Business Blog

Displaying 61-70 of 98 results.

কখন আয়ের বিবরণ বা রিটার্ন দাখিল করতে হবে?

ব্যক্তি করদাতাকে Tax Day (কর দিবস) এর মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। ২০১৬-১৭ কর বছরের জন্য ৩০ নভেম্বর ২০১৬ তারিখ হচ্ছে কর দিবস, অর্থাৎ রিটার্ন দাখিলের সর্বশেষ তারিখ। একজন ব্যক্তি-করদাতা ১ জুলাই ২০১৬ থেকে ৩০ নভেম্বর ২০১৬ তারিখের মধ্যে ২০১৬-১৭ কর বছরের রিটার্ন দাখিল করবেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করা সম্ভব না হলে করদাতার রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য বিধি নির্ধারিত ফরমে উপযুক্ত কারণ উল্লেখপূর্বক উপ কর কমিশনারের কাছে সময়ের আবেদন করতে পারবেন। সময় মঞ্জুর হলে বর্ধিত সময়ের মধ্যে সাধারণ অথবা সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ভতির আওতায় রিটার্ন দাখিল করা যাবে।

রিটার্ন ফরম কোথায় পাওয়া যায়?

আয়কর রিটার্ন ফরম কর সার্কেলসহ বিভিন্ন কর অফিসে বিনামূল্যে পাওয়া যায়। রিটার্ন ফরম ব্যবসা সংক্রান্ত ওয়েব সাইট www.goldenbusinessbd.com এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েব সাইট www.nbr-bd.org থেকে Download করা যাবে।

আয়কর রিটার্ন কারা দেবেন?

কোন ব্যক্তি  (individual)  করদাতার  আয় যদি বছরে  ২,৫০,০০০/-  টাকার বেশী হয় তবে তাকে রিটার্ন দিতে হবে। মহিলা  এবং ৬৫ বছর বা তদুর্ধ্ব বয়সের পুরুষ করদাতার আয়  যদি  বছরে  ৩,০০,০০০/-  টাকার  বেশি,  প্রতিবন্ধী  করদাতার  আয়  যদি  বছরে ৩,৭৫,০০০/-  টাকার বেশী  এবং গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার আয় যদি বছরে ৪,২৫,০০০/-  টাকার বেশী  হয়  তাহলে ঐ করদাতাকে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। তবে নিম্নবর্নিত  ক্ষেত্রসমূহে আয়ের পরিমাণ যা-ই হোক না কেন, ব্যক্তি-করদাতাকে সংশ্লিষ্ট আয় বছরের জন্য আবশ্যিকভাবে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে:
(ক) যদি আয় বছরে করদাতার মোট আয় করমুক্ত সীমা অতিক্রম করে;
(খ) আয় বছরের পূর্ববর্তী তিন বছরের যেকোন বছর করদাতার কর নির্ধারণ হয়ে  থাকে বা তার আয় করযোগ্য হয়ে থাকে;
(গ) করদাতা যদি-
১. কোন কোম্পানীর শেয়ারহোল্ডার পরিচালক বা শেয়ারহোল্ডার employee  হন;
২. কোন ফার্মের অংশীদার হন;
৩. সরকার অথবা সরকারের কোন কর্তৃপক্ষ, কর্পোরেশন, সত্তা বা ইউনিটের বা প্রচলিত কোন আইন, আদেশে বা দলিলের মাধ্যমে
গঠিত কোন কর্তৃপক্ষ, কর্পোরেশন, সত্তা বা ইউনিটের কর্মচারী (employee) হয়ে আয় বছরের যেকোন সময় ১৬,০০০/- টাকা তদূর্ধ্ব পরিমাণ মূল বেতন আহরণ করে থাকেন;
(ঘ) আয় বছরে করদাতার আয় কর অব্যহতি প্রাপ্ত বা হ্রাসকৃত হারে করযোগ্য হয়ে থাকে;
(ঙ) যদি আয় বছরের কোন এক সময়ে নিম্নবর্ণিত শর্তের যে কোনটি করদাতার জন্য প্রযোজ্য হয়-
১. মোটর গাড়ির মালাকানা থাকা (মোটর গাড়ি বলতে জীপ বা মাইক্রোবাসকেও বুঝাবে);
২. মূল্য সংযোজন কর আইন, ১৯৯১ এর অধীন নিবন্ধিত কোন ক্লাবের সদস্যপদ থাকা;
৩. কোন সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা  অথবা  ইউনিয়ন পরিষদ হতে ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ করে কোন ব্যবসা বা পেশা পরিচালনা;
৪. চিকিৎসক, দন্ত চিকিৎসক, আইনজীবী, চার্টার্ড একাউন্টেন্ট, কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট এ্যাকাউন্টেন্ট, প্রকৌশলী, স্থপতি, সার্ভেয়ার অথবা সমজাতীয় পেশাজীবী হিসেবে কোন স্বীকৃত পেশাজীবী সংস্থার নিবন্ধন থাকা;
৫. আয়কর পেশাজীবী (income tax practioner)) হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নিবন্ধন থাকা;
৬. কোন বণিক বা শিল্প বিষয়ক চেম্বার বা ব্যবসায়িক সংঘ বা সংস্থার সদস্যপদ থাকা;
৭. কোন পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশনের কোন পদে বা সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হওয়া;
৮. কোন সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা কোন স্থানীয় সরকারে কোন টেন্ডারে অংশগ্রহণ করা;
৯. কোন কোম্পানীর বা কোন গ্রুপ অব কোম্পানীজের পরিচালনা পর্ষদে থাকা;

আয়কর রিটার্ন কি?

আয়কর রিটার্ন হলো সরকার কর্তক নির্ধারিত একটি কাঠামোবদ্ধ ফরম যার মধ্যে করদাতা তাঁর আয়-ব্যয়, সম্পদ ও দায়ের তথ্য লিখে আয়কর অফিসে দাখিল করেন। ব্যক্তি শ্রেণীর করদাতা ও কোম্পানী করদাতাদের জন্য পৃথক রিটার্ন রয়েছে। ব্যক্তি শ্রেণীর করদাতার রিটার্ন ফরম বাংলা ও ইংরেজী উভয় ভাষায় পাওয়া যায়।

আয়কর কি?

সরকারের রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ করের মধ্যে অন্যতম হলো আয়কর। করদাতা আয় বিবেচনায় এ কর প্রযোজ্য হয়। কোন ব্যক্তির আয় নির্দিষ্ট সীমার উপর হলে উক্ত আয়ের উপর আয়ের স্তর ভিত্তিতে বিভিন্ন হার অনুযায়ী আয়কর প্রদান করতে হয়। এর প্রধান উদ্দেশ্য হল রাজস্ব আহরণের মাধ্যমে সরকারি ব্যয় নির্বাহ এবং দেশের অভ্যন্তরীন উন্নয়ন।

আয়কর সম্পর্কে কিছু জ্ঞাতব্য বিষয়

০১। আয়কর কি?
সরকারের রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ করের মধ্যে অন্যতম হলো আয়কর। করদাতা আয় বিবেচনায় এ কর প্রযোজ্য হয়। কোন ব্যক্তির আয় নির্দিষ্ট সীমার উপর হলে উক্ত আয়ের উপর আয়ের স্তর ভিত্তিতে বিভিন্ন হার অনুযায়ী আয়কর প্রদান করতে হয়। এর প্রধান উদ্দেশ্য হল রাজস্ব আহরণের মাধ্যমে সরকারি ব্যয় নির্বাহ এবং দেশের অভ্যন্তরীন উন্নয়ন।

০২।  আয়কর রিটার্ন কি?
আয়কর রিটার্ন হলো সরকার কর্তক নির্ধারিত একটি কাঠামোবদ্ধ ফরম যার মধ্যে করদাতা তাঁর আয়-ব্যয়, সম্পদ ও দায়ের তথ্য লিখে আয়কর অফিসে দাখিল করেন। ব্যক্তি শ্রেণীর করদাতা ও কোম্পানী করদাতাদের জন্য পৃথক রিটার্ন রয়েছে। ব্যক্তি শ্রেণীর করদাতার রিটার্ণ ফরম বাংলা ও ইংরেজী উভয় ভাষায় পাওয়া যায়।

০৩। আয়কর রিটার্ন কারা দেবেন
কোন ব্যক্তি  (individual)  করদাতার  আয় যদি বছরে  ২,৫০,০০০/-  টাকার বেশী হয় তবে তাকে রিটার্ন দিতে হবে। মহিলা  এবং ৬৫ বছর বা তদুর্ধ্ব বয়সের পুরুষ করদাতার আয়  যদি  বছরে  ৩,০০,০০০/-  টাকার  বেশি,  প্রতিবন্ধী  করদাতার  আয়  যদি  বছরে ৩,৭৫,০০০/-  টাকার বেশী  এবং গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার আয় যদি বছরে ৪,২৫,০০০/-  টাকার বেশী  হয়। তবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতামাতা বা আইনানুগ অভিভাবকগণ বিদ্যমান কর অব্যহতি সীমা অপেক্ষা ২৫,০০০/- টাকা অতিরিক্ত কর অব্যহতি প্রাপ্ত হবেন। আয়ের পরিমাণ যাই হোক না কেন কতিপয় ব্যক্তির  ক্ষেত্রে  রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক। তাঁদের তালিকা নীচে দেয়া হলোঃ
(১) আয় বছর করযোগ্য আয় থাকলে;
(২) আয় বছরের পূর্ববর্তী তিন বছরের যে কোন বছর করযোগ্য আয় নিরূপিত হলে;
(৩) একটি গাড়ীর মালিক হলে;
(৪) মূল্য সংযোজন কর আইনে নিবন্ধিত কোন ক্লাবের সদস্য হলে;
(৫) সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা  অথবা  ইউনিয়ন পরিষদে ব্যবসা পরিচালনার জন্য ট্রেড লাইসেন্স এবং ব্যাংক এ্যাকাউন্ট থাকলে;
(৬) ডাক্তার, দন্ত চিকিৎসক, আয়কর আইনজীবী, আইনজীবী, চার্টার্ড একাউন্টেন্ট, কস্ট এন্ড  ম্যানেজমেন্ট এ্যাকাউন্টেন্ট, প্রকৌশলী, স্থপতি, সার্ভেয়ার অথবা সমজাতীয় পেশায় নিয়োজিত সকল ব্যক্তিবর্গ;
(৭) চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অথবা কোন ট্রেড এসোসিয়েশনের সকল সদস্য;
(৮) পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন অথবা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল পদপ্রার্থী;
(৯) সরকারি,  আধা-সরকারি,  স্বায়ত্তশাসিত  সংস্থা  অথবা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ঠিকাদারী কাজে টেন্ডারে অংশগ্রহণকারী সকল ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান;
(১০) কোম্পানী বা কোন গ্রুপ অব কোম্পানীর কর পরিচালনা পর্যদের পরিচালক;
(১১) সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের ১৬,০০০/- টাকা বা তদুর্ধ মূল বেতনধারী;
(১২) ধারা ৪৪ এর আওতায় কর অব্যহতি বা হ্রাসকৃত কর হার সুবিধা গ্রহণকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান  (দাতব্য প্রতিষ্ঠান ব্যতীত)
(১৩) এছাড়া নিম্নোক্ত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের
      (ক) কোন কোম্পানী (খ) এনজিও ব্যুরোতে রেজিস্ট্রিকৃত এনজিও (গ) কো-অপারেটিভ সোসাইটি     
      (ঘ) ফার্ম (ঙ) এসোসিয়েশনের ব্যক্তি (চ) কোম্পানীর শেয়ার হোল্ডার বা শেয়ার হোল্ডার এমপ্লয়মেন্ট   
      (ছ) ফার্মের পার্টনার এর আয়কর রিটার্ন জমা দেয়া বাদ্ধতামূলক।

 

তথ্যসূত্র : সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আয়কর রিটার্ন ফরম পূরণের নির্দেশিকা। প্রকাশনায়- গোল্ডেন বাংলাদেশ।

আবদুল কালামের ১০টি উক্তি, যা আপনার জীবনধারা পালটে দেবে

Picture

'স্বপ্ন সেটা নয় যেটা তুমি ঘুমিয়ে দেখো। স্বপ্ন সেটা যেটা তোমায় ঘুমোতে দেয় না।'
'সূর্যের মতো দীপ্তিমান হতে হলে প্রথমে তোমাকে সূর্যের মতোই পুড়তে হবে।'
'যদি তুমি তোমার কাজকে স্যালুট কর, দেখো তোমায় আর কাউকে স্যালুট করতে হবে না। কিন্তু তুমি যদি তোমার কাজকে অসম্মান কর, অমর্যাদা কর, ফাঁকি দাও, তাহলে তোমায় সবাইকে স্যালুট করতে হবে।'
'যারা হৃদয় দিয়ে কাজ করতে পারে না; তাদের অর্জন অন্তঃসারশূন্য, উৎসাহহীন সাফল্য চারদিকে তিক্ততার উদ্ভব ঘটায়।'

প্রতিদিন সকালে এই পাঁচটা লাইন বলো :
১) আমি সেরা।
২) আমি করতে পারি
৩) সৃষ্টিকর্তা সব সময় আমার সঙ্গে আছে
৪) আমি জয়ী
৫) আজ দিনটা আমার


'ভিন্নভাবে চিন্তা করার ও উদ্ভাবনের সাহস থাকতে হবে, অপরিচিত পথে চলার ও অসম্ভব জিনিস আবিষ্কারের সাহস থাকতে হবে এবং সমস্যাকে জয় করে সফল হতে হবে। এ সকল মহানগুণের দ্বারা তরুণদের চালিত হতে হবে। তরুণ প্রজন্মের প্রতি এই আমার বার্তা।'

'জীবন একটি কঠিন খেলা। ব্যক্তি হিসেবে মৌলিক অধিকার ধরে রাখার মাধ্যমেই শুধুমাত্র তুমি সেখানে জয়ী হতে পারবে।'
'আকাশের দিকে তাকাও। আমরা একা নই। পুরো মহাবিশ্ব আমাদের প্রতি বন্ধুত্বসুলভ। যারা স্বপ্ন দেখে এবং কাজ করে শুধুমাত্র তাদেরকেই শ্রেষ্ঠটা দেওয়ার জন্য চক্রান্তে লিপ্ত এই বিশ্ব।'
'উৎকর্ষতা একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটি কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়।'
'যদি একটি দেশকে দুর্নীতিমুক্ত এবং সুন্দর মনের মানুষের জাতি হতে হয়, তাহলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এ ক্ষেত্রে তিনজন সামাজিক সদস্য পার্থক্য এনে দিতে পারে। তারা হলেন বাবা, মা এবং শিক্ষক।'

নতুন ভ্যাট আইনে ২০ সুবিধা

Picture

আগামী অর্থবছর থেকে রাজস্ব আদায়ের প্রধান খাত হবে ভ্যাট বা মূসক (মূল্য সংযোজন কর)। ২০১৬ সালের জুলাই থেকে নতুন মূসক আইন কার্যকর হবে।
নতুন আইন বাস্তবায়ন, সেবা প্রদান ও মূসক আদায় হবে অনলাইনে। ফলে, সনাতনী মূসক আইনে হয়রানির অভিযোগবিহীন করদাতারা পাবেন নতুন ২০টি সুবিধা।
২০টি সুবিধা হলো-
- মূল্য ঘোষণার ঝামেলা নেই। বিদ্যমান আইনে ব্যবসায়ীদের সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল পণ্যের মূল্য ঘোষণা, যা বর্তমান আইনে থাকছে না।
ব্যবসায়ীরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বা সেবা যে মূল্যে বিক্রি করবেন, সে মূল্যেই মূসক পরিশোধ করবেন। এ মূল্যের মধ্যেই মূসক অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
- নতুন আইনে চলতি হিসাব রেজিস্টার সংরক্ষণ করতে হবে না। চলতি হিসাবের জটিলতা নেই। ফলে ব্যবসায়ীদের অগ্রিম কর পরিশোধ করতে হবে না।
- রেয়াত গ্রহণ পদ্ধতি অত্যন্ত সহজ করা হয়েছে। নতুন আইনে উপকরণ কর রেয়াতের পরিধি বৃদ্ধি করা হয়েছে। রেয়াত পাওয়া যাবে আগের তুলনায় অনেক বেশি।
- আমদানিতে বিল অফ এন্ট্রি, সরবরাহ ক্ষেত্রে চালানপত্র, উৎসে কর কর্তনের ক্ষেত্রে সমন্বিত চালানপত্র এবং উৎসে কর সংক্রান্ত সনদ দাখিল করলে রেয়াত পাওয়া যাবে।
- রিটার্ন দাখিলে মূসক অফিসে যেতে হবে না। যে কোনো সময় অনলাইনে দাখিল করা যাবে। দাখিল করা রিটার্নে ভুল থাকলে তা সংশোধনের সুযোগ রয়েছে।
- নতুন আইনে ব্যাংকে না গিয়ে অনলাইনে মূসক পরিশোধের ব্যবস্থা থাকছে। ট্রেজারি চালান ছাড়াও ব্যাংক ও অনলাইনের মাধ্যমে মূসক প্রদান করা যাবে।
এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কিস্তিতে মূসক পরিশোধ করার সুযোগ থাকছে। মূসক পরিশোধের পেমেন্ট কপি করদাতা ও বিভাগীয় দফতর সংরক্ষণ করবে।
- রিফান্ড পদ্ধতি অনলাইনে করা হয়েছে। অনলাইনে রিফান্ড পাওয়া যাবে। রিফান্ড গ্রহণের ক্ষেত্রে ৬ মাসের মধ্যে আবেদন করতে হবে।
যদি কোনো কারণে ৬ মাস অতিক্রান্ত হয়, সে ক্ষেত্রে কমিশনারের কাছে আবেদন করলে তা ৩ মাসের মধ্যে পাওয়া যাবে। টাকা সরাসরি করদাতার অ্যাকাউন্টে চলে যাবে।
- মূসক আইনে আপিল আবেদন অত্যন্ত জটিল। নতুন আইনে অনলাইনের মাধ্যমে আপিল আবেদন প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে।
যে আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে, সে আদেশের বিস্তারিত অনলাইনে পাবেন। অনলাইনে আপিলের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি অনলাইনে জানতে পারবেন।
- কমিশনারেট ও বিভাগীয় অফিসে ‘ট্যাক্স পেয়ার সার্ভিস সেন্টার’ থাকবে। সেখানে ছোট ছোট গ্রুপ করে কমিশনাররা করদাতাদের অভিযোগ শুনে সমাধান দেবেন।
একই সঙ্গে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে উন্মুক্ত সভা, সেমিনার করা হবে। সেখানে সমস্যা শোনা ও তার সমাধান দেওয়া হবে।
- মূসক নিবন্ধনে মূসক অফিসে যেতে হবে না। ঘরে বা অফিসে অনলাইনের মাধ্যমে মূসক নিবন্ধন (রেজিস্ট্রেশন) করা যাবে।
- ব্যবসায়ীদের মূসক সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হারানোর ভয় থাকবে না। সব কাগজপত্র, তথ্য অনলাইনে করদাতার মূসক অ্যাকাউন্টে সংরক্ষিত থাকবে।
- রিটার্ন অনলাইনে দাখিলে ভ্যাট কমিশনারেট অফিস বা বিভাগীয় অফিসে বিনামূল্যে ইন্টারনেট সুবিধার মাধ্যমে তা দাখিল করতে পারবেন।
- মূসক দিতে যে কোনো জটিলতায় থাকবে কন্ট্যাক্ট সেন্টার। সেখান থেকে মূসক সংক্রান্ত জটিলতার সমাধান পাওয়া যাবে ২৪ ঘণ্টা।
- বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ) মাধ্যমে দেশের সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠান মূসক প্রদান করে থাকে। তাদের জন্য থাকবে ওয়ান স্টপ সার্ভিস।
- নতুন আইনে ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানকে উৎসাহিত করতে বার্ষিক টার্নওভার ৩০ লাখ টাকা বা তার কম টার্নওভার সম্পন্ন হলে মূসক দিতে হবে না।
- ৩০ লাখ টাকার বেশি কিন্তু ৮০ লাখ টাকার কম বার্ষিক টার্নওভার সম্পন্ন প্রতিষ্ঠানকে ৩ শতাংশ হারে টার্নওভার কর প্রদান করলেই হবে।
- অনাবাসিক ব্যক্তি (দেশের বাইরে থাকা ব্যক্তি) এজেন্টের মাধ্যমে মূসক প্রদান করতে পারবেন অথবা অনলাইনে মূসক পরিশোধ করতে পারবেন।
- সম্পূরক শুল্কের পরিধি কমিয়ে অনেক সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।
- সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক সেবা প্রদানের ফলে ছোট বড় সব প্রতিষ্ঠান সমান ব্যবসার সুযোগ পাবে।
- টার্নওভার সুবিধাপ্রাপ্ত ইউনিটগুলো সরাসরি আমদানি-রফতানি করতে পারবে।
- নতুন আইনের আওতায় মূসক ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ভিত্তিক হওয়ায় তা পরিপালন সহজতর হবে।


 

রিটার্ন দাখিলের পদ্ধতি

Picture

বর্তমানে রিটার্ন দাখিলের জন্য দু’টি পদ্ধতি প্রচলিত আছে। যথাঃ  সাধারণ পদ্ধতি ও সার্বজনীন  স্বনির্ধারণী  পদ্ধতি। নিম্নে পদ্ধতি  দু’টি  স¤পর্কে  বিস্তারিত আলোচনা  করা হলোঃ

সাধারণ পদ্ধতিঃ
রিটার্নে  সার্বজনীন  স্বনির্ধারণী  পদ্ধতি  উল্লেখ  করা  না  হলে  রিটার্নটি  সাধারণ  পদ্ধতির আওতায়  দাখিলকৃত  বলে  গণ্য  হবে।  এক্ষেত্রে  রিটার্নে  প্রদর্শিত  আয়ের  সমর্থনে যথোপযুক্ত তথ্য ও প্রমাণাদি না থাকলে করদাতার শুনানী গ্রহণপূর্বক মামলা নি®পত্তির বিধান রয়েছে।

সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিঃ
করদাতা তাঁর নিজের আয় নিজে পরিগণনা করে প্রযোজ্য আয়কর পরিশোধ করবেন -এটি  বিশ্বব্যাপী  বহুল  অনুসৃত  পদ্ধতি।  এই  পদ্ধতিতে  করদাতার  দাখিলকৃত  রিটার্ন প্রাথমিকভাবে বিনা প্রশ্নে আয়কর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত হয়। রিটার্ন দাখিলের সমর্থনে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র এক্ষেত্রে কর  নির্ধারণী  আদেশ হিসেবে বিবেচিত হয়।  করদাতা রিটার্ন ফরম পূরণ পর্যায়ে রিটার্নের প্রথম পৃষ্ঠায়  সার্বজনীন  স্বনির্ধারণী  পদ্ধতির ঘরে টিক প্রদান করলে কিংবা  রিটার্নের  উপরে  সার্বজনীন  স্বনির্ধারণী  পদ্ধতি  উল্লেখ করলে দাখিলকৃত রিটার্নটি  সার্বজনীন  স্বনির্ধারণী  পদ্ধতির  আওতায়  গৃহীত  হবে।  সার্বজনীন  স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে  দাখিলকৃত  রিটার্ন   সমূহের  মধ্যে  একটি  অংশ  জাতীয়  রাজস্ব  বোর্ড  কর্তৃক নির্ধারিত এর ভিত্তিতে পরবর্তীতে অডিট হয়ে থাকে।
২০১৪-২০১৫ করবর্ষে সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে দাখিলকৃত রিটার্ণসমূহের মধ্যে যে সকল রিটার্ন পূর্ববর্তী কর বছরের নিরূপিত আয়ের কমপক্ষে ২০% আয় বৃদ্ধি করে এবং নি¤েœাক্ত শর্ত সমূহ  পূরণ করে  দাখিল  করবে  কর বিভাগ  কর্তৃক  উক্ত  রিটার্ন  অডিট  না করার বিধান করা হয়েছে।
পালনীয় শর্তসমূহঃ
ক. রিটার্নের ভিত্তিতে ফেরতযোগ্য কর সৃষ্টি হবে না।
খ. কোনরূপ দান গ্রহণ প্রদর্শন করা যাবে না।
গ. রিটার্নে করমুক্ত আয় প্রদর্শন করলে করমুক্ত আয়ের সমর্থনে যাচাইযোগ্য দালিলিক প্রমানাদি রিটার্নের সাথে দাখিল করতে         হবে।
ঘ. আয়কর  অধ্যাদেশ,  ১৯৮৪  এর  ৪৪  ধারা  অনুযায়ী  জারীকৃত  প্রজ্ঞাপন অনুসারে  হ্রাসকৃত হারে আয়কর প্রযোজ্য হয়         এরূপ কোন আয় প্রদর্শন করা যাবে না।
ঙ. ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান অথবা অন্য যেকোন উৎস থেকে ৫ লক্ষ টাকার অধিক ঋণ গ্রহন প্রদর্শন করা হলে দাখিলকৃত         রিটার্নের সাথে গৃহীত ঋণ সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বিবরণী বা হিসাব বিবরণী দাখিল করতে হবে।
পূর্ববর্তী  বছরের  ন্যায়  এ  বছরও  আয়কর  অধ্যাদেশের  ৮২বিবি  ধারায়  সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে দাখিলকৃত নতুন রিটার্নে ব্যবসা ও পেশা খাতে প্রদর্শিত আয়ের ৪ গুন হারে প্রারম্ভিক পূঁজি নেয়া যাবে। তবে এ পূঁজি বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট আয় বছরে বা আয় বছর শেষ হওয়ার  পরবর্তী ৫  বছরের মধ্যে  ব্যবসা বা পেশা থেকে  স্থানান্তর  করা  যাবে না। করলে যে বছর স্থানান্তর করা হবে, সে বছরের সংশ্লিষ্ট করবছরে অর্থ স্থানান্তরকারীর অন্যান্য উৎসের আয় হিসেবে বিবেচিত হবে।
উল্লেখ্য যে, নিরীক্ষার আওতায় না পড়লেও কোন রিটার্নে আয় গোপন করা হলে বা কর ফাঁকি থাকলে, সংশ্লিষ্ট করবছরের  রিটার্নের ক্ষেত্রে অধ্যাদেশের ৯৩  ধারা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।

উদাহরণ-১
করদাতা জনাব ইকবাল হোসেন ২০১৪-১৫ কর বছরে ১০ লক্ষ টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে এবং ২ কোটি ১০ লক্ষ টাকা নীট সম্পদ প্রদর্শন করে 82BB ধারায় রিটার্ন দাখিল করেন। তিনি রিটার্ন দাখিলের সময় সারচার্জসহ প্রদেয় আয়কর ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৬ শত টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধ করেন। ২০১৩-১৪ কর বছরে তিনি ৮ লক্ষ টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে 82BB ধারায় রিটার্ন দাখিল করেছিলেন। ৩০ জুন, ২০১৩ তারিখে তিনি ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা নীট সম্পদ প্রদর্শন করেন। তিনি ২০১৪-১৫ কর বছরের আয়কর রিটার্নে IT-10B ফরম এর ক্রমিক নং- ১৪, ১৫, ১৬, ১৭ এবং ১৮ তে কোন তথ্যাদি প্রদান করেননি। অর্থাৎ করদাতা ২০১৩-১৪ আয় বছরের খরচের হিসাব, সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণ এবং সম্পদ বৃদ্ধির ব্যাখ্যা প্রদর্শন করেননি।
এক্ষেত্রে করদাতা জনাব ইকবাল বিগত বছরের নিরূপিত আয়ের চেয়ে ২০% বেশি আয় প্রদর্শন করে রিটার্ন দাখিল করলেও ২০১৪-১৫ কর বছরের দাখিলকৃত রিটার্নটিকে পড়সঢ়ষবঃব রিটার্ন বলে গণ্য করা যাবে না। ফলে করদাতা তাঁর রিটার্নটি ৮২ইই ধারায় অডিটের আওতা বহির্ভূত থাকার সুবিধা পাবেন না।

উদাহরণ-২
করদাতা জনাব বদিউল আলম ২০১৪-১৫ কর বছরে ১৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে এবং ১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা নীট সম্পদ প্রদর্শন করে 82BB ধারায় রিটার্ন দাখিল করেন। তিনি রিটার্ন দাখিলের সময় প্রদেয় আয়কর ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধ করেন। ২০১৩-১৪ কর বছরে তিনি ১১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে 82BB ধারায় রিটার্ন দাখিল করেছিলেন। ৩০ জুন, ২০১৩ তারিখে তিনি ১ কোটি ৭৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা নীট সম্পদ প্রদর্শন করেন। ২০১৪-১৫ কর বছরের আয়কর রিটার্নে IT-10BB র্ফম এ ২০১৩-১৪ আয় বছরের যাবতীয় খরচ বাবদ মোট ১০ লক্ষ টাকা প্রদর্শন করেন এবং তা ওঞ-১০ই র্ফম এর ক্রমিক নং- ১৫ তে উল্লেখ করেন। তিনি ৩০ জুন, ২০১৪ তারিখের IT-10B ফরম এর ক্রমিক নং- ১৮ তে ১০ লক্ষ টাকা পার্থক্য প্রদর্শন করেন।  অর্থাৎ ৩০ জুন, ২০১৪ তারিখে করদাতা জনাব বদিউল আলমের সম্পদ বৃদ্ধি ও খরচের পরিমাণ ২০১৩-১৪ আয় বছরের আয়ের উৎসের তুলনায় ১০ লক্ষ টাকা বেশি।
এক্ষেত্রে করদাতা জনাব বদিউল আলম বিগত বছরের নিরূপিত আয়ের চেয়ে ২০% বেশি আয় প্রদর্শন করে রিটার্ন দাখিল করলেও ২০১৪-১৫ কর বছরের দাখিলকৃত রিটার্নটিকে সঠিক রিটার্ন বলে গণ্য করা যাবে না এবং করদাতা তাঁর রিটার্নটি 82BB ধারায় অডিটের আওতা বহির্ভূত থাকার সুবিধা পাবেন না। কারণ এক্ষেত্রে করদাতার সম্পদ বৃদ্ধি ও খরচের পরিমাণ তাঁর আয়ের পরিমাণের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সুতরাং এ রিটার্নটিকে সাধারণ পদ্ধতিতে দাখিলকৃত রিটার্ন বলে অভিহিত করে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ৮৩(২) অথবা ৮৪ ধারায় কর নির্ধারণ করা যাবে।

উদাহরণ-৩
করদাতা জনাব রুহুল আমিন ২০১৪-১৫ কর বছরে ২০ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে এবং ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা নীট সম্পদ প্রদর্শন করে 82BB ধারায় রিটার্ন দাখিল করেন। তিনি রিটার্ন দাখিলের সময় প্রদেয় আয়কর ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধ করেন। ২০১৩-১৪ কর বছরে তিনি ১৮ লক্ষ টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে 82BB ধারায় রিটার্ন দাখিল করেছিলেন।
এক্ষেত্রে করদাতা জনাব রুহুল আমিন বিগত বছরের নিরূপিত আয়ের চেয়ে ২০% বেশি আয় প্রদর্শন করেননি বিধায় তাঁর দাখিলকৃত রিটার্নটি 82BB ধারায় অডিটের আওতা বহির্ভূত থাকার সুবিধা পাবেন না।

উদাহরণ-৪
করদাতা জনাব জসীমুদ্দিন আহম্মেদ ২০১৪-১৫ কর বছরে ১০ লক্ষ টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে এবং ২ কোটি ১০ লক্ষ টাকা নীট সম্পদ প্রদর্শন করে 82BB ধারায় রিটার্ন দাখিল করেন। তিনি রিটার্ন দাখিলের সময় সারচার্জসহ প্রদেয় আয়কর ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৬ শত টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধ করেন। তিনি উক্ত রিটার্নে বিদেশে অর্জিত আয় হিসেবে ২৫ লক্ষ টাকা করমুক্ত আয় প্রদর্শন করেন কিন্তু উক্ত আয়ের স্বপক্ষে কোনরূপ দালিলিক প্রমাণাদি দাখিল করেন নাই। ২০১৩-১৪ কর বছরে তিনি ৮ লক্ষ টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে 82BB ধারায় রিটার্ন দাখিল করেছিলেন।
এক্ষেত্রে করদাতা জনাব জসীমুদ্দিন আহম্মেদ বিগত বছরের নিরূপিত আয়ের চেয়ে ২০% বেশি আয় প্রদর্শন করলেও তাঁর দাখিলকৃত রিটার্নটি 82BB ধারায় অডিটের আওতা বহির্ভূত থাকবে না, কারণ তিনি রিটার্নের সাথে করমুক্ত আয়ের স্বপক্ষে যাচাইযোগ্য প্রমাণাদি দাখিল করেননি।  

উদাহরণ-৫
করদাতা মোসাঃ শামীমা পারভীন ২০১৪-১৫ কর বছরে ১৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে ৮২ইই ধারায় রিটার্ন দাখিল করেন। তিনি রিটার্ন দাখিলের সময় প্রদেয় আয়কর ১ লক্ষ ৭৯ হাজার টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধ করেন। তিনি উক্ত রিটার্নে তাঁর স্বামীর নিকট থেকে ৫০ লক্ষ টাকা দান প্রাপ্তি প্রদর্শন করেন। ২০১৩-১৪ কর বছরে তিনি ১১ লক্ষ টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে ৮২ইই ধারায় রিটার্ন দাখিল করেছিলেন।
এক্ষেত্রে করদাতা জনাবা শামীমা পারভীন বিগত বছরের নিরূপিত আয়ের চেয়ে ২০% বেশি আয় প্রদর্শন করলেও বিবেচ্য কর বছরে দান প্রাপ্তি প্রদর্শন করেন বিধায় তাঁর দাখিলকৃত রিটার্নটি ৮২ইই ধারায় অডিটের আওতা বহির্ভূত থাকার সুবিধা পাবেন না।

উদাহরণ-৬
করদাতা সেহেলা সিদ্দিকা ২০১৪-১৫ কর বছরে ১০ লক্ষ টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে এবং ২ কোটি ১০ লক্ষ টাকা নীট সম্পদ প্রদর্শন করে 82BB ধারায় রিটার্ন দাখিল করেন। তিনি রিটার্ন দাখিলের সময় সারচার্জসহ প্রদেয় আয়কর ১ লক্ষ ৪ হাজার ৫ শত টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধ করেন। তিনি উক্ত রিটার্নে তাঁর মামার নিকট থেকে ১০ লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ প্রদর্শন করেন কিন্তু ঋণ গ্রহণের সমর্থনে তাঁর ব্যাংক বিবরণী দাখিল করেননি। ২০১৩-১৪ কর বছরে তিনি ৮ লক্ষ টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে 82BB ধারায় রিটার্ন দাখিল করেছিলেন।
এক্ষেত্রে করদাতা সেহেলা সিদ্দিকা বিগত বছরের নিরূপিত আয়ের চেয়ে ২০% বেশি আয় প্রদর্শন করলেও বিবেচ্য কর বর্ষে ঋণ গ্রহণের সমর্থনে ব্যাংক বিবরণী দাখিল করেননি বিধায় তাঁর দাখিলকৃত রিটার্নটি 82BB ধারায় অডিটের আওতা বহির্ভূত থাকার সুবিধা পাবেন না।  

উদাহরণ-৭
করদাতা জনাব রবিউল আওয়াল ২০১৪-১৫ কর বছরে ২০ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে এবং ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা নীট সম্পদ প্রদর্শন করে 82BB ধারায় রিটার্ন দাখিল করেন। তিনি রিটার্ন দাখিলের সময় প্রদেয় আয়কর ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধ করেন। ২০১৩-১৪ কর বছরে তিনি ১৬ লক্ষ টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে 82BB ধারায় রিটার্ন দাখিল করেছিলেন। তিনি উক্ত রিটার্নে মৎস্য চাষ খাতে ৫ লক্ষ টাকা আয় প্রদর্শন করেন।
এক্ষেত্রে করদাতা জনাব রবিউল আওয়াল বিগত বছরের নিরূপিত আয়ের চেয়ে ২০% বেশি আয় প্রদর্শন করলেও বিবেচ্য কর বছরে হ্রাসকৃত হারে আয়কর প্রযোজ্য হয় এরূপ মৎস্য চাষ খাতে আয় প্রদর্শন করেছেন বিধায় তাঁর দাখিলকৃত রিটার্নটি 82BB ধারায় অডিটের আওতা বহির্ভূত থাকার সুবিধা পাবেন না।

উদাহরণ-৮
করদাতা জনাব শামীম আল মামুন ২০১৪-১৫ কর বছরে ১৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে 82BB ধারায় রিটার্ন দাখিল করেন। তিনি উক্ত রিটার্নে উৎসে কর পরিশোধ বাবদ ৫০ হাজার টাকা, অগ্রিম আয়কর পরিশোধ বাবদ ১ লক্ষ টাকা এবং বিগত কর বছরের ফেরত যোগ্য কর বাবদ ৭৫ হাজার টাকা সর্বমোট ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা কর পরিশোধ দাবি করে উক্ত রিটার্নে ৩৫ হাজার টাকা ফেরতযোগ্য কর প্রদর্শন করেন। ২০১৩-১৪ কর বছরে তিনি ১১ লক্ষ টাকা মোট আয় প্রদর্শন করে 82BB ধারায় রিটার্ন দাখিল করেছিলেন।
এক্ষেত্রে করদাতা জনাব শামীম আল মামুন বিগত বছরের নিরূপিত আয়ের চেয়ে ২০% বেশি আয় প্রদর্শন করলেও বিবেচ্য কর বর্ষের রিটার্নে ফেরতযোগ্য কর প্রদর্শন করেছেন বিধায় তাঁর দাখিলকৃত
রিটার্নটি 82BB ধারায় অডিটের আওতা বহির্ভূত থাকার সুবিধা পাবেন না।
এ বিধান ২০১৪-১৫ কর বছর থেকে কার্যকর হবে।

করমুক্ত এবং কর অব্যাহতির জন্য দাবীকৃত আয় (করবর্ষ ২০১৫-২০১৬ জন্য প্রযোজ্য)

Picture

করদাতার করমুক্ত এবং কর অব্যাহতি প্রাপ্ত আয় থাকলে তা এখানে দেখাতে হবে। ব্যক্তি করদাতার করমুক্ত আয়ের কয়েকটি আইটেম নিচে দেয়া হলোঃ
(১)    করদাতা যদি চাকুরীর দায়িত্ব পালনের জন্য কোন বিশেষ ভাতা, সুবিধা বা আনুতোষিক (perquisite) পান;
(২)    পেনশন;
(৩)    অংশীদারী ফার্ম হতে পাওয়া মূলধনী মুনাফার (ফার্ম কর্তৃক কর পরিশোধিত) অংশ;
(৪)    গ্রাচুইটি প্রাপ্তি;
(৫)    প্রভিডেন্ট ফান্ড (এ্যাক্ট, ১৯২৫ অনুযায়ী) থেকে প্রাপ্ত অর্থ;
(৬)    স্বীকৃত প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে প্রাপ্ত অর্থ;
(৭)    স্বীকৃত সুপারএ্যানুয়েশন ফান্ড থেকে প্রাপ্ত অর্থ;
(৮)    কোম্পানীজ প্রফিট  (ওয়ার্কার্স পার্টিসিপেশন) এ্যাক্ট ১৯৬৮ এর আওতায় ওয়ার্কার্স পার্টিসিপেশন ফান্ড থেকে প্রাপ্ত অর্থ;
(৯)    মিউচুয়্যাল ফান্ড অথবা ইউনিট ফান্ড থেকে পাওয়া লভ্যাংশ (dividend)) যা ২৫,০০০/-টাকার বেশী নয়;
(১০)    নগদ লভ্যাংশ খাতে প্রাপ্ত আয় ২০,০০০/- টাকা পর্যন্ত
(১১)    সরকারি নিরাপত্তা জামানতের সুদ যা সরকার করমুক্ত বলে ঘোষণা করেছে;
(১২)    রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলার পাহাড়ী অধিবাসীর দ্বারা এই জেলাগুলোতেপরিচালিত আর্থিক কর্মকান্ডের ফলে প্রাপ্ত আয়;
(১৩)    রপ্তানী ব্যবসা হতে প্রাপ্ত আয়ের ৫০%;
(১৪)    আয়ের একমাত্র উৎস ’কৃষি খাত’ হলে কৃষি খাত হতে আয় ২,০০,০০০/-টাকা পর্যন্ত;
(১৫)    ২০০৮ সালের জুলাই মাসের প্রথম দিন হতে ২০১৯ সালের জুলাই মাসের ত্রিশতম দিন পর্যন্ত Software Development and info-rmation Technology Enabled Services (ITES) এর ব্যবসা-উদ্ভূত যেকোন আয়  তবে শর্ত থাকে যে, সংশি−ষ্ট ব্যাক্তি ধারা ৭৫(২) (সি) এর বিধানমতে আয়কর রিটার্ণ দাখিল করতে হবে।
ব্যাখ্যা- Info-rmation Technology Enabled Services (ITES) ej‡Z Digital Content Development and Manage-ment,Animation (both 2D and 3D), Geographic Information Service (GIS), IT Support and Software Maintenance Services, Web Site Services Business Process Outsourcing, Data Entry, Data Processing,Call Centre,Graphics Design (Digital Service),Search Engine Optimization,Web Listing, E-commerse and Online Shopping,Document Conversion,Imaging and Archiving বুঝাবে ।  

(১৬)    ১লা জুলাই ২০১১ হতে তারিখ ৩০শে জুন, ২০১৫ তারিখ পর্যন্ত সময়সীমার মধ্যে পোলট্রি খামারায়ন হতে নিম্নে বর্ণিত শর্তাবলী সাপেক্ষে যেকোন আয়ঃ
(এ) যদি ঐরূপ আয় ১,৫০,০০০/- টাকার অধিক হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে ঐরূপ আয়ের অন্যূন ১০ শতাংশ আয় বর্ষ সমাপ্ত হবার ছয় মাসের মধ্যে সরকার কর্তৃক ইস্যুকৃত বণ্ড বা সিকিউরিটি ক্রয়ের মাধ্যমে বিনিয়োগ হতে হবে;
(বি) ঐ ব্যাক্তি অত্র অধ্যাদেশের ৭৫ ধারার উপ-ধারা (২) এর দফা (সি)-এর বিধাাবলী অনুসরণ করে তার আয়ের রিটার্ন দাখিল করতে হবে; এবং
(সি) ঐরূপ কোন আয় আয় বর্ষ সমাপ্ত হবার পরবর্তী পাঁচ বছরের মধ্যে দান বা ঋণ
      প্রদানের অজুহাতে হস্তান্তর করা যাবে না।

(১৭)    স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানীর শেয়ার বিক্রয় হতে অর্জিত মূলধনী মুনাফা (এসআরও নং ২৬৯ আইন/আয়কর/২০১০ তাং ১/৭/২০১০)।
(১৮)    বাংলাদেশের বাইরে উদ্ভুত আয় প্রচলিত আইনের অধীনে বাংলাদেশে আনীত হলে, উক্ত আয় (এসআরও নং ২১৬ আইন/আয়কর/২০০৪)।
(১৯)    হস্তশিল্পজাত পণ্য রপ্তানী হতে উদ্ভূত আয়।
(২০)    তেল গ্যাস উৎপাদনে নিয়োজিত কোন কোম্পানীকে সরকার কর্তৃক উহার আয়কর বাবদ অর্থ পরিশোধ করা হলে উক্ত তেল গ্যাস কোম্পানীর আয়।
(২১)    বেসরকারি কৃষি কলেজ ও কৃষি বিষয়ক শিক্ষা কার্যক্রম হতে উদ্ভিত্ত যে কোন আয়;
(২২)    বাংলাদেশের অবস্থিত যেকোন দালান হইতে অর্জিত আয় যাহা কম পক্ষে দশ ফ্ল্যাট বিশিষ্ট পাঁচ তলা দালান নির্মাণ কাল ১লা জুলাই ২০০৯ এবং ৩০ শে জুন ২০১৪ (উভয় দিন সহ ) এর মধ্যে দালান সম্পূর্ণ হইবার তারিখ হইতে দশ বৎসরের জন্য সিটি কর্পোরেশন, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড, টঙ্গী উপজেলা, নারায়নগঞ্জ পৌরসভা, গাজীপুর পৌরসভা এবং ঢাকা জেলার যে কোন পৌরসভা এলাকায় উপস্থিত যে কোন দালান ব্যতীত।
(২৩)    ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প যার বার্ষিক টার্ণওভারের পরিমাণ ৩০ লক্ষ টাকার বেশী নয় উহার আয়;
(২৪)    জিরো কুপন বন্ড হতে উদ্ভূত আয়;)
(২৫)    সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সঞ্চয়ী হিসাব স্কিম হতে অর্জিত সুদ আয় (এসআরও নং ৮৯ আইন আয়কর/২০০৩)
(২৬) একজন করদাতার আয়ের পঞ্চাশ শতাংশ পরিমাণ অর্থ,যা শস্য মেইজ বা ইক্ষু উৎপান থেকে উদ্ভূদ হয়েছে।
(২৭) কোন অর্থ বর্ষে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাষ্ট আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ১৫নং আইন) (Trust of Prime Minister’s Education Assistance Act 2012) (Act no. 15 of 2012) (অপঃ হড়. ১৫ ড়ভ ২০১২) দ্বারা বা তদধীন গঠিত যে কোন তহবিলে করদাতা আয় হতে দানকৃত অর্থ নিম্নে বর্ণিত সর্বোচ্চ সীমা সাপেক্ষে-
ধ) কোন কোম্পানীর আয়ের বিশ শতাংশ (২০%)  বা ১২ কোটি টাকা, এতদোভয়ের মধ্যে যেটি কম:
ন) কোম্পানী নয় এরূপ করদাতার আয়ের বিশ শতাংশ (২০%) বা ১ কোটি টাকা, এতদোভয়ের মধ্যে যেটি কম: