Vat Act -2012

Displaying 121-130 of 142 results.

১১৯। অপরাধের আপোষরফা।-

১১৯। অপরাধের আপোষরফা।- (১) নির্ধারিত পদ্ধতিতে অপরাধসমূহ আপোষযোগ্য (পড়সঢ়ড়ঁহফধনষব) হইবে।
(২) মামলা দায়ের করিবার জন্য কমিশনার কর্তৃক পূর্বানুমোদনের পূর্বে বা পরে বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্তে আপোষরফা করা যাইবে, তবে মামলা রুজু করিবার পর আপোষরফা করিতে হইলে আদালতের অনুমতি গ্রহণ করিতে হইবে।

 

১২০। অর্থদন্ড প্রদেয় করের অতিরিক্ত।-

১২০। অর্থদন্ড প্রদেয় করের অতিরিক্ত।- জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক আরোপিত অর্থদন্ড প্রদেয় মূসক, সম্পূরক শুল্ক, টার্নওভার কর বা জরিমানার অতিরিক্ত হিসাবে গণ্য হইবে।

১২১। কমিশনার (আপীল) এর নিকট আপীল।-


[১২১। কমিশনার (আপীল) এর নিকট আপীল।- (১) এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালার অধীন অতিরিক্ত কমিশনার বা তৎনিম্ন পদধারী মূসক কর্মকর্তা কর্তৃক গৃহীত কোন সিদ্ধান্ত বা প্রদত্ত কোন আদেশ দ্বারা কোন করদাতা বা মূসক কর্মকর্তা সংক্ষুব্ধ হইলে, তিনি নির্ধারিত পদ্ধতিতে পদ্ধতিতে পণ্য বা সেবা সরবরাহের ক্ষেত্রে ধারা ৯৫ এর অধীন প্রদত্ত কোন আটক বা বিক্রয় আদেশ অথবা পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে কাস্টমস আইনের ধারা ৮২ বা ৯৮ এর অধীন কোন আদেশ ব্যতীত, উক্ত সিদ্ধান্ত বা আদেশ জারির ৯০ (নব্বই) দেিনর মধ্যে কমিশনার (আপীল) এর নিকট আপীল দায়ের করিতেহ পারিবেন।
       (২) মূসক কর্মকর্তা ব্যতীত কোন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি কর্তৃক উপ-ধারা (১) এর অধীন আপীল দায়ের করিবার ক্ষেত্রে, তাহাকে উক্ত আপীল দায়েরকালে তর্কিত আদেশে উল্লিখিত  দাবিকৃত করের দশ শতাংশ বা দাবিকৃত কর না থাকিলে, আরোপিত জরিমানার দশ শতাংশ পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করিতে হইবে। তবে শর্ত থাকে যে, যদি কমিশনার (আপীল) এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, আপীলকারী যক্তিসঙ্গত কারণে উপরি-উক্ত ৯০ (নব্বই) দিগন মেয়াদের মধ্যে আপীল দায়ের করিতে সক্ষম হন নাই, তাহা ইলে তিনি আপীলকারীকে উক্ত মেয়াদের পরবর্তী ৬০ (ষাট) দিনের মেধ্য আপীল দায়ের কবিরবার জন্য অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন।
(৩)কমিশনার (আপীল) নির্ধারিত পদ্ধতিতে পক্ষগণকে যথাযথ শুনানির সুযোগ প্রদান করিয়া, সর্বোচ্চ ১ (এক) বৎসরের মধ্যে আপীল কার্যক্রম নিষ্পত্তি করিবেন।
(৪) কমিশনার (আপীল) তর্কিত আদেশ বা সিদ্ধান্ত বহাল রাখিতে বা পরিবর্তন করিতে বা বাতিল করিতে বা তিনি যেরূপ সঙ্গত মনে করিবেন, সেইরূপ আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন: তবে শর্ত থাকে যে, প্রাথমিক পর্যায়ে (ফব হড়াড়) তিনি কার্যধারাটি পুনর্বিবেচনার জন্য রিমান্ডে প্রেরণ করিবেন না।
(৫)আপীল নিষ্পত্তি করিবার প্রয়োজনে কমিশনার (আপীল), নির্ধারিত পদ্ধতি ও সময়ে তর্কিত বিষয়ে অধিকতর নিরীক্ষা, তদন্ত অনুষ্ঠান, তথ্য সংগ্রহ বা কার্যধারার যথার্থতা যাচাই করিতে পারিবেন।
(৬) এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি কমিশনার (আপীল) নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে আপীল নিষ্পত্তি করিতে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে আপীলটি কমিশনার (আপীল) কর্তৃক মঞ্জুর করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।


অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন ) এর ধারা ৯৮  দ্বারা প্রতিস্থাপিত

 

১২২। আপীলাত ট্রাইব্যুনালে আপীল।-

[১২২। আপীলাত ট্রাইব্যুনালে আপীল।- (১) কমিশনার বা কমিশনার (আপীল) বা মহাপরিচালক বা সমমর্যাদার কোন মূসক কর্মকর্তা কতৃর্ক এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালার অধীন প্রদত্ত কোন আদেশ বা সিদ্ধান্ত দ্বারা কোন ব্যক্তি বা মূসক কর্মকর্তা সংক্ষুব্ধ হইলে, তিনি নির্ধারিত পন্য বা সেবা সরবরাহের ক্ষেত্রে, ধারা ৯৫ এর অধীন প্রদত্ত কোন আটক বা বিক্রয় আদেশে অথবা পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে, কাস্টমস আইনের ধারা ৮২ বা ৯৮ এর অধীন কোন আদেশ ব্যতীত, তর্কিত সিদ্থান্ত বা আদেশ জরীর ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে আপীলাত ট্রাইব্যুনালে আপীল দায়ের করিতে পারিবেন।

2[(২) মূসক কর্মকর্তা ব্যতীত, অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক উপ—ধারা (১) এর অধীন আপীল দায়ের করিবার ক্ষেত্রে, তাহাকে উক্ত আপীল দায়েরকালে তর্কিত আদেশে উল্লিখিত দাবিকৃত করের ২০(বিশ) শতাংশ পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করিতে হইবে।
তবে উপ—ধারা (১) অনুযায়ী কমিশনার (আপীল) কতৃর্ক প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপীলাত ট্রাইবুনাল এ আপীল দায়ের করা হইলে সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তিকে তাহার উপর দাবীকৃত কর বা আরোপিত অর্থদন্ডের কোনর অংশ জমা প্রদান করিতে হইবে না।]
(৩) আপীলাত ট্রাইব্যুনাল আপীলের পক্ষগণের শুনানি গ্রহণের পর অন্তর্বর্তীকালীন কর আদায়ের স্থগিতাদেশসহ যেরূপ সঙ্গত এবং সমীচীন মনে করিবেন সেইরূপ আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন। 
(৪)কর আদায় স্থগিতকরণ সংক্রান্ত আপীলাত ট্রাইব্যুনালের যেকোন অন্তবর্তীকালীন আদেশ, উহা প্রদানের তারিখ হইতে ৬ (ছয়) মাস অতিবাহিত হইবার পরের দিবসে অকার্যকর হইবে, যদি না কার্যধারাটি চূড়ান্তভাবে নিষ্পন্ন করা হয়, বা উহার পূর্বে আপীলাত ট্রাইব্যুনাল কতৃর্ক অন্তর্বর্তী আদেশ প্রত্যাহার করা হয়। 
(৫) এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি আপীলাত ট্রাইব্যুনাল ২ (দুই) বৎসর সময়সীমার মধ্যে আপীলটি নিষ্পত্তি করিতে ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে আপীলটি আপীলাত ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক মঞ্জুর করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
3[(৫ক) এই আইনের অন্যান্য বিধানে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, প্রাকৃতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারী, দৈব—দুর্বিপাক বা যুদ্ধের কারণে জনস্বার্থে সরকার উক্তরূপ আপৎকালীন সময়ের জন্য আপীলাত ট্রাইবুনাল কতৃর্ক আপীল নিষ্পত্তির সময়সীমা আদেশ দ্বারা বৃদ্ধি করিতে পারিবে। 
(৫খ) উপ—ধারা (৫ক) এ উল্লিখিত সময়সীমা বৃদ্ধির আদেশ ভূতাপেক্ষভাবে কার্যকরতা প্রদান করা যাইবে]। 
(৬)আপীলাত ট্রাইব্যুনাল এবং উহার বেঞ্চসমূহের কর্মপদ্ধতি উক্ত ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক নির্ধারিত হইবে। 
(৭) আপীলাত ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম দন্ডবিধি, ১৮৬০ (১৮৬০ সনের ৪৫ নং আইন) এর ধারা ১৯৩ এবং ধারা ২২৮ এর অধীন বিচার বিভাগীয় কার্যধারা হিসাবে গণ্য হইবে এবং উহা দেওয়ানী কার্যবিধির অধীন একটি দেওয়ানী আদালত হিসাবে গণ্য হইবে।


অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন) এর ধারা ৯৯ দ্বারা প্রতিস্থাপিত

2অর্থ আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ০৯ নং আইন) এর ধারা ৭৬(ক) দ্বারা “১০(দশ)” ্এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত
3অর্থ আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ০৯ নং আইন) এর ধারা ৭৬(খ) দ্বারা সন্নিবেশিত

১২৩। কার্যধারায় সাক্ষ্য প্রমাণের দায়।-

১২৩। কার্যধারায় সাক্ষ্য প্রমাণের দায়।- (১) কমিশনার (আপীল) ও আপীলাত ট্রাইব্যুনালের কোন কার্যধারায় বিচার্য বিষয় প্রমাণের ক্ষেত্রে নির্ধারিত পদ্ধতিতে কমিশনার কর্তৃক প্রদত্ত হলফনামা চূড়ান্ত প্রমাণ হিসাবে গণ্য হইবে, যদি না করদাতা উক্ত হলফনামার বিষয়টি খন্ডন করিয়া ভিন্নরূপ প্রমাণ পেশ করিতে পারেন।
   (২) উক্ত হলফনামার সহিত কমিশনার কর্তৃক ইস্যুকৃত নোটিশ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য
দলিল সংযুক্ত করিতে হইবে।

 

১২৪। হাইকোর্ট বিভাগে রিভিশন।-

১২৪। হাইকোর্ট বিভাগে 1[আপিল]।— (১) বোর্ড বা আপীলাত ট্রাইব্যুনালের আদেশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা কমিশনার বা মহাপরিচালক পদমর্যাদার নিম্নে নহেন, এমন কোন মূসক কর্মকর্তা, উক্ত আদেশের আইনগত প্রশ্নে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে 2[আপিলের] আবেদন দাখিল করিতে পারিবেন। 
 (২) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উক্ত 3[আপিলের] বিষয়ে, যতদূর সম্ভব দেওয়ানী কার্যবিধির বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে। 
 (৩) উপ—ধারা (১) এর অধীন হাইকোর্ট বিভাগে 4[আপিলের] আবেদন দাখিলের ক্ষেত্রে, তামাদি আইন, ১৯০৮ এর ধারা ৫ প্রযোজ্য হইবে। 
(৪) মূসক কর্মকর্তা ব্যতীত, অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক উপ—ধারা (১) এর অধীন হাইকোর্ট বিভাগে 5[আপিলের] আবেদন 
দাখিলের ক্ষেত্রে, তাহাকে তর্কিত আদেশে উল্লিখিত প্রদেয় করের বা জরিমানার ১০ (দশ) শতাংশ অর্থ পরিশোধ করিতে হইবে।

1অর্থ আইন, ২০২১ (২০২১ সনের ১১ নং আইন) এর ধারা ৫৬(ক) “রিভিশন” ্এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত
2অর্থ আইন, ২০২১ (২০২১ সনের ১১ নং আইন) এর ধারা ৫৬(খ) “রিভিশন” ্এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত
3অর্থ আইন, ২০২১ (২০২১ সনের ১১ নং আইন) এর ধারা ৫৬(খ) “রিভিশন” ্এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত
4অর্থ আইন, ২০২১ (২০২১ সনের ১১ নং আইন) এর ধারা ৫৬(খ) “রিভিশন” ্এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত
5অর্থ আইন, ২০২১ (২০২১ সনের ১১ নং আইন) এর ধারা ৫৬(খ) “রিভিশন” ্এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত

১২৫। বিকল্প উপায়ে বিরোধ নিষ্পত্তি।-

১২৫। বিকল্প উপায়ে বিরোধ নিষ্পত্তি।- (১) এই আইনের অন্য কোন বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন করদাতা নির্ধারিত পদ্ধতি, শর্ত বা সময়ে কোন বিরোধ বিকল্প উপায়ে নিষ্পত্তির জন্য নির্ধারিত প্যানেল হইতে তৎকর্তৃক নির্বাচিত কোন সহায়তাকারীর নিকট আবেদন করিতে পারিবেন এবং সহায়তাকারী নির্ধারিত পদ্ধতি, শর্তে বা সময়ে উক্ত বিরোধ বিকল্প উপায়ে সমঝোতার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে
পারিবেন।
   (২) বোর্ড, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিকল্প উপায়ে বিরোধ নিষ্পত্তির আবেদন প্রক্রিয়াকরণের জন্য, সময়ে সময়ে, এক বা একাধিক মূল্য সংযোজন কর কমিশনারেট নির্ধারণ করিতে পারিবে।
   (৩) কোন বিরোধ বিকল্প উপায়ে সমঝোতার ভিত্তিতে নিষ্পত্তি হইলে, উক্ত সমঝোতার বিরুদ্ধে কোন আদালতে আপত্তি উত্থাপন করা যাইবে না এবং যেসকল বিরোধ বিকল্প উপায়ে সমঝোতার ভিত্তিতে নিষ্পত্তি করা সম্ভব হইবে না, সেই সকল বিরোধের ক্ষেত্রে, এই আইনের বিধানানুযায়ী পুনরায় কার্যধারা গ্রহণ করিতে হইবে।
   (৪)কোন বিরোধ বিকল্প উপায়ে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে নিষ্পত্তি করা সম্ভব না হইলে, উক্ত পন্থা অবলম্বনের জন্য ব্যয়িত সময়কাল আপীল দায়েরের সময়সীমা গণনায় অন্তর্ভুক্ত হইবে না।

ব্যাখ্যা: এই ধারায়, “বিরোধ” অর্থ এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির প্রয়োগ হইতে উদ্ভূত কোন বিরোধ; কিন্তু [জালিয়াত বা ফৌজদারি] অপরাধ বা আইনগত প্রশ্ন জড়িত রহিয়াছে এমন বিরোধ উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না।


অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন ) এর ধারা ১০০ দ্বারা সন্নিবেশিত

[১২৬। অব্যাহতি

[১২৬। অব্যাহতি।- (১) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত সীমা ও শর্ত সাপেক্ষে, যে কোন পণ্য বা পণ্য শ্রেনীর আমদানি বা সরবরাহ বা প্রদত্ত ওয কোন সেবাকে এই আইনের অধীন আরোপযোগ্য মুল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, সম্পূরক শুল্ক 2[বা আগাম কর] হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।
(২) বোর্ড, বিশেষ আদেশ দ্বারা, আদেশে উল্লিখিত সীমা ও শর্ত সাপেক্ষে কোন আন্তর্জাতিক চুক্তি বা দ্বিপক্ষীয় চুক্তি পারস্পরিক ভিত্তিতে (ৎবপরঢ়ৎড়পধষ নধংরং) আস্তবায়নের জন্য, যে কোন পণ্যের আমাদানি, সরবরাহ গ্রহণ বা সেবা গ্রহণকে এই আইনের অধীনে আরোপযোগ্য মূল্য সংযোজন কর বা , ক্ষেত্রমত, সম্পূরক শুল্ক 3[বা আগাম কর] হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।
(৩) বোর্ড, বিশেষ আদেশবলে প্রত্যেক ক্ষেত্রে কারণ উল্লেখপূর্বক, করযোগ্য যে কোন 
পণ্যের আমদানি বা সরবরাহ বা প্রদত্ত সেবাকে এই আইনের অধীনে আরোপযোগ্য মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, সম্পূরক শুল্ক 4[বা আগাম কর] হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।]
5[১২৬ক। পুরস্কার ও কর্মদক্ষতা প্রণোদানা প্রদান।-  (১) এই আইন বা আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বোর্ড বিধি দ্বারা নির্ধারিত ক্ষেত্রে, পদ্ধতিতে এবং সীমা সাপেক্ষে, নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিগণকে পুরস্কার প্রণোদনা প্রদান করিতে পারিবে, যথা:—

(ক) এমন কোন ব্যক্তি যিনি এই আইন বা তদধীনো প্রণীত বিধিমালার বিধান লঙ্ঘনের বিষয়ে বা তদধীনে আদায়যোগ্য কর বা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া বা উহার প্রচেষ্টার ব্যাপারে মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তাকে তথ্য সরবরাহ করেন এবং প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে ফাঁকিকৃত সমুদয় রাজস্ব বা তাহার অংশ বিশেষ আদায় হয়;
(খ) এমন কোন মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তা বা অন্য কোন সরকারি সংস্থা বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী যিনি, এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালার অধীন আদায়যোগ্য কর বা রাজস্ব ফাঁকি বা উহা ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা বা উক্ত আইনের কোন বিধানের লঙ্গন চিহ্নিতকরণ বা উদঘাটনের ফাঁকিকৃত রাজস্ব আদায় হয়; বা 
(গ) এমন কোন মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা অন্য কোন সরকারি সংস্থা বা সরকারের জন্য কাজ করেন এমন কোন ব্যক্তি যিনি এই আইনের অধীন আদায়যোগ্য কর দফা (ক) ও (খ) এ বর্ণিত পদক্ষেপ ব্যতিরেকে অন্য কোনভাবে আদায় করেন।
 (২) এই আইন বা আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বোর্ড বিধি দ্বারা নির্ধারিত ক্ষেত্রে, পদ্ধতিতে এবং সীমা সাপেক্ষে, নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিগণকে কর্মদক্ষতা প্রণোদনা প্রদান করিতে পারিবে, যথা:
 (ক) আইনের ধারা ৭৮ এর বর্ণিত কোন কর্মকর্তা; বা 
 (খ) আইনের ধারা ৭৮ এ উপ—ধারা (১) এর আওতায় প্রতিষ্ঠিত মূসক দপ্তরে কর্মরত কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারী।]


1অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন) এর ধারা ১০১ দ্বারা সন্নিবেশিত
2অর্থ আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ০৯ নং আইন) এর ধারা ৭৭ (ক) দ্বারা সন্নিবেশিত
3অর্থ আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ০৯ নং আইন) এর ধারা ৭৭ (খ) দ্বারা সন্নিবেশিত
4অর্থ আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ০৯ নং আইন) এর ধারা ৭৭ (গ) দ্বারা সন্নিবেশিত
5অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন) এর ধারা ১০২ দ্বারা ‘১৬২ক’ সন্নিবেশিত

১২৭। প্রদেয় করের উপর সুদ আরোপ।-

১২৭। প্রদেয় করের উপর সুদ আরোপ।- (১) যদি কোন ব্যক্তি নির্ধারিত তারিখে বা উক্ত তারিখের পূর্বে, কমিশনারের নিকট প্রদেয় কর পরিশোধ করিতে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে তাহাকে নির্ধারিত তারিখের পরবর্তী দিন হইতে পরিশোধের দিন পর্যন্ত প্রদেয় করের পরিমাণের উপর 1[মাসিক ১ (এক) শতাংশ] সরল হারে সুদ পরিশোধ করিতে হইবে 2[;
 তবে শর্ত থাকে যে, উৎসে মূসক কর্তনজনিত বকেয়া আদায়ের ক্ষেত্রে প্রদেয় করের পরিমাণের উপর ষান্মাসিক ২ (দুই) শতাংশ সরল হারে সুদ পরিশাধ করিতে হইবে।
 ব্যাখ্যা:— এই উপ—ধারায়, “পরিশোধের দিন পর্যন্ত’’ অর্থ নির্ধারিত তারিখের পরবতীর্ দিন হইতে আপীল নিষ্পন্নধীন সময়সহ পরিশোধের দিন।]
 (২) যে পদ্ধতিতে উক্ত ব্যক্তির নিকট হইতে প্রদেয় কর আদায় করা হয় সেই একই পদ্ধতিতে কমিশনার তাহার নিকট হইতে সুদ আদায় করিবেন।
 (৩) কোন ব্যক্তি কর্তৃক সুদসহ করের কোন পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করিবার পর, যদি প্রমাণিত হয় যে, সুদের সহিত সংশ্লিষ্ট অর্থ প্রদেয় ছিল না, তাহা হইলে উক্ত অর্থের উপর পরিশোধিত সুদ তাহাকে ফেরত প্রদান করিতে হইবে। 
 (৪) অর্থদণ্ড বা জরিমানার অতিরিক্ত হিসাবে উক্ত সুদ প্রদেয় হইবে।
3[১২৭ক। সরকারি পাওনা অবলোপনের ক্ষমতা।- [১২৭ক। সরকারি পাওনা অবলোপনের ক্ষমতা।— যে ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তির দেউলিয়াত্ব অথবা কোন প্রতিষ্ঠানের অস্থিত্ব বিলোপ বা অন্য কোন কারণে এইরূপ নিশ্চিত হওয়া যায়যে, উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের উপর ধার্যকৃত মূল্য সংযোজন কর বা, ে্কষত্রমত, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক কিংবা আরোপিত কোন অর্থদন্ড কিংবা এই আইন বা তদঅনীনে প্রণীত বিধিমালার অধীনে সম্পটাদিত কোন মচলেকা বা অন্র কোন দলিলের অধীনে দাবিকৃত কোন অর্থ এই আইনের ধারা ৯৫ এর অধীনে আদায় করা সম্ভব নহে, সেই ক্ষেত্রে সরকার উক্ত সরকারি পাওনা আংশিক বা সমুদয় অংশ বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে অবলোপন (ডৎরঃব ড়ভভ) করিতে পারিবে;
 তবে শর্ত থাকে যে, অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকারি পাওনা অবলোপনের পর যদি প্রমাণ থাকে যে, দায়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কোন সম্পত্তি নূতনভাবে উদ্ভব হইয়াছে বা ইতঃপূর্বে সরকারি অর্থের দায়—দেনা হইতে মুক্ত হয়োর জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান স্বীয় সম্পত্তি অসৎ উদ্দেশ্যে অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হস্তান্তর করিয়া দেউলিয়া হইয়াছেন, তাহা হইলে উক্ত সম্পত্তির উপর সরকারি পাওনা আদায়ের নিমিত্তে অগ্রাধিকার সৃষ্টি হইবে এবং তাহা এমনভাবে আদয়যোগ্য হইবে যেন নূতনভাবে উদ্ভূত বা অসৎ উদ্দেশ্যে হস্তান্তরিত সম্পত্তির গ্রহীতার উপর সরকারি পাওনা পরিশোধের সম্পূর্ণ দায়িত্ব অর্পিত হইয়াছে।
১২৭খ। কতিপয় পণ্য বা সেবার ক্ষেত্রে কর পরিশোধের সময় ও পদ্ধতি নির্ধারণ।- এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বোর্ড, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, কোন বিশেষ পণ্য বা সেবা সরবরাহের ক্ষেত্রে কর পরিশোধের সময়, পদ্ধতি ও পরিমাণসহ অগ্রিম পরিশোধ বা উৎসে কর্তনের বিধান করিতে পারিবে।]


1অর্থ আইন, ২০২১ (২০২১ সনের ১১ নং আইন) এর ধারা ৫৭ দ্বারা ‘মাসিক ২ (দুই) শতাংশ’ এর পরিবর্তে সংযোজিত
2অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন) এর ধারা ১০৩ দ্বারা ‘।’ এর পরিবর্তে ‘:’ প্রতিস্থাপিত এবং শতাংশ সংযোজিত

3অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন) এর ধারা ১০৪ দ্বারা ধারা ‘১২৭ক’ ও ‘১২৭খ’ সন্নিবেশিত