Default

Displaying 1-7 of 7 results.

গৃহ সম্পত্তির আয়

গৃহ সম্পত্তির আয় (আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ২৪ ও ২৫ ধারা অনুযায়ী):
কোন করদাতা তার বাড়ি আবাসিক বা বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য ভাড়া দিলে, সেই আয় রিটার্নের গৃহ সম্পত্তির আয়ের ঘরে দেখাবেন। যারা আট পাতার ফরম পূরণ করবেন (আইটি-১১গ) সেই ফরমের সাথে একটি তফসিল (তফসিল-২) দেয়া আছে। আর যারা তিন পাতার ফরম (ITUMA) ব্যবহার করবেন তারা আলাদা কাগজে দেখাবেন নতুন ফরমে Part-3-এ ৫২ নং Colum-এ Schedule-24B সিলেক্ট করতে হবে এবং উক্ত Schedule-এ বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত তথ্যগুলো ইনপুট দিতে হবে।

গৃহ সম্পত্তির
অবস্থান ও বর্ণনা
বিবরণ  টাকা  টাকা
বাড়ির অবস্থান
কত তলা উল্লেখ
 করতে হবে
১। ভাড়া বাবদ বার্ষিক আয়।
গৃহ সম্পত্তি ভাড়া দেয়া হলে ১২ মাসের ভাড়া দেখাতে হবে। যদি এক বা একাধিক মাস বাড়ি খালি থাকে সেক্ষেত্রেও ১২ মাসের ভাড়া দেখাতে হবে। তবে খালি থাকা মাসের ভাড়া নীচের আর একটি ঘরে খরচ হিসাবে দাবী করা যাবে
  ***
 

২। দাবীকৃত ব্যয়সমহঃ

 

 
  মেরামত,আদায়, ইত্যাদিঃ
(ক) আবাসিক ব্যবহারের জন্য ভাড়া দেয়া হলে বার্ষিক ভাড়ার উপর ২৫% মেরামত আদায় ইত্যাদি খরচ অনুমোদন যোগ্য।
(খ) বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য ভাড়া দেয়া হলে বার্ষিক ভাড়ার উপর ৩০% খরচ মেরামত , আদায়, ইত্যাদি খরচ অনুমোদনযোগ্য।
এই খরচের জন্য কোন প্রমাণ দাখিলের প্রয়োজন নেই।
***  
  পৌর কর/ ক্যান্টমেন্ট বোর্ড কর / স্থানীয় কর ***  
  ভূমি রাজস্ব ***  
  সংশিষ্ট গৃহ সম্পত্তি নিমার্ণ বা পুনঃ নির্মাণের জন্য ঋণ গ্রহণ করা হলে উক্ত ঋণের সুদ  ***  
  বীমা কিস্তি: সংশ্লিষ্ট গৃহ সম্পত্তির বীমা করা হলে ***  
  গৃহ সম্পত্তি খালি থাকার কারণে দাবিকৃত রেয়াত ***  
  অন্যান্য , যদি থাকে ***  
  মোট =   ***
  ৩। নীট আয়ঃ   ***

(i) বেতনভুক্ত করদাতাগণ এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ব্যবসায়ী বা পেশাজীবী করদাতাগণ আইটি-১১গ এর পরিবর্তে যথাক্রমে আইটি-১১ঙ ও আইটি-১১চ ব্যবহার করলে এরূপ তফসিল সংযোজনের প্রয়োজন নেই। তবে গৃহ সম্পত্তি খাতে আয় নিরূপণ করে একটি পৃথক বিবরণী আইটি-১১ঙ বা আইটি-১১চ এর সাথে সংযুক্ত করা যেতে পারে নতুন ফরমে Part-3-এ ৫২ নং Colum-G Schedule-24B সিলেক্ট করতে হবে এবং উক্ত Schedule
-এ বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত তথ্যগুলো ইনপুট দিতে হবে।
(ii) এস,আর,ও নং ২১৬-আইন/আয়কর/২০১৪, তারিখঃ ১৮ আগষ্ট, ২০১৪ এর মাধ্যমে বিধি ৮এ সংযোজন করে আয়কর অধ্যাদেশে হিসাব রক্ষণের পদ্ধতি বিষয়ক ধারা ৩৫ সংশোধন করা হয়েছে। এর ফলে এক বা একাধিক
ভাড়াটিয়ার নিকট থেকে বাড়ি ভাড়া বাবদ মাসিক সর্বমোট ২৫ হাজার টাকার বেশি প্রাপ্ত হলেই বাড়ির মালিককে ব্যাংক হিসাবে প্রাপ্ত ভাড়া জমা করতে হবে। বাড়ির মালিক (ব্যক্তি, ফার্ম, কোম্পানি বা অন্য যে কোন প্রতিষ্ঠান) কর্তৃক এ বিধান পরিপালন করা না হলে গৃহ সম্পত্তি বাবদ অর্জিত আয়ের উপর প্রদেয় আয়করের ৫০% অথবা ন্যূনতম ৫,০০০ টাকা (যেটি বেশি) হারে বাধ্যতামূলকভাবে জরিমানা আরোপিত হবে।
(iii) অর্থ আইন, ২০১৫ পরিপত্রে আনিত ব্যাখ্যা : গৃহ-সম্পত্তি খাতের আয় নিরূপণে আয়কর অধ্যাদেশের ধারা ২৫ এর উপ-ধারা
(১) এর ক্লজ (h) অনুযায়ী আবাসিক ভবনের বার্ষিক ভাড়া মূল্যের ২৫% এবং বাণিজ্যিক ভবনের ৩০% আইনানুগভাবে মেরামত, আদায়, ইত্যাদি খরচ হিসেবে অনুমোদন করা হয়। গৃহ-সম্পত্তির আয় গণনায় এরূপ ব্যয় দাবী সত্বেও কোন করদাতা আইনানুগভাবে অনুমোদিত এ খরচের সম্পূর্ণ বা অংশ বিশেষ মেরামত বাবদ খরচ হয়নি- এ যুক্তিতে যদি কোন অংক তার সম্পদ পরিবৃদ্ধির তহবিলের উৎস হিসেবে প্রদর্শন করেন, তবে সমপরিমাণ অংক অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশের ধারা ১৯ এ সংযোজিত উপ-ধারা (৩০) এর বিধানমতে “গৃহ-সম্পত্তি খাতে আয়” হিসেবে গণ্য হবে। ধরা যাক, একজন ব্যক্তি-করদাতা একটি আবাসিক ভবন ভাড়ায় প্রদান হতে আয় অর্জন করেন। উক্ত ভবনের বার্ষিক ভাড়ামূল্য ১২,০০,০০০ টাকা। আয়কর রিটার্নে তিনি গৃহ-সম্পত্তির আয় গণনায় আয়কর অধ্যাদেশের ধারা ২৫ এর উপ-ধারা (১) এর ক্লজ
(h) অনুযায়ী অনুমোদনযোগ্য খরচ ৩,০০,০০০ টাকা দাবী করেন। কিন্তু উক্ত অংক খরচ হয়নি দাবী করে তিনি সংশ্লিষ্ট কর বছরের সম্পদ পরিবৃদ্ধির উৎস ব্যাখ্যায় তা তহবিল হিসেবে প্রদর্শন করেন । এ ক্ষেত্রে নব প্রবর্তিত বিধান অনুযায়ী বিধিবদ্ধ ব্যয়ের অব্যয়িত সমুদয় অংক আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা ১৯ এর উপ- ধারা (৩০) এর বিধান অনুসারে“গৃহ-সম্পত্তির আয়” হিসেবে গণ্য হবে। অর্থাৎ, দাবী অনুযায়ী এ ধরণে অব্যয়িত সমুদয় অংক বা অংশ বিশেষের ক্ষেত্রে এ বিধান প্রযোজ্য হবে। ব্যক্তি-করদাতা ব্যতীত অন্যান্য পর্যায়ের করদাতাও যদি হিসাব বিবরণীতে গৃহ-সম্পত্তি খাতের আয় গণনায় দাবীকৃত এরূপ খরচ অব্যয়িত অংক হিসেবে প্রদর্শন করে, সেক্ষেত্রেও এ ধারার বিধানটি সমভাবে প্রযোজ্য হবে।

বেতনাদি (আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা ২১ এবং আয়কর বিধিমালা ১৯৮৪ এর বিধি ৩৩ অনুযায়ী)

বেতনাদি (আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা ২১ এবং আয়কর বিধিমালা ১৯৮৪ এর বিধি ৩৩ অনুযায়ী)
সাধারণতঃ মূল বেতন উৎসব ভাতা, মহার্ঘ ভাতা, পরিচারক ভাতা, সম্মানী ভাতা, ওভারটাইম ভাতা, স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিলে নিয়োগকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত চাঁদা এবং বিভিন্ন পারকুইজিটস (সুবিধা) বেতন খাতের করযোগ্য আয় হিসেবে বিবেচিত হয়। বেতনাদি ঘরটি পূরণ করার আগেই রিটার্ন ফরমের (আইটি ১১গ) তৃতীয় পৃষ্ঠায় বর্ণিত তফসিল-১ (বেতনাদি) পূরন করিতে হইবে। প্রয়োজনে করদাতা পৃথক কাগজে বেতন খাতের আয়ের হিসাব সংযোজন করিতে পারিবেন। তফসিল-১ (বেতনাদি) পূরণের পদ্ধতি নিচে আলোচনা করা হলো- (সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারি ব্যতীত) অর্থ আইন ২০১৬ দ্বারা নতুন রিটার্ন ফরমের সাথে তফসিল ২৪এ প্রবর্তন করা হয়েছে।

আয়ের বিস্তারিত বিবরণী সম্বলিত তফসিল-১ (বেতনাদি)
(সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী ব্যতীত)

 

বেতন ও ভাতাদি আয়ের
পরিমাণ (টাকা)
কর মুক্ত আয়ের পরিমান টাকা নীট করযোগ্য আয়
(টাকা)
মূল বেতন   করমুক্ত নয় সম্পূর্ণ অংশ করযোগ্য।
মহার্ঘ ভাতা   করমুক্ত নয় সম্পূর্ণ অংশ করযোগ্য।
যাতায়াত ভাতা (নগদে গৃহীত)   ৩০,০০০ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত ৩০,০০০ টাকার অবশিষ্ট
 অংশ।
বাড়ি ভাড়া ভাতা (নগদে গৃহীত)   ৩,০০,০০০ টাকা বা মূল বেতনের
৫০% এর মধ্যে যেটি কম তা করমুক্ত।
অবশিষ্ট অংশ
চিকিৎসা ভাতা  

-প্রাপ্ত মূল বেতনের ১০% অথবা বার্ষিক
১,২০,০০০ টাকা, এ দুটির মধ্যে যেটি
কম সে পরিমাণ অংক

-প্রতিবন্ধী এমপ্লয়ির ক্ষেত্রে ১০
লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা ভাতা কর মুক্ত
আয় হিসেবে গণ্য হবে।

- প্রাপ্ত ভাতার অবশিষ্ট অংশ

- কোম্পানির শেয়ার হোল্ডার
পরিচালক ব্যতীত অন্য কোন
এমপ্লয়ির ক্ষেত্রে হার্ট, কিডনি,
চক্ষু, লিভার এবং ক্যান্সার
সার্জাারীর জন্য প্রাপ্ত চিকিৎসা খরচ
কর মুক্ত হিসেবে বিবেচিত হবে।

পরিচারক ভাতা    করমুক্ত নয়  সম্পূর্ণ অংশ।
ছুটি ভাতা    করমুক্ত নয়  সম্পূর্ণ অংশ।
সম্মানী/ পুরস্কার/ ফি   করমুক্ত নয়  সম্পূর্ণ অংশ।
ওভার টাইম ভাতা/মহার্ঘভাতা   করমুক্ত নয়  সম্পূর্ণ অংশ।
বোনাস/এক্সগ্রোসিয়া    করমুক্ত নয়  সম্পূর্ণ অংশ
উৎসব ভাতা    করমুক্ত নয়  সম্পূর্ণ অংশ।
স্বীকৃত ভবিষ্যত তহবিলে
নিয়োগকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত চাঁদা
  করমুক্ত নয়  সম্পূর্ণ অংশ।
স্বীকৃত ভবিষ্যত তহবিলে
অর্জিত সুদ
  মূল বেতনের ১/৩ অংশ পর্যন্ত প্রাপ্ত সুদ
(এখানে বেতন বলতে মূল বেতন এবং
মহার্ঘ ভাতা বুঝাবে) অথবা সরকার কর্তৃক
নির্ধারিত হার ১৪.৫০% এ দুয়ের মধ্যে
যেটি কম
এর অতিরিক্ত করযোগ্য।
যানবাহন সুবিধার জন্যবিবেচিত আয়   যদি করদাতা ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য নিয়োগকর্তার
নিকট থেকে গাড়ি পান তাহলে মূল বেতনের ৫%
সরাসরি নীট অথবা বার্ষিক ৬০,০০০ টাকা, (দুটির মধ্যে
যেটি বেশি) সরাসরি নীট করযোগ্য আয় হবে।
মূল বেতনের ৫% বা ৬০,০০০ যেটি বেশি।
বিনামূল্যে বা হ্রাসকৃত ভাড়ায়প্রাপ্ত বাসস্থানের জন্য বিবেচিত আয়  

ক। যদি করদাতা নিয়োগকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত
বিনা ভাড়ায় সজ্জিত বা অ-সজ্জিত বাসস্থানে
বাস করেন তাহলে সাধারণভাবে মূল
বেতনের ২৫% করযোগ্য আয় হিসাবে গণ্য
হবে।

খ। যদি করদাতা নিয়োগকর্তা থেকে
হ্রাসকৃত ভাড়ায় সজ্জিত বা অ-সজ্জিত
বাসস্থান প্রাপ্ত হন সে ক্ষেত্রে সাধারণভাবে
মূল বেতনের ২৫% হতে প্রকৃত পরিশোধিত
ভাড়া বাদ দিয়ে পার্থক্য করযোগ্য আয়
হিসাবে গণ্য হবে।

 -মূল বেতনের ২৫% যোগ হবে

মূল বেতনের ২৫% = *
বাদঃ প্রকৃত ভাড়া =*
পার্থক্য করযোগ্য আয় হবে = *

অন্যান্য, যদি থাকে (বিবরণ
দিন)
  করদাতা যদি নিয়োগকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত
বাসস্থানে দারোয়ান, মালি, বাবুর্চী কিংবা
অন্য কোন সুবিধা পেয়ে থাকেন তবে প্রাপ্ত
সুবিধার সমপরিমাণ আর্থিক মূল্য করযোগ্য
আয় হিসাবে দেখাতে হবে।
এ সকল সুবিধার আর্থিক
মূল্য
ছুটি নগদায়ন   করমুক্ত নয়  করযোগ্য।
পেনশন   করমুক্ত  শূন্য
গ্র্যাচুইটি   ২.৫ কোটি টাকা পর্যন্ত করমুক্ত। ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার অতিরিক্ত অংক করযোগ্য
Workers Participation
Fund
  ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত। ৫০,০০০ টাকার অবশিষ্ট অংশ


 

আয়কর আইনে কি ধরণের আয়ের খাতসমূহ হিসেবে আনতে হবে

আয়কর আইনে কি ধরণের আয় হিসেবে আনতে হবে অর্থাৎ আয়ের খাতসমূহ:
আয়কর অধ্যাদেশের ধারা-২০ মোতাবেক আয়কর ধার্য্যরে জন্য এবং মোট আয় নির্ণয়ের জন্য সকল আয়কে নিম্নেবর্ণিত খাতে বিভক্ত করে
হিসাবে করতে হবে, যথাঃ
(ক) বেতন
(খ) নিরাপত্তা (সিকিউরিটির) উপর সুদ
(গ) গৃহ সম্পত্তি হতে আয়
(ঘ) কৃষি আয়
(ঙ) ব্যবসা বা পেশা হতে আয়
(চ) ফার্মের আয়ের অংশ
(ছ) স্বামী/স্ত্রী বা অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের আয় (আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ৪৩ (৪) ধারা অনুযায়ী)
(জ) মূলধনী আয়
(ঝ) অন্যান্য উৎস হতে আয়

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন আইন হচ্ছে

মূলধনের ১০%-এর বেশি টাকা পুঁজিবাজারে খাটানো যাবে না

মূলধনের ১০ শতাংশের বেশি অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে অব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য নতুন আইন তৈরি হচ্ছে।


তবে কোনো প্রতিষ্ঠানের যদি অগ্রাধিকার শেয়ার থাকে আর সেই শেয়ারে বিনিয়োগ যদি কোম্পানির উদ্যোগ বা প্রচেষ্টা মূলধনের (ভেনচার ক্যাপিটাল) অংশ হয়, তাহলে এই বিনিয়োগের পরিমাণ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মূলধনের সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ হতে পারবে।


কিন্তু কোনোভাবেই সাধারণ ও অগ্রাধিকার শেয়ার মিলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ তার মোট আমানতের (দায়) ১০ শতাংশের বেশি হবে না।


বর্তমানে বিদ্যমান আইন ও বিধিবিধান অনুসারে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো শেয়ারবাজারে মূলধনের ২৫ শতাংশ এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারে।


অন্যদিকে নতুন আইনে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর একক কোনো কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ বিনিয়োজিত কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।


কিন্তু আইন প্রণয়নের দিনে এই হারের চেয়ে বেশি কোনো একক কোম্পানির শেয়ার কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হাতে থাকলে ১৫ দিনের মধ্যে তা বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে হবে।


এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্ধারিত সময়ে বিনিয়োগ উল্লিখিত আইনি সীমার মধ্যে নামিয়ে আনতে হবে। তবে তা দুই বছরের বেশি হবে না বলে খসড়া আইনে উল্লেখ করা হয়েছে।


২০০৮ সালে বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানগুলোর দেউলিয়া হওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা দেখা যায়। বাংলাদেশে ২০১০ সালের শেষ ভাগে শেয়ারবাজারে যে বিপর্যয় নেমে আসে, এর আগে ও পরে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়।


সূত্রগুলো বলছে, শেয়ারবাজারের মতো স্পর্শকাতর ও ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে রক্ষা করা এবং সার্বিকভাবে এসব প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ ভারসাম্য আনতে নতুন এসব ধারা যুক্ত হচ্ছে ‘আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ২০১১’-এ।


বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিমধ্যেই নতুন আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইনের খসড়া তৈরি করে তা অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। এটি এখন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর মন্ত্রিসভায় যাবে। পরে জাতীয় সংসদে অনুমোদিত হলে বর্তমান ‘আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩’-এর স্থলে নতুন আইন প্রতিস্থাপিত হবে।


অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রগুলো বলছে, নতুন আইন প্রণয়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বর্তমান আইনকে যুগোপযোগী করা, প্রতিষ্ঠানগুলোতে সুশাসন আনা, বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারি বৃদ্ধি এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট সম্পদ, ঋণ, লিজ, বিনিয়োগ প্রভৃতি ক্ষেত্রে গতিশীল ও ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা করেছে।


খসড়া নতুন আইনে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মালিকানার ক্ষেত্রেও নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বর্তমান আইনের আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশনা দিয়ে কোনো একক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা একই পরিবারের হাতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ১০ শতাংশের বেশি শেয়ার যাতে কেন্দ্রীভূত না হয়, সে জন্য সীমা আরোপ করে রেখেছে।


নতুন আইনে তা সংযুক্ত করা হচ্ছে। এর সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে: একক ব্যক্তি, পরিবার ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৫ শতাংশের বেশি শেয়ার কেন্দ্রীভূত হতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন নিতে হবে। কী উদ্দেশ্যে ৫ শতাংশের বেশি শেয়ার কেন্দ্রীভূত হবে, তা বিবেচনা করে দেখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই ধারা সংযুক্ত করেছে বলে সূত্র জানায়।
অন্যদিকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিচালকের সংখ্যা বিদ্যমান আইনের আওতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্দেশনা দিয়ে ১৩ জনে সীমিত করে রেখেছিল, এটি আইনের মধ্যে আনা হচ্ছে। আর এ ক্ষেত্রে নতুন যুক্ত হচ্ছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিচালকের মেয়াদ কাল হবে তিন বছর। একজন পরিচালক দুই মেয়াদে সর্বোচ্চ ছয় বছর পর্যন্ত পরিচালক থাকতে পারবেন। পরে তাঁকে এক মেয়াদের জন্য বিরতি দিয়ে পুনরায় পরিচালক হওয়ার সুযোগও রয়েছে নতুন আইনের খসড়ায়।


খসড়া আইনে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগী বা সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠনের সুযোগ রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিয়ে পরিষ্কার কিছু উদ্দেশ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন করতে পারবে।
আমানতকারীর সঞ্চয়ের নিরাপত্তা রক্ষা ও জনস্বার্থে পরিচালকদের অপসারণের সুস্পষ্ট বিধান নতুন আইনে রয়েছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে নীতিমালা ও শর্তাবলি স্পষ্ট ও যুগোপযোগী করা হচ্ছে নতুন আইনে। এ ক্ষেত্রে জনস্বার্থের বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। একইভাবে শর্তাবলি পালন না করলে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা উপেক্ষাসহ বিধিবিধান লঙ্ঘনের কারণে লাইসেন্স বাতিলের বিধান রাখা হয়েছে নতুন খসড়া আইনে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশে ২৯টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। লিজিং কোম্পানি নামেই এগুলো অধিক পরিচিত পেয়েছে। ১৮ বছর আগের আইন দিয়ে এগুলো পরিচালিত হচ্ছে।


কিন্তু ব্যাংকগুলোর আন্তর্জাতিক মানসংক্রান্ত ব্যাসেল কমিটির ‘ব্যাসেল-২’ সুপারিশের আওতায় এখন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আনা হচ্ছে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের মূলধন সংরক্ষণের হার আন্তর্জাতিক নিয়মনীতির আওতায় এসেছে। তা ছাড়া সময়োপযোগী নিয়ন্ত্রণ কাঠামো তৈরি করতেও বিদ্যমান আইন সংশোধন করে নতুন আইন তৈরির সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা যায়।


আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত ঋণ, অগ্রিম ও লিজ অর্থায়ন করে থাকে। খসড়া আইনে এসবের পাশাপাশি ক্রেডিট কার্ড, উন্নয়ন অর্থায়ন, নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ বা প্রচেষ্টায় বিনিয়োগ, ফ্যাক্টরিসহ ব্যবসা প্রসারের প্রস্তাব রয়েছে।
নতুন আইনে ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কিছু পৃথক বিধান সংযোজন করা হয়েছে

করমুক্ত এবং কর অব্যাহতির জন্য দাবীকৃত আয়

করমুক্ত এবং কর অব্যাহতির জন্য দাবীকৃত আয়
করদাতার করমুক্ত এবং কর অব্যাহতি প্রাপ্ত আয় থাকলে তা এখানে দেখাতে হবে। ব্যক্তি করদাতার করমুক্ত আয়ের কয়েকটি আইটেম নিচে দেয়া হলোঃ
(১) সরকারি চাকুরিজীবী করদাতা যদি চাকুরীর দায়িত্ব পালনের জন্য কোন বিশেষ ভাতা, সুবিধা বা আনুতোষিক (perquisite) পান;
(২) পেনশন;
(৩) অংশীদারী ফার্ম হতে পাওয়া মূলধনী মুনাফার (ফার্ম কর্তৃক কর পরিশোধিত) অংশ;
(৪) ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গ্রাচুইটি প্রাপ্তি ;
(৫) প্রভিডেন্ট ফান্ড (এ্যাক্ট, ১৯২৫ অনুযায়ী) থেকে প্রাপ্ত অর্থ;
(৬) স্বীকৃ ত প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে প্রাপ্ত অর্থ;
(৭) স্বীকৃ ত সুপারএ্যানুয়েশন ফান্ড থেকে প্রাপ্ত অর্থ;
(৮) বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (২০০৬ সনের ৪২ নং আইন) এর আওতাধীন যে কোন ব্যক্তি কর্তৃক প্রাপ্ত অংশের
৫০,০০০ টাকা অব্যহতি;
(৯) মিউচুয়্যাল ফান্ড অথবা ইউনিট ফান্ড থেকে ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় (সুদ, মুনাফা বা ডিভিডেন্ট);
(১০) পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত কোম্পানি কর্তৃক প্রদত্ত নগদ লভ্যাংশ ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত;
(১১) সরকারি নিরাপত্তা জামানতের সুদ যা সরকার করমুক্ত বলে ঘোষণা করেছে;
(১২) রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলার পাহাড়ী অধিবাসীর দ্বারা এই জেলাগুলোতে পরিচালিত আর্থিক কর্মকান্ডের ফলে প্রাপ্ত আয়;
(১৩) আয়কর অধ্যাদেশের আওতায় জারিকৃত কোন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী কর অব্যাহতি বা হ্রাসকৃত কর হারের সুবিধা গ্রহণকারী করদাতা ব্যতীত অন্যান্য করদাতার রপ্তানি ব্যবসা হতে প্রাপ্ত আয়ের ৫০%;
(১৪) আয়ের একমাত্র উৎস ’কৃষি খাত’ হলে কৃ ষি খাত হতে আয় ২,০০,০০০টাকা পর্যন্ত;
(১৫) ২০০৮ সালের জুলাই মাসের প্রথম দিন হতে ২০২৪ সালের জুলাই মাসের ত্রিশতম দিন পর্যন্ত এর ব্যবসা-উদ্ভূত যেকোন আয় : তবে শর্ত থাকে যে, সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তি ধারা ৭৫(২) (সি) এর বিধানমতে আয়কর রিটার্ণ দাখিল করতে হবে।ব্যাখ্যা-Software development; (ii) Software or application customization; (iii) Nationwide Telecommunication Transmission Network (NTTN); (iv) Digital content development and
management; (v) Digital animation development; (vi) Website development; (vii) Web site services; (viii) Web listing; (ix) IT process outsourcing; (x) Website hosting; (xi) Digital graphics design; (xii) Digital data entry and processing; (xiii) Digital data analytics; (xiv) Geographic Information Services (GIS); (xv) IT support and software maintenance service; (xvi) Software test lab services; (xvii) Call center service; (xviii) Overseas medical transcription; (xix) Search engine optimization services; (xx) Document conversion, imaging and digital archiving; (xxi) Robotics process outsourcing; (xxii) Cyber security services বুঝাবে ।
(১৬) হাঁস-মুরগীর খামার হতে অর্জিত আয়ের ক্ষেত্রে প্রথম ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ‘শূন্য’ হারে, পরবর্তী ১০ লক্ষ টাকা আয়ের উপর ৫% হারে এবং অবশিষ্ট আয়ের উপর ১০% হারে কর প্রদেয় হবে (এসআরও নং-২৫৪-আইন/আয়কর/২০১৫)।
(১৭) হাঁস-মুরগী, চিংড়ী ও মাছের হ্যাচারী এবং মৎস্য চাষ হতে অর্জিত আয়ের ক্ষেত্রে প্রথম ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ‘শূন্য’ হারে পরবর্তী ১০ লক্ষ টাকা আয়ের উপর ৫% হারে এবং অবশিষ্ট আয়ের উপর ১০% হারে কর প্রদেয় হবে;
(১৮) জিরো কূপন বন্ড থেকে উদ্ধৃত আয়;
(১৯) কতিপয় ক্ষেত্র ব্যতীত ব্যক্তি করদাতা কর্তৃক স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভূক্ত কোম্পানির শেয়ার বিক্রয় হতে অর্জিত মূলধনী মুনাফা;
(২০) হস্তশিল্পজাত পণ্য রপ্তানি হতে উদ্ভূত আয়।
(২১) পেনশনার সঞ্চয়পত্র ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্রমযোজিত বিনিয়োগ হতে অর্জিত সুদ আয়।
(২২) ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড, ইউএস ডলার নভেস্টমেন্ট বন্ড, ইউরো ইনভেস্টমেন্ট বন্ড, ইউরো প্রিমিয়াম বন্ড, পাউন্ড স্টারলিং ইনভেস্টমেন্ট বন্ড এবং পাউন্ড স্টারলিং প্রিমিয়াম বন্ড- এই ৭টি বন্ড হতে অর্জিত সুদ আয়কে করমুক্ত করা হয়েছে।
(২৩) যেকোন পণ্য প্রস্তুতির সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে এবং বার্ষিক টার্ণওভার ৫০ লক্ষ টাকার অধিক নহে যে কোন Small and Medium Enterprise (SME) হতে
(২৪) বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট হতে প্রাপ্ত সম্মানী বা ভাতা কিংবা সরকার কর্তৃক প্রদত্ত কল্যাণ ভাতা;
(২৫) সরকারের নিকট হতে গৃহীত কোন পদক /পুরস্কার; এবং
(২৬) কোন Elderly care home পরিচালনা হতে অর্জিত আয়;
করমুক্ত আয়সমূহ করদাতার মোট আয়ের অন্তর্ভূক্ত হবে না। এটি করমুক্ত আয়ের কলামে প্রদর্শন করতে হবে।

নিরাপত্তা জামানতের উপর সুদ

 

নিরাপত্তা জামানতের উপর সুদ (আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ২২ ধারা):
সরকার কর্তৃক ইস্যুকৃত বন্ড বা সিকিউরিটিজ (যেমন টিএন্ডটি বন্ড, ন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট বন্ড, ট্রেজারী বন্ড/বিল, ইত্যাদি), ডিবেঞ্চার হতে অর্জিত সুদ এবং জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তর কর্তৃক ইস্যুকৃত সেভিংস ইন্সট্রুমেন্টসের সুদ এ খাতের আয় হিসেবে রিটার্নে দেখাতে হবে। সাধারণভাবে, সিকিউরিটিজ বা ডিবেঞ্চার কেনার জন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া হলে ঋণের সুদ সিকিউরিটিজ হতে অর্জিত সুদ আয় থেকে খরচ হিসেবে বাদ দেয়া যাবে। তবে ৮২সি ধারার আওতাধীন কোন সেভিংস ইন্সট্রুমেন্টসের সুদের ক্ষেত্রে খরচ বাদ যাবে না। ২০১৭-২০১৮ কর বছরে যে কোন ধরনের সঞ্চয়পত্রের অর্জিত সুদের উপর উৎসে কর্তিত কর উক্ত খাতের বিপরীতে চূড়ান্ত করদায়ের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন নূন্যতম করদায় পরিশোধ হিসেবে গণ্য হবে

অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার শর্ত শিথিল, পেপ্যালের কাজ শুরুর পথ প্রশস্ত করবে

Picture

অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে সার্ভিস প্রোভাইডারসের (ওপিজিএসপি) মাধ্যমে সেবা রফতানির অর্থ সংগ্রহের শর্ত কিছুটা শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের ফ্রিল্যান্সাররা যাতে সহজে তাদের উপার্জিত অর্থ সংগ্রহ করতে পারে এজন্যই নতুন এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। গেটওয়ের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের পরিধি বাড়িয়ে প্রতিবারে ৫০০ ডলার থেকে সর্বোচ্চ দুই হাজার মার্কিন ডলার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আগে থেকে কোন ঘোষণার (পূর্বানুমতি) প্রয়োজন হবে না। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে। আরো জানতে


বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি, ডাটা প্রসেসিং, বিজনেস প্রসেসিং, বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিংসহ নানা ধরনের তথ্য প্রযুক্তি রফতানি হচ্ছে। এর আগে এসব সেবা থেকে উপার্জিত ৫০০ ডলারের বেশি আনতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্ধারিত ‘সি’ ফর্মে ঘোষণা দিতে হতো। এই দীর্ঘসূত্রিতা ও বাড়তি প্রক্রিয়ার ফলে আন্তর্জাতিক সেবা আমদানিকারকরা অনুৎসাহ।


বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক এর আগে বৈদেশিক মুদ্রায় প্রচলিত ওয়েজ আর্নার ডেভলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড এবং ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড কিনতে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সত্যায়নের শর্ত প্রত্যাহার করে। অন্য এক পরিপত্রের মাধ্যমে দেশে বসে সেবার বিনিময়ে উপার্জিত ৫ হাজার ডলার পর্যন্ত দেশে আনতে ঘোষণা লাগবে না বলে বলা হয়।


এই সিদ্ধান্ত দেশে অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে পেপ্যাল এর কাজ শুরুর পথকেও প্রশস্ত করবে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।