রিটার্ন দাখিলের পদ্ধতি

রিটার্ন দাখিলের পদ্ধতি

বর্তমানে রিটার্ন দাখিলের জন্য দু’টি পদ্ধতি প্রচলিত আছে। যথাঃ সাধারণ পদ্ধতি ও সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতি। নিম্নে পদ্ধতি দু’টি স¤পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ

সাধারণ পদ্ধতিঃ সাধারণ পদ্ধতির আওতায় দাখিলকৃত রিটার্নের ক্ষেত্রে প্রাপ্তি স্বীকারপত্রটি কর নিধার্রণী আদেশ (assessment order) বলে গণ্য হয় না। রিটার্ন দাখিলের পর উপ কর কমিশনার কর নিধার্রণ করেন। করদাতা কতৃর্ক রিটার্নে প্রদর্শিত তথ্য উপ কর কমিশনারের নিকট সঠিক মনে হলে তিনি করদাতাকে শুনানীতে না ডেকেই কর নিধার্রণ করতে পারেন। আবার প্রদর্শিত আয়ের সমর্থনে যথোপযুক্ত তথ্য ও প্রমাণাদি না থাকলে বা উপ কর কমিশনার প্রয়োজন মনে করলে করদাতাকে শুনানীতে উপস্থিত হতে অনুরোধ করে করদাতার বক্তব্য, তথ্য, প্রমাণাদি বিবেচনায় নিয়ে কর নিধার্রণ করতে পারেন।

সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিঃ সার্বজনীন স্বনিধার্রনী পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে করদাতা তার নিজের আয় নিজে নিরূপণ করে প্রযোজ্য আয়কর পরিশোধ করেন। ২০২১—২০২২ কর বছরে কোন ১২—ডিজিট টিআইএনধারী ব্যক্তি—করদাতা রিটার্নে প্রদর্শিত মোট আয়ের উপর প্রযোজ্য সমুদয় আয়কর ও সারচার্জ পরিশোধপূর্বক ৩০ নভেম্বর ২০২১ তারিখের মধ্যে বা উপ কর কমিশনার কতৃর্ক মঞ্জুরিকৃত বর্ধিত সময়ের মধ্যে সার্বজনীন স্বনিধার্রনী পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিল করতে পারেন। করদাতার ১২—ডিজিট টিআইএন না থাকলে করদাতা সার্বজনীন স্বনিধার্রনী পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন না । তাছাড়া , মোট আয়ের প্রযোজ্য সমুদয় আয়কর ও সারচার্জ পরিশোধ করা না হলে অথবা ৩০ নভেম্বর ২০২১ তারিখের মধ্যে বা উপ কর কমিশনার কতৃর্ক মঞ্জুরিকৃত বর্ধিত সময়ের মধ্যে দাখিলকৃত না হলে করদাতার রিটার্ন সার্বজনীন স্বনিধার্রনী পদ্ধতির আওতায় পড়বে না। বর্ণিত সকল শর্ত পূরণ করে সার্বজনীন স্বনিধার্রনী পদ্ধতির আওতায় রিটার্ন দাখিল করা হলে আয়কর বিভাগ থেকে করদাতাকে যে প্রাপ্তিস্বীকারপত্র প্রদান করা হয় তা—ই কর নিধার্রণী আদেশ(Assesment order) বলে গণ্য হয়।

About Author

Profile Picture

Golden Bangladesh

Golden Bangladesh is a point of access to information.We present information from diverse sources in a unified way. It is the leading web portal, e-Directory and business guide in Bangladesh.

Leave a Comment