Business News

Displaying 31-40 of 172 results.

পাটপণ্যে বাড়তি শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছে ভারত

বাংলাদেশি পাটপণ্যে উচ্চহারে অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছে ভারত। দেশটির সংশ্লিষ্ট সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব অ্যান্টি-ডাম্পিং অ্যান্ড অ্যালাইড ডিউটিজ (ডিজিএডি) তাদের সরকারের কাছে বাংলাদেশের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর বিভিন্ন হারে শুল্ক আরোপের সুপারিশ করেছে। এখন ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করলেই বাংলাদেশের পাটপণ্যকে ভারতে শুল্ক দিয়ে প্রবেশ করতে হবে।
পাটপণ্যে শুল্ক আরোপের বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার ‘ফাইনাল ডিটারমিনেশন’ (বিস্তারিত যুক্তিসহ চূড়ান্ত প্রতিবেদন) জারির মাধ্যমে বাংলাদেশকে জানিয়েছে ডিজিএডি। এতে দেখা যায়, সুপারিশ অনুযায়ী শুল্ক আরোপ করা হলে বাংলাদেশের বেশির ভাগ রপ্তানিকারককে পাট সুতায় টনপ্রতি ৯৭ থেকে ১৬২ ডলার, চট ৩৫২ ডলার এবং বস্তায় ১২৫ থেকে ১৩৯ ডলার পর্যন্ত শুল্ক দিতে হবে।
পাটপণ্যে ভারত বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রধান বাজার। দেশের মোট পাটপণ্য রপ্তানি আয়ের ২২ শতাংশ আসে ভারত থেকে। নিয়ম অনুযায়ী, ফাইনাল ডিটারমিনেশন জারির তিন মাসের মধ্যে ভারত সরকার শুল্ক আরোপ করবে। এরপর বাংলাদেশের রপ্তানিকারকেরা ডিজিএডির কাছে আপিল করতে পারবেন। সেখানে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) যেতে পারবে। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, তাঁরা রাজনৈতিকভাবে বিষয়টির সমাধান চান।
বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএসএ) সভাপতি আহমদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, শুল্ক আরোপ করা হলে বাংলাদেশের পাটপণ্য রপ্তানিতে ব্যাপক ধস নামবে। অনেক মিল বন্ধ হয়ে যাবে। চূড়ান্তভাবে পাটের দাম কমে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন কৃষকেরা। তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে অনেক কিছুই করা সম্ভব।
জানতে চাইলে বাণিজ্যসচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন বলেন, আগামী নভেম্বরে একটি প্রতিনিধি দল ভারতে যাবে। তখন বিষয়টি দেশটির সরকারের কাছে তোলা হবে।
কোনো দেশ স্বাভাবিক দামের চেয়ে কম দামে কোনো পণ্য রপ্তানি করলে তাকে ডাম্পিং বলে গণ্য করতে পারে আমদানিকারক দেশ। এ ক্ষেত্রে তদন্ত করে অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করা যায়। ইন্ডিয়ান জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (আইজেএমএ) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ২০ অক্টোবর ডিজিএডি বাংলাদেশকে ডাম্পিং বিষয়ে তদন্তের নোটিশ দেয়। এরপর তারা বাংলাদেশের প্রায় আড়াই শ পাট রপ্তানিকারককে প্রশ্নপত্র পাঠায়। এর মধ্যে ২৬টি রপ্তানিকারক কোম্পানি প্রশ্নপত্রের উত্তর দিয়েছে। তদন্ত শেষে গত ১২ অক্টোবর সংস্থাটি বাংলাদেশকে ‘ডিসক্লোজার’ পাঠায়, যেখানে ডাম্পিংয়ের প্রমাণ পাওয়ার কথা জানানো হয়। এরপর গত বৃহস্পতিবার তারা ফাইনাল ডিটারমিনেশন জারি করে।
ডিজিএডি নেপালের কয়েকটি কোম্পানির ওপরও অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপের সুপারিশ করেছে।
কোন পাটকলের ওপর কত শুল্ক: ভারতীয় সংস্থাটি ১৩টি কোম্পানির ওপর শুল্কহার নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। এর মধ্যে পাট সুতায় প্রতি টনে প্রাইড জুট মিলকে ১০৪ ডলার, শরিফ জুট ১৫৩, আনোয়ার জুট স্পিনিং ১১০, সিডলো টেক্সটাইলস ১০৩, সাগর জুট স্পিনিং ১০৩, জনতা জুট ২১, আশা জুট ১৯, সোনালি আঁশ ২০ এবং আলীজান জুট মিলকে ২০ ডলার শুল্ক দিতে হবে। এ ছাড়া বস্তা রপ্তানিতে সিডলো জুট মিলের ওপর টনপ্রতি ১২৭ ডলার শুল্ক আরোপের সুপারিশ করা হয়েছে।
যেসব মিল প্রশ্নপত্রের উত্তর দিয়েছে, কিন্তু তদন্তের নমুনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, তাদের ওপর পাট সুতা রপ্তানিতে প্রতি টনে ৯৭ ডলার, চটে ৩৫২ এবং পাটের বস্তায় ১২৫ ডলার শুল্ক আরোপের সুপারিশ করেছে ডিজিএডি। যারা প্রশ্নপত্রের উত্তর দেয়নি, তাদের ওপর পাট সুতায় টনপ্রতি ১৬২ ডলার, চট ৩৫২ এবং বস্তায় ১৩৯ ডলার শুল্ক আরোপ করার সুপারিশ করে সংস্থাটি।
অন্যদিকে ডাম্পিংয়ের প্রমাণ না পাওয়ায় পাট সুতা ও বস্তা রপ্তানিতে হাসান জুট মিল এবং চট রপ্তানিতে জনতা জুট মিলের ওপর শুল্ক আরোপ না করার সুপারিশ করা হয়েছে।
রপ্তানি কমবে: ২০১৫-১৬ অর্থবছরে পাটপণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রায় ৭৫ কোটি ডলার আয় করেছে। এর মধ্যে ভারতে গেছে প্রায় ১৬ কোটি ৪০ লাখ ডলারের পাটপণ্য। বিজেএসএর তথ্য অনুযায়ী, বিগত অর্থবছর ভারতে পাট সুতা রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি ৭১ শতাংশ।
ভারত দাবি করেছে, দেশীয় উৎপাদনকারীদের মুনাফা ও বিক্রি কমে যাওয়ায় তাদের ইনজুরি মার্জিন (ক্ষতি) চটে ৪৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ, পাট সুতায় ২৭ দশমিক ৮৯ এবং বস্তায় ৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ। তদন্তাধীন বছরে বাংলাদেশি পাটপণ্য ভারতের ১১ দশমিক ৩৫ শতাংশ বাজার দখলে ছিল।
জানতে চাইলে আলীজান জুট মিলের পরিচালক মাহবুবুর রহমান পাটোয়ারি প্রথম আলোকে বলেন, ভারতে এখন আর বস্তা ও চট খুব একটা রপ্তানি হচ্ছে না। যেটুকু যাচ্ছে তা পাট সুতা। নতুন করে শুল্ক আরোপ করলে পাটপণ্য রপ্তানি কমে যাবে।

তথ্যসূত্র : প্রথমআলো

তিন দুর্বলতায় পুরো সুফল মিলছে না

তিন ধরনের দুর্বলতার কারণে বাংলাদেশের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে বরাদ্দ করা অর্থের পুরো সুফল মিলছে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে। বিচ্ছিন্নভাবে বাস্তবায়ন, অভীষ্ট জনগোষ্ঠী বাছাইয়ে দুর্বলতা ও অদক্ষতা এসব কর্মসূচির পুরো সুফল না মেলার কারণ বলে দাবি করা হয় ওই প্রতিবেদনে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনটির শিরোনাম ‘বাংলাদেশ সোশ্যাল প্রোটেকশন: টুওয়ার্ডস স্মার্ট সোশ্যাল প্রোটেকশন অ্যান্ড জবস ফর দ্য পুওর’। গতকাল বৃহস্পতিবার পরিকল্পনা কমিশনের সম্মেলনকক্ষে কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ ও বিশ্বব্যাংক আয়োজিত সামাজিক সুরক্ষা ও শ্রম খাত নিয়ে এক সেমিনারে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
এ প্রতিবেদনে মূলত বিভিন্ন গবেষণার তথ্য বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির দুর্বলতা তুলে ধরা হয় এবং তা কাটিয়ে উঠতে কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়। সেমিনারে প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এটির প্রধান লেখক ও বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ উনইয়ং চো।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে দেশের সামাজিক সুরক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ ছিল প্রায় ১৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা, যা ছিল জিডিপির ১ দশমিক ৯৯ শতাংশের সমান। চলতি বছর বাজেটে এ খাতে প্রায় ৩৭ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ মিলেছে, যা জিডিপির ২ দশমিক ২ শতাংশের সমান। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে এখন সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির সংখ্যা ১৪০টির বেশি। এসব কর্মসূচির মধ্যে পর্যাপ্ত সমন্বয় নেই। অনেক ক্ষেত্রেই এর উদ্দেশ্য পরিষ্কার নয়। অনেক সময় একই ব্যক্তি একাধিক কর্মসূচির আওতায় থাকেন।
এসব কর্মসূচির অভীষ্ট জনগোষ্ঠী বা সুবিধাভোগী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কোনো বৈজ্ঞানিক বা কার্যকর কৌশল নেই উল্লেখ করে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ কারণে এসব কর্মসূচির একটি বড় অংশের সুবিধা পায় যারা আসলে দরিদ্র নয়। ত্রুটি-বিচ্যুতি ও খাদ্যনির্ভর কর্মসূচির উচ্চমাত্রার প্রশাসনিক ব্যয় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির কার্যকারিতা ব্যাহত করে।
এসব ঘাটতি দূর করতে কর্মসূচিগুলোর মধ্যে সমন্বয় আনা, দরিদ্র পরিবারের তালিকা তৈরি, খাদ্যভিত্তিক কর্মসূচি থেকে নগদ সহায়তাভিত্তিক কর্মসূচিতে যাওয়া, পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়নে নজর দেওয়ার তাগিদ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশে অনেক সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি থাকলেও সামাজিক বিমা, পেনশন, উৎপাদনশীলতা বাড়াতে শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধি ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে ঘাটতি আছে বলে উল্লেখ করা হয় সংস্থাটির প্রতিবেদনে।
সেমিনারে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে। তারপরও বিশাল জনগোষ্ঠী এর মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছে।
পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য শামসুল আলম বলেন, দরিদ্র পরিবারগুলোর তালিকা তৈরির কাজ চলছে। ২০২৬ সালের পর সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে।
শামসুল আলমের বক্তব্যের সূত্র ধরে বেসরকারি সংস্থা পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, বর্তমান কর্মসূচিগুলো কার্যকরভাবে পরিচালনা করা গেলে দেশে দারিদ্র্যের হার আরও ৩ শতাংশ কম হতো।
কারিগরি শিক্ষায় ভালো শিক্ষার্থী না পাওয়ার বিষয়ে বলতে গিয়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক রুশিদান ইসলাম রহমান বলেন, এ শিক্ষায় শিক্ষিতদের আয় বেশি হলে তাদের সামাজিক মর্যাদাও বাড়ত। বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের এদেশীয় পরিচালক চিমিয়াও ফান সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে একটি পেনশন ব্যবস্থা চালুর পরামর্শ দেন।
সেমিনারে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব জিল্লার রহমান ও বিশ্বব্যাংকের প্রোগ্রাম লিডার ইফফাত শরিফ বক্তব্য দেন।

তথ্যসূত্র : প্রথমআলো

৫ টাকার লবণ ৩৮ টাকা

Picture

দাম কমাতে লবণ আমদানির অনুমতি দেওয়া হলেও তার সুফল পাচ্ছে না সাধারণ ক্রেতারা। ভারত থেকে আমদানি করা অপরিশোধিত লবণ আমদানিতে কেজিপ্রতি খরচ পড়েছে পাঁচ টাকার কম। কিন্তু সেই লবণই পরিশোধন করে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে কেজিপ্রতি ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা দরে। যদিও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আমদানি করা লবণের দাম পরিশোধনের পর কোনোভাবেই কেজিপ্রতি ২৫ থেকে ২৬ টাকার বেশি হওয়া উচিত নয়।
দাম না কমানোর কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিগুলো বলছে, যে পরিমাণ লবণ আমদানির অনুমতি মিলেছে, তা দিয়ে কয়েক দিনের বেশি মিল চালু রাখা সম্ভব নয়। এ জন্য তাদের আমদানি করা অপরিশোধিত লবণ অন্য মিলের কাছ থেকে দুই থেকে আড়াই গুণ দামে কিনতে হচ্ছে। এ কারণে ভোক্তাপর্যায়ে দাম কমানো সম্ভব হচ্ছে না।
পূবালী সল্টের মালিক পরিতোষ কান্তি সাহা বলেন, ১ হাজার ২০০ টন লবণ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন তিনি। এর মধ্যে ৮০০ টন তাঁর কারখানায় পৌঁছেছে, যা দিয়ে অল্প কয়েক দিন কারখানা চালু রাখা যাবে। তিনি বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে আমরা লবণের দাম কেজিতে চার টাকা কমিয়েছিলাম। কিন্তু বাইরে থেকে ১৬ থেকে ১৮ টাকা কেজি দরে অপরিশোধিত লবণ কিনে পরিশোধন করে এ দামে বিক্রি করা সম্ভব নয়।’
গত মাসে দেশের বাজারে পরিশোধিত লবণের দাম সর্বোচ্চ ৪২ টাকা কেজিতে উঠেছিল। ঈদুল আজহার আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এক বৈঠকে কোম্পানিগুলো এ দর কেজিতে চার টাকা কমানোর ঘোষণা দেয়। বাজারে এখন সবচেয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে পরিশোধিত মিহি দানার লবণ কেজিপ্রতি ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, বাজারে এখন মানভেদে প্রতি কেজি লবণের দাম ২৮-৪২ টাকা, এক বছর আগের চেয়ে যা প্রায় ৬৩ শতাংশ বেশি।
বাজারে দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সরকার দুই দফায় আড়াই লাখ টন অপরিশোধিত লবণ আমদানির অনুমতি দিয়েছে। প্রথম দফায় গত আগস্টে ১২১টি মিলকে ৬২০ টন করে ভোজ্য লবণ ও ১২০টি মিলকে ৬২৫ টন করে শিল্পে ব্যবহৃত লবণ এবং পরের দফায় চলতি মাসের শুরুতে ১৪৪টি মিলকে ৬৯৪ টন করে অপরিশোধিত লবণ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়।
আমদানিকারকেরা বলেন, ভারত থেকে অপরিশোধিত লবণ আমদানি করে কারখানায় আনতে প্রতি কেজির খরচ পড়েছে সাড়ে চার থেকে পাঁচ টাকা। বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন (বিটিসি) সম্প্রতি একটি ব্যয় বিবরণী ধরে এক কেজি লবণের কাঙ্ক্ষিত দর কত হওয়া উচিত, তা বের করেছিল। তাতে অপরিশোধিত লবণের কেজিপ্রতি দর পাঁচ টাকা ধরে হিসাব করে দেখা যায়, বাজারে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ভ্যাকুয়াম ইভাপোরেশন পদ্ধতিতে পরিশোধিত লবণ ২৬ টাকার বেশি বিক্রি হওয়া উচিত নয়।
আমদানি করা লবণ পরিশোধন করে বাজারে ছেড়েছে কয়েকটি বড় কোম্পানি। তারা লবণ বিক্রি করছে কেজিপ্রতি ৩৮ টাকা দরে। জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি মিলের শীর্ষ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেন, অপরিশোধিত লবণের দর কেজিপ্রতি ৫ টাকা হলে ভ্যাকুয়াম ইভাপোরেশন পদ্ধতিতে পরিশোধিত লবণ কেজিপ্রতি ২৫ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব। কিন্তু ৫ টাকা কেজিতে পাওয়া গেছে মাত্র ১ হাজার ২০০ টন লবণ, যা মিলের তিন দিনের চাহিদা। বাকিটা ১৫ টাকা কেজি দরে অন্যদের কাছ থেকে কিনতে হয়েছে।
বড় মিলের মালিকেরা বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) কাছ থেকে আয়োডিন উত্তোলনের অনুপাত অনুযায়ী লবণ আমদানির অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। তাঁদের দাবি, বাজারে না থাকা মিলগুলোকে অনুমতি দেওয়া হলে তারা অপরিশোধিত লবণ আমদানি করে বড় মিলের কাছে বিক্রি করে দেয়। ভারত থেকে যে লবণ আমদানি হয়েছে, তা এখন বস্তাপ্রতি ১ হাজার ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে কেজি পড়ে ১৫ টাকার বেশি।
এসিআই কনজ্যুমার ব্র্যান্ডসের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ আলমগীর বলেন, এমন সব মিলকে আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যারা আসলে বাজারে নেই।

তথ্যসূত্র : প্রথমআলো

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১.৮৭%

Picture

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জানুয়ারি-মে) বাংলাদেশ থেকে ২২৬ কোটি মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে; যা গত বছরের একই সময়ের ২২২ কোটি ডলারের চেয়ে ১ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেশি।
জানুয়ারি মাসে বাজারটিতে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ১১ দশমিক ৩১ শতাংশ হলেও চার মাস শেষে (জানুয়ারি-এপ্রিল) সেটি কমে ১ দশমিক ৬৮ শতাংশে নেমে এসেছে। সেই হিসাবে মে মাসে দেশটিতে পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়েছে।
বছরের প্রথম পাঁচ মাসে বিভিন্ন দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও ক্রেতাপ্রতিষ্ঠান মোট ১ হাজার ২৮ কোটি বর্গমিটারের সমপরিমাণ কাপড় দিয়ে তৈরি ৩ হাজার ১০৮ কোটি ডলারের পোশাক আমদানি করেছে। অর্থের হিসাবে আগের বছরের একই সময়ের (জানুয়ারি-মে) চেয়ে এবার ২ দশমিক ১৩ শতাংশ পোশাক কম কিনেছে দেশটি।
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল (অটেক্সা) সম্প্রতি সেই দেশের পোশাক আমদানির এই হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে তৃতীয় শীর্ষ দেশ। এ বছরের প্রথম পাঁচ মাসে বাজারটিতে বাংলাদেশ ৮০ কোটি বর্গমিটার সমপরিমাণ কাপড়ে তৈরি ২২৬ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে। দেশীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১৮ হাজার ১১২ কোটি টাকার সমান। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের মোট পোশাক আমদানির ৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ যায় বাংলাদেশ থেকে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানিতে প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে আছে যথাক্রমে চীন ও ভিয়েতনাম। আলোচ্য সময়ে চীন ৯৫৭ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। তাদের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক, ৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ। ভিয়েতনাম রপ্তানি করেছে ৪১৮ কোটি ডলারের পোশাক, তাদের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।
ইন্দোনেশিয়া ও ভারত আছে যথাক্রমে চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে। এর মধ্যে জানুয়ারি-মে সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ইন্দোনেশিয়া রপ্তানি করেছে ২০২ কোটি ডলারের পোশাক। আর ভারতের পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ১৭৩ কোটি ডলার।

তথ্যসূত্র : প্রথমআলো

সাপ্তাহিক রিটার্নে দর হারিয়েছে ১৭ খাতে

Picture

সমাপ্ত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১৭ খাতে দর (রিটার্ন) হারিয়েছে। অপরদিকে দর বেড়েছে ৩ খাতে।

লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেড সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, আলোচিত সপ্তাহে ব্যাংক খাতে ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ দর বেড়েছে। খাদ্য ও আনুসঙ্গিক খাতে ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ ও পাট খাতে ১ দশমিক ৭০ শতাংশ দর বেড়েছে।

অন্যদিকে দর কমেছে বাকী ১৭ খাতে। এর মধ্যে সিমেন্ট খাতে ৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ, সিরামিক খাতে ৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ, জ্বালানি-বিদ্যুৎ খাতে দশমিক ৬৬ শতাংশ, সাধারণ বিমা খাতে দশমিক ৫৪ শতাংশ, জীবন বিমা খাতে ২ দশমিক ১৪ শতাংশ, আইটি খাতে ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ, বিবিধ খাতে দশমিক ৬০ শতাংশ, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে দশমিক ৭০ শতাংশ, এনবিএফআই খাতে দশমিক ৭ শতাংশ, কাগজ খাতে ৩ দশমিক ২২ শতাংশ, ওষুধ-রসায়ন খাতে দশমিক ১৫ শতাংশ, সেবা-আবাসন খাতে ৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ, ট্যানারি খাতে ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ, টেলিকমিউনিকেশন খাতে দশমিক ৪৪ শতাংশ, বস্ত্র খাতে ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ ও সেবা-আবাসন খাতে ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ দর কমেছে।

তথ্যসূত্র : অর্থসূচক

৩০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয়

Picture

তৃতীয়বারের মতো দেশের পণ্য রপ্তানি আয় ৩০ বিলিয়ন বা ৩ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে।
চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত ১১ মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে ৩ হাজার ৬৬ কোটি ৪২ লাখ ডলারের আয় হয়েছে। এই আয় ৩ হাজার ২২ কোটি ডলারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং আগের ২০১৪-১৫ অর্থবছরের একই সময়ের ২ হাজার ৮১৪ কোটি ডলারের চেয়ে ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেশি।
এর আগে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে প্রথম ও পরের ২০১৪-১৫ অর্থবছর দ্বিতীয়বারের মতো ৩০ বিলিয়নের মাইলফলক স্পর্শ করেছিল দেশের রপ্তানি আয়।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) গতকাল বুধবার দেশের পণ্য রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। চলতি অর্থবছরে মোট রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৩৫০ কোটি ডলার। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে অর্থবছরের শেষ মাসে অর্থাৎ চলতি জুনে ২৮৪ কোটি ডলার রপ্তানি আয় দরকার। এটি সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। গত অর্থবছরে ৩ হাজার ১২০ কোটি ডলারের রপ্তানি আয় হয়েছিল।
গত মে মাসে ৩০২ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই আয় আগের অর্থবছরের একই মাসের ২৮৪ কোটি ডলারের চেয়ে ৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেশি। গত এপ্রিলে অবশ্য রপ্তানি হয়েছিল ২৬৮ কোটি ডলারের পণ্য।
এদিকে মোট রপ্তানি আয়ের মধ্যে ৮১ দশমিক ৮০ শতাংশই তৈরি পোশাক খাত থেকে এসেছে। আলোচ্য সময়ে খাতটির রপ্তানি আয় হয়েছে ২ হাজার ৫০৮ কোটি ডলার। এই আয় আগের অর্থবছরের একই সময়ের ২ হাজার ২৯১ কোটি ডলারের চেয়ে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেশি। পোশাক খাত থেকে চলতি অর্থবছর ২ হাজার ৭৩৭ কোটি ডলারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা আছে।
জানতে চাইলে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ নাছির গতকাল বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘২০২১ সালে পোশাক রপ্তানি ৫ হাজার কোটি ডলারে নিয়ে যেতে হলে প্রত্যেক অর্থবছরে ১২ শতাংশ করে প্রবৃদ্ধি দরকার। সেই হিসাবে ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি সন্তোষজনক কিছু না।’ তিনি আরও বলেন, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটের কারণে অনেক পোশাক কারখানাই সক্ষমতা অনুযায়ী পোশাক উৎপাদন করতে পারছে না। এই জায়গায় উন্নতি হলে প্রবৃদ্ধি বেড়ে যেত।
মোহাম্মদ নাছির আরও বলেন, ‘৫ হাজার কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য নতুন বিনিয়োগের প্রয়োজন। এ জন্যই আমরা বাজেটে করপোরেট কর ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছিলাম। দাবিটি বাস্তবায়ন হলে পোশাক খাতে নতুন বিনিয়োগে গতি আসবে।’
তৈরি পোশাকের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০২ কোটি ৯২ লাখ ডলার আয় হয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য খাতে। তবে এই আয় গত অর্থবছরের ১১ মাসের ১০৯ কোটি ডলারের চেয়ে ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ কম। এ ছাড়া হিমায়িত খাদ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১০১ কোটি ডলার। এর মধ্যে চিংড়ি থেকে এসেছে ৪২ কোটি ডলার।
এ ছাড়া চলতি অর্থবছরে এ পর্যন্ত ১১ মাসে রপ্তানি খাতে পাট ও পাটজাত পণ্যে ৮২ কোটি, হোম টেক্সটাইলে ৬৯ কোটি, কৃষিজাত পণ্যে ৫৩ কোটি, প্রকৌশল পণ্যে ৪৮ কোটি ডলার, প্লাস্টিক পণ্যে ৮ কোটি এবং বাইসাইকেলে ৮ কোটি ৯৭ লাখ ডলার আয় হয়েছে। এর মধ্যে পাট ও পাটজাত এবং প্রকৌশল পণ্য ছাড়া বাকিগুলোতে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। অর্থাৎ আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে আয় কমেছে।

তথ্যসূত্র : প্রথমআলো

বছরে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের ৭শ' কোটি টাকা কর ফাঁকি

Picture

বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ নিয়ে বিদেশি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিবছর প্রায় ৭০০ কোটি টাকার কর ফাঁকি দিচ্ছে। ১৮টি দ্বিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে বিশ্বের ১৫টি দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো এ দেশ থেকে এ টাকা নিয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা একশনএইডের অপচুক্তি নামে এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনের ওপর একশনএইড শনিবার ঢাকার ব্র্যাক সেন্টারে 'দুর্বিনীত কর-আঘাত, অসমর্থিত বাজেট' শিরোনামে এক আলোচনার আয়োজন করে। আলোচনা শুরু হয় একশনএইডের ওই প্রতিবেদনের ফলাফল তুলে ধরার মাধ্যমে। প্রতিবেদনে বলা হয়, মূলত সরকারের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের মতো নিয়ন্ত্রণমূলক 'অপচুক্তি' করিয়ে কর ফাঁকি দিচ্ছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং পুনরায় বিনিয়োগের কথা থাকলেও করপোরেটরা লাভকেই বেশি গুরুত্ব দেয়। এ দেশ থেকে মুনাফা নেওয়ার পাশাপাশি ফাঁকি দেওয়া করের টাকাও নিয়ে নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো।

 


প্রতিবেদন নিয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুর রাজ্জাক বলেন, 'করপোরেট করের মতো প্রত্যক্ষ কর আদায়ে আমরা খুব বেশি চতুর ও দক্ষ হতে পারিনি। এ ছাড়া বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে আমাদের সুযোগ দিতে হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে আমাদের যতটা কঠোর ও কৌশলী হওয়া উচিত ছিল সেটা আমরা হতে পারিনি।'

অনুষ্ঠানে গবেষণাটি তুলে ধরেন একশনএইড বাংলাদেশের ডিরেক্টর আজগর আলী সাবরি। গবেষণার ফলাফল বাংলাদেশে বাজেট, উন্নয়ন ও নীতিতে কী প্রভাব ফেলছে তাও তুলে ধরা হয়। গবেষণায় ৫ শতাধিক আন্তর্জাতিক চুক্তি নিয়ে সমীক্ষা করা হয়। যেখানে দেখা যায়, বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশেই সর্বোচ্চ সংখ্যক ১৮টি 'অপচুক্তি' আছে এবং বেশি কর ফাঁকি হচ্ছে। চুক্তিগুলোর একটি ধারার কারণে বিদেশি শেয়ারহোল্ডারদের টাকার ওপর কর নিতে বাংলাদেশের ক্ষমতা সীমিত হয়েছে। কর ফাঁকির এ টাকা দিয়ে প্রতিবছর ৩৪ লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা যেত বাংলাদেশে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈদেশিক কোম্পানিগুলো তাদের কর দেওয়ার সময় হওয়ার আগে যেন আয় স্থানান্তর না করে সে বিষয়টি 'উইথহোল্ডিং কর' নিশ্চিত করে। অনেক করচুক্তি নিম্ন আয়ের দেশগুলোর এই অধিকারের মুখ বন্ধ করে দেয়, যেন করারোপের বিষয় না আসে। ফলে উৎস দেশগুলোতে কোনো অবদান রাখার আগেই বৈদেশিক বিনিয়োগের মুনাফা চলে যায় তাদের আবাসিক দেশে।

প্রতি বছরই মালিকের ডিভিডেন্ট বা পে-আউট দেশের বাইরে চলে যায়। করচুক্তি নির্ধারণ করে যে উৎস দেশগুলো এর ওপর করারোপ করতে পারবে কি-না এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চুক্তিগুলো এমনভাবে হয় যে এই করারোপ আংশিক বা কোনোভাবেই করা যায় না। কর চুক্তিগুলো এ ক্ষেত্রে অধিকার ক্ষুণ্ন করে।

ঋণের সুদের মাধ্যমেও মুনাফা স্থানান্তর হয়ে যায়। পেশাগত সার্ভিস ফি এক কোম্পানি আরেক কোম্পানিকে দেয়; অনেক সময় একই গ্রুপের মধ্যে হয়। সমস্যা তৈরি হয় যখন এই ফি দেওয়া হয় মুনাফা কমানোর জন্য। পুঁজির অর্জনের ওপর আরোপিত কর প্রাপ্তিতে সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির বলেন, 'আমাদের সক্ষমতার অভাবে করপোরেটরা বেশি সুযোগ নিচ্ছে। আমরা বলছি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। তবে সেটা করতে গিয়ে আমরা যদি তাদের কর ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ করে দিই, সেটা যৌক্তিক নয়। আমাদের গরিব মানুষের সুবিধা বাড়াতে হবে কর বাড়ানোর মধ্য দিয়ে।'

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ বলেন, 'আশির দশকে আমাদের বেশি বিদেশি বিনিয়োগ দরকার ছিল। তাই বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ডেকে আনতে হয়েছে। সেই সুযোগে তারা তাদের মতো করে চুক্তি করেছে এ দেশের নীতিনির্ধারকদের দিয়ে। আমাদের দেশে কর ফাঁকি দিয়ে টাকা নিয়ে যাচ্ছে। এটা হতে পারে না। একটি বড় টেলিফোন প্রতিষ্ঠান মাত্র ৪৫০ জন লোক নিয়ে কাজ করছে। তারা আমাদের মানুষের জন্য কাজের ক্ষেত্র তৈরি করতে পারেনি। আমি যদি জামাই আদর না করি তবে সে আসবে না, এটা ভাবার সময় এখন আর নেই। এখন চুক্তিগুলো পুনর্মূল্যায়ন বা বাতিল করা উচিত।'

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. স্বপন কুমার বালা বলেন, 'চুক্তি থেকে কীভাবে সুবিধা নিতে হবে সে বিষয়ে সচেতনতা দরকার। আমরা অনেক ক্ষেত্রে সচেতন ছিলাম না।' বাংলাদেশ বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্টের প্রধান নির্বাহী ফেরদৌস আরা বেগম বলেন, বিদেশি বিনিয়োগের মূল লক্ষ্য ছিল দেশে কর্মসংস্থান তৈরি করা। তা হয়নি। উল্টো তারা টাকা নিয়ে যাচ্ছে। তাই বিদেশি বিনিয়োগ আমাদের প্রযুক্তি, কর্মসংস্থান কিংবা দক্ষতা বৃদ্ধিতে কতটা কাজে আসছে তা বিবেচনায় নিতে হবে।'

কী করা যেতে পারে এ বিষয়ে আবদুর রাজ্জাক বলেন, 'জাতিসংঘের বা বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার যে নীতিমালা আছে বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে, তা যদি আমাদের দেশে বাস্তবায়ন করা যায় তবে ফাঁকির পরিমাণ কমিয়ে আনা যাবে। একটি আন্তর্জাতিক ফ্রেমওয়ার্কের মাধ্যমে করতে হবে। তা না হলে অন্য দেশ সুযোগ বেশি দিয়ে বিনিয়োগকারীদের নিয়ে যাবে। তাই আন্তর্জাতিক মানদণ্ড থাকলে এবং সবাই তা মানলে কর আদায় বাড়ানো যাবে।

তথ্যসূত্র : সমকাল

খোলাবাজারে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

Picture

সরকারি বাণিজ্য সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) গতকাল রোববার থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে পরিবেশকদের মাধ্যমে ট্রাকে করে খোলাবাজারে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে।
পরিবেশকেরা জানান, এবার টিসিবির পণ্যের মান ভালো। দামও বাজারের তুলনায় বেশ কম। ফলে পণ্যগুলো ক্রয়ে আগ্রহ দেখিয়েছেন ক্রেতারা। যে কারণে গতকাল দুপুরের পরপরই বেশির ভাগ জায়গায় পণ্য বিক্রি শেষ হয়ে গেছে।
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে টিসিবি পরিবেশকদের মাধ্যমে প্রতি কেজি ছোলা ৭০, দেশি চিনি ৪৮, মসুর ডাল ৯০ ও খেজুর ৯০ টাকা এবং সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮০ টাকা দরে বিক্রি করছে। ঢাকায় ৩২টিসহ সারা দেশে ১৭৯টি ট্রাকে এসব পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
ঢাকার বিভিন্ন বাজারে গতকাল প্রতি কেজি ছোলা ৯০-১০০ টাকা, চিনি ৫৮-৬২, বড় দানার মসুর ডাল ১০০-১১০, বোতলজাত সয়াবিন ৯০-৯৫ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
জানতে চাইলে টিসিবির পরিবেশক সমিতির সভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, বিভিন্ন এলাকায় ক্রেতারা সারি বেঁধে টিসিবির পণ্য কিনেছেন।
গতকাল দুপুরে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় টিসিবির পণ্যের বিক্রেতা মো. জিয়াউদ্দিন জানান, বেশি চাহিদা ছোলার। ৮০০ কেজি ছোলা দিয়েছিল। তা বিক্রি প্রায় শেষ।
চাহিদা থাকা সাপেক্ষে রমজান মাসের শেষ পর্যন্ত পণ্য বিক্রি চলবে বলে প্রথম আলোকে জানান টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির।

তথ্যসূত্র : প্রথমআলো

তৈরি পোশাক উৎ​পাদন বাড়লে কর্মসংস্থান বাড়ে: বিশ্বব্যাংক

তৈরি পোশাক উৎপাদন ১ শতাংশ বাড়লে বাংলাদেশে দশমিক ৩ থেকে দশমিক ৪ শতাংশ কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পায়। একই হারে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পায় ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায়। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের জন্য তৈরি করা চীনা পোশাকের দাম ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেলে বাংলাদেশে পুরুষদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পায় ৪ দশমিক ২২ শতাংশ।

আজ সোমবার প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের ‘তৈরি পোশাক খাতে দক্ষিণ এশিয়ার কর্মসংস্থান, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন’ শীর্ষক সমীক্ষা থেকে এ চিত্র পাওয়া গেছে। এ সমীক্ষা নিয়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) ও বিশ্বব্যাংক আলোচনা সভার আয়োজন করে। আগারগাঁওয়ে বিআইডিএস মিলনায়তনে এ আলোচনা সভায় বিভিন্ন খাতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর অর্থ–বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান বলেন, শুধু নিম্ন মজুরির ওপর নির্ভরশীল হয়ে তৈরি পোশাক খাতটি টেকসই করা উচিত হবে না। নিম্ন মজুরি হলো সাময়িক সুবিধা। তাই তিনি দক্ষ শ্রমশক্তি তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তথ্যসূত্র : প্রথমআলো

ফুলে ফুটছে কৃষকের স্বপ্ন

Picture

এক বিঘা জমিতে ফুলের চাষ করলে লাভ হয় ৪০ হাজার টাকার কাছাকাছি। ধান করলে লোকসান তিন থেকে চার হাজার টাকা। তাই বছর বছর ফুলের আবাদ বাড়াচ্ছেন যশোরের ঝিকরগাছার কৃষক রফিকুল ইসলাম। তিনি পাঁচ বছর আগেও মাত্র তিন বিঘা জমিতে ফুল চাষ করতেন, এখন সেটা ১২ বিঘা ছাড়িয়েছে।
রফিকুল ইসলামের মতো প্রায় ১৬ হাজার কৃষক এখন দেশে ফুল চাষ করছেন। ১২ হাজার একর জমি এসেছে ফুল চাষের আওতায়। উৎসবে, জাতীয় দিবসে, দৈনন্দিন প্রয়োজনে প্রায় ৮০০ কোটি টাকার ফুলের জোগান আসছে দেশের কৃষকদের কাছ থেকে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, মানুষের আয় বাড়ার সঙ্গে দেশে ফুলের চাহিদা বাড়ছে। উৎসবগুলো এখন আরও জমজমাটভাবে উদ্যাপিত হচ্ছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শোভা পাচ্ছে ফুল। বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, পারিবারিক অনুষ্ঠান হচ্ছে না ফুল ছাড়া। এমনকি ঘরেও মানুষ এখন তাজা ফুল রাখছে ফুলদানিতে।
দেশে যশোর, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, ময়মনসিংহ, সাভার, মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর, গাজীপুর, মেহেরপুর, রাঙামাটি, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় ফুল চাষ হয়। বাণিজ্যিকভাবে বেশি হয় গোলাপ, রজনীগন্ধা, গাঁদা, গ্লাডিওলাস ও জারবেরার চাষ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যানুযায়ী, ২০১২-১৩ অর্থবছরে দেশে ১৮৯ একর জমিতে গোলাপের চাষ হয়েছিল। গত বছর তা বেড়ে ২৮১ একরে উঠেছে। গাঁদা ফুল চাষ ৯২৬ থেকে বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৪৬৭ একর। রজনীগন্ধার আবাদ ৬৬৬ একর থেকে বেড়ে ২ হাজার ৩৩৯ একর হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের হিসাবে, শুধু চাষ নয়, পরিবহন ও বিক্রি মিলিয়ে ফুলবাণিজ্যের সঙ্গে প্রায় ২০ লাখ মানুষ জড়িত।
বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন ২০১৫ সালে দেশের ফুলের বাজার ও রপ্তানি সম্ভাবনা নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছিল। ওই প্রতিবেদনে দেখা যায়, এক একর জমিতে জারবেরা চাষ করলে একজন কৃষকের বছরে ২৫ লাখ টাকা মুনাফা হয়। এ ছাড়া গোলাপ চাষে দুই লাখ, গাঁদা চাষে এক লাখ ও গ্লাডিওলাস চাষে একরপ্রতি এক লাখ টাকা মুনাফা করতে পারেন কৃষকেরা।
যশোরের ফুলচাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, গত বছর বোরো ধানের আবাদ করে বিঘাপ্রতি তিন থেকে চার হাজার টাকা লোকসান হয়েছে। তাই এ বছর তিনি ১০ বিঘা থেকে কমিয়ে ৫ বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করেছেন। বাকি পাঁচ বিঘা ইজারা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ধানের চেয়ে ফুল চাষ অনেক লাভজনক। তাই তাঁর মতো যশোরের কৃষকেরা এখন অনেকেই ফুলের আবাদ বাড়াচ্ছেন।
বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আবদুর রহিম প্রথম আলোকে বলেন, রজনীগন্ধা, গোলাপ, গাঁদা, চন্দ্রমল্লিকার মতো ফুল চাষে দেশের কৃষকেরা অনেক আগে থেকেই সিদ্ধহস্ত। এখন তাঁদের জমিতে ফুটছে জারবেরা, গ্লাডিওলাসের মতো আমদানি-বিকল্প ফুল। এমনকি অর্কিডও আবাদ হচ্ছে দেশে। তাই এখন আর মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করতে হচ্ছে না।
আবদুর রহিম বলেন, দুই বছর আগে থেকে জারবেরা আমদানি একেবারেই কমে গেছে। আর গ্লাডিওলাস আমদানি বন্ধ হয়েছে প্রায় ১০ বছর হলো। ২০০৬ সাল থেকে গ্লাডিওলাসের বীজ উৎপাদন করছেন এ দেশের কৃষকেরা। এখন জারবেরার বীজ উৎপাদনের চেষ্টা চলছে। কিছু কিছু ফার্ম এখন অর্কিডও উৎপাদন করছে।
পোশাক খাতের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ডিআইআরডি গ্রুপ ময়মনসিংহের ভালুকায় গড়ে তুলেছে একটি অর্কিড ফার্ম, যার নাম দীপ্তা অর্কিডস। এখন সেই ফার্মের আকার প্রায় ২২ একর। সেখানে উৎপাদিত অর্কিড ঢাকার পাঁচ তারকা হোটেল ও কক্সবাজারের হোটেলে সরবরাহ করা হয় বলে জানান কোম্পানিটির বিপণন বিভাগের কর্মী তানভীর হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমদানি করা অর্কিড প্রতিটি ৩০ টাকা বা তার বেশি দরে বিক্রি হয়। আর আমরা বিক্রি করতে পারি ২০-২৫ টাকায়।’
সম্প্রতি ‘দেশিফুলডটকম’ নামের একটি ই-কমার্স সাইট গড়ে উঠেছে। তারা ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে অনলাইনে আদেশ নিয়ে ফুল সরবরাহ করছে।
ওই প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্য উন্নয়ন ব্যবস্থাপক আশরাফ উল জুবায়ের প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এ ব্যবসা শুরু করে মাস খানেকের মধ্যেই বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছি। প্রতিদিন ৭ থেকে ১০টি সরবরাহ আদেশ আসছে। ভবিষ্যতে আমরা বিনিয়োগ ও আওতা আরও বাড়াব।’
রপ্তানি সম্ভাবনা: বাংলাদেশ থেকে কিছু কিছু ফুল রপ্তানি হয়। তবে পরিমাণে নগণ্য। ব্যবসায়ীরা বলেন, সবজির সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে কিছু ফুল এ দেশের রপ্তানিকারকেরা পাঠিয়ে থাকেন। তবে সম্প্রতি মালয়েশিয়া ও জাপানে বাণিজ্যিকভাবে ফুল রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আবদুর রহিম বলেন, ফুলের কিছু নমুনা ওই দুই দেশে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো তারা কিছু জানায়নি।
পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ফুলের বাণিজ্য হয় নেদারল্যান্ডসকে ঘিরে। দেশটির ছোট শহর আলসমিরে এক বর্গকিলোমিটার আয়তনের একটি বাজার আছে, আর আছে একটি বিমানবন্দর। ওই বাজার ও বিমানবন্দর ব্যবহার করা হয় ফুলবাণিজ্যের জন্য।
ব্যবসায়ীরা বলেন, উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় ইথিওপিয়া, কেনিয়া, ইকুয়েডর, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ফুল আমদানি করে পুনরায় রপ্তানি শুরু করেছে নেদারল্যান্ডস। বাজার দেখে রিলায়েন্স, আইটিসি ও টাটার মতো বড় বড় প্রতিষ্ঠান ভারতে ফুল উৎপাদনে বিনিয়োগ করেছে।
ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আবদুর রহিম বলেন, বাংলাদেশ থেকে ফুল রপ্তানি বাড়ানো সম্ভব। এ জন্য অবকাঠামো গড়ে তুলতে হবে।

তথ্যসূত্র : প্রথমআলো