Business Blog

Displaying 81-90 of 98 results.

আয়কর রিটার্ন কি? আয়কর রিটার্ন কারা দেবেন?

আয়কর রিটার্ন কি?
আয়কর রিটার্ন হলো সরকার কর্তৃক নির্ধারিত একটি কাঠামোবদ্ধ ফরম যার মধ্যে করদাতা তাঁর
আয়-ব্যয়, সম্পদ ও দায়ের তথ্য লিখে আয়কর অফিসে দাখিল করেন। ব্যক্তি শ্রেণীর করদাতা ও
কোম্পানি করদাতাদের জন্য পৃথক রিটার্ন রয়েছে। ব্যক্তি শ্রেণির করদাতার রিটার্ন ফরম বাংলা ও
ইংরেজী উভয় ভাষায় পাওয়া যায়।
আয়কর রিটার্ন কারা দেবেন
কোন ব্যক্তি (individual) করদাতার আয় যদি বছরে ২,৫০,০০০ টাকার বেশি হয় তবে তাকে
রিটার্ন দিতে হবে। মহিলা এবং ৬৫ বছর বা তদুর্ধ্ব বয়সের পুরুষ করদাতার আয় যদি বছরে
৩,০০,০০০ টাকার বেশি, প্রতিবন্ধী করদাতার আয় যদি বছরে ৪,০০,০০০ টাকার বেশি এবং
গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার আয় যদি বছরে ৪,২৫,০০০ টাকার বেশি হয় তাহলে ঐ
করদাতাকে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। তবে নি¤ড়ববর্ণিত ক্ষেত্রসমূহে আয়ের পরিমাণ যা-ই
হোক না কেন, ব্যক্তি-করদাতাকে সংশ্লিষ্ট আয় বছরের জন্য আবশ্যিকভাবে আয়কর রিটার্ন দাখিল
করতে হবে:
(ক) যদি আয় বছরে করদাতার মোট আয় করমুক্ত সীমা অতিμম করে;
(খ) আয় বছরের পূর্ববর্তী তিন বছরের যে কোন বছর করদাতার কর নির্ধারণ হয়ে থাকে বা তার
আয় করযোগ্য হয়ে থাকে;
(গ) করদাতা যদি-
১. কোন কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার পরিচালক বা শেয়ারহোল্ডার বসঢ়ষড়ুবব হন;
২. কোন ফার্মের অংশীদার হন;
৩. সরকার অথবা সরকারের কোন কর্তৃপক্ষ, কর্পোরেশন, সত্তা বা ইউনিটের বা প্রচলিত কোন
আইন, আদেশ বা দলিলের মাধ্যমে গঠিত কোন কর্তৃপক্ষ, কর্পোরেশন, সত্তা বা ইউনিটের
কর্মচারী (employe) হয়ে আয় বছরের যে কোন সময় ১৬,০০০ টাকা তদূর্ধ্ব পরিমাণ
মূল বেতন আহরণ করে থাকেন;
৪. কোন ব্যবসায় বা পেশায় নির্বাহী বা ব্যবস্থাপনা পদে (যে নামেই অভিহিত হোক না কেন)
বেতনভোগী কর্মী (employe) হন;
(ঘ) আয় বছরে করদাতার আয় কর অব্যহতি প্রাপ্ত বা হ্রাসকৃত হারে করযোগ্য হয়ে থাকে;
(ঙ) যদি আয় বছরের কোন এক সময়ে নি¤ড়ববর্ণিত শর্তের যে কোনটি করদাতার জন্য প্রযোজ্য হয়-
১. মোটর গাড়ির মালাকানা থাকা (মোটর গাড়ি বলতে জীপ বা মাইক্রবাসকেও বুঝাবে);
২. মূল্য সংযোজন কর আইনের অধীন নিবন্ধিত কোন ক্লাবের সদস্যপদ থাকা;
৩. কোন সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা অথবা ইউনিয়ন পরিষদ হতে ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ করে
কোন ব্যবসা বা পেশা পরিচালনা;
৪. চিকিৎসক, দন্তচিকিৎসক, আইনজীবী, চার্টার্ড একাউন্টেন্ট, কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট
এ্যাকাউন্টেন্ট, প্রকৌশলী, স্থপতি, সার্ভেয়ার অথবা সমজাতীয় পেশাজীবী হিসেবে কোন
স্বীকৃত পেশাজীবী সংস্থার নিবন্ধন থাকা;
৫. আয়কর পেশাজীবী (income tax practitioner) হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নিবন্ধন থাকা;
৬. কোন বণিক বা শিল্প বিষয়ক চেম্বার বা ব্যবসায়িক সংঘ বা সংস্থার সদস্যপদ থাকা;
৭. কোন পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশনের কোন পদে বা সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হওয়া;
৮. কোন সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা কোন স্থানীয় সরকারের কোন টেন্ডারে অংশগ্রহণ করা;
৯. কোন কোম্পানির বা কোন গ্রæপ অব কোম্পানিজের পরিচালনা পর্ষদে থাকা;
১০. রাইড শেয়ারিং ব্যবস্থায় মোটরযান প্রদান করা।
১১। মাইμোডিট বেগুলেটরি অথোরিটি’র নিবন্ধিত মাইক্রক্রেডিট প্রতিষ্ঠান হওয়া;
১২। বাংলাদেশে স্থায়ী স্থাপনার (Permanent establishment) মাধ্যমে ব্যবসায় আয়
উপার্জনকারী অনিবাসী হওয়া।

নতুন আইনে উৎসে মূসক কর্তনের বিধান

নতুন আইনে উৎসে মূসক কর্তনের বিধান
️ মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ এর ৩য় তফসিলে উল্লিখিত হ্রাসকৃত হার (১০%, ৭.৫%,৫%) বা সুনির্দিষ্ট কর প্রযোজ্য এমন পণ্য/সেবা সরবরাহের সময় চালানপত্রে উল্লিখিত সমুদয় কর উৎসে কর্তন করতে হবে। ৩য় তফসিল ডাউনলোড করার জন্য নিচের লিংকে ক্লিক করুন
http://nbr.gov.bd/uploads/acts/Finance_Act_2019_BG_Press.pdf
১৯২২৬ পৃষ্ঠা থেকে ১৯২৩৮ পৃষ্ঠা পর্যন্ত ৩য় তফসিলের পণ্য ও সেবার তালিকা রয়েছে।
☘️ উৎসে কর্তনের ক্ষেত্রে ভ্যাট হবে ২বার। একবার সরবরাহের সময়। বিক্রেতা প্রদেয় হিসাবে সমুদয় মূসক মাসশেষে দাখিলপত্রের মাধ্যমে পরিশোধ করবেন। ২য় বার উৎসে কর্তনের সময়। ক্রেতা ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে বা দাখিলপত্রে বৃদ্ধিকারী সমন্বয়ের মাধ্যমে ভ্যাট পরিশোধ করবেন। তবে মূসক-৬.৬ প্রাপ্তি সাপেক্ষে উৎসে কর্তিত মূসক সরবরাহকারী বিক্রেতা তার দাখিলপত্রে হ্রাসকারী সমন্বয় করতে পারবেন।
☘️ সকল ক্রয় বিক্রয়ে মূসক-৬.৩ চালানপত্র ব্যবহার করতে হবে। চালানপত্র ছাড়া ক্রয় করা যাবে না। বিক্রয়ও করা যাবে না।
☘️ উৎসে কর্তনকারী কর্তৃক সেবার সরবরাহ গ্রহণকালে সেবার সঠিক ব্যাখ্যার আলোকে সেবার কোড এবং প্রযোজ্য হার সম্পর্কে জেনে যথাযথ সেবার কোড ও মূসকের হার নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য http://nbr.gov.bd/uploads/sros/VATSRO-1861.pdf লিংকটিতে ক্লিক করে সেবাসমূহের সঠিক ব্যাখ্যা ও পরিধি জানা যাবে।
☘️ উৎসে কর্তনকারী ১ম তফসিল দ্বারা অব্যাহতিপ্রাপ্ত পণ্য/সেবার ক্রয় ব্যাতীত অনিবন্ধিত কোন সরবরাহকারী হতে কোন কিছু ক্রয় করতে পারবেন না।
☘️ সকল ক্রয় মূল্য মূসকসহ (vat inclusive) হিসাব করতে হবে।
☘️ নিবন্ধিত উৎসে কর্তনকারী মূসক-৬.৩ প্রাপ্তি সাপেক্ষে যথাসম্ভব দ্রুত বিল পরিশোধ করবেন এবং ৩ কার্যদিবসের মধ্যে মূসক-৬.৬ ইস্যু করবেন, যাতে সরবরাহকারী সরবরাহের তারিখ হতে ৬ মাসের মধ্যে তা হ্রাসকারী সমন্বয় করতে পারেন। উৎসে কর্তনকারী অনিবন্ধিত হলে বিল পরিশোধের তারিখ হতে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে সরবরাহকারী যে কমিশনারেটের অধীন নিবন্ধিত তার অর্থনৈতিক কোডে ট্রেজারী চালানে কর্তিত মূসক জমা দিয়ে সরবরাহকারীকে মূসক-৬.৬ প্রদান করবেন। মনে রাখবেন, উৎসে মূসক কর্তনের ক্ষেত্রে মূসক ৬.৬ ইস্যু করতে কর্তনকারী আইনত: বাধ্য।
☘️ নিম্নোক্ত ক্ষেত্রে উৎসে ভ্যাট কর্তন করতে হবে না:
(ক) যেক্ষেত্রে মূসক ৬.৩ এর মাধ্যমে ১৫% মূসক আদায় করে কোন সরবরাহ প্রদান করা হয়;
(খ) যেক্ষেত্রে মূসক ৬.৩ এর মাধ্যমে শুণ্য হারবিশিষ্ট কোন সরবরাহ প্রদান করা হয়;
(গ) যেক্ষেত্রে অব্যাহতিপ্রাপ্ত কোন সরবরাহ প্রদান করা হয়; এবং
(ঘ) জ্বালানি তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ, টেলিফোন ও ওয়াসা বিল পরিশোধের সময়।

১ নভেম্বর থেকে আমদানিকারকদের পক্ষে ঋণপত্র (এলসি) ইস্যু করা যাবে না যদি তাদের ১৩ ডিজিটের মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট (অনলাইন) নিবন্ধন না থাকে

Picture

১৩ ডিজিটের মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট (অনলাইন) নিবন্ধন না থাকলে আগামী ১ নভেম্বর থেকে আমদানিকারকদের পক্ষে ঋণপত্র (এলসি) ইস্যু করা যাবে না। সোমবার (৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি পত্র জারি করেছে।
এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছিল। এনবিআরের ওই নির্দেশনা অনুসরণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে চিঠি দিয়েছে।
ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের পরিচালক (কমিশনার) সৈয়দ মুসফিকুর রহমানের সই করা ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ১৩ ডিজিট বা সংখ্যার নিবন্ধন ছাড়া অনলাইনে মাসিক রিটার্ন দাখিল করা সম্ভব নয়।
এদিকে, ১৩ সংখ্যার নিবন্ধন নেওয়ার সময় আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এই সময়ের পর কোনও বাণিজ্যিক ব্যাংক পুরনো নিবন্ধনের বিপরীতে এলসি খুলতে পারবে না।
এনবিআরের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, গত ১ জুলাই থেকে মূসক বা ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক আইন কার্যকর হয়েছে। এটির ব্যবস্থাপনা অনলাইনভিত্তিক হওয়ায় এর আওতায় ভ্যাট নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্যভাণ্ডার হালনাগাদ করা দরকার। এ লক্ষ্যে সব করদাতাকে পুরনো ১১ অথবা ৯ সংখ্যার মূসক নিবন্ধনের পরিবর্তে ১৩ সংখ্যার নিবন্ধন নিতে হবে।


সূত্র : এ. কে. এম. মাহবুবুর রহমান , mahbub.cus5@gmail.com

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন আইন হচ্ছে

মূলধনের ১০%-এর বেশি টাকা পুঁজিবাজারে খাটানো যাবে না

মূলধনের ১০ শতাংশের বেশি অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে অব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য নতুন আইন তৈরি হচ্ছে।


তবে কোনো প্রতিষ্ঠানের যদি অগ্রাধিকার শেয়ার থাকে আর সেই শেয়ারে বিনিয়োগ যদি কোম্পানির উদ্যোগ বা প্রচেষ্টা মূলধনের (ভেনচার ক্যাপিটাল) অংশ হয়, তাহলে এই বিনিয়োগের পরিমাণ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মূলধনের সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ হতে পারবে।


কিন্তু কোনোভাবেই সাধারণ ও অগ্রাধিকার শেয়ার মিলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ তার মোট আমানতের (দায়) ১০ শতাংশের বেশি হবে না।


বর্তমানে বিদ্যমান আইন ও বিধিবিধান অনুসারে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো শেয়ারবাজারে মূলধনের ২৫ শতাংশ এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারে।


অন্যদিকে নতুন আইনে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর একক কোনো কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ বিনিয়োজিত কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।


কিন্তু আইন প্রণয়নের দিনে এই হারের চেয়ে বেশি কোনো একক কোম্পানির শেয়ার কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হাতে থাকলে ১৫ দিনের মধ্যে তা বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে হবে।


এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্ধারিত সময়ে বিনিয়োগ উল্লিখিত আইনি সীমার মধ্যে নামিয়ে আনতে হবে। তবে তা দুই বছরের বেশি হবে না বলে খসড়া আইনে উল্লেখ করা হয়েছে।


২০০৮ সালে বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানগুলোর দেউলিয়া হওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা দেখা যায়। বাংলাদেশে ২০১০ সালের শেষ ভাগে শেয়ারবাজারে যে বিপর্যয় নেমে আসে, এর আগে ও পরে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়।


সূত্রগুলো বলছে, শেয়ারবাজারের মতো স্পর্শকাতর ও ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে রক্ষা করা এবং সার্বিকভাবে এসব প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ ভারসাম্য আনতে নতুন এসব ধারা যুক্ত হচ্ছে ‘আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ২০১১’-এ।


বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিমধ্যেই নতুন আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইনের খসড়া তৈরি করে তা অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। এটি এখন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর মন্ত্রিসভায় যাবে। পরে জাতীয় সংসদে অনুমোদিত হলে বর্তমান ‘আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩’-এর স্থলে নতুন আইন প্রতিস্থাপিত হবে।


অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রগুলো বলছে, নতুন আইন প্রণয়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বর্তমান আইনকে যুগোপযোগী করা, প্রতিষ্ঠানগুলোতে সুশাসন আনা, বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারি বৃদ্ধি এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট সম্পদ, ঋণ, লিজ, বিনিয়োগ প্রভৃতি ক্ষেত্রে গতিশীল ও ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা করেছে।


খসড়া নতুন আইনে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মালিকানার ক্ষেত্রেও নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বর্তমান আইনের আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশনা দিয়ে কোনো একক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা একই পরিবারের হাতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ১০ শতাংশের বেশি শেয়ার যাতে কেন্দ্রীভূত না হয়, সে জন্য সীমা আরোপ করে রেখেছে।


নতুন আইনে তা সংযুক্ত করা হচ্ছে। এর সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে: একক ব্যক্তি, পরিবার ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৫ শতাংশের বেশি শেয়ার কেন্দ্রীভূত হতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন নিতে হবে। কী উদ্দেশ্যে ৫ শতাংশের বেশি শেয়ার কেন্দ্রীভূত হবে, তা বিবেচনা করে দেখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই ধারা সংযুক্ত করেছে বলে সূত্র জানায়।
অন্যদিকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিচালকের সংখ্যা বিদ্যমান আইনের আওতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্দেশনা দিয়ে ১৩ জনে সীমিত করে রেখেছিল, এটি আইনের মধ্যে আনা হচ্ছে। আর এ ক্ষেত্রে নতুন যুক্ত হচ্ছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিচালকের মেয়াদ কাল হবে তিন বছর। একজন পরিচালক দুই মেয়াদে সর্বোচ্চ ছয় বছর পর্যন্ত পরিচালক থাকতে পারবেন। পরে তাঁকে এক মেয়াদের জন্য বিরতি দিয়ে পুনরায় পরিচালক হওয়ার সুযোগও রয়েছে নতুন আইনের খসড়ায়।


খসড়া আইনে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগী বা সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠনের সুযোগ রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিয়ে পরিষ্কার কিছু উদ্দেশ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন করতে পারবে।
আমানতকারীর সঞ্চয়ের নিরাপত্তা রক্ষা ও জনস্বার্থে পরিচালকদের অপসারণের সুস্পষ্ট বিধান নতুন আইনে রয়েছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে নীতিমালা ও শর্তাবলি স্পষ্ট ও যুগোপযোগী করা হচ্ছে নতুন আইনে। এ ক্ষেত্রে জনস্বার্থের বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। একইভাবে শর্তাবলি পালন না করলে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা উপেক্ষাসহ বিধিবিধান লঙ্ঘনের কারণে লাইসেন্স বাতিলের বিধান রাখা হয়েছে নতুন খসড়া আইনে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশে ২৯টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। লিজিং কোম্পানি নামেই এগুলো অধিক পরিচিত পেয়েছে। ১৮ বছর আগের আইন দিয়ে এগুলো পরিচালিত হচ্ছে।


কিন্তু ব্যাংকগুলোর আন্তর্জাতিক মানসংক্রান্ত ব্যাসেল কমিটির ‘ব্যাসেল-২’ সুপারিশের আওতায় এখন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আনা হচ্ছে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের মূলধন সংরক্ষণের হার আন্তর্জাতিক নিয়মনীতির আওতায় এসেছে। তা ছাড়া সময়োপযোগী নিয়ন্ত্রণ কাঠামো তৈরি করতেও বিদ্যমান আইন সংশোধন করে নতুন আইন তৈরির সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা যায়।


আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত ঋণ, অগ্রিম ও লিজ অর্থায়ন করে থাকে। খসড়া আইনে এসবের পাশাপাশি ক্রেডিট কার্ড, উন্নয়ন অর্থায়ন, নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ বা প্রচেষ্টায় বিনিয়োগ, ফ্যাক্টরিসহ ব্যবসা প্রসারের প্রস্তাব রয়েছে।
নতুন আইনে ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কিছু পৃথক বিধান সংযোজন করা হয়েছে

করমুক্ত এবং কর অব্যাহতির জন্য দাবীকৃত আয়

করমুক্ত এবং কর অব্যাহতির জন্য দাবীকৃত আয়
করদাতার করমুক্ত এবং কর অব্যাহতি প্রাপ্ত আয় থাকলে তা এখানে দেখাতে হবে। ব্যক্তি করদাতার করমুক্ত আয়ের কয়েকটি আইটেম নিচে দেয়া হলোঃ
(১) সরকারি চাকুরিজীবী করদাতা যদি চাকুরীর দায়িত্ব পালনের জন্য কোন বিশেষ ভাতা, সুবিধা বা আনুতোষিক (perquisite) পান;
(২) পেনশন;
(৩) অংশীদারী ফার্ম হতে পাওয়া মূলধনী মুনাফার (ফার্ম কর্তৃক কর পরিশোধিত) অংশ;
(৪) ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গ্রাচুইটি প্রাপ্তি ;
(৫) প্রভিডেন্ট ফান্ড (এ্যাক্ট, ১৯২৫ অনুযায়ী) থেকে প্রাপ্ত অর্থ;
(৬) স্বীকৃ ত প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে প্রাপ্ত অর্থ;
(৭) স্বীকৃ ত সুপারএ্যানুয়েশন ফান্ড থেকে প্রাপ্ত অর্থ;
(৮) বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (২০০৬ সনের ৪২ নং আইন) এর আওতাধীন যে কোন ব্যক্তি কর্তৃক প্রাপ্ত অংশের
৫০,০০০ টাকা অব্যহতি;
(৯) মিউচুয়্যাল ফান্ড অথবা ইউনিট ফান্ড থেকে ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় (সুদ, মুনাফা বা ডিভিডেন্ট);
(১০) পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত কোম্পানি কর্তৃক প্রদত্ত নগদ লভ্যাংশ ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত;
(১১) সরকারি নিরাপত্তা জামানতের সুদ যা সরকার করমুক্ত বলে ঘোষণা করেছে;
(১২) রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলার পাহাড়ী অধিবাসীর দ্বারা এই জেলাগুলোতে পরিচালিত আর্থিক কর্মকান্ডের ফলে প্রাপ্ত আয়;
(১৩) আয়কর অধ্যাদেশের আওতায় জারিকৃত কোন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী কর অব্যাহতি বা হ্রাসকৃত কর হারের সুবিধা গ্রহণকারী করদাতা ব্যতীত অন্যান্য করদাতার রপ্তানি ব্যবসা হতে প্রাপ্ত আয়ের ৫০%;
(১৪) আয়ের একমাত্র উৎস ’কৃষি খাত’ হলে কৃ ষি খাত হতে আয় ২,০০,০০০টাকা পর্যন্ত;
(১৫) ২০০৮ সালের জুলাই মাসের প্রথম দিন হতে ২০২৪ সালের জুলাই মাসের ত্রিশতম দিন পর্যন্ত এর ব্যবসা-উদ্ভূত যেকোন আয় : তবে শর্ত থাকে যে, সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তি ধারা ৭৫(২) (সি) এর বিধানমতে আয়কর রিটার্ণ দাখিল করতে হবে।ব্যাখ্যা-Software development; (ii) Software or application customization; (iii) Nationwide Telecommunication Transmission Network (NTTN); (iv) Digital content development and
management; (v) Digital animation development; (vi) Website development; (vii) Web site services; (viii) Web listing; (ix) IT process outsourcing; (x) Website hosting; (xi) Digital graphics design; (xii) Digital data entry and processing; (xiii) Digital data analytics; (xiv) Geographic Information Services (GIS); (xv) IT support and software maintenance service; (xvi) Software test lab services; (xvii) Call center service; (xviii) Overseas medical transcription; (xix) Search engine optimization services; (xx) Document conversion, imaging and digital archiving; (xxi) Robotics process outsourcing; (xxii) Cyber security services বুঝাবে ।
(১৬) হাঁস-মুরগীর খামার হতে অর্জিত আয়ের ক্ষেত্রে প্রথম ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ‘শূন্য’ হারে, পরবর্তী ১০ লক্ষ টাকা আয়ের উপর ৫% হারে এবং অবশিষ্ট আয়ের উপর ১০% হারে কর প্রদেয় হবে (এসআরও নং-২৫৪-আইন/আয়কর/২০১৫)।
(১৭) হাঁস-মুরগী, চিংড়ী ও মাছের হ্যাচারী এবং মৎস্য চাষ হতে অর্জিত আয়ের ক্ষেত্রে প্রথম ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ‘শূন্য’ হারে পরবর্তী ১০ লক্ষ টাকা আয়ের উপর ৫% হারে এবং অবশিষ্ট আয়ের উপর ১০% হারে কর প্রদেয় হবে;
(১৮) জিরো কূপন বন্ড থেকে উদ্ধৃত আয়;
(১৯) কতিপয় ক্ষেত্র ব্যতীত ব্যক্তি করদাতা কর্তৃক স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভূক্ত কোম্পানির শেয়ার বিক্রয় হতে অর্জিত মূলধনী মুনাফা;
(২০) হস্তশিল্পজাত পণ্য রপ্তানি হতে উদ্ভূত আয়।
(২১) পেনশনার সঞ্চয়পত্র ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্রমযোজিত বিনিয়োগ হতে অর্জিত সুদ আয়।
(২২) ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড, ইউএস ডলার নভেস্টমেন্ট বন্ড, ইউরো ইনভেস্টমেন্ট বন্ড, ইউরো প্রিমিয়াম বন্ড, পাউন্ড স্টারলিং ইনভেস্টমেন্ট বন্ড এবং পাউন্ড স্টারলিং প্রিমিয়াম বন্ড- এই ৭টি বন্ড হতে অর্জিত সুদ আয়কে করমুক্ত করা হয়েছে।
(২৩) যেকোন পণ্য প্রস্তুতির সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে এবং বার্ষিক টার্ণওভার ৫০ লক্ষ টাকার অধিক নহে যে কোন Small and Medium Enterprise (SME) হতে
(২৪) বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট হতে প্রাপ্ত সম্মানী বা ভাতা কিংবা সরকার কর্তৃক প্রদত্ত কল্যাণ ভাতা;
(২৫) সরকারের নিকট হতে গৃহীত কোন পদক /পুরস্কার; এবং
(২৬) কোন Elderly care home পরিচালনা হতে অর্জিত আয়;
করমুক্ত আয়সমূহ করদাতার মোট আয়ের অন্তর্ভূক্ত হবে না। এটি করমুক্ত আয়ের কলামে প্রদর্শন করতে হবে।

নিরাপত্তা জামানতের উপর সুদ

 

নিরাপত্তা জামানতের উপর সুদ (আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ২২ ধারা):
সরকার কর্তৃক ইস্যুকৃত বন্ড বা সিকিউরিটিজ (যেমন টিএন্ডটি বন্ড, ন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট বন্ড, ট্রেজারী বন্ড/বিল, ইত্যাদি), ডিবেঞ্চার হতে অর্জিত সুদ এবং জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তর কর্তৃক ইস্যুকৃত সেভিংস ইন্সট্রুমেন্টসের সুদ এ খাতের আয় হিসেবে রিটার্নে দেখাতে হবে। সাধারণভাবে, সিকিউরিটিজ বা ডিবেঞ্চার কেনার জন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া হলে ঋণের সুদ সিকিউরিটিজ হতে অর্জিত সুদ আয় থেকে খরচ হিসেবে বাদ দেয়া যাবে। তবে ৮২সি ধারার আওতাধীন কোন সেভিংস ইন্সট্রুমেন্টসের সুদের ক্ষেত্রে খরচ বাদ যাবে না। ২০১৭-২০১৮ কর বছরে যে কোন ধরনের সঞ্চয়পত্রের অর্জিত সুদের উপর উৎসে কর্তিত কর উক্ত খাতের বিপরীতে চূড়ান্ত করদায়ের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন নূন্যতম করদায় পরিশোধ হিসেবে গণ্য হবে

রিটার্ন ফরম কোথায় পাওয়া যায়?

রিটার্ন ফরম কোথায় পাওয়া যায়?
আয়কর রিটার্ন ফরম কর সার্কেলসহ বিভিনড়ব কর অফিসে বিনামূল্যে পাওয়া যায়। রিটার্ন ফরম ব্যবসা সংক্রান্ত ওয়েব সাইট www.goldenbusinessbd.com এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েব সাইট
www.nbr-bd.org থেকে downlod করা যাবে। এছাড়া এ বছর ই-ফাইলের মাধ্যমে অর্থাৎ ওয়েব সাইটে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।

অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার শর্ত শিথিল, পেপ্যালের কাজ শুরুর পথ প্রশস্ত করবে

Picture

অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে সার্ভিস প্রোভাইডারসের (ওপিজিএসপি) মাধ্যমে সেবা রফতানির অর্থ সংগ্রহের শর্ত কিছুটা শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের ফ্রিল্যান্সাররা যাতে সহজে তাদের উপার্জিত অর্থ সংগ্রহ করতে পারে এজন্যই নতুন এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। গেটওয়ের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের পরিধি বাড়িয়ে প্রতিবারে ৫০০ ডলার থেকে সর্বোচ্চ দুই হাজার মার্কিন ডলার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আগে থেকে কোন ঘোষণার (পূর্বানুমতি) প্রয়োজন হবে না। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে। আরো জানতে


বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি, ডাটা প্রসেসিং, বিজনেস প্রসেসিং, বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিংসহ নানা ধরনের তথ্য প্রযুক্তি রফতানি হচ্ছে। এর আগে এসব সেবা থেকে উপার্জিত ৫০০ ডলারের বেশি আনতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্ধারিত ‘সি’ ফর্মে ঘোষণা দিতে হতো। এই দীর্ঘসূত্রিতা ও বাড়তি প্রক্রিয়ার ফলে আন্তর্জাতিক সেবা আমদানিকারকরা অনুৎসাহ।


বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক এর আগে বৈদেশিক মুদ্রায় প্রচলিত ওয়েজ আর্নার ডেভলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড এবং ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড কিনতে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সত্যায়নের শর্ত প্রত্যাহার করে। অন্য এক পরিপত্রের মাধ্যমে দেশে বসে সেবার বিনিময়ে উপার্জিত ৫ হাজার ডলার পর্যন্ত দেশে আনতে ঘোষণা লাগবে না বলে বলা হয়।


এই সিদ্ধান্ত দেশে অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে পেপ্যাল এর কাজ শুরুর পথকেও প্রশস্ত করবে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

কখন আয়ের বিবরণ বা রিটার্ন দাখিল করতে হবে?

কখন আয়ের বিবরণ বা রিটার্ন দাখিল করতে হবে?
ব্যক্তি করদাতাকে Tax Day (কর দিবস) এর মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। ২০১৮-১৯ কর বছরের জন্য ৩০ নভেম্বর ২০১৯ তারিখ হচ্ছে কর দিবস, অর্থাৎ রিটার্ন দাখিলের সর্বশেষ তারিখ। একজন ব্যক্তি-করদাতা ১ জুলাই ২০১৯ থেকে ৩০ নভেম্বর ২০১৯ তারিখের মধ্যে ২০১৯-২০ কর বছরের রিটার্ন দাখিল করবেন ।নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করা সম্ভব না হলে করদাতার রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য বিধি নির্ধারিত ফরমে উপযুক্ত কারণ উল্লেখপূর্বক উপ কর কমিশনারের কাছে সময়ের আবেদন করতে পারবেন। সময় মঞ্জুর হলে বর্ধিত সময়ের মধ্যে সাধারণ অথবা সর্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতির আওতায় রিটার্ন দাখিল করা যাবে। সময়ের আবেদন পত্রের নমুনা পরিশিষ্ট-ঙ, ৮৭ নং পৃষ্ঠায় দেখানো হয়েছে। নির্ধারতি সময়ের মধ্যে রিটার্ন দাখিল না করা হলে উপ কর কমিশনার বিলম্ব সুদ (delay interest) আরোপ করবেন। তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করা করদাতার জন্য সুবিধাজনক।