Business Blog

Displaying 31-40 of 98 results.

আয়কর আইনে কি ধরনের আয় হিসেবে আনতে হবে অর্থাৎ আয়ের খাতসমূহ : স্বামী/স্ত্রী বা অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের আয়

আয়কর অধ্যাদেশের ধারা-২০ মোতাবেক আয়কর ধার্য্যরে জন্য এবং মোট আয় নির্ণয়ের জন্য সকল আয়কে নিম্নেবর্ণিত খাতে বিভক্ত করে হিসাবে করতে হবে, যথাঃ

(১) বেতন

(২) নিরাপত্তা (সিকিউরিটির) উপর সুদ
(৩) গৃহ সম্পত্তি হতে  আয়
(৪) কৃষি আয়
(৫) ব্যবসা বা পেশা হতে আয়
(৬) ফার্মের আয়ের অংশ
(৭) অন্যান্য উৎস হতে আয়
(৮) মূলধনী আয়

(৯) স্বামী/স্ত্রী বা অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের আয় (আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ৪৩ (৪) ধারা অনুযায়ী)ঃ
করদাতার স্বামী/স্ত্রী বা অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানদের নামে যদি পৃথকভাবে আয়কর নথি না থাকে কিন্তু তাদের  নামে অর্জিত সম্পত্তি থেকে  আয় থাকে, সেক্ষেত্রে তাদের নামে অর্জিত আয় রিটার্নের এই ঘরে দেখাতে হবে।

 

আয়কর আইনে কি ধরনের আয় হিসেবে আনতে হবে অর্থাৎ আয়ের খাতসমূহ : ফার্মের আয়ের অংশ

আয়কর অধ্যাদেশের ধারা-২০ মোতাবেক আয়কর ধার্য্যরে জন্য এবং মোট আয় নির্ণয়ের জন্য সকল আয়কে নিম্নেবর্ণিত খাতে বিভক্ত করে হিসাবে করতে হবে, যথাঃ

(১) বেতন

(২) নিরাপত্তা (সিকিউরিটির) উপর সুদ
(৩) গৃহ সম্পত্তি হতে  আয়
(৪) কৃষি আয়
(৫) ব্যবসা বা পেশা হতে আয়

(৬) ফার্মের আয়ের অংশঃ
করদাতা কোন অংশীদারি ফার্মের অংশীদার হলে ফার্ম থেকে পাওয়া তার আয়ের অংশ এ ঘরে দেখাবেন। এ আয়ের উপর করদাতা গড় হারে আয়কর রেয়াত পাবেন। একটি উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি স্পষ্ট করা হলোঃ
ধরা যাক, মিসেস সুম্মা জাহিরা একটি ফার্মের ১/৩ অংশের অংশীদার। সংশ্লিষ্ট বছরে ঐ ফার্ম ২,৮৫,০০০/- টাকা মুনাফা করেছে। ঐ অংশীদারি ফার্মে তার মুনাফার হিস্যা ৯৫,০০০/- টাকা। এছাড়া তার গৃহ স¤পত্তির নীট আয় ৩,২০,০০০/-টাকা। তার মোট আয় ৪,১৫,০০০/- টাকা। ২০১৬-২০১৭ কর বছরের আয়করের হার অনুযায়ী প্রদেয় করের পরিমাণ ১৬,৫০০/- টাকা। ফার্মের অংশীদারি আয়ের জন্য করদাতা যে রেয়াত পাবেন এবং রেয়াত পাওয়ার পরে তাকে যে পরিমাণ কর পরিশোধ করতে হবে তা এ রকমঃ
মোট প্রদেয় কর× ফার্মের অংশীদারী আয়   =                 ১৬,৫০০× ৯৫,০০০
    মোট আয়                                                          ৪,১৫,০০০
অর্থাৎ ফার্মের করারোপিত আয়ের উপর কর পরিশোধ    = ৩,৭৭৭ টাকা।
করদাতার নীট প্রদেয় করের পরিমাণঃ ১৬,৫০০-৩,৭৭৭ = ১২,৭২৩ টাকা।

(৭) অন্যান্য উৎস হতে আয়
(৮) মূলধনী আয়
(৯) স্বামী/স্ত্রী বা অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের আয়

আয়কর আইনে কি ধরনের আয় হিসেবে আনতে হবে অর্থাৎ আয়ের খাতসমূহ : অন্যান্য উৎস হতে আয়

আয়কর অধ্যাদেশের ধারা-২০ মোতাবেক আয়কর ধার্য্যরে জন্য এবং মোট আয় নির্ণয়ের জন্য সকল আয়কে নিম্নেবর্ণিত খাতে বিভক্ত করে হিসাবে করতে হবে, যথাঃ

(১) বেতন

(২) নিরাপত্তা (সিকিউরিটির) উপর সুদ
(৩) গৃহ সম্পত্তি হতে  আয়
(৪) কৃষি আয়
(৫) ব্যবসা বা পেশা হতে আয়
(৬) ফার্মের আয়ের অংশ

(৭) অন্যান্য উৎস হতে আয় (আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪এর ৩৩ ধারা অনুযায়ী) ঃ
বেতন, নিরাপত্তা জামানতের উপর সুদ, গৃহ স¤পত্তির আয়, কৃষি আয়, ব্যবসা বা পেশার  আয়,  মূলধনী  মুনাফা  এসকল  আয়ের  খাত  ছাড়া  অন্য  যাবতীয়  আয় অন্যান্য  সূত্রের আয় হিসাবে বিবেচিত হবে। ব্যাংকে গচ্ছিত টাকার উপর সুদ, নগদ লভ্যাংশ, সঞ্চয়পত্রের সুদ বা মুনাফা, লটারী, যন্ত্রপাতি ভাড়া দিয়ে আয়, বক্তৃতা বা লেখার সম্মানী ইত্যাদি অন্যান্য সূত্রের আয়ের কয়েকটি উদাহরণ।
ব্যাংক/সঞ্চয়পত্রের সুদ বা নগদ লভ্যাংশ এর ক্ষেত্রে মোট  (gross) প্রাপ্ত সুদ বা লভ্যাংশ আয়  হিসেবে বিবেচিত  হবে। অর্থাৎ যে সকল ক্ষেত্রে সুদ বা লভ্যাংশ হতে উৎসে আয়কর কর্তন করা হয়েছে সে সকল ক্ষেত্রে সুদ বা লভ্যাংশ হতে আয় হবে উৎসে আয়কর কর্তনপূর্ব অংক। যথাঃ ১,০০০/ টাকা উৎসে আয়কর কেটে ৯,০০০/- টাকা নীট সুদ বা মুনাফা কোন করদাতাকে প্রদান করা হলেও উক্ত  করদাতার  সুদ  বা  লভ্যাংশ  বাবদ  আয়  দেখাতে  হবে  ১০,০০০/-  টাকা। তবে  ব্যাংক/সঞ্চয়পত্রের সুদ বা লভ্যাংশ আয় থেকে উৎসে কেটে রাখা আয়কর করদাতার জন্য অগ্রিম পরিশোধিত কর হিসেবে বিবেচিত হবে যা আয়কর রিটার্র্ন দাখিল বা আয়কর মামলা নিরাপত্তি পর্যায়ে সৃষ্ট কর দাবীর বিপরীতে  সমন্বয় করা যাবে।  উদাহরণস্বরূপ  উল্লেখ  করা  যায়  যে,  একজন  করদাতার  মোট  আয়ের (সকল  করযোগ্য  আয়ের  সমষ্টি)  উপর  প্রদেয়  আয়করের  পরিমাণ ৫৫,০০০/-টাকা। তার ব্যাংক সুদ এবং লভ্যাংশের উপর কেটে রাখা আয়করের পরিমাণ যদি ১০,০০০/-  টাকা হয়, তাহলে তাকে কর নির্ধারণের পর ৫৫,০০০  -  ১০,০০০ = ৪৫,০০০/- টাকা পরিশোধ করতে হবে।

(৮) মূলধনী আয়
(৯) স্বামী/স্ত্রী বা অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের আয়

আয়কর আইনে কি ধরনের আয় হিসেবে আনতে হবে অর্থাৎ আয়ের খাতসমূহ : মূলধনী মুনাফা

আয়কর অধ্যাদেশের ধারা-২০ মোতাবেক আয়কর ধার্য্যরে জন্য এবং মোট আয় নির্ণয়ের জন্য সকল আয়কে নিম্নেবর্ণিত খাতে বিভক্ত করে হিসাবে করতে হবে, যথাঃ

(১) বেতন

(২) নিরাপত্তা (সিকিউরিটির) উপর সুদ
(৩) গৃহ সম্পত্তি হতে  আয়
(৪) কৃষি আয়
(৫) ব্যবসা বা পেশা হতে আয়
(৬) ফার্মের আয়ের অংশ
(৭) অন্যান্য উৎস হতে আয়

(৮) মূলধনী মুনাফা (আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা ৩১ অনুযায়ী)ঃ
কোন স¤পত্তি বিক্রি করে মুনাফা হলে তা রিটার্নে  মূলধনী আয় হিসেবে  দেখাতে হবে। এক্ষেত্রে  স¤পত্তির মধ্যে জমি, বাড়ী, এ্যাপার্টমেন্ট, কমার্শিয়াল প্লেস, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত  কো¤পানীর শেয়ার  বা মিউচ্যুয়াল ফান্ড  ইউনিট ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে ব্যক্তিগত ব্যবহার্য গাড়ী, ক¤িপউটার, আসবাবপত্র অলংঙ্কার  ইত্যাদি  মূলধনী  সম্পত্তি  হিসেবে  অন্তর্ভুক্ত  হবে না। বিক্রয়কৃত  জমি, বাড়ী,  এ্যাপার্টমেন্ট, কমার্শিয়াল প্লেস ইত্যাদি  রেজিস্ট্রেশনের  সময় যে  কর পরিশোধ করা হয় তা মূলধনী মুনাফার বিপরীতে  চূড়ান্ত  করদায়ের  বৈশিষ্ট সম্পন্ন নূন্যতম করদায় পরিশোধ বলে গণ্য হবে।
স্টক  এক্সচেঞ্জে  তালিকাভুক্ত  কো¤পানীর  শেয়ার  বা  মিউচ্যুয়াল  ফান্ড  ইউনিট বিক্রয়  বা  হস্তান্তর  হতে  ব্যাংক  ও  অন্যান্য  আর্থিক  প্রতিষ্ঠান,  মার্চেন্ট  ব্যাংক, শেয়ার ডিলার/ব্রোকার কো¤পানী এর ¯পন্সর শেয়ারহোল্ডার, ডিরেক্টর এবং স্টক এক্সচেঞ্জে  লিষ্টেড  কো¤পানীর  স্পন্সর  শেয়ারহোল্ডার  বা  ডিরেক্টরদের  আয় করযোগ্য। এছাড়া আয় বছরের যে কোন সময়ে  কোন করদাতার কোন একটি স্টক এক্সচেঞ্জে  লিষ্টেড  কো¤পানীর  পরিশোধিত  মূলধনের  ১০%  অধিক  শেয়ার থাকলে  ঐ  কো¤পানীর  শেয়ার  বিক্রয়  হতে  অর্জিত  আয়ও  করযোগ্য  হবে।  
২০১৬-২০১৭ এর পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছেঃ
যে ক্ষেত্রে  ধারা ৫৩ঐ এর আওতায় উৎসে কর আদায় করা হয়েছে সে ক্ষেত্রে হস্তান্তরিত সম্পত্তির মূল্য যদি করদাতার পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণীতে আগে প্রদর্শিত থাকে তাহলে পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণীতে সম্পদের পরিবৃদ্ধি ও ব্যয়ের উৎস প্রদর্শনের ক্ষেত্রে হস্তান্তরিত সম্পত্তির দলিলমূল্য হতে আগের প্রদর্শিত মূল্য বাদ দিয়ে অবশিষ্ট অংক নেয়া হবে।
যেমন ধরা যাক, মি. আদি টঙ্গীতে ১০ বছর আগে ১ লক্ষ টাকা দিয়ে জায়গা ক্রয় করেছেন। তিনি ২০১৬-২০১৭ করবর্ষে জমিটি বিক্রয় করেছেন। জমির বিক্রয় মূল্য ১২,০০,০০০/- টাকা
এক্ষেত্রে, বিক্রয় মূল্য থেকে ক্রয় মূল্য বাদ দিলে ১১,০০,০০০/- জমি বিক্রয় থেকে মূলধনী আয়।
রিটার্ন সম্পদ ও দায় বিবরণীতে ১৭ নং আইটেমে Source of Fund (অর্জিত তহবিল সমূহ) (iii) নং এ others recipt (অন্যান্য প্রাপ্তি) এ Land sale ১১,০০,০০০/- উল্লেখ করতে হবে এবং সম্পদ বিবরণী থেকে সম্পত্তির ক্রয় মূল্য ১,০০,০০০/- টাকা বাদ দিতে হবে।

(৯) স্বামী/স্ত্রী বা অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের আয়

আয়কর আইনে কি ধরনের আয় হিসেবে আনতে হবে অর্থাৎ আয়ের খাতসমূহ : ব্যবসা বা পেশা হতে আয়

আয়কর অধ্যাদেশের ধারা-২০ মোতাবেক আয়কর ধার্য্যরে জন্য এবং মোট আয় নির্ণয়ের জন্য সকল আয়কে নিম্নেবর্ণিত খাতে বিভক্ত করে হিসাবে করতে হবে, যথাঃ

(১) বেতন

(২) নিরাপত্তা (সিকিউরিটির) উপর সুদ
(৩) গৃহ সম্পত্তি হতে  আয়
(৪) কৃষি আয়

(৫) ব্যবসা বা পেশা হতে আয়ঃ
ব্যক্তি করদাতা ব্যবসার জন্য হিসাবের খাতাপত্র রাখলে হিসাব বিবরণী অনুযায়ী আয়  দেখাতে হবে। অন্যথায়, আয় ব্যয় বিবরণী অনুযায়ী আয় দেখাতে হবে। আয়কর  রিটার্নের  সাথে  ব্যবসা  বা  পেশা  আয়ের  উৎপাদন  হিসাব,  বাণিজ্যিক হিসাব, লাভ ও ক্ষতি হিসাব এবং স্থিতিপত্র বা আয়-ব্যয়ের হিসাব বিবরণী (যা প্রযোজ্য) সংযোজন করতে হবে। ব্যবসা বা পেশার গ্রস প্রাপ্তি বা বিক্রয় হতে ব্যবসা  সংশ্লিষ্ট সকল খরচ বাদ দিয়ে নীট আয় নির্ণয় করতে হয়। উল্লেখ্য যে, করদাতার ব্যক্তিগত খরচ বা ব্যবসা বহির্ভূত ব্যয় এক্ষেত্রে খরচ হিসেবে বাদ দেয়া যাবে না। তাছাড়া ব্যবসার মূলধনী প্রকৃতির খরচও নীট আয় নির্ণয়ের ক্ষেত্রে খরচ হিসেবে বাদ দেয়া যাবে না। নতুন ফরমে তফসিল ২৪সি পূরণ পূর্বক মূল রিটার্নের সাথে সংযুক্ত বা পেশার ধরণ (যেমন, ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে গ্রোসারী ব্যবসা, কমিশন ব্যবসা, জুয়েলারী ব্যবসা ইত্যাদি এবং পেশার ক্ষেত্রে  চিকিৎসা, আইন, কনসাল্টেন্সি ইত্যাদি উল্লেখ করতে হবে। ক্রমিক নং-০৪ এ ব্যবসা বা পেশার নাম  (ট্রেড লাইসেন্স অনুযায়ী) উল্লেখ করতে হবে। ক্রমিক নং-০৫ এ ব্যবসা বা পেশার ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে। ক্রমিক নং-০৬ হতে ০৯ এ ব্যবসা বা পেশার আয়ের বিবরণ (লাভ ও ক্ষতি হিসাব) উল্লেখ করতে হবে। ব্যবসা বা পেশার গ্রস প্রাপ্তি বা বিক্রয় হতে ব্যবসা সংশ্লিষ্ট সকল খরচ বাদ দিয়ে নীট আয় নির্ণয় করতে হবে। উল্লেখ্য, করদাতার ব্যক্তিগত খরচ বা ব্যবসা বহির্ভূত খরচ গ্রস প্রাপ্তি বা বিক্রয় হতে বাদ দেয়া যাবে না। তাছাড়া ব্যবসার মূলধনী প্রকৃতির খরচও নীট আয় নির্ণয়ের ক্ষেত্রে খরচ হিসেবে বাদ দেয়া যাবে না।
ক্রমিক নং-১০ হতে ২০ এ ব্যবসা বা পেশার স্থিতিপত্র বা আয়-ব্যয়ের হিসাব বিবরণীর তথ্য প্রদান করতে হবে।
করদাতার ব্যবসা বা পেশা খাতে আয় না থাকলে মূল রিটার্নের সাথে তফসিল ২৪সি সংযুক্ত করার প্রয়োজন নেই।
করদাতা  স্টেশনারী  ক্রয়-বিক্রয়ের  ব্যবসায়  নিয়োজিত। ০১/৭/২০১৫ তারিখ হতে ৩০/৬/২০১৬ তারিখ পর্যন্ত তাঁর মোট বিক্রয়ের পরিমাণ ৩০,০০,০০০/-টাকা।  বিক্রিত  মালামালের  ক্রয়মূল্য  ২৪,০০,০০০/-  টাকা,  কর্মচারীর  বেতন ৬০,০০০/-  টাকা, ইলেট্রিক বিল, দোকান ভাড়া, ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন ফিস ও পরিবহন খরচ এর সমষ্টি ১,০০,০০০/- টাকা। তাছাড়া  ফার্নিচার ক্রয় বাবদ ব্যয়
৪০,০০০/- টাকা।
ব্যবসা খাতে নীট আয় পরিগণনা ও করদায় হবে নিম্নরূপঃ
মোট বিক্রয়ের পরিমাণ                                                                                    ৩০,০০,০০০/-
বাদঃ বিক্রিত মালামালের ক্রয়মূল্য --------                                                            ২৪,০০,০০০/-
গ্রস মুনাফা                                                                                                  ৬,০০,০০০/-
বাদঃ অন্যান্য খরচ
কর্মচারীর বেতন -------------------                                                     ৬০,০০০/-
ইলেট্রিক  বিল,  দোকান  ভাড়া,  ট্রেড       
লাইসেন্স নবায়ন ফিস ও পরিবহন খরচ এর সমষ্টি -----------------------        ১,০০,০০০/-
বাদ: অবচয় (depreciation)
ব্যবসায় ব্যবহৃত হবার কারণে ফর্নিচার মূল্য ৪০,০০০/- টাকার
উপর তৃতীয় তফসিল অনুযায়ী ১০% হারে ৪,০০০/- টাকা অবচয়
ভাতা প্রাপ্য হবেন                     ৪,০০০/-
    ব্যবসা খাতে নীট আয় =                                                                               ৪,৩৬,০০০/-

করদাতার নিরূপিত মোট আয় ৪,৩৬,০০০/-  টাকার বিপরীতে ধার্য্যকৃত করের পরিমাণ নিম্নে  পরিগণনা করা হলোঃ

মোট আয় করহার করের পরিমাণ
প্রথম ২,৫০,০০০/- টাকা পর্যন্ত  মোট আয়ের উপর --- শূন্য শূন্য
অবশিষ্ট ১,৮৬,০০০/- টাকা আয়ের উপর- ১০% ১৮,৬০০/-
মোট = ১৮,৬০০/-

অর্থাৎ করদাতাকে প্রদেয় কর  ১৮,৬০০/-  টাকা রিটার্ন দাখিলের  পূর্বে পরিশোধ করতে হবে। ৪৭ নং পৃষ্ঠায় বিবিধ মালের ব্যবসায়ের একটি উদাহরণ উল্লেখ করা হয়েছে।

(৬) ফার্মের আয়ের অংশ
(৭) অন্যান্য উৎস হতে আয়
(৮) মূলধনী আয়
(৯) স্বামী/স্ত্রী বা অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের আয়

আয়কর আইনে কি ধরনের আয় হিসেবে আনতে হবে অর্থাৎ আয়ের খাতসমূহ : কৃষি আয় এবং বিয়োজন সমূহ

আয়কর অধ্যাদেশের ধারা-২০ মোতাবেক আয়কর ধার্য্যরে জন্য এবং মোট আয় নির্ণয়ের জন্য সকল আয়কে নিম্নেবর্ণিত খাতে বিভক্ত করে হিসাবে করতে হবে, যথাঃ

(১) বেতন

(২) নিরাপত্তা (সিকিউরিটির) উপর সুদ
(৩) গৃহ সম্পত্তি হতে  আয়

(৪) কৃষি আয় এবং বিয়োজন সমূহঃ
আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ধারা -২৬ এবং ২৭ অনূযায়ী কৃষি খাতে আয় নিরূপণ করতে হয়। যে সকল করদাতার কৃষি ছাড়া আর কোন আয় নেই সে সকল করদাতার কর মুক্ত আয়ের সাধারন সীমার অতিরিক্ত আরও  ২,০০,০০০/-টাকা পর্যন্ত করমুক্ত থাকবে অথাৎ ৪,৫০,০০০/-টাকা পর্যন্ত আয়ের জন্য কোন আয়কর পরিশোধ করতে হবে না মহিলা করদাতা ৬৫ বৎসর বা তদুর্ধ্ব বয়সের করদাতা
আয়ের সীমা হবে (৩,০০,০০০+২,০০,০০০)= ৫,০০,০০০/- টাকা। প্রতিবন্ধী করদাতার ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়ের এ সীমা হবে (৩,৭৫,০০০+২,০০,০০০)= ৫,৭৫,০০০/-টাকা এবং গেজেট ভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার ক্ষেত্রে ৪,২৫,০০০ + ২,০০,০০০ = ৬,২৫,০০০/- টাকা।
প্রতিবন্ধি ব্যক্তির পিতা-মাতা বা আইনানুগ অভিভাবকের জন্য আরো ২৫,০০০/- বেশি যুক্ত হবে

কৃষি খাতে আয় নির্ধারনীয় ক্ষেত্রে বাদযোগ্য বিষয় সমূহ ধারা - ২৭ এ উল্লেখ করা হয়েছে
২৭(২) অনূযায়ী যদি খাতা পত্র না রাখা হয় সেই ক্ষেত্রে ৬০% উৎপাদন বাদ দিয়ে অবশিষ্ট আয় আয়ের সাথে যোগ হবে।
যেমনঃ
১। করদাতা একজন চাকরিজীবী , তাঁর কৃষি আয় সংক্রান্ত হিসাবের কোন খাতা পত্র নাই এবং ভূমি থেকে উৎপাদি কৃষি আয়ের পরিমাণ ১,০০,০০০.০০ টাকা । এ ক্ষেত্রে করদাতার  করযোগ্য নীট কৃষি আয়ের হিসাব নিম্নরুপঃ
ভূমি থেকে উৎপাদিত কৃষি আয়                                      = ১,০০,০০০.০০ টাকা
বাদঃ উৎপাদিত ব্যয় ৬০% [ধারা -২৭(২)]                           =    ৬০,০০০.০০ টাকা
করযোগ্য নীট কৃষি আয়                                               =    ৪০,০০০.০০ টাকা
২। ধরা  যাক  জনাব  রফিকের  কৃষি  জমির  পরিমাণ  ২  একর।  একর  প্রতি  ধান উৎপাদনের পরিমাণ ধরা যাক ৪৫ মণ। প্রতিমণ ধানের বাজারমূল্য ৮০০/-  টাকা হলে নীট করযোগ্য কৃষি আয়ের পরিমাণ হবেঃ

২ একর দ্ধ ৪৫ দ্ধ মণ বাজার মূল্য ৮০০/-                          = ৭২,০০০/- টাকা।
বাদঃ উৎপাদন ব্যয় ৬০%                                             = ৪৩,২০০/- টাকা।
    নীট কৃষি আয়                                                     = ২৮,৮০০/- টাকা।

(৫) ব্যবসা বা পেশা হতে আয়
(৬) ফার্মের আয়ের অংশ
(৭) অন্যান্য উৎস হতে আয়
(৮) মূলধনী আয়
(৯) স্বামী/স্ত্রী বা অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের আয়

আয়কর আইনে কি ধরনের আয় হিসেবে আনতে হবে অর্থাৎ আয়ের খাতসমূহ : গৃহ সম্পত্তি হতে আয়

আয়কর অধ্যাদেশের ধারা-২০ মোতাবেক আয়কর ধার্য্যরে জন্য এবং মোট আয় নির্ণয়ের জন্য সকল আয়কে নিম্নেবর্ণিত খাতে বিভক্ত করে হিসাবে করতে হবে, যথাঃ

(১) বেতন

(২) নিরাপত্তা জামানতের উপর সুদ (আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ২২ ধারা)ঃ

(৩) গৃহ সম্পত্তির আয় (আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ২৪ ও ২৫ ধারা অনুযায়ী)ঃ

কোন করদাতা তার বাড়ী আবাসিক বা বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য ভাড়া দিলে, সেই আয় রিটার্ণের গৃহ সম্পত্তির আয়ের ঘরে দেখাবেন। যারা আট পাতার ফরম পূরণ করবেন (আইটি-১১গ) সেই ফরমের সাথে একটি তফসিল (তফসিল-২) দেয়া আছে। আর যারা তিন পাতার ফরম (ITUMA) ব্যবহার করবেন তারা আলাদা কাগজে দেখাবেন নতুন ফরমে Part-3-এ 52 নং Colum-এ Schedule-24B সিলেক্ট করতে হবে এবং উক্ত ঝপযবফঁষব-এ বাড়ী ভাড়া সংক্রান্ত তথ্যগুলো ইনপুট দিতে হবে। 

তফসিল -২ (গৃহ সম্পত্তির আয়)

গৃহ সম্পত্তির
অবস্থান ও বর্ণনা
বিবরণ টাকা টাকা
বাড়ীর অবস্থান
কত তলা উল্লেখ
 করতে হবে
১। ভাড়া বাবদ বার্ষিক আয়।
গৃহ সম্পত্তি ভাড়া দেয়া হলে ১২ মাসের ভাড়া দেখাতে হবে। যদি এক বা একাধিক মাস
বাড়ী খালি থাকে সেক্ষেত্রেও ১২ মাসের ভাড়া দেখাতে হবে। তবে খালি থাকা মাসের
ভাড়া নীচের আরেকটি ঘরে খরচ হিসাবে দাবী করা যাবে।
  ****
 

২। দাবীকৃত ব্যয়সমূহঃ

মেরামত,আদায়, ইত্যাদিঃ
(ক) আবাসিক ব্যবহারের জন্য ভাড়া দেয়া হলে বার্ষিক ভাড়ার উপর ২৫% মেরামত আদায় ইত্যাদি খরচ অনুমোদন যোগ্য।
(খ) বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য ভাড়া দেয়া হলে বার্ষিক ভাড়ার উপর ৩০% খরচ মেরামত , আদায়, ইত্যাদি খরচ অনুমোদনযোগ্য।
এই খরচের জন্য কোন প্রমাণ দাখিলের প্রয়োজন নেই।

****  
  পৌর কর/ ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড কর / স্থানীয় কর ****  
  ভূমি রাজস্ব ****  
  ব্যাংক অথবা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে গৃহীত ঋণের উপর সুদ/ বন্ধকী/ মূলধনী চার্জঃ
সংশ্লিষ্ট গৃহ সম্পত্তি নিমার্ণ বা পুনঃ নির্মাণের জন্য ঋণ গ্রহণ করা হলে উক্ত ঋণের সুদ
****  
  বীমা কিস্তি: সংশ্লিষ্ট গৃহ সম্পত্তির বীমা করা হলে ****  
  গৃহ সম্পত্তি খালি থাকার কারণে দাবিকৃত রেয়াত ****  
  অন্যান্য , যদি থাকে ****  
  মোট =   ****
  ৩। নীট আয়ঃ (ক্রমিক ১ হতে ২ এর বিয়োগফল)   ****

(i)     বেতনভুক্ত করদাতাগণ এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ব্যবসায়ী বা পেশাজীবি করদাতাগণ  আইটি-১১গ এর পরিবর্তে যথাক্রমে
আইটি-১১ঙ ও আইটি-১১চ ব্যবহার করলে এরূপ তফসিল সংযোজনের প্রয়োজন নেই। তবে গৃহ সম্পত্তি খাতে আয় নিরূপণ করে একটি পৃথক বিবরণী আইটি-১১ঙ বা আইটি-১১চ এর সাথে সংযুক্ত করা যেতে পারে নতুন ফরমে Part-3-এ 52 নং Colum-এ Schedule-24B সিলেক্ট করতে হবে এবং উক্ত Schedule-এ বাড়ী ভাড়া সংক্রান্ত তথ্যগুলো ইনপুট দিতে হবে।
(ii)   এস,আর,ও নং ২১৬-আইন/আয়কর/২০১৪, তারিখঃ ১৮ আগষ্ট, ২০১৪ এর মাধ্যমে বিধি ৮এ সংযোজন করে
আয়কর অধ্যাদেশে হিসাব রক্ষণের পদ্ধতি বিষয়ক ধারা ৩৫ সংশোধন করা হয়েছে। এর ফলে এক বা একাধিক ভাড়াটিয়ার নিকট থেকে বাড়ী ভাড়া বাবদ মাসিক সর্বমোট ২৫ হাজার টাকার বেশী প্রাপ্ত হলেই বাড়ীর মালিককে ব্যাংক হিসাবে প্রাপ্ত ভাড়া জমা করতে হবে। বাড়ীর মালিক (ব্যক্তি, ফার্ম, কোম্পানী বা অন্য যে কোন প্রতিষ্ঠান) কর্তৃক এ বিধান পরিপালন করা না হলে গৃহ সম্পত্তি বাবদ অর্জিত আয়ের উপর প্রদেয় আয়করের ৫০% অথবা ন্যূনতম ৫,০০০ টাকা (যেটি বেশি) হারে বাধ্যতামূলকভাবে জরিমানা আরোপিত হবে।
(iii)   অর্থ আইন, ২০১৫ পরিপত্রে আনিত ব্যাখ্যা :গৃহ-সম্পত্তি খাতের আয় নিরূপণে আয়কর অধ্যাদেশের ধারা ২৫ এর উপ-ধারা
(১) এর ক্লজ (h) অনুযায়ী আবাসিক ভবনের বার্ষিক ভাড়া মূল্যের ২৫% এবং বাণিজ্যিক ভবনের ৩০% আইনানুগভাবে মেরামত, আদায়, ইত্যাদি খরচ হিসেবে অনুমোদন করা হয়। গৃহ-সম্পত্তির আয় গণনায় এরূপ ব্যয় দাবী সত্বেও কোন করদাতা আইনানুগভাবে অনুমোদিত এ খরচের সম্পূর্ণ বা অংশ বিশেষ মেরামত বাবদ খরচ হয়নি- এ যুক্তিতে যদি কোন অংক তার সম্পদ পরিবৃদ্ধির তহবিলের উৎস হিসেবে প্রদর্শন করেন, তবে সমপরিমাণ অংক অর্থ আইন, ২০১৫ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশের ধারা ১৯ এ সংযোজিত উপ-ধারা (৩০) এর বিধানমতে “গৃহ-সম্পত্তি খাতে আয়” হিসেবে গণ্য হবে।
ধরা যাক, একজন ব্যক্তি-করদাতা একটি আবাসিক ভবন ভাড়ায় প্রদান হতে আয় অর্জন করেন। উক্ত ভবনের বার্ষিক ভাড়ামূল্য ১২,০০,০০০/- টাকা। আয়কর রিটার্নে তিনি গৃহ-সম্পত্তির আয় গণনায় আয়কর অধ্যাদেশের ধারা ২৫ এর উপ-ধারা (১) এর ক্লজ (h) অনুযায়ী অনুমোদনযোগ্য খরচ ৩,০০,০০০/- টাকা দাবী করেন। কিন্তু উক্ত অংক খরচ হয়নি দাবী করে তিনি সংশ্লিষ্ট কর বছরের সম্পদ পরিবৃদ্ধির উৎস ব্যাখ্যায় তা তহবিল হিসেবে প্রদর্শন করেন । এ ক্ষেত্রে নব প্রবর্তিত বিধান অনুযায়ী বিধিবদ্ধ ব্যয়ের অব্যয়িত সমুদয় অংক আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা ১৯ এর উপ- ধারা (৩০) এর বিধান অনুসারে“গৃহ-সম্পত্তির আয়” হিসেবে গণ্য হবে। অর্থাৎ, দাবী অনুযায়ী এ ধরণে অব্যয়িত সমুদয় অংক বা অংশ বিশেষের ক্ষেত্রে এ বিধান প্রযোজ্য হবে।
ব্যক্তি-করদাতা ব্যতীত অন্যান্য পর্যায়ের করদাতাও যদি হিসাব বিবরণীতে গৃহ-সম্পত্তি খাতের আয় গণনায় দাবীকৃত এরূপ খরচ অব্যয়িত অংক হিসেবে প্রদর্শন করে, সেক্ষেত্রেও এ ধারার বিধানটি সমভাবে প্রযোজ্য হবে।
উদাহরণের সাহায্যে গৃহ স¤পত্তি খাতে আয় নিরুপন এবং কর পরিগণনা নিম্নে দেখানো হলোঃ
ধরা  যাক,  মিসেস লায়লা হক এর একটি  চারতলা আবাসিক বাড়ী রয়েছে। ঐ  বাড়ীর নীচতলায় তিনি সপরিবারে বসবাস করেন। বাকী তিনটি তলা আবাসিক ব্যবহারের জন্য  ভাড়া  দিয়েছেন,  প্রতিটি  তলার  মাসিক  ভাড়া  ১৫,০০০/-  টাকা। এ বছর তিনি পৌরকর বাবদ ১৬,০০০/-  টাকা, ভূমির খাজনা বাবদ ৫০০/-  টাকা এবং গৃহ নির্মাণ ঋণের  ব্যাংক  সুদ বাবদ ২০,০০০/-  টাকা পরিশোধ করেছেন। মিসেস লায়লা হক এর গৃহস¤পত্তি হতে আয়ের হিসাব নীচে দেয়া হলোঃ
মাসিক ভাড়া ১৫,০০০ দ্ধ ৩টি তলা দ্ধ ১২ মাস =            ৫,৪০,০০০/-
বাদঃ অনুমোদনযোগ্য খরচ  
১। মেরামত ব্যয় (ভাড়ার ২৫%)                   ১,৩৫,০০০/-
২। পৌর কর (১৬,০০০/-× ৩/৪)*                   ১২,০০০/-
৩। ভূমি রাজস্ব (৫০০/-× ৩/৪)*                         ৩৭৫/-
৪। গৃহ নির্মাণ ঋণের সুদ (২০,০০০/- × ৩/৪)*    ১৫,০০০/-
                                                                       ১,৬২,৩৭৫/-
        গৃহ স¤পত্তি থেকে নীট আয় =                             ৩,৭৭,৬২৫/-
*স্বনিবাস- ১/৪ অংশ, ভাড়ায় ব্যবহৃত-৩/৪ অংশ
মিসেস লায়লা হক এর নিরূপিত মোট আয় ৩,৭৭,৬২৫/-টাকার বিপরীতে ধার্য্যকৃত করের পরিমাণ এভাবে পরিগণনা করা হবেঃ

মোট আয় করহার করের পরিমাণ
প্রথম ৩,০০,০০০/- টাকা পর্যন্ত  মোট আয়ের উপর --- শূন্য শূন্য
অবশিষ্ট ৭৭,৬২৫/- টাকা আয়ের উপর- ১০% ৭,৭৬২/-
মোট = ৭,৭৬২/-

(৪) কৃষি আয়
(৫) ব্যবসা বা পেশা হতে আয়
(৬) ফার্মের আয়ের অংশ
(৭) অন্যান্য উৎস হতে আয়
(৮) মূলধনী আয়
(৯) স্বামী/স্ত্রী বা অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের আয়

আয়কর আইনে কি ধরনের আয় হিসেবে আনতে হবে অর্থাৎ আয়ের খাতসমূহ : নিরাপত্তা জামানতের উপর সুদ

আয়কর অধ্যাদেশের ধারা-২০ মোতাবেক আয়কর ধার্য্যরে জন্য এবং মোট আয় নির্ণয়ের জন্য সকল আয়কে নিম্নেবর্ণিত খাতে বিভক্ত করে হিসাবে করতে হবে, যথাঃ
 

(১) বেতন

(২) নিরাপত্তা জামানতের উপর সুদ (আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ২২ ধারা)ঃ
সরকার  কর্তৃক  ইস্যুকৃত  বন্ড  বা  সিকিউরিটিজ  (যেমন  টিএন্ডটি  বন্ড, ন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট বন্ড, ট্রেজারী বন্ড/বিল, ইত্যাদি), ডিবেঞ্চার হতে অর্জিত সুদ  এবং জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তর কর্তৃক ইস্যুকৃত সেভিংস ইন্সট্রুমেন্টসের সুদ এ খাতের আয় হিসেবে রিটার্নে দেখাতে হবে। সাধারণভাবে, সিকিউরিটিজ বা ডিবেঞ্চার কেনার জন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া হলে ঋণের  সুদ সিকিউরিটিজ হতে অর্জিত সুদ আয় থেকে খরচ হিসেবে বাদ দেয়া যাবে। তবে ৮২সি ধারার আওতাধীন কোন সেভিংস ইন্সট্রুমেন্টসের সুদের ক্ষেত্রে খরচ বাদ যাবে না। ২০১৬-২০১৭ কর বছরে যেকোন ধরনের সঞ্চয়পত্রের অর্জিত সুদের উপর উৎসে কর্তিত কর উক্ত খাতের বিপরীতে চূড়ান্ত করদায়ের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন নূন্যতম করদায় পরিশোধ হিসেবে গণ্য হবে।

(৩) গৃহ সম্পত্তি হতে  আয়
(৪) কৃষি আয়
(৫) ব্যবসা বা পেশা হতে আয়
(৬) ফার্মের আয়ের অংশ
(৭) অন্যান্য উৎস হতে আয়
(৮) মূলধনী আয়
(৯) স্বামী/স্ত্রী বা অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের আয়

আয়কর আইনে কি ধরনের আয় হিসেবে আনতে হবে অর্থাৎ আয়ের খাতসমূহ : বেতন

আয়কর অধ্যাদেশের ধারা-২০ মোতাবেক আয়কর ধার্য্যরে জন্য এবং মোট আয় নির্ণয়ের জন্য সকল আয়কে নিম্নেবর্ণিত খাতে বিভক্ত করে হিসাবে করতে হবে, যথাঃ
 

(১) বেতন
২১(১) বেতনাদি (আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা ২১ এবং আয়কর বিধিমালা ১৯৮৪ এর বিধি ৩৩ অনুযায়ী)
সাধারণতঃ মূল বেতন উৎসব ভাতা, মহার্ঘ ভাতা, পরিচারক ভাতা, সম্মানী ভাতা, ওভারটাইম ভাতা, স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিলে নিয়োগকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত চাঁদা এবং বিভিন্ন পারকুইজিটস (সুবিধা) বেতন খাতের করযোগ্য আয় হিসেবে বিবেচিত হয়। বেতনাদি ঘরটি পূরণ করার আগেই রিটার্ন ফরমের (আইটি ১১গ) তৃতীয় পৃষ্ঠায় বর্ণিত তফসিল-১ (বেতনাদি) পূরন করিতে হইবে। প্রয়োজনে করদাতা পৃথক কাগজে বেতন খাতের আয়ের হিসাব সংযোজন করিতে পারিবেন। তফসিল-১ (বেতনাদি)  পূরণের পদ্ধতি নিচে আলোচনা করা হলো- (সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারি ব্যতীত)অর্থ আইন ২০১৬ দ্বারা নতুন রিটার্ন ফরমের সাথে তফসিল ২৪এ প্রবর্তন করা হয়েছে।

আয়ের বিস্তারিত বিবরণী সম্বলিত তফসিল-১ (বেতনাদি)
(সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী ব্যতীত)

বেতন ও ভাতাদি আয়ের
পরিমাণ (টাকা)
কর মুক্ত আয়ের পরিমাণ
টাকা
নীট করযোগ্য আয়
(টাকা)
মূল বেতন   করমুক্ত নয় সম্পূর্ণ অংশ করযোগ্য।
মহার্ঘ ভাতা   করমুক্ত নয় সম্পূর্ণ অংশ করযোগ্য।
যাতায়াত ভাতা (নগদে গৃহীত)   ৩০,০০০/- টাকা পর্যন্ত করমুক্ত ৩০,০০০/- টাকা বাদ দিলে
যে অংশ অবশিষ্ট থাকে।
বাড়ী ভাড়া ভাতা (নগদে গৃহীত)   ৩,০০,০০০/-টাকা বা মূল বেতনের
৫০% এর মধ্যে যেটি কম তা করমুক্ত।
অবশিষ্ট অংশ
চিকিৎসা ভাতা   প্রাপ্ত মূল বেতনের ১০% অথবা বার্ষিক
১,২০,০০০/- টাকা, এ দুটির মধ্যে যেটি কম
সে পরিমাণ অংক
- প্রাপ্ত ভাতার অবশিষ্ট অংশ
- প্রতিবন্ধী এমপ্লয়ির ক্ষেত্রে ১০
লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা ভাতা কর মুক্ত আয় হিসেবে গণ্য হবে।
- কোম্পানীর শেয়ার হোল্ডার পরিচালক ব্যতীত অন্য কোন এমপ্লয়ির ক্ষেত্রে হার্ট, কিডনি, চক্ষু, লিভার এবং ক্যান্সার সার্জাারীর জন্য প্রাপ্ত চিকিৎসা খরচ কর মুক্ত হিসেবে বিবেচিত হবে।
পরিচারক ভাতা   করমুক্ত নয় সম্পূর্ণ অংশ
ছুটি ভাতা   করমুক্ত নয় সম্পূর্ণ অংশ
সম্মানী/পুরস্কার/ফি   করমুক্ত নয় সম্পূর্ণ অংশ
ওভারটাইম ভাতা/মহার্ঘভাতা   করমুক্ত নয় সম্পূর্ণ অংশ
উৎসব ভাতা   করমুক্ত নয় সম্পূর্ণ অংশ
স্বীকৃত ভবিষ্যৎ তহবিলে
নিয়োগকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত চাঁদা
  করমুক্ত নয় সম্পূর্ণ অংশ
স্বীকৃত ভবিষ্যত তহবিলে অর্জিত সুদ   মূল বেতনের ১/৩ অংশ পর্যন্ত প্রাপ্ত সুদ
(এখানে বেতন বলতে মূল বেতন এবং
মহার্ঘ ভাতা বুঝাবে) অথবা সরকার কর্তৃক
নির্ধারিত হার ১৪.৫০% এ দুয়ের মধ্যে
যেটি কম
এর অতিরিক্ত করযোগ্য।
যানবাহন সুবিধার জন্য বিবেচিত আয়  

যদি করদাতা ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য নিয়োগকর্তার নিকট থেকে গাড়ী পান তাহলে মূল বেতনের ৫% সরাসরি নীট করয্যোগ্য আয় হবে। অথবা সর্বনিম্ন বার্ষিক ৬০,০০০/- টাকা, দুটির মধ্যে  যেটি বেশি বলে অনুমিত আয় হিসাবে গণ্য হবে।

 

মূল বেতনের ৫%
বা ৬০,০০০/- যেটি বেশি।
বিনামূল্যে বা হ্রাসকৃত ভাড়ায় প্রাপ্ত বাসস্থানের জন্য বিবেচিত আয়  

ক। যদি করদাতা নিয়োগকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত বিনা ভাড়ায় সজ্জিত বা অ-সজ্জিত বাসস্থানে বাস করেন তাহলে সাধারণ ভাবে মূল বেতনের ২৫% করযোগ্য আয় হিসাবে গণ্য হবে।

খ। যদি করদাতা নিয়োগকর্তা থেকে হ্রাসকৃত ভাড়ায় সজ্জিত বা অ-সজ্জিত বাসস্থান প্রাপ্ত হন সেক্ষেত্রে সাধারণভাবে মূল বেতনের ২৫% হতে প্রকৃত পরিশোধিত ভাড়া বাদ দিয়ে পার্থক্য করযোগ্য আয় হিসাবে গণ্য হবে।

মূল বেতনের ২৫%
যোগ হবে।

পার্থক্য করযোগ্য আয় হবে = *
বাদঃ প্রকৃত ভাড়া           =*
খ) মূল বেতনের ২৫%     = *

অন্যান্য, যদি থাকে (বিবরণ দিন)   করদাতা যদি নিয়োগকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত বাসস্থানে দারোয়ান, মালি, বাবুর্চী কিংবা অন্য কোন সুবিধা পেয়ে থাকেন তবে প্রাপ্ত সুবিধার সমপরিমাণ আর্থিক মূল্য করযোগ্য আয় হিসাবে দেখাতে হবে।  
ছুটি নগদায়ন   করমুক্ত নয়। করযোগ্য
পেনশন   করমুক্ত। শূণ্য
গ্র্যাচুইটি   ২.৫ কোটি টাকা পর্যন্ত করমুক্ত। ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার অতিরিক্ত অংক করযোগ্য
Workers Participation Fund   ৫০,০০০/- টাকা পর্যন্ত করমুক্ত।

৫০,০০০/- টাকার অবশিষ্ট অংশ

সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীর বেতন খাতে আয় নিরূপনঃ
সরকারি কর্মকর্তাকর্মচারীদের বেতন-ভাতাদির উপর আয় পরিগণনার জন্য একটি প্রজ্ঞাপন এস,আর,ও নং ১৯৮-আইন-আয়কর/২০১৫, তারিখ: ৩০ জুন, ২০১৫ জারি করা হয়েছে। এ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে  একজন সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সরকার কর্তৃক প্রদত্ত মূল বেতন (basic salary), উৎসবভাতা এবং বোনাস ব্যতীত সকল প্রকার ভাতা ও সুবিধাদিকে এতদ্বারা প্রদেয় আয়কর হইতে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
২০১৬-১৭  কর বছরের  আয়কর রিটার্নে এক অর্থ বছরে প্রাপ্ত মূল বেতন বোনাস ও উৎসব ভাতা করযোগ্য আয় হিসেবে প্রদর্শন করতে হবে এবং সে অনুযায়ী প্রদেয় করের পরিমাণ পরিগণনা  করতে  হবে। সামরিক বাহিনীতে কর্মরতদের ক্ষেত্রেও এ বিধান সমভাবে প্রযোজ্য হবে।
উদাহরণের সাহায্যে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীর আয় এবং কর পরিগণনা নিম্নে দেখানো হলঃ
(ক)  জনাব লিয়াকত  বাংলাদেশ সচিবালয়ে কর্মরত একজন সরকারি কর্মকর্তা। ৩০ জুন, ২০১৬  তারিখে সমাপ্ত অর্থ বছরে তিনি নিম্নোক্ত হারে বেতন ভাতাদি পেয়েছেনঃ
    মাসিক মূল বেতন  ৩৩,২০০/-
    চিকিৎসা ভাতা        ১৫০০/-
    নববর্ষ ভাতা         ৬,৬৪০/-
তিনি সরকারি বাসায় থাকেন ভবিষ্য তহবিলে তিনি প্রতি মাসে ৫০০০/- টাকা জমা রাখেন। হিসাব রক্ষণ অফিস হতে প্রাপ্ত প্রত্যয়ন পত্র হাতে দেখা যায় যে, ৩০/০৬/২০১৬ তারিখে ভবিষ্য তহবিল অর্জিত সুদের পরিমাণ ছিল ৩০,৫০০/- টাকা। কল্যাণ তহবিলে ও  গোষ্ঠী বীমা তহবিলে চাঁদা প্রদান বাবদ প্রতিমাসে বেতন খাতে কর্তন ছিল যথাক্রমে ৫০/- ও ৪০/- টাকা। এছাড়াও তিনি একটি তফসিল ব্যাংকের ডিপোজিট পেনশন স্কীম মাসিক ৩,০০০/- টাকার কিস্তি জমা। ২০১৬-২০১৭ করবছরে জনাব লিয়াকত সাহেব এর মোট আয় এবং করদায় কত হবে তা নিম্নে  পরিগণনা করা হলোঃ
বেতন খাতে আয় ঃ
মূল বেতন (৩৩,২০০/- × ১২ মাস)                       =   ৩,৯৮,৪০০/-
বোনাস (৩৩,২০০×২)­                                      =      ৬৬,৪০০/-
চিকিৎসা ভাতা (১৫০০×১২)            =      ১৮,০০০/-                
(-) করমুক্ত                          ১৮,০০০/-                        -
নববর্ষ ভাতা   ৬,৬৪০/- সম্পূর্ণ কর মুক্ত                               -      
    মোট আয়                                                  =   ৪,৬৪,৮০০/-
কর দায় পরিগণনাঃ
প্রথম ২,৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত  ‘শূন্য’ হার
অবশিষ্ট ২,১৪,৮০০ টাকা পর্যন্ত  ১০% হারে       ২১,৪৮০/-
    মোট কর দায় =                                  ২১,৪৮০/-
বিনিয়োগ জনিত আয়কর রেয়াত পরিগণনা
প্রকৃত বিনিয়োগের পরিমাণঃ
১। ভবিষ্য তহবিলে চাঁদা (৫,০০০×১২)                     = ৬০,০০০/-
২। কল্যাণ তহবিলে চাঁদা (৫,০×১২)                        =     ৬০০/-
৩। গোষ্ঠী বীমা তহবিলে চাঁদা (৪০×১২)                     =     ৪৮০/-
৪। ডিপোজিট পেনশন স্কীমে কিস্তি (৩,০০০×১২)          = ৩৬,০০০/-
     মোট প্রকৃত বিনিয়োগ                                    = ৯৭,০৮০/-    
রেয়াতের জন্য অনুমোদনযোগ্য অংক (eligible amount)ঃ

(ক) মোট প্রকৃত বিনিয়োগ               ৯৭,০৮০/-
(খ) সর্বোচ্চ সীমা মোট আয়ের ৪,৬৪,৮০০ টাকা ২৫%         ১,১৬,২০০/-
(গ)         ১,৫০,০০,০০০/-
অনুমোদনযোগ্য অংক (eligible amount) (ক) বা (খ) বা (গ) এই
তিনটির মধ্যে যেটি কম                      ৯৭,০৮০/-

 

কর রেয়াতের পরিমাণঃ
করদাতার মোট আয় ১০ লক্ষ টাকার অধিক না হওয়ায় কর রেয়াতের পরিমাণ হবে অনুমোদনযোগ্য অংক (eligible amount) ৯৭,০৮০ এর ১৫% অর্থাৎ (৯৭,০৮০ × ১৫%) = ১৪,৫৬২/-
ফলে প্রদেয় করের পরিমাণ হবে ২১,৪৮০-১৪,৫৮২ = ৬,৮৯৮/-

(২) নিরাপত্তা (সিকিউরিটির) উপর সুদ
(৩) গৃহ সম্পত্তি হতে  আয়
(৪) কৃষি আয়
(৫) ব্যবসা বা পেশা হতে আয়
(৬) ফার্মের আয়ের অংশ
(৭) অন্যান্য উৎস হতে আয়
(৮) মূলধনী আয়
(৯) স্বামী/স্ত্রী বা অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের আয়

পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণী এবং জীবনযাত্রা সংশ্লিষ্ট ব্যয়ের বিবরণী

যদি কোন ব্যক্তি-করদাতা নিম্নোক্ত শর্তসমূহ পূরণ করেন তাহলে আয় বছরের শেষ তারিখে তার নিজের, spouse এর (spouse করদাতা না হয়ে থাকলে) এবং নির্ভরশীল সন্তানদের পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণী ঐ ব্যক্তির আয়কর রিটার্নের সাথে দাখিল করতে হবে। শর্তসমূহ হলো-
১. আয় বছরের শেষ তারিখে মোট পরিসম্পদ (gross wealth) এর পরিমাণ ২০ লক্ষ টাকার অধিক হলে; অথবা
২. আয় বছরের শেষে তারিখে মোট গাড়ি (জীপ বা মাইক্রোবাসসহ) এর মালিকানা থাকলে; অথবা
৩. আয় বছরে কোন সিটি কর্পোরেশন এলাকায় কোন গৃহ-সম্পত্তি বা এপার্টমেন্টের মালিক হলে অথবা গৃহ-সম্পত্তি বা  এপার্টমেন্টে বিনিয়োগ করলে।
কোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে উপরে বর্ণিত শর্তসমূহ পূরণ না হলে পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণী দাখিল করা তার জন্য বাধ্যতামূলক নয়। তবে বর্ণিত শর্তসমূহ পূরণ না করা সত্বেও কোন ব্যক্তি করদাতা চাইলে স্ব-প্রণোদিতভাবে (Voluntarily) পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণী দাখিল করতে পারবেন। উপরোক্ত শর্তসমূহ পূরণ না করার কারণে  পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণী দাখিল করেননি এমন যেকোন ব্যক্তিকে উপ কর কমিশনার ধারা ৮০ এর উপধারা (৩) অনুযায়ী নোটিশ প্রেরণ করে পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণী দাখিল করার জন্য বলতে পারবেন।

(ক). সম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণী (ফরম আইটি-১০বি, আইটি-১০বিবিবি, আইটি-১০বিবিবিবি ও আইটি১০বি২০১৬)

আইটি-১০বিঃ  যে সকল করদাতা প্রচলিত রিটার্ন ফরম অর্থাৎ আইটি-১১গ এর মাধ্যমে আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন তাদের ক্ষেত্রে এ বিবরণীটি প্রযোজ্য হবে।
আইটি-১০বিবিবিঃ  যে  সকল  বেতনভোগী  করদাতা  সহজীকৃত রিটার্ন ফরম অর্থাৎ আইটি-১১ঙ  এর মাধ্যমে আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন তাদের ক্ষেত্রে এ বিবরণীটি প্রযোজ্য হবে।
আইটি-১০বিবিবিবিঃ  ব্যবসা  বা  পেশার  ক্ষেত্রে  ৩  লক্ষ  টাকা  পর্যন্ত  আয় বিশিষ্ট করদাতাদের যারা যে সকল করদাতা সহজীকৃত রিটার্ন ফরম অর্থাৎ আইটি-১১চ এর মাধ্যমে আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন তাদের ক্ষেত্রে এ বিবরণীটি প্রযোজ্য হবে।
আইটি-১০বি২০১৬ঃ সকল ব্যক্তি শ্রেণীর করদাতা যারা নতুন ফরম অর্থাৎ, আইটি-১১গ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর রিটার্ন দাখিল করলে তাদের ক্ষেত্রে এ বিবরণটি প্রযোজ্য হবে

ব্যক্তি করদাতার স¤পদের পরিমাণ যা-ই হোক না কেন তাঁকে স¤পদ ও দায়ের বিবরণী এবং জীবন যাত্রার মান স¤পর্কিত তথ্য বিবরণী পূরণ করতে হবে।  যে সকল করদাতা প্রচলিত রিটার্ন ফরমের (আইটি-১১গ) মাধ্যমে তাঁদের  আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন সে সকল  করদাতা  আইটি  ১০বি, যে সকল বেতনভোগী করদাতা আইটি-১১ঙ এর মাধ্যমে আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন সে সকল করদাতা আইটি-১০বিবিবি  এবং যে সকল পেশাজীবি বা ব্যবসায়ী করদাতা আইটি-১১চ এর মাধ্যমে আয়কর রিটার্ন দখিল করবেন  সে সকল করদাতা আইটি-১০বিবিবিবি পূরণের মাধ্যমে তাঁদের সম্পদ ও দায়ের বিবরণী দাখিল করবেন।

আয় বছরের শেষ তারিখে (যেমন ২০১৬-২০১৭ কর বছরের জন্য ৩০/০৬/২০১৫  ইং তারিখে) যে স¤পদ ও দায় রয়েছে করদাতাকে তা স¤পদ ও দায় বিবরণীতে দেখাতে হবে। করদাতা তাঁর নিজের, তাঁর  স্ত্রী  বা স্বামী (তাঁরা রিটার্ন দাখিলকারী না হলে) বা নাবালক সন্তানের যাবতীয় পরিস¤পদ ও দায়, স¤পদ ও দায় বিবরণীতে দেখাবেন। স¤পদ ও দায়ের বিবরণীতে দেখানো কোন স¤পদ কিভাবে অর্জিত হয়েছে তার ব্যাখ্যা থাকতে  হবে। অর্থাৎ  কোন  স¤পদ  কেনা  হয়ে  থাকলে  ক্রয়মূল্য  বাবদ  পরিশোধিত অর্থের উৎস স¤পর্কে তথ্য দিতে হবে। করদাতা  যদি কোন স¤পদ দান হিসেবে পেয়ে থাকেন  তাহলে  দানকারীর  নাম,  ঠিকানা ও  ই-টিআইএন উল্লেখ করতে হবে এবং দানের স্বপক্ষে কাগজপত্র দাখিল করতে হবে। করদাতা নিজেও যদি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দান করেন  বা ঋণ দিয়ে থাকেন, তাহলে যিনি দান বা ঋণ গ্রহণ করেছেন তাঁর নাম, ঠিকানা এবং টিআইএন উল্লেখ করতে হবে।

করদাতা যদি কোন ব্যাংক, প্রতিষ্ঠান বা কোন ব্যক্তির কাছ থেকে ঋণ নিয়ে থাকেন তাহলে  তা  স¤পদ ও দায়ের  বিবরণীর ”বাদঃ  দায়সমূহ” অথবা  ইংরেজী  ফরমের “Less:Liabilities” অংশে দেখাতে হবে।

সম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণী পূরণের ক্ষেত্রে নিম্ন লিখিত বিষয়গুলি পালন করতে হবেঃ
●  সম্পদ বিক্রয় বা হস্তান্তর বা নষ্ট না হওয়া পর্যন্ত  তার ক্রয় বা অর্জিত  মূল্যে প্রদর্শন করে যেতে হবে;
●  নতুন স¤পদ ক্রয় করলে তার ক্রয়মূল্য প্রদর্শন করতে হবে;
●  স¤পদ অজর্ন করলে (দান বা উত্তরাধিকার সূত্রে) অর্জনকালীন সময়ের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রদর্শন করতে হবে;

যেকোন স¤পদ তা ক্রয় বা অন্য যে কোনভাবে অর্জিত হোক না কেন তা স¤পদ বিবরণীতে  ঘোষণা করা না হলে আয়কর আইন অনুযায়ী তা স¤পদ গোপন করা হিসেবে গণ্য হবে।

স¤পদের মোট পরিবৃদ্ধি অর্থাৎ সম্পদের পরিবৃদ্ধি অংশে প্রাপ্ত অংকের সাথে পারিবারিক ব্যয় যোগ করে যে যোগফল পাওয়া যাবে তা  “মোট সম্পদ পরিবৃদ্ধি” অংশে দেখাতে হবে। অপরপক্ষে স¤পদের  পরিবৃদ্ধি ঋণাত্বক হলে তা থেকে পারিবারিক ব্যয় বিয়োগ করে যে পার্থক্য পাওয়া যাবে তা “মোট সম্পদ পরিবৃদ্ধি” অংশে দেখাতে হবে।

”অর্জিত তহবিল” অংশে বিবেচনাধীন করবর্ষে রিটার্নে  প্রদর্শিত আয়, কর অব্যাহতি প্রাপ্ত ও করমুক্ত আয় এবং নিজস্ব আয় ব্যতীত অন্য কোন প্রাপ্তি থাকলে দেখাতে হবে।

“পার্থক্য” বলতে “সম্পদের মোট পরিবৃদ্ধি” এবং “অর্জিত তহবিল  সমূহ” এর যোগফলের পার্থক্য  বুঝানো  হয়েছে। সাধারণভাবে  অর্জিত  তহবিলের  যোগফল  দ্বারা স¤পদের মোট পরিবৃদ্ধির সংকুলান হতে হবে। সম্পদের পরিবৃদ্ধি অর্জিত তহবিলের চাইতে বেশী  হলে এবং তার কোন সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না থাকলে স¤পদের এই অতিরিক্ত অংক করদাতার হাতে অব্যাখ্যায়িত আয় হিসেবে করযোগ্য হবে।

আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ সংশোধনের মাধ্যমে পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় প্রদর্শনের জন্য নতুন ফরম  IT-10B2016 প্রবর্তন করা হয়েছে। যে সকল করদাতা নতুন রিটার্ন ফরম (IT-10B2016) ব্যবহার করবেন তাদেরকে IT-10B2016 ফরম ব্যবহার করতে হবে। ব্যক্তি করদাতার ব্যবসার পুঁজি বা মূলধন অথবা কৃষি বা অকৃষি সম্পত্তি থাকলে IT-10B2016 ফরমের সাথে schedule 25 সংযুক্ত করতে হবে।
যে সকল ব্যক্তি-করদাতা পুরোনো ফরমে রিটার্ন দাখিল করবেন তারা ঐ রিটার্নের সাথে সংশ্লিষ্ট আগের পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণী দাখিল করবেন।
পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণী পূরণে সাধারণ জ্ঞাতব্য বিষয়:
১. পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণীতে আয় বছরের শেষ তারিখের পরিসম্পদ (assets) ও দায় (liabilities) এর সমাপনী জের
(closing balance) এর তথ্য প্রদান করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, ১ জুলাই ২০১৫ তারিখে কোন করদাতার যদি মোট ৭,০০,০০০/- টাকার সঞ্চয়পত্র থাকে এবং তিনি যদি ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে আরো ৩,০০,০০০/- টাকার সঞ্চয়পত্র ক্রয় করেন এবং আয় বছরের শেষ তারিখ পর্যন্ত কোন সঞ্চয়পত্র না ভাঙান তাহলে ২০১৬-১৭ বছরের জন্য দাখিলকৃত পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণীতে সঞ্চয়পত্রের পরিমাণ প্রদর্শণ করতে হবে (৭,০০,০০০+৩,০০,০০০) = ১০,০০,০০০/- টাকা।
২. ক্রয়কৃত সম্পত্তির ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রিশন ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচসহ ক্রয়মূল্য প্রদর্শন করতে হবে। ধরা যাক একজন করদাতা
১ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে ১৫,০০,০০০/- টাকায় একটি অকৃষি প্লট ক্রয় করেছেন, যার রেজিস্ট্রেশন ও অন্যান্য অনুষঙ্গিক খরচ ছিল, ৩,০০,০০০/- টাকা। ৩০ জুর ২০১৬ তারিখে প্লটটির বাজারমূল্য ছিল ২২,০০,০০০/- টাকা। এক্ষেত্রে ২০১৬-১৭ কর বছরের জন্য করদাতার দাখিলকৃত পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণীতে অকৃষি প্লটের মূল্য (১৫,০০,০০০ + ৩,০০,০০০) = ১৮,০০,০০০/- টাকা প্রদর্শিত হবে।
৩. করদাতার স্বামী/স্ত্রী বা নির্ভরশীল কোন সন্তানের আলাদা কর নথি না থাকলে তাদের পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় করদাতার
পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয়ের সাথে একীভূত করে দেখাতে হবে।
৪. পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণীর কোন ক্রমিকে স্থান সংকুলান না হলে কাগজে সে ক্রমিকের জন্য অতিরিক্ত তথ্য লিকে
পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণীর সাথে সংযুক্ত করা যাবে। আলাদা কাগজ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কাগজের উপর কর বছর, করদাতার টিআইএন এবংপরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণীর কোন ক্রমিক নম্বর উল্লেখ করতে হবে এবং তাতে করদাতার স্বাক্ষর থাকতে হবে। সংযুক্ত আলাদা কাগজটি পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণীর অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে। উদাহরণস্বরূপ, কোন করদাতা যদি কোন আয় বছরের ৩ জন ব্যক্তিকে ঋণ প্রদান করে থাকেন তাহলে IT-10B2016 এর সাথে আলাদা কাগজ সংযুক্ত করে তাতে নিম্নরূপভাবে তথ্য লিপিবদ্ধ করা যেতে পারে:

কর বছর: ২০১৬-১৭
টিআইএন:-------------------
ক্রমিক ৮ডি: ঋণ প্রদান:

ক্রম ঋণ গ্রহণকারীর নাম টিআইএন ও সার্কেল পরিমাণ
০১      
০২      
০৩      
মোট  

(করদাতার স্বাক্ষর)


নতুন প্রবর্তিত পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণী (IT-10B2016) এর বিভিন্ন অংশের বিবরণ:
ক্রমিক নং-১:    কর বছরের তথ্য দিতে হবে। ২০১৬-১৭ কর বছরের জন্য পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণী দাখিলের ক্ষেত্রে এ ঘরের বক্সগুলোতে বাংলা বা ইংরেজীতে নিম্নরূপভাবে লিখতে হবে:

2 0 1 6 - 1 7


ক্রমিক নং-২:    আয় বছরের শেষ দিনের তারিখ উল্লেখ করতে হবে। তারিখটি  দিন-মাস-বছর আকারে লিখতে হবে।
                    ২০১৬-১৭ কর বছরের জন্য পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণী দাখিলের ক্ষেত্রে এ ঘরের বক্সগুলোতে বাংলা বা ইংরেজীতে নিম্নরূপভাবে লিখতে হবে:

3 0 0 6 2 0 1 6

ক্রমিক নং-৩:    করদাতার নাম লিখতে হবে।
ক্রমিক নং-৪:    করদাতার  টিআইএন লিখতে হবে।
ক্রমিক নং-৫:    করদাতার ব্যবসা বা পেশা খাতের আয় থাকলে উক্ত ব্যবসা বা পেশার সমাপনী মূলধনের পরিমাণ উপ-ক্রমিক ৫এ তে উল্লেখ করতে হবে। করদাতা কোম্পানীর শেয়ারহোল্ডার পরিচালক হলে উপ-ক্রমিক ৫বি তে শেয়ার মালিকানার বিবরণ লিপিবদ্ধ করতে হবে। এরূপ করদাতার জন্য তফসিল ২৫ সংযুক্ত
করতে হবে।  উপ-ক্রমিক ৫এ ও ৫বি এর সমষ্টি ক্রমিক ৫ এ লিখতে হবে।
ক্রমিক নং-৬     করদাতার অকৃষি সম্পত্তি (আবাসিক বা বাণিজ্যিক প্লট, বাড়ি, এপার্টমেন্ট ইত্যাদি অকৃষি সম্পত্তির
কয়েকটি উদাহরণ) থাকলে তফসিল ২৫ সংযুক্ত করে অকৃষি সম্পত্তির বিবরণ, মূল্য ইত্যাদির বিস্তারিত তথ্য সেখানে দিতে হবে। এ ক্রমিকের উপ-ক্রমিক ৬এ তে করদাতার অকৃষি সম্পত্তির মূল্য এবং ৬বিতে অকৃষি সম্পত্তির বিপরীতে কোন অগ্রিম অর্থ পরিশোধ করা হলে কার জের (balance) লিখতে হবে।
ক্রমিক নং-৭:    করদাতার কৃষি সম্পত্তি থাকলে এখানে লিখতে হবে এবং তফসিল ২৫ সংযুক্ত করে অকৃষি সম্পত্তির বিবরণ, মূল্য ইত্যাদি বিস্তারিত তথ্য সেখানে দিতে হবে।
ক্রমিক নং-৮:     করদাতার আর্থিক সম্পত্তি (financial assets) যেমন শেয়ার, ডিবেঞ্চার, সঞ্চয়পত্র, বন্ড ও অন্যান্য
নিরাপত্ত জামানত, এফডিআর, মেয়াদি আমানত, সঞ্চয়ী পেনশন স্কীম, ঋণ প্রদানসহ অন্য কোন financial assets থাকলে তার তথ্য এ ক্রমিকে প্রদান করতে হবে।
ক্রমিক নং-৯:     করদাতার ব্যক্তিগত মোটরগাড়ি, জীপ বা মাইক্রোবাস থাকলে তার মূল্য (রেজিস্ট্রেশন ও আনুষঙ্গিক
খরচসহ) ক্রমিক ৯ এ লিখতে হবে। একাধিক যানবাহন থাকলে (রেজিস্ট্রেশন ও অনুষঙ্গিক খরচসহ) মূল্যের সামষ্টি লিখতে হবে। প্রতিটি যানবাহনের ক্ষেত্রে ব্র্যান্ড নাম, ইঞ্জিন ক্যাপাসিটি (সিসি)  ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখতে হবে। দুইয়ের অধিক যানবাহন থাকলে আলাদা কাগজ সংযুক্ত করে বর্ণিত তথ্য সমূহ লিপিবদ্ধ করতে হবে।
ক্রমিক নং-১০:    করদাতার সোনা, হীরক, জেম বা মূল্যবান পাথরসহ কোন অরলকারাদি থাকলে তার তথ্য এ ক্রমিকে লিখতে হবে।
ক্রমিক নং-১১:    এ ক্রমিকে করদাতার আসবাবপত্র, সরঞ্জাম, ইলেট্রনিক্স দ্রব্যাদি ইত্যাদির তথ্য লিপিবদ্ধ করতে হবে।
ক্রমিক নং-১২:    এছাড়া ১-১১ ক্রমিকে উল্লিখিত সম্পত্তির বাইরে করদাতার আরো কোন মূল্যবান সম্পত্তি থাকলে তার তথ্য এ ক্রমিকে প্রদান করতে হবে।
ক্রমিক নং-১৩:    করদাতার ব্যবসা-বহির্ভূত নগদ অর্থ, ব্যাংক, কার্ড বা ইলেট্রনিক অর্থের ব্যালেন্স, প্রভিডেন্ট ফন্ডের ব্যালেন্স এবং

ক্রমিক ৮-এ উল্লিখিত অংক বাদে অন্যান্য জমা, ব্যালেন্স বা অগ্রিম প্রতদানের পরিমাণ লিখতে হবে।
ক্রমিক নং-১৪:    ক্রমিক ১-১৩ উল্লিখিত সম্পত্তির পরিমাণের সমষ্টি এ ক্রমিকে লিখতে হবে।
ক্রমিক নং-১৫:    করদাতার ব্যবসা-বহির্ভূত দায় যেমন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে গৃহীত ঋণ, জামানবিহীন ঋণ, ওভারড্রাফট ও অন্যান্য ঋণ (যেমন, বাকীতে ক্রয় সংক্রান্ত দায়) এ ক্রমিকে লিখতে হবে।
ক্রমিক নং-১৬:     ক্রমিক ১৪ ও ক্রমিক ১৫ এর বিয়োগফল সংশ্লিষ্ট আয় বছরের নীট পরিসম্পদ, যা ক্রমিক ১৬ তে লিখতে হবে।
ক্রমিক নং-১৭:     পূর্ববর্তী আয় বছরের শেষ তারিখের নীট পরিসম্পদ ক্রমিক ১৭ তে লিখতে হবে।
ক্রমিক নং-১৮:    ক্রমিক ১৬ ও ক্রমিক ১৭ এর বিয়োগফল হবে নীট পরিসম্পদের পরিবর্তন (পরিবৃদ্ধি বা হ্রাস), যা ক্রমিক ১৮ তে লিখতে হবে।
ক্রমিক নং-১৯:     সম্পদ অর্জন ব্যতীত অন্য কোন কারণে তহবিলের বহিঃপ্রবাহ (outflow) ঘটলে তা এ ক্রমিকে লিখতে
হবে। এ ক্রমিকে যে বিষয়গুলো থাকবে তা হলো: বার্সিক জীবনযাত্রার সংশ্লিষ্ট ব্যয়, কর পরিশোধ, ব্যবসা বহির্ভূত কোন আর্থিক লোকসান, কর্তন বা IT-10B2016  তে উল্লিখিত নয় এমন কোন ব্যয়, কোন দান বা কোন চাঁদা প্রদান (যা পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণী আর কোথাও প্রতিফলিত হয়নি)।
ক্রমিক নং-২০:     ক্রমিক ১৮ ও ক্রমিক ১৯ এর যোগফল হবে আয় বছরের করদাতার তহবিলের মোট বহিঃপ্রবাহ (outflow), যা এ ক্রমিকে লিখতে হবে।
ক্রমিক নং-২১:    এ ক্রমিকে তহবিলের উৎস লিখতে হবে।
ক্রমিক নং-২২:     ক্রমিক ২১ ও ক্রমিক ২০ এর বিয়োগফল এ ক্রমিকে লিখতে হবে।

(খ). জীবনযাত্রার মান সম্পর্কিত তথ্য বিবরণী বা ফরম আইটি-১০বিবি এবং আইটি ১০বিবি ২০১৬ পূরণের নিয়ম

●     যে সকল করদাতা প্রচলিত রিটার্ন ফরম অর্থাৎ আইটি-১১গ এর মাধ্যমে আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন তাদের ক্ষেত্রে এ বিবরণীটি প্রযোজ্য হবে।
●     যে সকল  বেতনভোগী  করদাতা  এবং  স্বল্প  আয়বিশিষ্ট  পেশাজীবি  ও  ব্যবসায়ী করদাতা সহজীকৃত রিটার্ন ফরম অর্থাৎ আইটি-১১ঙ ও  আইটি-১১চ এর মাধ্যমে আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন তাদের ক্ষেত্রে এ বিবরণীটি প্রযোজ্য হবে না।
●     যে সকল করদাতা নতুন প্রবর্তিত ফরম অর্থাৎ- আইটি ১১গ ২০১৬ এর মাধ্যমে রিটার্ন দাখিল করবেন তাদের ক্ষেত্রে আইটি-১০ বিবি ২০১৬ বিবরণটি প্রযোজ্য হবে।

আইটি১০বিবি বিবরণীতে করদাতার  নাম, টিআইএন এবং আয় বছরে জীবনযাত্রার বিভিন্ন বিষয়ের খরচের উল্লেখ করতে হবে। রিটার্নের এ সংক্রান্ত  ছকটি পূরণের নিয়ম নীচে বর্ণনা করা হলো-

ক্রমিক নং-১ঃ      এই ঘরে করদাতা ও তার পরিবারের নির্ভরশীল সদস্যদের ভরণ পোষণ বাবদ খরচের অংকটি লিখতে হবে।
ক্রমিক নং-২ঃ      এই ঘরে উৎসে কেটে নেয়া কর এবং নিজে জমা দেয়া বা পরিশোধ করা করের পরিমাণ লিখতে হবে।
ক্রমিক নং-৩ঃ      এই ঘরে বাড়ী ভাড়া বাবদ খরচের অংক লিখতে হবে। ভাড়া বাড়ী না হলে মন্তব্যের ঘরে  নিজের বাড়ী, পিতার বাড়ী, নিয়োগ কর্তা প্রদত্ত বাড়ী অথবা অন্য কারো হলে সে তথ্য লিখতে হবে।  নিজ বাড়ীর রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়  (যেমন পৌরকর, সার্ভিস চার্জ ইত্যাদি) যদি থাকে তবে তা এখানে লিখতে হবে।
ক্রমিক নং-৪ঃ      এই ঘরে যানবাহন বিষয়ে যাবতীয় ব্যয় যেমন-জ্বালানী, রক্ষণাবেক্ষণ, ড্রাইভারের বেতন  ইত্যাদি খাতে  ব্যয়ের মোট পরিমাণ লিখতে হবে।
ক্রমিক নং-৫ঃ      এই ঘরে বিদ্যুৎ বিল বাবদ পরিশোধিত অংকের পরিমাণ লিখতে হবে।
ক্রমিক নং-৬ঃ      এই ঘরে আবাসিক পানির বিল বাবদ পরিশোধিত অংকের পরিমাণ লিখতে হবে।
ক্রমিক নং-৭ঃ      এই ঘরে আবাসিক গ্যাস বিল বাবদ পরিশোধিত অংকের পরিমাণ লিখতে হবে।
ক্রমিক নং-৮ঃ      এই ঘরে আবাসিক টেলিফোন বিল বাবদ পরিশোধিত অংকের পরিমাণ লিখতে হবে।
ক্রমিক নং-৯ঃ      এই ঘরে সন্তানদের লেখাপড়া বাবদ যে পরিমাণ খরচ হয়েছে তা লিখতে হবে।
ক্রমিক নং-১০ঃ      করদাতা  নিজ  ব্যয়ে  বিদেশ ভ্রমণ  করে  থাকলে  বিদেশ ভ্রমণ বাবদ যাবতীয় খরচ এই ঘরে লিখতে হবে।
ক্রমিক নং-১১ঃ      বিভিন্ন  উৎসব যেমন -বিয়ে, জন্মদিন  ইত্যাদি বাবদ কোন খরচ হয়ে  থাকলে সে খরচ, চিকিৎসা খরচ  এবং  কাউকে অর্থ দান করা হয়ে থাকলে সে দানের অংক এ ঘরে লিখতে হবে।

জীবনযাত্রার  মান  স¤পর্কিত তথ্য বিবরণী বা ফরম আইটি-১০বিবিতে উল্লিখিত খরচসমূহের যোগফল রিটার্ন ফরমের ১৫(ক) নং ক্রমিকে উল্লেখ করতে হবে।

●      বেতনভোগী করদাতাদের মধ্যে যারা আইটি-১১ঙ এবং ব্যবসা বা পেশার আয়ের ক্ষেত্রে যারা আইটি-১১চ এর মাধ্যমে আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন তাদের জন্য জীবনযাত্রার মান সম্পর্কিত তথ্য বিবরণী বা ফরম আইটি- ১০বিবি দাখিল বাধ্যতামূলক নয়।

 


নতুন প্রবর্তিত জীবনযাত্রা সংশ্লিষ্ট ব্যয়ের বিবরণী (আইটি-১০বিবি ২০১৬) এর বিভিন্ন অংশের বিবরণ:
ক্রমিক নং-১:     কর বছরের তথ্য দিতে হবে। ২০১৬-১৭ কর বছরের জন্য জীবনযাত্রা সংশ্লিষ্ট ব্যয়ের বিবরণী দাখিলের ক্ষেত্রে এ ঘরে বাংলা বা ইংরেজীতে নি¤œরূপভাবে লিখতে হবে:

2 0 1 6 - 1 7

ক্রমিক নং-২:     আয় বছরের শেষ দিনের তারিখ উল্লেখ করতে হবে। তারিখটি দিন মাস বছরে আকারে লিখতে হবে। ২০১৬-১৭ কর বছরের জন্য জীবনযাত্রা সংশ্লিষ্ট ব্যয়ের বিবরণী দাখিলের ক্ষেত্রে এ ঘরে বাংলা বা ইংরেজীতে নিম্নরূপভাবে লিখতে হবে:

3 0 0 6 2 0 1 6

ক্রমিক নং-৩:     করদাতার নাম লিখতে হবে।
ক্রমিক নং-৪:     করদাতার টিআইএন লিখতে হবে।
ক্রমিক নং-৫:     এ ক্রমিকে করদাতা ও তার পরিবারের নির্ভরশীল সদস্যদের ভরণ পোষণ ব্যয়ের দিতে হবে।
ক্রমিক নং-৬:     এ ক্রমিকে আবাসন সংক্রান্ত ব্যয়ের তথ্য লিখতে হবে। ভাড়া বাড়িতে বসবাস না করা হলে মন্তব্যের ঘরে নিজের বাড়ি, পিতা মাতার বাড়ি, নিয়োগকর্তা প্রদত্ত বাড়ি অথবা অন্য কারো হলে সে তথ্য লিখতে হবে। নিজ বাড়ির     রক্ষনাবেক্ষন ব্যয়  (যেমন পৌরকর, সার্ভিস চার্জ ইত্যাদি) যদি ধাকে তবে তা এখানে লিখতে হবে।
ক্রমিক নং-৭:     এ ক্রমিকে যানবাহন বিষয়ে যাবতীয় ব্যয় যেমন-জ্বালানী, রক্ষনাবেক্ষণ, ড্রাইবারের বেতন ইত্যাতি খাতে ব্যয়ের তথ্য দিতে হবে।
ক্রমিক নং-৮:     বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানির বিল, পয়ঃনিষ্কাষন ও দৈনন্দিন বর্জ্য অপসারণ খরচ, আবাসিক টেলিফোন বিল, ইন্টারনেট ও টেলিভিশন চ্যানেল সাবস্ক্রিপশন বিল, গৃহস্থালির সহায়ক কর্মী ও গৃহস্থাল ও সেবা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যয়ের তথ্য এ ক্রমিকে লিখতে হবে।
ক্রমিক নং-৯:     এ ক্রমিকে সন্তানদের পড়াশোনার ব্যযের তথ্য দিতে হবে।
ক্রমিক নং-১০:    উৎসব, অনুষ্ঠান, উপহার, দেশে ও বিদেশে ভ্রমন, অবকাশ, অনুদান, মানবিক সহায়তাসহ অন্যান্য বিশেষ ব্যয়ের তথ্য এ ক্রমিকে দিতে হবে।
ক্রমিক নং-১১:     উপরের ক্রমিক ৫ হতে ১০ এ বর্ণিত ব্যয়ের বাইরে অন্য কোন ব্যয় হয়ে থাকলে সে খরচ, চিকিৎসা খরচ থাকলে সে অংক এ ঘরে লিখতে হবে।
ক্রমিক নং-১২:     জীবনযাপন সংশ্লিষ্ট মোট খরচ অর্থাৎ ক্রমিক ০৫ হতে ক্রমিক ১১ তে প্রদর্শিত ব্যয়ের সমষ্টি এ ঘরে লিখতে হবে।
ক্রমিক নং-১৩:     এ ঘরে করদাতা কর্তৃক উৎসে পরিশোধিত কর এবং করদাতার নিজের পরিশোধ করা আয়কর, সারচার্জ অথবা অন্য কোন পরিশোধিত অংক লিখতে হবে। বিবেচ্য আয় বছরে অন্য কোন কর বছরের কর, সারচার্জ, অথবা কর সংশ্লিষ্ট অন্য কোন অংক পরিশোধ করা হলে তাও এ ক্রমিকে উল্লেখ করতে হবে।
ক্রমিক নং-১৪:     ক্রমিক নং ১২ ও ১৩ এর প্রদর্শিত অংকের সমষ্টি এ ক্রমিকে উল্লেখ করতে হবে।