সপ্তদশ অধ্যায় : আপীল ও রিভিশন

Displaying 1-5 of 5 results.

১২১। কমিশনার (আপীল) এর নিকট আপীল।-


[১২১। কমিশনার (আপীল) এর নিকট আপীল।- (১) এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালার অধীন অতিরিক্ত কমিশনার বা তৎনিম্ন পদধারী মূসক কর্মকর্তা কর্তৃক গৃহীত কোন সিদ্ধান্ত বা প্রদত্ত কোন আদেশ দ্বারা কোন করদাতা বা মূসক কর্মকর্তা সংক্ষুব্ধ হইলে, তিনি নির্ধারিত পদ্ধতিতে পদ্ধতিতে পণ্য বা সেবা সরবরাহের ক্ষেত্রে ধারা ৯৫ এর অধীন প্রদত্ত কোন আটক বা বিক্রয় আদেশ অথবা পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে কাস্টমস আইনের ধারা ৮২ বা ৯৮ এর অধীন কোন আদেশ ব্যতীত, উক্ত সিদ্ধান্ত বা আদেশ জারির ৯০ (নব্বই) দেিনর মধ্যে কমিশনার (আপীল) এর নিকট আপীল দায়ের করিতেহ পারিবেন।
       (২) মূসক কর্মকর্তা ব্যতীত কোন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি কর্তৃক উপ-ধারা (১) এর অধীন আপীল দায়ের করিবার ক্ষেত্রে, তাহাকে উক্ত আপীল দায়েরকালে তর্কিত আদেশে উল্লিখিত  দাবিকৃত করের দশ শতাংশ বা দাবিকৃত কর না থাকিলে, আরোপিত জরিমানার দশ শতাংশ পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করিতে হইবে। তবে শর্ত থাকে যে, যদি কমিশনার (আপীল) এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, আপীলকারী যক্তিসঙ্গত কারণে উপরি-উক্ত ৯০ (নব্বই) দিগন মেয়াদের মধ্যে আপীল দায়ের করিতে সক্ষম হন নাই, তাহা ইলে তিনি আপীলকারীকে উক্ত মেয়াদের পরবর্তী ৬০ (ষাট) দিনের মেধ্য আপীল দায়ের কবিরবার জন্য অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন।
(৩)কমিশনার (আপীল) নির্ধারিত পদ্ধতিতে পক্ষগণকে যথাযথ শুনানির সুযোগ প্রদান করিয়া, সর্বোচ্চ ১ (এক) বৎসরের মধ্যে আপীল কার্যক্রম নিষ্পত্তি করিবেন।
(৪) কমিশনার (আপীল) তর্কিত আদেশ বা সিদ্ধান্ত বহাল রাখিতে বা পরিবর্তন করিতে বা বাতিল করিতে বা তিনি যেরূপ সঙ্গত মনে করিবেন, সেইরূপ আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন: তবে শর্ত থাকে যে, প্রাথমিক পর্যায়ে (ফব হড়াড়) তিনি কার্যধারাটি পুনর্বিবেচনার জন্য রিমান্ডে প্রেরণ করিবেন না।
(৫)আপীল নিষ্পত্তি করিবার প্রয়োজনে কমিশনার (আপীল), নির্ধারিত পদ্ধতি ও সময়ে তর্কিত বিষয়ে অধিকতর নিরীক্ষা, তদন্ত অনুষ্ঠান, তথ্য সংগ্রহ বা কার্যধারার যথার্থতা যাচাই করিতে পারিবেন।
(৬) এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি কমিশনার (আপীল) নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে আপীল নিষ্পত্তি করিতে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে আপীলটি কমিশনার (আপীল) কর্তৃক মঞ্জুর করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।


অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন ) এর ধারা ৯৮  দ্বারা প্রতিস্থাপিত

 

১২২। আপীলাত ট্রাইব্যুনালে আপীল।-

[১২২। আপীলাত ট্রাইব্যুনালে আপীল।- (১) কমিশনার বা কমিশনার (আপীল) বা মহাপরিচালক বা সমমর্যাদার কোন মূসক কর্মকর্তা কতৃর্ক এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালার অধীন প্রদত্ত কোন আদেশ বা সিদ্ধান্ত দ্বারা কোন ব্যক্তি বা মূসক কর্মকর্তা সংক্ষুব্ধ হইলে, তিনি নির্ধারিত পন্য বা সেবা সরবরাহের ক্ষেত্রে, ধারা ৯৫ এর অধীন প্রদত্ত কোন আটক বা বিক্রয় আদেশে অথবা পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে, কাস্টমস আইনের ধারা ৮২ বা ৯৮ এর অধীন কোন আদেশ ব্যতীত, তর্কিত সিদ্থান্ত বা আদেশ জরীর ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে আপীলাত ট্রাইব্যুনালে আপীল দায়ের করিতে পারিবেন।

2[(২) মূসক কর্মকর্তা ব্যতীত, অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক উপ—ধারা (১) এর অধীন আপীল দায়ের করিবার ক্ষেত্রে, তাহাকে উক্ত আপীল দায়েরকালে তর্কিত আদেশে উল্লিখিত দাবিকৃত করের ২০(বিশ) শতাংশ পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করিতে হইবে।
তবে উপ—ধারা (১) অনুযায়ী কমিশনার (আপীল) কতৃর্ক প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপীলাত ট্রাইবুনাল এ আপীল দায়ের করা হইলে সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তিকে তাহার উপর দাবীকৃত কর বা আরোপিত অর্থদন্ডের কোনর অংশ জমা প্রদান করিতে হইবে না।]
(৩) আপীলাত ট্রাইব্যুনাল আপীলের পক্ষগণের শুনানি গ্রহণের পর অন্তর্বর্তীকালীন কর আদায়ের স্থগিতাদেশসহ যেরূপ সঙ্গত এবং সমীচীন মনে করিবেন সেইরূপ আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন। 
(৪)কর আদায় স্থগিতকরণ সংক্রান্ত আপীলাত ট্রাইব্যুনালের যেকোন অন্তবর্তীকালীন আদেশ, উহা প্রদানের তারিখ হইতে ৬ (ছয়) মাস অতিবাহিত হইবার পরের দিবসে অকার্যকর হইবে, যদি না কার্যধারাটি চূড়ান্তভাবে নিষ্পন্ন করা হয়, বা উহার পূর্বে আপীলাত ট্রাইব্যুনাল কতৃর্ক অন্তর্বর্তী আদেশ প্রত্যাহার করা হয়। 
(৫) এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধিমালায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি আপীলাত ট্রাইব্যুনাল ২ (দুই) বৎসর সময়সীমার মধ্যে আপীলটি নিষ্পত্তি করিতে ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে আপীলটি আপীলাত ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক মঞ্জুর করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
3[(৫ক) এই আইনের অন্যান্য বিধানে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, প্রাকৃতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারী, দৈব—দুর্বিপাক বা যুদ্ধের কারণে জনস্বার্থে সরকার উক্তরূপ আপৎকালীন সময়ের জন্য আপীলাত ট্রাইবুনাল কতৃর্ক আপীল নিষ্পত্তির সময়সীমা আদেশ দ্বারা বৃদ্ধি করিতে পারিবে। 
(৫খ) উপ—ধারা (৫ক) এ উল্লিখিত সময়সীমা বৃদ্ধির আদেশ ভূতাপেক্ষভাবে কার্যকরতা প্রদান করা যাইবে]। 
(৬)আপীলাত ট্রাইব্যুনাল এবং উহার বেঞ্চসমূহের কর্মপদ্ধতি উক্ত ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক নির্ধারিত হইবে। 
(৭) আপীলাত ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম দন্ডবিধি, ১৮৬০ (১৮৬০ সনের ৪৫ নং আইন) এর ধারা ১৯৩ এবং ধারা ২২৮ এর অধীন বিচার বিভাগীয় কার্যধারা হিসাবে গণ্য হইবে এবং উহা দেওয়ানী কার্যবিধির অধীন একটি দেওয়ানী আদালত হিসাবে গণ্য হইবে।


অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন) এর ধারা ৯৯ দ্বারা প্রতিস্থাপিত

2অর্থ আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ০৯ নং আইন) এর ধারা ৭৬(ক) দ্বারা “১০(দশ)” ্এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত
3অর্থ আইন, ২০২০ (২০২০ সনের ০৯ নং আইন) এর ধারা ৭৬(খ) দ্বারা সন্নিবেশিত

১২৩। কার্যধারায় সাক্ষ্য প্রমাণের দায়।-

১২৩। কার্যধারায় সাক্ষ্য প্রমাণের দায়।- (১) কমিশনার (আপীল) ও আপীলাত ট্রাইব্যুনালের কোন কার্যধারায় বিচার্য বিষয় প্রমাণের ক্ষেত্রে নির্ধারিত পদ্ধতিতে কমিশনার কর্তৃক প্রদত্ত হলফনামা চূড়ান্ত প্রমাণ হিসাবে গণ্য হইবে, যদি না করদাতা উক্ত হলফনামার বিষয়টি খন্ডন করিয়া ভিন্নরূপ প্রমাণ পেশ করিতে পারেন।
   (২) উক্ত হলফনামার সহিত কমিশনার কর্তৃক ইস্যুকৃত নোটিশ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য
দলিল সংযুক্ত করিতে হইবে।

 

১২৪। হাইকোর্ট বিভাগে রিভিশন।-

১২৪। হাইকোর্ট বিভাগে 1[আপিল]।— (১) বোর্ড বা আপীলাত ট্রাইব্যুনালের আদেশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা কমিশনার বা মহাপরিচালক পদমর্যাদার নিম্নে নহেন, এমন কোন মূসক কর্মকর্তা, উক্ত আদেশের আইনগত প্রশ্নে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে 2[আপিলের] আবেদন দাখিল করিতে পারিবেন। 
 (২) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উক্ত 3[আপিলের] বিষয়ে, যতদূর সম্ভব দেওয়ানী কার্যবিধির বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে। 
 (৩) উপ—ধারা (১) এর অধীন হাইকোর্ট বিভাগে 4[আপিলের] আবেদন দাখিলের ক্ষেত্রে, তামাদি আইন, ১৯০৮ এর ধারা ৫ প্রযোজ্য হইবে। 
(৪) মূসক কর্মকর্তা ব্যতীত, অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক উপ—ধারা (১) এর অধীন হাইকোর্ট বিভাগে 5[আপিলের] আবেদন 
দাখিলের ক্ষেত্রে, তাহাকে তর্কিত আদেশে উল্লিখিত প্রদেয় করের বা জরিমানার ১০ (দশ) শতাংশ অর্থ পরিশোধ করিতে হইবে।

1অর্থ আইন, ২০২১ (২০২১ সনের ১১ নং আইন) এর ধারা ৫৬(ক) “রিভিশন” ্এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত
2অর্থ আইন, ২০২১ (২০২১ সনের ১১ নং আইন) এর ধারা ৫৬(খ) “রিভিশন” ্এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত
3অর্থ আইন, ২০২১ (২০২১ সনের ১১ নং আইন) এর ধারা ৫৬(খ) “রিভিশন” ্এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত
4অর্থ আইন, ২০২১ (২০২১ সনের ১১ নং আইন) এর ধারা ৫৬(খ) “রিভিশন” ্এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত
5অর্থ আইন, ২০২১ (২০২১ সনের ১১ নং আইন) এর ধারা ৫৬(খ) “রিভিশন” ্এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত

১২৫। বিকল্প উপায়ে বিরোধ নিষ্পত্তি।-

১২৫। বিকল্প উপায়ে বিরোধ নিষ্পত্তি।- (১) এই আইনের অন্য কোন বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন করদাতা নির্ধারিত পদ্ধতি, শর্ত বা সময়ে কোন বিরোধ বিকল্প উপায়ে নিষ্পত্তির জন্য নির্ধারিত প্যানেল হইতে তৎকর্তৃক নির্বাচিত কোন সহায়তাকারীর নিকট আবেদন করিতে পারিবেন এবং সহায়তাকারী নির্ধারিত পদ্ধতি, শর্তে বা সময়ে উক্ত বিরোধ বিকল্প উপায়ে সমঝোতার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে
পারিবেন।
   (২) বোর্ড, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিকল্প উপায়ে বিরোধ নিষ্পত্তির আবেদন প্রক্রিয়াকরণের জন্য, সময়ে সময়ে, এক বা একাধিক মূল্য সংযোজন কর কমিশনারেট নির্ধারণ করিতে পারিবে।
   (৩) কোন বিরোধ বিকল্প উপায়ে সমঝোতার ভিত্তিতে নিষ্পত্তি হইলে, উক্ত সমঝোতার বিরুদ্ধে কোন আদালতে আপত্তি উত্থাপন করা যাইবে না এবং যেসকল বিরোধ বিকল্প উপায়ে সমঝোতার ভিত্তিতে নিষ্পত্তি করা সম্ভব হইবে না, সেই সকল বিরোধের ক্ষেত্রে, এই আইনের বিধানানুযায়ী পুনরায় কার্যধারা গ্রহণ করিতে হইবে।
   (৪)কোন বিরোধ বিকল্প উপায়ে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে নিষ্পত্তি করা সম্ভব না হইলে, উক্ত পন্থা অবলম্বনের জন্য ব্যয়িত সময়কাল আপীল দায়েরের সময়সীমা গণনায় অন্তর্ভুক্ত হইবে না।

ব্যাখ্যা: এই ধারায়, “বিরোধ” অর্থ এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির প্রয়োগ হইতে উদ্ভূত কোন বিরোধ; কিন্তু [জালিয়াত বা ফৌজদারি] অপরাধ বা আইনগত প্রশ্ন জড়িত রহিয়াছে এমন বিরোধ উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না।


অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন ) এর ধারা ১০০ দ্বারা সন্নিবেশিত