Business Blog

Displaying 71-80 of 98 results.

আয়কর রিটার্নের প্রকারভেদ

Picture

ব্যক্তি শ্রেণীর করদাতা ও কো¤পানী করদাতাদের জন্য পৃথক  পৃথক  রিটার্ন ফরম চালু আছে। যথাঃ-        
ব্যক্তি শ্রেণীর করদাতার জন্য রিটার্ন ফরমঃ         
      ●    আইটি-১১গ
    এ ফরম বাংলা ও ইংরেজী উভয় ভাষায় চালু আছে (পরিশিষ্ট-ঘ, পৃষ্ঠা নং-৪৭)। সকল ব্যক্তি শ্রেণীর করদাতা এ ফরমটি ব্যবহার     করতে পারবেন।
    
    ●    আইটি-১১ঙ
    রিটার্ন  ফরমটি  (IT-11-UMA)  কেবল  বেতনভোগী  করদাতাদের  জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে (পরিশিষ্ট-খ, পৃষ্ঠা নং-৩৮)।
    ●    আইটি-১১চ
    যে  সকল  ব্যক্তি  করদাতার  ব্যবসা  বা  পেশাখাতে  আয়  রয়েছে  এবং  এরূপ আয়ের  পরিমাণ  ৩  লক্ষ  টাকার      বেশী  নয়  সে  সকল  করদাতার  জন্য  এই আয়কর রিটার্ন  ফরম (IT-11CHA) প্রণয়ন করা হয়েছে (পরিশিষ্ট-গ, পৃষ্ঠা নং-৪৪)  

¯পট এ্যাসেসমেন্ট এর আওতাধীন করদাতাদের জন্য ভিন্ন রিটার্ন ফরমঃ
রিটার্ন ফরমটি  (IT-GAGA)  কেবলমাত্র ¯পট এ্যাসেসমেন্ট এর আওতাধীন ব্যবসা এবং ডাক্তার ও আইন পেশায় নিয়োজিত তুলনামূলক কম আয়ের নতুন করদাতাদের  জন্য  প্রযোজ্য  (পরিশিষ্ট-খ)।  ব্যবসার  ক্ষেত্রে  যাদের  ব্যবসার পুঁজি সর্বোচ্চ  ১৫  লক্ষ টাকা এবং ডাক্তার  বা আইনজীবী যারা অনধিক ১০ বছর  তাঁদের  পেশায়  নিয়োজিত  আছেন  তাঁরা  দুই  পৃষ্ঠার  ফরমটি  স্পট এ্যাসেসমেন্টের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবেন।

TIN (টিআইএন) সনদ এর প্রয়োজনীয়তা, ধারা 184A

Picture

অর্থ আইন, ২০১৪ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ১৮৪অ ধারা প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যমান বিধান অনুসারে ২৫টি ক্ষেত্রে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের নিকট টিআইএন সনদ দাখিলের ক্ষেত্রে ১ জুলাই, ২০১৪ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট ১২ ডিজিটের টিআইএন সনদ দাখিল করার বিধান করা হয়েছে।
(১)    আমদানির উদ্দেশ্যে ঋণপত্র (এলসি) খেলার সময়;
(২)    আমদানী রেজিষ্ট্রেশন সার্র্টিফিকেট পাওয়ার উদ্দেশ্যে আবেদনের সময়;
(৩)    সিটি কর্পোরেশন অথবা পৌরসভা এলাকা বা বিভাগীয় সদর দপ্তর এর ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করারর ক্ষেত্রে;
(৪)    চুক্তিকার্যকর, পন্য সরবরাহ বা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে দরপত্র দাখিলের সময়;
(৫)    কোম্পানী আইন ১৯৯৪-এর আওতায় নিবন্ধনকৃত কোন ক্লাবের সদস্য হবার জন্য আবেদন দাখিল করার সময়;    
(৬)    সাধারন বীমার সার্ভেয়ার হিসেবে তালিকাভুক্তি বা লাইসেন্স প্রাপ্তি বা নবায়নের সময়;
(৭)    সিটি করর্পোরেশন এলাকার মধ্যে অবস্থিত কোন ভূমি, ইমারত বা কোন ফ্ল্যাটের চুক্তিমূল্য যদি এক লক্ষ টাকার উর্ধেব হয় সে ক্ষেত্রে ঐ ভূমি ভবন বা ফ­টের ক্রয়ের রেজিষ্ট্রেশনের সময়। তবে সিটি করর্পোরেশন এলাকার মধ্যে অবস্থিত কোন  ভূমি ভবন বা কোন ফ্ল্যাটের ক্রেতা বাংলাদেশের অনিবাসী হইলে তার ক্রয়ের রেজিষ্ট্রেশনের সময় এর বিধান কার্যকর  হইবে না;
(৮)    কার, জিপ বা মাইক্রোবাসের নিবন্ধন, মালিকানা বদল বা ফিটনেস রেজিষ্ট্রেশন নবায়নের সময়;
(৯)    কোন বানিজ্যিক ব্যাংক বা লিজিং কোম্পানী কর্তৃক কোন ব্যাক্তিকে পাঁচ লক্ষ টাকার অধিক ঋণ বরাদ্দ দানকালে;
(১০)    ক্রেডিট কার্ড ইস্যুর সময়;
(১১)    ডাক্তার, চার্টার্ড একাউনন্ট্যান্ট, কষ্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট একাউনন্ট্যান্ট, আইনজীবি বা আয়কর পেশাজীবির পেশাদারীর লাইসেন্স অনুমোদনের সময়;
(১২)    যে কোন ধরনের ফোনের আই. এস. ডি সংযোগ প্রদান কালে;
(১৩)     কোম্পানি আইন ১৯৯৪ (১৯৯৪ সন এর ১৮নং আইন) এর আওতায় কোম্পানীর স্পন্সর ডাইরেক্টদের রেজিষ্ট্রেশনের  সময় এবং যে কোন শেয়ারহোল্ডারের সংশ্লিষ্ট কোম্পানীর পরিচালক হওয়ার ক্ষেত্রে;
(১৪)    মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) আইন ১৯৭৪ এর আওতায় নিকাহ রেজিষ্টারের লাইসেন্স প্রদানের সময়। তবে শর্ত থাকে যে, যে ব্যক্তি ইতোমধ্যে নিকাহ রেজিষ্টার হিসাবে লাইসেন্স প্রাপ্ত হয়েছে, তার ক্ষেত্রে অত্র বিধান কার্যকর হওয়ার  তিন মাসের মধ্যে টি.আই.এন সনদ সংগ্রহ করতে হবে;
(১৫)    কোন ব্যবসা সংস্থার সদস্য পদের জন্য আবেদন বা উহা নবায়নের সময়;  
(১৬)    ইমারত নির্মানের নিমিত্তে  রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ(রাজউক), চট্রগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ), খুলনা  উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ)  অনুমোদনের সময় টিআইএন সনদ দাখিল করতে হবে।
(১৭)    ড্রাগ লাইসেন্স ইস্যুর সময়;
(১৮)    সিটি করর্পোরেশন, পৌরসভা  বা ক্যান্টমেন্ট বোর্ড এর আওতাধীন এলাকায় বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে গ্যাস সংযোগের জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে ;
(১৯)    সিটি করর্পোরেশন, পৌরসভা  বা ক্যান্টমেন্ট বোর্ড এর আওতাধীন এলাকায় বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে ;
(২০)    ভাড়ায় চালিত বাস, ট্রাক, প্রাইমমুভার, লরী বা এরূপ পরিবহনের রেজিষ্ট্রেশন বা ফিটনেস নবায়নের সময় বা মালিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ;
(২১)    ভাড়ায় চালিত লঞ্চ, ষ্টীমার, ফিশিং ট্রলার, কার্গো, কোষ্টার, ডাম্প বার্জ ইত্যাদির সার্ভে সার্টিফিকেট ইস্যু বা নবায়ন; এবং
(২২)    ইন্সুরেন্স কোম্পানীর এজেন্টের সার্টিফিকেট রেজিষ্ট্রেশন বা নবায়ন;
(২৩)    জেলা সদরের পৌরসভার আওতাধীন এলাকায় জমি বা স্থাপনা রেজিস্ট্রেশনের সময় জমি স্থাপনার ক্রেতাকে;
(২৪)    ইট ভাটার মালিকগণকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে অনুমতিপত্র সংগ্রহের সময় এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র গ্রহণের সময় সংশ্লিষ্ট উপকর কমিশনারের দপ্তরের আয়কর পরিশোধ সনদপত্র (Tax Clearence Certificate) দাখিলের বিধান করা হয়েছে;
(২৫)    উপজেলা, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার ক্ষেত্রে ১২ ডিজিটের টিআইএন সনদ দাখিলের বিধান করা হয়েছে।

 

কোন ব্যক্তি নগদ ঋণ গ্রহণ করলে কত বৎসর পর্যন্ত ঋণ দেখানো যাবে এবং সীমা কি

 কোন ব্যক্তি নগদ ঋণ গ্রহণ করলে কত বৎসর পর্যন্ত ঋণ দেখানো যাবে এবং সীমা কি ?

করবর্ষ ২০০৯-২০২০ এর আগে ৫০,০০০ টাকার উপর নগদে ঋণ গ্রহণ করলে সেই ঋণের অংক পরবর্তী তিন বৎসরের মধ্যে ফেরত প্রদান না করা হলে পরবর্তী করবর্ষে তা ঋণ গ্রহীতার মোট আয়ের উপর অন্তর্ভুক্ত করা হত । অর্থ আইন ২০০৯ এর মাধ্যমে এই নগদে ঋণের সীমা  কোন ব্যক্তি নগদ ঋণ গ্রহণ করলে কত বৎসর পর্যন্ত ঋণ দেখানো যাবে এবং      সীমা কি ? উত্তর:   ১,০০,০০০ টাকা করা হয়েছে। অর্থ আইন ২০১২। অনুযায়ী কোম্পানি ব্যতীত যে কোন করদাতা কর্তৃক এক বা একাধিক উৎস থেকে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ অথবা দান বা নগদে এক বা একাধিক উৎস থেকে ৫ লাখ টাকার অধিক ঋণ বা দান গ্রহণের  ক্ষেত্রে ক্রসড চেক বা ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে এ ঋণ বা দান গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।   ক্রসড চেক বা ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যম ব্যতীত নগদে গৃহীত উপরোক্ত সীমা অতিক্রম করলে সম্পূর্ণ অংক করদাতার আয় হিসেবে বিবেচিত হবে। নিম্নে বর্ণিত উদাহরণ দ্বারা বিষয়টি স্পষ্ট করা হলোঃজনাব হোসেন ২০১৭-২০১৮ কর বছরে নিুরূপ ঋণ বা দান প্রদর্শন করেছেনঃ  * সোনালী ব্যাংকের ঋণ ৫০ লাখ টাকা;  * ভাইয়ের নিকট থেকে নগদে গৃহীত ঋণ ৩ লাখ টাকা;  * আতœীয়ের নিকট থেকে নগদে গৃহীত দান ৪ লাখ টাকা; এবং * পিতার নিকট থেকে ২০ লাখ টাকা মূল্যের জমি দলিলের মাধ্যমে দান প্রাপ্ত।  এক্ষেত্রে জনাব হোসেন সর্বমোট ৫৩ (৫০+৩) লাখ টাকা ঋণ হিসেবে প্রাপ্ত হয়েছেন। করদাতা ব্যাংকের মাধ্যমে  ৫০ লাখ টাকা ঋণ এবং ২০ লাখ টাকা মূল্যের জমি দান প্রাপ্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, ভাই ও আতœীয়ের নিকট থেকে নগদে ঋণ ও দান হিসেবে সর্বমোট ৭ (৩+৪) লাখ টাকা গ্রহণ করেছেন। ক্রসড চেক বা ব্যাংক ট্রান্সফার ব্যতীত ৭ লাখ টাকা ঋণ ও দান গ্রহণ করায় জনাব হোসেন এর ২০১৮-২০১৯ কর বছরে উক্ত ৭ লাখ টাকা আয় হিসেবে গন্য হবে।     ৫ লাখ টাকা বা তার কম পরিমাণ অর্থ কোন করদাতা নগদ ঋণ হিসেবে প্রাপ্ত আয় বছরের পরবর্তী ৩ বছরের মধ্যে পরিশোধ না করলে ৪র্থ বছরে এরূপ অপরিশোধিত ঋণ করযোগ্য আয় হিসেবে বিবেচনা হবে। অর্থ আইন ২০১৭ স্বামী, স্ত্রী, সন্তান এবং পিতা মাতার ক্ষেত্রে ব্যাংকিং মাধ্যম ((Banking Channel) জরিত থাকা বলতে বুঝাবে প্রদানকারী ও গ্রহণকারীর মধ্যে কমপক্ষে যে কোন একজনের ব্যাংক হিসাবে দান বা ঋণ প্রদান/ গ্রহণের প্রমাণ থাকবে।

 

মৃত ব্যক্তির আয়ের ক্ষেত্রে কর নির্ধারণ কিভাবে হবে?

মৃত ব্যক্তির আয়ের ক্ষেত্রে কর নির্ধারণ কিভাবে হবে?

(১) যেক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি মারা যায় তবে তিনি মারা না গেলে তার আইনগত প্রতিনিধি যে    পরিমাণ কর বা এ অধ্যাদেশের আওতায় অন্য কোন অর্থ পরিশোধের জন্য বাধিত থাকতেন ,   উক্ত পরিমাণ কর বা অন্য কোন দাবি একই উপায়ে পরিশোধের জন্য দায়ী থাকবেন এবং    এই অধ্যাদেশের উদ্দেশ্যে মৃত ব্যক্তির আইনগত প্রতিনিধিকে করদাতা হিসেবে বিবেচনা    করা হবেঃ তবে শর্ত থাকে যে,  মৃত ব্যক্তির আইনানুগ প্রতিনিধিকে করদাতা বিবেচনা করার পূর্বে,    উপ-কর কমিশনার তাঁর প্রতি এতদ্বিষয়ে বিজ্ঞতি প্রদান করিবেন। (২)  মৃত ব্যক্তির আয় নির্ধারণ এবং কর আদায়ের লক্ষ্যে(ক)  মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর পূর্বে তার বিরুদ্ধে কোন কার্যক্রম নেয়া হলে তা তার আইনানুগ       প্রতিনিধির বিরুদ্ধে নেয়া হয়েছে মর্মে বিবেচিত হবে এবং মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর তারিখে ঐ    কার্যক্রম যে স্তরে ছিল, সে স্তর থেকেই চালিয়ে যেতে হবে; এবং (খ)  মৃত ব্যক্তি জীবিত থাকলে তার বিরুদ্ধে যে কার্যক্রম নেয়া যেত আইনানুগ প্রতিনিধির    বিরুদ্ধেও একই কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে এবং অধ্যাদেশের সকল বিধান যতটুকু সম্ভব    এক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হবে। (৩)  অত্র অধ্যাদেশের অধীনে মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি যে পরিমাণ দায় পূরণে সক্ষম, আইনানুগ    প্রতিনিধির দায়ও সে পরিমাণই সীমাবদ্ধ থাকবে। (৪)  এই ধারার এবং এই অধ্যাদেশের অন্যন্য বিধানবলীর উদ্দ্যেশ্য সাধনকল্পে মৃত ব্যক্তির    অধিকার, স্বার্থ এবং দায় দায়িত্ব সম্পর্কযুক্ত আইনানুগ প্রতিনিধি মধ্যে অন্তর্ভুক্ত নির্বাহীক,    প্রশাসক এবং মৃত ব্যক্তির সম্পত্তির মোতায়াল্লীকেও।

 

গৃহ সম্পত্তির আয়

গৃহ সম্পত্তির আয় (আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ২৪ ও ২৫ ধারা অনুযায়ী):
কোন করদাতা তার বাড়ি আবাসিক বা বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য ভাড়া দিলে, সেই আয় রিটার্নের গৃহ সম্পত্তির আয়ের ঘরে দেখাবেন। যারা আট পাতার ফরম পূরণ করবেন (আইটি-১১গ) সেই ফরমের সাথে একটি তফসিল (তফসিল-২) দেয়া আছে। আর যারা তিন পাতার ফরম (ITUMA) ব্যবহার করবেন তারা আলাদা কাগজে দেখাবেন নতুন ফরমে Part-3-এ ৫২ নং Colum-এ Schedule-24B সিলেক্ট করতে হবে এবং উক্ত Schedule-এ বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত তথ্যগুলো ইনপুট দিতে হবে।

গৃহ সম্পত্তির
অবস্থান ও বর্ণনা
বিবরণ  টাকা  টাকা
বাড়ির অবস্থান
কত তলা উল্লেখ
 করতে হবে
১। ভাড়া বাবদ বার্ষিক আয়।
গৃহ সম্পত্তি ভাড়া দেয়া হলে ১২ মাসের ভাড়া দেখাতে হবে। যদি এক বা একাধিক মাস বাড়ি খালি থাকে সেক্ষেত্রেও ১২ মাসের ভাড়া দেখাতে হবে। তবে খালি থাকা মাসের ভাড়া নীচের আর একটি ঘরে খরচ হিসাবে দাবী করা যাবে
  ***
 

২। দাবীকৃত ব্যয়সমহঃ

 

 
  মেরামত,আদায়, ইত্যাদিঃ
(ক) আবাসিক ব্যবহারের জন্য ভাড়া দেয়া হলে বার্ষিক ভাড়ার উপর ২৫% মেরামত আদায় ইত্যাদি খরচ অনুমোদন যোগ্য।
(খ) বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য ভাড়া দেয়া হলে বার্ষিক ভাড়ার উপর ৩০% খরচ মেরামত , আদায়, ইত্যাদি খরচ অনুমোদনযোগ্য।
এই খরচের জন্য কোন প্রমাণ দাখিলের প্রয়োজন নেই।
***  
  পৌর কর/ ক্যান্টমেন্ট বোর্ড কর / স্থানীয় কর ***  
  ভূমি রাজস্ব ***  
  সংশিষ্ট গৃহ সম্পত্তি নিমার্ণ বা পুনঃ নির্মাণের জন্য ঋণ গ্রহণ করা হলে উক্ত ঋণের সুদ  ***  
  বীমা কিস্তি: সংশ্লিষ্ট গৃহ সম্পত্তির বীমা করা হলে ***  
  গৃহ সম্পত্তি খালি থাকার কারণে দাবিকৃত রেয়াত ***  
  অন্যান্য , যদি থাকে ***  
  মোট =   ***
  ৩। নীট আয়ঃ   ***

(i) বেতনভুক্ত করদাতাগণ এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ব্যবসায়ী বা পেশাজীবী করদাতাগণ আইটি-১১গ এর পরিবর্তে যথাক্রমে আইটি-১১ঙ ও আইটি-১১চ ব্যবহার করলে এরূপ তফসিল সংযোজনের প্রয়োজন নেই। তবে গৃহ সম্পত্তি খাতে আয় নিরূপণ করে একটি পৃথক বিবরণী আইটি-১১ঙ বা আইটি-১১চ এর সাথে সংযুক্ত করা যেতে পারে নতুন ফরমে Part-3-এ ৫২ নং Colum-G Schedule-24B সিলেক্ট করতে হবে এবং উক্ত Schedule
-এ বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত তথ্যগুলো ইনপুট দিতে হবে।
(ii) এস,আর,ও নং ২১৬-আইন/আয়কর/২০১৪, তারিখঃ ১৮ আগষ্ট, ২০১৪ এর মাধ্যমে বিধি ৮এ সংযোজন করে আয়কর অধ্যাদেশে হিসাব রক্ষণের পদ্ধতি বিষয়ক ধারা ৩৫ সংশোধন করা হয়েছে। এর ফলে এক বা একাধিক
ভাড়াটিয়ার নিকট থেকে বাড়ি ভাড়া বাবদ মাসিক সর্বমোট ২৫ হাজার টাকার বেশি প্রাপ্ত হলেই বাড়ির মালিককে ব্যাংক হিসাবে প্রাপ্ত ভাড়া জমা করতে হবে। বাড়ির মালিক (ব্যক্তি, ফার্ম, কোম্পানি বা অন্য যে কোন প্রতিষ্ঠান) কর্তৃক এ বিধান পরিপালন করা না হলে গৃহ সম্পত্তি বাবদ অর্জিত আয়ের উপর প্রদেয় আয়করের ৫০% অথবা ন্যূনতম ৫,০০০ টাকা (যেটি বেশি) হারে বাধ্যতামূলকভাবে জরিমানা আরোপিত হবে।
(iii) অর্থ আইন, ২০১৫ পরিপত্রে আনিত ব্যাখ্যা : গৃহ-সম্পত্তি খাতের আয় নিরূপণে আয়কর অধ্যাদেশের ধারা ২৫ এর উপ-ধারা
(১) এর ক্লজ (h) অনুযায়ী আবাসিক ভবনের বার্ষিক ভাড়া মূল্যের ২৫% এবং বাণিজ্যিক ভবনের ৩০% আইনানুগভাবে মেরামত, আদায়, ইত্যাদি খরচ হিসেবে অনুমোদন করা হয়। গৃহ-সম্পত্তির আয় গণনায় এরূপ ব্যয় দাবী সত্বেও কোন করদাতা আইনানুগভাবে অনুমোদিত এ খরচের সম্পূর্ণ বা অংশ বিশেষ মেরামত বাবদ খরচ হয়নি- এ যুক্তিতে যদি কোন অংক তার সম্পদ পরিবৃদ্ধির তহবিলের উৎস হিসেবে প্রদর্শন করেন, তবে সমপরিমাণ অংক অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশের ধারা ১৯ এ সংযোজিত উপ-ধারা (৩০) এর বিধানমতে “গৃহ-সম্পত্তি খাতে আয়” হিসেবে গণ্য হবে। ধরা যাক, একজন ব্যক্তি-করদাতা একটি আবাসিক ভবন ভাড়ায় প্রদান হতে আয় অর্জন করেন। উক্ত ভবনের বার্ষিক ভাড়ামূল্য ১২,০০,০০০ টাকা। আয়কর রিটার্নে তিনি গৃহ-সম্পত্তির আয় গণনায় আয়কর অধ্যাদেশের ধারা ২৫ এর উপ-ধারা (১) এর ক্লজ
(h) অনুযায়ী অনুমোদনযোগ্য খরচ ৩,০০,০০০ টাকা দাবী করেন। কিন্তু উক্ত অংক খরচ হয়নি দাবী করে তিনি সংশ্লিষ্ট কর বছরের সম্পদ পরিবৃদ্ধির উৎস ব্যাখ্যায় তা তহবিল হিসেবে প্রদর্শন করেন । এ ক্ষেত্রে নব প্রবর্তিত বিধান অনুযায়ী বিধিবদ্ধ ব্যয়ের অব্যয়িত সমুদয় অংক আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা ১৯ এর উপ- ধারা (৩০) এর বিধান অনুসারে“গৃহ-সম্পত্তির আয়” হিসেবে গণ্য হবে। অর্থাৎ, দাবী অনুযায়ী এ ধরণে অব্যয়িত সমুদয় অংক বা অংশ বিশেষের ক্ষেত্রে এ বিধান প্রযোজ্য হবে। ব্যক্তি-করদাতা ব্যতীত অন্যান্য পর্যায়ের করদাতাও যদি হিসাব বিবরণীতে গৃহ-সম্পত্তি খাতের আয় গণনায় দাবীকৃত এরূপ খরচ অব্যয়িত অংক হিসেবে প্রদর্শন করে, সেক্ষেত্রেও এ ধারার বিধানটি সমভাবে প্রযোজ্য হবে।

বেতনাদি (আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা ২১ এবং আয়কর বিধিমালা ১৯৮৪ এর বিধি ৩৩ অনুযায়ী)

বেতনাদি (আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা ২১ এবং আয়কর বিধিমালা ১৯৮৪ এর বিধি ৩৩ অনুযায়ী)
সাধারণতঃ মূল বেতন উৎসব ভাতা, মহার্ঘ ভাতা, পরিচারক ভাতা, সম্মানী ভাতা, ওভারটাইম ভাতা, স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিলে নিয়োগকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত চাঁদা এবং বিভিন্ন পারকুইজিটস (সুবিধা) বেতন খাতের করযোগ্য আয় হিসেবে বিবেচিত হয়। বেতনাদি ঘরটি পূরণ করার আগেই রিটার্ন ফরমের (আইটি ১১গ) তৃতীয় পৃষ্ঠায় বর্ণিত তফসিল-১ (বেতনাদি) পূরন করিতে হইবে। প্রয়োজনে করদাতা পৃথক কাগজে বেতন খাতের আয়ের হিসাব সংযোজন করিতে পারিবেন। তফসিল-১ (বেতনাদি) পূরণের পদ্ধতি নিচে আলোচনা করা হলো- (সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারি ব্যতীত) অর্থ আইন ২০১৬ দ্বারা নতুন রিটার্ন ফরমের সাথে তফসিল ২৪এ প্রবর্তন করা হয়েছে।

আয়ের বিস্তারিত বিবরণী সম্বলিত তফসিল-১ (বেতনাদি)
(সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী ব্যতীত)

 

বেতন ও ভাতাদি আয়ের
পরিমাণ (টাকা)
কর মুক্ত আয়ের পরিমান টাকা নীট করযোগ্য আয়
(টাকা)
মূল বেতন   করমুক্ত নয় সম্পূর্ণ অংশ করযোগ্য।
মহার্ঘ ভাতা   করমুক্ত নয় সম্পূর্ণ অংশ করযোগ্য।
যাতায়াত ভাতা (নগদে গৃহীত)   ৩০,০০০ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত ৩০,০০০ টাকার অবশিষ্ট
 অংশ।
বাড়ি ভাড়া ভাতা (নগদে গৃহীত)   ৩,০০,০০০ টাকা বা মূল বেতনের
৫০% এর মধ্যে যেটি কম তা করমুক্ত।
অবশিষ্ট অংশ
চিকিৎসা ভাতা  

-প্রাপ্ত মূল বেতনের ১০% অথবা বার্ষিক
১,২০,০০০ টাকা, এ দুটির মধ্যে যেটি
কম সে পরিমাণ অংক

-প্রতিবন্ধী এমপ্লয়ির ক্ষেত্রে ১০
লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা ভাতা কর মুক্ত
আয় হিসেবে গণ্য হবে।

- প্রাপ্ত ভাতার অবশিষ্ট অংশ

- কোম্পানির শেয়ার হোল্ডার
পরিচালক ব্যতীত অন্য কোন
এমপ্লয়ির ক্ষেত্রে হার্ট, কিডনি,
চক্ষু, লিভার এবং ক্যান্সার
সার্জাারীর জন্য প্রাপ্ত চিকিৎসা খরচ
কর মুক্ত হিসেবে বিবেচিত হবে।

পরিচারক ভাতা    করমুক্ত নয়  সম্পূর্ণ অংশ।
ছুটি ভাতা    করমুক্ত নয়  সম্পূর্ণ অংশ।
সম্মানী/ পুরস্কার/ ফি   করমুক্ত নয়  সম্পূর্ণ অংশ।
ওভার টাইম ভাতা/মহার্ঘভাতা   করমুক্ত নয়  সম্পূর্ণ অংশ।
বোনাস/এক্সগ্রোসিয়া    করমুক্ত নয়  সম্পূর্ণ অংশ
উৎসব ভাতা    করমুক্ত নয়  সম্পূর্ণ অংশ।
স্বীকৃত ভবিষ্যত তহবিলে
নিয়োগকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত চাঁদা
  করমুক্ত নয়  সম্পূর্ণ অংশ।
স্বীকৃত ভবিষ্যত তহবিলে
অর্জিত সুদ
  মূল বেতনের ১/৩ অংশ পর্যন্ত প্রাপ্ত সুদ
(এখানে বেতন বলতে মূল বেতন এবং
মহার্ঘ ভাতা বুঝাবে) অথবা সরকার কর্তৃক
নির্ধারিত হার ১৪.৫০% এ দুয়ের মধ্যে
যেটি কম
এর অতিরিক্ত করযোগ্য।
যানবাহন সুবিধার জন্যবিবেচিত আয়   যদি করদাতা ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য নিয়োগকর্তার
নিকট থেকে গাড়ি পান তাহলে মূল বেতনের ৫%
সরাসরি নীট অথবা বার্ষিক ৬০,০০০ টাকা, (দুটির মধ্যে
যেটি বেশি) সরাসরি নীট করযোগ্য আয় হবে।
মূল বেতনের ৫% বা ৬০,০০০ যেটি বেশি।
বিনামূল্যে বা হ্রাসকৃত ভাড়ায়প্রাপ্ত বাসস্থানের জন্য বিবেচিত আয়  

ক। যদি করদাতা নিয়োগকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত
বিনা ভাড়ায় সজ্জিত বা অ-সজ্জিত বাসস্থানে
বাস করেন তাহলে সাধারণভাবে মূল
বেতনের ২৫% করযোগ্য আয় হিসাবে গণ্য
হবে।

খ। যদি করদাতা নিয়োগকর্তা থেকে
হ্রাসকৃত ভাড়ায় সজ্জিত বা অ-সজ্জিত
বাসস্থান প্রাপ্ত হন সে ক্ষেত্রে সাধারণভাবে
মূল বেতনের ২৫% হতে প্রকৃত পরিশোধিত
ভাড়া বাদ দিয়ে পার্থক্য করযোগ্য আয়
হিসাবে গণ্য হবে।

 -মূল বেতনের ২৫% যোগ হবে

মূল বেতনের ২৫% = *
বাদঃ প্রকৃত ভাড়া =*
পার্থক্য করযোগ্য আয় হবে = *

অন্যান্য, যদি থাকে (বিবরণ
দিন)
  করদাতা যদি নিয়োগকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত
বাসস্থানে দারোয়ান, মালি, বাবুর্চী কিংবা
অন্য কোন সুবিধা পেয়ে থাকেন তবে প্রাপ্ত
সুবিধার সমপরিমাণ আর্থিক মূল্য করযোগ্য
আয় হিসাবে দেখাতে হবে।
এ সকল সুবিধার আর্থিক
মূল্য
ছুটি নগদায়ন   করমুক্ত নয়  করযোগ্য।
পেনশন   করমুক্ত  শূন্য
গ্র্যাচুইটি   ২.৫ কোটি টাকা পর্যন্ত করমুক্ত। ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার অতিরিক্ত অংক করযোগ্য
Workers Participation
Fund
  ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত। ৫০,০০০ টাকার অবশিষ্ট অংশ


 

আয়কর আইনে কি ধরণের আয়ের খাতসমূহ হিসেবে আনতে হবে

আয়কর আইনে কি ধরণের আয় হিসেবে আনতে হবে অর্থাৎ আয়ের খাতসমূহ:
আয়কর অধ্যাদেশের ধারা-২০ মোতাবেক আয়কর ধার্য্যরে জন্য এবং মোট আয় নির্ণয়ের জন্য সকল আয়কে নিম্নেবর্ণিত খাতে বিভক্ত করে
হিসাবে করতে হবে, যথাঃ
(ক) বেতন
(খ) নিরাপত্তা (সিকিউরিটির) উপর সুদ
(গ) গৃহ সম্পত্তি হতে আয়
(ঘ) কৃষি আয়
(ঙ) ব্যবসা বা পেশা হতে আয়
(চ) ফার্মের আয়ের অংশ
(ছ) স্বামী/স্ত্রী বা অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের আয় (আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ৪৩ (৪) ধারা অনুযায়ী)
(জ) মূলধনী আয়
(ঝ) অন্যান্য উৎস হতে আয়

রিটার্নের সাথে যে সকল ডকুমেন্ট দাখিল করতে হবে

রিটার্নের সাথে যে সকল ডকুমেন্ট দাখিল করতে হবে
বিভিনড়ব উৎসের আয়ের স্বপক্ষে যে সকল ডকুমেন্টের ফটোকপি দাখিল করতে হবে আয়ের খাতওয়ারী সেগুলোর একটি তালিকা নিচে দেয়া হলোঃ
বেতন খাতঃ
(ক) বেতন বিবরণী;
(খ) ব্যাংক এ্যাকাউন্ট থাকলে কিংবা ব্যাংক সুদ খাতে আয় থাকলে ব্যাংক বিবরণী বা ব্যাংক সার্টিফিকেট;
(গ) বিনিয়োগ ভাতা দাবি থাকলে তার সপক্ষে প্রমাণাদি। যেমন , জীবন বীমার পলিসি থাকলে প্রিমিয়াম পরিশোধের প্রমাণ।

নিরাপত্তা জামানতের সুদ খাতঃ
(ক) বন্ড বা ডিবেঞ্চার যে বছরে কেনা হয় সে বছরে বন্ড বা ডিবেঞ্চারের ফটোকপি;
(খ) সুদ আয় থাকলে সুদ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়নপত্র;
(গ) ব্যাংক বা প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ নিয়ে বন্ড বা ডিবেঞ্চার কেনা হয়ে থাকলে ঋণের সুদের সমর্থনে ব্যাংক সার্টিফিকেট/ব্যাংক বিবরণী বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রত্যায়নপত্র;

গৃহ সম্পত্তি খাতঃ
(ক) বাড়ি ভাড়ার সমর্থনে ভাড়ার চুক্তিনামা বা ভাড়ার রসিদের কপি, মাসভিত্তিক বাড়ি ভাড়া প্রাপ্তির বিবরণ এবং প্রাপ্ত জমা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাব বিবরণী
(খ) পৌর কর, সিটি কর্পোরেশন কর, ভূমি রাজস্ব প্রদানের সমর্থনে রসিদের কপি;
(গ) ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে বাড়ি কেনা বা নির্মাণ করা হয়ে থাকলে ঋণের সুদের সমর্থনে ব্যাংক সার্টিফিকেট;
(ঘ) গৃহ সম্পত্তি বীমাকৃত হলে বীমার প্রিমিয়ামের রসিদের কপি।


মূলধনী মুনাফাঃ
(ক) স্থাবর সম্পত্তি বিμয়ের দলিলের কপি;
(খ) উৎসে আয়কর জমা হলে তার চালান/পে-অর্ডারের ফটোকপি;
(গ) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কো¤পানীর শেয়ার লেনদেন থেকে মুনাফা হলে এ সংμান্ত প্রত্যায়নপত্র;


অন্যান্য উৎসের আয়ের খাতঃ
(ক) লভ্যাংশ খাতে আয় থাকলে ব্যাংক বিবরণী, ডিভিডেন্ট ওয়ারেন্টের কপি বা সার্টিফিকেট;
(খ) সঞ্চয়পত্র হতে সুদ আয় থাকলে সঞ্চয়পত্র ভাঙ্গানোর সময় বা সুদ প্রাপ্তির সময় নেয়া সার্টিফিকেটের কপি;
(গ) ব্যাংক সুদ আয় থাকলে ব্যাংক বিবরণী/সার্টিফিকেট;
(ঘ) অন্য যেকোন আয়ের উৎসের জন্য প্রাসংগিক কাগজপত্র।
আয়কর পরিশোধ (উৎসে কর কর্তনসহ)ঃ
(ক) কর পরিশোধের সমর্থনে চালানের কপি, পে-অর্ডার/ব্যাংক ড্রাফট/ একাউন্ট পেয়ী চেকের কপি; ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয়কর ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে পরিশোধ করা যায়। এর
ঊর্ধ্বে আয়কর পরিশোধের ক্ষেত্রে পে-অর্ডার/ব্যাংক ড্রাফট/একাউন্ট পেয়ী চেক ব্যবহার করতে হবে। তবে যে কোন অংকের কর পে-অর্ডারের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে।
(খ) যে কোন খাতের আয় হতে উৎসে আয়কর পরিশোধ করা হলে কর কর্তনকারী কর্তৃপক্ষের প্রত্যায়নপত্র।

রিটার্ন দাখিল না করলে?

রিটার্ন দাখিল না করলে?
কোন করদাতা আয়কর অধ্যাদেশের ৭৫ ধারানুসারে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থ হলে তার উপর আয়কর অধ্যাদেশের ১২৪ ধারা অনুযায়ী জরিমানা, ৭৩ ধারা অনুযায়ী ৫০ শতাংশ অতিরিক্ত সরলসুদ এবং ৭৩এ ধারা অনুযায়ী বিলম্ব সুদ (delay interest)) আরোপযোগ্য হবে। যে ক্ষেত্রে করদাতা রিটার্ন দাখিলের জন্য সময়ের আবেদন করে উপ কর কমিশনার কর্তৃক মঞ্জুরকৃত বর্ধিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করবেন, সে ক্ষেত্রে করদাতার উপর জরিমানা আরোপিত হবে না, তবে অতিরিক্ত সরলসুদ ও বিলম্ব সুদ আরোপিত হবে।

রিটার্ন কোথায় দাখিল করতে হবে?

রিটার্ন কোথায় দাখিল করতে হবে?

প্রত্যেক শ্রেণির করদাতার রিটার্ন দাখিলের জন্য আয়কর সার্কেল ঠিক করা আছে। করদাতাগণ তাঁদের নাম, চাকুরীস্থল বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানার ভিত্তিতে নির্ধারিত আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন।
ঢাকার মধ্যে অবস্থিত করদাতাদের জন্য প্রযোজ্য:
১। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও লিমিটেড কোম্পানি কর্মকর্তা কর্মচারীদের সার্কেল:

১ম বর্ণ  ২য় বর্ণ  সার্কেল  কর অঞ্চল
A অদ্যাক্ষরবিশিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের  ৪৮  ০৩
B & C অদ্যাক্ষরবিশিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের  ৫৪  ০৩
D & E অদ্যাক্ষরবিশিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের  ৬৩  ০৩
F অদ্যাক্ষরবিশিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের  ৪৮  ০৩
G গ্রামীণ ফোনের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ  ২৭৪  ১৩
G অদ্যাক্ষরবিশিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের(গ্রামীণ ফোন ব্যতীত)  ২৬৮  ১৩
H & I অদ্যাক্ষরবিশিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের  ২৭৮  ১৩
J & K অদ্যাক্ষরবিশিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের  ২৮৩  ১৩
L অদ্যাক্ষরবিশিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের  ১৪২ 
M অদ্যাক্ষরবিশিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের  ১৪৬ 
N & O অদ্যাক্ষরবিশিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের  ২৪৭  ১২
P & Q অদ্যাক্ষরবিশিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের  ২৫২  ১২
R অদ্যাক্ষরবিশিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের  ২৫৬  ১২
S অদ্যাক্ষরবিশিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের  ২৬১  ১২
T অদ্যাক্ষরবিশিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের  ২৫৭  ১২
U & V অদ্যাক্ষরবিশিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের  ২৫৩  ১২
W অদ্যাক্ষরবিশিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের  ২৫৭  ১২
X,Y & Z অদ্যাক্ষরবিশিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের  ১৫১  ০৭


২। সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের সার্কেল (সামরিক কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ডাক্তার ব্যতীত) :

বর্ণ অক্ষর  সার্কেল  কর অঞ্চল
যাহাদের নামের অদ্যাক্ষর (A,B,C) তাহাদের মামলা  ৭১ 
যাহাদের নামের অদ্যাক্ষর (D,E,F,G,H,I,J,K,L) তাহাদের মামলা   ৭৫
যাহাদের নামের অদ্যাক্ষর (M) তাহাদের মামলা  ৭৬ 
যাহাদের নামের অদ্যাক্ষর (N,O,P,Q,R,S) তাহাদের মামলা  ৮০ 
যাহাদের নামের অদ্যাক্ষর (T,U,V,W,X,Y,Z) তাহাদের মামলা  ৮৫ 

৩। সামরিক কর্মকর্তাকর্মচারীদের সার্কেল:

বর্ণ অক্ষর  সার্কেল  কর অঞ্চল
যাহাদের নামের অদ্যাক্ষর (A হইতে H) তাহাদের মামলা  ১৮৬ 
যাহাদের নামের অদ্যাক্ষর (I হইতে P) তাহাদের মামলা  ১৯০ 
যাহাদের নামের অদ্যাক্ষর (Q হইতে Z) তাহাদের মামলা  ১৯৫ 

৪। সরকারি স্কুল, কলেজ এর শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের সার্কেল:

বর্ণ অক্ষর  সার্কেল  কর অঞ্চল
যাহাদের নামের অদ্যাক্ষর (A হইতে Z) তাহাদের মামলা  ২২৯  ১১

৫। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের সার্কেল:

বর্ণ অক্ষর  সার্কেল  কর অঞ্চল
যাহাদের নামের অদ্যাক্ষর (A হইতে Z) তাহাদের মামলা  ২৩১  ১১

৬। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মামলা এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের সার্কেল:

বর্ণ অক্ষর  সার্কেল  কর অঞ্চল
যাহাদের নামের অদ্যাক্ষর (A হইতে M) তাহাদের মামলা  ২২৮  ১১
যাহাদের নামের অদ্যাক্ষর (N হইতে Z) তাহাদের মামলা  ২৩৩  ১১
যাহাদের নামের অদ্যাক্ষর (A হইতে Z) তাহাদের মামলা (শিক্ষক-শিক্ষিকা)  ২৩০  ১১

৭। সরকারি স্বায়ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োজিত শিক্ষক/শিক্ষিকা ও কর্মকর্তা কর্মচারীগণের কর সার্কেল:

বর্ণ অক্ষর  সার্কেল কর অঞ্চল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, সরকারি মেডিকেল ও বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত ঢাকা জেলায়  ২৩৮  ১১
অবস্থিত স্বায়ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োজিত শিক্ষক/শিক্ষিকা ও কর্মকর্তা    
কর্মচারীগণের কর মামলাসমূহ।    

৮। সরকারি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজ কর্মকর্তা কর্মচারীদের সার্কেল:

বর্ণ অক্ষর  সার্কেল কর অঞ্চল
কোম্পানি পর্যায়ভুক্ত ব্যতিত (অ হইতে খ) তাহাদের মামলা  ২১৩  ১১
কোম্পানি পর্যায়ভুক্ত ব্যতিত (গ হইতে ত) তাহাদের মামলা  ২১৯  ১১

৯। প্রাইভেট কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এবং তাদের শিক্ষক শিক্ষিকা কর্মকর্তা কর্মচারীদের সার্কেল:

বর্ণ অক্ষর  সার্কেল কর অঞ্চল
যাহাদের নামের অদ্যাক্ষর (অ হইতে ত) তাহাদের মামলা  ২৩৯  ১১


১০। বিভিনড়ব ব্যাংকে কর্মরত কর্মকর্তাকর্মচারীদের সাকের্ল:

বর্ণ অক্ষর  সার্কেল কর অঞ্চল
১। গ্রামীণ ব্যাংক ২। এনসিসি ব্যাংক ৩। ব্যাংক এশিয়া ৪। ওয়ান ব্যাংক
৫। স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া ৬। ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক 
১১৪ 
১। সিটি ব্যাংক এন.এ ২। ঢাকা ব্যাংক লিঃ ৩। ইস্টার্ন ব্যাংক লিঃ
৪। আইএফআইসি ব্যাংক লিঃ ৫। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ 
৬। সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিঃ
১২০ 
১। এ বি ব্যাংক লিঃ ২। আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিঃ
৩। ব্র্যাক ব্যাংক লিঃ ৪। এক্সিম ব্যাংক লিঃ ৫। প্রাইম ব্যাংক লিঃ 
৬। স্ট্যান্ডার্ড চার্টাড ব্যাংক লিঃ ৭। উত্তরা ব্যাংক লিঃ
১২৪ 
১। যমুনা ব্যাংক লিঃ ২। ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ঢাকা ৩। পূবালী ব্যাংক লিঃ ৪। ইউসিবিএল ট্রাস্ট ব্যাংক লিঃ  ১২৭ 
১। আমেরিকান এক্সপ্রেস ব্যাংক ২। ব্যাংক আলফালা ৩। ডাচ্ বাংলা ব্যাংক লিঃ ৪। এইচএসবিসি ৫। মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিঃ ৬। ন্যাশনাল ব্যাংক লিঃ ৭। শাহ্ জালাল ইসলামী ব্যাংক লিঃ ৮। দি সিটি ব্যাংক লিঃ ৯। উরী ব্যাংক ১২৯ 
১। কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন ২। আই.সি.বি. ইসলামিক ব্যাংক লিঃ
৩। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিঃ ৪। প্রিমিয়ার ব্যাংক লিঃ ৫। সোস্যাল ইসলামিক ব্যাংক লিঃ ৬। এনআরবি কমার্সিয়াল ব্যাংক লিঃ ৭। ইউনিয়ন ব্যাংক লিঃ ৮। সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কমার্স ব্যাংক লিঃ ৯। মেঘনা ব্যাংক লিঃ ১০। মিডল্যান্ড ব্যাংক লিঃ ১১। দি ফারমার্স ব্যাংক লিঃ ১২। এনআরবি ব্যাংক লিঃ ১৩। মধুমতি ব্যা ংক লিঃ ১৪। এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক লিঃ ১৫। হাবিব ব্যাংক লিঃ
১৩২ 
১। অগ্রনী ব্যাংক লিঃ  ৩১২  ১৫
১। জনতা ব্যাংক লিঃ।  ৩১৮  ১৫
১। বাংলাদেশ ব্যাংক, ২। বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক।  ৩২২  ১৫
১ সোনালী ব্যাংক লিঃ ২। ইনফ্রাস্টাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিঃ।  ৩২৭  ১৫
১। রূপালী ব্যাংক লিঃ ২। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক লিঃ ৩। বেসিক ব্যাংক লিঃ
৪। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ৫। রাজশাহী কৃষি উনড়বয়ন ব্যাংক (ঢাকা লিয়াজো অফিস) 
৩৩০  ১৫