ষোড়শ অধ্যায় : অপরাধ, বিচার ও দন্ড

Displaying 1-2 of 2 results.

৯৬। অপরাধের তদন্ত পদ্ধতি।-

৯৬। অপরাধের তদন্ত পদ্ধতি।-(১) মামলা দায়েরকারী মূসক কর্মকর্তা আদালত কর্তৃক মামলা গ্রহণের চার মাসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করিয়া কমিশনারের মাধমে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করিবেন; তবে শর্ত থাকে যে, তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত কর্তৃক উক্ত সময়সীমা আরো ৩ (তিন) মাস পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যাইবে। (২) উপ-বিধি (১) এ বর্ণিত সময়সীমার মধ্যে, প্রযোজ্য ক্ষেত্রেবর্ধিত সময়সীমার মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করিয়া আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা না হইলে মামলার অভিযোগ প্রমাণিত হয় নাই বলিয়া গণ্য হইবে।

 (৩) তদন্তকারী কর্মকর্ত া অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ফরম “মূসক-১৬.১” এ অভিযোগের বিষয়টি অবহিত করিবেন এবং অভিযোগ সংক্রান্ত নোটিশ প্রাপ্তির ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানের জন্য অনুরোধ করিতে পারিবেন।

 (৪) অভিযুক্ত ব্যক্তি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ফরম“মূসক-১৬.২”জবাব প্রদান করিবেন।

 (৫) তদন্তকারী কর্মকর্ত া উপ-বিধি (১) এ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনাপূর্বক একটি প্রতিবেদন কমিশনারের নিকট উপস্থাপন করিবেন।

 (৬) অভিযুক্ত ব্যক্তিকে তদন্তকালে শুনানির যুক্তিসঙ্গত সুযোগ প্রদানকরিতে হইবে।

 (৭) উপ-বিধি (৪) এর অধীন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানে অস্বীকৃতি জানাইবার ক্ষেত্রে মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তির পর অভিযুক্ত ব্যক্তির অপরাধ প্রমাণিত হইলে তাহার নাম ও প্রয়োজনীয় তথ্য আইনের অধীন অপরাধী তালিকায় প্রকাশিত হইবে।

৯৭। অপরাধের আপোষরফার পদ্ধতি।-

৯৭। অপরাধের আপোষরফার পদ্ধতি।-(১) বোর্ড কোনো অপরাধের আপোষরফা করিতে পারিবে, যদি অভিযুক্ত ব্যক্তি-

(ক) কোনো মামলার আপোষরফার জন্য লিখিতভাবে বোর্ডের নিকট আবেদন করেন;

(খ) হলফনামা দাখিল করিয়া কমিশনার কর্তৃক নির্ধারিত কিস্তিতে অভিযোগের সাথে সংশ্লিষ্ট কর পরিশোধ করিবার অঙ্গীকার করেন; এবং

(গ) এই মর্মে অঙ্গীকার করেন যে আপোষরফা করিতে যেই পরিমাণ প্রশাসনিক ব্যয় হইবে তিনি উহা বহন করিবেন।

 (২) উপ-বিধি (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি একই ধরনের অপরাধ ইতঃপূর্বে করিয়া থাকিলে বোর্ড কোনো মামলা আপোষরফা করিতে পারিবে না।

 (৩) আপোষরফার জন্য আবেদনকারী এবং সংশ্লিষ্ট কমিশনার ও অভিযোগ দাখিলকারী কর্মকর্তাকে বোর্ড শুনানির সুযোগ প্রদান করিবে।

(২) ব্যর্থতা বা অনিয়মের ক্ষেত্রে ফরম “মূসক-১২.৬”এ প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর-

(ক) উপ-বিধি (১) এর দফা (ক) এর অধীন জরিমানা আরোপেরলক্ষ্যে ধারা ৮৬ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এ বর্ণিত আর্থিক ক্ষমতা অনুযায়ী

 ন্যায়-নির্ণয়নকারী কর্মকর্তা; এবং (খ) ধারা ৮৬ এর উপ-ধারা (১) এর শর্তাংশ ও উপ-বিধি (১) এর দফা (খ) এর  অধীন জরিমানা আরোপের ক্ষেত্রে কমিশনার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা,  ফরম “মূসক-১২.১২”এ কারণ দর্শানো নোটিশ জারি করিবেন।

 (৩) উপ-বিধি (২) এ বর্ণিত কারণ দর্শানো নোটিশে, অন্যান্য তথ্যের সহিত নি¤œবর্ণিত তথ্যাদি সন্নিবেশিত থাকিবে, যথা:-

(ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম, ঠিকানা ও ব্যবসায় সনাক্তকরণ সংখ্যা(যদি থাকে);

(খ) ব্যর্থতা বা অনিয়মের ধরন ও বিবরণ;

(গ) ব্যর্থতা বা অনিয়মের কারণে লংঘিত ধারা বা বিধি বা তদধীনে প্রণীত বিধান;

(ঘ) শাস্তির ধারা বা বিধি;

(ঙ) ফাঁকি প্রদত্ত বা পরিহারকৃত করের পরিমাণ (যদি থাকে);

(চ) কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব প্রদানের শেষ তারিখ;

(ছ) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ব্যক্তিগত শুনানি দিতে আগ্রহী কিনা;

(জ) নির্ধারিত সময়ে জবাব পাওয়া না গেলে প্রাথমিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে  ন্যায়-নির্ণয়ন আদেশ প্রদান করা হইবে মর্মে অবহিতকরণ; এবং

(ঝ) ন্যায়-নির্ণয়নকারী কর্মকর্তার নাম, পদবি, ফোন, ই-মেইল ও জবাব প্রেরণের ঠিকানা।

 (৪) কারণ দর্শানো নোটিশ জারির তারিখ ও জবাব প্রদানের শেষ তারিখের মধ্যে অন্যূন ২ (দুই) সপ্তাহ ও অনূর্ধ্ব ৪ (চার) সপ্তাহ ব্যবধান থাকিতে হইবে।

 (৫) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব প্রদানের জন্য নির্ধারিত সময়ে সময় বৃদ্ধির আবেদন করিলে ন্যায়-নির্ণয়নকারী কর্মকর্তা তাহার বিবেচনায় উপযুক্ত সময় মঞ্জুর করিতে পারিবেন।

 (৬) কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব প্রাপ্তির পর ব্যর্থতা বা অনিয়মের জন্য দায়ী ব্যক্তি শুনানি প্রদানে আগ্রহী হইলে তাহাকে শুনানি প্রদান করিয়া ন্যায়-নির্ণয়নকারী কর্মকর্তা ফরম “মূসক-১২.১৩”এ ন্যায়-নির্ণয়ন আদেশ জারি করিবেন, যাহাতে অন্যান্য তথ্যের সহিত, নি¤œবর্ণিত তথ্যাদি সন্নিবেশিত থাকিবে, যথা:-

 (ক) ব্যর্থতা বা অনিয়মের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম, ঠিকানা ও ব্যবসায় সনাক্তকরণ সংখ্যা (যদি থাকে);

(খ) আনীত অভিযোগের ধরন ও বিবরণ;

(গ) আনীত অভিযোগের কারণে লংঘিত ধারা বা বিধি বা তদাধীনে প্রণীত কোনো বিধান;

(ঘ) শাস্তির ধারা বা বিধি;

(ঙ) ফাঁকি প্রদত্ত বা পরিহারকৃত করের পরিমাণ (যদি থাকে);

(চ) আরোপিত জরিমানার পরিমাণ;

(ছ) কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব;

(জ) ব্যক্তিগত শুনানিতে দেওয়া বক্তব্য (যদি থাকে);

(ঝ) আনীত অভিযোগ ও অভিযুক্ত ব্যক্তির জবাব বিশ্লেষণ বা পর্যালোচনা;

(ঞ) বিশ্লেষণের ফলাফল (অভিযোগ প্রমাণিত বা খন্ডিত);

(ট) আদেশ;

(ঠ) আদেশে কোনো জরিমানা আরোপ করা হইয়া থাকিলে জরিমানা ও ফাঁকি প্রদত্ত বা পরিহারকৃত করসহ (যদি থাকে) মোট প্রদেয় অর্থেরর পরিমাণ এবং

 তাহা সরকারি কোষাগারে জমা প্রদানের তারিখ, হিসাব কোড ও জমা প্রদানের পদ্ধতি (সড়ফব ড়ভ ঢ়ধুসবহঃ);

(ড) ন্যায়-নির্ণয়ন আদেশে কোনো পক্ষ সংক্ষুব্ধ হইলে আপিলের স্থান, সময় ও পদ্ধতি; এবং

(ঢ) ন্যায়-নির্ণয়নকারী কর্মকর্তার নাম, পদবি, ফোন, ই-মেইল ও যোগাযোগের ঠিকানা।

 (৭) উপ-বিধি (৪) এ নির্ধারিত সময়ে বা উপ-বিধি (৫) এ নির্ধারিত বর্ধিত সময়ে কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব পাওয়া না গেলে ন্যায়-নির্ণয়নকারীকর্মকর্তা প্রাপ্ত দলিলাদির ভিত্তিতে ন্যায়নির্ণয়ন আদেশ জারি করিবেন।