Business News

Displaying 71-80 of 172 results.

রাজস্ব ফাঁকি ৪০ কোটি টাকা

Picture

ভারত থেকে রেমন্ড ব্র্যান্ডের কাপড় আমদানিতে ঢাকার তিনটি প্রতিষ্ঠান ৪০ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে ইসলাম ট্রেডার্স, রিলায়েন্স ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ও টপটেন ফেব্রিকস অ্যান্ড টেইলার্স।

শুল্ক মূল্যায়ন ও অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিশনারেট কার্যালয় এ ফাঁকি উদ্ঘাটন করে ২ সেপ্টেম্বর ৩৫ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) জমা দিয়েছে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান তিনটির কাছ থেকে টাকা আদায়ের ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়েছে।
যোগাযোগ করলে কমিশনার এস এম হুমায়ুন কবীর গতকাল রোববার প্রথম আলোকে বলেন, ‘তিন প্রতিষ্ঠানে শুধু রেমন্ড ব্র্যান্ডের কাপড়েই আমরা প্রায় ৪০ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকির তথ্য পেয়েছি। এ ধরনের ঘটনা আরও আছে বলে মনে হয়।’
ফাঁকি উদ্ঘাটনে গত জুলাইয়ে চার সদস্যের কমিটি গঠন করে ঢাকা শুল্ক মূল্যায়ন ও অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিশনারেট কার্যালয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসলাম ট্রেডার্স ও রিলায়েন্স ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল একই মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এবং ইসলাম ট্রেডার্সের একার ফাঁকিই ১৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আর রিলায়েন্স ট্রেডের ফাঁকি ১৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা। অন্যদিকে টপটেন ফেব্রিকস ফাঁকি দিয়েছে ৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।
প্রতিবেদন তৈরিতে নয়াদিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাছ থেকে তথ্যও নিয়েছে তদন্ত দল। হাইকমিশনের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর নাহিদ রশীদ নয়াদিল্লিতে থাকা রেমন্ডের শোরুমগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করে গত ২৩ জুন এক চিঠিতে রেমন্ডের কাপড়ের মূল্যের তথ্য জানান।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসলাম ট্রেডার্স ও রিলায়েন্স রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে তিনটি উপায়ে। এগুলো হচ্ছে আন্ডারইনভয়েসিং বা মূল্য কম দেখিয়ে শুল্ক কম দেওয়া, আমদানি-পরবর্তী সংযোজনের ওপর মূসক না দেওয়া এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও বন্ডেড সুবিধায় পণ্য আমদানি। প্রতিষ্ঠান দুটি পণ্য আমদানি করেছে কেজিতে।
সর্বনিম্ন মূল্য বিবেচনায় নিলেও রিলায়েন্স ট্রেডের প্যান্ট-স্যুটের ঘোষিত মূল্য হবে প্রতি কেজি ৯ দশমিক ৮০ ডলার। অথচ প্রতিষ্ঠানটি দেখিয়েছে ২ দশমিক ৬৫ ডলার। যদিও শুল্কায়ন হয়েছে ৩ দশমিক ০৬ ডলারে।
আর টপটেন ফেব্রিকস বন্ডেড সুবিধায় আমদানি না করলেও রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে অন্য দুই পদ্ধতিতে। এ প্রতিষ্ঠান কাপড় এনেছে মিটারে এবং প্যান্ট-স্যুটের কাপড়ের দাম দেখিয়েছে মিটারপ্রতি শূন্য দশমিক ৭২ ডলার। তবে শুল্কায়ন হয়েছে শূন্য দশমিক ৯৬ ডলারে। অথচ কম করে ধরলেও মূল্য হবে ৫ দশমিক ৭৯ ডলার। নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন জানায়, মিটারপ্রতি এই দর কয়েক গুণ বেশি।
আন্ডারইনভয়েসিংয়েই বেশি ফাঁকি: প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, আন্ডারইনভয়েসিং বা মূল্য কম দেখিয়েই বেশি ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। ইসলাম ট্রেডার্স এবং রিলায়েন্স ট্রেড ঢাকা ও চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস দিয়ে ভারত থেকে রেমন্ড ব্র্যান্ডের প্যান্ট, শার্ট ও স্যুটের কাপড় আমদানি করে।
তদন্ত দল ২০১৩ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত আমদানি তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেছে, দুই বছরে প্রতিষ্ঠান দুটি ফাঁকি দিয়েছে ৩০ কোটি ৮১ লাখ টাকা। প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্ডারইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে ইসলাম ট্রেডার্সের ফাঁকি ১৩ কোটি ৩৬ লাখ ও রিলায়েন্স ট্রেডের ফাঁকি ১০ কোটি ১৬ লাখ ৩৩ হাজার টাকা।
ইসলাম ট্রেডার্সের বন্ডেড লাইসেন্স না থাকলেও গত ২২ মার্চ বন্ড সুবিধার আওতায় রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে ৯ লাখ ৬ হাজার টাকা। এ ছাড়া আমদানি-পরবর্তী সংযোজনের ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ফাঁকি দিয়েছে ৪ কোটি ১৫ হাজার টাকা। রিলায়েন্স ট্রেডও বন্ডেড সুবিধায় ৩৭ হাজার এবং আমদানি-পরবর্তী সংযোজনের ওপর মূসক ফাঁকি দিয়েছে ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
টপটেন আন্ডারইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে ৭ কোটি ৬৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা। আর আমদানি-পরবর্তী মূল্য সংযোজনের ওপর মূসক ফাঁকি দিয়েছে ১ কোটি ১৩ লাখ ৪৯ হাজার টাকা।
জানতে চাইলে ইসলাম ট্রেডার্স ও রিলায়েন্স ট্রেডের স্বত্বাধিকারী আমিরুল ইসলাম গতকাল মোবাইলে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর কোনো প্রতিষ্ঠান রাজস্ব ফাঁকি দেয়নি, সরকার অবরোহী পদ্ধতিতে হিসাব করেছে, যা আদালতেও গ্রহণযোগ্য নয় বলে তিনি মনে করেন।
একই দাবি করেন টপটেন ফেব্রিকসের স্বত্বাধিকারী সৈয়দ হোসেনও। তিনি বলেন, তাঁর প্রতিষ্ঠানও রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে না। এর সপক্ষে তিনিও কোনো যুক্তি দেখাতে পারেননি।

তথ্যসূত্র : প্রথমআলো

চট্টগ্রামে ভ্যাট আপিল ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের দাবি

Picture

চট্টগ্রামের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও শিল্প-কারখানার মামলা জটিলতা দ্রুত নিরসনে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রামে স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে এই দাবি জানান তিনি।

এফবিসিসিআই সহসভাপতি মাহবুবুল আলম এর পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে বলেন, বৃহৎ, মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পসহ বিভিন্ন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের দপ্তর এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি তিনটি ইপিজেড এবং বেসরকারি বিভিন্ন শিল্প ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামে রয়েছে। এসব বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের আমদানি-রপ্তানিসহ উৎপাদন এবং পরিচালনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের শুল্কায়ন ও ভ্যাট জটিলতাসংক্রান্ত কারণে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়ে থাকে। কিন্তু আপিলাত ট্রাইব্যুনাল ঢাকায় অবস্থিত হওয়ায় চট্টগ্রাম থেকে নিয়মিত ঢাকা গিয়ে মামলাসংক্রান্ত কাজ সমাধান করতে গলদঘর্ম হতে হয়। এতে ব্যবসায়ীদের যেমন ভোগান্তিতে পড়তে হয়, তেমনি সংশ্লিষ্ট শুল্ক কর্মকর্তাদেরও চট্টগ্রাম-ঢাকা দৌড়াদৌড়ি করতে হয়।

দেশের বেশির ভাগ আমদানি-রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যয় ও বিড়ম্বনা রোধসহ চট্টগ্রাম বিভাগের মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি এবং রাজস্ব আদায় ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে আপিলাত ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রামে স্থাপনের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানান চেম্বার সভাপতি।

তথ্যসূত্র : কালেরকন্ঠ

অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনে পিছিয়ে বাংলাদেশ

Picture

অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জন ও সুসমন্বিত উন্নয়নে বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে পেছনের সারিতে রয়েছে বাংলাদেশ। সার্বিক উন্নয়নে বড় বাধা হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে দুর্নীতি, আমলাতন্ত্রিক জটিলতা ও অবকাঠামোগত দুর্বলতার মতো সমস্যাগুলো। তাই এসব সমস্যা উত্তরণের পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বিনিয়োগের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে বাংলাদেশকে।

সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম বিশ্বের দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের সার্বিক চিত্র তুলে ধরতে প্রথমবারের মতো ইনক্লুসিভ গ্রোথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট রিপোর্ট ২০১৫ (অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি এবং উন্নয়ন রিপোর্ট ২০১৫) প্রকাশ করে। এতে ১১২ দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক চিত্র তুলে আনা হয়। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলা হয়, নিম্নআয়ের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের কম্পানিগুলোই ব্যাংকিং খাত ও শেয়ারবাজার থেকে অর্থ তোলার তুলনামূলক ভালো সুবিধা পেয়ে থাকে। এটি ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ।

প্রতিবেদনে দেশগুলোকে চারটি গ্রুপে উল্লেখ করা হয়। উন্নত দেশ, উচ্চ মধ্যআয়ের দেশ, নিম্ন মধ্যআয়ের দেশ এবং নিম্নআয়ের দেশ। এতে মাথাপিছু আয় হিসেবে বাংলাদেশকে নিম্নআয়ের দেশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি ধরা হয়েছে ৯০৪ ডলার এবং বৈশ্বিক সক্ষমতা সূচকে অবস্থান ধরা হয়েছে ১৮টি নিম্নআয়ের দেশের মধ্যে ষষ্ঠ।

প্রতিবেদনে একটি দেশের সার্বিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্য ১৪০টি নির্দেশক হিসাব করা হয়েছে। এগুলোকে আবার সাতটি খাত ও ১৫টি উপখাতে ভাগ করা হয়েছে। খাতগুলো হচ্ছে-শিক্ষা এবং দক্ষতা, কর্মসংস্থান এবং শ্রমিক ক্ষতিপূরণ, সম্পদ গঠন ও উদ্যোক্তা তৈরি, প্রকৃত বিনিয়োগের আর্থিক মাধ্যম, দুর্নীতি ও ঘুষ, মৌলিক সেবা ও অবকাঠামো, রাজস্ব বণ্টন। এ সাতটি মৌলিক বিষয়ের মধ্যে প্রায় সবগুলোতেই সর্বনিম্ন ২০টি দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। তবে অন্যতম উপখাত ব্যবসা ও বিনিয়োগের আর্থিক মাধ্যমে বাংলাদেশ শীর্ষ ২০ দেশের মধ্যে রয়েছে।

এ ছাড়া নিম্নআয়ের দেশগুলোর মধ্যে শিক্ষা এবং দক্ষতায় বাংলাদেশ ২.৮৮ পয়েন্ট নিয়ে ১১তম, কর্মসংস্থান ও শ্রমিক ক্ষতিপূরণে ৩.৪১ পয়েন্ট নিয়ে ১৬তম, সম্পদ গঠন ও উদ্যোক্তা তৈরিতে ২.৮৮ পয়েন্ট নিয়ে নবম, প্রকৃত বিনিয়োগের আর্থিক মাধ্যমে ৩.২১ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়, দুর্নীতি ও ঘুষ গ্রহণে ৩.৫২ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ, মৌলিক সেবা এবং অবকাঠামো সুবিধায় ৩.০৯ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ এবং সর্বশেষ খাত রাজস্ব বণ্টনে ৩.১৫ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশসহ নিম্নআয়ের দেশগুলো নিয়ে বলা হয়, এ দেশগুলোকে অবশ্যই উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও প্রবৃদ্ধি তৈরিতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। দেশগুলোকে দারিদ্র্য দূরীকরণে গুরুত্ব দিতে হবে জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে। এ জন্য শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, স্বাস্থ্যসেবা এবং দীর্ঘমেয়াদে সামাজিক বিনিয়োগে গুরুত্ব দিতে হবে। বলা হয়, ব্যাংকিং আর্থিক সহায়তা গ্রহণ ও শেয়ারবাজার থেকে অর্থ তোলার সুবিধা বাংলাদেশের কম্পানিগুলোর জন্য সমআয়ের দেশগুলোর চেয়ে অনেক ভালো। যেটি ব্যবসায়িক উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তবে দেশটিকে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনে অনেক খাতেই সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। বলা হয়, বাংলাদেশকে লালফিতার দৌরাত্ম্য কমিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। অবকাঠামো উন্নয়ন এবং মৌলিক সেবা বাড়াতে হবে এবং বেপরোয়া দুর্নীতি থামাতে হবে। এতে কর্মসংস্থান যেমন বাড়বে, তেমনি সুসমন্বিত অর্থনীতিও গড়ে উঠবে।

বৈশ্বিক দেশগুলো নিয়ে এ প্রতিবেদনে বলা হয়, 'আমাদের ম্যাসেজ স্পষ্ট, বিশ্বের নেতাদের অবশ্যই অর্থনৈতিক কৌশল গ্রহণ করতে হবে। যেটি হবে একই সময়ে প্রবৃদ্ধি সহায়ক এবং শ্রমিক সহায়ক। বিশ্বের সব দেশের সামনেই অবারিত সুযোগ রয়েছে, যা তারা এখনো গ্রহণ করতে পারছে না। বলা হয়, মাত্র কিছু দেশ সব নির্দেশকের মধ্যে ভালো করেছে। কিন্তু বেশির ভাগ দেশেরই উন্নতি করার আরো অনেক সুযোগ রয়েছে।'

তথ্যসূত্র : কালেরকন্ঠ

দ্বিতীয় মাসে ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে রপ্তানি আয়

Picture

অর্থবছরের প্রথম মাসে হোঁচট খেলেও দ্বিতীয় মাসে ‘আশাব্যঞ্জক’ প্রবৃদ্ধি এসেছে রপ্তানি বাণিজ্যে। বর্তমান স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি এমন ফল দিয়েছে বলে মনে করছে ইপিবি।  
২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে গেল অর্থবছরের একই মাসের তুলনায় ১২ শতাংশ রপ্তানি আয় কম এসেছিল।
তবে সদ্য শেষ হওয়া অগাস্টে রপ্তানি আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২৮ শতাংশ।
অর্থবছরের বাকি মাসগুলোতেও এই ‘বৃদ্ধির’ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান শুভাশীষ বসু।
তিনি বলেন, “অগাস্ট মাসে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ ২৭৬ কোটি (২ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছে, যা গত বছরের অগাস্ট মাসের চেয়ে ২৭ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি।”
২০১৪ সালের অগাস্ট মাসে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ২১৫ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রপ্তানি হয়েছিল ২৬২ কোটি ২৬ লাখ ডলারের পণ্য।
এ হিসাবে অর্থবছরের জুলাই-অগাস্ট সময়ে মোট রপ্তানির পরিমাণ ৫৩৮ কোটি ২৬ লাখ ডলার; প্রবৃদ্ধির হার ৫ শতাংশ। অর্থ্যাৎ এই সময়ে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫ শতাংশ বেশি রপ্তানি আয় দেশে এসেছে।
এই রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি তৈরি পোশাক (নিট ও উভেন) থেকে এসেছে বলে জানান ইপিবি প্রধান।
ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, জুলাই মাসের চেয়ে অগাস্ট মাসে রপ্তানি আয় বেড়েছে প্রায় ৩ শতাংশ।
‘স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশের সুবাদে রপ্তানি আয় বাড়ছে’ দাবি করে শুভাশীষ বসু বলেন, “অগাস্টে যে রপ্তানি আয় দেশে এসেছে তা এপ্রিল মাসের অর্ডার ছিল। অর্থ্যাৎ জানুয়ারি থেকে মার্চ টানা তিন মাসের সংঘাতময় রাজনীতির পর দেশে যে স্বস্তি ফিরে এসেছিল সে সময়ের অর্ডার ছিল।”
“আর জুলাই মাসে যে রপ্তানি আয় দেশে এসেছিল তার অর্ডার এসেছিল ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে অস্থিরতার মধ্যে। ওই সময় স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ অর্ডার কম এসেছিল। সে কারণে আয়ও কমে গিয়েছিল।”
বায়ারদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসায় তারা বেশি ক্রয়াদেশ দিচ্ছেন বলেও মনে করেন তিনি।
শুভাশীষ বসু বলেন, “তারা (বায়াররা) এখন বেশি অর্ডার দিচ্ছেন। সে কারণে আগামীতেও রপ্তানি আয়ের ইতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকবে।”
২০১৪-১৫ অর্থবছরে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে তিন হাজার ১২০ কোটি ৯০ লাখ (৩১ দশমিক ২০ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছিল বাংলাদেশ, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি।
চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৩ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার।

তথ্যসূত্র : কালের কন্ঠ

আন্তর্জাতিক মানের স্বীকৃতি পেল ৬ পোশাক কারখানা

Picture

সব ধরনের সংস্কার কার্যক্রম শেষ করে দেশের ছয়টি পোশাক কারখানা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হয়েছে। এগুলো হচ্ছে গ্রিন টেক্সটাইল, কুন টং অ্যাপারেলস, লন্ড্রি ইন্ডাস্ট্রিজ, লেনি অ্যাপারেলস, অপটিমাম ফ্যাশনস ও ইউনিভোগ লিমিটেড। উত্তর আমেরিকার ক্রেতাদের জোট অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটি এই স্বীকৃতি দিয়েছে। 

এদিকে কর্মপরিবেশ উন্নয়নের লক্ষ্যে ছোট ও মাঝারি পোশাক কারখানার সংস্কারে অর্থায়নের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাতা সংস্থা ইউএসএআইডি। অর্থের পরিমাণটি এখনো চূড়ান্ত না হলেও সংস্থাটি ১ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার দিতে পারে বলে অ্যালায়েন্সের কর্মকর্তারা প্রথম আলো​েক জানান।

অ্যালায়েন্স প্রতিষ্ঠার দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে মূল বক্তব্য দেন অ্যালায়েন্সের নির্বাহী পরিচালক জেমস এফ মরিয়ার্টি, যিনি এর আগে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। 

 ‘আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি’—বাংলায় এ কথাগুলো বলেই বক্তব্য শুরু করেন সাবেক এই মার্কিন রাষ্ট্রদূত। পরে ইংরেজিতে তিনি বলেন, ‘সদস্য কারখানা পরিদর্শনে ভবনের কাঠামোগত, বৈদ্যুতিক ও অগ্নিনিরাপত্তা-সংক্রান্ত ছোট ও বড় ত্রুটি খুঁজে পাওয়া গেছে। এখন অ্যালায়েন্সের দেওয়া পরিকল্পনা অনুযায়ী সংস্কার কার্যক্রম চালাচ্ছে কারখানাগুলো। ইতিমধ্যে ছয়টি কারখানা সব ধরনের ত্রুটি সংস্কার করে সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক মান অর্জন করেছে।’

অবশ্য এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে সংস্কার কার্যক্রম কিছুটা ধীর গতিতে এগোচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন জেমস মরিয়ার্টি। তিনি বলেন, প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে এমনটা হচ্ছে। যেমন ফায়ার ডোর আমদানি করতে হয়। চাহিদা অনুযায়ী মানসম্পন্ন পণ্যটির খোঁজ-খবর ও মান যাচাই করে এনে কারখানায় স্থাপন করতে অনেক সময় লেগে যায়। তবে তাঁর প্রত্যাশা, অ্যালায়েন্সের নির্ধারিত সময় ২০১৮ সালের মধ্যেই সব কারখানায় সংস্কারকাজ শেষ হবে।

অ্যালায়েন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেসবাহ রবিন বলেন, ‘আটটি কারখানায় চূড়ান্ত পরিদর্শন হয়েছে। এতে উত্তীর্ণ হয়েছে ৬টি। মানোত্তীর্ণ কারখানাগুলোকে এক-দুই দিনের মধ্যে স্বীকৃতির সনদ দেওয়া হবে।’ তিনি জানান, অ্যালায়েন্সের সদস্য কারখানার সংখ্যা ৭৯০টি। এর মধ্যে ৬৬২টি সক্রিয় আছে। আর প্রথম সংস্কার যাচাই পরিদর্শন (আরভিভি) সম্পন্ন হয়েছে ৫২৮টি কারখানায়। ১৭টি কারখানার দ্বিতীয় আরভিভি হয়েছে। প্রথম আরভিভিতে কারখানাগুলোর গড়ে ৩২ শতাংশ এবং দ্বিতীয় আরভিবির কারখানাগুলোর ৮৭ শতাংশ ত্রুটি সংস্কার শেষ হয়েছে।

অ্যালায়েন্সের পাশাপাশি ইউরোপীয় ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশও কারখানা পরিদর্শন করছে। তাদের সদস্য কারখানার মধ্যে দুটি—কনকর্ড ফ্যাশন এক্সপোর্ট লিমিটেড ও জিকন সব ধরনের ত্রুটি সংস্কার করেছে। সে অনুযায়ী দেশে সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত আটটি কারখানা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হলো।

অ্যালায়েন্সের স্বীকৃতি পাওয়া লন্ড্রি ইন্ডাস্ট্রিজ নামের ওয়াশিং কারখানাটি এনভয় গ্রুপের প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত লন্ড্রিতে বর্তমানে প্রতিদিন এক লাখ পিস পোশাক ওয়াশ হয়। গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুস সালাম মুর্শেদী প্রথম আলোকে বলেন, ‘সর্বোচ্চ মানে পৌঁছাতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। তবে এটি অসম্ভব কিছু নয়।’ তিনি বলেন, ‘রানা প্লাজার মতো দুর্ঘটনা আমরা কেউই দেখতে চাই না। তারপরও বলব, এ ঘটনার পর সংস্কার কার্যক্রম নেওয়া হয়। আর এটি সম্পন্ন হলে দেশের তৈরি পোশাকশিল্প পরবর্তী ধাপে পৌঁছে যাবে। রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি আবার দুই অঙ্কের ঘরে যাবে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ইউএসএআইডি বাংলাদেশের মিশন ডিরেক্টর জেনিনা জারুজুলস্কি সওরন কারখানা সংস্কারে অর্থায়নের বিষয়ে বলেন, ‘চলতি মাসের শেষের দিকে এ বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। উদ্যোক্তারা প্রাইম ব্যাংক ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) মাধ্যমে স্বল্প সুদে ঋণ নিতে পারবেন।’ এই অর্থ শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও কর্মপরিবেশ উন্নয়নে ব্যবহার করা যাবে।

আবদুস সালাম মুর্শেদী অভিযোগ করে বলেন, ব্যাংকগুলো সেই সব কারখানাগুলোকে ঋণ দিচ্ছে, যাদের সঙ্গে আগে থেকেই ব্যবসায়িক সম্পর্ক আছে। সবাই যেন সমান সুবিধা পায়, সে বিষয়ে নজর দেওয়ার দাবি জানান তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে জেমস মরিয়ার্টি সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।

২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসের আড়াই মাস পর ১০ জুলাই কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নয়নে উত্তর আমেরিকার ২৬টি ব্র্যান্ড পাঁচ বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে অ্যালায়েন্স গঠন করে।

তথ্যসূত্র : প্রথমআলো

যমুনা ব্রহ্মপুত্রের তীর রক্ষায় ৪৮শ কোটি টাকা দেবে বিশ্বব্যাংক

Picture

যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর তীর রক্ষায় বিশ্বব্যাংক চার হাজার ৮শ’ কোটি টাকা সহায়তা দেবে। এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে ৫০ হাজার মানুষকে বন্যার ভয়াবহতা ও নদী ভাঙন থেকে রক্ষা করা হবে। এ প্রকল্পে মোট ব্যয় হচ্ছে পাঁচ হাজার ২শ’ কোটি টাকা। প্রকল্প প্রস্তাবটি সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এ নিয়ে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সভা করেছে কমিশন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

 

জানা গেছে, প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন হবে ৪শ’ কোটি টাকা। বাকি টাকা বিশ্বব্যাংক (আইডিএ) সহজশর্তের ঋণ দেবে। রিভার ম্যানেজমেন্ট ইম্পুভমেন্ট’ শীর্ষক নামের এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে পাউবো।

পাউবো সূত্র জানায়, প্রকল্পের কাজ তিন ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে। প্রথম ধাপে- ব্রহ্মপুত্র নদীর ডান তীরে ও যমুনা সেতু হতে ১৭ কিলোমিটার দূরে ৫০ কিলোমিটারব্যাপী নদী রক্ষা বাঁধের উন্নয়ন (সিরাজগঞ্জের সিমলা হতে বগুড়ার হাসনাপাড়া পর্যন্ত) করা হবে। উন্নয়ন কার্যক্রমের মধ্যে যমুনা নদীর ডান ৫০ কিলোমিটার সার্ভিস রোড পুনর্নির্মাণ, যমুনা নদীর ডান তীরে নদী শাসনের লক্ষ্যে সার্ভিস রোডসহ ৩৬ দশমিক ৫৬ কিলোমিটার প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ এবং ক্ষতিগ্রস্ত জনগণকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১৫টি রি-সেটেলমেন্ট ভিলেজ (গুচ্ছগ্রাম) প্রতিষ্ঠা করা হবে।

দ্বিতীয় ধাপে- যমুনা ব্রিজ হতে সিরাজগঞ্জের সিমলা পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার ও বগুড়ার হাসনাপাড়া থেকে তিস্তা আউটফল পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার বাঁধ পুনর্নির্মাণ করা হবে। তৃতীয় ধাপে- বাঁধের ভেতরের অংশ বরাবর ১৩৭ কিলোমিটার চার লেন বিশিষ্ট রাস্তা নির্মাণ করা হবে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় কম্পোনেন্ট (অঙ্গ) হিসেবে পরামর্শক সেবায় ৭৬৫ কোটি টাকা, ভূমি অধিগ্রহণে ৪৪১ কোটি টাকা, বাঁধ নির্মাণে এক হাজার ৫৪১ কোটি টাকা, নদীর তীর সংরক্ষণে এক হাজার ৯৫৮ কোটি টাকা, গুচ্ছগ্রাম নির্মাণে ১৪৩ কোটি টাকা এবং ৩২টি যানবাহন ক্রয় ও মেরামত বাবদ ৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ব ব্যাংকে আইডিএ ঋণের বিপরীতে বার্ষিক শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ প্রদান করতে হয়। এ ঋণের অর্থ ছয় বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৮ বছরে পরিশোধের সুযোগ থাকছে। বর্তমানে বিশ্বব্যাংকের ঋণের ওপর কোনো কমিটমেন্ট চার্জ নেই। শিগগিরই প্রকল্পের বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন প্রক্রিয়াও শুরু হবে।

এ প্রসঙ্গে ইআরডির বিশ্বব্যাংক উইংয়ের প্রধান অতিরিক্ত সচিব কাজী শফিকুল আযম যুগান্তরকে বলেন, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে যে প্রকল্পগুলো পাইপলাইনে রয়েছে এটি তার মধ্যে অন্যতম। আগামী ১২ আগস্ট বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে এ সংক্রান্ত নেগুসিয়েশন সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।

জানা গেছে, পিইসি সভায় এই প্রকল্পের ব্যয় ও কম্পোনেন্ট নিয়ে বেশ কয়েকটি পরামর্শ দেয়া হয়। এর মধ্যে প্রকল্পের আওতায় প্রতি কিলোমিটার নদী তীর সংরক্ষণ বাবদ বরাদ্দ অত্যাধিক বেশি বলে মনে করে কমিশন। এছাড়া পরামর্শ সেবা বাবদ বরাদ্দে অর্থ হ্রাস করে বৈদেশিক সহায়তা থেকে ব্যয় করা ও প্রকল্পের আওতায় বাঁধ নির্মাণ, পুনর্নির্মাণ ও পুনর্বাসন সেল বিষয়টি পাউবোর পক্ষ থেকে স্পষ্টকরণের কথা বলা হয়েছে।

তথ্যসূত্র : যুগান্তর

 

নিম্নমুখী প্রবণতায় শেয়ার বাজার

Picture

সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় আজ সোমবার শেষ হয়েছে দেশের শেয়ারবাজারের লেনদেন। দেশের দুই শেয়ার বাজারের সূচক টানা তৃতীয় দিনের মতো নিম্নমুখী ছিল আজ। গত সপ্তাহের শেষ দিন থেকে সূচকের এই নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হয়েছে। দিনের লেনদেন শেষে দুই বাজারেই অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। ফলে সূচকও কমেছে। গতকাল মঙ্গলবারের চেয়ে লেনদেনও কমেছে দুই স্টক এক্সচেঞ্জে।

প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা যায়, দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর ডিএসইএক্স সূচক ২৮ দশমিক ৭২ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় চার হাজার ৮১৫ দশমিক ৬৪ পয়েন্টে।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়। এরপর একাধিকবার ওঠানামা করে। দিন শেষে নিম্নমুখী প্রবণতায় যায় সূচক।

ডিএসইতে আজ ৩২০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড হাতবদল হয়েছে। এর মধ্যে ৮১ টির দাম বেড়েছে, কমেছে ১৮৫ টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর।

ডিএসইতে আজ ৬৬০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা গতকালের চেয়ে ১৩ কোটি টাকা কম। গতকাল এই বাজারে ৬৭৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল।

ডিএসইর পাশাপাশি সিএসইতেও সূচক কমেছে। লেনদেন শেষে সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক ৮৫ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৪ হাজার ৭৯১ দশমিক ৭৪ পয়েন্টে।

আজ সিএসইতে হাতবদল হওয়া ২৬৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৮ টির দাম বেড়েছে; কমেছে ১৭০ টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।

সিএসইর লেনদেন আজ ৫৩ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা গতকালের চেয়ে তিন কোটি টাকা কম। গতকাল এই বাজারে ৫৬ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়।

ডিএসইতে আজ লেনদেনে শীর্ষে ছিল ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির। আজ এই প্রতিষ্ঠানের ৩০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এ ছাড়া লেনদেনে শীর্ষে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে ফার কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি, লাফার্জ সুরমা, অ্যাপোলো ইস্পাত, শাহজিবাজার পাওয়ার এবং ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড প্রভৃতি।

তথ্যসূত্র : প্রথমআলো

সব ব্যাংকের অংশগ্রহণে আসছে নতুন ঋণপণ্য

Picture

প্রবাসীদের জন্য সব ব্যাংকের অংশগ্রহণে একটি নতুন ঋণপণ্য চালু করার কথা জানিয়েছেন গভর্নর ড. আতিউর রহমান। এটি চালু করা হচ্ছে মূলত মালয়েশিয়ার বাজার চাঙ্গা করার জন্য। গত শুক্রবার সেন্টার ফর নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশির (এনআরবি সেন্টার) উদ্যোগে মালয়েশিয়ায় আয়োজিত 'ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স সিরিজ-২০১৫'-এ যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

সম্মেলনে গভর্নর বলেন, হাইকমিশন এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সমন্বয়ের ভিত্তিতে বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য সব ব্যাংকের অংশগ্রহণে একটি নতুন ঋণ প্রোডাক্ট চালু করা হচ্ছে। তিনি মালয়েশিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশের হাইকমিশন অফিসকে ডিজিটাইজড করার এবং মালয়েশিয়ায় কর্মরত প্রবাসীদের কর্মস্থল ও তাদের পরিচয় সংরক্ষণের পরামর্শ দেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের আদলে রেমিটারদের অভিযোগ গ্রহণ ও নিষ্পত্তির জন্য একটি 'হটলাইন' নম্বর স্থাপনেরও পরামর্শ দেন গভর্নর।

গভর্নর এডিবির আর্থিক সহায়তায় গৃহীত প্রকল্পের বিষয় তুলে ধরে বলেন, একটি চ্যালেঞ্জ তহবিলের মাধ্যমে ১০ হাজার প্রশিক্ষণার্থীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে এবং তরুণ উদ্যোক্তারাই বাংলাদেশের চেহারা বদলে দিচ্ছে। উদ্যোমী তরুণ উদ্যোক্তা এবং প্রবাসী শ্রমিকরাই বাংলাদেশের উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

গভর্নর বলেন, 'আমাদের যেসব উদ্যমী উদ্যোক্তা দরকার তা একটি সক্ষম পরিবেশেই সৃষ্টি হচ্ছে, যেখানে মানুষ তাদের ওপর বিশ্বাস রাখতে পারে।' তিনি আশা করেন, 'আমরা যদি মালয়েশিয়ার সরকার ও নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এক হয়ে একটি স্বচ্ছ, ডিজিটাল ও গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়ায় শ্রমিক নিয়োগ চুক্তি সম্পাদন করতে পারি, তাহলে শিগগিরই মালয়েশিয়া হবে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আয়ের অন্যতম বৃহৎ উৎস।'

তথ্যসূত্র : কালেরকন্ঠ

'ব্যবসায়িক সততায় তাঁরা অনুকরণীয়'

Picture

আইনের মধ্যে থেকে, নিয়মিত রাজস্ব দিয়ে ও ঋণ খেলাপি না হয়ে সততার সঙ্গে ব্যবসা করেও যে দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যায়-এরই দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন স্যামসন এইচ চৌধুরী, এস এইচ কবীর ও আমজাদ খান চৌধুরী। কঠোর পরিশ্রমী এ তিন প্রয়াত ব্যবসায়ী দেশের জন্য গর্ব। নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য অনুকরণীয়। এমন অনেক উদ্যোগ তাঁরা নিয়েছেন, যা পরবর্তী সময় রাষ্ট্রীয় আইনে পরিণত হয়েছে। এশিয়া অঞ্চলের অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য যা ইতিবাচক। স্কুল-কলেজের পাঠ্য বইয়ে এই তিন ব্যক্তিত্বের জীবনী অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

গতকাল শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে চেম্বার ভবনে স্যামসন এইচ চৌধুরী, এস এইচ কবীর এবং আমজাদ খান চৌধুরী-তিন শীর্ষ সফল ব্যবসায়ী ব্যক্তিত্বকে নিয়ে আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ব্যবসায়ী সংগঠন এমসিসিআই এ স্মরণসভার আয়োজন করে। এ সময় তিন শীর্ষ ব্যবসায়ীর পরিবারের সদস্য ও অন্য ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আমজাদ খান চৌধুরী সম্পর্কে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ডিএমডি আহসান খান চৌধুরী বলেন, 'বাবা ছিলেন আমার ব্যবসায়ী জীবনের দৃষ্টান্ত। সততার সঙ্গে যে ব্যবসা করা যায়, তা বাবার কাছে শিখেছি। বাবা তাঁর চাকরিজীবন শেষ করে ব্যবসাজীবন শুরু করে ৪০ বছর পার করার পরও আমি দেখেছি বাবার জীবনীশক্তি। সমস্যা এলেও ভেঙে পড়েননি। নতুন উদ্যমে কাজ করেছেন। নতুনভাবে পরিকল্পনা সাজিয়েছেন।'

আহসান খান চৌধুরী বলেন, ব্যবসার অন্য দুই পাল সম্পর্কে বলেন, 'আমার বাবা ও তাঁর বন্ধুরা স্যামসন এইচ চৌধুরী এবং এস এইচ কবীর চাচা শুধু নিজেদের ব্যবসা নিয়ে নয়, দেশের অর্থনীতি নিয়েও গভীরভাবে ভাবতেন। সমস্যার সমাধানে পথ বের করতেন।'

স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রতিষ্ঠাতা স্যামসন এইচ চৌধুরী সম্পর্কে তাঁর ছেলে দেশের আরেক শীর্ষ ব্যবসায়ী স্কয়ার টয়লেট্রিজের এমডি অঞ্জন চৌধুরী বলেন, 'কঠোর পরিশ্রম বাবাকে দেশের শীর্ষ পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছে। বাবা কখনো কাউকে কষ্ট করতে দিতেন না। কারো অর্থ আত্মসাৎ করতে নিষেধ করেছেন। মানুষকে সম্মান দিতে বলেছেন। বলেছেন, শুধু নিজের জন্য নয়, দেশের জন্য ভাববে। দেশের মানুষের জন্য কাজ করবে। আমরা চেষ্টা করছি তাঁর উপদেশ মেনে চলতে।'

রেনেটা ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রতিষ্ঠাতা এম এইচ কবীর সম্পর্কে তাঁর ছেলে ব্যবসায়ী সৈয়দ কায়সার কবীর বলেন, ছোট থেকে দেখেছি ব্যবসার এই তিন দিকপাল নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করেছেন শুধু ব্যবসা নিয়ে নয়, কে কার আগে রাজস্ব পরিশোধ করল, কে ব্যাংকের ঋণের টাকা আগে দিয়ে দিল, কে কতজন মানুষকে সেবা করল। এসব ব্যক্তিত্বের জীবনী পাঠ্য বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। স্মরণসভায় সিপিডির সম্মানিত ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, এ দেশের অর্থনীতি গতিশীল করতে এই তিন স্থপতি বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। তাঁরা শুধু দেশের জন্য নয়, এশিয়া অঞ্চলের জন্য নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেছেন। সৎ ও মূল্যবোধ নিয়ে যে ব্যবসা করা যায়, তা এই তিন ব্যবসায়ী মৃত্যুর আগে প্রমাণ করে গেছেন। সিএসআর কার্যক্রম তাঁরা শুরু করেছিলেন। তা আজ অনেকেই অনুসরণ করছে।

সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল-হক বলেন, ব্যবসায়ীরা কঠিন ত্যাগ স্বীকার একটি দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখে। দেশের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে। কিন্তু দেশ বিনিময়ে তাদের সেভাবে সম্মানিত করে না। ব্যবসায়ীদের সম্মানিত করা উচিত। এমসিসিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি জেনারেল সিকে হায়দার বলেন, এই তিন ব্যবসায়ীর জীবনী মানুষকে জানানো প্রয়োজন।

এপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মঞ্জুর এলাহী বলেন, তিন শীর্ষ ব্যবসায়ীর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে সততা, ধৈর্য, বন্ধুত্ব, পরোপকারী হওয়ায় উৎসাহ পেয়েছি। দেশের পাঠ্য বইয়ে তাঁদের জীবনী অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি সালমান এফ রহমান, এ কে আজাদ, এমসিসিআইয়ের সভাপতি নাসিম মঞ্জুর ও সাবেক সভাপতি রোকেয়া আফজাল রহমান, লায়লা কবীর, আবু হাফিজ চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।

তথ্যসূত্র : কালেরকন্ঠ

বাংলাদেশ এখন ট্রানজিট দেশ

Picture
 

বাংলাদেশ–ভারত বাণিজ্য সেমিনারে অর্থমন্ত্রী

বাংলাদেশ এখন ট্রানজিট দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: ০১:০৫, আগস্ট ০৯, ২০১৫ | প্রিন্ট সংস্করণ
 

০ Like

     

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গতকাল শনিবার ঢাকায় এক সেমিনারে বলেছেন, বাংলাদেশ এখন ট্রানজিট দেশ। বাংলাদেশের এই ট্রানজিট দেশ হওয়া নিয়ে সর্বদলীয় ঐকমত্য রয়েছে। খালেদা জিয়াও এ বিষয়ে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন।
তবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ট্রানজিটের পূর্ণ সুবিধা পেতে হলে অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্ব দিতে হবে। আবার অবকাঠামো উন্নয়নে জোর দিতে হবে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বে (পিপিপি)। ভারত ও বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ ও লেনদেনের ক্ষেত্রে দুই দেশের সরকার সহায়তা করবে।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ‘ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য আলোচনা: সামনে এগোনোর উপায়’ শীর্ষক এই সেমিনারে অর্থমন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। যৌথভাবে সেমিনারটির আয়োজন করে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ও ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি)।
অর্থমন্ত্রী দেশের উন্নয়নের জন্য আঞ্চলিক যোগাযোগকে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে একটি অভিন্ন বাজার তৈরিরও তাগিদ দেন। তিনি মনে করেন, এটি হলে বিনিয়োগ, লেনদেন, অবকাঠামো উন্নয়নসহ সব ধরনের উন্নয়নে সহায়ক হবে।
আইসিসির মহাসচিব রাজীব সিংয়ের সঞ্চালনায় সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ সরন ও এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ।
পঙ্কজ সরন বলেন, ‘আশা করি ভারতের যে ধরনের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে এসেছে, বাংলাদেশ থেকেও একই রকমের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল ভারতে যাবে।
আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে হলে ভারতের বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি করে এ দেশে বিনিয়োগ করতে হবে।
দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয় এফবিসিসিআই ও আইসিসি আয়োজিত এই সেমিনার। প্রথম পর্বে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক এবং ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আঞ্চলিক সংযোগ বাড়াতে সড়ক যোগাযোগসহ নৌপথে ও উপকূলীয় অঞ্চল দিয়ে জাহাজ পরিবহনের বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়। এই পর্ব শেষে চলে যান অর্থমন্ত্রী।
দ্বিতীয় পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মসিউর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারতের সাবেক জ্বালানিসচিব অনিল রাজদান। অনুষ্ঠানের এই পর্বে তিনটি আলাদা বিষয়ের ওপর আলোচনা হয়। যে তিনটি বিষয়ে আলোচনা হয় সেগুলো হলো, ‘সংযোগ-প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তি’; ‘বাংলাদেশের উন্নয়নে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানি তেলের ভূমিকা’ এবং ‘সেবা খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা’।
জ্বালানি পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন অনিল রাজদান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন অনেকাংশে প্রাকৃতিক গ্যাসনির্ভর আর ভারতের বিদ্যুৎ উৎপাদন মূলত কয়লানির্ভর। বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশকে প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনার পরামর্শ দেন তিনি।
মাথাপিছু বিদ্যুৎ ব্যবহারে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে আছে উল্লেখ করে অনিল রাজদান বলেন, গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ-সংযোগ এখনো অনেক কম। তিনি মনে করেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারের চেয়ে বেসরকারি খাতের ভূমিকা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে সরকার অবকাঠামো তৈরি করে সহায়তা করতে পারে।
মসিউর রহমান বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশের রয়েছে বিশাল মানবসম্পদ। প্রয়োজন অনুযায়ী মানবসম্পদ বিনিময়ে দুই দেশের এগিয়ে আসা উচিত বলে তিনি মনে করেন।
মসিউর রহমান আরও বলেন, ভারতকে মংলায় ও ভেড়ামারায় দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মংলায় ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন করবে ভারত।
ভারতের কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালের প্রতিনিধিরা সেই দেশে চিকিৎসা নিতে আগ্রহী বাংলাদেশি নাগরিকদের স্বল্প খরচে এই সুবিধা নেওয়ার আহ্বান জানান। এ জন্য তাঁরা বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা পাওয়ার ব্যাপারে সহায়তা করবেন বলে উল্লেখ করেছেন।

তথ্যসূত্র: প্রথমআলো