Business News

Displaying 151-160 of 172 results.

পোশাকশিল্পে নৈরাজ্য ঠেকাতে পাঁচ ঘোষণা

পোশাকশিল্পে নৈরাজ্য ঠেকাতে পাঁচ ঘোষণা

টানা আট দিন শ্রমিক বিক্ষোভের পর অবশেষে গতকাল শনিবার বিজিএমইএর নেতারা পোশাকশ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেছেন। পরে পোশাকশিল্পের বর্তমান নৈরাজ্য ঠেকাতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার যৌথ ঘোষণা দেয় উভয় পক্ষ।

এদিকে বৈঠকে উপস্থিত একাধিক শ্রমিকনেতা বর্তমান শ্রমিক-অসন্তোষকে উসকে দেওয়ার জন্য নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানকে দায়ী করে বক্তব্য দেন। এ সময় নৌমন্ত্রীর পক্ষের কয়েকটি শ্রমিক সংগঠনের নেতারা এর প্রতিবাদ করেন। উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।

বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)র কার্যালয়ের সভাকক্ষে গতকাল বেলা সাড়ে তিনটায় বৈঠকটি শুরু হয়। সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি আতিকুল ইসলাম। এতে ৪০টির মতো শ্রমিক সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।

প্রায় আড়াই ঘণ্টা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে যৌথ ঘোষণা পড়ে শোনান আতিকুল ইসলাম। এতে যত দ্রুত সম্ভব নিম্নতম মজুরি বোর্ডকে নতুন মজুরিকাঠামো ঘোষণার অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে ওই মজুরিকাঠামো ঘোষণার পর পরই তা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছে বিজিএমই। এ ছাড়া আগামী ঈদের আগেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেওয়ার জন্য কারখানার মালিকদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।

বাকি তিন ঘোষণা হচ্ছে—দেশের ৭৯ শতাংশ রপ্তানি আয় অর্জনকারী পোশাকশিল্পকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন মালিক ও শ্রমিকনেতারা। বহিরাগত ব্যক্তিদের গুজবে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনার বিরুদ্ধে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করবেন তাঁরা। এ ছাড়া নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।

বৈঠকে সম্মিলিত গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নাজমা আক্তার, নিম্নতম মজুরি বোর্ডের শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি ও জাতীয় গার্মেন্ট শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. বাহারানে সুলতান, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন ও সহসভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, বর্তমান সহসভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম, রিয়াজ-বিন-মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। তবে সভা শুরুর আধা ঘণ্টা পরই সভাকক্ষের বাইরে থেকে হট্টগোলের শব্দ শোনা যায়। নৌমন্ত্রীর পক্ষের দু-তিনজন শ্রমিকনেতা এ সময় উচ্চস্বরে কথা বলতে বলতে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন। এ সময় তাঁরা সভা বয়কটের হুমকি দিলেও বিজিএমইএর নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

এ প্রসঙ্গে বৈঠক শেষে এক শ্রমিকনেতা বলেন, আনুষ্ঠানিক সভা শুরুর আগেই উভয় পক্ষের শ্রমিকনেতাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। সভা শুরুর পর তা ব্যাপক আকার নেয়। মূলত শ্রমিক অসন্তোষের জন্য শ্রমিকনেতাদের একটি পক্ষ শাজাহান খানকে দায়ী করলে সভায় হট্টগোল হয়।

নাজমা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি কীভাবে শান্ত করা যায়, সেসব নিয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে। মজুরি নিয়ে তেমন আলোচনা হয়নি। তবে মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে বিজিএমইএর নেতারা ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন।

prothom-alo: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৩

ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু

ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু

পরীক্ষামূলকভাবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন ভারত থেকে আমদানি করা বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে।

প্রথমবারের মতো ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হয়েছে। 

শুক্রবার সকাল পৌনে ১১টায় কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র চালুর মধ্য দয়ে এই বিদ্যুৎ আমদানি কার্যক্রম শুরু হয়।
 
এর আগে সকাল থেকেই দু'দেশের প্রকৌশলীরা স্টেশনে বসে ওয়াকিটকির মাধ্যমে তথ্য ও কমান্ড আদান-প্রদান করেন।
 
এসময় উপস্থিত ছিলেন পাওয়ার গ্রিড অব বাংলাদেশের কনসালট্যান্ট পি কে রায়, ভারতের পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশনের ডিজিএম কলিম আকতার, ৫০০ মেগাওয়াট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কাজী ইশতিয়াক হাসান, আন্তঃসংযোগ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মো. আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
 
আন্তঃসংযোগ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মো. আলমগীর হোসেন জানান, সকাল পৌনে ১১টার দিকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিয়ে যোগ হওয়ার মধ্য দিয়ে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হয়।
 
তিনি জানান, শুক্রবার বেলা ১২টার মধ্যে এই বিদ্যুতের পরিমাণ ১৭৫ মেগাওয়াটে উন্নীত হবে এবং বিকেল ৪টায় তা বন্ধ হয়ে যাবে। এরপর শনিবার সকাল ১০টা থেকে আবার বিদ্যুৎ আমদানি কার্যক্রম শুরু হবে।
 
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এভাবেই পরীক্ষামূলকভাবে ভারতের বিদ্যুৎ বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে জানিয়ে আলমগীর হোসেন বলেন, তবে কখনও একটু কম আবার কখনও একটু বেশি বিদ্যুৎ আসবে।
 
প্রকল্পের উপ-ব্যবস্থাপক গৌতম কুমার পাল জানান, গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে সঞ্চালন লাইনে ভোল্টেজ পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ১/২ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ এনে পরীক্ষা চলছিল।
 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৫ অক্টোবর কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় গিয়ে বিদ্যুৎ আমদানির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
 
অন্যদিকে ভারতে বসে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। তিনি ভারত থেকে বিদ্যুৎ সঞ্চালন কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।
 
এর আগে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, এ মাসের মধ্যেই সিস্টেমের পরীক্ষা শেষ হবে। শুরুতে কম বিদ্যুৎ পাওয়া গেলেও অক্টোবরের শেষ নাগাদ আড়াইশ' মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। নভেম্বরের মধ্যে তা বেড়ে ৫০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হবে।
 
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত থেকে নভেম্বরে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এলে লোডশেডিং অনেকটাই কমে যাবে। পাশাপাশি ভারতের বিদ্যুৎ এলে ডিসেম্বরে সেচ মৌসুম শুরু হলেও লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।
 
পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের লক্ষ্যে ভারতের সরকারি বিদ্যুৎ সংস্থা ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার লিমিটেডের (এনটিপিসি) সঙ্গে গত সপ্তাহে একটি সম্পূরক চুক্তি করেছে পিডিবি।
 
ক্ষমতায় আসার পর বর্তমান সরকার বিদ্যুৎ সংকট মোকাবেলায় নতুন নতুন কেন্দ্র স্থাপনের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে বিদ্যুৎ কেনার উদ্যোগ নেয়।
 
প্রথম পর্যায়ে ভারতের সরকারি খাত থেকে আড়াইশ' মেগাওয়াট এবং পরে বেসরকারি খাত থেকে আরও আড়াইশ' মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে ২০১১ সালে উভয় দেশে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণকাজ শুরু হয়।

সমকাল: ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ১১:১৪:৪৪


অবশেষে ঘুম ভেঙেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার

অবশেষে ঘুম ভেঙেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার

মাসাধিককাল ধরে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কয়েকটি নির্দিষ্ট কোম্পানির টানা মূল্যবৃদ্ধি পেয়ে যখন তা অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে তখন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও পুঁজিবাজার কর্তৃপক্ষ নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছিল। বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমে এসব নিয়ে ব্যাপক লেখালেখি হওয়ার পরও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি পুঁজিবাজারের এ দুই অভিভাবক কর্তৃপক্ষ। অবশেষে এ সপ্তাহে দু’টি প্রতিষ্ঠানেরই ঘুম ভেঙেছে। তবে ইতোমধ্যে ক্ষতি যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। মৌলভিত্তির তলানিতে থাকা এসব শেয়ারের দর গত এক মাসে বেড়েছে দুই থেকে আড়াই শ’ শতাংশ। আর এ সময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের একটি বড় অংশ এক দিকে এসব শেয়ারে ঢুকে পড়েছেন অন্য দিকে বাজার খেলোয়াড়েরা এসব শেয়ার ছেড়ে বেরিয়ে আসার অপেক্ষায় রয়েছেন। বিনিয়োগকারীদের একটি বড় অংশ এবং বাজারসংশ্লিষ্টরা যখন বারবার এসব শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধির তদন্ত করার কথা বলেছে, তখন এ দুই কর্তৃপক্ষ নীরব ভূমিকা পালন করলেও এ সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস মঙ্গলবার ডিএসই কর্তৃপক্ষ একটি কোম্পানির লেনদেন স্থগিত করে। এরই মধ্যে কোম্পানিটির ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ারদর ছাড়িয়ে গেছে ৮০০ টাকা। লেনদেন স্থগিত করার দিন কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ৮৭৬ টাকা। ডিএসই থেকে পাওয়া তথ্য মতে, ওই দরে কোম্পানিটির শেয়ারের পিই দাঁড়ায় ৭০০। অথচ একটি কোম্পানির পিই ১০০ অতিক্রম করে ৭০০তে পৌঁছা পর্যন্ত কোনো নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষই কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এভাবে একের পর এক দুর্বল মৌলভিত্তি ও স্বল্প মূলধনী বেশ কয়েকটি কোম্পানির দর বেড়েছে লাগামহীনভাবে। একইভাবে ডিএসই কর্তৃপক্ষ বুধবার আরো একটি কোম্পানির লেনদেন স্থগিত করে পর দিনই আবার তা ছেড়ে দেয়। লেনদেন স্থগিত করার কারণে প্রথমদিন কোম্পানিটি কিছুটা দর হারালেও পর দিন আবার ডিএসইর শীর্ষ মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় উঠে আসে কোম্পানিটি। সবশেষ সপ্তাহের শেষদিন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কমিশন সভায় সাম্প্রতিক সময়ে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি পাওয়া এ ধরনের ১২টি কোম্পানির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে অনুসন্ধানপূর্বক তার তদন্ত রিপোর্ট ১৫দিনের মধ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে জমা দেয়ার নির্দেশ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়। নিয়ন্ত্রক সংস্থার নেয়া এ সিদ্ধান্তকে অনেকে স্বাগত জানালেও অনেকেই আবার এত দেরিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়ার সমালোচনা করেন। তারা মনে করেন, পুঁজিবাজারে কোনো কিছুই নিয়ন্ত্রক সংস্থার অজ্ঞাতে হয় না। অতীতের মতো এখনো নিয়ন্ত্রক সংস্থার একটি অংশ পুরোপুরোই এ কারসাজির সাথে জড়িত। এ কারণে পরিকল্পিতভাবে বাজারকে কারসাজিকারীদের হাতে তুলে দেয়া হয় এবং যখন সময় হয় তখন এ জাতীয় লোক দেখানো কমিটি ও তদন্তের নামে দায়সারাভাবে তাদের দ্বায়িত্ব পালনের ভূমিকা নেয়। এর আগে নিয়ন্ত্রক সংস্থা চারটি কোম্পানির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। পরে এ ধরনের বেশ কিছু কোম্পানি একই তালিকায় উঠে এলেও এ নিয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বা পুঁজিবাজার কর্তৃপক্ষের কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। এমনকি গত সপ্তাহে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় ডিএসই প্রেসিডেন্ট আহসানুল ইসলাম টিটু সাংবাদিকদের বলেন, টাকা থাকলে যে কেউ যেকোনো দামে শেয়ার কিনতে পারেন। ডিএসই কোনোভাবেই তাতে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। তিনি আরো বলেন, শুধু লিখিত আবেদন পেলেই ডিএসই এ ব্যাপারে তদন্ত করে দেখতে পারে। তবে এ বক্তব্যের পর দিনই ডিএসই কর্তৃপক্ষ এ তালিকায় থাকা একটি কোম্পানির লেনদেন স্থগিত করে। পর দিন আরো একটি। আর সপ্তাহের শেষদিন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে ডিএসইকে এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয়ার সিদ্ধান্ত। তবে এসব কিছুই এত দেরিতে হয়েছে যখন সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গেছে। এখন স্বাভাবিক নিয়ম অনুসারে এসব শেয়ারের দরপতন ঘটবে এবং তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন সাধারণ বিনিয়োগকারী, যারা বাজারের মন্দায় এসব শেয়ারের টানা মূল্যবৃদ্ধি দেখে তা থেকে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। সপ্তাহের পুরোটাই কেটেছে মন্দায়। সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবসে বাজার কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও পর দিন আবারো এ প্রচেষ্টা হোঁছট খায়। সূচকের অবনতির পাশাপাশি সপ্তাহের শেষদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন নেমে আসে গত দেড় মাসের সর্বনি¤েœ। ফলে আগের সপ্তাহ অপেক্ষা বড় ধরনের অবনতি ঘটে দেশের শীর্ষ পুঁজিবাজারটির লেনদেনে। আগের সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেন ছিল দুই হাজার ৮৮১ কোটি টাকা। এ সপ্তাহে তা নেমে আসে দুই হাজার ৩২ কোটি টাকায়, যা আগের সপ্তাহ অপেক্ষা ২৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ কম। অনুরূপভাবে ডিএসইর গড় লেনদেন ৫৭৬ কোটি টাকা থেকে নেমে আসে ৪০৬ কোটি টাকায়। সপ্তাহব্যাপী মন্দায় অবনতি ঘটেছে ডিএসইর সূচকের। ডিএসইর প্রধান সূচকটি এ সময় হ্রাস পায় ৮৪ দশমিক ৩২ পয়েন্ট। চার হাজার ৯৭ দশমিক ৭১ পয়েন্ট থেকে সপ্তাহের লেনদেন শুরু করলেও সপ্তাহ শেষে ডিএসইএক্স সূচকটি চার হাজার ১৩ দশমিক ৩৮ পয়েন্টে স্থির হয়। একইভাবে ডিএসই-৩০ সূচকটি ১৫১২ পয়েন্ট থেকে লেনদেন শুরু করে ১৪৬৪ পয়েন্টে এসে তা শেষ করে। এভাবে সূচকটির ৪৮ পয়েন্ট অবনতি ঘটে।

dailynayadiganta: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩

স্থবিরতা কাটানোর পথে জাহাজনির্মাণ শিল্প

স্থবিরতা কাটানোর পথে জাহাজনির্মাণ শিল্প

ঋণসংকট থেকে বেরিয়ে আসছে জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ের মতো ইউরোপের শক্তিশালী অর্থনীতিগুলো। এরাই বাংলাদেশে নির্মিত নতুন জাহাজের বড় ক্রেতা। আবার আফ্রিকার দেশ তানজানিয়া, মোজাম্বিক ও কেনিয়ার ক্রেতারা যোগাযোগ শুরু করেছেন বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে। আবার সাগরে স্থাপিত রিগে ব্যবহারের জন্য সাহায্যকারী জাহাজের চাহিদা এখন বাড়ছে।
সব মিলিয়ে মন্দার কারণে স্থবির হয়ে থাকা জাহাজনির্মাণ শিল্পে এখন এসব আশার আলো হাতছানি দিচ্ছে। রপ্তানি আয়ের উদীয়মান খাত হিসেবে কয়েক বছর আগেই চিহ্নিত হয়েছে জাহাজনির্মাণ খাত। ২০০৮ সালে বিশ্বমন্দা শুরুর আগেই আসতে থাকে জাহাজ রপ্তানির কার্যাদেশ। চুক্তিও হয়েছে হাজার কোটি টাকার। বিশ্বমন্দার প্রভাব শুরুতে না পড়লেও ২০১০ সালের ইউরোপের ঋণসংকট এ খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বিদেশি ক্রেতারা জাহাজের ক্রয়াদেশ দিলেও, আর্থিক অনিশ্চয়তায় পড়ে অনেকগুলো বাতিল করে দেয়। এতে প্রায় ২০ কোটি ডলার কার্যাদেশও আটকে যায়। আর গত দুই বছরে কার্যত নতুন কোনো রপ্তানি আদেশ আসেনি।
উদ্যোক্তারা জানান, মন্দার কারণে ছোট জাহাজের বাজারে যে ধীরগতি ছিল, তা শিগগিরই কেটে যাচ্ছে। বিদেশি ক্রেতারা সে দেশের ব্যাংকের সহযোগিতা পাচ্ছেন। ইতিমধ্যে নতুন রপ্তানি আদেশ দিতে যোগাযোগ শুরু করেছেন ইউরোপের ক্রেতারা। আফ্রিকা ও উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতেও চোখ রাখছেন উদ্যোক্তারা। আগামী বছরে ৪০ থেকে ৫০ কোটি ডলারের রপ্তানি আদেশ পাওয়ার আশা করছেন তাঁরা। বছরের প্রথম প্রান্তিকেই এসব রপ্তানি আদেশ আসতে শুরু করবে বলে ধারণা এ খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠনটির।
স্থবির হয়ে পড়া এই খাতে নতুন আদেশ কাজে লাগাতে বিশেষ তহবিল গঠনের কথা বলছেন উদ্যোক্তারা, যেন এ তহবিল থেকে স্বল্পসুদে ঋণ পাওয়া যায়। শুরুর দিকে সরকার ২০০ কোটি টাকার তহবিল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করলেও নানা জটিলতায় এক টাকাও ছাড় পাননি জাহাজনির্মাতারা। এরই মধ্যে ব্যাংক সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় আরও কঠিন বাধার মুখে পড়ছে উদীয়মান এই খাতটি। হল-মার্ক কেলেঙ্কারির পর ব্যাংক অর্থায়নে কড়াকড়ি আরোপ করায় আর্থিক অনিশ্চয়তাই এখন বড় বাধা হিসেবে দেখা দিয়েছে।
জানতে চাইলে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও রপ্তানিমুখী জাহাজ নির্মাণ শিল্প সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘জাহাজের ক্রেতাদেশগুলো মন্দা থেকে ঘুড়ে দাঁড়াচ্ছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে এখন কম সুদে ঋণের জন্য বিশেষ তহবিল গঠন করা উচিত। কারণ, মন্দায় ক্ষতিগ্রস্ত চীন ও ভারতের উদ্যোক্তাদের বিশেষ ভর্তুকি দিয়েছে সে দেশের সরকার।’
উদ্যোক্তাদের সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫-০৬ সাল থেকে ইউরোপের দেশগুলো থেকে রপ্তানি আদেশ আসতে শুরু করে। ২০০৮ সালে মে মাসে সমুদ্রগামী জাহাজ রপ্তানির মাধ্যমে এই খাতে নাম লেখায় বাংলাদেশ। ঢাকার আনন্দ শিপইয়ার্ড এবং চট্টগ্রামের ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের হাত ধরে মূলত এই খাতে রপ্তানির বাজার প্রসারিত হতে শুরু করে। এ সময় ডেনমার্ক, জার্মানি, ফিনল্যান্ড, পাকিস্তান, মোজাম্বিকে জাহাজ রপ্তানি হয়। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০১০-১১ অর্থবছরে ২৮৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা এবং ২০১১-১২ অর্থবছরে ৩৬৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা রপ্তানি আয় হয় এ খাত থেকে। মন্দার প্রভাবে গত বছর রপ্তানি আয় কমে আসে। মাত্র ৪৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকার রপ্তানি আয় আসে গত অর্থবছর এ খাত থেকে। ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড ডেনমার্কে একটি ফেরি রপ্তানি বাবদ এই অর্থ আয় করে।
স্থবির হয়ে পড়া এ খাতটি এখন সরকারি-বেসরকারি দেশীয় প্রতিষ্ঠানের জাহাজনির্মাণের চাহিদা পূরণ করে টিকে আছে। এর মধ্যে রয়েছে যাত্রীবাহী জাহাজ, রো রো ফেরি, তেল পরিবহনের জাহাজ, গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার ট্রলার এবং ছোট আকারের কনটেইনার জাহাজ। আগে বিদেশ থেকে কিনে আনা এ ধরনের জাহাজ এখন দেশে নির্মিত হওয়ায় বিদেশি মুদ্রাও সাশ্রয় হচ্ছে। আগামী বছরের মধ্যে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার এই বাজারের চাহিদা পূরণ করবে জাহাজনির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।
জাহাজনির্মাতা প্রতিষ্ঠান এফএমসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইয়াছিন চৌধুরী মনে করেন, ‘চাহিদা থাকলেও মন্দার কারণে ছোট জাহাজের ক্রয়াদেশ দেওয়ার ব্যাপারে ধীরগতি ছিল বিদেশি ক্রেতাদের। আর্থিক নিশ্চয়তা না পাওয়ায় আমারও রপ্তানি আদেশ নিতে সাহস পাইনি। আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকে এ অবস্থা থাকছে না। সে জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে সবাই।’
উদ্যোক্তাদের মতে, আগামী তিন বছরের বিশ্বে জাহাজের বাজার প্রসারিত হবে। আন্তর্জাতিক নৌ-সংস্থার বাধ্যবাধকতায় ‘সিঙ্গেল হাল’-এর জাহাজ চলাচলে বিধিনিষেধ আসছে। পুরোনো এসব জাহাজ প্রতিস্থাপন করতে হবে। আবার পরিবেশের দূষণমুক্ত জাহাজ তৈরির ধারণাও প্রসার হচ্ছে। তেল থেকে এলএনজি গ্যাসে চালিত জাহাজের কদর বাড়বে এ সময়। এই বড় বাজারের সুযোগ লাভ করতে এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে।
উদ্যোক্তারা জানান, দেশীয় এখন ১০টি শিপইয়ার্ড রপ্তানিযোগ্য জাহাজ বানাতে সক্ষম। এই সংখ্যা যত বাড়বে, ততই বাংলাদেশে জাহাজ বানানোর বড় বাজার তৈরি হবে।

প্রথম আলো: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৩

১৫ সদস্যের বোর্ড গঠনেরপ্রস্তাব ডিএসই'র

১৫ সদস্যের বোর্ড গঠনেরপ্রস্তাব ডিএসই'র

ডিমিউচ্যুয়াইজড (মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা পৃথক) স্টক এক্সচেঞ্জের জন্য ১৫ জনের বোর্ড গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এর মধ্যে ৮ জন স্বাধীন ও ৬ জন নির্বাচিত পরিচালক এবং একজন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) থাকবে। ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন স্কিম চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ডাকা শুনানিতে অংশ নিয়ে গতকাল বুধবার এ প্রস্তাব দিয়েছে ডিএসই। এর আগে ১৯ জনের বোর্ড গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছিল।

শুনানিশেষে ডিএসইর সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটু সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। তিনি বলেন, পরিচালককের সংখ্যা ও সিইওকে ভোটাধিকারের সুযোগ না দেয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর মতামত দেয়া হয়েছে। প্রস্তাবের সার্বিক দিক বিবেচনা করে বিএসইসি স্কিম চূড়ান্ত অনুমোদন দিবে। এরপর অচিরেই ডিমিউচুয়া-লাইজেশন বাস্তবায়ন করা হবে।

শুনানিতে বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন, কমিশনার হেলাল উদ্দিন নিজামী, মো. আমজাদ হোসেন, মো. আরিফ খান, মো. আব্দুস সালাম শিকদার, ডিএসই'র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান, মিজানুর রহমান খান এবং আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফায়েকুজ্জামানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

চিকিৎসাপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ করবে জাপান

চিকিৎসাপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ করবে জাপান

দেশের চিকিৎসাপ্রযুক্তি খাতে সরাসরি বিনিয়োগ করবে জাপান। প্রথম পর্বে চলতি বছরেই ঢাকায় একটি আধুনিক মেডিকেল ইমেজিং ইনস্টিটিউট স্থাপন করবে তারা।
ঢাকার একটি হোটেলে সম্প্রতি এক সেমিনারে এ ঘোষণা দেন জাপানের সফররত বিনিয়োগকারী দলের প্রধান নরিয়োশি ফুকুওকা ও মেডিকেল এক্সেলেন্স জাপানের বাংলাদেশ প্রতিনিধি অধ্যাপক ডা. শেখ আলীমুজ্জামান। বিজ্ঞপ্তি।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক মোদাসেসর আলী, বাংলাদেশে জাপানি রাষ্ট্রদূত শিরো সাদোশিমা, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি অধ্যাপক মাহমুদ হাসান, স্বাস্থ্যসচিব এম এম নেয়াজ উদ্দীন এবং জাপানের তোশিবা, হিটাচিসহ বিভিন্ন কোম্পানি ও বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।

পুঁজিবাজারে দেড় মাসের সর্বনিম্ন লেনদেন

পুঁজিবাজারে দেড় মাসের সর্বনিম্ন লেনদেন

এ সপ্তাহের বেশি সময় সূচকের টানা অবনতির পর এবার লেনদেনেও বড় ধরনের অবনতি ঘটেছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন নেমে আসে ৩২৪ কোটি টাকায়, যা এ বাজারে দেড় মাসের সর্বনিম্ন লেনদেন। গত ১২ আগস্টের পর আর এ পর্যায়ে নামেনি দেশের প্রধান পুঁজিবাজারটির লেনদেন। অপর দিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ২৫ কোটি টাকা লেনদেন সম্পন্ন হয় গতকাল। একদিন আগেও বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪০ কোটি টাকার বেশি। এ দিকে দুই পুঁজিবাজারে মূল্যবৃদ্ধির অস্বাভাবিকতা গতকাল বড় ধরনের ধাক্কা খায়। মঙ্গলবার উভয় পুঁজিবাজারে চিটাগাং ভেজিটেবল অ্যান্ড পেট্রোকেমিক্যালসের লেনদেন স্থগিতের পর গতকাল লেনদেনের মাঝপথে রহিমা ফুডের লেনদেন স্থগিত করে পুঁজিবাজার কর্তৃপক্ষ। এর ফলে এ ধরনের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলোর বেশির ভাগই গতকাল বড় ধরনের দরপতনের শিকার হয়। লেনদেনের বড় একটি সময় বেশির ভাগ কোম্পানিই ক্রেতা পায়নি। মঙ্গলবার পুঁজিবাজারগুলোর নেয়া চিটাগাং ভেজিটেবলের লেনদেন স্থগিতের সিদ্ধান্তে এ তালিকায় থাকা কিছু কিছু কোম্পানি দর হারালেও কয়েকটি কোম্পানি এ দিনও শীর্ষ মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় উঠে আসে। এ দিন ডিএসইর মূল্যবৃদ্ধির শীর্ষে ছিল রহিমা ফুড। গতকালও লেনদেন শুরুর সাথে সাথে কোম্পানিটির শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধি শুরু হলে বাজার কর্তৃপক্ষ এটিরও লেনদেন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়। আর ডিএসইর এ সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়ে অন্যান্য কোম্পানির শেয়ারদরেও। বাজারসংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, পুঁজিবাজার কর্তৃপক্ষের নেয়া সিদ্ধান্তের প্রভাব ছিল দিনের লেনদেনে। বিগত বেশ কিছু দিন থেকে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনও বেড়েছিল দুর্বল মৌলভিত্তির কোম্পানিগুলোর। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এসব কোম্পানি উঠে আসছিল দুই পুঁজিবাজারের লেনদেনের শীর্ষে। গতকালও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেনের শীর্ষ স্থানটি দখলে নেয় এ তালিকায় থাকা কোম্পানি লিগেসি ফুটওয়্যার। আর এটাই সাম্প্রতিক সময়ে পুঁজিবাজারের লেনদেন বৃদ্ধির কারণ বলে মনে করেন তারা। কিন্তু গতকাল এ ধরনের কোম্পানির বেশির ভাগ বড় ধরনের দরপতনের শিকার হলে সতর্ক হয়ে ওঠেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে কমে যায় উভয় বাজারের লেনদেন। বিনিয়োগকারীরা বাজারগুলোতে লেনদেনের অবনতি ঘটলেও পুঁজিবাজার কর্তৃপক্ষের নেয়া পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে তারা মনে করেন এটা অনেক আগেই করা উচিত ছিল। কারণ ইতোমধ্যে এসব শেয়ারে বিনিয়োগ করে বসে আছেন অনেক ুদ্র বিনিয়োগকারী। শেষ মুহূর্তে এরাই লোকসানের শিকার হবেন। তারপরও পুঁজিবাজারের স্বার্থে এমন পদক্ষেপ যথাযথ বলে মনে করেন তারা। কারণ মৌলভিত্তির দিক থেকে প্রচণ্ড দুর্বল এসব কোম্পানির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি সে দিকে ঘুরিয়ে নিতে সক্ষম হলে ভারসাম্য হারায় বাজার। আর এতে বাজারে সৃষ্টি হয় অস্থিরতা। মার খায় ভালো কোম্পানির শেয়ার। এর মাধ্যমে লোকসান গুনতে হয় বাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। ডিএসইর নেয়া পদক্ষেপ অব্যাহত থাকলে তা বাজার খেলোয়াড়দের এ প্রবণতা সাময়িকভাবে হলেও কমবে বলে মনে করেন তারা। গতকাল সকালেও বরাবরের মতো ঊর্ধ্বমুখীই ছিল দুই বাজার। অন্যান্য দিনের মতো প্রথম আধা ঘণ্টা পরই বিক্রয় চাপে পড়ে বাজারগুলো। এ সময় ডিএসই কর্তৃপক্ষ রহিমা ফুডের লেনদেন স্থগিত করে ডিএসই ওয়েবসাইটে তা প্রকাশ করে। এর পরই দর হারাতে শুরু করে বিভিন্ন কোম্পানি, বিশেষ করে দুর্বল মৌলভিত্তির কোম্পানিগুলো। এভাবে শুরু হয় সূচকের পতন। সকালে ডিএসইএক্স সূচকের চার হাজার ৩০ পয়েন্ট থেকে লেনদেন শুরু করে প্রথম আধা ঘণ্টায় ৪ হাজার ৫২ পয়েন্টে পৌঁছে যায় সূচকটি। কিন্তু লেনদেনের এ পর্যায়ে বিক্রয়চাপ শুরু হলে নিম্নমুখী হয় সূচকটি। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সূচকটি নেমে আসে ৩ হাজার ৯৯৮ পয়েন্টে। এভাবে এক মাসেরও বেশি সময় পর ডিএসইর প্রধান সূচকটি নেমে আসে ৪ হাজার পয়েন্টের নিচে। এ পর্যায়ে ডিএসই সূচকের ৩১ পয়েন্টে বেশি অবনতি ঘটে। তবে দিনের শেষ দিকে সূচক আবার কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ৪ হাজার ৫ পয়েন্টে এসে লেনদেন শেষ করে ডিএসই। সিএমসি কামালকে পেছনে ফেলে লেনদেনে গতকাল ডিএসইর শীর্ষে উঠে আসে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস। ১৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকায় ৭ লাখ ৯৪ হাজার শেয়ার বেচাকেনা হয় কোম্পানিটির। ১০ কোটি ১৮ লাখ টাকা লেনদেন করে সিএমসি কামাল ছিল লেনদেনে দ্বিতীয়। ডিএসইর শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকায় গতকাল আরো ছিল তাল্লু স্পিনিং, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনস, যমুনা অয়েল, বঙ্গজ লিমিটেড, আরএন স্পিনিং, গ্রামীণফোন, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ ও স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস। দিনের সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধি ঘটে বীমা খাতের পিপলস ইন্স্যুরেন্সের। ৮ দশমিক ৬০ শতাংশ দাম বাড়ে কোম্পানিটির। এ ছাড়া রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স ৬ দশমিক ৩৮, বিএটিবিসি ৫ দশমিক ৫৯, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স ৫ দশমিক ২৮ ও লিব্রা ইনফিউশনের ৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি ঘটে। অপর দিকে দিনের সর্বোচ্চ দরপতন ঘটে মডার্ন ডাইংয়ের। ১০ শতাংশ দর হারায় টেক্সটাইল খাতের কোম্পানিটি। এ ছাড়া বিডি অটোকার ৯ দশমিক ৯৬, দেশ গার্মেন্টস ৯ দশমিক ৯৫, ইনটেক অনলাইন ৯ দশমিক ৯৫, হাক্কানি পেপার অ্যান্ড পাল্প ৯ দশমিক ৮৮, লিগেসি ফুটওয়্যার ৯ দশমিক ৮৩, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক ৯ দশমিক ৮১, আনোয়ার গ্যালভেনাইজিং ৯ দশমিক ৯১, আইসিবি এএমসিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড ৯ দশমিক ৬৬ ও জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইসেস ৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ দর হারায়। উল্লিখিত কোম্পানিগুলো দিনের একটি বড় অংশ ক্রেতাশূন্য ছিল।

জনশক্তি রফতানি বন্ধ থাকলেও রেমিট্যান্স প্রেরণের শীর্ষে সৌদি

জনশক্তি রফতানি বন্ধ থাকলেও রেমিট্যান্স প্রেরণের শীর্ষে সৌদি

বিগত কয়েক বছর ধরেই মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশে জনশক্তি রফতানি বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থা সত্বেও চলতি অর্থবছরের আগস্ট শেষে সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স এসেছে। সৌদির পরেই দ্বিতীয় অবস্থানে সংযুক্ত আরব আমিরাত। বাংলাদেশ ব্যাংকের দেশভিত্তিক রেমিট্যান্সের হিসেবে এ তথ্য উঠে এসেছে। মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে কর্মী পাঠানো বন্ধ থাকার পরও এসব দেশ থেকে এখনো যে পরিমাণ রেমিট্যান্স আসছে তাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে কাতার ও লিবিয়া থেকে রেমিট্যান্স আসা সামান্য কমলেও বাকি দেশগুলোতে রেমিট্যান্সের ধারা ঠিক ছিল। ২০১৩-১৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস শেষে রেমিটেন্স প্রবাহের দিক থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে এবং সার্বিকভাবে সৌদি আরবের অবস্থান সর্বোচ্চ। এরপরের অবস্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), কুয়েত, ওমান, বাহরাইন ও কাতারের স্থান। অন্যদিকে আলোচ্য সময়ে আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিটেন্স এসেছে বেশি। তালিকায় এরপর রয়েছে মালেশিয়া, যুক্তরাজ্য ও সিংগাপুর ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের আগস্ট শেষে দেশভিত্তিক রেমিটেন্স এসেছে মোট ২২৪ কোটি ৪২ লাখ মার্কিন ডলার। যা এর আগের মাস শেষে ছিল ১২৩ কোটি ৮৯ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। এসময়ে সৌদি আরব থেকে আসা রেমিটেন্সের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৮ কোটি ৪৮ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। ইউএই থেকে এসেছে ৪৩ কোটি চার লাখ ৩০ হাজার ডলার। কুয়েত থেকে চলতি অর্থবছরের একই সময়ে এসেছে ১৮ কোটি ২০ লাখ ডলার। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে ৩৬ কোটি ৮৪ লাখ মার্কিন ডলার। আলোচ্য সময়ে মালেশিয়া থেকে এসেছে ১৫ কোটি ৪৯ লাখ মার্কিন ডলার। অন্যদিকে যুক্তরাজ্য থেকে একই সময়ে এসেছে ১৫ কোটি ৩৯ লাখ মার্কিন ডলার।

শেয়ারবাজারের দরপতন থেমেছে

শেয়ারবাজারের দরপতন থেমেছে

সিভিও পেট্রোকেমিকেলের লেনদেন স্থগিত

রাজনৈতিক অস্থিরতার আশঙ্কায় টানা পাঁচদিন শেয়ারবাজারে দরপতনের পর গতকাল মঙ্গলবার সূচক কিছুটা বেড়েছে। তবে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বিনিয়োগকারীরা সঠিক ধারণা করতে পারছেন না। ফলে অনেকেই বিনিয়োগ না করে পরিস্থিতি বুঝার চেষ্টা করছেন।

আইডিএলসি'র দৈনন্দিন বাজার বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, গত পাঁচ দিনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১১৬ পয়েন্ট কমেছে, আর গতকাল বেড়েছে ৯ পয়েন্ট। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে খাত ভিত্তিক লেনদেনের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। গতকালও বাজারে লেনদেনের ক্ষেত্রে পোশাক খাতের অবদান ছিল শীর্ষে। ডিএসই'র মোট লেনদেনের প্রায় ২৩ শতাংশ হয়েছে এ খাত ঘিরে।

তথ্যে দেখা গেছে, গতকাল ডিএসই'র ব্রড ইনডেক্স (ডিএসইএক্স) আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৩০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএস-৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪৭১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৬৮ কোটি ৪২ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৫৩ কোটি টাকা কম। লেনদেনকৃত ২৯১টি কোমপানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫১টির, কমেছে ১১৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টি কোম্পানির শেয়ারের।

সমপ্রতি অস্বাভাবিক হারে দর বাড়ায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিভিও পেট্রোকেমিকেল কোম্পানির শেয়ার লেনদেন গতকাল মঙ্গলবার স্থগিত করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) কর্তৃপক্ষ। এ কোম্পানির শেয়ার দর অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি তদন্ত করছে ডিএসই ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তদন্ত চলাকালীন সময়ে অর্থাত্ মঙ্গলবার এ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন স্থগিত করা হয়। তবে আজ বুধবার থেকে আবার স্বাভাবিক লেনদেন চলবে বলে ডিএসই সূত্রে জানা গেছে।

ফের মূল্যবৃদ্ধির ধারায় পুঁজিবাজার

ফের মূল্যবৃদ্ধির ধারায় পুঁজিবাজার
ডিএসই-৩০ সূচক বাড়ে ৪ দশমিক ২৬ পয়েন্ট। দ্বিতীয় পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সার্বিক মূল্যসূচক ও সিএসসিএক্স সূচকের যথাক্রমে ২৬ দশমিক ৭০ ও ১৬ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট উন্নতি ঘটে। এ দিকে সূচকের উন্নতি ঘটলেও গতকাল বাজারগুলোর লেনদেনে অবনতি ঘটে। ঢাকায় লেনদেন নেমে আসে ৪৬৮ কোটি টাকায়। আগের দিন সোমবার এ বাজারে লেনদেন হয় ৫২১ কোটি টাকা। চট্টগ্রামে ৪৪ কোটি টাকার স্থলে লেনদেন হয় ৪০ কোটি টাকা। গতকাল দুই পুঁজিবাজারের লেনদেনে টেক্সটাইল ও মূল্যবৃদ্ধিতে প্রাধান্য ধরে রাখে বীমা খাত। ডিএসই’র লেনদেনের শীর্ষ দু’টি কোম্পানি ছাড়াও বাজারটির শীর্ষ বিশে উঠে আসে এ খাতের ছয়টি কোম্পানি। চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই লেনদেনে প্রাধান্য ধরে রাখছে টেক্সটাইল খাত। প্রায় প্রতিদিনের লেনদেনের একটি বড় অংশ দখলে রাখার পাশাপাশি ডিএসই’র শীর্ষ কোম্পানির তালিকায় উঠে আসছে এ খাতের বেশ কয়েকটি কোম্পানি। অপর দিকে মূল্যবৃদ্ধির শীর্ষ দশে জায়গা করে নেয় বীমা খাতের ছয়টি। এ খাতের তালিকাভুক্ত ৪৬টি কোম্পানির মধ্যে একটি ছাড়া সব কোম্পানিরই শেয়ারের দাম বেড়েছে গতকাল। দীর্ঘ দিন মূল্যস্তর অনেকটা স্থির অবস্থায় কাটানোর পর সোম ও মঙ্গলবার এ দু’দিন উল্লেøখযোগ্য মূল্যবৃদ্ধি ঘটে এ খাতে। মঙ্গলবার মূল্যবৃদ্ধি দিয়েই শুরু হয় দুই পুঁজিবাজারের লেনদেন। প্রথম দিকে সূচকের বড় ধরনের উন্নতিও ঘটে। ঢাকায় ৪ হাজার ২১ পয়েন্ট থেকে লেনদেন শুরু করে আধঘণ্টায় ডিএসইএক্স সূচকটি ৪ হাজার ৬৪ পয়েন্টে পৌঁছে। এর পরই বিক্রয়চাপে পড়ে বাজার। পরবর্তী এক ঘণ্টায় সূচকটি আবার নেমে আসে ৪ হাজার ৪২ পয়েন্টে। দুপুর ১২টার দিকে বিক্রয়চাপ কমে গেলে আবার ঊর্ধ্বমুখী হয় বাজার সূচক। এক ঘণ্টার টানা মূল্যবৃদ্ধির পর বেলা ১টায় সূচকটি পৌঁছে যায় ৪ হাজার ৬৬ পয়েন্টে। লেনদেনের এপর্যায়েই আসে দিনের বড় বিক্রয়চাপটি। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত এ চাপ অব্যাহত থাকলে বৃদ্ধি পাওয়া সূচকের মাত্র ৯ পয়েন্ট উন্নতি ধরে রেখে লেনদেন শেষ করে ডিএসই। এ দিকে লেনদেন হওয়া খাতগুলোর মধ্যে বীমার পাশাপাশি মূল্যবৃদ্ধিতে এগিয়ে ছিল সিমেন্ট ও নন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান। অপর দিকে সবচেয়ে খারাপভাবে দিন পার করে ব্যাংক ও মিউচুয়াল ফান্ড। জ্বালানি, রসায়ন, টেক্সটাইল, প্রকৌশল ও সিরামিক খাতে ছিল মিশ্র আচরণ। ঢাকায় লেনদেন হওয়া ২৯১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বাড়ে ১৫১টির। ১১৬টি দরপতনের শিকার হয়। ২৪টির দর ছিল অপরিবর্তিত। অপর দিকে চট্টগ্রামে লেনদেন হওয়া ২২৩টি সিকিউরিটিজের মধ্যে ১০৪টির দাম বাড়লেও কমে ১০২টির। ১৭টির দর ছিল অপরিবর্তিত। দিনের বাজার আচরণে কিছুটা পরিবর্তন ঘটে গতকাল। কিছু দিন ধরে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে দুই বাজারের শীর্ষ মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় উঠে আসা কয়েকটি কোম্পানির দরপতন কিছুটা কমেছে। গতকালও এ ধরনের কোম্পানিগুলোর কয়েকটি ডিএসই’র মূল্যবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এলেও কয়েকটি আবার দরপতনের শীর্ষ তালিকায় চলে আসে। এদের মধ্যে ছিল মডার্ন ডাইং, দেশ গার্মেন্ট, জেএমআই সিরিঞ্জ ও আনলিমা ইয়ার্ন ডাইং। আর এদের পরিবর্তে মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় উঠে আসে বীমা খাতের কোম্পানি। তারপরও রহিমা ফুড ও হাক্কানি পেপার মিলের মতো কোম্পানিগুলো গতকালও ডিএসই’র মূল্যবৃদ্ধির তালিকার শীর্ষে ছিল। বাজার আচরণের এ পরিবর্তনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এলেও তারা বিষয়টি নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার দ্রুত হস্তক্ষেপ দাবি করেন। তাদের মতে, খাতওয়ারি মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বাজারগুলোতে ভারসাম্য ফিরে আসবে। ভালো কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে লাভবান হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে। এর ম্যাধমে বিভিন্ন খাতের ভালো কোম্পানিগুলো উঠে আসবে মূল্যবৃদ্ধির তালিকায়। তাল্লøু স্পিনিংকে হটিয়ে গতকাল ডিএসই’র লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে একই খাতের সিএমসি কামাল। ১৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকায় ৫০ লাখ ৪০ হাজার শেয়ার বেচাকেনা হয় কোম্পানিটির। ১৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা লেনদেন করে জেনারেশন নেশন ফ্যাশন্স ছিল দ্বিতীয় স্থানে। ডিএসই’র শীর্ষ লেনদেনকারী কোম্পানির মধ্যে আরো ছিল অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যালস, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, এমআই সিমেন্ট, আর এন স্পিনিং, বঙ্গজ লিমিটেড, তাল্লøু স্পিনিং ও জেএমআই সিরিঞ্জ। গতকাল ডিএসই’র মূল্যবৃদ্ধির শীর্ষে ছিল রহিমা ফুড। ৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ দাম বাড়ে কোম্পানিটির। ৯.৫৩ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি পেয়ে এ তালিকায় দ্বিতীয় ছিল হাক্কানি পেপার অ্যান্ড পাল্প। এ ছাড়া উল্লেøখযোগ্য মূল্যবৃদ্ধি পাওয়া অন্য কোম্পানির মধ্যে অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স ৯.০৯, পিপলস ইন্স্যুরেন্স ৮.৬৩, ইসলামী ইন্স্যুরেন্স ৭.৮৭, রূপালী ৭.০০, তাকাফুল ৬.৯৯ ও সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের ৬.৩৬ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি ঘটে। অপর দিকে দিনের সর্বোচ্চ দর হারায় মডার্ন ডাইং। ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ দর হারায় কোম্পানিটি।