দ্বিতীয় মাসে ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে রপ্তানি আয়

Picture

অর্থবছরের প্রথম মাসে হোঁচট খেলেও দ্বিতীয় মাসে ‘আশাব্যঞ্জক’ প্রবৃদ্ধি এসেছে রপ্তানি বাণিজ্যে। বর্তমান স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি এমন ফল দিয়েছে বলে মনে করছে ইপিবি।  
২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে গেল অর্থবছরের একই মাসের তুলনায় ১২ শতাংশ রপ্তানি আয় কম এসেছিল।
তবে সদ্য শেষ হওয়া অগাস্টে রপ্তানি আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২৮ শতাংশ।
অর্থবছরের বাকি মাসগুলোতেও এই ‘বৃদ্ধির’ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান শুভাশীষ বসু।
তিনি বলেন, “অগাস্ট মাসে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ ২৭৬ কোটি (২ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছে, যা গত বছরের অগাস্ট মাসের চেয়ে ২৭ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি।”
২০১৪ সালের অগাস্ট মাসে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ২১৫ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রপ্তানি হয়েছিল ২৬২ কোটি ২৬ লাখ ডলারের পণ্য।
এ হিসাবে অর্থবছরের জুলাই-অগাস্ট সময়ে মোট রপ্তানির পরিমাণ ৫৩৮ কোটি ২৬ লাখ ডলার; প্রবৃদ্ধির হার ৫ শতাংশ। অর্থ্যাৎ এই সময়ে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫ শতাংশ বেশি রপ্তানি আয় দেশে এসেছে।
এই রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি তৈরি পোশাক (নিট ও উভেন) থেকে এসেছে বলে জানান ইপিবি প্রধান।
ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, জুলাই মাসের চেয়ে অগাস্ট মাসে রপ্তানি আয় বেড়েছে প্রায় ৩ শতাংশ।
‘স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশের সুবাদে রপ্তানি আয় বাড়ছে’ দাবি করে শুভাশীষ বসু বলেন, “অগাস্টে যে রপ্তানি আয় দেশে এসেছে তা এপ্রিল মাসের অর্ডার ছিল। অর্থ্যাৎ জানুয়ারি থেকে মার্চ টানা তিন মাসের সংঘাতময় রাজনীতির পর দেশে যে স্বস্তি ফিরে এসেছিল সে সময়ের অর্ডার ছিল।”
“আর জুলাই মাসে যে রপ্তানি আয় দেশে এসেছিল তার অর্ডার এসেছিল ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে অস্থিরতার মধ্যে। ওই সময় স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ অর্ডার কম এসেছিল। সে কারণে আয়ও কমে গিয়েছিল।”
বায়ারদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসায় তারা বেশি ক্রয়াদেশ দিচ্ছেন বলেও মনে করেন তিনি।
শুভাশীষ বসু বলেন, “তারা (বায়াররা) এখন বেশি অর্ডার দিচ্ছেন। সে কারণে আগামীতেও রপ্তানি আয়ের ইতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকবে।”
২০১৪-১৫ অর্থবছরে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে তিন হাজার ১২০ কোটি ৯০ লাখ (৩১ দশমিক ২০ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছিল বাংলাদেশ, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি।
চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৩ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার।

তথ্যসূত্র : কালের কন্ঠ

About Author

Profile Picture

Mijan Niloy

Leave a Comment