা সিদ্ধান্ত সংশোধনে বোর্ডের ক্ষমতা।-(১) বোর্ড স্বতপ্রণোদিত হইয়া কোনো মূসক কর্মকর্তার যেকোনো সিদ্ধান্ত বা আদেশ উক্ত সিদ্ধান্ত বা আদেশ প্রদানের ২ (দুই) বৎসরের মধ্যে পুনর্বিবেচনা বা সংশোধন করিতে পারিবে।

 (২) উপ-বিধি (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বোর্ড মূসক কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত বা আদেশের নথি তলব করিবেন এবং পর্যালোচনান্তে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত প্রদান করিবে।

 (৩) উপ-বিধি (২) এর সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো ব্যক্তি বা করদাতা ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা তাহার করদায়িতা বৃদ্ধি পাইলে বা হ্রাসকারী সমন্বয় বা ফেরতযোগ্য অর্থের পরিমাণ হ্রাস পাইলে তাহাকে ব্যক্তিগত শুনানির যুক্তিসঙ্গত সুযোগ প্রদান না করিয়া সিদ্ধান্ত প্রদান করা যাইবে না।

 (৪) এই বিধির অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, আপিলাত ট্রাইব্যুনাল বা সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রীট (Writ) বা আপিলাধীন কোনো বিষয়ে বোর্ড কোনো সংশোধনী আনিতে পারিবে না।

৬০। মূসক কর্ম কর্তার প্রবেশ ও তল্লাশির ক্ষমতা।-

৬০। মূসক কর্ম কর্তার প্রবেশ ও তল্লাশির ক্ষমতা।- [(১) ধারা ৭৮ এ বর্ণিত মূসক কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে সহকারী কমিশনার বা মহাপরিচালকের নি¤েœ নহেন এমন কোনো কর্মকর্তা অনুরোধক্রমে কমিশনার বা মহাপরিচালক ফরম “মূসক-১২.১”এ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে উক্ত ধারায় বর্ণিত স্থান, অঙ্গন, ঘরবাড়ি, যানবাহন, ইত্যাদিতে প্রবেশ বা তল্লাশির ক্ষমতা অর্পণ করিতে পারিবেন।]

 (২) উপ-বিধি (১) এর অধীন ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরম “মূসক-১২.২” এ সংশ্লিষ্ট স্থানের স্বত্বাধিকারী বা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা তত্ত্বাবধানকারী ব্যক্তিকে একটি নোটিশ প্রদান করিবেন।

 (৩) তল্লাশিকালে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে কোনো দলিলপত্র বা পণ্য বা বস্তু জব্দ করার প্রয়োজন হইলে বিধি ৬১ এ বর্ণিত পদ্ধতিতে উক্ত কর্মকর্তা তাহাজব্দ করিবেন।


মূসক এরআরও নং-2-মূসক, তারিখ: ০১-০৬/২০১

৬২। জব্দকৃত রেকর্ড ও দলিলপত্র ফেরত প্রদান।-

১ [৬২। জব্দকৃত রেকর্ড ও দলিলপত্র ফেরত প্রদান।- (১) আইনের ধারা ৯১ এর উপ-ধারা (৩) এর উদ্দেশ্যে পূরণকল্পে, বিধি ৬১ অধীন যে উদ্দেশ্যে রেকর্ড ও দলিলাদি জব্দ করা হইয়াছিল উহা নি¤œবর্ণিত শর্তপূরণ সাপেক্ষে বিষয়টি নিষ্পত্তির ৭ (সাত) কার্যদিবসের মধ্যে নিবন্ধিত ব্যক্তির বরাবর ফেরত প্রদান করিতে হইবে, যথা।-

(ক) চালানপত্রের মূলকপি ব্যতীত জব্দকৃত রেকর্ড ও দলিলাদির প্রতিলিপির প্রতিটি পৃষ্ঠায় নিবন্ধিত ব্যক্তি বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধির লমোহরকৃত স্বাক্ষর গ্রহণ করিতে ইহবে।

 (খ) প্রয়োজনে, নিবন্ধিত ব্যক্তি কর চালানপত্রের প্রতিলিপিতে মূসক কর্মকর্তার স্বাক্ষর গ্রহণ করিতে পারিবেন।

 (২) উপ-বিধি (১) এ উল্লিখিত জব্দকৃত রেকর্ড ও দলিলাদির প্রতিলিপি এতদ্সংক্রান্ত মামলার বৈধ দলিল হিসাবে গণ্য হইবে।


এসআরও নং-১৭১- আইন/২০১৯/২- মূসক, তারিখ : ৩/০৬/২০১৯

৬৩। জব্দকৃত পণ্য ও পণ্যবাহী যান ছাড় প্রদান।-

৬৩। জব্দকৃত পণ্য ও পণ্যবাহী যান ছাড় প্রদান।-(১) জব্দকৃত কোনো পণ্য বা পণ্য বোঝাই কোনো যানবাহন যে উদ্দেশ্যে জব্দ করা হইয়াছে তাহার চূড়ান্তনি®পত্তি না হওয়া সত্ত্বেও আটককারী কর্মকর্তা বা তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কোনো কর্মকর্তা কমিশনারের অনুমোদন সাপেক্ষে এই বিধির পরবর্তী বিধানসমূহ অনুসরণপূর্বক অন্তর্বর্তী কালীন ছাড় প্রদান করিতে পারিবেন।

 (২) পণ্য বা পণ্য বোঝাই যানবাহন উপ-বিধি (১) অনুযায়ী ছাড় প্রদান করিবার উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিকট নিমবর্ণিত বিষয়সমূহ বিশ্বাসযোগ্যহইতে হইবে,

যথা:-

(ক) পণ্য বা পণ্য বোঝাই যানবাহনের মালিক বা চালক ইতঃপূর্বে অনুরূপ পণ্য পরিবহনে অংশ গ্রহণ করেন নাই; এবং

(খ) পণ্য বা পণ্য বোঝাই যানবাহন ছাড় প্রদান করার ফলে উক্ত পণ্য ও যানবাহন সংক্রান্ত বিচারাধীন মামলা নিস্পত্তি ক্ষেত্রে ন্যায়বিচারের স্বার্থ

 ক্ষুণœ অথবা আলামত বিনষ্ট হইবে না।

 (৩) উপ-বিধি (১) অনুযায়ী পণ্য বা পণ্য বোঝাই যানবাহন ছাড় প্রদানের ক্ষেত্রে নি¤œরূপ পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে; যথা:-

(ক) পণ্য বা পণ্য বোঝাই যানবাহনের প্রকৃত মালিককে উক্ত যানবাহনের মালিকানা স¤পর্কিত সকল প্রকার প্রমাণাদিসহ ফরম “মূসক-১২.৭”এ উক্ত

 যানবাহন ছাড় প্রদানের আবেদনপত্র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিকট দাখিল করিতে হইবে;

(খ) পণ্য বা পণ্য বোঝাই যানবাহনের প্রকৃত মালিককে সংশ্লিষ্টকর্মকর্তার নিকট ফরম “মূসক-১২.৮”এ মুচলেকা প্রদান করিতে হইবে; এবং

(গ) দফা (খ) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, মৌসুমী ইট ভাটার কোনো পণ্য বা পণ্যবাহী যান আটক করা হইলে, বকেয়া আদায় বা বকেয়া

 করের সমপরিমাণ অর্থের ব্যাংক গ্যারান্টি রাখিয়া উহা অন্তর্বর্তী ছাড় প্রদান করিতে হইবে।

 (৪) পণ্য বা পণ্য বোঝাই যানবাহন স¤পর্কে কোনো আদালতে কোনো মামলা বিচারাধীন থাকিলে, সংশ্লিষ্ট আদালতের পূর্বানুমতি সাপেক্ষে, উক্ত যানবাহন ছাড় প্রদান করা যাইবে।

৬৪। ব্যাংক হিসাব অপরিচালনযোগ্য (freeze) করিবার ক্ষমতা ও পদ্ধতি।-

৬৪। ব্যাংক হিসাব অপরিচালনযোগ্য (freeze) করিবার ক্ষমতা ও পদ্ধতি।-(১) সহকারী কমিশনার পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এমন কোনো কর্মকর্তা কমিশনারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং বিধি ৬৮ এর অধীন পদায়নকৃত বকেয়া আদায় কর্মকর্তা (Debt Recovery Officer-DRO) নিম্নেবর্ণিত ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব অপরিচালনযোগ্য (freeze) করিতে পারিবেন, যথা:-

(ক) ধারা ২ এর দফা (৭৪) এ সংজ্ঞায়িত কোনো ব্যক্তি;

(খ) নিবন্ধিত বা নিবন্ধনযোগ্য কোনো ব্যক্তি;

(গ) তালিকাভুক্ত বা তালিকাভুক্তিযোগ্য কোনো ব্যক্তি; এবং

(ঘ) সহযোগী কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

 (২) কমিশনার বা উপ-বিধি (১) এর অধীন কমিশনার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নিকট ব্যাংক হিসাব অপরিচালনযোগ্য (freeze)করিবার লক্ষ্যে ফরম “মূসক-১২.৯”এ একটি পরোয়ানা জারি করিবেন।

 (৩) সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ উপ-বিধি (২) এর অধীন জারীকৃত পরোয়ানা প্রাপ্ত হইয়া তাৎক্ষণিকভাবে ব্যাংক হিসাব অপরিচালনযোগ্য (freeze) করিবেন এবং ফরম মূসক-১২.১০”এ একটি প্রতিপালন প্রতিবেদন পরবর্তী দুই কার্যদিবসের মধ্যে পরোয়ানা জারিকারী কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করিবেন।

 (৪) যে কারণে ব্যাংক হিসাব অপরিচালনযোগ্য (freeze) করা হইয়াছে তাহা নিষ্পত্তি হইলে উহা নিষ্পত্তির ৩ (তিন) কার্যদিবসের মধ্যে পরোয়ানা জারিকারী কর্মকর্তা ফরম “মূসক-১২.১১”এ ব্যাংক হিসাব পরিচালনযোগ্য করিবার একটি সনদ জারি করিবেন যাহার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ব্যাংক হিসাব পরিচালনযোগ্য করিবেন।

 (৫) ধারা ১১৫ এর অধীন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক ব্যাংক হিসাব অপরিচালনযোগ্য (freeze)  করিবার ক্ষেত্রে ফৌজদারী কার্যবিধিতে বিধৃত পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে।


 

৬৫। জরিমানা আরোপের পদ্ধতি।-

 ৬৫। জরিমানা আরোপের পদ্ধতি।-1[(১) ধারা ৮৫ এর উপ—ধারা (১) এর সারণির ক্রমিক নং (ছ), (জ), (ঝ) ও (ড) এ বর্ণিত ব্যর্থতা বা অনিয়ম বা কর ফাকির ক্ষেত্রে বিধি ৬১ এর উপ—বিধি (৬) এ উল্লিখিত ফরম মূসক—১২.৬ এ প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর উক্ত ক্ষেত্র সহ অন্যান্য সকল কর ফাকির ক্ষেত্রে ধারা ৭৩ এ উল্লিখিত কর নির্ধারন কার্যক্রম সম্পন্ন করিয়া জরিমানা আরোপের লক্ষ্যে ধারা ৮৬ এর উপ—ধারা (১) এর (খ) এ বর্ণিত আর্থিক ক্ষমতা অনুযায়ী ন্যায় নির্ণয়কারী কর্মকর্তা ফরম মূসক—১২.১২ এ কারণ দর্শানো নোটিশ জারি করিবেন।

2[(২) ধারা ৮৫ এর উপ—ধারা (১) এ বর্ণিত কর ফাকি সংক্রান্ত ব্যর্থতা বা অনিয়ম ব্যতীত অন্য যে কোনো ধরণের ব্যর্থতা বা অনিয়মের জন্য—
(ক) যদি কোনো কর ফাকি হইয়া থাকে তাহা হইলে ধারা ৮৬ এর উপ—ধারা (১) এর দফা (খ) এ বর্ণিত আর্থিক ক্ষমতা অনুযায়ী ন্যায়—নির্ণয়নকারী কর্মকর্তা ধার ৭৩ এ উল্লিখিত কর নির্ধারন কার্যক্রম সম্পন্নকরণ করিয়া কারণ দর্শানো নোপিশ জারি করিবেন এবং সেই ক্ষেত্রে ফাকি প্রদত্ত করের সমপরিমাণ জরিমানা আরোপিত হইবে
(খ) যদি কোনো কর ফাকি প্রদত্ত না হইয়া থাকে তাহা হইলে সহকারী কমিশনার পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এইরূপ কোনো মূসক কর্মকর্তা কারণ দর্শানো নোটিশ জারি করিবেন এবং সেই ক্ষেত্রে অন্যূন ১০ (দশ) হাজার এবং অনুর্ধ্ব ১ (এক) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপিত হইবে] 
(৩) উপ—বিধি (২) এ বর্ণিত কারণ দর্শানো নোটিশে, অন্যান্য তথ্যের সহিতনিম্নবর্ণিত তথ্যাদি সন্নিবেশিত থাকিবে, যথা:—
(ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম, ঠিকানা ও ব্যবসায় সনাক্তকরণ সংখ্যা(যদি থাকে); 
(খ) 3[ব্যর্থতা বা অনিয়ম বা কর ফাকির] ধরন ও বিবরণ; 
(গ) 4[ব্যর্থতা বা অনিয়ম বা কর ফাকির] কারণে লংঘিত ধারা বা বিধি বা তদধীনে প্রণীত বিধান; 
(ঘ) শাস্তির ধারা বা বিধি; 
(ঙ) ফাঁকি প্রদত্ত বা পরিহারকৃত করের পরিমাণ (যদি থাকে); 
(চ) কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব প্রদানের শেষ তারিখ; 
(ছ) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ব্যক্তিগত শুনানি দিতে আগ্রহী কিনা; 
(জ) নির্ধারিত সময়ে জবাব পাওয়া না গেলে প্রাথমিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ন্যায়—নির্ণয়ন আদেশ প্রদান করা হইবে মর্মে অবহিতকরণ; এবং 
(ঝ) ন্যায়—নির্ণয়নকারী কর্মকর্তার নাম, পদবি, ফোন, ই—মেইল ও জবাব প্রেরণের ঠিকানা। 
(৪) কারণ দর্শানো নোটিশ জারির তারিখ ও জবাব প্রদানের শেষ তারিখের মধ্যে অন্যূন ২ (দুই) সপ্তাহ ও অনূর্ধ্ব ৪ (চার) সপ্তাহ ব্যবধান থাকিতে হইবে।
(৫) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব প্রদানের জন্য নির্ধারিত সময়ে সময় বৃদ্ধির আবেদন করিলে ন্যায়—নির্ণয়নকারী কর্মকর্তা তাহার বিবেচনায় উপযুক্ত সময় মঞ্জুর করিতে পারিবেন। 
(৬) কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব প্রাপ্তির পর 5[ব্যর্থতা বা অনিয়ম বা কর ফাকির] জন্য দায়ী ব্যক্তি শুনানি প্রদানে আগ্রহী হইলে তাহাকে শুনানি প্রদান করিয়া ন্যায়—নির্ণয়নকারী কর্মকর্তা ফরম “মূসক—১২.১৩”এ ন্যায়—নির্ণয়ন আদেশ জারি করিবেন, যাহাতে অন্যান্য তথ্যের সহিত, নিম্নবর্ণিত তথ্যাদি সন্নিবেশিত থাকিবে, যথা:—
(ক) 6[ব্যর্থতা বা অনিয়ম বা কর ফাকির] জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম, ঠিকানা ও ব্যবসায় সনাক্তকরণ সংখ্যা (যদি থাকে); 
(খ) আনীত অভিযোগের ধরন ও বিবরণ; 
(গ) আনীত অভিযোগের কারণে লংঘিত ধারা বা বিধি বা তদাধীনে প্রণীত কোনো বিধান;
(ঘ) শাস্তির ধারা বা বিধি; 
(ঙ) ফাঁকি প্রদত্ত বা পরিহারকৃত করের পরিমাণ (যদি থাকে); 
(চ) আরোপিত জরিমানার পরিমাণ; 

(ছ) কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব; 
(জ) ব্যক্তিগত শুনানিতে দেওয়া বক্তব্য (যদি থাকে); 
(ঝ) আনীত অভিযোগ ও অভিযুক্ত ব্যক্তির জবাব বিশ্লেষণ বা পর্যালোচনা; 
(ঞ) বিশ্লেষণের ফলাফল (অভিযোগ প্রমাণিত বা খন্ডিত); 
(ট) আদেশ; 
(ঠ) আদেশে কোনো জরিমানা আরোপ করা হইয়া থাকিলে জরিমানা ও ফাঁকি প্রদত্ত বা পরিহারকৃত করসহ (যদি থাকে) মোট প্রদেয় অর্থেরর পরিমাণ এবং তাহা সরকারি কোষাগারে জমা প্রদানের তারিখ, হিসাব কোড ও জমা প্রদানের পদ্ধতি (সড়ফব ড়ভ ঢ়ধুসবহঃ);
(ড) ন্যায়—নির্ণয়ন আদেশে কোনো পক্ষ সংক্ষুব্ধ হইলে আপিলের স্থান, সময় ও পদ্ধতি; এবং 
(ঢ) ন্যায়—নির্ণয়নকারী কর্মকর্তার নাম, পদবি, ফোন, ই—মেইল ও যোগাযোগের ঠিকানা। 
 (৭) উপ—বিধি (৪) এ নির্ধারিত সময়ে বা উপ—বিধি (৫) এ নির্ধারিত বর্ধিত সময়ে কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব পাওয়া না গেলে ন্যায়—নির্ণয়নকারীকর্মকর্তা প্রাপ্ত দলিলাদির ভিত্তিতে ন্যায়নির্ণয়ন আদেশ জারি করিবেন।

 

1এসআরও নং—১৪০—আইন/২০২১/১৩৭—মূসক, তারিখ: ০৩/০৬/২০২১ দ্বারা প্রতিস্থাপিত

2এসআরও নং—১৪০—আইন—/২০২১/১৩৭—মূসক, তারিখ: ০৩/০৬/২০২১ দ্বারা প্রতিস্থাপিত
3এসআরও নং—১৪০—আইন—/২০২১/১৩৭—মূসক, তারিখ: ০৩/০৬/২০২১ দ্বারা ‘ব্যর্থতা বা অনিয়মের’ এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত
4এসআরও নং—১৪০—আইন—/২০২১/১৩৭—মূসক, তারিখ: ০৩/০৬/২০২১ দ্বারা ‘ব্যর্থতা বা অনিয়মের’ এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত ১০০
5এসআরও নং—১৪০—আইন—/২০২১/১৩৭—মূসক, তারিখ: ০৩/০৬/২০২১ দ্বারা ‘ব্যর্থতা বা অনিয়মের’ এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত
6এসআরও নং—১৪০—আইন—/২০২১/১৩৭—মূসক, তারিখ: ০৩/০৬/২০২১ দ্বারা ‘ব্যর্থতা বা অনিয়মের’ এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত

 

৬৬। তত্ত্বাবধানাধীন সরবরাহ, পর্যবেক্ষণ ও নজরদারি।-

৬৬। তত্ত্বাবধানাধীন সরবরাহ, পর্যবেক্ষণ ও নজরদারি।- (১) ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার ভিত্তিতে তত্ত্বাবধানাধীন সরবরাহ, পর্যবেক্ষণ ও নজরদারির লক্ষ্যে

কমিশনার [বা মহাপরিচালক] এক বা একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সমন্বয়ে আদেশ দ্বারা এক বা একাধিক দল (ঃবধস) গঠন করিতে পারিবেন।

(২) কমিশনার [বা মহাপরিচালক] বর্ণিত আদেশে সরবরাহ তত্ত্বাবধানের স্থান, সময় এবং মেয়াদ নির্দিষ্ট করিয়া দিবেন।

(৩) সরবরাহ তত্ত্বাবধানকারী দল সরবরাহস্থল পরিদর্শনপূর্বক সরবরাহ তত্ত্বাবধান শুরুর পূর্বে ফরম “মূসক-১৩.১”এ [কমিশনার বা মহাপরিচালকের] নিকট একটি প্রতিবেদন দাখিল করিবেন।

(৪) সরবরাহ তত্ত্বাবধানকারী দল আদেশে বর্ণিত স্থানে নির্ধারিত সময়ে পূর্ণকালীন অবস্থানপূর্বক সরবরাহ চালানপত্র জারিসহ মূসক সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যাদি সম্পন্ন করিবেন এবং প্রতিদিনের কার্যক্রম পরবর্তী দিবসের মধ্যে ফরম “মূসক-১৩.২”এ একটি দৈনিক প্রতিবেদন এবং সরবরাহ তত্ত্বাবধানের মেয়াদ শেষে ফরম “মূসক-১৩.৩”এ একটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন [কমিশনার বা মহাপরিচালকের] নিকট দাখিল করিবেন।

৫ [৬৬ক। করদাতা কর সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম নিরীক্ষা।- যুগ্ম কমিশনার বা যুগ্ম পরিচালক পদপর্যাদার নিম্নে নহেন এইরূপ কোনো মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তা, এই আইনের অধীন প্রদেয় করের


এসআরও নং-১৭১- আইন/২০১৯/২- মূসক, তারিখ : ৩/০৬/২০১৯

এসআরও নং-১৭১- আইন/২০১৯/২- মূসক, তারিখ : ৩/০৬/২০১৯

এসআরও নং-১৭১- আইন/২০১৯/২- মূসক, তারিখ : ৩/০৬/২০১৯

এসআরও নং-১৭১- আইন/২০১৯/২- মূসক, তারিখ : ৩/০৬/২০১৯

 এসআরও নং-১৭১- আইন/২০১৯/২- মূসক, তারিখ : ৩/০৬/২০১৯

 

৬৭। বিশেষ নিরীক্ষা সম্পন্নের লক্ষ্যে নিরীক্ষক নিয়োগ।-

৬৭। বিশেষ নিরীক্ষা সম্পন্নের লক্ষ্যে নিরীক্ষক নিয়োগ।-(১) বোর্ড এই বিধির পরবর্তী বিধানসমূহ অনুসরণ করিয়া নিরীক্ষক নিয়োগ করিতে পারিবে।

 (২) নিরীক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬ ও তদধীনে প্রণীত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধান অনুসরণ করিতে হইবে।

 (৩) নিরীক্ষক নিয়োগের টেন্ডার দলিলে অন্যান্য তথ্যের সহিত নিম্নেবর্ণিত বিষয়াদি সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করিতে হইবে, যথা:-

(ক) নিরীক্ষার জন্য নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা;

(খ) নিরীক্ষার মেয়াদ;

(গ) নিরীক্ষকের কার্যপরিধি (terms of reference);

(ঘ) নিরীক্ষার জন্য প্রযোজ্য নির্দেশিকা (Guidline);

(ঙ) নিরীক্ষার সময় অনুসরণীয় মানদ- (Standard);

(চ) নিরীক্ষা প্রতিবেদন দাখিলের সময়; এবং

(ছ) অপরাধ ও দন্ড।

 (৪) নিযুক্ত নিরীক্ষকের নি¤œবর্ণিত কার‌্যাবলী দ-যোগ্য অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে, যথা:-

(ক) অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করা;

(খ) সরকারি রাজস্ব হানিকর কোনো কাজ করা;

(গ) অসত্য তথ্যপূর্ণ প্রতিবেদন প্রদান করা;

(ঘ) বোর্ডের চাহিদা মোতাবেক তথ্যাদি সরবরাহে ব্যর্থ হওয়া;

(ঙ) নিরীক্ষার সময় অনুসরণীয় নির্দেশিকা (Guidline) অনুসরণ না করা;

(চ) নিরীক্ষার জন্য নির্ধারিত মানদ- (Standerd) অনুসরণ না করা;

(ছ) কর ফাঁকি প্রদান করা বা অন্য কাউকে তাহা করিতে সহায়তা করা;

(জ) দরপত্র দাখিলের সময় মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রদান করা;

(ঝ) নিয়োগ প্রাপ্তির পর কার্যক্রম গ্রহণে অনীহা প্রকাশ বা গৃহীত কার্যক্রম বন্ধ করা বা আংশিকভাবে কার্যক্রম গ্রহণ করা;

(ঞ) নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলকরণে ব্যর্থতা; এবং

(ট) আইন ও এই বিধিমালার কোনো বিধান লংঘন ও টেন্ডার দলিলাদিতে প্রদত্ত শর্ত ভংগ করা।

 (৫) কোনো নিযুক্ত নিরীক্ষক কর্তৃক উপ-বিধি (৪) এর অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে উক্ত অপরাধের কারণে যদি-

(ক) কর ফাঁকি হইয়া থাকে তাহা হইলে-

(অ) উক্ত নিরীক্ষক ফাঁকি প্রদত্ত করের ন্যূনতম দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থদন্ডে দন্ডিত  হইবেন;(্আ) তাহার চুক্তি বাতিল হইবে; ও

(ই) প্রথমবার অপরাধের ক্ষেত্রে ৫ (পাঁচ) বৎসরের জন্য এবং দ্বিতীয়বার অপরাধের ক্ষেত্রে সারা জীবনের জন্য স্থায়ীভাবে কালো

 তালিকাভুক্ত হইবেন; এবং (খ) যদি কর ফাঁকি না হইয়া থাকে তাহা হইলে:-

(অ) উক্ত নিরীক্ষক ন্যূনতম ৩ (তিন) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত হইবেন; (্আ) তাহার চুক্তি বাতিল হইবে; ও

(ই) প্রথমবার অপরাধের ক্ষেত্রে ৫ (পাঁচ) বৎসরের জন্য এবং  দ্বিতীয়বার অপরাধের ক্ষেত্রে সারা জীবনের জন্য স্থায়ীভাবে কালো

 তালিকাভুক্ত হইবেন।

 (৬) উপ-বিধি (৫) এ বর্ণিত দন্ড আরোপের ক্ষেত্রে কারণ দর্শানো নোটিশ ও ব্যক্তিগত শুনানির ক্ষেত্রে বিধি ৬৫-এর বিধান অনুসরণ করিতে হইবে।

 (৭) উপ-বিধি (৫) এর বিধান পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬ ও তদধীনে প্রণীত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮ এর এতদসংক্রান্ত বিধানের

অতিরিক্ত হইবে।

৬৮। বকেয়া কর আদায়ের সাধারণ পদ্ধতি।-

৬৮। বকেয়া কর আদায়ের সাধারণ পদ্ধতি।- (১) কমিশনার আইনের অধীন সৃষ্ট চূড়ান্ত বকেয়া কর আদায়ের লক্ষ্যে 1[সহকারী কমিশনারের] নি¤েœ নহেন এমন একবা একাধিক মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তাকে বকেয়া আদায় কর্মকর্তা [Debt Recovery Officer (DRO)]হিসাবে পদায়ন করিবেন।

 (২) বকেয়া আদায় কর্মকর্তা বকেয়া কর আদায়ের লক্ষ্যে খেলাপি করদাতা বরাবর ফরম “মূসক-১৪.১”এ ধারা ৯৫ এর উপ-ধারা (৩) এর অধীন বকেয়া কর দাবি করিয়া একটি বকেয়া কর আদায় সার্টিফিকেট জারি করিবেন।

 

1এসআরও নং—১৪২—আইন—/২০২০/১০৩—মূসক, তারিখ: ১১/০৬/২০২০ দ্বারা ‘উপ—কমিশনারের’ এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত

৬৯। কোনো আয়কর, শুল্ক, মূসক বা আবগারি কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন অর্থ হইতে কর্তন পদ্ধতি।-

৬৯। কোনো আয়কর, শুল্ক, মূসক বা আবগারি কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন অর্থ হইতে কর্তন পদ্ধতি।- (১) কোনো খেলাপি করদাতার কোনো অর্থ আয়কর, শুল্ক, আবগারি বা মূসক কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে থাকিলে বকেয়া আদায় কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট কমিশনার বরাবর ফরম “মূসক-১৪.২”এর মাধ্যমে বিধি ৬৮ এর উপ-বিধি (২) এ উল্লিখিত বকেয়া কর আদায় সার্টিফিকেটের মূল কপি বা সার্টিফাইড কপিসহ একটি নোটিশ প্রেরণ করিবেন।

 (২) বকেয়া কর আদায় সার্টিফিকেট বা নোটিশ প্রাপ্তির পর কমিশনার তাহার নিয়ন্ত্রণাধীন অর্থ, বা বিধি ৬৮ এর অধীন ফেরতযোগ্য অর্থ হইতে সার্টিফিকেট বা নোটিশে উল্লিখিত অর্থ, বা সার্টিফিকেট বা নোটিশে উল্লিখিত অর্থ হইতে তাহার নিয়ন্ত্রণাধীন অর্থ কম হইলে নিয়ন্ত্রণাধীন সমুদয় অর্থ আদায়পূর্বক সার্টিফিকেট বা নোটিশ জারিকারী কমিশনারেটের হিসাব কোডে জমাপূর্বক সার্টিফিকেট বা নোটিশ জারিকারী বকেয়া আদায় কর্মকর্তাকে ফরম “মূসক-১৪.৩” এ অবহিত করিবেন।