Vat Act -2012

Displaying 81-90 of 142 results.

৭৮। মূল্য সংযোজন কর কর্তৃপক্ষ এবং উহার কর্মকর্তা।-

মূল্য সংযোজন কর কর্তৃপক্ষ

৭৮। মূল্য সংযোজন কর কর্তৃপক্ষ এবং উহার কর্মকর্তা।- (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, মূল্য সংযোজন কর কর্তৃপক্ষ নামে একটি কতৃর্পক্ষ থাকিবে যাহা বোর্ড, তদধীন এক বা একাধিক মূল্য সংযোজন কর দপ্তর এবং নিম্নবর্ণিত মূসক কর্মকর্তা সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা:—
 (ক) চীফ কমিশনার, মূল্য সংযোজন কর;
 (খ) কমিশনার, মূল্য সংযোজন কর;
 (গ) কমিশনার (আপীল), মূল্য সংযোজন কর;
 (ঘ) কমিশনার (বৃহৎ করদাতা ইউনিট), মূল্য সংযোজন কর;
 (ঙ) মহাপরিচালক, সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল;
 (চ) মহাপরিচালক, নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর, মূল্য সংযোজন কর 
 1[(চচ) মহাপরিচালক, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট ট্রেনিং একাডেমি;]
 2[(চচচ) মহাপরিচালক, শুল্ক রেয়াত ও প্রত্যর্পণ পরিদপ্তর;]
 3[(ছ) অতিরিক্ত কমিশনার বা অতিরিক্ত মহাপরিচালক বা পরিচালক (সিআইসি), মূল্য সংযোজন কর;]
 (জ) যুগ্ম কমিশনার বা পরিচালক, মূল্য সংযোজন কর;
 (ঝ) উপ কমিশনার বা উপ—পরিচালক, মূল্য সংযোজন কর;
 (ঞ)সহকারী কমিশনার বা সহকারী পরিচালক, মূল্য সংযোজন কর; 
 (্ট) রাজস্ব কর্মকর্তা, মূল্য সংযোজন কর; 
 (ঠ) সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা, মূল্য সংযোজন কর; এবং 
 (ড) বোর্ড কর্তৃক নিয়োগকৃত অন্য কোন কর্মকর্তা। 
 (২) বোর্ড, সরকারি গেজেটে প্রকাশিত সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, মূসক কর্মকর্তাগণের নিয়োগ এবং আঞ্চলিক অধিক্ষেত্র নির্ধারণ করিয়া এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি—বিধানের আওতায় তাহাদের দায়িত্ব, কর্তব্য, ক্ষমতা ও কার্যাবলী সুনির্দিষ্ট করিতে পারিবে।
 (৩) বোর্ড, সমগ্র দেশ বা বিশেষ কোন অঞ্চলের জন্য বা একটি বিশেষ শ্রেণীর করদাতার জন্য, সরকারি গেজেটে প্রকাশিত সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, এক বা একাধিক বৃহৎ করদাতা ইউনিট গঠন, উক্ত ইউনিটে প্রয়োজনীয় সংখ্যক মূসক কর্মকর্তা 
নিয়োগ এবং উক্ত ইউনিটের কর্মপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে। 
 4[(৪) বোর্ড, এই আইনের উদ্দেশ্যে পূরণকল্লে, কোন বিশেষায়িত কার্যক্রম 
(Special Founction) সম্পন্নের লক্ষ্যে সরকারি গেজেটে প্রকাশিত সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা এক বা প্রয়োজনীয় সংখ্যক মূসক কর্মকর্তা নিয়োগ এবং উক্ত ইউনিটে  কর্মরতদের দায়িত্ব, কর্মপদ্ধতি ও ভাতা নির্ধারণ করিতে পারিবে। 


1অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন) এর ধারা ৮৪(ক) এর দফা (চচ) দ্বারা সন্নিবেশিত
2অর্থ আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ০৯ নং আইন) এর ধারা ৭১ এর দফা (চচচ) দ্বারা সন্নিবেশিত
3অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন) এর ধারা ৮৪ (খ) এর দফা (ছ) ও (জ) দ্বারা প্রতিস্থাপিত
4অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন) এর ধারা ৮৪ এর দফা (গ) দ্বারা উপ—ধারা (৪) সংযোজিত

৭৯। মূসক কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব এবং কর্তব্য।-

৭৯। মূসক কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব এবং কর্তব্য।- (১) বোর্ড, এই আইনের অধীন মূসক কর্তৃপক্ষের নীতি নির্ধারণী দায়িত্ব পালনসহ অন্যান্য সকল দায়িত্ব সম্পাদন, কর্তব্য পালন এবং ক্ষমতা প্রয়োগ করিবে।

(২) মূসক কর্মকর্তাগণ, বোর্ডের নিয়ন্ত্রণ, তদারকি এবং তত্ত্বাবধানে থাকিয়া, নিম্নবর্ণিত এক বা একাধিক দায়িত্ব সম্পাদন, কর্তব্য পালন, ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যাবলী সম্পাদন করিবেন, যথা:-

(ক) কর আদায় এবং উহার হিসাবরক্ষণ সংক্রান্ত কার্যক্রম;

(খ) এই আইন এবং উহার অধীন প্রণীত বিধি-বিধানের প্রয়োগ ও প্রশাসনিক কার্যক্রম; এবং

(গ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত অন্য যেকোন দায়িত্ব পালন বা কর্তব্য ও কার্যাবলী সম্পাদন।

(৩) মূসক কর্মকর্তাগণ, বোর্ড কর্তৃক সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা আরোপিত পরিসীমা ও শর্ত সাপেক্ষে, এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি-বিধানের অধীন-

(ক) তাহাদের উপর ন্যস্ত যাবতীয় দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন, ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যাবলী সম্পাদন করিবেন এবং কোন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কর্তৃক অধস্তন কর্মকর্তাকে প্রদত্ত সকল দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন, ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যাবলী সম্পাদন করিবেন; এবং

(খ) কোন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাহার অধস্তন যেকোন কর্মকর্তাকে প্রদত্ত বা তাহার উপর অর্পিত সকল দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন, ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যাবলী সম্পাদন করিতে পারিবেন।

৮০। মূসক কর্মকর্তার আদেশ বা সিদ্ধান্ত সংশোধনে বোর্ডের ক্ষমতা।-

৮০। মূসক কর্মকর্তার আদেশ বা সিদ্ধান্ত সংশোধনে বোর্ডের ক্ষমতা।- বোর্ড স্ব-উদ্যোগে মূসক কর্মকর্তা কর্তৃক নিষ্পত্তিকৃত যেকোন কার্যধারার নথিপত্র, বা তৎকর্তৃক প্রদত্ত যেকোন আদেশ বা সিদ্ধান্তের যথার্থতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও সময়ে, উহা তলব করিয়া পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতঃ যুক্তিযুক্ত যেকোন আদেশ প্রদান করিতে পারিবে: তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ কোন আদেশ দ্বারা কোন ব্যক্তির জন্য এই আইনের অধীন নির্ধারিত কোন অধিকার বা বাধ্যবাধকতা ক্ষুণœ করা যাইবে না।

৮১। ক্ষমতা অর্পণ।-

৮১। ক্ষমতা অর্পণ।- (১) বোর্ড, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত সীমা ও শর্ত সাপেক্ষে, যেকোন মূসক কর্মকর্তাকে তাহার নাম ও পদবী উল্লেখপূর্বক এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি-বিধানের অধীন কমিশনারের যেকোন দায়িত্ব পালন ও কর্তব্য সম্পাদনের ক্ষমতা অর্পণ করিতে পারিবে।

(২) বোর্ডের ভিন্নতর নির্দেশ না থাকিলে, কমিশনার বা মহাপরিচালক তদধস্তন যেকোন মূসক কর্মকর্তাকে তাহার এখতিয়ারাধীন এলাকায় তাহার যেকোন ক্ষমতা প্রয়োগের কর্তৃত্ব প্রদান করিতে পারিবেন।

৮২। মূসক কর্মকর্তাকে সহায়তা প্রদান।-

 ৮২। মূসক কর্মকর্তাকে সহায়তা প্রদান।- (১) মূসক কর্মকর্তাকে এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালার অধীন তাহাদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ও আনসারের যেকোন সদস্য এবং ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ, আবগারি, শুল্কআয়কর এবং মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণকারী সকল সরকারি কর্মকর্তাসহ অন্য যেকোন 1[সরকারি কর্মকর্তা ব্যাংক, বীমা 2[চার্টাট একাউন্টেন্ট ফার্ম] কর্মকর্তা সহায়তা প্রদানে বাধ্য থাকিবেন।] 
(২) সহকারী কমিশনার পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এমন কোন মূসক কর্মকর্তা, তাঁহাকে সহায়তা করিবার উদ্দেশ্যে উপ—ধারা (১) এ উল্লিখিত কোন সদস্য, কর্তৃপক্ষ বা কর্মকর্তা বা অন্য কোন ব্যক্তিকে যেকোন ব্যক্তির স্থাবর—অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব, ব্যাংক এ্যাকাউন্টের হিসাব বিবরণী, দলিলাদিসহ অন্য যেকোন তথ্য সরবরাহের অনুরোধ করিতে পারিবেন এবং উক্ত অনুরোধের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট সদস্য, কর্তৃপক্ষ বা কর্মকর্তা তলবকৃত তথ্য সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবেন। 


1অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন) এর ধারা ৮৫ দ্বারা প্রতিস্থাপিত
2অর্থ আইন, ২০২১ (২০২১ সনের ১১ নং আইন) এর ধারা ৪৯ দ্বারা সন্নিবেশিত 

৮৩। মূসক কর্মকর্তার প্রবেশ ও তল্লাশির ক্ষমতা।-

[৮৩। মূসক কর্মকর্তার প্রবেশ ও তল্লাশির ক্ষমতা।- (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে নির্ধারিত পদ্ধতিতে কমিশনারের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এমন যেকোন মূসক কর্মকর্তা নিম্নবর্ণিত ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন, যথা:
 (ক) অর্থনৈতিক কার্যক্রমের স্থান, অঙ্গন, ঘরবাড়ি, যানবাহন, ইত্যাদিতে প্রবেশ ও তল্ল¬াশি; এবং ক্ষেত্রমত, জব্দকরণ ও আটক; এবং
 (খ) অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিদর্শন ও উহার রেকর্ডপত্র, নথিপত্র, দলিলাদি ও হিসাব পরীক্ষাকরণ ও জব্দকরণ। 
(২) উপ—ধারা (১) এ উল্লিখিত স্থান কাহারও আবাসস্থল হইলে, উক্ত কর্মকর্তাকে উক্ত স্থানের স্বত্বাধিকারী বা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা তত্ত্বাবধানকারীকে নির্ধারিত পদ্ধতিতে নোটিশ প্রদান করিতে হইবে এবং সুর্যাস্ত হইতে সুর্যোদয় পর্যন্ত সময়ে উক্তরূপ প্রবেশ করা যাইবে না। 
(৩) কোন ব্যক্তি এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির কোন বিধান লংঘন করিলে, সহকারী কমিশনার বা তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার মূসক কর্মকর্তা উক্ত ব্যক্তির ব্যাংক এ্যাকাউন্ট অপরিচালনযোগ্য (ভৎববুব) করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে নির্ধারিত পদ্ধতিতে, অনুরোধ করিতে পারিবেন।
2[(৪) উপ—ধারা (১) এ যাহা কিছু থাকুক না কেন, রাজস্ব কর্মকর্তর নিম্নে নহেন এমন কর্মকর্তা তাহার এখতিয়ারাধীন এলাকায় কোন নিবন্ধিত বা নিবন্ধনযোগ্য ব্যক্তির উৎপাদনস্থল বা সরবরাহস্থল বা সেবা প্রদানস্থল বা ব্যবসাস্থল পরিদর্শন এবং মজুদ পণ্য, সেবা, উপকরণ ও হিসাব পরীক্ষা করিতে পারিবেন।]


1অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন) এর ধারা ৮৬ দ্বারা প্রতিস্থাপিত
2অর্থ আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ০৯ নং আইন) এর ধারা ৭২ দ্বারা উপ—ধারা (৪) সংযোজিত

৮৪। পণ্য জব্দকরণ ও উহার নিষ্পত্তি।-

৮৪। পণ্য জব্দকরণ ও উহার নিষ্পত্তি।- (১) যদি কোন ব্যক্তি এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধান লংঘন করিয়া কোন পণ্য সরবরাহ করেন বা কোন সেবা প্রদান করেন, তাহা হইলে উক্ত পণ্য, বা সেবা প্রদানের সহিত 1[সংশ্লিষ্ট পণ্য, দলিলাদি ও যানবাহন কমিশনার বা মহাপরিচালক বা তৎকতৃর্ক ক্ষমতাপ্রাপ্ত মূসক কর্মকর্তা নির্ধারিত পদ্ধতিতে আটক,] জব্দ ও নিষ্পত্তি করিতে পারিবেন। 
(২) কোন কার্যধারা নিষ্পন্নাধীন থাকা অবস্থায় উপ—ধারা (১) এর অধীন জব্দকৃত পণ্য কমিশনার উহার মালিক বা প্রতিনিধির অনুকূলে নির্ধারিত শর্ত ও পদ্ধতিতে অন্তবতীর্কালীন ছাড় প্রদান করিতে পারিবেন। 


অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন ) এর ধারা ৮৭ দ্বারা প্রতিস্থাপিত   

৮৫। ব্যর্থতা বা অনিয়মের ক্ষেত্রে জরিমানা আরোপ।-

৮৫। 1[ব্যর্থতা বা অনিয়ম বা কর ফাকির ক্ষেত্রে] জরিমানা আরোপ।— (১) 
নিম্নবর্ণিত সারণীর কলাম (২) এ বর্ণিত 2[ব্যর্থতা, অনিয়ম বা কর ফাকির ক্ষেত্রে] 3[ধারা ৮৬ 
তে উল্লিখিত মূসক কর্মকর্তা] কলাম (৩) এ বর্ণিত জরিমানা আরোপ করিতে পারিবেন, যথা:— 

ক্রমিক নং ব্যার্থতা বা অনিয়ম জরিমানার পরিমান

(ক)

            

 নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে নিবন্ধন বা তালিকাভুি ক্তর

জন্য আবেদন না করিবার ব্যর্থতা বা অনিয়ম;    

১০ (দশ) হাজার টাকা মাত্র
(খ)           

নিবন্ধন বা টার্নওভার কর সনদপত্র যথাস্থানে প্রদর্শন না করিবার ব্যর্থতা বা অনিয়ম;

১০ (দশ) হাজার টাকা মাত্র

    (গ)    

                   

নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে অর্থনৈতিক কার্যক্রম সম্পর্কিত তথ্যের পরিবর্তন সম্পর্কে কমিশনারকে অবহিত না করিবার ব্যর্থতা বা অনিয়ম;

              

  ১০ (দশ) হাজার টাকা মাত্র
ঘ)         

 নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে নিবন্ধন বা তালিকাভুি ক্ত বাতিলের আবেদন না করিবার ব্যর্থতা বা অনিয়ম;             

  ১০ (দশ) হাজার টাকা মাত্র
(ঙ) 

ধারা ৯(৫) এর বিধান পরিপালন না করিবার ব্যর্থতা বা অনিয়ম; 

১০ (দশ) হাজার টাকা মাত্র
           (চ)            

নির্ধারিত তারিখের মধ্যে মসূ ক বা টার্নওভার কর দাখিলপত্র পেশ না করিবার ব্যর্থতা বা অনিয়ম;   

১০ (দশ) হাজার টাকা মাত্র
 (ছ)  

 দাখিলপত্রে উৎপাদ করের কোন পরিমাণ অন্তভর্ক্তু না করিবার ব্যর্থতা বা অনিয়ম;

 

অনুে ল্লখিত উৎপাদ করের 4[সমপরিমাণ]

(জ) 

দাখিলপত্রে প্রাপ্য উপকরণ করের রেয়াত অধিক গ্রহণ করিবার অনিয়ম;        

  অনিয়মিতভাবে M„nxZ 

উপকরণ করের 5[সমপরিমাণ]

(ঝ)     

 দাখিলপত্রে  n«vmKvix  সমন্বয়ের পরিমাণ e„w× করিবার

 

বা e„w×Kvix  mgš^‡qi পরিমাণ হ্রাস করিবার অনিয়ম; 

বর্ধিত হ্রাসকারী সমন্বয়ের

 

6[সমপরিমাণ] ev n«mK„Z e„w×Kvix mgš^‡qi wظY;  

()

কর চালানপত্র, ক্রেডিট নোট, ডেবিট নোট, সমন্বিত কর চালানপত্র বা উৎসে কর কর্তন সনদপত্র প্রদান না করিবার ব্যর্থতা বা অনিয়ম;

১০ (দশ) হাজার টাকা মাত্র

(ঠ)  

 নির্ধারিত জামানত প্রদান না করিবার ব্যর্থতা বা অনিয়ম;   

 ১০ (দশ) হাজার টাকা মাত্র
(ড)   

 আরোপিত কর নিরূপণ ও পরিশোধ ইচ্ছাকৃত  ভাবে

পরিহার বা পরিহারের চেষ্টা করিবার অনিয়ম       

পরিহারকৃত করের 7[সমপরিমাণ]
(ঢ) 

[নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপকরণ-উৎপাদ সহগ (Input- Output Coefficient) দাখিল করিবার ব্যর্থতহা বা অনিয়ম          

  ১০ (দশ) হাজার টাকা মাত্র

 

8[(১ক) ধারা ৪৯ এর বিধান অনুযায়ী উৎসে মূল্য সংযোজন কর কর্তন এবং জমা প্রদানের বাধ্যকতা থাকা সেও¦ উৎসে মূল্য সংযোজন কর কর্তনকারী উক্ত ধারার অধীন উৎসে মূল্য সংযোজন কর কর্তন ও জমা প্রদানে ব্যর্থ হইলে—
 (অ) ধারা ১২৭ অনুযায়ী আরোপিত সুদসহ উক্ত মূল্য সংযোজন কজর তাহার নিকট হইতে এইরূপে আদায় করা হইবে যেন তিনি উক্ত ধারার অধীন একজন পণ্য বা সেবা সরবরাহকারী;
 (আ) দফা (অ) এর বিধানাবলী ক্ষুন্ন না করিয়া উৎসে কর্তিত মূল্য সংযোজন কর নিধার্রিত সময়ের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা প্রধানে ব্যর্থ হইলে সংশ্লিষ্ট মূল্য সংযোজন কর কর্তনকারী ব্যক্তি, কর্তিত মূল্র সংযোজন কর জমা প্রদানে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী কর্মকর্তাকে সংশ্লিষ্ট কমিশনার অনধিক ২৫,০০০ (পঁচিশ হাজার) টাকা ব্যক্তিগত জরিমানা করিতে পারিবেন।] 
 (২) অপরাধ বা উপ—ধারা (১) এ উল্লিখিত 9[ব্যর্থতা, অনিয়ম বা কর ফাকি] ব্যতীত যদি কোন ব্যক্তি এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালার বিধান অনুযায়ী করণীয় কোন কিছু করিতে ব্যর্থ হন বা নিষিদ্ধ কিছু করেন, তাহা হইলে 10[ধারা ৮৬ তে উল্লিখিত মূসক কর্মকর্তা] কমিশনার উক্ত ব্যক্তিকে উক্ত ব্যর্থতা বা কর্মকাণ্ডের গুরুত্ব ও পৌনঃপুনিকতাভেদে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও পরিমাণে, জরিমানা আরোপ করিতে পারিবেন।
 (৩) কোন ঘটনায় অপরাধ ও ব্যর্থতা বা অনিয়মের উপাদান থাকিলে অপরাধের জন্য ফৌজদারী মামলা এবং ব্যর্থতা বা অনিয়মের জন্য কার্যধারা গ্রহণে এই আইনের কোন কিছুই 11[ধারা ৮৬ তে উল্লিখিত প্রত্যেক মূসক কর্মকর্তা] কমিশনারকে বাধাগ্রস্ত করিবে না। 
 (৪) 12[ধারা ৮৬ তে উল্লিখিত প্রত্যেক মূসক কর্মকর্তা] এই ধারার অধীন জরিমানা আরোপের পূর্বে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে 13[উপ—ধারা (১) এর সারণীয় (১) নং কলামের ক্রমিক নং 
(চ) এর ক্ষেত্র ব্যতীত,] নোটিশের মাধ্যমে শুনানির সুযোগ প্রদান কিরেবেন।
 (৫) মূসক, সম্পূরক শুল্ক, টার্নওভার কর, সুদ ও অর্থদণ্ডের অতিরিক্ত হিসাবে জরিমানা প্রদেয় হইবে।


1অর্থ আইন, ২০২১ (২০২১ সনের ১১ নং আইন) এর ধারা ৫০ (ক) দ্বারা “ব্যর্থতা বা অনিয়মের ক্ষেত্রে” এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত
2অর্থ আইন, ২০২১ (২০২১ সনের ১১ নং আইন) এর ধারা ৫০ (খ) দ্বারা “ব্যর্থতা বা অনিয়মের ক্ষেত্রে” এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত
3অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন) এর ধারা ৮৮ এর দফা (ক) দ্বারা ‘কমিশনারের’ পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত এবং সারণিতে দফা (ঢ) সন্নিবেশিত
4অর্থ আইন, ২০২১ (২০২১ সনের ১১ নং আইন) এর ধারা ৫০ (গ) দ্বারা “দ্বিগুন” এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত

5অর্থ আইন, ২০২১ (২০২১ সনের ১১ নং আইন) এর ধারা ৫০ (গ) দ্বারা “দ্বিগুন” এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত

6অর্থ আইন, ২০২১ (২০২১ সনের ১১ নং আইন) এর ধারা ৫০ (গ) দ্বারা “দ্বিগুন” এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত

7অর্থ আইন, ২০২১ (২০২১ সনের ১১ নং আইন) এর ধারা ৫০ (গ) দ্বারা “দ্বিগুন” এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত

8অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন) এর ধারা ৮৮ এর দফা (খ) দ্বারা উপ—ধারা (১ক) সন্নিবেশিত
9অর্থ আইন, ২০২১ (২০২১ সনের ১১ নং আইন) এর ধারা ৫০ এর দফা (ঘ) দ্বারা ‘ব্যর্থতা ও অনিয়মের’ পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত
10অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন) এর ধারা ৮৮ এর দফা (ক) দ্বারা “কমিশনার” শব্দটির পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত
11অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন) এর ধারা ৮৮ এর দফা (গ) দ্বারা “কমিশনারকে” শব্দটির পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত
12অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন) এর ধারা ৮৮ এর দফা (ঘ) (অ) দ্বারা প্রত্যেক “কমিশনার” শব্দটির পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত
13অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন) এর ধারা ৮৮ এর দফা (ঘ) (আ) দ্বারা সন্নিবেশিত

 

  

৮৬। ন্যায় নির্ণয়ার্থ (adjudication) কার্যধারা গ্রহণে মূসক কর্মকর্তাগণের আর্থিক সীমা।-

 ৮৬। (১) এই আইন বা তদধীন প্রণীত কোন বিধির উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বা করারোপ ও আদায়ের লক্ষ্যে—

(ক) আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে, শুল্ক কর্মকর্তাগণ শুল্ক আইনের অধীন কার্যধারা গ্রহণ করিবেন; এবং
 (খ) পণ্য বা সেবা সরবরাহের ক্ষেত্রে, মূসক কর্মকর্তাগণ এই আইনের অধীন, নিম্নবর্ণিত সারণীতে উল্লিখিত আর্থিক ক্ষমতা সাপেক্ষে, কার্যধারা গ্রহণ করিবেন, যথা:

ক্রমিক নং কর্মকর্তা ক্ষমতা
(১) (2) (3)
(ক)

কমিশনার 

        

পণ্য মূল্য বা করযোগ্য সেবা মূল্য 40 (চল্লিশ ) লক্ষ  টাকার অধিক হেইলে;  
(খ)  অতিরিক্ত কমিশনার  পণ্য মূল্য বা করযোগ্য সেবা মূল্য অনধিক 40 (চল্লিশ ) লক্ষ টাকা হইলে 
(গ) যুগ্ন কমিশনার  পণ্য মূল্য বা করযোগ্য সেবা মূল্য অনধিক 30 (ত্রিশ) লক্ষ টাকা হইলে ;
(ঘ) উপ- কমিশনার  পণ্য মূল্য বা করযোগ্য সেবা মূল্য অনধিক 20 (বিশ) লক্ষ টাকা হইলে ;
(ঙ) সহকারী কমিশনার  পণ্য মূল্য বা করযোগ্য সেবা মূল্য অনধিক ১0 (দশ) লক্ষ টাকা হইলে ;
(চ) রাজস্ব কর্মকর্তা পণ্য মূল্য বা করযোগ্য সেবা মূল্য অনধিক 04 (চার) লক্ষ টাকা হইলে ;

তবে শর্ত থাকে যে, যেসকল কার্যধারার বিষয়বস্তুর সহিত কোন আর্থিক সংশ্লেষ নাই তথা অনিয়ম সংক্রান্ত, সেই সকল কার্যধারা 2[সহকারী কমিশনারের নিম্নে নহেন এমন কোন কর্মকর্তা] কর্তৃক নিষ্পত্তি করিতে হইবে। 
 (২) প্রত্যেক মূসক কর্মকর্তা এই ধারার অধীন গৃহীত প্রত্যেক কার্যধারায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নোটিশের মাধ্যমে শুনানির সুযোগ প্রদান করিবেন।
3[(৩) যদি কোন ব্যক্তি তৎকতৃর্ক 4[ব্যর্থতা, অনিয়ম বা কর ফাকির ক্ষেত্রে] সংক্ষিপ্ত ন্যায় নির্ণয়ন এর আবেদন করেন, তবে সেক্ষেত্রে ন্যায় নির্ণয়কারী কর্মকর্তা কারণ দর্শানো নোটিশ জারি ও শুনানি গ্রহণ ব্যতিরেকে উক্ত ক্ষেত্রে নির্ণয়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করিতে পারিবেন।]

 


 অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন) এর ধারা ৮৯ দ্বারা প্রতিস্থাপিত

2অর্থ আইন, ২০২১ (২০২১ সনের ১১ নং আইন) এর ধারা ৮১ এর দফা (ক) দ্বারা ‘নির্ধারিত মূসক কর্মকর্তা’ এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত
3অর্থ আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ০৯ নং আইন) এর ধারা ৭৩ দ্বারা উপ—ধারা (৩) সংযোজিত
4অর্থ আইন, ২০২১ (২০২১ সনের ১১ নং আইন) এর ধারা ৫০ এর দফা (খ) দ্বারা ‘ব্যর্থতা ও অনিয়মের’ পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত

৮৭। সমন প্রেরণ।-

৮৭ সমন প্রেরণ :- (১) রাজস্ব কর্মকর্তার নিম্নে নহেন এমন কোন মূসক কর্মকর্তা এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালার অধীন ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনে যে কোন ব্যক্তিকে সাক্ষ্য প্রদান ও দলিলাদি উপস্থাপনের জন্য সমন প্রেরণ করিতে পারিবেন।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন সমনকৃত যে কোন ব্যক্তি উক্ত কর্মকর্তার নির্দেশ অনুযায়ী সশরীরে বা প্রতিনিধির মাধ্যমে উপস্থিত হইতে বাধ্য থাকিবেন: তবে শর্ত থাকে যে, দেওয়ানী কার্যবিধির ধারা ১৩২ ও ১৩৩ এর অধীন সশরীরে উপস্থিত হইতে অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে সশরীরে উপস্থিত হওয়ার জন্য সমন প্রেরণ করা যাইবে না।