Business News

Displaying 131-140 of 172 results.

১২ প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে অসন্তুষ্ট বিশ্বব্যাংক

১২ প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে অসন্তুষ্ট বিশ্বব্যাংক

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ৪২টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পগুলোতে প্রায় সাড়ে ৫০০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা রয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে চলমান ১২টি প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে দাতা সংস্থাটি।
 
সম্প্রতি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রকল্প বাস্তবায়ন পরিস্থিতি নিয়ে এক বৈঠকে এ অসন্তুষ্টির কথা জানানো হয়েছে।
এসব প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি কম হওয়ার কারণ চিহ্নিত করার পাশাপাশি চলমান প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছে বিশ্বব্যাংক, ইআরডি ও বাস্তবায়নকারী সংস্থা।
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ৪২টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পগুলোতে প্রায় সাড়ে ৫০০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা রয়েছে।
 
সূত্র জানায়, বাস্তবায়নে গতিহীন এসব প্রকল্পের অধিকাংশেরই মেয়াদ শেষ পর্যায়ে থাকলেও অর্থছাড়ে যথেষ্ট পিছিয়ে রয়েছে। প্রকল্পগুলোতে জনবল নিয়োগ, ক্রয় প্রক্রিয়ায় জটিলতা এবং উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) তৈরিতে ত্রুটি রয়েছে বলে ইআরডিকে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
এ বিষয়ে ইআরডির অতিরিক্ত সচিব আরাস্তু খান সমকালকে বলেন, মূলত বাস্তবায়নকারী সংস্থার অদূরদর্শিতার কারণে কিছু প্রকল্পের অগ্রগতি কম হয়েছে। এর জন্য প্রধানত প্রকল্প পরিচালকই দায়ী।
তবে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে এসব সমস্যাপ্রবণ প্রকল্পসহ বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে চলমান সব প্রকল্পই পর্যালোচনা করা হয়েছে। প্রকল্পগুলোর সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
সূত্র জানায়, বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সমস্যাকবলিত ১২ প্রকল্পের অন্যতম হচ্ছে 'চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন' প্রকল্প। ২০১০ সালে শুরু হওয়া এ প্রকল্পে প্রায় তিন বছরে অর্থছাড় হয়েছে মাত্র ৫ লাখ ৯ হাজার ডলার, যা মোট বরাদ্দের মাত্র দশমিক ৩ শতাংশ। আগামী ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ।
এ প্রকল্পের এখনও প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম শেষ হয়নি বলে হতাশা প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। দ্বিতীয় প্রকল্পটি হচ্ছে, 'ঢাকা পানি সরবরাহ এবং পয়ঃনিষ্কাশন প্রকল্প'। বিশ্বব্যাংকের ১৪ কোটি ৯০ লাখ ডলারের বৈদেশিক সাহায্যের এ প্রকল্পটি শুরু হয় ২০০৮ সালে। গত জুন মাসে প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু প্রকল্পটিতে অর্থ ব্যয় হয়েছে মাত্র ১ কোটি ৫৫ লাখ ডলার। অর্থাৎ মাত্র ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ বাস্তবায়ন করা গেছে।
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে 'ঝরেপড়া শিশুদের স্কুলে ফিরিয়ে আনা (দ্বিতীয় পর্যায়)' প্রকল্পটির জন্য গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ১৩ কোটি ডলারের চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও এ পর্যন্ত প্রকল্পটি শুরু করতে পারেনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
একইভাবে 'দ্বিতীয় পর্যায়ে গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন' প্রকল্পটিও গত বছর থেকে বাস্তবায়ন শুরু হলেও এ পর্যন্ত এক টাকাও ব্যয় করেনি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়।
বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, সমস্যাপ্রবণ প্রকল্পগুলোর বেশ কিছু সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে। সরকারের সঙ্গে এসব প্রকল্পের বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসতে চায় তারা।
ওই বৈঠকে প্রকল্পগুলোর সমস্যা সমাধানে সরকারের কাছে প্রস্তাব দিতে পারে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
সূত্র জানায়, বাস্তবায়নে পিছিয়ে পড়া অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে- ১০ কোটি ২২ লাখ ডলারের 'ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট ইম্প্রুভমেন্ট প্রজেক্ট'। এ প্রকল্পটিতে বিগত ৬ বছরে ছাড় হয়েছে মাত্র ৩ কোটি ৮৮ লাখ ডলার।
৬ কোটি ২৬ লাখ ডলার ব্যয়ের 'ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি' নামের প্রকল্পে ৫ বছরে ছাড় হয়েছে মাত্র ৩ কোটি ৫৯ লাখ ডলার।
৬ কোটি ২২ লাখ ডলার ব্যয়ের 'ক্লিন এয়ার অ্যান্ড সাসটেইনেবল এনভায়রনমেন্ট প্রজেক্টে ৫ বছরে ছাড় কহয়েছে মাত্র ২ কোটি ডলার।
সূত্র জানায়, এছাড়াও বাস্তবায়নে পিছিয়ে পড়া প্রকল্পগুলো হচ্ছে- এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশন প্রোগ্রাম, ওয়াইল্ডফিল্ড প্রটেকশন, প্রাইমারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (তৃতীয় পর্যায়)। লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট (দ্বিতীয় পর্যায়)।

samakal: 06.10.2013


পুঁজিবাজারে অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি থামছে না

পুঁজিবাজারে অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি থামছে না

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার নেয়া পদক্ষেপও শেষপর্যন্ত বিফলে গেল। থামছে না দেশের দুই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নির্দিষ্ট কয়েকটি কোম্পানির অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি। এ নিয়ে বিব্রত পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গত ২৬ সেপ্টেম্বরের কমিশন সভায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষকে এ ধরনের ১২টি কোম্পানির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দিলেও তা বাজারে কোনো ধরনের প্রভাব ফেলতে পারেনি। গত বৃহস্পতিবারও এসব কোম্পানির কয়েকটি উঠে আসে দুই পুঁজিবাজারের শীর্ষ মূল্যবৃদ্ধির তালিকায়। গত ২৬ সেপ্টেম্বর কমিশন সভায় বিএসইসি পুঁজিবাজারে সাম্প্রতিক সময়ে ১২টি তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি খতিয়ে দেখতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে নির্দেশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ যেসব স্বল্প মূলধনী কোম্পানির শেয়ারের মূল্য সাম্প্রতিক সময়ে ৫০ থেকে ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে সেসব কোম্পানির মূল্যবৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানপূর্বক আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে একটি তদন্ত রিপোর্ট কমিশনে দাখিল করবে। কমিশনের দেয়া তালিকায় যেসব কোম্পানির কথা বলা হয়েছে এদের মধ্যে ছিল লিগেসী ফুটওয়্যার, দেশ গার্মেন্টস, বিডি অটোকার, রহিমা ফুড, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক, মুন্নু স্টাফলার, মডার্ন ডাইং, আনোয়ার গ্যালভেনাইজিং, জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইসেস, হাক্বানি পাল্প, ইনটেক অনলাইন ও আলহাজ টেক্সটাইল। নিয়ন্ত্রক সংস্থার এ ধরনের নির্দেশের পর দুই বাজারে উল্লিখিত কোম্পানিগুলো বড় ধরনের দরপতনের শিকার হয়। তবে তা ছিল খুবই সাময়িক। দু’দিন কিছুটা হ্রাস পেলেও বৃহস্পতিবার আবার এসব কোম্পানির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে এ তালিকায় যোগ হয়েছে আজিজ পাইপস, ইমাম বাটন ও নর্দার্ন জুটের মতো আরো নতুন নতুন কোম্পানি। বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে বিএসইসির দেয়া তদন্তের তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলোর কয়েকটি উঠে আসে ডিএসইর মূল্যবৃদ্ধির শীর্ষে। এদের মধ্যে ছিল মডার্ন ডাইং, আনোয়ার গ্যালভেনাইজিং, দেশ গার্মেন্টস, লিগেসী ফুটওয়্যার, বিডি অটোকার, জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইসেস। গতকাল দিনের লেনদেনে এসব কোম্পানি সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ দরে লেনদেন হয়। কোম্পানিগুলোর শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৯.৮১, ৯.৬১, ৯.৫৩, ৯.৫৩,৮.৭০ ও ৮.৩৫ শতাংশ। এর আগেও দিনের পর দিন কোম্পানিগুলো একই হারে মূল্যবৃদ্ধি ঘটলে বিএসইসি এর কারণ নির্ণয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পদক্ষেপ হিসেবে ডিএসই কর্তৃপক্ষ এরি মধ্যে বেশ কয়েকবার কয়েকটি কোম্পানির লেনদেনও স্থগিত করে। কিন্তু স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের পরপরই আবার সেই একই আচরণ। কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না এদের অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি। তবে এর আগে টানা মূল্যবৃদ্ধিতে থাকা আরেকটি কোম্পানি চিটাগাং ভেজিটেবল অয়েল অ্যান্ড পেট্রোসিনথেটিকসের লেনদেন স্থগিত থাকায় কোম্পানিটির সর্বশেষ অবস্থার প্রকাশ ঘটছে না। স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিলেই বুঝা যাবে সর্বশেষ অবস্থা। অন্য কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রেই একই ধরনের পদক্ষেপে এ মুহূর্তে খুবই কার্যকরী হতে পারে বলে মনে করেন বিনিয়োগকারীরা। পুঁজিবাজার বিশ্লেষকদের মতে, কোনো ধরনের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় সাম্প্রতিক সময়ে এক ধরনের অস্থিরতার মধ্য দিয়ে পার করছে পুঁজিবাজারগুলো। স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ন্ত্রক সংস্থার কোনো কোম্পানির শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধি বা দরপতনে কোনো ভূমিকা থাকার কথা নয়। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে একশ্রেণীর বিনিয়োগকারীরা সংগঠিত এবং পরিকল্পিতভাবে নিজেরাই বাজারের নিয়ন্ত্রণ হাতে নেয়। ইচ্ছামতো এরা শেয়ারদরের হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটায়। সাম্প্রতিক সময়ে এ প্রবনতা এতই বেড়ে গেছে যে পুরো বাজার সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে মৌলভিত্তির দিক থেকে দুর্বল কিছু কোম্পানিতে। কিন্তু তারপরও নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও পুঁজিবাজার কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে কোনো বলিষ্ঠ পদক্ষেপ দেখা যায়নি। তবে তারা আশা প্রকাশ করেন, এবার দেরিতে হলেও নিয়ন্ত্রক সংস্থার সর্বশেষ নেয়া পদক্ষেপ যত দ্রুত বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে তত দ্রুত বাজারে শৃঙ্খলা ফেরাতে সহায়ক হবে। এ দিকে দুর্বল মৌলভিত্তির এসব কোম্পানির শেয়ারের নিয়ন্ত্রণহীন মূল্যবৃদ্ধিতে চরমভাবে হতাশ বিনিয়োগকারীরা। গতকাল এ প্রসঙ্গে আলাপকালে কয়েকজন বিনিয়োগকারী অভিযোগ করেন, যারা বাজারে এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালায় তাদেরকে ছোট করে দেখার কোনো অবকাশ নেই। এক দিকে তারা যেমন আর্থিক দিক থেকে সক্ষম তেমনি পুঁজিবাজারের সর্বোচ্চ পর্যায়েও এদের প্রভাব রয়েছে। তাই কোনো কোম্পানির সাময়িক লেনদেন স্থগিত করে কোনো লাভ হবে না। তারা সাময়িক এ লেনদেন স্থগিত করাকে ‘আই ওয়াশ’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, সর্বোচ্চ পর্যায়ে এদের প্রভাব না থাকলে একদিন যে কোম্পানি দিনের সর্বোচ্চ দর হারায় পরদিনই আবার একই কোম্পানি সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধি ঘটতে পারে না। বিএসইসির নির্দেশের এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নীরবতাই তার প্রমাণ বলে মনে করেন তারা। এর আগেও পুঁজিবাজারে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তখন এ ধরনের বেশ কিছু কোম্পানিকে ওটিসি মার্কেটে পাঠিয়ে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সাথে সংশ্লিষ্টদের একটি বার্তা দেয়া হয়। বিএসইসি ও দুই স্টক এক্সচেঞ্জের মিলিত প্রচেষ্টায় ওটিসি মার্কেট সৃষ্টির কারণও ছিল মূলত এটাই। কিন্তু এবার দিনের পর একই ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকলেও তার কোনো প্রতিকার দেখছেন না বিনিয়োগকারীরা। ফলে নিয়ন্ত্রক সংস্থার নেয়া উদ্যোগও ভেস্তে যাচ্ছে। এক্ষণে এ ব্যাপারে কোনো কঠোর পদক্ষেপ নেয়া না হলে আরো উৎসাহিত হতে পারে বাজার খেলোয়াড়রা। আর এ তালিকায় উঠে আসা কোম্পানির সংখ্যা দিনের পর দিন বাড়তেই থাকবে। শৃঙ্খলা ফিরে আসবে না পুঁজিবাজারে।
 dailynayadiganta: 06.10.2013


উৎপাদন বাড়াতে সেল গঠন করবে শিল্প মন্ত্রণালয়

উৎপাদন বাড়াতে সেল গঠন করবে শিল্প মন্ত্রণালয়

শিল্প প্রতিষ্ঠানে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে প্রতিটি কারখানায় উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িতদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন। একই সঙ্গে খাতভিত্তিক উৎপাদনশীলতা বাড়াতে গবেষণা করা এখন সময়ের দাবি। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতায় 'উৎপাদনশীলতা উন্নয়ন সেল গঠন' করা হবে।

গতকাল রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া এসব কথা বলেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) 'উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিই আগামী দিনের সমৃদ্ধি' শীর্ষক এ সেমিনার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট কাজী আকরাম উদ্দিন আহ্মদ বলেন, এ দেশের কলকারখানায় গড়ে উৎপাদন ৩০ শতাংশ বাড়ানো সম্ভব। এ ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি উভয় খাতের একসঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন। বক্তারা বলেন, দেশের শিল্প ও সেবা খাতে পরিকল্পিতভাবে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি উৎপাদনশীলতা উন্নয়ন সেল গঠন করা হলে প্রতি মাসে বিভিন্ন খাতে অর্জিত উৎপাদনশীলতা পরিমাপ করে এর উন্নয়নে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব। শিল্পসচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের ইনস্টিটিউট অব অ্যাপ্রোপ্রিয়েট টেকনোলজির অধ্যাপক কামাল উদ্দিন।

kalerkantho: 06.10.2013



শেয়ারবাজারে ফের কারসাজি

শেয়ারবাজারে ফের কারসাজি!

তিরিশ কোম্পানির শেয়ারের দর অস্বাভাবিক বৃদ্ধি

গত দুই মাসে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রায় ৩০টি কোম্পানির শেয়ারের দর অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই স্বল্প মূলধনী এ কোম্পানিগুলোর দাম ক্ষেত্র বিশেষে ৫০০ শতাংশ বা তার চেয়েও বেশি বেড়েছে। ফলে শেয়ারবাজার ঘিরে কারসাজি চক্র ফের তত্পর হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে কারসাজির ফলে কিছু কোম্পানির শেয়ার দর মাত্রাতিরিক্ত চড়ে গেলেও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারেনি। কিছু পদক্ষেপ নিলেও তা যথেষ্ট এবং দ্রুত নয় বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

বিএসইসি'র সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী এ সম্পর্কে বলেন, গোটা শেয়ারবাজারের সূচক যেখানে কমছে, সেখানে স্বল্প মূলধনী কিছু কোম্পানির শেয়ারের দর তর তর করে বেড়ে যাচ্ছে। সুতরাং এখানে কারসাজি হচ্ছে। কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থা তা ধরতে পারছে না। তিনি বলেন, এ ধরনের কারসাজি বন্ধে নিয়ন্ত্রক সংস্থার তদারকি জোরদার করতে হবে। ডিএসই, সিএসইকেও তত্পর হতে হবে। তবে এ ব্যাপারে বিনিয়োগকারীদেরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

ডিএসই সূত্র জানিয়েছে, শেয়ারের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য রয়েছে কিনা তা জানতে চেয়ে গত এক মাসে প্রায় ৩০টিরও বেশি কোম্পানির কাছে নোটিস দেয়া হয়েছে। প্রতিটি কোম্পানির কাছ থেকেই উত্তর এসেছে নেতিবাচক। অর্থাত্ কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দর অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির মতো কোন কারণ নেই। কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে বারবার সতর্ক করা হচ্ছে যে, শেয়ারের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির মতো কোনো তথ্য নেই। এরপরও থেমে নেই এসব শেয়ারের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি।

শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার কারণ অনুসন্ধান করে ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে ডিএসইসিকে নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি। ১৫ দিনের ব্যবধানে যেসব শেয়ারের দাম ৫০ থেকে ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে সেসব কোম্পানির বিষয়ে অনুসন্ধান করতে বলা হয়। নিয়ন্ত্রক সংস্থা হয়েও তদন্তের নির্দেশ ডিএসইকে দেয়ায় এ নিয়ে বিএসইসি'র আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এদিকে গত কয়েক মাস ধরে ডিএসই কর্তৃপক্ষ ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন (স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা পৃথকীকরণ) স্কিম প্রণয়ন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় বিভিন্ন তদারকিমূলক কার্যক্রমের দিকে খুব একটা নজর দিতে পারেনি বলে স্বীকার করেছেন ডিএসই প্রেসিডেন্ট আহসানুল ইসলাম টিটু। তবে স্কিমের কাজ শেষ হওয়ায় এখন এসব কাজে গতি আসবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।

শেয়ারবাজারে কিছু কোম্পানির শেয়ারের দর অস্বাভাবিক বৃদ্ধির পরও কেন কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না এমন এক প্রশ্নের জবাবে বিএসইসি'র একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিএসইসি'র সার্ভিল্যান্স সফটওয়্যারের মাধ্যমে সিরিয়াল ট্রেডিং, ইনসাইডার ট্রেডিং ও সিন্ডিকেশন ধরা পড়ে। কিন্তু দাম বেড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এ সফটওয়্যার কোনো এলার্ট দেয় না। এমনকি অস্বাভাবিকভাবে দর বাড়লেও কোনো কিছু ধরা পড়ে না। এরপরও অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর কোন দেশেই সার্ভিল্যান্স সফটওয়্যারে অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির ব্যাপারে এলার্ট দেয় না। তাই এক্ষেত্রে কোম্পানি ভিত্তিতে বিশ্লেষণ করে এ ধরনের ক্ষেত্রে কারসাজি হচ্ছে কিনা- তা ধরতে হয়। আমাদের শেয়ারবাজারে এতগুলো কোম্পানির অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানে যে লোকবল প্রয়োজন তা বিএসইসিতে নেই। তবে লোকবলের সঙ্কট আগামীতে কেটে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, 'আই ওয়ান্ট টু বি গেইনার' নামে একটি গ্রুপ খুলে শেয়ারবাজার সম্পর্কে ফেসবুকে গুজব ছড়াচ্ছে একটি চক্র। আরও কিছু গ্রুপে শেয়ারবাজার সম্পর্কে নানা ধরনের আগাম তথ্য ও ঘোষণা দেয়া হচ্ছে বলেও জানা গেছে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে। টাকার বিনিময়েও শেয়ার কেনার ব্যাপারে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে এ গ্রুপগুলোতে। অথচ শেয়ারের দাম বাড়তে পারে বা কমতে পারে এ ধরনের পরামর্শ দেয়া ও গুজব ছড়ানো নিষিদ্ধ। এ ব্যাপারে বিএসইসি ও ডিএসই, সিএসই কর্তৃপক্ষের কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।

ডিএসই'র তথ্যে দেখা গেছে, গত এক মাসে ডিএসই'র সূচকে ওঠানামা থাকলেও নিম্নমুখী প্রবণতাই ছিল মূখ্য। অথচ কিছু কোম্পানির শেয়ারের দর তর তর করে বাড়ছে। ফলে বিনিয়োগকারীরা লোভ সামলাতে পারছেন না। কিন্তু বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানি দেখে বিনিয়োগ করার বিকল্প নেই। তাই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়া কারসাজির নেপথ্যে যারা রয়েছে, তাদেরকে সনাক্ত করার মাধ্যমে যথাযথ শাস্তির আওতায় নিয়ে আসারও দাবি জানান সংশ্লিষ্টরা।

অস্বাভাবিক হারে দর বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে যে কোম্পানিগুলোকে নোটিস পাঠানো হয়েছে সেগুলো হলো- রহিম টেক্সটাইল, স্টাইল ক্রাফট, সিভিও পেট্রোকেমিক্যালস, জেএমআই সিরিঞ্জ, দেশ গার্মেন্টস, আজিজ পাইপস, সোনারগাঁও টেক্সটাইল, মডার্ণ ডাইং, দুলা মিয়া কটন, রহিমা ফুড, সাফকো স্পিনিং, মুন্নু জুট স্টাফালার্স, লিবরা ইনফিউশন, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, লিগাসি ফুটওয়ার, বিডি অটোকারস, এএমসিএল (প্রাণ), বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি), ইনফর্মেশন সার্ভিস নেটওয়ার্ক, হাক্কানি পাল্প, নর্দান জুট, ইমাম বাটন, ইনটেক অনলাইন, বিডি ল্যাম্বস, সোনারগাঁও টেক্সটাইল, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক, সিএমসি কামাল এবং ফাইন ফুডস। এ সব কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তাদের শেয়ার দর অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধির পেছনে কোন মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।

ittefaq: 06.10.2013


এফটিএতে লাভবান হবে ঢাকা-কলম্বো

এফটিএতে লাভবান হবে ঢাকা-কলম্বো

একই ধরনের পণ্য থাকা সত্ত্বেও মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা উভয় দেশের জন্যই লাভজনক হবে। গতকাল ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার ডাব্লিউ এ শরৎ কে ওয়েরাগোদা এ কথা বলেন। তিনি বলেন, 'আমরা যদি এফটিএ করতে পারি তাহলে আমাদের পণ্যে আরো মূল্য সংযোজন হবে। এর সুবিধা উভয়েই পাবে। আমরা বাংলাদেশ থেকে পাট আমদানি করতে পারি।'

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) আয়োজিত দ্বিতীয় 'কান্ট্রি লেকচার'-এ শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার এ কথা বলেন। ঢাকার বিআইআইএসএস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত কান্ট্রি লেকচার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউটের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমেদ। বিআইআইএসএস মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

kalerkantho: অক্টোবর ০৫, ২০১৩



১২ প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে অসন্তুষ্ট বিশ্বব্যাংক

১২ প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে অসন্তুষ্ট বিশ্বব্যাংক

 

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ৪২টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পগুলোতে প্রায় সাড়ে ৫০০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা রয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ৪২টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পগুলোতে প্রায় সাড়ে ৫০০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা রয়েছে।

সম্প্রতি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রকল্প বাস্তবায়ন পরিস্থিতি নিয়ে এক বৈঠকে এ অসন্তুষ্টির কথা জানানো হয়েছে।
 
এসব প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি কম হওয়ার কারণ চিহ্নিত করার পাশাপাশি চলমান প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছে বিশ্বব্যাংক, ইআরডি ও বাস্তবায়নকারী সংস্থা।
 
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ৪২টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পগুলোতে প্রায় সাড়ে ৫০০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা রয়েছে।
 
সূত্র জানায়, বাস্তবায়নে গতিহীন এসব প্রকল্পের অধিকাংশেরই মেয়াদ শেষ পর্যায়ে থাকলেও অর্থছাড়ে যথেষ্ট পিছিয়ে রয়েছে। প্রকল্পগুলোতে জনবল নিয়োগ, ক্রয় প্রক্রিয়ায় জটিলতা এবং উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) তৈরিতে ত্রুটি রয়েছে বলে ইআরডিকে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
 
এ বিষয়ে ইআরডির অতিরিক্ত সচিব আরাস্তু খান সমকালকে বলেন, মূলত বাস্তবায়নকারী সংস্থার অদূরদর্শিতার কারণে কিছু প্রকল্পের অগ্রগতি কম হয়েছে। এর জন্য প্রধানত প্রকল্প পরিচালকই দায়ী।
 
তবে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে এসব সমস্যাপ্রবণ প্রকল্পসহ বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে চলমান সব প্রকল্পই পর্যালোচনা করা হয়েছে। প্রকল্পগুলোর সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
 
সূত্র জানায়, বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সমস্যাকবলিত ১২ প্রকল্পের অন্যতম হচ্ছে 'চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন' প্রকল্প। ২০১০ সালে শুরু হওয়া এ প্রকল্পে প্রায় তিন বছরে অর্থছাড় হয়েছে মাত্র ৫ লাখ ৯ হাজার ডলার, যা মোট বরাদ্দের মাত্র দশমিক ৩ শতাংশ। আগামী ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ।
 
এ প্রকল্পের এখনও প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম শেষ হয়নি বলে হতাশা প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। দ্বিতীয় প্রকল্পটি হচ্ছে, 'ঢাকা পানি সরবরাহ এবং পয়ঃনিষ্কাশন প্রকল্প'। বিশ্বব্যাংকের ১৪ কোটি ৯০ লাখ ডলারের বৈদেশিক সাহায্যের এ প্রকল্পটি শুরু হয় ২০০৮ সালে। গত জুন মাসে প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা ছিল।
 
কিন্তু প্রকল্পটিতে অর্থ ব্যয় হয়েছে মাত্র ১ কোটি ৫৫ লাখ ডলার। অর্থাৎ মাত্র ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ বাস্তবায়ন করা গেছে।
 
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে 'ঝরেপড়া শিশুদের স্কুলে ফিরিয়ে আনা (দ্বিতীয় পর্যায়)' প্রকল্পটির জন্য গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ১৩ কোটি ডলারের চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও এ পর্যন্ত প্রকল্পটি শুরু করতে পারেনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
 
একইভাবে 'দ্বিতীয় পর্যায়ে গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন' প্রকল্পটিও গত বছর থেকে বাস্তবায়ন শুরু হলেও এ পর্যন্ত এক টাকাও ব্যয় করেনি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়।
 
বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, সমস্যাপ্রবণ প্রকল্পগুলোর বেশ কিছু সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে। সরকারের সঙ্গে এসব প্রকল্পের বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসতে চায় তারা।
 
ওই বৈঠকে প্রকল্পগুলোর সমস্যা সমাধানে সরকারের কাছে প্রস্তাব দিতে পারে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
 
সূত্র জানায়, বাস্তবায়নে পিছিয়ে পড়া অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে- ১০ কোটি ২২ লাখ ডলারের 'ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট ইম্প্রুভমেন্ট প্রজেক্ট'। এ প্রকল্পটিতে বিগত ৬ বছরে ছাড় হয়েছে মাত্র ৩ কোটি ৮৮ লাখ ডলার।
 
৬ কোটি ২৬ লাখ ডলার ব্যয়ের 'ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি' নামের প্রকল্পে ৫ বছরে ছাড় হয়েছে মাত্র ৩ কোটি ৫৯ লাখ ডলার।
 
৬ কোটি ২২ লাখ ডলার ব্যয়ের 'ক্লিন এয়ার অ্যান্ড সাসটেইনেবল এনভায়রনমেন্ট প্রজেক্টে ৫ বছরে ছাড় কহয়েছে মাত্র ২ কোটি ডলার।
 
সূত্র জানায়, এছাড়াও বাস্তবায়নে পিছিয়ে পড়া প্রকল্পগুলো হচ্ছে- এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশন প্রোগ্রাম, ওয়াইল্ডফিল্ড প্রটেকশন, প্রাইমারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (তৃতীয় পর্যায়)। লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট (দ্বিতীয় পর্যায়)।

samakal: অক্টোবর ০৫, ২০১৩



পুঁজিবাজার সূচক ও লেনদেনে ধারাবাহিক অবনতি

পুঁজিবাজার সূচক ও লেনদেনে ধারাবাহিক অবনতি

দেশের পুঁজিবাজারগুলোতে সূচক ও লেনদেনের ধারাবাহিক অবনতি অব্যাহত রয়েছে। যতই দিন যাচ্ছে ততই মন্দায় আক্রান্ত হয়ে পড়ছে বাজার। এ অবস্থা নিরসনে এ পর্যন্ত উল্লেখ করার মতো কোনো উদ্যোগও দেখা যায়নি। প্রত্যাশিত না হলেও কিছু কোম্পানির শেয়ারের অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি বাদ দিলে গত এক মাস পুঁজিবাজারগুলোতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য হতাশা ছাড়া আর কিছুই ছিল না। এরই ধারাবাহিকতায় গত সপ্তাহটিতেও প্রায় প্রতিদিনই পুঁজিবাজারে সূচক কমেছে। অবনতি ঘটে লেনদেনেও। আগের সপ্তাহের দুই হাজার ৩২ কোটি টাকার জায়গায় গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। এ লেনদেন আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩১ দশমিক ৩০ শতাংশ কম। এভাবে ডিএসইর গড় লেনদেন নেমে আসে ২৭৯ কোটি টাকায়, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৪০৬ কোটি টাকা। জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রবণতা শুরু হয়। এর আগে দেশের প্রধান পুঁজিবাজারটির লেনদেন প্রায় ১৩ শ’ কোটি টাকায় পৌঁছলেও পরে টানা মন্দায় আক্রান্ত হয় পুঁজিবাজার। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এসে বাজার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি ঘটতে দেখা গেলেও তা টেকেনি। মাসের শেষ দিকে আবারো টানা অবনতি ঘটে সূচক ও লেনদেনের। এ সময় ডিএসইর প্রধান সূচকটি চার হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে আসে। দৈনিক লেনদেন নেমে আসে আড়াই শ’ কোটি টাকার নিচে। গত সপ্তাহের ১ অক্টোবর ডিএসইর লেনদেন নেমে আসে ২৪০ কোটি টাকায়, যা ছিল এ বাজারটির বিগত দেড় মাসের সর্বনি¤œ লেনদেন। ১২ আগস্টের পর এ পর্যায়ে নামেনি ডিএসইর লেনদেন। কোরবানির ঈদ সামনে। বিনিয়োগকারীরা নিজ নিজ বিনিয়োগের একটি অংশ ঈদের ব্যয় মেটাতে বাজার থেকে তুলে নেবেন এটাই স্বাভাবিক। ফলে সামনে আরো বেশি বিক্রয় চাপ অপেক্ষা করছে, এমনটাই আশঙ্কা বিনিয়োগকারীদের। তা ছাড়া ঈদের পর রাজনীতি কোন দিকে মোড় নেয় তাও ভাবিয়ে তুলছে তাদের। মন্দা কাটিয়ে না ওঠার এটাও একটা বড় কারণ বলে মনে করছেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা। নেতিবাচক প্রবণতা দিয়েই গত সপ্তাহের শুরু। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন পার করে একই প্রবণতায়। চতুর্থ দিনে এসে পতন সামলে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা থাকলেও সপ্তাহের শেষ দিন আবারো পতনের ধারায় ফিরে যায় বাজার। ফলে এ সময় ডিএসইর প্রধান সূচকটির অবনতি ঘটে ৬৪ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট। চার হাজার ১৩ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট থেকে সূচকটি সপ্তাহের লেনদেন শুরু করলেও বৃহস্পতিবার দিনশেষে তিন হাজার ৯৪৮ দশমিক ৪৪ পয়েন্টে লেনদেন শেষ করে। অপর দিকে ডিএসই-৩০ সূচকটি এক হাজার ৪৬৪ দশমিক ৩১ পয়েন্ট থেকে সপ্তাহের লেনদেন শুরু করলেও শেষ করে এক হাজার ৪৪১ দশমিক ৯৩ পয়েন্টে। এতে সূচকটি হারায় ২২ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট। সপ্তাহের বেশির ভাগ দিন সূচকের অবনতি ঘটায় এ সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কিছুটা কমেছে। আগের সপ্তাহের দুই লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা নিয়ে এ সপ্তাহের লেনদেন শুরু করলেও সপ্তাহান্তে বাজারটির মূলধন দাঁড়ায় দুই লাখ ৫৩ হাজার কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহ অপেক্ষা ১ দশমিক ০৫ শতাংশ কম। একই সময় কমেছে বাজারের গড় মূল্য-আয় অনুপাতও (পিই)। আগের সপ্তাহের ১৪ দশমিক ৫৩ -এর স্থলে এ সপ্তাহ শেষে ডিএসই গড় পিই দাঁড়ায় ১৪ দশমিক ৩৫, যা আগের সপ্তাহ অপেক্ষা ১ দশমিক ২৩ শতাংশ কম। লেনদেনের সাথে সমন্বয় রেখে এ সপ্তাহে উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে লনদেনকৃত শেয়ারসংখ্যাও। আগের সপ্তাহের ৫১ কোটি ১১ লাখ ৯৫ হাজারের স্থলে এ সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেনকৃত শেয়ারসংখ্যা ছিল ৩৮ কোটি ৬৬ লাখ ৪৪ হাজার, যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ২৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ কম। একইভাবে কমেছে হাওলার সংখ্যাও। আগের সপ্তাহের পাঁচ লাখ ৫৬ হাজার ৫০টির স্থলে এ সপ্তাহে ডিএসইতে হাওলা হয় মোট চার লাখ ২৮ হাজার ৬৬৯টি, যা আগের সপ্তাহ অপেক্ষা ২২ দশমিক ৯১ শতাংশ কম। এ সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ২৯৮টি সিকিউরিটিজের মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬টির। ১৯৬টির দাম কমেছে। ১৩টির দর ছিল অপরিবর্তিত এবং তিনটি সিকিউরিটিজের কোনো লেনদেন হয়নি। বরাবরের মতো ডিএসইর মোট লেনদেনের বড় অংশটি ছিল ‘এ’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির শেয়ার। মোট লেনদেনের ৯০ দশমিক ৩২ শতাংশ তথা এক হাজার ২৬০ কোটি ৮৬ লাখ ৩২ হাজার টাকার শেয়ার বেচাকেনা হয় ‘এ’ ক্যাটাগরির। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ তথা ৬৯ কোটি ৫১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা লেনদেন হয় ‘বি’ ক্যাটাগরির। ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ অর্থাৎ ১৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকার লেনদেন হয় ‘এন’ ক্যাটাগরির শেয়ার। লেনদেন হওয়া ৪৬ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ছিল ‘জেড’ ক্যাটাগরির। লেনদেনে এ সপ্তাহে ডিএসইর শীর্ষে ছিল রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস। ৬২ কোটি ২১ লাখ ৯৩ হাজার টাকায় ২৮ লাখ ৫ হাজার শেয়ার লেনদেন করে কোম্পানিটি, যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ। ৪৮ কোটি এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা লেনদেন করে স্কয়ার ফার্মা ছিল ডিএসইর দ্বিতীয় স্থানে। সপ্তাহিক লেনদেনে ডিএসইর শীর্ষ দশ কোম্পানির তালিকায় আরো ছিল আরগন ডেনিমস, সিএমসি কামাল, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, জেএমআই সিরিঞ্জ, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, তাল্লু স্পিনিং, এনভয় টেক্সটাইল ও গ্রামীণফোন।

dailynayadiganta: অক্টোবর ০৫, ২০১৩



হাহাকারের উল্টো পাশে অব্যবহার

সারা দেশে বিসিকের শিল্পপ্লট নিয়ে বিশৃঙ্খলা

হাহাকারের উল্টো পাশে অব্যবহার

নীলফামারীর সৈয়দপুরে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশনের (বিসিকের) শিল্পনগরে কোনো শিল্পপ্লট খালি নেই। উদ্যোক্তারা কয়েক দফা এ শিল্পনগর সম্প্রসারণের দাবি জানিয়েছেন। একই অবস্থা বগুড়া, রাজশাহী, যশোরসহ আরও কয়েকটি শিল্পনগরেরও।
অথচ, সারা দেশে বিসিকের শিল্পনগরগুলোতে ৬৭৬টি শিল্পকারখানা করার মতো প্লট অব্যবহূত পড়ে আছে। এই পরিমাণ শিল্প করার কথা বলে এসব প্লটমালিক বিসিকের কাছ থেকে প্লট নিয়েছিলেন। কিন্তু কারখানা আর হয়নি।
এ হিসাব অবশ্য চলতি বছরের জুন পর্যন্ত সময়ের। সম্প্রতি ২০১২-১৩ অর্থবছরের বিসিকের কার্যক্রম নিয়ে তৈরি করা এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
জানতে চাইলে বিসিক চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিল্পপ্লট নিয়ে তাতে শিল্পকারখানা করেনি এমন প্লটের তালিকা করা হচ্ছে। ডিসেম্বর পর্যন্ত সেসব প্লটে শিল্প করা না হলে তাদের প্লট বাতিলের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
বিসিকের ৭৪টি শিল্পনগরে এখন মোট শিল্পপ্লট আছে ১০ হাজার ৩৩৯টি। এর মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে নয় হাজার ৮৩৭টি। এসব প্লটে শিল্পকারখানা হয়েছে পাঁচ হাজার ৭৪৫টি। তবে বর্তমানে উৎপাদনরত আছে চার হাজার ২০৫টি শিল্পকারখানা। শিল্পকারখানা তৈরির কাজ চলছে ৫৭৯টি। আর বন্ধ হয়ে আছে ২৮৫টি শিল্পকারখানা।
বিসিকের প্লট মূলত ৯৯ বছরের জন্য ইজারা দেওয়া হয়। উদ্যোক্তারা চাইলে একবারে প্লটের পুরো মূল্য পরিশোধ করতে পারেন। আবার অর্ধেক নগদ এবং বাকিটা ১০ বছরে কিস্তিতে পরিশোধও করতে পারেন। তবে ৯৯ বছরের ইজারা হলেও যেকোনো শর্ত ভঙ্গ করলে বিসিক ওই প্লট বাতিল করতে পারে।
কোথায়, কত প্লট খালি: বিসিকের হিসাবে, ঢাকা অঞ্চলের শিল্পনগরে সবচেয়ে বেশি খালি প্লট পড়ে আছে। ঢাকা অঞ্চলের ২৪টি শিল্পনগরে তিন হাজার ৭৩০টি প্লট থাকলেও বরাদ্দ হয়েছে তিন হাজার ৬৯৩টির। এর মধ্যে দুই হাজার ৭৯০টি শিল্প হওয়ার কথা থাকলেও আছে দুই হাজার ৩৮টি। ৩০৩টি শিল্পকারখানার নির্মাণকাজ চলছে। আর নির্মাণকাজ শুরুই হয়নি ৩৬৪টির।
ঢাকার শিল্পনগরগুলোর মধ্যে বেশি প্লট অব্যবহূত আছে নেত্রকোনার বিসিক শিল্পনগরে, ৫৯টি। এ ছাড়া শরীয়তপুর শিল্পনগরে ৪৩টি শিল্পকারখানা করার মতো প্লট অব্যবহূত পড়ে আছে।
চট্টগ্রামে বিসিকের শিল্পনগর আছে ২২টি। এতে দুই হাজার ৪৪০টি প্লট থাকলেও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে দুই হাজার ২৫২টির। এসব প্লটে এক হাজার ২৭৮টি শিল্পকারখানা করার কথা থাকলেও বর্তমানে উৎপাদনে আছে ৯৩৫টি শিল্পকারখানা। নির্মাণকাজ চলছে ১৩১টির। আর শুরুই হয়নি ১২৬টি শিল্পকারখানার নির্মাণকাজ।
চট্টগ্রামের নোয়াখালীর শিল্পনগরে ৩২টি এবং লক্ষ্মীপুরের শিল্পনগরে ২৬টি শিল্পকারখানা করার মতো প্লট খালি পড়ে আছে।
খুলনা অঞ্চলের ১১টি শিল্পনগরে প্লট আছে মোট এক হাজার ৭৯১টি। এর মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া এক হাজার ৫৯৮টি প্লটে শিল্পকারখানা হওয়ার কথা ছিল ৭০০টি। কিন্তু বর্তমানে উৎপাদনরত শিল্পকারখানা আছে ৪০৭টি। নির্মাণকাজ চলছে ৬৭টি শিল্পকারখানার। আর ১৪৭টি শিল্পকারখানা করার জায়গা অব্যবহূত ফেলে রেখেছেন প্লটমালিকেরা।
রাজশাহী অঞ্চলে বিসিকের শিল্পনগরগুলোতে প্লট নিয়ে শিল্প না করে ফেলে রাখার নজির কম। রাজশাহীতে বিসিকের ১৭টি শিল্পনগর আছে। এখানে দুই হাজার ৩৭৮টি শিল্পপ্লটের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে দুই হাজার ২৯৪টি প্লট। এতে ৯৭৭টি শিল্পকারখানা হওয়ার কথা থাকলেও উৎপাদনে আছে ৮২৫টি শিল্পকারখানা। নির্মাণকাজ চলছে ৭৮টি শিল্পকারখানার। আর শুরুই হয়নি ৩৯টি শিল্পকারখানার নির্মাণকাজ।
রাজশাহী অঞ্চলের বিসিক শিল্পনগরগুলোর মধ্যে কেবল কুড়িগ্রাম শিল্পনগরেই শিল্পপ্লট ফেলে রাখার প্রবণতা দেখা গেছে। এখানে ১৩টি শিল্পকারখানা না করে এর প্লটগুলো ফেলে রাখা হয়েছে।
বিসিকের সৈয়দপুর শিল্পনগরের উদ্যোক্তা রাজ কুমার পোদ্দার সম্প্রতি প্রথম আলোকে বলেন, দেশের বেশির ভাগ বিসিক শিল্পনগর যখন গোচারণভূমিতে পরিণত হয়েছে তখন সৈয়দপুরের এ শিল্পনগরের সম্ভাবনা আকাশছোঁয়া। এখানে একটি বাদে সবগুলো শিল্পকারখানা সচল রয়েছে। নতুন আরও উদ্যোক্তা আসতে চান। কিন্তু প্লট দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।
সৈয়দপুর শিল্পনগরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ শিল্পনগরটি যথেষ্ট সম্ভাবনাময়। এখানে শিল্প গড়তে প্রতিদিন উদ্যোক্তারা ভিড় জমাচ্ছেন। কিন্তু প্লট না থাকায় তাঁরা শিল্পকারখানা করতে পারছেন না।’
জানতে চাইলে বিসিকের পরিচালক আবু তাহের খান প্রথম আলোকে বলেন, ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পের উদ্যোক্তারা প্লট নেওয়ার সময় কোন ধরনের শিল্প করবেন, কত দিনের মধ্যে করবেন, তা উল্লেখ করেন। আবার প্লট বরাদ্দ দেওয়ার সময় বিসিক কর্তৃপক্ষও এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেন। কিন্তু বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে শিল্পকারখানা করছেন না অনেক উদ্যোক্তা।
আবু তাহের খান বলেন, ‘একজন উদ্যোক্তা সর্বোচ্চ কতটুকু পর্যন্ত প্লট পাবেন সে বিষয়ে আগে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ছিল না। সে কারণে অনেকে বেশি প্লট নিয়ে ফেলে রাখতেন। এটি যেন আর না হয়, সে জন্য একটি নীতিমালা করা হচ্ছে।’
বন্ধ শিল্পকারখানা: বিসিকের শিল্পনগরগুলোতে প্লট নিয়ে শিল্পকারখানা না করার পাশাপাশি আরেকটি চিত্রও দেখা গেছে। বিদ্যমান অনেক কারখানাই এখন বন্ধ হয়ে আছে। সারা দেশে শিল্পনগরগুলোতে এমন বন্ধ শিল্পকারখানার সংখ্যা ২৮৫।
বিসিকের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা অঞ্চলের শিল্পনগরগুলোতে ৮৫টি, চট্টগ্রাম অঞ্চলের শিল্পনগরগুলোতে ৮৬টি এবং খুলনা অঞ্চলের শিল্পনগরগুলোতে ৭৯টি শিল্পকারখানা বন্ধ হয়ে আছে। এ ক্ষেত্রেও রাজশাহী অঞ্চলের শিল্পনগরগুলোর অবস্থা ভালো। এখানকার ১৭টি শিল্পনগরের ৩৫টি শিল্পকারখানা বন্ধ রয়েছে।
৬৭৬ টি শিল্প করার মতো প্লট সারা দেশে অব্যবহূত পড়ে আছে
৩৬৪ টি শিল্পকারখানার প্লট খালি শুধু ঢাকার শিল্পনগরগুলোতে
২৮৫ টি শিল্পকারখানা বন্ধ হয়ে আছে
 উদ্যোক্তা সর্বোচ্চ কত আয়তনের প্লট পাবেন, সে বিষয়ে নীতিমালা হচ্ছে
প্লট নিয়ে শিল্পকারখানা যাঁরা করেননি, তাঁদের তালিকা হচ্ছে। ডিসেম্বর পর্যন্ত শিল্প করা না হলে তাঁদের প্লট বাতিল করা হবে
শ্যাম সুন্দর শিকদার বিসিক চেয়ারম্যান

prothom-alo: অক্টোবর ০৫, ২০১৩



উত্পাদনশীলতা উন্নয়ন সেল গঠনের তাগিদ

উত্পাদনশীলতা উন্নয়ন সেল গঠনের তাগিদ

 

দেশের শিল্প ও সেবাখাতে পরিকল্পিতভাবে উত্পাদনশীলতা বাড়াতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি উত্পাদনশীলতা উন্নয়ন সেল গঠনের তাগিদ দিয়েছেন উত্পাদনশীলতা বিশেষজ্ঞ ও শিল্পোদ্যোক্তারা। তারা বলেন, এ সেল থেকে প্রতিমাসে বিভিন্ন খাতে অর্জিত উত্পাদনশীলতা পরিমাপ করে এর উন্নয়নে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। তারা বছরের যে কোনো এক মাসব্যাপী সারাদেশের শিল্প-কারখানায় শ্রমিক-মালিক-কর্মচারির সক্রিয় অংশগ্রহণে উত্পাদনশীলতা বৃদ্ধির বিস্তারিত কর্মসূচি পালনের পরামর্শ দেন। গতকাল রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে আয়োজিত 'উত্পাদনশীলতা বৃদ্ধিই আগামী দিনের সমৃদ্ধি' শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ তাগিদ দেন। জাতীয় উত্পাদনশীলতা দিবস উপলক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান ন্যাশানাল প্রোডাকিটভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) এ সেমিনার আয়োজন করে। শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া এতে প্রধান অতিথি ছিলেন। শিল্পসচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআইর প্রেসিডেন্ট কাজী আকরামউদ্দিন আহ্মদ। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের ইন্সটিটিউট অব অ্যাপ্রোপ্রিয়েট টেকনোলজির অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন। অনুষ্ঠানে ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) এর পরিচালক ড. মোঃ নজরুল ইসলাম, যুগ্ম পরিচালক আবদুল বাকী চৌধুরী, বিকেএমইএর উত্পাদনশীলতা বিশেষজ্ঞ রূপালী বিশ্বাসসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপক ও শিল্প উদ্যোক্তারা আলোচনায় অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের শিল্প-কারখানায় কাঙ্ক্ষিত হারে উত্পাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য এর পরিচালনার সাথে জড়িত ব্যবস্থাপক, মালিক, শ্রমিক, কর্মচারিসহ সকলের দক্ষতা বাড়াতে হবে। এর পাশাপাশি উত্পাদনে ব্যবহূত কাঁচামাল, জ্বালানি ও মেশিনারির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। তারা উত্পাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য উত্পাদন খরচ কমানোর তাগিদ দেন। শিল্পখাতের পাশাপাশি সেবাখাতে উত্পাদনশীলতা বাড়িয়ে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব বলে তারা মন্তব্য করেন।

দিবস উপলক্ষে র্যালি

এর আগে জাতীয় উত্পাদনশীলতা দিবস উপলক্ষে এনপিও গতকাল সকালে এক র্যালি বের করে। র্যালিটি রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন গেট থেকে শুরু হয়ে আবদুল গনি রোড হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়। র্যালি শেষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক পথসভার আয়োজন করা হয়।

ইত্তেফাক: 03.10.2013



বড়পুকুরিয়ায় ফের কয়লা উত্তোলন

বড়পুকুরিয়ায় ফের কয়লা উত্তোলন

 

৩৭ দিন বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে আবারও কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে।

কয়লাখনির মহাব্যবস্থাপক (মাইনিং) হাবিব উদ্দিন আহমেদ জানান, মঙ্গলবার রাত ৮টায় উত্তোলন শুরুর পর থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ৯শ’ মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা সম্ভব হয়েছে।
 
তিনি জানান, খনির ১২১০ নম্বর কোল ফেজে মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ও ভূগর্ভে যন্ত্রপাতির ত্রুটি ধরা পড়ায় গত ২৪ আগস্ট সন্ধ্যা থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ রাখা হয়েছিল। এরপর উত্তোলনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি মেরামত শেষে সেগুলো নতুন ১২০৬ নম্বর ফেজে বসিয়ে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে আবারও পরীক্ষামূলক উত্তোলন শুরু হয়েছে।
 
প্রথম চার ঘণ্টায়  ৯শ’ মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করে হাবিব উদ্দিন জানান, এভাবে উত্তোলন বাড়তে থাকলে প্রতিদিন সাড়ে ৫ হাজার টন কয়লা উত্তোলন করা সম্ভব হবে।
 
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে ১০ সেপ্টেম্বর বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে লংওয়াল মাল্টি স্লাইস পদ্ধতিতে উত্তোলন শুরু হয়। লংওয়াল মাল্টি স্লাইস পদ্ধতিতে কোল ফেজের একদিক থেকে তিন মিটার পুরু কয়লা স্তর কেটে কয়লা উত্তোলন করা হতো। চলতি বছরের মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে নতুন টপ কোল কেভিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে কোল ফেজের ওপর-নিচ উভয় দিক থেকে একইসঙ্গে (৩+৩) ৬ মিটার পুরু কয়লার স্তর কাটা হয়।

samakal: ০২ অক্টোবর, ২০১৩