Paripatra-2016-2017

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড
রাজস্ব ভবন
সেগুনবাগিচা, ঢাকা।

নথি নং-০৮.০১.০০০০.০৩০.০৩.০১০.২৭৭ তারিখঃ ৩ ভাদ্র, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ ১৮ আগস্ট, ২০১৬ খ্রিস্টাব্দ
পরিপত্র-০১ (আয়কর)/২০১৬-১৭

বিষয়ঃ ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরের বাজেট কার্যক্রমের আওতায় আয়কর আইন, বিধিও প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আনীত পরিবর্তন সম্পর্কিত স্পষ্টীকরণ।

অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর ও সারচার্জের হার নির্ধারণ এবং আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ তে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হয়েছে। আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর আওতায় জারীকৃত বিভিন্ন এস, আর, ও এর মাধ্যমে আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ তে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনাসহ বিভিন্ন করহার পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। নব প্রবর্তিত ও সংশোধিত আইন, বিধি ও প্রজ্ঞাপনসমুহের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিতকল্পে ও করদাতাদের সংশ্লিষ্ট বিধি বিধানসমূহ সহজভাবে অবহিত করার লক্ষ্যে আনীত সংযোজন/সংশোধন/পরিবর্তন/পরিমার্জনসমূহ নিম্নমূপে উপস্থাপন করা হলোঃ

১। ২০১৬-২০১৭ কর বছরের জন্য প্রযোজ্য আয়কর হার

(ক) ব্যক্তি করদাতাসহ অন্যান্য করদাতার (কোম্পানী ব্যতীত) জন্য সাধারণ করহার
অর্থ আইন, ২০১৬ তে বর্ণিত করহারের তফসিল অনুযায়ী প্রত্যেক ব্যক্তি-করদাতা (অনিবাসী বাংলাদেশীসহ), হিন্দু যৌথ পরিবার, অংশীদারী ফার্ম, ব্যক্তি-সংঘ ও আইনের দ্বারা সৃষ্ট কৃত্রিম ব্যক্তিসহ অন্যান্য করদাতার ক্ষেত্রে মোট আয়ের উপর আয়করের হার হবে নিম্নরূপঃ

  মোট আয় কর হার
(১) প্রথম ২,৫০,০০০/- টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর শূন্য
(২) পরবর্তী ৪,০০,০০০/-টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর ১০%
(৩) পরবর্তী ৫,০০,০০০/-টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর ১৫%
(৪) পরবর্তী ৬,০০,০০০/-টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর ২০%
(৫) পরবর্তী ৩০,০০,০০০/-টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর ২৫%
(৬) অবশিষ্ট মোট আয়ের উপর ৩০%

তবে, উপরোল্লিখিত কর হার করদাতার মর্যাদা নির্বিশেষে সিগারেট, বিড়ি, জর্দা, গুলসহ সকল প্রকার তামাকজাত পণ্য প্রস্তুতকারক করদাতার উক্ত ব্যবসায় হতে অর্জিত আয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
মহিলা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি (person with disability) এবং গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার ক্ষেত্রে করমুক্ত সীমা হবে নিম্নমূপ:
(১) মহিলা করদাতা এবং ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের করদাত: ৩,০০,০০০/- টাকা;
(২) প্রতিবন্ধী ব্যক্তি করদাতা: ৩,৭৫,০০০/- টাকা;
(৩) গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত করদাতা: ৪,২৫,০০০/- টাকা:
কোন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতামাতা বা আইনানুগ অভিভাবকের জন্য করমুক্ত সীমা ২৫,০০০/- টাকা বেশী হবে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতা ও মাতা উভয়েই করদাতা হলে যে কোন একজন এ সুবিধা পাবেন।
উদাহরণ ১-১
জনাব সাব্বির চৌধুরী এবং তার স্ত্রী মিজ্ অর্পা চৌধুরী দু’জনেই করদাতা এবং তাদের একজন সন্তান প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংজ্ঞা অনুযায়ী বিবেচিত একজন প্রতিবন্ধী। ২০১৬-১৭ কর বছরে জনাব সাব্বির চৌধুরীর মোট আয় ৫,০০,০০০/- টাকা এবং মিজ্ অর্পা চৌধুরীর মোট আয় ৩,২০,০০০/-। যদি জনাব সাব্বির চৌধুরী প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতা হিসেবে ২৫,০০০/-টাকা অতিরিক্ত করমুক্ত সীমার সুবিধা গ্রহণ করেন তাহলে তার মোট আয়ের উপর আরোপযোগ্য আয়করে পরিমাণ হবে নিম্নরূপঃ
মোট আয় …………………………………………………… ৫,০০,০০০/-
বাদ: করমুক্ত সীমা (২,৫০,০০০+২৫,০০০) ………………………………. ২,৭৫,০০০/-
অবশিষ্ট ……………………………………………………২,২৫,০০০/-
মোট আয়ের উপর প্রযোজ্য আয়কর (২,২৫,০০০x১০%) ২২,৫০০/-
আর যদি মিজ্ অর্পা চৌধুরী প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মাতা হিসেবে ২৫,০০০/-টাকার অতিরিক্ত করমুক্ত সীমার সুবিধা গ্রহণ করেন তাহলে তার মোট আয়ের উপর আরোপযোগ্য আয়করের পরিমাণ হবে নিম্নমূপ:
মোট আয় ………………………………………………….. ৩,২০,০০০/-
বাদ: করমুক্ত সীমা (৩,০০,০০০+২৫,০০০) …………………………৩,২৫,০০০/-
মোট আয়ের উপর প্রযোজ্য আয়কর ………………………………শূন্য
জনাব সাব্বির চৌধুরী এবং মিজ্ অর্পা চৌধুরীর মধ্যে যে কোন একজন অতিরিক্ত করমুক্ত সীমার সুবিধা প্রাপ্য হবেন।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বলতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৩৯ নং আইন) এর ৩১ ধারা মোতাবেক প্রতিবন্ধী হিসেবে নিবন্ধিত কোন ব্যাক্তকে বুঝাবে।
মোট আয়ের পরিমাণ করমুক্ত সীমার অধিক হলে প্রদেয় ন্যূনতম আয়করের পরিমাণ হবে নিম্নরূপ;

এলাকা ন্যূনতম করের হার (টাকা)
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং চট্রগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত করদাতা ৫,০০০/-
অন্যান্য সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত করদাতা ৪,০০০/-
সিটি কর্পোরেশন ব্যতীত অন্যান্য এলাকায় অবস্থিত করদাতা ৩,০০০/-

করমুক্ত সীমার উর্ধ্বে আয় আছে এমন করদাতার প্রদেয় আয়করের পরিমাণ বা বিনিয়োগজনিত কর রেয়াত বিবেচনার পর প্রদেয় আয়করের পরিমাণ ন্যূনতম আয়করের চেয়ে কম, শূন্য বা ঋণত্মক হলেও তাকে প্রযোজ্য হারে ন্যূনতম আয়কর পরিশোধ করতে হবে।
কোন করদাতা স্বল্প উন্নত এলাকা বা সবচেয়ে কম উন্নত এলাকায় অবস্থিত কোন ক্ষুদ্র বা কুটির শিল্পের মালিক হলে এবং উক্ত ক্ষুদ্র বা কুটির শিল্পের দ্রব্যাদি উৎপাদনে নিয়োজিত থাকলে উক্ত করদাতার সে ক্ষুদ্র বা কুটির শিল্প হতে উদ্ভূত আয়ের উপর নিম্নবর্ণিত হারে আয়কর রেয়াত প্রযোজ্য হবে:

  বিবরণ রেয়াতের হার
(১) যেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বছরের উৎপাদনের পরিমাণ পূবৃবর্তী বছরের উৎপাদনের পরিমাণের তুলনায় ১৫% এর অধিক, কিন্ত ২৫% এর অধিক নয় উক্ত আয়ের উপর প্রদেয় আয়করের ৫%
(২) যেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বছরের উৎপাদনের পরিমাণ পূর্ববর্তী বছরের উৎপাদনের পরিমাণের তুলনায় ২৫% এর অধিক উক্ত আয়ের উপর প্রদেয় আয়করের ১০%।

(খ) কোম্পানি ব্যতীত নিদির্ষ্ট শ্রেণির করদাতার উপর সর্বোচ্চ করহার
কোম্পানী ব্যতীত নিম্নোক্ত অন্যান্য শ্রেণির করদাতার উপর নিম্নমূপ সর্বোচ্চ হারে আয়কর আরোপিত <

করদাতার শ্রেণি করহার
(১) মোম্পানী নয়, বাংলাদেশে অনিবাসী (অনিবাসী বাংলাদেশী ব্যতীত ) এরূফ ব্যক্তি শ্রেণির ভুক্ত করদাতার ক্ষেত্রে আয়ের উপর– ৩০%
(২) কোম্পানী নয়, সিগারেট, বিড়ি, জর্দা, গুলসহ সকল প্রকার তামাকজাত পণ্য প্রস্তুতকারক এরূপ করদাতার উক্ত ব্যবসায় হতে অর্জিত আয়ের উপর– ৪৫%
(৩) সমবায় সমিতি আইন, ২০০১ অনুযায়ী নিবন্ধিত সমবায় সমিতির ক্ষেত্রে আয়ের উপর– ১৫%

(গ) কোম্পানীর করহার
কোম্পানী করদাতার জন্য বিদ্যমান করহার ২০১৬-১৭ কর বছরেও বহাল থাকবে। তবে বিড়ি, জর্দা, গুলসহ সকল তামাকজাত পণ্য প্রস্তুতকারক কোম্পানীর করহার সিগারেট প্রস্তুতকারকের অনুরূপ ৪৫ শতাংশ করা হয়েছে।
২০১৬-২০১৭ কর বছরের জন্য কোম্পানীর আয়করের হার (লভ্যাংশ আয় ও মূলধনী আয় ব্যতীত ) নিম্নরূপ:

  কোম্পানীর ধরণ কর হার সম্ভব্য
(১) নন-পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানী (স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানী) ৩৫%  
(২) পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানী (স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানী) ২৫% শর্ত:যদি এরূপ কোম্পানী যা Publicly traded company নয়, তার পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ২০% শেয়ার Initial Public Offerings (IPO) এর মাধ্যমে হস্তান্তর করে, তাহলে এরূপ কোম্পানী উক্ত হস্তান্তর সংশ্লিষ্ট বছরে প্রযোজ্য আয়করের উপর ১০% হারে আয়কর রেয়াত লাভ করবে।
(৩) ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠনসমুহ (মার্চেন্ট ব্যাংক ব্যতীত) পাবলিকলি ট্রেডেড হলে নন-পাবলিকলি ট্রেডেড হলে সরকার কর্তৃক ২০১৩ সালে অনুমোদিত ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান হলে ৪০%
৪২.৫%
৪০%
 
(৪) মার্চেন্ট ব্যাংক ৩৭.৫%  
(৫) সিগারেট প্রস্তুতকারক কোম্পানী ৪৫%  
(৬) বিড়ি, জর্দা, গুলসহ সকল প্রকার তামাকজাত পণ্য প্রস্তুতকারী কোম্পানী ৪৫%  
(৭) মোবাইলে ফোন অপারেটর মোম্পানী ৪৫% শর্তঃ (১) এরূপ কোন মোম্পানী তার পরিশোধিত মূলধনের নূন্যতম ১০% শেয়ার, যার মধ্যে Pre Initial Public Offering Placement ৫% এর অধিক হবে না; স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে হস্তান্তর করে Publicly traded company তে রূপান্তরিত হলে তার কর হার হবে ৪০%; (১) এরূপ কোন কোম্পানী যদি তার পরিশোধিত মুলধনের ন্যূনতম ২০% শেয়ার Initial Public Offerings (IPO) এর মাধ্যমে হস্তান্তর করে, তহাহলে হস্তান্তর সংশ্লিষ্ট বছরে প্রযোজ্য আয়কর এর উপর ১০% হারে কর রেয়াত পাবে।

২০১৬-২০১৭ কর বছরের জন্য প্রযোজ্য আয়করের হারের তফসিল: পরিশিষ্ট ০১ দ্রস্টব্য

২। ব্যক্তি-করদাতার উপর প্রযোজ্য সারচার্জের হার পুনর্বিন্যাস

অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে ব্যক্তি-করদাতার প্রদেয় আয়করের উপর প্রযোজ্য সারচার্জ আরোপের হার নিম্নরূপে পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে:

নীট পরিসম্পদের মূল্যমান সারচার্জের হার
(১) দুই কোটি পাঁচিশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত- শূন্য
(২) দুই কোটি পাঁচিশ লক্ষ টাকার অধিক কিন্তু পাঁচ কোটি টাকার অধিক নয়- ১০%
(৩) পাঁচ কোটি টাকার অধিক কিন্তু দশ কোটি টাকার অধিক নয়- ১৫%
(৪) দশ কোটি টাকার অধিক কিন্তু পনের কোটি টাকার অধিক নয়- ২০%
(৫) পনের কোটি টাকার অধিক কিন্তু বিশ কোটি টাকার অধিক নয়- ২৫%
(৬) বিশ কোটি টাকার অধিক যে কোন অংকের উপর- ৩০%

নীট পরিসম্পদের মূল্যমান দুই কোটি পাঁচিশ লক্ষ টাকা অতিক্রম করলে কোন ব্যক্তি-করদাতার প্রদেয় সারচার্জের পরিমাণ ৩,০০০/- টাকার কম হলেও তাকে ন্যূনতম ৩,০০০/- টাকা সারচার্জ পরিশোধ করতে হবে।
সারচার্জ কিভাবে পরিগণনা করতে হবে তা নিচের উদাহরণগুলোর মাধ্যমে স্পষ্টীকরণ করা হলোঃ
(১) করদাতার প্রদর্শিত নীট সম্পদের মূল্যমান …………………………২,২০,০০,০০০/-
মোট আয় …………………………………………৫,০০,০০০/-
আয়ের উপর প্রদেয় আয়করের পরিমাণ …………………………………..২৫,০০০/-
প্রদেয় সারচার্জের পরিমাণ ……………………………………….. শূন্য
(২) করদাতার প্রদর্শিত নীট সম্পদের মূণ্যমান …………………………………২,৩০,০০,০০০/-
মোট আয় …………………………………………২,০০,০০০/-
আয়ের উপর প্রধেয় আয়করের পরিমাণ ……………………………………শূন্য
প্রদেয় সারচার্জের পরিমাণ …………………………………শূন্য
(৩) করদাতার প্রদর্শিত নীট সম্পদের মূল্যমান ………………………………২,৩০,০০,০০০/-
মোট আয় …………………………………….৫,০০,০০০/-
আয়ের উপর প্রদেয় আয়করের পরিমাণ …………………………………………২৫,০০০/-
প্রদেয় সারচার্জের পরিমাণ (১০%) ………………………………২,৫০০/-
এ ক্ষেত্রে ন্যূনতম সারচার্জ অর্থাৎ ৩,০০০/- টাকা সারচার্জ পরিশোধ করতে হবে।
(৪) করদাতার প্রদর্শিত নীট সম্পদের মূল্যমান ……………………………..৭,৫০,০০,০০০/-
মোট আয় ………………………………………৫,০০,০০০/-
আয়ের উপর প্রদেয় আয়করের পরিমাণ ………………………………….২৫,০০০/-
প্রদেয় সারচার্জের পরিমাণ(১৫%) ……………………………………..৩,৭৫০/-
(৫) করদাতার প্রদর্শিত নীট সম্পদের মূল্যমান ……………………………১২,৫০,০০,০০০/-
মোট আয় …………………………………………………… ৫,০০,০০০/-
আয়ের উপর প্রদেয় আয়করের পরিমাণ ……………………………………………২৫,০০০/-
প্রদেয় সারচার্জের পরিমাণ(২০%) ………………………………… ৫,০০০/-
(৬)করদাতার প্রদর্শিত নীট সম্পদের মূল্যমান ……………………………………১৫,৫০,০০,০০০/-
মোট আয় ……………………………………..৫,০০,০০০/-
আয়ের উপর প্রদেয় আয়করের পরিমাণ …………………………………২৫,০০০/-
প্রদেয় সারচার্জের পরিমাণ(২৫%) ………………………………………….৬,২৫০/-
(৭)করদাতার প্রদর্শিত নীট সম্পদের মূল্যমান …………………………………….২০,০০,০০,০০০/-
মোট আয় ………………………………………….৫,০০,০০০/-
আয়ের উপর প্রদেয় আয়করের পরিমাণ ……………………………………………২৫,০০০/-
প্রদেয় সারচার্জের পরিমাণ(২৫%) ……………………………………………..৬,২৫০/-

(৮)করদাতার প্রদর্শিত নীট সম্পদের মূল্যমান …………………………………..২২,৫০,০০,০০০/-
মোট আয় ……………………………………….৫,০০,০০০/-
আয়ের উপর প্রদেয় আয়করের পরিমাণ …………………………………………২৫,০০০/-
প্রদেয় সারচার্জের পরিমাণ(৩০%) …………………………………………৭,৫০০/-
উল্লেখ্য, ব্যক্তিসত্তা (individual) ব্যতীত অন্য কোন শ্রেণির করদাতার উপর এ সারচার্জ আরোপযোগ্য নয়।

(৩) আয়কর অধ্যাদেশর ধারা 2 এর সংশোধন
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 2 তে আনীত সংশোধনীসমূহ নিম্নমূপ:

(ক) Assessee এর সংজ্ঞা পরির্তন: ক্লজ (7) এর সংশোধন
আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 2 এর ক্লজ (7) এর assessee এর সংজ্ঞাটি অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে সংশোধন করা হয়েছে । সংশোধিত বিধান অনুযায়ী আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর অধীন minimum tax প্রদেয় হয় এরূপ প্রত্যেক person করদাতা হিসেবে বিবেচিত হবে।

(খ) Income এর সংজ্ঞা পরিবর্তন: ক্লজ (34) এর প্রতিস্থাপন
আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 2 এর ক্লজ (34) তে Income এর সংজ্ঞাটি অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে পতিস্থাপন করা হযেছে। প্রতিস্থাপিত সংজ্ঞা অনুযায়ী নতুন যে বিষয়গুঅে Income এর সংজ্ঞাভুক্ত হবে তা হলো: আয়কর অধ্যাদেশের আওতায় করযোগ্য কোন প্রাপ্তি, আয়কর অধ্যাদেশের অধীনে উৎসে কর কর্তন/সংগ্রহ প্রযোজ্য এমন কোন অংক, কর আরোপিত অর্থ এবং আয়কর অধ্যাদেশের কোন বিধানের আওতায় আয় হিসেবে গণ্য কোন অংক ।
উল্লেখ্য, Income এর সংজ্ঞা পরিবর্তনের কারণে বোনাস শেয়ারের করযোগ্যতার কোন পরিবর্তন হবে না। অর্থাৎ, বোনাস শেয়ার পূর্বের মতো করমুক্ত থাকবে।

(গ) Income year এর সংজ্ঞা পরিবর্তন: ক্লজ (35) এর সংশোধন
বর্তমানে ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠনের জন্য আয় বছর (Income year) জানুয়ারি-ডিসেম্বর। অন্যান্য করদাতার জন্য আয় বছর জুলাই-জুন। আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 2 এর ক্লজ (35) তে Income year এর সংজ্ঞাটি অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে সংশোধন করা হয়েছে। সংশোধিত বিধান অনুযায়ী ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কোন সাবসিডিয়ারির ক্ষেত্রেও আয়বছর হবে ১ জানুয়ারী হতে শুরু করে পরবর্তী ১২ মাস।
এছাড়া, উক্ত ক্লজে নতুন একটি প্রোভাইসো সংযোজন করা হয়েছে। সংযোজিত প্রোভাইসোর বিধান মোতাবেক কোন করদাতা যদি বাংলাদশের বাইরে নিবন্ধিত কোন কোম্পানীর সাবসিডিয়ারি বা হো্ল্ডিং কোম্পানী হয় এবং যদি করদাতা কোম্পানীকে উক্ত বাইরে নিবন্ধিত মূল কোম্পানীর হিসাবের সাথে সমন্বিত হিসাব প্রণয়নের স্বার্থে ধারা 2 এর ক্লজ (35) তে উল্লিখিত হিসাব বছর অপেক্ষা ভিন্ন কোন হিসাব বছর অনুসরণ করতে হয়, তাহলে উপ কর কমিশনার করদাতা কোম্পানীকে উক্ত ভিন্ন হিসাব বছর অনুসরণের অনুমতি প্রদান করবেন।

(ঘ) Person এর সংজ্ঞা পরিবর্তন: ক্লজ (46) এর সংশোধন
আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 2 এর ক্লজ (46) তে Person এর সংজ্ঞাটি অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। প্রতিস্থাপিত সংজ্ঞা অনুযায়ী কোন ব্যক্তিসত্তা ফার্ম, ব্যক্তি-সংঘ, হিন্দু অবিভক্ত পরিবার, ট্রাস্ট, ফান্ড, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, কোম্পানী, কোন সত্তা এবং অপরাপর প্রত্যেক কৃত্রিম আইন গত সত্তা Person এর সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত হবে।

(ঙ) প্রতিবন্ধী ব্যক্তি (Person with disability) এর সংজ্ঞা: নতুন ক্লজ (46A) এর সন্নিবেশ
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 2 তে নতুন clause (46A) সংযোজনের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংজ্ঞা সংযোজন করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তি (Person with disability) বলতে প্রতিবন্ধী ব্যাক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৩৯ নং আইন) এর ৩১ ধারা মোতাবেক প্রতিবন্ধী হিসেবে নিবন্ধিত কোন ব্যাক্তকে বুঝাবে। উক্ত সংজ্ঞা অনুযায়ী যে ব্যাক্তি প্রতিবন্ধী হিসেবে বিবেচিত হবেন কেবল তার ক্ষেত্রেই প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য আয়কর অধ্যাদেশে প্রদত্ত সুবিধাদি প্রয়োজ্য হবে।

(চ) Principal officer এর সংজ্ঞা পরিবর্তন: ক্লজ (48) এর সংশোধন
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 2 এর ক্লজ (48) সংশোধনের মাধ্যমে Principal officer এর সংজ্ঞা সংশোধন করা হয়েছে। সংশোধিত বিধান মোতাবেক কোন প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (chief executive officer) ও Principal officer এর সংজ্ঞাভুক্ত হবেন।

(ছ) কর দিবস (Tax Day) এর সংজ্ঞা: নতুন ক্লজ (62A)এর সন্নিবেশ
প্রত্যেক কর বছরে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হয়। অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণির করদাতার জন্য রিটার্ন দাখিলর সর্বশেষ তারিখ নির্দেশক Tax Day এর ধারণা প্রবর্তন করা হয়েছে। আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 2 তে নতুন clause (62A) সংযোজনের মাধ্যমে বিধান করা হয়েছে যে-
(অ)কোম্পানী ব্যতীত অন্যান্য শ্রেণির করদাতার জন্য আয় বছর শেষ হওয়ার পরবর্তী ৩০ নভেম্বর হবে কর দিবস (Tax Day) । যদি ৩০ নভেম্বর সরকারি ছুটির দিন হয় তাহলে পরবর্তী কার্য দিবসটি কর দিবস হিসেবে বিবেচিত হবে।
উদাহরণ ৩-১
কোম্পানী ব্যতীত অন্যান্য শ্রেণীর করদাতার আয় বছর শেষ হওয়ার তারিখ ৩০ জুন ২০১৬। ৩০ নভেম্বর ২০১৬ যেহেতু সরকারি ছুটির দিন নয়, তাই কোম্পানী ব্যতীত অন্যান্য শ্রেণীর করদাতার জন্য ২০১৬-১৭ কর বছরে কর দিবস অর্থাৎ রিটার্ন দাখিলের সর্বশেষ তারিখ হবে ৩০ নভেন্বর ২০১৬।
(আ) কোম্পানী করদাতার জন্য আয় বছর শেষ হওয়ার সপ্তম মাসের পঞ্চদশ দিনটি হবে কর দিবস (Tax Day) । এক্ষেত্রে পঞ্চদশ দিনটি যদি সরকারি ছুটির দিন হয় তাহলে পরবর্তী কার্য দিবসটি হবে কর দিবস।
উদাহরণ ৩-২
কোন কোম্পানীর আয় বছর ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে শেষ হলে সে কোম্পানীর জন্য কর দিবস অর্থাৎ রিটার্ন দাখিলের সর্বশেষ তারিখ ১৫ জুলাই ২০১৬। আর আয় বছর ৩০ জুন ২০১৬ তারিখে শেষ হলে কর দিবস অর্থাৎ রিটার্ন দাখিলের সর্বশেষ তারিখ হবে ১৫ জানুয়ারি ২০১৭।
কর দিবসের পর রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে বিলম্ব সুদ আরোপযোগ্য হবে (নতুন সংযোজিত ধারা 73A দ্রষ্টব্য)।

৪। কর আপিলাত ট্রাইব্যুনালের সদস্য হিসেবে নিয়োগের ক্ষেত্রে কর কমিশনারগণের অভিজ্ঞা সংক্রান্ত আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 11 এর সংশোধন

বর্তমানে যে কোন কর কমিশনারকে কর আপীলাত ট্রাইব্যুনালে সদস্য হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা যায়। অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাধেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 11 সংশোধনের মাধ্যমে বিধান করা হয়েছে যে কর আপিলাত ট্রাইব্যুনালের সদস্য হিসেবে নিয়োগের জন্য একজন কর কমিশনারের কমপক্ষে কর কমিশনার হিসেবে ১ বছর দায়িত্ব পালন করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ১ বছরকাল গণনার ক্ষেত্রে আয়কর বিভাগের যে কোন কার্যালয়ে কর কমিশনার বা সমমর্যাদার পদে দায়িত্ব (চলতি দায়িত্বসহ) পালনের সময় কালও বিবেচনায় নেয়া হবে।

৫। লভ্যাংশ প্রদান বা বোনাস শেয়ার ইস্যুর ব্যর্থতায় অতিরিক্ত কর আরোপের বিধান বাতিলঃ আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 16B এর প্রতিস্থাপন

ধারা 16B তে দুটি ক্লজ ছিল। ক্লজ (a) তে ব্যাংক ও ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী ব্যতীত বাংলাদেশের কোন স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোন পাবলিক লিঃ কোম্পানী তার পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ১৫% লভ্যাংশ নগদে বা বোনাস শেয়ার হিসেবে আয় বছর শেষ হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে ইস্যু, ঘোষণা বা বিতরণ না করলে অবন্টিত মুনাফার (ফ্রি রিজার্ভসহ সঞ্চিত মুনাফা ) উপর ৫% হারে অতিরিক্ত কর আরোপের বিধান ছিল। ক্লজ (b) তে বিনিয়োগ বোর্ড বা সরকারের কোন উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন ব্যতীত কোন বিদেশী নাগরিককে কোন কাজে নিয়োগের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কর আরোপের বিধান ছিল। অর্খ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে এ ধারাটি প্রতিস্থাপন করে লভ্যাংশ প্রদান বা বোনাস শেয়ার ইস্যুর ব্যর্থতায় অতিরিক্ত কর আরোপের বিধান রহিত করা হয়েছে। ২০১৬-১৭ কর বছর থেকে এ বিধানটি কার্যকর হবে।
পূর্বনুমোদন ব্যতীত কোন বিদেশী নাগরিককে কোন কাজে নিয়োগের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কর আরোপের বিধান বহাল রয়েছে।

৬। অতিরিক্ত অংক আরোপ (charge of additional amount) সংক্রান্ত নতুন ধারা 16BB সন্নিবেশ

অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ তে নতুন ধারা 16BB সন্নিবেশের মাধ্যমে বিধান করা হয়েছে যে আয়কর অধ্যাদেশের আওতায় করের অতিরিক্ত হিসেবে কোন সুদ বা অন্যে কোন অর্থ, তা যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, আরোপযোগ্য হলে তা আয়কর অধ্যাদেশের বিধান অনুযায়ী ক্ষেত্রমতে আরোপ, ধার্য, পরিশোধ ও আদায় হবে।

৭। নূ্ন্যতম কর (minimum tax) সংক্রান্ত বিধানের পুনর্গঠন: ধারা 16BBB এর সন্নিবেশ ও ধারা 16CCC বিলোপ

অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ন্যূনতম কর (minimum tax ) সংক্রান্ত বিধান পুর্নগঠন করে ন্যূনতম কর আরোপ (charge of minimum tax) সংক্রান্ত নতুন ধারা 16BBB সন্নিবেশ করা হয়েছে । সন্নিবেশিত ধারায় বিধান করা হয়েছে যে আয়কর অধ্যাদেশের আওতায় ন্যূনতম কর আরোপযোগ্য তলে তা আয়কর অধ্যাদেশের বিধান অনুযায়ী ক্ষেত্রমতো আরোপ, ধার্য, পরিশোধ ও আদায় হবে।
ন্যূনতম কর সংক্রান্ত ধারা 16CCC বিলোপ করে উক্ত ধারার বিধানসমূহ ধারা 82C তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ।

৮। ব্যাংক কোম্পানীর অতিরিক্ত মুনাফার উপর কর আরোপ সংক্রান্ত আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 16C এর বিলোপকরণঃ

অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 16C বিলোপ করা হয়েছে, যা ২০১৬-১৭ কর বছর থেকে কার্যকর হবে।

৯।আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 19 এর সংশোধন
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 19 তে আনীত পরিবর্তনসমূহ নিম্নরূপ:

(ক) পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের মার্জিন ঋণ ও সুদ মওকুফজনিত প্রাপ্ত সুবিধার করযোগ্যতা সংক্রান্ত উপধারা (11) এর সংশোধন
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 19 এর উপধারা (11) তে একটি নতুন প্রোভাইসো সংযোজন করা হয়েছে। নতুন প্রোভাইসোর বিধান মোতাবেক পুঁজিবাজারে কোন ব্যক্তি (individual) বিনিয়োগকারী কর্তৃক কোন শেয়ার, ডিবেঞ্চার, মিউচ্যুয়াল ফান্ড অথবা অন্য কোন সিকিউরিটিজ এ বিনিয়োগে গৃহীত মার্জিন ঋণ ও ঋণের সুদ TREC- ধারী কর্তৃক মওকুফ করা হলে মওকুফজনিত সুবিধার মোট অংক ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ধারা 19(11) এর আওতায় করযোগ্যতার আওতা বহির্ভূত রাখা হয়েছে। তবে মওকুফজনিত মোট সুবিধা ১০ লক্ষ টাকার অধিক হলে ১০ লক্ষ টাকার অতিরিক্ত অংকের জন্য দারা 19(11) এর করযোগ্যতার বিধান প্রযোজ্য হবে।

(খ) বাকিতে ক্রয়কৃত ও দায় হিসেবে প্রদর্শিত গৃহ-সম্পত্তি নির্মাণ সামগ্রির মূল্য পরিশোধ না করা হলে দায়ের অংক আয় হিসেবে গণ্য করার বিধান সংক্রান্ত উপধারা (29) সংশোধন
রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় নিয়োজিত কোন করদাতা ব্যতীত অন্য কোন করদাতা যদি কোন দালান বা গৃহ-সম্পত্তি বা এর কোন ইউনিট নির্মাণের জন্য বাকীতে নির্মাণ সামগ্রীর ক্রয়ের জের দায় হিসেবে প্রদর্শন করে, তাহলে যে কর বছরে এরূপ দায় প্রদর্শিত হবে তার পরবর্তী কর বছরের মধ্যে তা পরিশোধ করা না হলে অপরিশোধিত দায় ধারা 19 এর উপধারা (29) অনুযায়ী “অন্যান্য উৎস হতে আয়” হিসেবে গণ্য হওয়ার বিধান ছিল। অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে “অন্যান্য উৎস হতে আয়” হিসেবে গণ্য হওয়ার ক্ষেত্রে দায় পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। পরিবর্তিত বিধান অনুযায়ী যে কর বছরে এরূপ দায় প্রদর্শিত হবে তার পরবর্তী ২ কর বছরে মধ্যে তা পরিশোধ না করলে ২ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরবর্তী কর বছরে অপরিশোধিত দায়ের সম্পূর্ণ অংশ করদাতার “অন্যান্য উৎস হতে আয়” হিসেবে গণ্য হবে।
উদাহরণ ৯-১
ধরা যাক, একজন করদাতা ২০১৫-১৬ কর বছরে দালান নির্মাণের বিপরীতে ৩০,০০,০০০/- টাকা মূল্যের নির্মাণ সামগ্রী বাকীতে ক্রয় হিসেবে তার দাখিলকৃত সম্পদ ও দায় বিবরণী/স্থিতিপত্রে দায় বাবদ প্রদর্শন করেছেন। ২০১৬-১৭ কর বছরে এ দায় হতে তিনি ২০,০০,০০০/-টাকা পরিশোধ করেছেন। যদি করদাতা ২০১৭-১৮ কর বছরের মধ্যে অবশিষ্ট ১০,০০,০০০/-টাকার দায় পরিশোধ না করেন অর্থাৎ যদি ২০১৮-১৯ কর বছরে তিনি উক্ত অংক সম্পদ ও দায় বিবরণী/স্থিতিপত্রে দায় হিসেবে প্রদর্শন করেন তাবে উক্ত ১০,০০,০০০/-টাকা ২০১৮-২০১৯ কর বছরে করদাতার “অন্যান্য উৎস হতে আয়” হিসেবে গণ্য হবে।

১০। আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 30 এর সংশোধন
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 30 তে কয়েকটি বিষয়ে সংশোধনী আনা হয়েছে, যা নিম্নে উপস্থাপিত হলো:

(ক) ব্যবসায় বা পেশা আয়ের খরচ অনুমোদনের ক্ষেত্রে উৎসে মূণ্য সংযোজন কর (VAT) কর্তন বা আদায় যাচাইয়ের বাধ্যবাধকতা রহিতকরণ-ক্লজ (aa) এর সংশোধন
ব্যবসায় বা পেশা আয়ের খরচ অনুমোদনের ক্ষেত্রে Chapter VII অনুযায়ী উৎসে আয়কর এবং মূল্য সংযোজন কর আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ২২ নং আইন) অনুযায়ী উৎসে মূল্য সংযোজন কর কর্তণ/আদায় যাচাইয়ের বিধান ছিল, উৎস কর কর্তণ/আদায় না হলে সংশ্লিষ্ট খরচ আবশ্যিকভাবে অননুমোদনয়যোগ্য হওয়ার বিধান ছিল। অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 30 এর ক্লজ (aa) সংশোধন করে ব্যবসায় বা পেশা আয়ের খরচ অনুমোদনের ক্ষেত্রে উৎসে মূল্য সংযোজন কর (VAT) কর্তন বা আদায় যাচাইয়ের বাধ্যবাধকতা সংক্রান্ত বিধান রহিত করা হয়েছে।ধারা 29 অনুযায়ী ব্যবসায় বা পেশা আয়ের খরচ অনুমোদনের ক্ষেত্রে অনুযায়ী উৎস কর কর্তন/যাচাইয়ের বিধান বহাল রয়েছে। পরিবর্তিত বিধান ২০১৬-১৭ কর বছর থেকে প্রযোজ্য হবে।

(খ) Employee এর বেতনাদি বাবদ খরচ অনুমোদনে ১২-ডিজিট টি, আই, এন যাচাই-নতুন ক্লজ (aaa) এর সিন্নিবেশ
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 30 তে নতুন একটি ক্লজ (aaa) সন্নিবেশ করা হয়েছে। সন্নিবেশিত বিধান মোতাবেক কোন করদাতার ব্যবসা বা পেশা আয় নির্ধারণের বেলায় করদাতা কর্তৃক দাবীকৃত বেতনাদি খরচ অনুমাদনের ক্ষেত্রে উপ কর কমিশনার পরীক্ষা করে দেখবেন যে সকল বেতন ভোগী কর্মী (employee) এর জন্য বেতনভাতা বাবদ খরচ দাবী করা হয়েছে তাদের ১২-ডিজিট টি, আই, এন ছিল কিনা। যদি আয়কর অধ্যাদেশের কোন বিধানে কোন ব্যক্তির ১২-ডিজিট টি, আই, এন নেয়ার বাধ্যবাধকতা থাকে, কিন্তু কোন মাস বা মাসসমূহের বেতন-ভাতাদি গ্রহণের সময় ঐ ব্যক্তি ১২-ডিজিট টি, আই, এন ধারী না থাকেন তাহলে তার ঐ মাস বা মাসসমূহের বেতন ভাতাদি খরচ অনুমোদন যোগ্য হবে না। ১ জূলাই ২০১৬ তারিখ থেকে পরিশোধকৃত বা পরিশোধযোগ্য বেতন ভাতাদির ক্ষেত্রে এ বিধান প্রযোজ্য হবে।
উদাহরণ ১০-১
জনাব আসাদ আলফা কোম্পানীর একজন এক্সিকিউটিভ এসিসটেন্ট।২০১৬-১৭ অর্থ বছরে (অর্থাৎ ১ জুলাই ২০১৬ থেকে ৩০ জুন ২০১৭ পর্যন্ত সময়ে) তার প্রাপ্ত বেতন-ভাতা করমুক্ত সীমার নীচে। একজন এক্সিকিউটিপভ এসিসটিন্ট হিসেবে ধারা 184A এর উপধারা (1) এর ক্লজ (za) অনুযায়ী জনাব আসাদের ১২-ডিজিট টি, আই, এন গ্রহণের বাধ্যবাধকত রয়েছে। ধরা যাক, জনাব আসাদ ২০১৬ সালের জুলাই হতে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের বেতন-ভাতা গ্রহণের সময় ১২-ডিজিট টিআইএন ধারী ছিলেন না। তিনি ১ জানুয়ারী ২০১৭ তারিখে ১২-ডিজিট টিআইএন গ্রহণ করেন এবং ১২-ডিজিট টিআইএন ধারী হিসেবে ২০১৭ সালের জানুয়ারি হতে জুন মাস পর্যন্ত বেতনভাতা প্রাপ্ত হন।
আলফা কোম্পানীর ২০১৭-১৮ কর বছরের কর নির্ধারণের ক্ষেত্রে জনাব আসাদের ২০১৬ সালের জুলাই-ডিসেম্বর মাসসমুহের প্রাপ্ত বেতন-ভাতাদি বাবদ দাবীকৃত খরচ অনুমোদনযোগ্য হবে না।

(গ) কর্মকর্তা বা কর্মচারীর পারকুইজিটবাবদ খরচ অনুমোদনের সীমা বৃদ্ধি-ক্লজ (e) এর সংশোধন
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 30 এর বিদ্যমান ক্লজ (e) সংশোধন করা হয়েছে। পূর্বের বিধান অনুসারে কোন করদাতা তার কর্মকর্তা/কর্মচারীকে বছরে ৪,৫০,০০০/-টাকা পর্যন্ত পারকুইজিট বাবদ অর্থ প্রদান করলে তা করদাতার করযোগ্য আয় নির্ধারণে খরচ হিসেবে বিবেচিত হতো। সংশোধিত বিধান অনুসারে পারকুইজিট বাবদ প্রদত্ত অর্থ বিবেচনার এই সীমা ৪,৫০,০০০/- টাকা হতে বৃদ্ধি করে ৪,৭৫,০০০/-টাকা করা হয়েছে। এতদ্ব্যতীত, কোন কর্মমর্তা/কর্মচারী প্রতিবন্ধী ব্যক্তি হলে তার ক্ষেত্রে পারকুইজিট অনুমোদনের সীমা হবে ২৫,০০,০০০/- টাকা ।
পরিবর্তিত বিধান ২০১৬-১৭ কর বছর থেকে কার্যকর হবে।

(ঘ) বিদেশ ভ্রমণ ভাতা বাবদ খরচ অনুমোদনের সীমা বৃদ্ধি – ক্লজ (k) এর সংশোধন
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 30 এর বিদ্যমান ক্লজ (k) সংশোধন পূর্বক বিদেশ ভ্রমণ খরচ (overseas traveling expenditure) এর অনুমোদনযোগ্য সীমা প্রদর্শিত টার্নওভার এর ১% হতে বৃদ্ধি করে ১.২৫% করা হয়েছে।
২০১৬-১৭ কর বছর থেকে এ পরিবর্তিত বিধান প্রযোজ্য হবে।

১১। আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 35 এর সংশোধন
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 35 তে সংশোধনী আনা হয়েছে। সংশোধিত বিধান অনুযায়ী, The Companies Act, 1913 বা কোম্পানী আইন, ১৯৮৪ মোতাবেক সংজ্ঞায়িত কোন কোম্পানীর দাখিলকৃত হিসাব বিবরণীসমূহ কোন চার্টার্ড একাউন্টেন্ট কর্তৃক নিরীক্ষার ক্ষেত্রে সংশ্লিস্ট চার্টার্ড একাউন্টেন্ট এ মর্মে প্রত্যয়ন করবেন যে হিসাব সংরক্ষণ, বিবরণী (Statements) প্রস্তুত ও Report করার ক্ষেত্রে Bangladesh Accounting Standard (BAS) এবং Bangladesh Financial Reporting Standard (BFRS) এবং অডিটের ক্ষেত্রে (Statements )Bangladesh Standards on Auditing(BSA) এর বিধানাবলী অনুসরণ করা হয়েছে।
১২। লোকসান সমন্বয় সংক্রান্ত আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 37 এর সংশোধন
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর লোকসান সমন্বয় সংক্রান্ত ধারা 37 এর চতুর্থ প্রোভাইসোটি সংশোধন করা হয়েছে । সংশোধিত বিধান অনুসারে কোন করদাতার অন্য কোন খাতের লোকসান সিগারেট, বিড়ি, জর্দা, চিবানো তামাক (chewing tobacco), গুল অথবা যে কোন ধোঁয়াবিহীন তামাক (smokeless tobacco) অথবা তামাকজাত দ্রব্য (tobacco products) উৎপাদন ও বিক্রয় ব্যাবসা খাতের আয়ের সাথে সমন্বয় করা যাবে না।
১৩। আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 44 এর সংশোধন
(ক) অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 44 এর উপধারা (2) এর বিদ্যমান ক্লজ (b) বিলুপ্ত করে নতুন ক্লজ (b) এবং ক্লজ (c) প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। প্রতিস্থাপিত নতুন ক্লজ (b)এর বিধান মোতাবেক নিবাসী বা অনিবাসী বাংলাদেশী করদাতার বিনিয়োগজনিত আয়কর রেয়াতের পরিমাণ হবে নিম্নরূপ

মোট আয় রেয়াতের পরিমাণ
মোট আয় ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত eligible amount এর ১৫%
মোট আয় ১০লক্ষ টাকার অধিক কিন্তু ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত (১) eligible amount এর প্রথম ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার ১৫%
(২) eligible amount এর অবশিষ্ট অংশের ১২%
মোট আয় ৩০ লক্ষ টাকার অধিক (১) eligible amount এর প্রথম ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার ১৫%
(২) eligible amount এর পরবর্তী ৫ লক্ষ টাকার ১২%
(৩) eligible amount এর অবশিষ্ট অংশের ১০%

(C) তে উল্লিখিত eligible amount হবে-
(১) এর অনুচ্ছেদ 15 এবং অনুচ্ছেদ 16 ব্যতীত অন্যান্য সকল অনুচ্ছেদে উল্লিখিত খাতে বিনিয়োগ/দানের অংকের সমষ্টি;
(২) ধারা 44 এর উপধারা (4) অনুযায়ী কর অব্যাহতি প্রাপ্ত বা হ্রাসকৃত হারে করারোপযোগ্য আয় এবং ধারা 82C এর উপধারা (2) এর ক্লজ (a) এর আওতাভুক্ত ন্যূনতম কর সংশ্লিষ্ট কোন উৎস হতে অর্জিত আয় ব্যতীত করদাতার অন্যান্য করযোগ্য আয়ের 25%:
(৩) এক কোটি পঞ্চাশ লক্ষ টাকা (১,৫০,০০,০০০/- ;
এ তিনটির মধ্যে যেটি কম, সে অংক।
eligible amount এবং কর রেয়াতের পরিমাণ কিভাবে হিসেব করা হবে তা নিচের উদাহরণে দেখানো হলো:
উদাহরণ ১৩-১
জনাব ফয়েজ আহমেদের ২০১৬-২০১৭ কর বছরে মোট আয়ের পরিমাণ ১২,০০,০০০/- টাকা, যার মধ্যে সঞ্চয়পত্রের সুদ ১,০০,০০০/- টাকা। সঞ্চয়পত্রের সুদের উপর উৎসে ৫% হারে ৫,০০০/- টাকা কর কর্তন করা হয়েছে। জনাব ফয়েজ আহমেদের আযকর রেয়াতের জন্য বিবেচনাযোগ্য খাতসমূহে মোট বিনেয়োগ/দানের পরিমাণ নিম্নমূপঃ

ক্রম বিবরণ পরিমাণ ৳
(১) জীবন বীমার কিস্তি পরিশোধ ১,০০,০০০/-
(২) ডিপোজিট পেনশন স্কীমে বিনিয়োগ ১,২০,০০০/-
(৩) সঞ্চয়পত্র ক্রয়ে নতুন বিনিয়োগ ২,০০,০০০/-

জনাব ফয়েজ আহমেদের বিবেচনা যোগ্য বিনিয়োগ/ব্যয়ের পরিমাণ নিম্নমূপ:

ক্রম বিবরণ পরিমাণ ৳
(১) জীবন বীমার কিস্তি পরিশোধ ১,০০,০০০/-
(২) ডিপোজিট পেনশন স্কীমে বিনিয়োগ (২ক ও ২খ এর মধ্যে যেটি কম) ৬০,০০০/-
(২ক) প্রকৃত বিনিয়োগ ১,২০,০০০/-
(২খ) অনুমোদনযোগ্য সীমা ৬০,০০০/-
(৩) সঞ্চয়পত্র ক্রয়ে নতুন বিনিয়োগ ২,০০,০০০/-
মোট ৩,৬০,০০০/-

রেয়াতের জন্য অনুমোদনযোগ্য অংক (eligible amount)

(১) মোট অনুমোদনযোগ্য বিনিয়োগ, দান ইত্যাদি ৩,৬০,০০০/-
(২) সঞ্চয়পত্রের সুদ (ধারা 82C ব্যতীত মোট আয় (১২,০০,০০০-১,০০,০০০)= ১১,০০,০০০/- টাকার ২৫% ২,৭৫,০০০/-
(৩) ১,৫০,০০,০০০/-
অনুমোদনযোগ্য অংক (eligible amount) [(১),(২) ও (৩) এর মধ্যে যেটি কম] =২,৭৫,০০০/-

কর রেয়াতের পরিমাণ:
Eligible amount এর প্রথম ২ অক্ষ ৫০ হাজার টাকার উপর ১৫% এবং পরবর্তী (২,৭৫,০০০-২৫০,০০০) = ২৫,০০০/- টাকার উপর ১২% হারে কর রেয়াত প্রাপ্য। ফলে কর রেয়াতের পরিমাণ হবে (২,৫০,০০০x ১৫%) + (২৫,০০০১২%) = ৪০,৫০০/- টাকা ।
(খ) উপধারা (4) এর পর নতুন উপধারা (5) সংযোজনের মাধ্যমে বিধান করা হয়েছে যে উপধারা (4) এর ক্লজ (b) তে অথবা অধ্যায় VI এর যে কোন ধারায় যা কিছুই বলা থাকুক না কেন-
(১) ধারা 75 মোতাবেক আয়কর রিটার্ন দাখিলে বাধ্যবাধকতা আছে এরূপ কোন করদাতা কর্তৃক যদি কোন আয় বছরের জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিল না করা হয় তবে সে করদাতা ঐ সংশ্লিষ্ট কর বছরে কর অব্যাহতি বা হ্রাসকৃত করহারের সুবিধা প্রাপ্য হবে
না;
(২) কর অব্যাহতি বা হ্রাসকৃত করহারের সুবিধা প্রাপ্য কোন ব্যক্তি বা উৎসের আয় নিরূপনের ক্ষেত্রে যদি ধারা 30 অনুযায়ী কোন খরচ অননুমোদনযোগ্য হয় তবে তা ঐ ব্যাক্তি বা উৎসের আয় হিসেবে গণ্য হবে এবং তার উপর নিয়মিত হারে কর আরোপযোগ্য হবে।

১৪। উৎস করের নতুন কাত সন্নিবেশ: আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 49এর সংশোধন
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 49 এর উপধারা (1) এর বিদ্যমান ক্লজ (O) এর পর নতুন ক্লজ (OO) সন্নিবেশ করে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল (workers’ participation fund) হতে প্রাপ্ত যে কোন আয়কে উৎসে কর আরোপযোগ্য আয়ের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

১৫। সিকিউরিটিজ এর সুদ বা মুনাফা হতে উৎসে কর কর্তন সংক্রান্ত আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 51 প্রতিস্থাপন
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 51 প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। প্রতিস্থাপিত বিধান অনুসারে সরকার ভিন্নরূপ কোন নির্দেশনা প্রদান না করলে, সরকারী কোন সিকিউরিটিজ বা সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোন সিকিউরিটিজ, যার উদ্ভুত আয় সিকিউরিটিজ এর সুদ আয় হিসেবে বিবেচিত, ইস্যূ করার দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তি (person) ঐ সিকিউরিটিজ এর মেয়াদান্তে প্রদেয় সুদ বা ডিসকাউন্টের উপর ৫% হারে upfront উৎসে আয়কর আদায় করবেন।
তবে কোন ইসলামী শরিয়াভিত্তিক সিকিউরিটিজ এর বেলায় upfront এর পরিবর্তে উক্ত সিকিউরিটিজ এর মুনাফা বা ডিসকাইন্ট পরিশোধ বা ক্রেডিট করার সমময়, দুটির মধ্যে যেটি আগে হবে, ৫% হারে উৎসে আয়কর কর্তন বা আদায় করতে হবে।
যদি উক্ত সিকিউরিটিজ সরকার কর্তৃক ইস্যুকৃত কোন বন্ড বা ট্রেজারী বিল হয় তাহলে তার বেলায় উৎসে আয়কর কর্তন বা আদায় প্রযোজ্য হবে না।

১৬। আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 52,52A এবং 52AA এবং বিধি 16 এর প্রতিস্থাপন
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 52, 52A,এবং 52AA এর আওতাভুক্ত উৎস করের খাত পুনর্গঠন করে উৎসে করের হার যৌক্তিকীকরণ করা হয়েছে। ধারা 52 এর সাথে সংশ্লিষ্ট বিধি 16 এস, আর, ও নং ২৫৯-আইন/আয়কর/২০১৬, তারিখঃ ১০ আগস্ট, ২০১৬ খ্রিস্টাব্দ এর মাধ্যমে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। সংশোধিত বিধানে কোন চুক্তি সম্পাদন (Chapter VII এর অন্য কোন ধারায় উল্লিখিত কোন সেবা প্রদান সংশ্লিষ্ট চুক্তি ব্যতীত), দ্রব্য সরবরাহ, উৎপাদন, প্রক্রিয়জাতকরণ বা রূপান্তর এবং প্রিন্টিং, প্যাকেজিং বা বাইন্ডিং বাবদ অর্থ পরিশোধের ক্ষেত্রে ধারা 52 এর আয়তায় ও বিধি 16 তে বর্ণিত হারে উৎস কর প্রযোজ্য হবে। রয়্যালটি, ফ্র্যাঞ্চাইজ, লাইসেন্স ফি, ব্র্যান্ড নাম, পেটেন্ট ইত্যাদি সহ (পূর্ণাংগ তালিকার জন্য ধারা 52A দ্যষ্টব্য) অন্যান্য সকল intangibles ব্যবহারের VII জন্য অর্ত পরিশোধের ক্ষেত্রে ধারা 52A অনুযায়ী উৎস কর প্রযোজ্য হবে। এর অন্য কোন ধারায় উল্লিখিত সেবাব্যতীত অন্যান্য সকল সেবা গ্রহণের বিপরীতে অর্থ পরিশোধের ক্ষেত্রে ধারা 52AA অনুযায়ী উৎস কর প্রযোজ্য হবে।
52, 52A এবং 52AA এর উৎস কর সংক্রান্ত সংশোধিত বিধান নিম্নমূপ:

(ক) ধারা 52 ও বিধি 16
কোন specified person কর্তৃক কোন নিবাসীকে নিম্নবর্ণিত কারণে কোন অর্থ পরিশোধ করা হলে ধারা 52 এর আওতায় এবং বিধি 16 তে বর্ণিত হারে উৎস কর কর্তন করতে হবে:<<>
(১) কোন চুক্তি সম্পাদন (Chapter VII এর অন্য কোন ধারায় উল্লিখিত কোন সেবা প্রদান সংশ্লিষ্ট চুক্তি ব্যতীত),
(২) দ্রব্যাদি সরবরাহ,
(৩) উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ বা রূপান্তর, এবং
(৪) প্রিন্টিং, প্যাকেজিং বা বাইন্ডিং।
Specified person বলতে বুঝাবে-
(১) সরকার, সরকারের কোন দপ্তর বা ইউনিট, কোন কর্তৃপক্ষ, করপোরেশন বা সত্তা, যা বাংলাদেশে প্রযোজ্যে কোন আইন, অধ্যাদেশ, আদেশ বা দলিল দ্বারা কোন কাজ করার জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত;
(২) কোন প্রকল্প, কর্মসূচি বা কার্যক্রম, যাতে সরকারের আর্থিক বা পরিচালনগত সংশ্লিষ্টতা রয়েছে;
(৩) কোন জয়েন্ট ভেঞ্চার বা কনসোর্টিয়াম (যে নামেই অভিহিত হোক না কেন);
(৪) ধারা 2 এর ক্লজ (20) অনুয়ায়ী সংজ্ঞায়িত কোন Company;
(৫) কোন সমবায় ব্যাংক;
(৬) কোন সমবায় সমিতি;
(৭) কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান;
(৮) এনজিও ব্যুরোতে নিবন্ধিত কোন এনজিও;
(৯) কোন স্কুল, কলেজ, ইনস্টিটিউট বা বিশ্ববিদ্যালয়;
(১০) কোন হাসপাতাল, ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার;
(১১) কোন ফান্ড বা কোন ট্রাস্ট;
(১২) কোন ফার্ম;
(১৩) কোন পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ;
(১৪) কোন বিদেশি ঠিকাদার, বাংলাদেশের বাইরে গঠিত কোন বিদেশি enterprise, association বা body;
(১৫) উপরে উল্লিখিত হয়নি এরূপ কোন কৃত্রিম আইনী ব্যক্তি (artificial juridical person)|
লিখিত বা অলিখিত কোন সাব-কন্ট্রাক্ট (sub-contract) বা পরবর্তী চুক্তি (subsequent contract), সম্মতি (agreement) বা ব্যবস্থা (arrangement) চুক্তি (contract) এর সংজ্ঞাভুক্ত হবে।
উৎস করের হার নির্ধারিত হবে ভিত্তি অংক (base amount) এর ভিত্তিতে। চুক্তি মূল্য, বিল বা ইনভয়েস অংক এবং পরিশোধ- এ তিনটির মধ্যে যেটি বেশি তাই হবে উৎস করহার নির্ধারণের ভিত্তি অংক।
ট্রান্সফার, ক্রেডিট বা সমন্বয়ের মাধ্যমে অর্থ প্রদানও পরিশোধ (payment) হিসেবে বিবেচিত হবে এবং উৎস কর প্রযোজ্য হবে ।
একজন নিবাসী প্রাপক (payee) কোন অর্থ বছরে ধারা 52 এর আওতাভুক্ত খাতে একাধিক payment গ্রহণ করলে তার সমষ্টি ঐ অর্থ বছরে প্রাপকের payment বলে গণ্য হবে এবং সে অনুযায়ী ভিত্তি অংক পরিগণিত হবে ও উৎস কর প্রযোজ্য হবে।

বিধি 16 অনুযায়ী উৎস করের হার হবে নিম্নমূপ:
চুক্তি সম্পাদন (যেমন পূর্তকাজ, স্থাপনা নির্মাণ, যন্ত্রপাতি স্থাপন, মেরামত ও রক্ষাণাবেক্ষণ কাজসহ অনুরূপ প্রকৃতির বিভিন্ন কাজের জন্য) উৎস করহার হবে বিধি 16 এর ক্লজ (a) অনুযায়ী নিম্নরূপ-

ক্রম ভিত্তি অংকের পরিমাণ উৎস কর হার
(১) ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত শূন্য
(২) ২ লক্ষ টাকার অধিক কিন্তু ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ১%
(৩) ৫ লক্ষ টাকার অধিক কিন্তু ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ২%
(৪) ১০ লক্ষ টাকার অধিক কিন্তু ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ৩%
(৫) ২৫ লক্ষ টাকার অধিক কিন্তু ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ৪%
(৬) ১ কোটি টাকার অধিক কিন্তু ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ৫%
(৭) ৫ কোটি টাকার অধিক কিন্তু ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত ৬%
(৮) ১০ কোটি টাকার অধিক হলে ৭%

(১) দ্রব্যাদি সরবরাহ, উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ বা রূপান্তর, এবং প্রিন্টিং প্যাকেজিং বা বাইন্ডিংকাজের ক্ষেত্রে উৎস কর হার হবে বিধি 16 এর ক্লজ (b) অনুযায়ী নিম্নমূপ-

ক্রম ভিত্তি অংকের পরিমাণ কর্তনের হার
(১) ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ৩%
(২) ২০ লক্ষ টাকার অধিক কিন্তু ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ৪%
(৩) ১ কোটি টাকার অধিক হলে ৫%

(২) তেল সরবরাহের বিপরীতে তেল বিপণনকারী কোম্পানী বা তাদের ডিলার/এজেন্ট পেট্রল পাম্প স্টেশন ব্যতীত) ও অয়েল রিফাইনারী কোম্পানীকে এবং গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীকে অর্থ পরিশোধের ক্ষেত্রে উৎস কর্তনের ক্ষেত্রে পূর্বের হার বহাল থাকবে [বিধি 16এর (c) দ্রষ্টব্য]
Payment এর সময় পরিশোধের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি (the person responsible for making payment) যাচাই করে দেখবেন যে প্রাপক ১২-ডিজিট টিআইএনধারী কি-না । যদি প্রাপক ১২-ডিজিট টিআইএনধারী না হন তাহলেণ উৎস করের হার নির্ধারিত হার অপেক্ষা ৫০ শতাংশ বেশি হবে।
সংশোধিত বিধি 16 পরিশিষ্ট ২৮ তে সন্নিবেশিত হয়েছে।
বিধি 16 এর আওতায় উৎস কর প্রযোজ্য –এরূপ ব্যক্তির নিকট হতে লিখিত আবেদন পাওয়ার প্রেক্ষিতে Board যদি এ মর্মে সনদ প্রদান করে যে, কোন আয় বছরে উক্ত ব্যক্তির আয়কর অব্যাহতি প্রাপ্ত অথবা হ্রাসকৃত হারে করযোগ্য, তাহলে ঐ আয় বছরে উক্ত ব্যক্তির নিকট থেকে Board এর সনদে উল্লিখিত মতে আয়কর কর্তন ব্যতিরেকে বা হ্রাসকৃত হারে আয়কর কর্তন করে (Board এর সনদ অনুযায়ী যেটি প্রযোজ্য এবং সনদে যেভাবে উল্লেখ থাকবে। বিধি 16তে উল্লেখিত অর্থ পরিশোধ করা যাবে।

(খ) ধারা 52A
কোন specified person কর্তৃক কোন নিবাসীকে রয়্যালটি, ফ্র্যাঞ্চাইজ, লাইসেন্স ফি, ব্র্যান্ড নাম, পেটেন্ট ইনভেনশন, ফর্মুলা, প্রসেস ইত্যাদিসহ (পূর্ণাংগ তালিকার জন্য ধারা 52A দ্রষ্টব্য) অন্যান্য সকল intangibles ব্যবহারের জন্য অর্থ পরিশোধ করা হলে এর উপর নিম্ন বর্ণিতহারে উৎস কর কর্তন করতে হবে:

ক্রম ভিত্তি অংকের পরিমাণ কর্তনের হার
(১) ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ১০%
(২) ২৫ লক্ষ টাকার অধিক হলে ১২%

Payment এর সময় পরিশোধের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি (the person responsible for making payment)যাচাই করে দেখবেন যে প্রাপক ১২-ডিজিট টিআইএন ধারী কি-না। যদি প্রাপক১২-ডিজিট টিআইএন ধারী না হন তাহলে উৎস করের হার নির্ধারিত হার অপেক্ষা ৫০ শতাংশ বেশি হবে।
ধারা 52A এর specified person হবে ধারা 52 উধারা (2) তে উল্লিখিত specified person এর অনুরূপ।
লিখিত বা অলিখিত কোন সাব-কন্ট্রাক্ট (sub-contract) বা পরবর্তী চুক্তি (subsequent contract), সম্মতি (agreement) বা ব্যবস্তা (arrangement) ও চুক্তি (contract) এর সংজ্ঞাভুক্ত হবে।
উৎস করের হার নির্ধারিত হবে ভিত্তি অংক (base amount) এর ভিত্তিতে। চুক্তি মূল্য, বিল বা ইনভয়েস অংক এবং পরিশোধ-এ তিনটির মধ্যে যেটি বেশি তাই হবে উৎস করহার নির্ধারণের ভিত্তি অংক।
ট্রান্সফার, ক্রেডিট বা সমন্বয়ের মাধ্যমে অর্থ প্রদানও পরিশোধ (payment) হিসেবে বিবেচিত হবে এবং উৎস কর প্রযোজ্য হবে।
কোন অর্থ বছরে একজন নিবাসীকে ধারা 52A এর আওতাভুক্ত খাতে একাধিক payment করা হলে তার সমষ্টি ঐ অর্থ বছরে প্রাপকের payment বলে গণ্য হবে এবং সে অনুযায়ী ভিত্তি অংক গণনা হবে ও উৎস কর প্রযোজ্য হবে।

(গ) ধারা 52AA
কোন specified person কর্তৃক ধারা 52AA তে বর্ণিত সেবা প্রদানের বিপরীতে কোন নিবাসীকে অর্থ পরিশোধের ক্ষেত্রে payment এর উপর নিম্নবর্ণিত হারে উৎস কর কর্তন করতে হবে:

SL. No. Description of service and payment Rate of deduction of tax (% of base amount )
Where base amount does not exceed Tk. 25 lakh Where base amount exceeds Tk. 25 lakh
1 Advisory or consultance service 10% 12%
2 Professional service, technical services fee, or technical assistance fee 10% 12%
3 Catering service
(a)on commission
(b)on gross amount
10%
1.5%
12%
2%
4 Cleaning service
(a)on commission
(b)on gross amount
10%
1.5%
12%
2%
5 Collection and recovery agency-
(a)on commission
(b)on gross amount
10%
1.5%
12%
2%
6 Management of events, trainging, workshops etc.
(a)on commission
(b)on gross amount
10%
1.5%
12%
2%
7 Private security service
(a)on commission
(b)on gross amount
10%
1.5%
12%
2%
8 Supply of manpower
(a)on commission
(b)on gross amount
10%
1.5%
12%
2%
9 Indenting commission 6% 8%
10 Meeting fees, training rees or honorarium 10% 12%
11 Mobile network operator, technical support service provider or service delivery agents engaged in mobile banking operations 10% 12%
12 Credit rating agency 10% 12%
13 Motor garage or workshop 6% 8%
14 Provate container port or dockyard service 6% 8%
15 Shipping agency commission 6% 8%
16 Stevedoring/berth operation commission 12%
17 Transport service, car rental 3% 4%
18 Any other service which is not mentioned in Chapter VII of this Ordinance and is not a service provided by any bank, insurance or financial institutions 10% 12%


Payment এর সময় পরিশোধের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি (the person responsible for making payment) যাচাই করে দেখবেন যে প্রাপক ১২-ডিজিট টিআইএনধারী কি-না । যদি প্রাপক ১২-ডিজিট টিআইএন ধারী না হন তাহলে উৎস করের হার নিধাৃরিত হার অপেক্ষা ৫০ শতাংশ বেশি হবে।
সেবা প্রদান কারীর নিকট হতে লিখিত আবেদন পাওয়ার প্রেক্ষিতে Board যদি এ মর্মে সনদ প্রদান করে যে, কোন আয় বছরে সেবা প্রদান কারীর আয় আয়কর অধ্যাদেশের কোন বিধান অনুযায়ী কর অব্যাহতি প্রাপ্ত তাহলে ঐ আয় বছরে উক্ত ব্যক্তির নিকট থেকে Board এর সনদে উল্লিখিত মতে আয়কর কর্তন ব্যতিরেকে বা হ্রাসকৃত হারে আয়কর কর্তন করে (Board এর সনদ অনুযায়ী যেটি প্রযোজ্য এবং সনদে যেভাবে উল্লেখ থাকবে) ধারা 52AA তে উল্লিখিত অর্থ পরিশোধ করা যাবে।
ধারা 52AA এর specified person হবে ধারা 52 এর উপধারা (2) তে উল্লিখিত specified person এর অনুরূপ।
লিখিত বা অলিখিত কোন সাব-কান্ট্রাক্ট (sub-contract) বা পরবর্তী চুক্তি (subsequent contract), সম্মতি (agreement) বা ব্যবস্থা (arrangement) চুক্তি (contract) এর সংজ্ঞাভুক্ত হবে।
উৎস করের হার নির্ধারিত হবে ভিত্তি অংক (base amount) এর ভিত্তিতে। চুক্তি মূল্য, বিল বা ইনভয়েস অংক এবং পরিশোধ-এ তিনটি মধ্যে যেটি বেশি তাই হবে উৎস করহার নির্ধারণের ভিত্তি অংক।
ট্রান্সফার, ক্রেডিট বা সমন্বয়ের মাধ্যমে অর্থ প্রদানও পরিশোধ (payment) হিসেবে বিবেচিত হবে এবং উৎস কর প্রযোজ্য হবে।
কোন অর্থ বছরে একজন নিবাসীকে ধারা 52AA এর আওতাভুক্ত খাতে একাধিক payment করা হলে তার সমষ্টি ঐ অর্থ বছরে প্রাপকের payment বলে গণ্য হবে এবং সে অনুযায়ী ভিত্তি অংক গণনা হবে ও উৎস কর প্রযোজ্য হবে।
ধারা 52AA তে professional বলতে কি বুঝাবে তা উপধারা (2) এর ক্লজ (e) এর মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। ক্লজ (e) অনুযায়ী বলতে বুঝাবে –
(অ) ডাক্তার কর্তৃক প্রদত্ত সেবা
(আ) অন্য কোন পেশায় নিয়োজিত কোন কর্তৃক প্রদত্ত সেবা person বা পেশাগত জ্ঞান প্রয়োগ করে প্রদত্ত অন্যান্য সেবা ।
Professional service প্রদান কারীর বিলে যদি নিজের ফি(তা যে নামেই থাকুক) ছাড়াও reimbursable খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে তাহলে উক্ত reimbursable খরচ বাদ দিয়ে ধারা 52AA (টেবিলের ক্রমিক ২) এর আওতায় Professional service প্রদান কারীর ফি, কমিশন ইত্যাদির উপর উৎস কর প্রযোজ্য হবে।
ধারা 52,52A এরং 52AA এর এর ক্ষেত্রে-
(১) পরিশোধের বিপরীতে কোন অগ্রিম গ্রহণও পরিশোধ (pryment) বলে বিবেচিত হবে এবং সে ক্ষেত্রেও উৎস কর প্রযোজ্য হবে। অগ্রিমের উপরে একবার উৎসে কর কর্তন করা হয়ে থাকলে অগ্রিম সমন্বয়ের সময় আর উৎস কর প্রযোজ্য হবে না।
(২) যে ক্ষেত্রে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) প্রযোজ্য সেক্ষেত্রে যদি চুক্তিতে বা বিলে মূল্য সংযোজন কর আলাদা করা থাকে তাহলে মূসক বাদ দিয়ে ভিত্তি অংক হিসেব করা হবে। আর যদি মূসক প্রযোজ্য না থাকে, অথবা যদি চুক্তিতে বা বিলে মূসকের পরিমাণ আলাদাভাবে উল্লেখ না থাকে তাহলে ভিত্তি অংক হিসেবের ক্ষেত্রে সূসক বাদ যাবে না।
মূসক প্রযোজ্য এরুপ ক্ষেত্রে Payment এর সময় যদি উৎসে মূসক বাদ দিয়ে অবশিষ্ট অংক প্রাপককে দেয়া হয় অথবা প্রাপক যদি মূসক পরিশোধ করে প্রমাণ উপস্থাপন করে বা মূসক পরিশোধের উপযুক্ত ব্যবস্থা সম্পন্ন করে তাহলে মূসক বাদে (VAT excluded) পরিশোধের অংকের উপর উৎসে আয়কর কর্তনযোগ্য হবে।
ধারা 52, 52A এবং 52AAA এর আওতায় ভিত্তি অংক ও তার ভিত্তিতে উৎস করহার কিভাবে নির্ধারিত হবে তার কয়েকটি উদহরণ নিম্নে দেয়া হলো।
উদাহরণ ১৬-১
ধরা যাক একটি নির্মাণ কাজের মূসকবাদে চুক্তি মূল্য ছিল ২ কোটি টাকা । আংশিক কাজ করার পর ঠিকাদার কর্তৃক ৮০ লক্ষ টাকার বিল দাখিল করা হলো এবং উক্ত বিলো মধ্যে ৪০ লক্ষ টাকা পরিশোধের সিদ্ধান্ত হলো, যার মধ্যে প্রথম কিস্তির পরিমাণ ১০ লক্ষ টাকা ও দ্বিতীয় কিস্তির পরিমাণ ৩০ লক্ষ টাকা।
প্রথম কিস্তির ক্ষেত্রে:
(১) ভিত্তি অংক (base amount): ২ কোটি টাকা (চুক্তি মূল্য, বিল এবং পরিশোধ- এ তিনটির মধ্যে সর্বোচ্চ অংক)
(২) ভিত্তি অংক অনুযায়ী উৎস কর হার: ৫%
(৩) পরিশোধ (Payment) অংক: ১০,০০,০০০/-
(৪) ধারা 52 অনুযায়ী উৎসে কর কর্তন: (১০,০০,০০০x৫%)= ৫০,০০০/-টাকা, যা যথানিয়মে সরকারী কোষাগারে জমা করতে হবে।
(৫) ঠিকাদারকে আয়কর বাদে পরিশোধ করা হবে: (১০,০০,০০০-৫০,০০০) =৯,৫০,০০০/-টাকা
দ্বিতীয় কিস্তির ক্ষেত্রে:
(১) ভিত্তি অংক: ২ কোটি টাকা
(২) ভিত্তি অংক অনুযায়ী উৎস কর হার: ৫%
(৩) পরিশোধ (Payment) অংক: ৩০,০০,০০০/-
(৪) ধারা 52 অনুযায়ী উৎসে কর কর্তন: (৩০,০০,০০০x৫%)= ১,৫০,০০০/-টাকা, যা যথানিয়মে সরকারী কোষাগারে জমা করতে হবে।
(৫) ঠিকাদারকে আয়কর বাদে পরিশোধ করা হবে: (৩০,০০,০০০-১,৫০,০০০) =২৮,৫০,০০০/-টাকা
উদাহরণ ১৬-২
ধরা যাক Y,Z কোম্পানী নিয়মিত সরবরাহকারী। Y ১২-ডিজিট টিআইএনধারী। Y পৃথক পৃথক কার্যাদেশের ভিত্তিতে Z কোম্পানীকে দ্রব্যাদি সরবরাহ করে। ২০ জুলাই ২০১৬ তারিখে Y ১৮,০০,০০০/- টাকার স্টেশনারি সরবরাহ করে , যার উপর Z কোম্পানী ধারা 52 ও বিধি 16 এর ক্লজ (b) অনুযায়ী ৩% হারে ৫৪,০০০/- টাকা উৎসে কর কর্তন করে। ১ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে Y, Z কোম্পানীকে আবার ২০,০০,০০০/-টাকার ইউনিফরম সরবরাহ করে। দ্বিতীয় সরবরাহের ক্ষেত্রে উৎস করের পরিমাণ হবে নিম্নমূপ:
(১) ভিত্তি অংক: এ ক্ষেত্রে-
(অ) চুক্তিমূল্য: শূন্য,
(আ) বিলের পরিমাণ ২০,০০,০০০/- টাকা এবং ।
(ই)Payment এর পরিমাণ ১৮,০০,০০০+২০,০০,০০০ =৩৮,০০,০০০/-টাকা । ফলে ভিত্তি অংক হবে ৩৮,০০,০০০/-টাকা। ।
(২) ভিত্তি অংক অনুযায়ী উৎস কর হার: ৪% ।
(৩) পরিশোধ (Payment) অংক: ৩৮,০০,০০০/- ।
(৪) ধারা ৫২ অনুযায়ী উৎসে কর কর্তন: (৩৮,০০,০০০x৪%) = ১,৫২,০০০/- টাকা । ।
(৫) পূর্বে কর্তিত কর: ৫৪,০০০/- ।
(৬) এ বিলে কর্তন করতে হবে: ১,৫২,০০০-৫৪,০০০ =৯৮,০০০/- টাকা। ।
(৭) সরবরাহকারীকে পরিশোধ করা হবে: (২০,০০,০০০-৯৮,০০০) =১৯,০২,০০০/- টাকা। ।
উদাহরণ ১৬-৩ ।
কোম্পানী A জনাব শান্ত সিনহাকে তার উদ্ভাবিত ডিজাইন ব্যবহারের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা পরিশোধের জন্য চুক্তি বদ্ধ হলো এবং প্রথম কিস্তিতে ১০ লক্ষ টাকা জনাব শান্ত সিনহাকে পরিশোধের সিদ্ধান্ত হলো। এ ক্ষেত্রে প্রথম কিস্তিতে উৎস করের পরিমাণ হবে নিম্নমূপ: ।
(১) ভিত্তি অংক: ৩০,০০,০০০/- ।
(২) ভিত্তি অংক অনুযায়ী উৎস কর হার: ১২% ।
(৩) পরিশোধ (Payment) অংক: ১০,০০,০০০/- ।
(৪) উৎস কর: (১০,০০,০০০১২%) =১,২০,০০০/- টাকা, যা যথানিয়মে সরকারী কোষাগারে জমা করতে হবে। ।
(৫) জনাব শান্তা সিনহাকে পরিশোধ করা হবে: (১০,০০,০০০-১,২০,০০০ = ৮,৮০,০০০/- টাকা । ।
উদাহরণ ১৬-৪ ।
কোম্পানী B বিভিন্ন দপ্তরে ক্লিনিং সার্ভিস প্রদান করে । একটি হাসপাতালে ক্লিনিং সার্ভিস প্রদানের জন্য কোম্পানী B নিম্নরূপ বিল দাখিল করে-
এ ক্ষেত্রে ভিত্তি অংক ২৫ লক্ষ টাকার নীচে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ধারা 52AA অনুযায়ী উৎসে নিম্নরূপ কর করর্তন করবেণ: (gross amount) ৮,০০,০০০/- টাকার উপর উৎস কর: (৮,০০,০০০x১.৫%) =১২,০০০/- ।
কমিশন ৮০,০০০/- টাকার উপর ১০% হারে উৎস কর: (৮০,০০০x১০%) = ৮,০০০/-টাকা ।
ধারা 52AA অনুযায়ী প্রযোজ্য উৎস কর (১২,000+৮,000)=২0,000/- টাকা

ধারা 52,52AA এবং 52AA এর বিষয়ে প্রায়শঃ জিজ্ঞাসিত (Frequently Asked Questions)

 

প্রশ্ন ১৬-১:আমার কোম্পানী একটি অফিসে শীতাতপ ব্যবস্থা স্থাপনের কাজ পাওয়ার পর তা স্থপনের কাজ যথাযথভাবে সম্পাদন করেছে ।শীততিপ ব্যবস্থার জন্য যাবতীয় যন্ত্রপাতি আমার কোম্পানী থেকে সরবরাহ করা হয়েছে । এক্ষেত্রে উৎস করের হার কি হবে?
উত্তর ১৬-১: আপনার কোম্পানী শীতাতপ ব্যবস্থা স্থাপনের কাজ সম্পাদন করেছে । এটি চুক্তি সম্পাদন হিসেবে বিবেচিত হবে এবং বিধি 16 এ ক্লজ (a) তে নির্ধারিত উৎস করহার প্রযোজ্য হবে ।

প্রশ্ন ১৬-২: আমার কোম্পানী একটি অফিসে সরবরাহ চুক্তির আওতায় ৫০০ পিস ইউনিফর্ম সরবরাহ করেছে । এক্ষেত্রে উৎস করের হার কি হবে?
উত্তর১৬-২:এক্ষেত্রে দ্রব্যাদি সরবরাহের জন্য বিধি 16 এর ক্লজ (b)তে নির্ধারিত উৎস করহার প্রযোজ্য হবে ।

প্রশ্ন ১৬-৩: আমি প্রিন্টিং এর টেন্ডারে অংশগ্রহণ করে একটি সরকারী দপ্তরে ৫ লক্ষ টাকার বুকলেট সরবরাহ করেছি ।আমার বিলের ক্ষেত্রে উৎস করের হার কত হবে?
উত্তর ১৬-৩: একই দপ্তরে একই অর্থ বছরে আপনার আর কোন বিল না থাকলে আপনার বিলের উপর বিধি 16 এর ক্লজ (b)তে নির্ধারিত ৩% হারে উৎস কর প্রযোজ্য হবে ।

প্রশ্ন ১৬-৪:আমি চুক্তির আওতায় একটি কোম্পনীতে ক্যাটারিং সার্ভিস প্রদান করেছি, যার গ্রস বিল ছিল ১,৫০,০০০/- টাকা । আমার ক্ষেত্রে বিধি 16 এর ক্লজ (a) অনুযায়ী “শূন্য” উৎস কর প্রযোজ্য হবে কি-না ।
উত্তর ১৬-৪: চুক্তির আওতায় ক্যাট াারিং সার্ভিস প্রদান করলেও আপনি ধারা 52AA এর আওতাভুক্ত একটি সেবা সরবরাহ করেছেন । ফলে আপনার নিকট থেকে ধারা 52AA অনুযায়ী উৎস কর কর্তন করা হবে । এক্ষেত্রে ধারা 52 ও বিধি 16 প্রযোজ্য হবে না ।
ধারা 52, 52A এবং 52AAএর পরিবর্তিত বিধানসমূহ ১ জুলাই ২০১৬ তারিখ ও তদপরবর্তী সমযের payment এর জন্য প্রযোজ্য হবে ।

১৭। সিগারেট প্রস্তুতকারীর নিকট হতে উৎসে কর আদায় সংক্রান্ত আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 52B প্রতিস্থাপন
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 52B প্রতিস্থপন করা হয়েছে ।ধারা 52B এর নতুন বিধানে উক্ত ধারার আগের উপধারা (2)বিলোপ করে আগের উপধারা (1) এর সমুদয় বিধান বহাল রাখা হয়েছে । এর ফলে ধারা 52B এর আগের উপধারা (1) এর সমুদয় বিধান বহাল রাখা হয়েছে ।
আগের উপধারা (2)বিলোপের ফলে মূ্যৈ সংযোজন কর আদায়কারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক উক্ত কর আদায়কালে সিগারেট প্রস্তূতকারীর কাছ থেকে সিগারেটের বিক্রয়যোগ্য সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (NRP) এর উপর ৩% হারে অগ্রিম আয়কর সংগ্রহ করা সংক্রান্ত বিধানটি আর বলবৎ রইল না ।
১৮। সঞ্চয়পত্রের সুদ হতে উৎসে আয়কর কর্তন সংক্রান্ত আয়কর অধ্যাদেমের ধারা 52D এর প্রতিস্থাপন
(ক) অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধার 52D প্রতিস্থাপন করা হয়েছে ।ধারা 52D এর নতুন বিধান অনূযায়ী, এঅধ্যাদেশের অপর কোন বিধানে অথবা বর্তমানে কলবৎ অন্য আইনে approved superannuation fund বা gratuity fund বা recognized provident fund বাworkers’ participation fund এর কর অব্যাহতির বিষয়ে যা-ই বলা থাকুক না কেন, কোন সেভিংস ইন্সট্রুমেন্টসের সুদ প্রদান কালে উক্ত সুদ প্রদানের দয়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাক্তি সুদের উপর ৫% হারে উৎসে কর কর্তন করবেন । এর ফলে ব্যক্তি শ্রেণীর পাশপাশি বর্ণিত ফান্ডসমূহের (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) সেভিংস ইন্সট্রুসেন্টসে বিনিয়োগে প্রাপ্ত সুদের উপরও উৎস কর প্রযোজ্য হবে ।
নতুন বিধানটি ১ জুলাই, ২০১৬ তারিখ বা তদপরবর্তী সময়ে সেভিংস ইন্সট্রুমেন্টমের সুদ পরিশোধের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে ।
(খ) উল্লেখ্য, কোন আয় বছরে কোন করদাতার পেনশনার সঞ্চয়পত্রে পুঞ্জভূত বিনিয়োগের পরিমাণ ৫(পাঁচ) লক্ষ টাকা অতিক্রম না করলে উক্ত বিনিয়োগের উপর অর্জিত সুদ/মুনাফা পরিশোধালে ৫% হারে উৎসে কর কর্তন প্রযোজ্য না হওয়ার বিধানটি বলবৎ আছে ।
(গ)এছাড়া ধারা 52D এর দ্বিতীয় প্রোভাইসোর বিধানটি পূর্বের ন্যায় বলবৎ রয়েছে । এ প্রোভাইসোর বিধান অনুসারে Wage earners development bond, US dollar premium bond, US dollar investment bond, Euro premium boud,Euro investment bond, Pound sterling investment bond এবং Pound sterling premium bond এর অর্জিত সুদ বা মুনাফা পরিশোধালে উৎসে কর কর্তন প্রযোজ্য হবে না । অর্থাৎ ১ জুলাই, ২০১৫ তারিখ হতে উপরোল্লিখিত সকল প্রকার বন্ড এর সুদ বা মুনাফা পরিশোধকালে উৎসে কর কর্তন না করার বিধান অদ্যাবধি চালু আছে ।
১৯। শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল (WPF) হতে সুবিধাভোগীকে অর্থ পরিশোধের বেলায় উৎসে কর কতন সংক্রান্ত আয়কর অধ্যাদেশের নুন ধারা 52DD সংযোজন
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ তে একটি নতুন ধারা 52DD সংযোজন করা হয়েছে । নতুন সংযোজিত এ ধারার বিধান মোতাবেক এই অধ্যাদেশের অপর কোন বিধানে বা বর্তমানে বলবৎ অন্য কোন আইনে যা-ই থাকুক না কেন, workers’ participation fund থেকে কোন সুবিধাভোদী (beneficiary)কে অর্থ পরিশোধের সময় পরিশোধের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি (the person responsible for making payment)উক্ত অর্থের উপর ৫% হারে উৎসে কর কর্তন করবেন ।
নতুন বিধানটি ১ জুলাই, ২০১৬ তারিখ বা তদপরবর্তী সময়ে অর্থ পরিমোধের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে ।
প্রশ্ন ১৯-১: workers’ partivipation fund থেকে একজন সুবিধাভোগীকে ৫০,০০০/- টাকা পরিশোধ করা হবে । এ ক্ষেত্রে উৎসে কর্তনের পরিমাণ কত হবে?
উত্তর ১৯-১: এ ক্ষেত্রে ধারা 52DD অনুযায়ী ৫% হারে ২,৫০০/- টাকা উৎসে কর কর্তন করতে হবে ।
২০। ট্রাভেল এজেন্ট হতে উৎসে কর আদায় সংক্রান্ত আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 52JJ এর প্রতিস্থপন
অর্থ আিইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 52JJ এর উপধারা (1) এর বিধান মোতাবেক, এই অধ্যাদেশের অপর কোন বিধানে যা-ই বলা থাকুক না কেন, কোন নিবাসীকে যাত্রী পরিবহনজনিত টিকেট বিক্রয়ের বিপরীতে কমিশন অথবা ডিসকাউন্ট অথবা অর্থ মূ্ল্যে রূপান্তরযোগ্য কোন সুবিধা, তা যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, পরিশোধকালে টিকেট মূল্যর উপর অথবা কার্গো পরিবহনের ক্ষেত্রে কার্গো পরিবহন চার্জ (Charges)এর উপর পরিশোধের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি (the person responsible for making payment)কর্তৃক ০.৩০% হারে উৎসে কর কর্তৃন করতে হবে।
উপধারা (2)তে বলা হয়েছে, বিমানের বিক্রয় বা কার্গো পরিবহনের কারণে নিবাসীকে উপধারা (1) তে উল্লিখিত অর্থের অতিরিক্ত কোন incentive bonus, performance bonus অথবা অন্য কোন সুবিধা, তা যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, প্রদান করা হলে পরিশোধের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে উপধারা (1) তে উল্লিখিত ০.৩০% হারে উৎস করের অতিরিক্ত হিসেবে (A/B)x C এর সমপরিমাণঅংক উৎসে কর্তন করতে হবে, যেখানে-
A = উপধারা (2) তে বর্ণিত আথবা অন্য যে কোন সুবিধার পরিমাণ;
B = উপধারা (1) তে বর্ণিত কমিশন বা ডিসকাউন্ট বা অর্থ মূল্যে রূপান্তরগোগ্য সুবিধার পরিমাণ; এবং
C = উপধারা (1) তে বর্ণিত কমিশন বা ডিসকাউন্ট বা অন্য কোন সুবিধার উপর প্রযোজ্য উৎস করের পরিমাণ।
উপধারা (2) এর আওতায় প্রদত্ত সুবিধা অর্থমূল্যে পরিশোধ না করে তা যদি কোন সুবিধা আকারে প্রদান করা হয় তাহলে সুবিধার আর্থিকমূল্য বিবেচনায় নিয়ে উৎসে কর কর্তন করতে হবে।
উদাহরণ ২০-১
ধরা যাক একজন ট্রাভেল এজেন্ট উপধারা (3) তে বর্ণিত হিসাব অনুযায়ী ৮০ লক্ষ টাকার টিকেট বিক্রয় করে ৫ শতাংশ হারে কমিশন এবং তার অতিরিক্ত হিসেবে ২ শতাংশ হারে উনসেনটিভ বোনাস লাভ করেছেন। এ ক্ষেত্রে উধারা (1) অনুযায়ী কমিশনের উৎস করের পরিমাণ হবে (৮০,০০,০০০X০.৩%) =২৪,০০০/- টাকা। উপধারা (2) অনুযায়ী ইনসেনটিভ বোনাসের উপর উৎস করের পরিমাণ হবে:

৮০,০০,০০০X২% X২৪,০০০/-
৮০,০০,০০০X৫%
=৯,৬০০/-
উপধারা (3) এর বিধান মোতাবেক কার্গো পরিবহনের ক্ষেত্রে কার্গো পরিবহন চার্জ (charges) পরিগণনার ক্ষেত্রে embarkation fees, travel tax, flight safety insurance, security tax এবং airport tax বাদ যাবে। অর্থাৎ টিকেট মূল্য বা কার্গো চার্জ হতে প্রযোজ্যতা অনুযায়ী embarkation fees, travel tax, flight safety insurance, security tax এবং airport tax বাদ দিয়ে অবশিষ্ট অংকের উপর ০.৩০% হারে উৎসে কর কর্তন করতে হবে।
উক্ত ধারায় বর্ণিত অর্থ কোন ট্রান্সফার, ক্রেডিট বা সমন্বয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করা হলেও তা payment হিসেবে বিবেচিত হবে এবং তা উৎস করের আওতায় আসবে।
২১। আন্তর্জাতিক ফোন কল বাবদ প্রাপ্তির উপর উৎসে কর কর্তন সংক্রান্ত আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 52R এর সংশোধন
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 52R এর উপধারা (1) এবং উপধারা (2) সংশোধন করে আন্তর্জাতিক কল সংশ্লিষ্টি ক্ষেত্রে ব্যাংক কর্তৃক International Gateway (IGW) Services Operator কে অর্থ পরিশোধের ক্ষেত্রে sউৎসে করের হার ১% হতে ১.৫% এবং International Gateway (IGW) Servicesw Operator কর্তৃক কোন Interconnection Exchange (ICX), Access Network Services (ANS) আথবা Bangladesh Telecommunication Regulatory Commission (BRTC) এর সাথে চুক্তিভুক্ত অন্য যে কোনো ব্যক্তিকে অর্থ পরিশোধের ক্ষেত্রে উৎসে কর কর্তনের হার ৫% হতে বৃদ্ধি করে ৭.৫% করা হয়েছে।

নতুন বিদানটি ১ জুলাই, ২০১৬ তারিখ বা তদপরবর্তী সময়ে অর্থ পরিশোধের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
২২। আয়কর অধ্যাদেধের ধারা 53BB এর সংশোধন
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 53BB সংশোধন করে উক্ত ধারায় বর্ণিত উৎস করহার ০.৮০% (যা এস, আর,ও এর মাধ্যমে ১ জুলাই ২০১৫ থেকে ৩০ জুন ২০১৬ সময়ের জন্য ০.৬০% এ হ্রাসকৃত) থেকে ১% এ বৃদ্ধি করা হয়েছে। হবে এস, আর, ও নং ২৫৭-আইন/আয়কর/২০১৬, তারিখ ১০ আগস্ট, ২০১৬ খ্রিস্টাব্দ এর মাদ্যমে পাটজাত দ্রব্য ব্যতীত অন্যান্য পণ্যের ক্ষেত্রে ১ জুলাই ২০১৬ থেকে ৩০ জুন ২০১৭ সময়ের জন্য এ হার ০.৭০% -এ হ্রাস করা হয়েছে।
এস, আর, ও নং ২০৭ আইন/আয়কর /২০১৬,তারিখ ২৯ জুন, ২০১৬ খ্রিস্টাব্দ এর মাধ্যমে পাটজাত দ্রব্যের ক্ষেত্রে ১ জুলাই ২০১৬ থেকে ৩০ জুন ২০১৯ সময়ের জন্য এ ধারার আওতায় উৎস কর্তনের হার ০.৬০%-এ হ্রাস করা হয়েছে।
২৩। আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 53BBBB এর সংশোধন
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 53BBBB সংশোধন করে উক্ত ধারায় বর্ণিত উৎস করহার ০.৮০%(যা এস, আর, ও এর মাধ্যমে ১ জুলাই ২০১৫ থেকে ৩০ জুন ২০১৬ সময়ের জন্য ০.৬০% এ হ্রাসকৃত) থেকে ১% এ বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে এস, আর, ও নং ২৫৭-আইন/আয়কর/২০১৬, তারিখ ১০ আগষ্ট, ২০১৬ খ্রিস্টাব্দ এর মাদ্যমে ১ জুলাই ২০১৬ থেকে ৩০ জুন ২০১৭ সরয়ের জন্য এ হার ০.৭০% এ হ্রাস করা হয়েছে।
২৪। অনিবাসী কুরিয়ার ব্যবসা হতে উৎসে কর কর্তন বা আদায় সংক্রান্ত আয়কর অধ্যাদেশের ধার 53CCC এর সিন্নিবেশ
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাধেশ, ১৯৮৪ তে একটি নতুন ধারা 53CCC সন্নিবেশ করা হয়েছে। সন্নিবেশিত নতুন এ ধারার বিধান মোতাবেক, কোন অনিবাসী কুরিয়ার কোম্পানীর স্থানীয় এজেন্ট হিসেবে কার্যক্রমরত এবং The Companies Act,1913 বা কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ এর অধীন নিবন্ধিত কোন কোম্পানী দেশের বাইরে পণ্য, দলিলাদি, পার্সেল বা অন্য যে কোন শিপমেন্ট সংশ্লিষ্টি কারণে অনিবাসী কুরিয়ার কোম্পপানীকে সার্ভিস চার্জ বাবদ কোন অর্থ প্রদান করলে তার উপর ১৫% হারে উৎসে কর কর্তন বা আদায় যোগ্য হবে।
২৫। কমিশন, ডিসকাউন্ট বা ফিস হতে উৎসে কর কর্তন বা আদায় সংক্রান্ত আয়কর অধ্যাদেশের ধার 53E সংশোধন
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 53E এর উপধারা (2) প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। প্রতিস্থাপিত উপধারার বিধান মোতাবেক,oil mardeting company নয় এরূপ কোন company (সিগারেট উৎপাদনকারী কোম্পানী ব্যতীত) যদি কোন পরিবেশকের নিকট বা চুক্তি (contract) এর অধীন কোন person এর নিকট উক্ত company কের্তৃক নির্ধারিত খুচরা মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে কোন পণ্য বিক্রি করে, তবে উক্ত কোম্পানী ঐ পরিবেশক বা person এর নিকট হতে BxC এর সমান অংকের ৫% হারে উৎসে কর আদায় করবে। এক্ষেত্রে-

B= কোম্পানী কর্তৃক পরিবেশকের নিকট বা চুক্তির অধীন কোন person এর নিকট পণ্যের বিক্রয়মূল্য;
C= ৬%

উদাহরণ ২৫-১
ধরা যাক একটি কোম্পানীর কোন একটি পণ্য বাজারে প্রতি ইউনিট ১১০ টাকায় বিক্রি হয়। কোম্পানী পরিবেশক Y এর নিকট পণ্যটি প্রতি ইউনিট ১০০ টাকায় বিক্রি করে। ধরা যাক একটি চালারে পরিবেশকের নিকট ৮,০০,০০০/- টাকার পণ্য বিক্রি করা হলো । এক্ষেত্রে পরিবেশকের নিকট তেকে উৎসে কর কর্তনের পরিমাণ হবে নিম্নরূপ:

(BxC) =৮,০০,০০০×৬% = ৪৮,০০০
ধারা 53E এর উপধারা (2) অনুযায়ী উৎস কর: ৪৮,০০০x৫%=২,৪০০/-টাকা ।
সিগারেট উৎপাদনকারী কোম্পানীর জন্য পরিবেশকের নিকট হতে উৎস কর আদায়ের ক্ষেত্রে পূর্বের হার বহাল রাখা হয়েছে। অর্তাৎ কোন সিগারেট উৎপাদনকারী কোম্পানী পূর্বের মতোই কোম্পানী কর্তৃক নির্ধারিত খূচরা মূল্য এবং পরিবেশক বা ঐ person এর নিকট বিক্রয় মূল্যের পার্তক্যের উপর ৩% হারে উৎসে কর আদায় করবে।
উপধারা (2) তে একটি ব্যাখ্যা সংযোজন করে দারা 53E তে “চুক্তি (contract)” বলতে কি বুঝাবে তা সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। সংযোজিত ব্যাক্যা অনুযায়ী, কোন সম্মতি বা কোন ব্যবস্ত, তা লিখিত হোক বা না হোক, ধারা 53E এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে চুক্তির অন্তর্ভূক্ত হবে।
কোন company কর্তৃক ১ জুলাই ২০১৬ তারিখ থেকে সকল পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সংশোধিত এ বিধান কার্যকর হবে।
২৬।সঞ্চয়ী আমানত এবং স্থায়ী আমানত, ইত্যাদির সুদ আয় হতে উৎসে কর কতৃন সংক্রান্ত আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 53F সংশোধন
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 53অ সংশোধনপূর্বক উপধারা (2) এর পরিবর্তে উপধারা (2) এবং উপধারা (3) প্রতিস্থাপন করা হয়েছে । সংশোধিত ধারায় উপধারা (2) এর মাধ্যমে নতুন বিধান সন্নিবেশিত করা হয়েছে এবং পূর্বের উপধারা (2) নতুন উপধারা (3) হিসেবে সংখ্যায়িত হয়েছে।
প্রতিস্তাপিত উপধারা(2) এর বিধানমতে, কোন ফান্ডের কর অব্যাহতির বিষয়ে এই অধ্যাদেশে অতবা বর্তমানে বলবৎ অন্য কোন আইনে যা-ই বলা থাকুক না কেন, কোন তপসিলি ব্যাংক বা সমবায় ব্যাংক বা ইসলামি নীতি অনুযায়ী পরিচালিত ব্যাংক অথবা কোন অ-ব্যাংকিং আর্তিক প্রতিষ্ঠান বা কোন লিজিং কোম্পানী বা কোন গৃহায়নে অর্থায়নকারী কোম্পানীতে কোন ফান্ডের দ্বারা বা নামে পরিচালিত বা রক্ষিত কোন সঞ্চয়ী আমানত বা মেয়াদী আমানতের সুদ বা মুনাফার অংশ (share of profit) পরিশোধের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি, তিনি উক্ত সুদ বা মুনাফার অংশ ফান্ডের হিসেবে ক্রেডিটের সময় বা পরিশোধের সময়, দুটির মধ্যে যেটি আগে ঘটে, উক্ত সুদ বা মুনাপার অংশের উপর ৫% হারে উৎসে কর কতৃন করবেন।

উপধারা (2) তে ‘ফান্ড’ বলতে approved superannuation fund বা pension fund বা gratuity fund বা recognized provident fund বা workers’ participation fund সহ আইনে র দ্বারা সৃষ্ট বা আইন দ্বারা পরিচালিত ফান্ডকে বুঞাবে, যা কৃত্রিম আইনী সত্তা হিসেবে পরিগণিত হয় এবং যাদের নামে আইনানুগভাবে পৃথক হিসাব (account) সংরক্ষণ করা যায়।
নতুন বিধান প্রবর্তনের মাধ্যমে আইনের দ্বারা সৃষ্ট বা আইন দ্বারা পরিচালিত Board কর্তৃক অনুমোদিত কোন ফান্ড , যার সঞ্চয়ী আমানত বা স্থায়ী আমানত বা মেয়াদী আমানতের সুওদর উপর আগে উৎস কর অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছিল, তার উক্ত সুদের উপর ১ জুলাই ২০১৬ থেকে ৫% হারে উৎস কর আরোপিত হবে।
যে সকল ফান্ড ৩০ জুন ২০১৬ তারিখ পর্যন্ত উৎস করের আওতাভুক্ত ছিল সে সকল ফান্ডের ক্ষেত্রে উপধার (2) এর বিধা কার্যকর হবে না। অর্থাৎ এরূপ ফান্ডের ক্ষেত্রে ৩০ জুন ২০১৬ তারিখ পর্যন্ত সময়ে যে তারে উৎস কর কর্তিত হতো এখনো সে হারে উৎস কর আরোপ হব।
পূর্বের উপধারা (2) নতুন উপধারা (3) হিসেবে সংখ্যায়িত হওয়ায় পূর্বের উপধার (2) এর সকল বিধান অপরিবর্তিত থাকবে।
প্রশ্ন ২৬-১: আমার কোম্পানীর কর্মচারিদের কল্যাণের জন্য আমি একটি Employees Welfare Fund গঠন করে উক্ত ফান্ডের টাকা ব্যাংকে এফডিআর করেছি। আমার কোম্পানীর এ ফান্ডের এফডিআর সুদের ক্ষেত্রে ধারা 53F এর উপধারা (2) এর বিধান প্রযোজ্য হবে কি-না ?
উত্তর : না। আপনার কর্ণিত ফান্ডের সুদের ক্ষেত্রে ধারা 53F এর উপধারা (1) এর বিধান প্রযোজ্য হবে ।
ধারা 53F এর উপধারা (2) সংশোধিত ধারা 53F তে উপধারা (3) হিসেবে সংখ্যায়িত হয়েছে।
২৭। রিয়েল এস্টেট বা ভুমি উন্নয়ন ব্যবসায় জড়িত ব্যক্তির নিকট হতে উৎসে কর আদায় সংক্রান্ত আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 53FF সংশোধনঃ
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 53FF এর ক্লজ (a) এর উপ-ক্লজ (iii) এবং ক্লজ (aa) এর উপ-ক্লজ (iii) প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।সংশোধিত বিধানমতে ধারা 53FF অনুযায়ী উৎস কর হার হবে নিম্নরূপ:

আবাসিক উদ্দেশ্যে নিমিৃত (constructed for residential purposes) দালান বা এপার্টমেন্টর ক্ষেত্রে:

এলাকা প্রতি বর্গমিটারে উৎস কর (টাকায়)
(ক) ঢাকা’র গুলশান মডেল টাউন, বনানী, বারিধারা, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা ও দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা ১,৬০০/-
(খ) ঢাকা’র ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা, ডিওএইচএস, মহাখালী, লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটি, উত্তরা মডেল টাউন, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা, কারওয়ানবাজার বাণিজ্যিক এলাকা এবং চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকা, খুলশী আবাসিক এলাকা, আগ্রাবাদ ও নাসিরাবাদ ১,৫০০/-
(গ) (ক)ও (খ) ব্যতীত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন , ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অন্যান্য এলাকা ১,০০০/-
(ঘ) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ব্যতীত অন্যান্য সিটি কর্পোরেশন এলাকা ৭০০/-
(ঙ) উপরের (ক), (খ), (গ) এবং (ঘ) ব্যতীত অন্যান্য এলাকা ৩০০/-


তবে, অনধিক ৭০ বর্গমিটার পর্যন্ত (কমন স্পেসসহ) আয়তনবিশিষ্ট আবাসিক এপার্টমেন্টের জন্য উৎস করের হার ২০% কম হবে এবং অনদিক ৬০ বর্গমিটার পর্যন্ত (কমন স্পেসসহ) আয়তনবিশিষ্ট আবাসিক এপার্টমেন্টের জন্য উৎস করের হার ৪০% কম হবে।
আবাসিক ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে নির্মিত (constructed not for the residential purposes) দালান বা এপার্টমেন্ট বা কোন স্পেস(space)এর ক্ষেত্রে :

এলাকা প্রতি বর্গমিটারে উৎস কর (টাকায়)
(ক) ঢাকা’র গুলশান মডেল টাউন, বনানী, বারিধারা, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা ও দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা ৬,৫০০/-
(খ) ঢাকা’র ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা, ডিওএইচএস, মহাখালী, লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটি, উত্তরা মডেল টাউন, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা, কারওয়ানবাজার বাণিজ্যিক এলাকা এবং চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকা, খুলশী আবাসিক এলাকা, আগ্রাবাদ ও নাসিরাবাদ ৫,০০০/-
(গ) (ক)ও (খ) ব্যতীত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন , ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অন্যান্য এলাকা ৩,৫০০/-
(ঘ) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ব্যতীত অন্যান্য সিটি কর্পোরেশন এলাকা ২,৫০০/-
(ঙ) উপরের (ক), (খ), (গ) এবং (ঘ) ব্যতীত অন্যান্য এলাকা ১,২০০/-

২৮। অনিবাসীর নিকট থেকে উৎস কর কর্তন সংক্রান্ত আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 56 প্রতিস্থাপন
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে অনিবাসীর নিকট থেকে উৎস কর্তন সংক্রান্ত ধারা 56 এর আওতাভুক্ত উৎস করের খাত ও হার পূর্নগঠন করা হয়েছে এবং কর্তনকারীর আওতা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। নতুন বিধান অনুযায়ী, কোন অনিবাসীকে specified person বা অর্থ পরিশোদের দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যে কোন ব্যক্তি (person responsible for making payment) কর্তৃক যদি এমন কোন অর্থ পরিশোধ করা হয় যা উক্ত অনিবাসীর আয়, তাহলে নিম্নবর্ণিত হারে উৎসে কর কর্তন করতে হবে-

SL. No Description of services or payments Rate of deduction of tax
1 Advisory or consultancy service 20%
2 Pre-shipment inspection service 20%
3 Professional service, technical services, technical know-how or technical assistance 20%
4 Architecture, interior design or landescope design, fashion design or process design 20%
5 Certification, rating etc. 20%
6 Charge or rent for satellite, airtime or frequency, rent for channel broadcast 20%
7 Legal service 20%
8 Management service including even management 20%
9 Commission 20%
10 Royalty, license fee or payments related to intangibles 20%
11 Interest 20%
12 Advertisement broadcasting 20%
13 Advertisement making 15%
14 Air transport or water transport 7.5%
15 Contractor or sub-contractor of manufacturing,process or conversion,civil work, construction, engineering or works of similar nature 7.5%
16 Supplier 7.5%
17 Capital gain 15%
18 Insurance premium 10%
19 Rental of machinery, equipment etc. 15%
20 Dividend-
(a)Company—
(b) Any other person, not being a company–
20%
30%
21 Artist, singer or player 30%
22 Salary or remuneration 30%
23 Exploration or drilling in petroleum operations 5.25%
24 Survey for oil or gas exploration 5.25%
25 Any service for making connectivity between oil or gas field and its export point 5.25%
26 Any payments against any services not mentioned above 20%
27 Any other payments 30%

তবে, যেক্ষেত্রে অর্থ পরিশোধকারী ব্যক্তি (person) বর্ণিত অনিবাসীর এজেন্ট হিসেবে অনিবাসীকে পরিশোদকৃত অর্থের উপর নিজে কর পরিশোধের জন্য দায়ী, সেক্ষেত্রে ধারা 56 অনুযায়ী উপর্যুক্ত উৎস কর প্রযোজ্য হবে না।

তবে কোন লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে Board যদি এ মের্মে সনদ প্রদান করে যে, Board এর সর্বোত্তম বিশ্বাসমতে কোন অনিবাসীর কোন আয়ের উপর আয়কর অধ্যাদেশের আওতায় কোন আয়কর প্রযোজ্য নয় বা উক্ত আয়ের উপর আয়কর অধ্যাদেশের আওতায় কোন আয়কর প্রযোজ্য নয় বা উক্ত আয়ের উপর সর্বোচ্চ হার অপেক্ষা কম হারে আয়কর প্রযোজ্য তাহলে সেক্ষেত্রে ঐ অনিবাসীর নিকট থেকে এর সনদে উল্লিখিত মতে আয়কর কর্তন ব্যতিরেকে বা হ্রাসকৃত হারে আয়কর কর্তন করে ধারা 56 তে উল্লিখিত অর্থ পরিশোধ করা যাবে।

ধারা 56 এর Specifed Person হবে ধারা 52 এর উপধারা (2) তে উল্লিখিত specified person এর অনুরূপ।
কোন ট্রান্সফার, ক্রেডিট বা সমন্বয়ের মাধ্যমে এ ধারায় বর্ণিত অর্থ প্রদান করা হলে তাও পরিশোধ (payment) হিসেবে বিবেচিত হবে এবং উৎস করের আওতায় আসবে।

২৯। উৎস কর কর্তন, আদায় ইত্যাদির ব্যর্থতার দায় (liability) আরো সুনির্দিষ্টকরণ: আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 57 এর প্রতিস্থাপন
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 57 প্রতিস্থাপন করে উৎসে কর কতৃন, আদায়, ইত্যাদির ব্যর্থতায় কর্তন/আদায়ের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির দায়-দায়িত্ব আরো সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। ধারা 57 এর উপধারা (1) এর নতুন বিধান অনুযায়ী, যদি কোন ব্যক্তি আয়কর অধ্যাদেশের বিধান অনুযায়ী উৎস কর কর্তন/আদায় না করেন বা কম কর্তন/আদায় করেন বা কর্তিত/আদায়কৃত কর সরকারি কোষাগারে নির্ধারিত সময়ে জমা প্রদান না করেন অথবা কম জমা করেন তাহলে ঐ ব্যক্তি খেলাপী করদাতা (assessee in default) বলে গণ্য হবেন এবং তার ক্ষেত্রে আয়কর অধ্যাদেশের অন্যত্র বর্ণিত বিধান মতে ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়াও তাকে নিম্নোক্ত অংক পরিশোধ করার জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়ী করে সে অর্থ তার নিকট থেকে আদায় করা যাবে-
(১) যে পরিমাণ উৎস কর কর্তন বা আদায় করা হয়নি:
(২) যে পরিমাণ উৎস কর কম কর্তন বা আদায় করা হয়েছে:
(৩) উৎস কর কর্তন বা আদায়ের পর যে পরিমাণ অর্থ সরকারী কোষাগারে জমা দেয়া হয়নি।
দায়ী ব্যক্তির নিকট থেকে উপধারা(1) বর্ণিত অংক ছাড়াও মাসিক ২% হারে নিম্নবর্ণিত অতিরিক্ত অংক(additional amount) আদায়যোগ্য হবে-

ক্ষেত্র যে পরিমাণের উপর অতিরিক্ত অংক পরিগণনা করা হবে যে সময়ের জন্য সাসিক ২% হারে অতিরিক্ত অংক পরিগণনা করা হবে
(ক) উৎস কর কর্তন বা আদায় করা হয়নি অকর্তিত বা অনাদায়কৃত উৎস করের উপর উৎস কর কতৃন বা আদায়ের নির্ধারিত তারিখ (due date) থেকে শুরু করে উক্ত করের অংক সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার তারিখ পর্যন্ত
(খ) নির্ধারিত তারিখে উৎস কর কর্তন বা আদায় করা হলেও নির্ধারিত হারর বা অংক অপেক্ষা কম কর্তন বা আদায় করা হয়েছে। কম কর্তিত বা কম আদায়কৃত উৎস করের উপর উৎস কর কর্তন বা আদাযের তারিখ(due date)থেকে শুরু করে উক্ত করের অংক সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার তারিখ পর্যন্ত
(গ) কর্তন কৃত বা আদায়কৃত উৎস কর সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়নি কর্তনকৃত বা আদায়কৃত উৎস করের মধ্যে যে পরিমাণ অংক সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়নি উক্ত অংক কর্তন বা আদায়ের তারিখ থেকে শুরু করে তা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার তারিখ পর্যন্ত


অতিরিক্ত অংক (additional amount) পরিগণনার সমযকাল ২৪ মোসের বেশি হবেনা।

উদাহরণ ২৯-১

ধরা যাক, ১৫ মার্চ ২০১৬ তারিকে একজন সরবরাহকারীকে বিল পরিশোধ করা হয়েছে যার উপর ১০,০০০/- টাকা উৎস কর প্রযোজ্য ছিল। বিষয়টি উপ কর কমিশনারের নজরে আসার পর উৎস কর কর্তনের জন্য দায়ী ব্যক্তি ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে ১০,০০০/- টাকা সরকারি কোষাগারে জমার ব্যবস্থা করেন।

এক্ষেত্রে,

অতিরিক্ত অংক পরিগণনার সময়কাল হবে ১৫ মার্চ ২০১৬ হতে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখ পর্যন্ত অর্থাৎ ৬ মাস ১৬ দিন।

ফলে অতিরিক্ত অংকের পরিমাণ হবে:

৬ মাসের উপর ১০,০০০X২%X৬ ১,২০০/-

১৬ দিনের উপর ১০,০০০X২%(১৬÷৩১) ১০৩/-

মোট ১,৩০৩/-

উদাহরণ ২৯-২

উপ কর কমিশনারের গোচরীভুত হলো যে ১৫ মার্চ ২০১৪ তারিখে একজন সরবরাহকারীকে বিল পরিশোধ করা হয়েছে যার উপর ১০,০০০/-টাকা উৎস কর প্রযোজ্য ছিল কিন্তু তা কর্তন করা হয়নি। কর্তনের জন্য দায়ী ব্যক্তি উক্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা প্রদানেরও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। উপকর কমিশনার যথানিয়মে দায়ী ব্যক্তির নিকট থেকে অকর্তিত কর ১০,০০০/- টাকা এবং তার উপর মাসিক ২% হারে অতিরিক্ত অংক আদায়ের জন্য ১৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে দাবীনামা জারী করছেন। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত অংকের পরিমাণ হবে নিম্নরূপ:

১৫ মার্চ ২০১৪ হতে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখ পর্যন্ত অর্থাৎ ৩০ মাস ১৬ দিন। অতিরিক্ত অংক পরিগণনার সর্বোচ্চ সময়কাল: ২৪ মাস

ফলে, অতিরিক্ত অংকের পরিমাণ হবে(১০,০০০X২%X২৪)= ৪,৮০০/-টাকা।

উৎস কর কর্তন/আদায় না করা, কম কর্তন /আদায় করা বা কর্তিত/আদায়কৃত কর সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান না করার জন্য দায়ী ব্যক্তির নিকট থেকে উপধারা(1) তে বর্ণিত অংক বা উপধারা (2) তে বর্ণিত অতিরিক্ত অংক আদায়ের ক্ষেত্রে উপ কর কমিশনার উক্ত ব্যক্তিকে শুনাণীর যৌক্তিক সুযোগ প্রদান পূর্বক শুনানীর বক্তব্য (যদি পাওয়া যায়) বিবেচনান্তে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবেন।

যদি প্রমাণিত হয়, যে ব্যক্তির নিকট থেকে উৎস কর কর্তন/আদায় করা হয়নি বা কম কর্তন/আদায় করা হয়েছিল সে ব্যক্তির নিকট থেকে উতোমধ্যে উৎস করের বর্ণিত অর্থ আদায় করা হয়েছে তাহলে উপকর কমিশনার কর্তন/আদায়ের জন্য দায়ী ব্যক্তির নিকট থেকে বর্ণিত উৎস কর পুনরায় আদায় করবেন না।

কোন উপ কর কমিশনার কর্তৃক এবং কি পদ্ধতিতে উপধারা(1) বা উপধারা (2) তে বর্ণিত অর্থ আদায় হবে সে বিষয়টি বোর্ড নির্ধারণ করে দিতে পারবে।

৩০। উৎসে কর কর্তন, আদায় বা সরকারী কোষাগারে জমা প্রদান না করে কর কর্তনের সার্টিফিকেট প্রদানের দায়(liability) সুনির্দিষ্টকরণ: আয়কর অধ্যাদেশে নতুন ধারা 57A এর সন্নিবেশ
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ তে একটি নতুন ধারা 57A সন্নিবেশ করে উৎসে কর কর্তন, আদায় বা সরকারী কোষাগারে জমা প্রদান না করে কর কর্তনের সার্টিফিকেট প্রদানের দায় সুনিদিৃষ্ট করা হয়েছে। সন্নিসশিত ধারা 57A এর উপধার (1) এর বিধানমতে, যদি কোন ব্যক্তি উৎসে কর কর্তন, আদায় বা সরকারী কোষাগারে জমা প্রদান না করে কাউকে উৎসে কর কতৃন বা আদায়ের সার্টিফিকেট প্রদান করেন তাহলে এরূপ সার্টিফিকেট প্রদান কারী ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রচলিত অন্যান্য বিধানের আওতায় ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়াও তাকে সার্টিফিকেটে উল্লিখিত অর্থের মধ্যে যে পরিমাণ অংক সরকারি কোষাগারে জমা হয়নি সে পরিমাণ অংক পরিশোধের জন্য ব্যক্তি গতভাবে দায়ী করে তার নিকট থেকে সে অর্থ আদায় করা যাবে।
উপধারা (1) তে বর্ণিত অর্থ আদায়ের ক্ষেত্রে উপ কর কমিশনার সার্টিফিকেট প্রদানকারীকে শুনানীর যৌক্তিক সুযোগ প্রাদান পূবৃক শুনানীর বক্তব্য (যদি পাওয়া যায়) বিবেচনান্তে পয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহন করবেন।
৩১। উৎসে কর কর্তনের সার্টিফিকেট, ইত্যাদি সংক্রান্ত আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 58 এর প্রতিস্থাপন
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা ৫৪ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। নতুন বিধান অনুসারে প্রত্যেক ব্যক্তি যিনি এ অধ্যায়ের অধীন উৎসে কর কর্তন বা আদায় করেছেন, তিনি যে ব্যক্তির নিকট হতে উৎসে কর কতৃন বা আদায় করেছেন সে ব্যক্তিকে উৎসে কর কতৃন বা আদায়ের একটি সার্টিফিকেট (certificate) প্রদান করবেন। উক্ত সার্টিফিকেট নিম্ন লিখিত তথ্যাদির উল্লেখ থাকবে-
(১) যে ব্যক্তির নিকট হতে উৎসে কর কতৃন বা আদায় করা হয়েছে তার নাম ও টিআইএন (যদি থাকে)
(২) উৎসে কর্তিত বা আদায়কৃত করের পরিমাণ;
(৩) যে ধারা বা দারাসমূহের অধীন উৎসে কর কর্তন বা আদায় করা হয়েছে তার তথ্য;
(৪) উৎসে কর্তিত বা আদায়কৃত কর সরকারী কোষাগারে জমা প্রদানের তথ্যাদি;
(৫) এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত অন্যান্য তথ্যাদি।

বোর্ড, সরকারী গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে নির্দেশনা জারী করে-
(১) কর কতর্তন বা আদায়ের সার্টিফিকেট electronically বা অন্য কোন machine readable বা computer readable মাধ্যমে প্রস্তুত(generate) বা প্রদান করতে হবে মর্মে নির্ধারণ করতে পারবে;
(২) উক্ত electronic বা machine readable বা computer readable সার্টিফিকেট কিভাবে দেয়া হবে তা নির্ধারণ করে দিতে পারবে।

৩২। উৎসে কর্তিত বা আদায়কৃত করের ক্রেডিট প্রদান সংক্রান্ত আয়কর অধ্যাদেশের 62 এর সংশোধন
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 62 সংশোধন করা হয়েছে। সংশোধিত বিধান মোতাবেক উৎসে কর্তিত বা আদায়কৃত করের ক্রেডিট গ্রহণের জন্য উৎ করের সার্টিফিকেটের সাথে উক্ত উৎস কর সরকারী কোষাগারে জমা প্রদান করার প্রমাণ দাখিল করতে হবে।
৩৩। নির্দিষ্ট আয়ের ক্ষেত্রে অগ্রিম কর প্রদান সংক্রান্ত আয়কর অধ্যাদেশে ধারা 68A এর সন্নিবেশ
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ তে একটি নতুন ধারা 68A সন্নিবেশ করা হয়েছে । সন্নিবেশিত ধারার বিধানমতে প্রত্যেক সিগারেট প্রস্তুতকারককে প্রতিমাসে তার প্রণ্যের নীট বিক্রয় মূল্য (net sale) এর উপর ৩% হারে অগ্রিম কর জমা দিতে হবে। ধারা 68A তে নীট বিক্রয় মূল্য বলতে (A-B) এর সমপরিমাণ কংক বুঝাবে, যেখানে-
A= মোট বিক্রয় (gross sale), এবং
B= মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (যদি থাকে)।
প্রতিমাসে প্রদত্ত এ অগ্রিম কর ধারা 66 এর অধীন প্রদেয় ত্রৈমাসিক অগ্রিম করের কিস্তির বিপরীতে সমন্বয়যোগ্য হবে।

৩৪। মোটর গাড়ির মালিকানাজনিত অনুমিত আয়ের উপর অগ্রিম কর আরোপ সংক্রান্ত আযকর অধ্যাদেশে নতুন ধারা 68B সন্নিবেশ
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ তে একটি নতুন ধারা 68B সন্নিবেশ করা হয়েছে। নতুন ধারাটিতে প্রাইভেট মোটর গাড়ি (motor car) এর মালিকানাজনিত অনুমিত আয় (যা দ্বারা উক্ত মোটরগাড়ি পরিচালনা ও রক্ষাণাবেক্ষণজনিত ব্যয় নির্বাহ হয়) এর উপর অগ্রিম কর আরোপের বিধান সন্নিবেশ করা হয়েছে।
এ বিধান প্রবর্তনের ফলশ্রুতিতে মোটর কার, জীপ বা মাইক্রোবাসের মালিকানাজনিত অনুমিত আয় সংক্রান্ত এস, আর, ও নং ৯৯-আইন/ ২০১৫, তারিখ ১৭ মে, ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ রহিত করা হয়েছে।
ধারা 68B এর উপধারা (1) এর বিধানমতে, কোন আয় বছরে কোন ব্যক্তি মোটর গাড়ি (জীপ বা মাইক্রোসাসহ) এর মালিক হলে ঐ ব্যক্তির ক্ষেত্রে উক্ত আয় বছরে অনুমিত আয়ধরে উপধারা (2) এ বর্ণিত হারে অগ্রিম কর আদায়যোগ্য হবে।

উপধারা (2) অনুযায়ী অগ্রিম করের হার হবে নিম্নরূপ:

ক্রমিক নং গাড়ীল ধরণ ও ইঞ্জিন ক্যাপাসিটি অগ্রিম কর (টাকা)
(১) ১৫০০সিসি পর্যন্ত প্রতিটি মোটরকার বা জীপ এর জন্য ১৫,০০০/-
(২) ২০০০সিসি পর্যন্ত প্রতিটি মোটরকার বা জীপ এর জন্য ৩০,০০০/-
(৩) ২৫০০সিসি পর্যন্ত প্রতিটি মোটরকার বা জীপ এর জন্য ৫০,০০০/-
(৪) ৩০০০সিসি পর্যন্ত প্রতিটি মোটরকার বা জীপ এর জন্য ৭৫,০০০/-
(৫) ৩৫০০সিসি পর্যন্ত প্রতিটি মোটরকার বা জীপ এর জন্য ১,০০,০০০/-
(৬) ৩৫০০সিসি উপর প্রতিটি মোটরকার বা জীপ এর জন্য ১,২৫,০০০/-
(৭) মাইক্রোবাস প্রতিটির জন্য ২০,০০০/-


তবে, কোন ব্যক্তির একক বা যৌথ মালিকানায় একের অধিক মোটর কার (জীপ বা মাইক্রোবাসসহ) থাকলে পরবর্তী প্রতিটির ক্ষেক্রে উপর্যুক্ত হার অপেক্ষা ৫০% বেশি হারে অগ্রিম কর প্রদেয় হবে।
মোটর কার, জীপ বা মাইক্রোবাসের রেজিস্ট্রেশনের সময় অথবা ফিটনেস নবায়নের তারিখ উত্তীর্ণে হওয়ার পূর্বে উক্ত অগ্রিম কর প্রদান করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন বা ফিটনেস সনদ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ সনদ প্রদানের পূর্বে নিশ্চিত হবেন যে সংশ্লিষ্ট মোটর কার, জীপ বা মাইক্রোবাসের ক্ষেত্রেও উক্ত ধারায় বর্ণিত হারে অগ্রিম কর পরিশোধ করা হয়েছে।
যেক্ষেত্রে প্রতি বছর ফিটনেস নবায়ন হয়না সে ক্ষেত্রে করদাতার প্রত্যেক আয় বছর শেষ হওয়ার পূর্বে উক্ত অগ্রিম কর প্রাদান করতে হবে এবং কর পরিশোধের প্রমাণ পরবর্তী ফিটনেস নবায়নের সময় তা ফিটনেস সনদ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করতে হব।
মোটর কার, জীপ মাইক্রোবাসের নিম্নবর্ণিত মালিকের ক্ষেত্রে উক্ত ধারায় উল্লিখিত অগ্রিম কর প্রযোজ্য হবে
না-
(১) সরকার বা স্থানীয় সরকার:
(২) সরকারের বা স্থানীয় সরকারের কোন প্রকল্প, কর্মসূচি বা কার্যক্রম;
(৩) কোন বিদেশী কূটনীতিক, বাংলাদেশে অবস্থিত কোন বিদেশী কুটনৈতিক মিশন, জাতিসংঘ ও এর অংগ সংগঠনের দপ্তর;
(৪) বাংলাদেশের কোন বিদেশি উন্নয়ন সহযোগী ও তার সংযুক্ত দপ্তর;
(৫) সরকারের Monthly Payment Order (MPO) এর অধীনে সুবিধাপ্রাপ্ত কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান;
(৬) কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়;
(৭) এমন কোন সত্তা(entity) যা আয়কর অধ্যাদেশ,১৯৮৪ এর ধারা 2 এর ক্লজ (46) অনুযায়ী ব্যক্তি (person) এর সংজ্ঞাভুক্ত নয;
(৮) কোন গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা;
(৯) এমন কোন প্রতিষ্ঠান (institution) যার নিকট হতে এ ধারায় অগ্রিম কর আদায় হবে না মর্মে বোর্ড কর্তৃক সনদ প্রদান করা হয়েছে।
উপধার (2) এর অধীনে অগ্রিম কর প্রযোজ্য-এমন ব্যক্তির কোন আয় বছরে নিয়মিত উৎসের আয়ের উপর প্রযোজ্য করদায় যদি উপধারা(2) এর অধীনে প্রদত্ত অগ্রিম কর অপেক্ষা কম হয় তাহলে ধরে নেয়া হবে যে ঐ ব্যক্তির উক্ত আয় বছরে এরূপ আয় ছিল যার উপর গণনাকৃত করদায় উপধারা(2) এর অধীনে আদায়কৃত করের সমান।
উপধার (2) এর অধীনে পরিশোধকৃত কর নিয়মিত উৎসের আয়ের উপর প্রযোজ্য করের বিপরীতে ক্রেডিট পাওয়া যাবে। তবে উক্ত করের কোন অংশ ফেরৎযোগ্য হবে না বা এরূপ কর পূর্ববর্তী কোন কর বছরের করদাবীর বিপরীতে সমন্বয় করা যাবে না।
ধারা 68B তে-
(১) মোটরগাড়ি (motor car) বলতে বুঝাবেMotor Vehicles Ordinance 1983 (L V of 1983) এর ধারা 2 এর ক্লজ (25) অনুযায়ী সংজ্ঞায়িত মোটর গাড়ি, যার মধ্যে জীপ এবং মাইক্রোবাসও অন্তর্ভুক্ত হবে।
(২) নিয়মিত উৎসের আয় (income from regular source) বলতে ধারা 82C এর উপধারা (2) এ উল্লিখিত উৎস ব্যতীত অন্য কোন উৎসের আয়কে বুঝাবে।

প্রশ্ন ৩৪-১:প্রশ্ন ৩৪-১: আমার নিয়মিত উৎসের আয়ের উপর আয়কর ২৫,০০০/- টাকা । সংশ্লিস্ট আয় বছরে আমি বেতন খাতে ১৮,০০০/- টাকা উৎস কর এবং আমার ১৪৯০ সিসি মোটর গাড়ির ফিটনেস নবায়নের সময় ১৫,০০০/- টাকা অগ্রিম কর প্রদান করেছি। আমার অতিরিক্ত পরিশোধিত ৮,০০০/-টাকা কি ফেরতযোগ্য হবে?
উত্তর ৩৪-১: আপনার নিয়মিত উৎসের বিপরীতে উৎস কর এবং ১৪৯০ সিসি মোটর গাড়ির ফিটনেস নবায়নের সময় প্রদত্ত অগ্রিম করের সমষ্টি (১৮,০০০+১৫,০০০) = ৩৩,০০০/- টাকা। আপনার নিয়মিত উৎসের আয়ের উপর আয়কর মোটর গাড়ির ফিটনেস নবায়নের সময় প্রদত্ত অগ্রিম কর অপেক্ষা বেশি। ফলে নিয়মিত উৎসের আযের উপর প্রযোজ্য আয়কর ২৫,০০০/- টাকা হবে আপনার করদায়। এক্ষেত্রে ২৫,০০০/- টাকার অতিরিক্ত অংক অর্থাৎ ৮,০০০/- টাকা ফেরতযোগ্য হবে।

প্রশ্ন ৩৪-২: আমার নিয়মিত উৎসের আয়ের উপর আয়কর ৫,০০০/- টাকা। সংশ্লিস্ট আয় বছরে আমি বেতন খাতে ৩,০০০/- টাকা উৎস কর এবং আমার ১৪৯০ সিসি মোটর গাড়ির ফিটনেস নবায়নের সময় ১৫,০০০/- টাকা অগ্রিম কর প্রদান করেছি। আমার অতিরিক্ত পরিশোদিত ১৩,০০০/- টাকা কি ফেরতযোগ্য হবে?
উত্তর ৩৪-২: আপনার নিয়মিত উৎসের বিপরীতে উৎস কর এবং মোটর গাড়ির ফিটনেস নবায়নের সময় প্রদত্ত অগ্রিম করের সমষ্টি (৩,০০০+১৫,০০০) =১৮,০০০/-টাকা। ১৪৯০ সিসি মোটর গাড়ির মালিক হওয়ায় নিয়মিত উৎসের আয় (অনুমিত আয়সহ) এর উপর আপনার ন্যূনতম করদায় হবে ১৫,০০০/- টাকার অতিরিক্ত অংক অর্থাৎ ৩,০০০/- টাকা ফেরতযোগ্য হবে।

প্রশ্ন ৩৪-৩: আমার নিয়মিত উৎসের কোন আয় নেই। সংশ্লিস্টি আয় বছরে আমি ১৪৯০ সিসি মোটর গাড়ির ফিটনেস নবায়নের সময় ১৫,০০০/- টকাকা অগ্রিম কর প্রদান করেছি। আমার পরিশোধিত ১৫,০০০/- টাকা কি ফেরতযোগ্য বা সমন্বয়যোগ্য হবে?
উত্তর ৩৪-৩: আপনার পরিশোধিত ১৫,০০০/- টাকা ফেরতযোগ্য বা সমন্বয়যোগ্য হবে না।

প্রশ্ন ৩৪-৪: সংশ্লিস্টি আয় বছরে আমি প্রসাধনসামগ্রী আমদানি বাবদ ১৮,০০০/- টাকা উৎস কর এবং আমার ১৪৯০ সিসি মোটর গাড়ির ফিটনেস নবায়নের সময় ১৫,০০০/- টাকা অগ্রিম কর প্রদান করেছি। আমার আমদানি ব্যবসায়ের আয়ের উপর করদায় ১৮,০০০/-টাকা। আমার অতিরিক্ত পরিশোধিত ১৫,০০০/- টাকা কি ফেরতযোগ্য হবে? ।
উত্তর ৩৪-৪: আপনার আমদানি ব্যবসায়ের আয়ের উপর পরিশোধিত আয়কর ধারা 82 অনুযায়ী ন্যূনতম কর; তা ফেরতযোগ্য নয় বা সমন্বয়যোগ্য নয়। আপনার নিয়মিত উৎসের আয় না থাকায় মোটর গাড়ির ফিটনেস নবায়নের সময় প্রদত্ত অগ্রিম কর ফেরতগোগ্য হবে না।
ধারা 68B এর বিধান ১ জুলাই ২০১৬ থেকে কার্যকর হবে। ২০১৬-১৭ কর বছরের করদায় পরিগণনা ও কর ক্রেডিট প্রদানের ক্ষেত্রে এস, এর, ও ন্য ৯৯-আইন/২০১৫, তারিখ ১৭মে, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ এর আওতায় পরিশোধিত কর ধারা 68B এর উপধারা (2) এর আওতায় পরিশোধিত হয়েছে বলে গণ্য হবে।

৩৫। অগ্রিম আয়কর পরিশোধে ঘাটতিতে সুদ আরোপ: ধারা 73 এর প্রতিস্থাপন
অর্খ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 73 প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। ধারা 73 এর নতুন বিধানমতে, কোন অর্থ বছরে কোন করদাতা কর্তৃক অধ্যায় VII এর আওতায় প্রদত্ত অগ্রিম কর ও উৎস করের সমষ্টি যদি সংশ্লিষ্টি কর বছরে regular assessment এর মাধ্যমে নিরূপিত করদায়ের ৭৫% এর কম হয় তাহলে বর্ণিত অগ্রিম কর ও উৎস করের সমষ্টি উক্ত ৭৫% অপেক্ষা যতটুকু কম তার উপর করদাতাকে বার্ষিক ১০ শতাংশ হারে সরল সুদ পরিশোধ করতে হবে।
করদাতা Tax Day এর পরে আয়কর রিটার্ন দাখিল করলে এ সরল সুওদর হার ৫০% বেশি হবে।

যে অর্থ বছরে অগ্রিম কর প্রযোজ্য তার পরবর্তী ১ জুলাই থেকে Regular assessment এর তারিখ পর্যন্ত সময়ের জন্য সরল সুদ গণনা করা হবে। তবে সরল সুদ গণনার কাল দুই বছরের বেশি হবে না।
উদাহরণ ৩৫-১
৩০ জুন ২০১৬ তারিখে সমাপ্ত আয় বছরে জনাব মারূফ খানের বেতন আয়ের পরিমাণ ছিল ৪,০০,০০০/- টাকা এবং গৃহ-সম্পত্তি খাতের আয় ছিল ৬,০০,০০০/- টাকা । জনাব খানের নিকট থেকে নিয়োগকর্তা কর্তৃক ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে উৎসে ১৫,০০০/- টাকা উৎসে কর কতৃন করা হয়েছে। এছাড়া জনাব মারূফ খান উক্ত অর্থ বছরে ১৬,০০০/- টাকা অগ্রিম কর প্রদান করেছেন।
জানাব মারুফ খান তার আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্র সময়ের আবেদন করলে উপকর কমিশনার একমাস সময় মঞ্জুর করেন। সে অনুযায়ী তিনি ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে ধারা 74 অনুযায়ী ৬১,৫০০/- টাকা স্বীকৃত দায় পরিশোধ করে সাধারণ পদ্ধতিতে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন। উপকর কমিশনার তার প্রদর্শিত আয় সঠিক পান এবং কর মামলাটি ৩১ মার্চ ২০১৭ তারিখে নিষ্পন্ন করেন।
জনাব মারূফ খানের ক্ষেত্রে ধারা 73 অনুযায়ী সরল সুদের পরিমাণ হবে নিম্নরূপ:
(৪,০০,০০০+৬,০০,০০০) =১০,০০,০০০/- টাকার উপর নিয়মিত করহার প্রয়োগে করদায় হয় ৯২,৫০০/- টাকা
Regular assessment এর মাধ্যমে নিরূপিত করদায়ের ৭৫% :
(৯২,৫০০x৭৫%) =৬৯,৩৭৫/- টাকা
৩০ জুন তারিখ পর্যন্ত সময়ের মোট কর পরিশোধ:
(১৫,০০০+১৬,০০০) = ৩১,০০০/- টাকা ।
করদাতা ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে সমুদয় স্বীকৃত দায় ৬১,৫০০/- টাকা পরিশোধ করায় উক্ত তারিখের পর আর ঘাটতি নেই। ফলে ১ জুলাই ২০১৬ থেকে ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখ পর্যন্ত সময়কালের জন্য অর্থাৎ ১৮২ দিনের জন্য সরল সুদ পরিগণনা করা হবে।

জনাব মারুফ খান Tax Day এর পরে আয়কর রিটার্ন দাখিল করায় সরল সুদের হার ৫০% বেশি হবে। অর্থৎ এ ক্ষেত্রে সরল সুদের হার হবে ১৫%।
ফলে, সরল সুদের পরিমাণ হবে (৩৮,৩৭৫x১৫%x(১৮২÷৩৬৫) =২,৮৭০/-টাকা
কোন করদাতিা ধারা 65 এর বিধান অনুযায়ী অগ্রিম কর পরিশোধ করলেও ধারা 73 এর উপধারা (1) এর বিধান প্রযোজ্য হবে। উল্লেখ্য, কোন করদাতা ধারা 65 এর বিধান অনুযায়ী অগ্রিম কর পরিশোধে ব্যর্থ হলে ধারা 125 অনুযায়ী জরিমানা আরোপসহ আয়কর অধ্যাদেশেরেআওতায় অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান বহাল থাকছে।
প্রতিস্থাপিত ধারা 73 এর উপধার (3) এবং (4) পূর্ববর্তী ধারা 73 এর উপধার (3) এবং (4) এর অনুরূপ।
ধারা 73 এর ব্যাখ্যা (explanation) তে বলা হয়েছে regular assessment বলতে ধারা 82BB (3) এর অধীনে কর নির্ধারণও অন্তর্ভুক্ত হবে। কোন করদাতা ধারা 82BB এর আওতায় সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিল করলে রিটার্ন দাখিলের সময় বা রিটার্ন করার সময় সরল সুদ পরিগণনা করা হবে না: করদাতার 82BB ধারার রিটার্ন 82BB(3) ধারায় অডিটের জন্য নির্বাচিত হলে তার ফলশ্রুতিতে কর নির্ধারণের সময় সরলসুদ আরোপযোগ্য হবে।
৩৬। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিরে ব্যর্থতার ক্ষেত্রে বিলম্ব সুদ আরোপ: আয়কর অধ্যাদেশে নতুন ধারা 73A এর সন্নিবেশ
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ তে একটি নতুন ধারা 73A সন্নিবেশ করে বিধান করা হয়েছে যে, কোন করদাতা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্থাৎ ধারা 2 এর ক্লজ (62A) তে সংজ্ঞায়িত Tax Day এর মধ্যে ধারা 75 তে বর্ণিত আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে ব্যর্থ হলে করদাতার উপর মাসিক ২% হারে বিরম্ব সুদ (delay interest) আরোপযোগ্য হবে। এ ছাড়া, এরূপ করদাতার ক্ষেত্রে নির্ধারিত মসয়ের মধ্যে রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থতায় জরিমানাসহ আয়কর অধ্যাদেশের অধীন অন্যান্য বিধানও যথারীতি প্রয়োগযোগ্য হবে।
বিলম্ব সুদ পরিগণনা করা হবে সংশ্লিষ্ট কর বছরে করদাতার মোট আয়ের উপর নিরূপিত কর (tax assessed on total income) এবং উৎস করসহ অগ্রিম করের পাথর্তক্যের উপর।
মোট আয়ের উপর নিরূপিত কর (tax assessed on total income) বলতে বুঝাবে-
(ক) ধারা 82BB এর আওতায় দাকিলকৃত এবং উক্ত ধারার আওতায় নিষ্পতিকৃত রিটার্নের ক্ষেত্রে, উক্ত উপধারা (1) এর অধীন প্রদেয় করদায়, উপধারা (2) এর অধীন পরিগণনাকৃত করদায় বা উপধার (3) এর অধীনে নিরূপিত মোট আয়ের ভিত্তিতে নিরূপিত করদায়-এ তিনটির মধ্যে যেটি বেশী হয়, তা;
(খ) ধারা 82BB এর আওতায় নিষ্পত্তিকৃত নয় এরূপ রিটার্নের ক্ষেত্রে, উপ কর কমিশনার কর্তৃক নিরূপিত মোট আয়ের ভিত্তিতে পরিগণনাকৃত করদায়।
বিলম্ব সুদ পগিণনার সময়কাল হবে Tax Day এর পরবর্তী দিবস থেকে শুরু করে-
(ক) যেক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিল করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিলের দিন পর্যন্ত:
(খ) যেক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিল করা হয় নি, সেক্ষেত্রে নিয়মিত কর নির্ধারণের দিন পর্যন্ত।
বিলম্ব সুদ পরিগণনার সর্বোচ্চ সময়কাল হবে ১ বছর ।
যে সকল ক্ষেত্রে ধারা 75 এর উপধারা (5)proviso এর এর বিধান প্রযোজ্য সে সকল ক্ষেত্রে এ ধারায় বর্ণিত বিলম্ব সুদ প্রদেয় হবে না ।
উদাহরণ ৩৬-১
৩০ জুন ২০১৬ তারিখে সমাপ্ত আয় বছরে মিজ মৌলি হাসানের মোট আয় ছিল ৬,০০,০০০/-টাকা । তিনি ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ১২,০০০/- টাকা অগ্রিম কর ও ৪,০০০/- টাকা উৎস কর প্রদান করেছেন।
মিজ্ হাসান আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য সময়ের আবেদন করলে উপকর কমিশনার দুই মাস সময় মঞ্জুর করেন। মিজ্ মৌলি হাসান ১৫ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে ১৪,০০০/- টাকার পে-অর্ডারসহ ধারা 82BB অনুযায়ী আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন। উপকর কমিশনার ৩০ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে ধারা 82BB এর উপধারা (2) এর আওতায় মিজ্ হাসানের রিটার্নটি process করেন, যাতে কোন গাণিতিক ক্রটি পাওয়া যায়নি । রিটার্নটি ধারা 82BB এর উপধারা (3) এর আওতায় অডিটের জন্য নির্বাচিত হয়নি।
এক্ষেত্রে,
মোট আয়ের উপর নিরূপিত কর (tax assessed on total income) = ৩০,০০০/-
অগ্রিম কর ও উৎস করের সমষ্টি : (১২,০০০+৪,০০০)=১৬,০০০/- টাকা ।
পার্থক্য: ৩০,০০০-১৬,০০০=১৪,০০০ টাকা
বিলম্ব সুদ পরিগণনার সময়: ১ডিসেম্বর ২০১৬ হতে ১৫ জানুয়ারী ২০১৭ =১ মাস ১৫দিন ।
ফলে, মাসিক ২% হারে বিলম্ব মুদ
=[১৪,০০০x২%x১]+[১৪,০০০x২%x(১৫÷৩১)] = ৪১৫/-টাকা
কোন করদাতার ক্ষেত্রে বিলম্ব সুদ প্রযোজ্য হলে করদাতা বিলম্ব সুদ ছাড়াই রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। উপ কর কমিশনার রিটার্ন process বা কর নির্ধারণের সময় বিলম্ব সুদ অন্তর্ভূক্ত করে দাবীনামা জারী করবেন।
বিলম্ব সুদের এ বিধান ১ জুলাই ২০১৬ থেকে কার্যকর হবে।
৩৭।আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 74 এর সংশোধন
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ন্যূনতম কর সংক্রান্ত ধারা 16CCC বিলোপ করে উক্ত ধারার বিধান সমূহ ধারা 82C তে অন্তর্ভুক্ত করায় ধারা 74 এর উপধারা (1) বর্ণিত তে “ section 16CCC ” শব্দগুলির পরিবর্তে “sub-section(4) of section 82C” প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
৩৮। আয়ের রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 75 এর প্রতিস্থাপন
(ক) যদি আয় বছরে ঐ person এর মোট আয় করমুক্ত সীমা অতিক্রম করে:

(খ) যদি আয় বছরের অব্যবহিত পূর্ববর্তী তিন বছরের কোন একটিতে ঐ person এর কর নির্ধারণ (সার্বজনীন স্বনির্ধারণী কর নির্ধারণসহ) ও তার ফলে করদায় সৃষ্টি হয়ে থাথে;
(গ) যদি ঐ person নিম্নের কোন একটি হয়ে থাকে-
(১) কোন কোম্পানী;
(২) এনজিও এ্যাফেয়ার্স ব্যুরোতে নিবন্ধিত কোন এনজিও;
(৩) কোন সমবায় সমিতি:
(৪) কোন ফার্ম;
(৫) কোন ব্যক্তি-সংঘ;
(৬) কোন কোম্পানীর শেয়ারহোল্ডার পরিচালক বা শেয়ারহোল্ডার employee;
(৭) কোন ফার্মের অংশীদার;
(৮) সরকার অথবা সরকারের কোন কর্তৃপক্ষ, কর্পোরেশন, সত্তা বা ইউনিটের বা প্রচলিত কোন আইন, আদেশ বা দলিলের মাধ্যমে গঠিত কোন কর্তৃপক্ষ, কর্পোরেশন, সত্তা বা ইউনিটের কর্মচারী (employee) যিনি সংশ্লিষ্ট আয় বছরের যে কোন সময় ১৬,০০০/- টাকা বা তদূর্ধ্বে পরিমাণ মূল বেতন আহরণ করেছেন;
(ঘ) যদি আয় বছরে ঐ person এর ধার 44 এর আয়তায় কর অব্যাহতিপ্রাপ্ত বা হ্রাসকৃত হারে করযোগ্য কোন আয় থাকে। তবে কেবল দাতব্য উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষ্যে গঠিত কোন প্রতিষ্ঠান অথবা কোন ফান্ডের জন্য এ বিধান প্রযোজ্য হবে না;
(ঙ) যদি আয় বছরের কোন এক সময়ে নিম্নবর্ণিত শর্তের যে কোনটি ঐ person এর জন্য প্রযোজ্য হয়-
(১) মোটর গাড়ির মালিকানা থাকা (মোটর গাড়ি বলতে জীপ বা মাইক্রোবাসকেও বুঝাবে);
(২) মূল্য সংযোজন কর আইন, ১৯৯১ এর অধীন নিবন্ধিত কোন ক্লাবের সদস্যপদ থাকা;
(৩) কোন সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ হতে ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ করে কোন ব্যবসা বা পেশা পরিচালনা;
(৪) চিকিৎসক, দন্তচিকিৎসক, আইনজীবী , চার্টার্ড একাউন্টেন্ট, কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট একাউন্টেন্ট, প্রকৌশলী, স্থাপতি অথবা সার্ভেয়ার হিসেবে বা সমজাতীয় পেশাজীবী হিসেবে কোন স্বীকৃত পেশাজীবী সংস্থার নিবন্ধন থাকা;
(৫) আয়কর পেশাজীবী (income tax proctioner)হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নিবন্ধন থাকা;
(৬) কোন বণিক বা শিল্প চেম্বার বা ব্যবসয়িক সংঘ বা সংস্থার সদস্যপদ থাকা;
(৭) কোন পৌরসভা বা সিটি করপোরেশনের কোন পদে বা সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হওয়া ;
(৮)কোন সরকারী, আধা-সরকারী, স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা বা কোন স্থানীয় সরকারের কোন টেন্ডরে অংশগ্রহণ করা;
(৯) কোন কোম্পানীর বা কোন গ্রুপ অব কোম্পানীজের পরিচালনা পর্ষদে থাকা।

কোন অনিবাসী বাংলাদেশী তার আয়ের উপর পরিশোধযোগ্য করের (যদি থাকে) সমপরিমাণ অংকের ব্যাংক ড্রাফটসহ তার রিটার্ন বিদেশে তার নিকটস্থ বাংলাদেশি মিশনে দাখিল করতে পারেন। এরূপ রিটার্ন পাওয়া গেলে বাংলাদেশি মিশন অপিসিয়াল সীলসহ রিটার্নের একটি প্রাপ্তি স্বীকার পত্র প্রদান করবে এবং রিটার্নটি বোর্ডের নিকট প্রেরণ করবে।
উপধারা (2) অনুযায়ী নিম্নোক্ত person এর জন্য রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক (mandatory) হবে না-
(১) সরকারের Monthly Payment Order (MPO) এর অধীনে সুবিধা প্রাপ্ত কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান;
(২) কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়;
(৩) কোন ফান্ড;
(৪) কোন class of persons যাদেরকে অফিসিয়াল গেজেটে আদেশ জারীর মাধ্যমে রিটার্ন দাখিল থেকে বোর্ড অব্যাহতি প্রদান করেছে।
উপধারা (3) এর ক্লজ (a) তে বিধান করা হয়েছে যে আয়ের রিটার্নটি বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে প্রযোজ্য সকল বিবরণ ও তথ্য সন্নিবেশ করে দাখিল করতে হবে। রিটার্নের সাথে প্রযোজ্য সকল তফসিল, বিবরণী, হিসাব, সংযোজনী এবং দলিলাদিও দাখিল করতে হবে।
রিটার্ন স্বাক্ষরিত (signed) ও সত্য-প্রতিপাদিত (verified) হওয়ার শর্তাদি আগের মতো রাখা হয়েছে।
Individual এর ক্ষেত্রে রিটার্নের সাথে ধারা 80 তে বর্ণিত বিধানমতে সম্পদ ও দায়ের বিবরণী এবং জীবন যাত্রা সম্পর্কিত বিবরণী (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ) দাখিল করতে হবে।
Company এর ক্ষেত্রে নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী এবং হিসাব বিবরণীর লাভ লোকসান হিসাব বা আয় বিবরণীতে প্রদর্শিত মুনাফার সাথে আয়কর রিটার্নে প্রদর্শিত মুনাফার পার্থক্যের ব্যাখ্য সন্নিবেশ করে একটি পরিগণনা পত্র (Computation sheet) রিটার্নের সাথে দাখিল করতে হবে।
উপধারা (4) তে বিধান করা হয়েছে যে, বোর্ড সরকারী গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে নির্দেশনা জারী করে-
(১) ধারা 75 তে বর্ণিত রিটার্ন electronically বা অন্য কোন machine readable বা computer readableমাধ্যমে দাখিলযোগ্য হবে মর্মে বলে দিতে পারবে;
(২) উক্ত electronic বা machine readable বা computer readable রিটার্ন কিরূপে এবং কিভাবে দাখিল করা হবে তা নির্ধারণ করে দিতে পারবে ।
উপধারা (5) তে বিধান করা হয়েছে যে, উপধারা (6) এর আওতায় সময় বাড়ানো না হলে ধারা 75 এর অধীনে দাখিলযোগ্য সকল রিটার্ন Tax Day বা তার পূর্বে দাখিল করতে হবে। ধারা 2 এর ক্লজ(62A) তে Tax Day এর সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
তবে, কোন সরকারী কর্মকর্তা প্রেষণে বিদেশে উচ্চ শিক্ষারত থাকলে বা লিয়েনে বাংলাদেশের বাইরে কর্মরত থাকলে উক্ত প্রেষণ বা লিয়েন সমাপ্তিতে দেশে আসার তিন মাসের মধ্যে তার প্রেষণ বা লিয়েনকালীন সময়ের সকল রিটার্ন একত্রে দাখিল করবেন।

উপধারা (6) এ বলা হয়েছে উপ কর কমিশনার কোন Person এর নিকট থেকে নির্ধারিত পরমে আবেদন পাওয়ার প্রেক্ষিতে রিটার্ন দাখিলের সময় দুই মাস পর্যন্ত এবং পরিদর্শী যুগ্ম কর কমিশনারের অনুমোদন নিয়ে আরো দুই মাস পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারবেন।
রিটার্ন দাখিলের সময় বৃদ্ধির জন্য আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ এর বিধি 24 এর উপবিধি (6) তে নির্ধারিত ফরমে (পরিশিষ্ট ২২দ্রষ্টব্য) আবেদন করতে হবে।

এস,আর,ও নং ২৫৯-আইন/আয়কর/২০১৬, তারিখ ১০ আগস্ট, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর বিধিমাল, ১৯৮৪ সংশোধন করে নিম্নরূপ ৩ ধরণের নতুন রিটার্ন ফরম প্রবর্তন করা হয়েছে (পরিশিষ্ট অংশে সন্নিবেশিত), যা নিম্নরূপ;
(১) ব্যক্তি-করদাতার জন্য-ফরম IT-11GA2016
(২)কোম্পানী করদাতার জন্য –ফরম IT-11GHA2016
(৩) অন্যান্য সকল শ্রেণির করদাতার জন্য-ফরম IT-11CHA2016
২০১৬-১৭ কর বছরে নতুন রিটার্ন ফরমের পাশামাশি আগের রিটার্ন ফরমগুলোও বহাল থাকবে।
ধারা 75 এর বিধান ১ জুলাই ২০১৬ থেকে কার্যকর হবে।

প্রশ্ন ৩৮-১:প্রশ্ন ৩৮-১:Tax Day এর মধ্যে রিটার্ন দাখিল করা আমার পক্ষে সম্ভব ছিলনা বিধায় আমি আমার রিটার্ন দাখিলের সময় দু’মাস বাড়ানোর জন্য নির্ধারিত ফরমে আবেদন করি। উপ কর কমিশনার আমাকে দু’মাস সময় প্রদান করেন। আমি ১৫ ডিসেম্বর তারিখে আয়কর রিটার্নে দাখিল করি, যা উপ কর কমিশনার কর্তৃক অনুমোদিত সময়ের মধ্যে। আমার ক্ষেত্রেও কি ধারা 73 অনুযায়ী ৫০% অতিরিক্ত সরল সুদ এবং ধারা 73A অনুযায়ী বিলম্ব সুদ (delay interest) আরোপযোগ্য হবে?
উত্তর ৩৮-১: হ্যাঁ, হবে। উপকর কমিশনার কর্তৃক সময় দেয়া হলেও Tax Day এর পরে রিটার্ন দাখিল করার কারণে আপনার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সরল সুদ ও বিলম্ব সুদ আরোপযোগ্য হবে। তবে আপনি চাইরে অতিরিক্ত সরল সুদ ও বিলম্ব সুদ ছাড়াই সাধারণ বা স্বার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে আপনার রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। পরবর্তীতে উপ কর কমিশনার প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সরল সুদ ও বিলম্ব সুদ আরোপ করে আপনার নিকট দাবীনামা প্রেরণ করবেন।

৩৯। উৎস করের রিটার্ন সংক্রান্ত আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 75A এর প্রতিস্থাপনঃ
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 75A প্রতিস্থাপন করে উৎস করের রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত বিধানে পরিবর্তন আনা হয়েছে। পরিবর্তিত বিধান অনুযায়ী কোম্পানীর পাশাপাশি প্রত্যেক সমবায় সমিতি এবং এনজিও ব্যুরোতে নিবন্ধিত প্রত্যেক এনজিওর জন্য উৎস করের রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কোম্পানী, সমবায় সমিতি এবং এনজিও এর কর নির্ধারণ (assessment) যে উপ কর কমিশনারের অধিক্ষেত্রাধীন তা নিকট উৎস করের রিটার্ন দাখিল করতে হবে
উৎস করের রিটার্ন বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে প্রযোজ্য সকল বিবরণ ও তথ্য সন্নিবেশ করে দাখিল করতে হবে। রিটার্নের সাথে প্রযোজ্য সকল তফসিল, বিবরণী, হিসাব, সংযোজনী এবং দলিলাদি দাখিল করতে হবে। কোম্পানীর ক্ষেত্রে প্রধান কার্মকর্তা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে উপযুক্ত ব্যক্তি রিটার্নে স্বাক্ষর ও সত্য-প্রতিপাদন করবেন।
প্রতি অর্থ বছরের জন্য দু’টি উৎস করের রিটার্ন দাখিল করতে হবে-

ক্রম উৎসে কর কর্তন/আদায়ের সময় উৎস কর রিটার্ন রিটার্ন দাখিলের শেষে তারিখ
১ জুলাই- ৩১ ডিসেম্বর প্রথম রিটার্ন একই অর্থ বছরের ৩১ জানুয়ারি
১ জানুয়ারি-৩০ জুন দ্বিতীয় রিটার্ন পরবর্তী অর্থ বছরের ৩১ জুলাই


উদাহরণ ৩৯-১
১ জুলাই ২০১৬ হতে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত সময়কালে কতৃনকৃত ও আদায়কৃত উৎস করের জন্য উৎস করের রিটার্নটি হবে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের প্রথম রিটার্ন (First Return) । প্রথম রিটার্নটি ১ জানুয়অরি ২০১৭ হতে ৩১ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখের মধ্যে দাখিল করতে হবে।
১ জানুয়ারি ২০১৭ হতে ৩০ জুন ২০১৭ পর্যন্ত সময়কালে কর্তনকৃত ও আদায়কৃত উৎস করের জন্য উৎস করেরর রিটার্নটি হবে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের দ্বিতীয় রিটার্ন (Second Return) ।দ্বিতীয় রিটার্নটি ১ জুলাই ২০১৭ হতে ৩১ জুলাই ২০১৭ তারিখের মধ্যে দাখিল করতে হবে।
তবে, রিটার্ন দাখিলকারীর লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে উপ কর কমিশনার রিটানৃ দাখিলের সময়সীমা ১৫ দিন পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারবেন।
উপধারা (3) তে বিধান করা হয়েছে যে, বোর্ড সরকারী গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে নির্দেশনা জারী করে-
(১) এ ধারায় বর্ণিত উৎস কর রিটার্ন electronically বা অন্য কোন machine readable বা computer readable মাধ্যমে দাকিলযোগ্য হবে মর্মে বলে দিতে পারবে;
(২) উক্ত electronic বা machine readable বা computer readable রিটার্ন কিরূপ ফরমে এবং কিভাবে দাখিল করা হবে তা নির্ধারণ করে দিতে পারবে।
এস, আর, ও নং ২৫৯-আইন/আয়কর/২০১৬, তারিখ ১০ আগস্ট, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর রিধিমালা, ১৯৮৪ সংশোধন করে উৎস করের নতুন রিটার্ন ফরম প্রবতৃন করা হয়েছে (পরিশিষ্ট ২৬ দ্রষ্টব্য)।
ধারা 75A এর বিধান ১ জুলাই ২০১৬ তেকে কার্যকর হবে।
৪০। উৎস কর রিটার্ন অডিটের বিধান প্রবর্তন: আয়কর অধ্যাদেশে নতুন ধারা 75AA এর সন্নিবেশ
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ তে ধারা 75AA সন্নিবেশ করে উৎস কর রিটার্ন অডিটের বিধান প্রবতৃন করা হয়েছে। সন্নিবেশিত ধারার বিধানে বলা হয়েছে বোর্ডের অনুমোদনক্রমে উপকর কমিশনার ধারা 75A এর আওতায় দাখিল কৃত রিটার্ন হতে অডিটের জন্য রিটার্ন নির্বাচন করে নিম্নবর্ণিত বিষয়ে অডিট পরিচালনা করবেন-
(১) আয়কর অধ্যাদেশের অধ্যায় VII এবং বিধিমালায় বর্ণিত হারে ও পদ্ধতিতে উৎসে কর কতৃন বা সংগ্রহ করা হয়েছে কি-না;
(২) উৎসে কর্তিত বা আদায়কৃত কর যথানিয়মে ও যথাসময়ে সরকারী কোষাগারে জমা প্রদান করা হয়েছে কি-না।
(৩) আয়কর অধ্যাদেশে বর্ণিত বিধান অনুযায়ী উৎস করের সনদ প্রদান করা হয়েছে কি-না।
অডিট কার্যক্রমের ফলশ্রুতিতে যদি দেখা যায় উৎস কর কর্তন, আদায়, সরকারী কোষাগারে জমা প্রদান বা উৎস করের সনদ প্রদানের ক্ষিত্রে কর আইনের বিধান যথাযথভাবে পরিপালন করা হয়নি তাহলে উপ কর কমিশনার দায়ী ব্যক্তির বিষয়ে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ধারা 57,57A ও 124 এর আওতায় ব্যবস্থা গ্রহণসহ আয়কর অধ্যাদেশের আওতায় প্রযোজ্য অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ করবেন।
কোন রিটার্ন যে অর্থ বছরে দাখিল করা হয়েছে সে অর্থ বছর শেষ হওয়ার ৪ বছর অতিক্রান্ত হলে ঐ রিটার্ন আর অডিটের জন্য নির্বাচন করা যাবে না।
ধারা 75AA এর বিধান ১ জুলাই ২০১৬ তেকে কার্যকর হবে। ৩০ জুন ২০১৬ সালের মধ্যে দাখিলকৃত ত্রৈমাসিক রিটার্ন উপধারা (4) এর শর্ত পালন সাপেক্ষে ধারা 75AA এর আওতায় অডিটযোগ্য হবে।
৪১। আয়ের রিটার্নের পরিবর্তে সার্টিফিকেট দাখিল সংক্রান্ত আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 76 এর বিলোপ
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 76 বিলোপ করা হয়েছে । এর ফলে নির্দিষ্টকয়েকটি ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্নের পরিবর্তে সার্টিফিকেট দাখিলের যে বিধান ছিল তা আর বহাল থাকলো না । এখন থেকে ঐ সকল করদাতাকেও যথানিয়মে আয়কর রিটার্ন দাকিল করতে হবে।
৪২। আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 80 এর প্রতিস্থাপন
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 80 প্রতিস্তাপন করা হয়েছে। ধারা 80 এর উপধারা (1) এর নতুন বিধান অনুযায়ী, যদি কোন ব্যক্তি করদাতা (person being an individual assessee) নিম্নোক্ত শতৃসমূহ পূরণ করেন তাহলে আয় বছরের শেষ তারিখে তার নিজের, spouse এর (spouse করদাতা না হয়ে থাকলে ) এবং নির্ভর শীল সন্তানদের পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণী ঐ ব্যক্তির আয়কর রিটার্নের সাথে দাখিল করতে হবে। শর্তসমূহ হলো।
(১) আয় বছরের শেষ তারিখে মোট পরিসম্পদ (gross wealth) এর পরিমাণ ২০ লক্ষ টাকার অদিক হলে; অথবা
(২) আয় বছরের শেষ তারিখে মোটর গাড়ি (জীপ বা মাইক্রোবাসসহ) এর মালিকানা থাকলে ; অথবা
(৩) আয় বছরে কোন সিটি কর্পোরেশন এলাকায় কোন গৃহ-সম্পত্তি বা এপার্টমেন্টের মালিক হলে অথবা গৃহ-সম্পত্তি বা এপার্টমেন্টে বিনিয়োগ করল।
কোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে উপরে বর্ণিত শর্তসমূহ পূরণ না হলে পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণী দাকিল করা তার জন্য বাধ্যতামূলক নয়। তবে বর্ণিত শর্তসমূহ পূরণ না করা সত্বেও কোন ব্যক্তি-করদাতা চাইলে স্বপ্রণোদিতভাবে (voluntarily) পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণী দাখিল করতে পারবেন।
পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণী বিদি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে ও পদ্ধতিতে দাখিল করতে হবে। এস, আর, ও নং ২৬৯- আইন/আয়কর/২০১৬, তারিখ ১০ আগষ্ট, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ সংশোধন করে নতুন পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণী ফরম (IT-10B2016) প্রবর্তন করা হয়েছে। যে সকল করদাতা নতুন রিটার্ন ফরম (IT-11GA2016) ব্যবহার করবেন তাদেরকে IT-10B2016 ফরম ব্যবহার করতে হবে।
২০১৬-১৭ কর বছরে নতুন IT-10B2016 ফরমের পাশাপাশি আগের IT-10B ফরমও বহাল থাকবে।
ধারা 80 এর উপধারা (2) এর বিধান অনুযায়ী, প্রত্যেক ব্যক্তি করদাতা (person being an individual assessee) কে তার আয়কর রিটার্নের সাথে বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে ও পদ্ধতিতে জীবনযাত্রা সংশ্লিস্ট ব্যয়ের বিবরণী দাখিল করতে হবে।
তবে বেতন অথবা ব্যবসা বা পেশা খাতের আয় রয়েছে এরূপ ব্যক্তি করদাতার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টি আয় বছরের মোট আয় ৩ লক্ষ টাকার বেশি না হয়ে থাকলে উক্ত ব্যয়ের বিবরণী দাখিল বাধ্যতামূলক হবে না। তবে কোন কোম্পানীর শেয়ারহোল্ডার পরিচালক হলে তার আয়ের উৎ বা মোট আয়ের পরিমাণ যা-ই হোক, আয়কর রিটার্নের সাথে জীবনযাত্রা সংশ্লিস্ট ব্যয়ের বিবরণী দাখিল করা তার জন্য বাধ্যতামূলক।
ধারা 80 এর উপধারা (1) এর বিধান অনুযায়ী পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণী দাখিল করেননি এমন যেকোন ব্যক্তিকে উপকর কমিশনার উপধারা (3) অনুযায়ী নোটিশ প্রেরণ করে পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণী দাখিল করার জন্য বলতে পারবেন। যে ব্যক্তি-করদাতার ক্ষেত্রে উপধারা (1) এর বিধান অনুযায়ী পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণী দাখিল বাধ্যতামূলক নয় তার উপরও এ নোটিশের আদেশ প্রযোজ্য হবে।
ধারা 80 এর নতুন বিধান ১ জুলাই ২০১৬ তেকে কার্যকর হব।
৪৩। সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতি সম্পার্কিত আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 82BB এর সংশোধন
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 82BB তে সংশোধনী এনে elctronically দাখিল কৃত রিটার্ন বলতে কি বুঝাবে তা সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে । এছাড়া উপধারা (2) এর রির্টান process এর আওতা সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
ধারা 82BB এর উধারা (1) তে সংযোজিত explanation অনুযায়ী, electronically দাখিলকৃত রিটার্ন বলতে ধারা 75 এর উপধারা (4) এর বিধান অনুযায়ী দাখিল কৃত রিটার্নকে বুঝাবে।
আগে দাখিলকৃত রিটার্নের কোন তথত্য থেকে কোন “incorrect claim ” পরিদৃষ্ট হলে তা উপধারা (2) অনুযায়ী রিটার্ন process কার্যক্রমের আওতাভুক্ত হতো। পরিবর্তিত বিধান অনুযায়ী, রিটার্নের সাতে দাখিলকৃত কোন বিবরণী বা দলিলাদি থেকে কোন “ incorrect claim” পরিদৃষ্ট হলে তাও রিটার্ন process কার্যক্রমের আওতায় আসবে।
৪৪। ন্যূনতম করের নতুন বিধান প্রবর্তন: আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 82C এর প্রতিস্থাপন
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 82C প্রতিস্থাপন করে ন্যূনতম কর (minimum tax) এর নতুন বিধান সন্নিবেশ করা হয়েছে। সংশোধিত বিধানে বলা হয়েছে আয়কর অধ্যাদেশের অন্য কোন বিধানে যা কিছু বলা থাকুক না কেন, একজন করদাতাকে এ ধারার বিধানের আওতায় ন্যূনতম কর পরিশোধ করতে হবে।
ন্যূনতম কর (minimum tax) আয়ের উৎস (source of income) এবং করদাতা-ভিত্তিতে আরোপিত হবে।
কোন কোন আয়ের ক্ষেত্রে ন্যূনতম কর প্রযোজ্য হবে তা উপধারা (2) তে বলা হয়েছে। উপধারা (2) এর বিধান অনুযায়ী-
(ক) ধারা 52, 52A, 52AAA, 52B, 52C, 52D, 52JJ, 52N, 52O, 52R, 53, 53AA, 53B, 53BB, 53BBB, 53BBBB, 53C, 53CCC, 53DDD, 53EE, 53F, 53FF, 53G, 53GG, 53H, 53M, 53N, ও 55 এর আওতায় উৎসে কর্তিত বা আদায়কৃত কর শ্রেণি নির্বিশেষে সকল করদাতার ক্ষেত্রে কর্তন বা সংগ্রহ সংশ্লিষ্ট উৎস বা উৎসসমূহের জন্য করদাতার ন্যূনতম করদায় বলে বিবেচিত হবে।
তবে নিম্নোক্ত ক্ষেত্রে উৎসে কর্তিত/ আদায়কৃত কর ধারা 82C এর আওতাভুক্ত হবেনা-
(১) ধারা 52 এর অধীনে নিম্নবর্ণিত ব্যক্তি(person) এর নিকট তেকে বর্ণিত উৎসের জন্য কর্তিত/আদায়কৃত কর –
(অ) কোন তেল কোম্পানীর ঠিকাদার বা ঠিকাদারের উপ-ঠিকাদার, যার ক্ষেত্রে এতদসংশ্লিষ্ট বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে কর কর্তন বা আদায় হয়;
(আ) কোন তেল বিপণকানী কোম্পানী এবং পেট্রোল পাম্প ব্যতীত তার কোন ডিলার বা এজেন্ট;
(ই) কোন অয়েল রিফাইনারী কোম্পানী;
(ঈ) গ্যাস ট্রান্সমিশন বা বিতরণে নিয়োজিত কোন কোম্পানী।
(২) কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান (industrial undertaking)এর নিজস্ব উৎপাদনে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে আনীত কাঁচামাল বিপরীতে ধারা 53 এর অধীনে উৎসে কর্তিত/আদায়কৃত উৎস কর।
(৩) ধারা 53F এর উপধারা (1) এর ক্লজ (C) এবং উপধারা (2) তে বর্ণিত উৎস থেকে কর্তিত কর ব্যতীত উক্ত ধারার অধীনে অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে কর্তিত/ আদায়কৃত উৎস কর।
(খ) উপধারা (2) অনুযায়ী ন্যূনতম করের বিধান প্রযোজ্য এরূপ সকল উৎসের হিসাবের বইপত্র সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে ধারা 35 তে বর্ণিত মতে নিয়মিত পদ্ধতি (regular manner) অনুসরণ করতে হবে।

প্রশ্ন ৪৪-১: : আমার কোম্পানী বাজারে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে Finished goods আমদানি করে, যার উপর আমদানি পর্যায়ে ধারা 53 অনুযায়ী উৎসে কর আদায় হয়। আমার কোম্পানী কি আগের মতো back-calculation করে মোট আয় নিরূপন করব এবং সংক্ষিপ্ত নিরীক্ষিত হিসাব দাখিল করতে পারবে?
উত্তর ৪৪-১: আপনার কোম্পানীর আমদানি ব্যবসায়ের আয়ের ক্ষেত্রে ধারা 82C এর ন্যূনতম কর এর বিধান প্রযোজ্য। আপনার কোম্পানীর আমদানি ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে back-calculation করে মোট আয় নিরূপণের পরিবর্তে ধারা 82C এর নতুন প্রবর্তিত বিধান অনুযায়ী মোট আয় নিরূপণের পরিবর্তে ধারা 82C এর নতুন প্রবর্তিত বিধান অনুযায়ী মোট আয় ও করদায় নিরূপন করতে হবে। এ ছাড়া, আপনার কোম্পানীকে ধারা 35 এর বিধান মোতাবেক পূণাঙ্গ নিরীক্ষিত হিসাব দাখিল করতে হবে। সংক্ষিপ্ত নিরীক্ষিত হিসাব দাখিলের কোন আইনানুগ সুযোগ নেই।
(গ) উপধারা (2) অনুযায়ী ন্যূনতম করের বিধান প্রযোজ্য এরূপ সকল উৎসের ক্ষেত্রেও নিয়মিত পদ্ধতিতে (In the regular manner) মোট আয় নিরূপন ও প্রযোজ্য করহার প্রয়োগ করে করদায় পরিগণনা করতে হবে। অর্থাৎ কোনরূপ back-calculation পদ্ধতি অনুসরণ করে অনুমিত (presumptive) মোট আয় নিরূপণ করা হবে না। যদি কোন উৎসের ক্ষেত্রে উক্তরূপে পরিগণিত করদায়ের অংক ন্যূনতম করের অংক অপেক্ষা বেশি হয় তাহলে উক্ত বেশি অংকটি হরে উক্ত উৎসের জন্য ন্যূনতম কর।
উদাহরণ ৪৪-১
ধর যাক, জনাব ইকবাল প্রসাধনসামগ্রী আমদানি করে বাজারে বিক্রি করেন। ৩০ জুন ২০১৬ তারিখে সমাপ্ত আয় বছরে করদাতা মোট ৪০,০০,০০০/- টাকার প্রসাধনসামগ্রী আমদানি বাবদ আমদানি পর্যায়ে ৫% হারে উৎসে মোট ২,০০,০০০/- টাকা আয়কর প্রদান করেছেন। উক্ত করদাতা ২০১৬-১৭ কর বছরে উক্ত ব্যবসায়ের আয় ১৬,০০,০০০/- টাকা প্রদশর্ন করে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন। উপ কর কমিশনার করদাতার ক্ষেত্রে ধারা 30 অনুযায়ী কোন খরচ অগ্রাহ্য করার মতো বা তৃতীয় তফসিল অনুযাযী অবচয় খাতে যোগ করার মতো কিছু পাননি। ফলে করদাতার প্রদর্শিত মোট আয় গ্রহণ করা হয়েছে।
এক্ষেত্রে,
উৎসে কর্তিত কর: ২,০০,০০০/- টাকা
নিয়মিত পদ্ধতিতে নিরূপিত মোট আয়: ১৬,০০,০০০/- টাকা
আয়ের উপর আয়কর: ২,০৫,০০০/- টাকা।

করদাতার ক্ষেত্রে ধারা 82C এর উপধারা (2) অনুযায়ী করদায় হবে ২,০৫,০০০/- টাকা। অর্থাৎ করদাতাকে উৎস করের অতিরিক্ত আরো (২,০৫,০০০ – ২,০০,০০০)= ৫,০০০/- টাকা আয়কর বাবদ পরিশোধ করতে হবে। এছাড়া করদাতার ক্ষেত্রে সারচার্জসহ অন্যান্য খংক প্রযোজ্য হলে তা-ও পরিশোধ করতে হবে।

উদাহরণ ৪৪-১
ধরা যাক, উদাহরন ৪৪-১ তে উল্লিখিত করদাতা ব্যবসায় আয় ১২,৫০,০০০/- টাকা প্রদর্শন করেছেন। এক্ষেত্রেও উপ কর কমিশনার ধারা 30 অনুযায়ী কোন খরচ অগ্রাহ্য করার মতো বা তৃতীয় তফসিল অনুযায়ী অবচয় খাতে যোগ করার মতো কিছু পাননি।
ফলে করদাতার প্রদর্শিত মোট আয় প্রহণ করা হয়েছে।

এক্ষেত্রে,
উৎসে কর্তিত কর: ২,০০,০০০/- টাকা
নিয়মিত পদ্ধতিতে নিরূপিত আয়: ১২,৫০,০০০/- টাকা
আয়ের উপর আয়কর: ১,৩৫,০০০/- টাকা।

করদাতার ক্ষেত্রে ধারা 82C এর উপধারা (2) অনুযায়ী ন্যূনতম করদায় হবে ২,০০,০০০/- টাকা। করদাতার ক্ষেত্রে সারচার্জসহ অন্যান্য অংক প্রযোজ্য হলে তা-ও পরিশোধ করতে হবে।
তবে, নিম্নের ছকে বর্ণিত উৎসসমূহের ক্ষেত্রে ছকে বর্ণিত মতে আয় ও করদায়ের পরিমাণ নিরূপণ করা হবে:

Serial No. Sources of income as mentioned in Amount that will be taken as income Rate or amount of tax
(1) (2) (3) (4)
1 Section 52C Amount of compensation as mentioned in section 52C As mentioned in section 52C
2 Section 52D Amount of interest as mentioned in section 52D As mentioned in section 52D
3 Section 52DDD Amount of export cash subsidy as mentioned in section 53DDD As mentioned in section 53DDD
4 Section 53F(1)(c)and(2) Amount of interest as mentioned in Section 53F As mentioned in section 53F
5 Section 53H Deed value as mentioned in section 53H As mentioned in section 53H and the rule made thereunder

উদাহরণ 8৪-৩

ধরা যাক, ৩০ জুন ২০১৬ তারিখে সমাপ্ত আয় বছরে একজন করদাতা সঞ্চয়পত্রের সুদ প্রাপ্ত হয়েছেন ৪,০০,০০০/- টাকা, যার উপর ধারা 52D অনুযায়ী ৫% হারে উৎসে ২০,০০০/- টাকা কর্তন করা হয়েছে। করদাতার আর কোন উৎসের আয় নেই।

এক্ষত্রে, ২০১৬-১৭ কর বছরে করদাতার মোট আয় হবে ৪,০০,০০০/- টাকা এবং করদায়ের পরিমাণ হবে ২০,০০০/- টাকা।

যে ক্ষেত্রে ধারা 53H এর আওদায় উৎসে কর আদায় করা হয়েছে সে ক্ষেত্রে হস্তান্তরিত সম্পত্তির মূল যদি করদাতার পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণীতে আগে প্রদর্শিনের ক্ষেত্রে হস্তান্তরিত সম্পত্তির দলিলমূল্য হতে আগের প্রদর্শিত মূল্য বাদ দিয়ে অবশিষ্ট অংক নেয়া হবে।

ধারা 82C এর উপধারা (2) এর আওতায় নিয়মিত পদ্ধতিতে মোট আয় নিরূপণের ক্ষেত্রে উপ কর কমিশনার সাধারণভাবে করদাতার প্রদর্শিত বিক্রয় বা প্রাপ্তি অপ্রাহ্য করে তা প্রাক্কলন করবেন না, অথবা প্রমাণযোগ্যতা না থাকার সূত্রে করদাতার দাবীকৃত খরচ অগ্রাহ্য করবেন না। তবে করদাতার কোন খরচ ধারা 30 অনুযাযী অননুমোদনযোগ্য হলে বা তৃতীয় তফসীল অনুযাযী অনুমোদনযোগ্য অবচয় অপেক্ষা বেশি অবচয় দাবী করা হলে অথবা অন্য কোন ক্ষেত্রে আয়কর অধ্যাদেশের আওতায় অনুমোদনযোগ্য সীমার অতিরিক্ত খরচ দাবী করা হলে তা অগ্রাহ্য যাবে।

(ঘ) উপধারা (2) এর ক্লজ (d) বা ক্লজ (d) এর proviso অনুযায়ী নিরূপিত আয় নিয়মিত উৎসের লোকসানের বিপরীতে এবং উপধার (2) এর ক্লজ (d) বা ক্লজ (d) এর proviso অনুযায়ী নিরূপিত লোকসান নিয়মিত উৎসের আয়ের বিপিরীতে set off করা যাবেনা।

কোন করদাতার যদি উপধারা (2) তে উল্লিখিত উৎসের পাশাপাশি নিয়মিত উৎস (Regular source) থেকে আয় থাকে তাহলে করদায় কিভাবে নিরূপত হবে তা উপধারা (3) তে বলা হয়েছে। উপধারা (3) এর বিধান অনুযায়ী, এরূপ ক্ষেত্রে-

(অ) নিয়মিত উৎসের আয়ের জন্য নিয়মিত করদায় পরিগণনা করা হবে;
(আ) আক্তরূপে পরিগণনাকৃত নিয়মিত করদায়ের সাথে উপধারা (2) অনুযায়ী পরিগণনাকৃত ন্যৃনতম করের পরিমাণ যোগ করলে যে অংক পাওয়া যাবে তা হবে বর্ণিত করদাতার করদায়।

উদাহরণ ৪৪-৪

ধরা যাক, ৩০ জুন ২০১৬ তারিখে সমাপ্ত আয় বছরে জনাব অঞ্জল ব্যানার্জি সঞ্চয়পত্রের সুদ পাপ্ত হয়েছেন ৩,০০,০০০/- টাকা, যার উপর ধারা 52D অনুযায়ী ৫% হারে উৎসে ১৫,০০০/- টাকা, কর কর্তন করা হয়েছে। এছাড়া বর্ণিত আয় বছরে করদাতা ব্যাংক সুদ প্রাপ্ত হয়েছেন ৬,০০,০০০/- টাকা, যার উপর উৎসে কর কর্তন করা হয়েছে ৬০,০০০/- টাকা। করদাতার আর কোন উৎসের আয় বা রেয়াতযোগ্য ছিল না।

এক্ষত্রে, করদাতার মোট আয় ও করদায় হবে নিম্নরূপ:

নিয়মিত উৎস (ব্যাংক সুদ) হতে আয় ………. ৬,০০,০০০/-
ধারা 82C ভুক্ত আয় (সঞ্চয়পত্রের সুদ)…………. ৩,০০,০০০/-
৯,০০,০০০/-
মোট আয়

করদায়:
নিয়মিত উৎসের আয়ের উপর প্রযোজ্য আয়কর …………. ৩৫,০০০/-
সঞ্চয়পত্রের সুদের উপর উৎসে কর্তিত কর ……… ১৫,০০০/-
৫০,০০০/-
মোট করদায়
করদাতার উৎসে পরিশোধিত কর ………. ৭৫,০০০/-

(১৫,০০০/- + ৬০,০০০/-)
ফেরৎযোগ্য (ন্যূনতম কর বহির্ভূত খাতের কর)…….. ২৫,০০০/-

উদাহরণ ৪৪-৪
ধরা যাক, জনাব জসীম হায়দার ৩০ জুন ২০১৬ তারিখে সমাপ্ত আয় বছরে মোট ২০,০০,০০০/- টাকার পণ্য আমদানি করে আমদানি পর্যায়ে ৫% হারে উৎসে মোট ১,০০,০০০/- টাকা আয়কর প্রদান করেছেন। করদাতার উক্ত ব্যবসা খাতে আয়ের পরিমাণ ৬,০০,০০০/- টাকা। এছাড়া, উক্ত আয় বছরে করদাতার গৃহ- সম্পত্তি হতে আয় ছিল ৪,০০,০০০/- টাকা। জনাব জসীম ২০১৬-১৭ কর বছরে সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিল করবেন। করদাতার মোট আয় ও করদায়েল পরিমাণ হবে নিম্নরূপ-

(১) নিয়মিত উৎসের (গৃহ-সম্পত্তি হতে) আয়: ৪,০০,০০০/- টাকা
নিয়মিত উৎসের জন্য করদায়: ১৫,০০০/- টাকা।

(২) আমদানি ব্যবসায়ের জন্য করদায়: …………… ৪,০০,০০০/-

নিয়মিত পদ্ধতিতে পরিগণনাকৃত আমদানি ব্যবসা খাতের আয়:……. ৬,০০,০০০/-

দু’উৎসের আয়ের সমষ্টি ……………….. ১০,০০,০০০/-

১০,০০,০০০/- টাকার উপর প্রযোজ্য আয়কর ………. ৯২,৫০০/-
বাদ: নিয়মিত উৎসের আয়ের উপর প্রযোজ্য আয়কর …….. ১৫,০০০/-

৭৭,৫০০/-

আমদানি ব্যবসায়ের জন্য উৎসে কর্তিত কর ১,০০,০০০/-।
ফলে, উপধারা (2) অনুযায়ী আমদানি ব্যবসায়েল জন্য ন্যূনতম কর হবে
১,০০,০০০/- টাকা।

(৩) এক্ষেত্রে, ২০১৬-১৭ কর বছরে জনাব জসীমের মোট আয় হবে
(৪,০০,০০০+ ৬,০০,০০০)= ১০,০০,০০০/- টাকা
এবং করদায় হবে (১৫,০০০+ ১,০০,০০০)= ১,১৫,০০০/- টাকা।

উদাহরণ ৪৪-৬
জনাব অমিত কুমার ৩০ জুন ২০১৬ তারিখে কমাপ্ত আয় বছরে মোট ২০,০০,০০০/- টাকার পণ্য আমাদানি করে আমদানি করে আমদানি পর্যায়ে ৫% হারে উৎসে মোট ১,০০,০০০/- টাকা আয়কর প্রদান করেছেন। করদাতার উক্ত ব্যবসা খাতে আয়ের পরিমাণ ৮,০০,০০০/- টাকা। এছাড়া, উক্ত আয় বছরে করদাতার গৃহ-সম্পত্তি হতে আয় ছিল ৪,৫০,০০০/- টাকা এবং সঞ্চয়পত্রের সুদ আয় ছিল ৪,০০.০০০/- টাকা, যার উপর ৫% হারে উৎসে ২০,০০০/- আয়কর কর্তন করা হয়েছে। জনাব অমিত ২০১৬-১৭ কর বছরে সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিল করবেন। করদাতার মোট আয় ও করদায়ের পরিমাণ হবে নিম্নরূপ-

(১) নিয়মিত উৎসের (গৃহ-সম্পত্তি হতে) আয়: ৪,৫০,০০০/- টাকা
নিয়মিত উৎসের জন্য করদায়: ২০,০০০/- টাকা।

(২) আমদানি ব্যবসায়ের জন্য করদায়:
নিয়মিত উৎসের (গৃহ-সম্পত্তি হতে) আয়: ……….. ৪,৫০,০০০/-
নিয়মিত পদ্ধিতিতে পরিগণানকৃত আমদানি ব্যবসা খাতের আয়: ৮,০০,০০০/-

দু’উৎসের আয়ের সমষ্টি ……………১২,৫০,০০০/-

১২,৫০,০০০/- টাকার উপর প্রযোজ্য আয়কর …………. ১,৩৫,০০০/-
বাদ: নিয়মিত উৎসের আয়ের উপর প্রযোজ্য আয়কর …………. ২০,০০০/-

আমাদানি ব্যবসায়ের জন্য নিয়মিত করদায় ………….. ১,১৫,০০০/-

আমাদানি ব্যবসায়ের জন্য উৎসে কর্তিত কর ১,০০,০০০/-, যা নিয়মিত করদায় অপেক্ষা কম।

ফলে, উপধারা (2) অনুযায়ী আমদানি ব্যবসায়ের জন্য ন্যূনতম কর হবে ১,১৫,০০০/-

(৩) সঞ্চয়পত্রের সুদের উপর কর: ২০,০০০/-

(৪) ২০১৬-১৭ কর বছরে জনাব অমিতের মোট আয় হবে
(৪,৫০,০০০ + ৪,০০,০০০) = ১৬,৫০,০০০/- টাকা।
এবং করদায় হবে
(২০,০০০ + ১,১৫,০০০ + ২০,০০০= ১,৫৫,০০০/- টাকা)
এবং করদায় হবে
(২০,০০০, + ১,১৫,০০০ + ২০,০০০)= ১,৫৫,০০০/- টাকা।

সকল কোম্পানী করদাতা এবং আয় বছরে ৫০ লক্ষ টাকার বেশি gross receipts ছিল এরূপ সকল ফার্ম উপধারা (4) অনুযায়ী ন্যূনতম করের আওতাভুক্ত হবে। উপধারা
(4) এর বিধান অনুযায়ী-

(ক) আয় বছরের gross receipts এর ভিত্তিতে উপধারা (4) অনুযায়ী ন্যূনতম করের পরিমাল হবে নিম্নরূপ:

Serial No. Classes of assessee Rate of minimum tax
1 Manufacturer of cigarette, bidi, chewing tobacco, smokeless tobacco or any other tobacco products 1% of minimum tax
2 Mobile phone operator 0.75% of the gross receipts
3 Any other cases 0.60% of the gross receipts:

তবে পণ্য উৎপাদনে নিয়োজিত কোন শিল্প প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর প্রথম তিন আয় বছরের জন্য ন্যূনতম করহার gross receipts এর ০.১০% এ বহাল থাকবে।

(খ) করদাতার কর অব্যহতি প্রাপ্ত বা হ্রাসকৃত হারে করযোগ্য কোন্ উৎসের আয় থাকলে উক্ত উৎসের gross receipts পৃথকভাবে দেখাতে হবে এবং সে ক্ষেত্রে ন্যূনতম কর নিম্নরূপে পরিগণনা কর হবে-

(১) যে সকল উৎসের জন্য নিয়মিত করহার প্রযোজ্য (অর্থাৎ কর অব্যাহতি বা হ্রাসকৃত করহার প্রযোজ্য নয়) সে সকল উৎসের gross receipts এর উপর উপধারা (4) এর ক্লজ (a) তে বর্ণিত করহার প্রয়োগ করে ন্যূনতম পরিগণিনা করা হবে;

(২) কর অব্যাহতি ব হ্রসকৃত করহার প্রযোজ্য-এরূপ উৎসের gross receipts এর উপর, উপধারা (4) এর ক্লজ (a) তে বর্ণিত করহারকে কর অব্যহতি বা করহার হ্রাসের অনুপাতে হ্রাস করে যে হার পাওয়া যায় তা প্রয়োগ করে ন্যূনতম কর পরিগণনা করা হবে;

(৩) উপধারা (4) এর আওতায় করের পরিমাণ হবে (১) এবং (২) অনুযায়ী পরিগণনাকৃত অংকর সমষ্টি।

উদাহরণ ৪৪-৪

ধরা য়াক, ৩০ জুন ২০১৬ তারিখে সমাপ্ত আয় বছরে স্টক-এক্সচেঞ্জে অ-তালিকাভুক্ত একটি কোম্পানীর gross receipts ছিল ৫০,০০,০০০/- টাকা, যার মধ্যে ১৫% হারে করারোপযোগ্য উৎসের gross receipts ছিল ৪০,০০,০০০/- টাকা এবং নিয়মিত উৎসের gross receipts ছিল ১০,০০,০০০/- টাকা। করদাতার ক্ষেত্রে উপধারা (4) এর আওতায় ন্যূনতম করের পরিমাণ হবে নিম্নরূপ:

(১) ১০,০০,০০০/- টাকা gross receipts এর উপর ন্যূনতম কর:
১০,০০,০০০/- x ০.৬% = ৬,০০০/- টাকা
(২) ৪০,০০,০০০/- টাকা gross receipts এর উপর ন্যূনতম কর:
৪০,০০,০০০/- x ০.৬% x (১৫%৩৫)= ১০,২৮৬/- টাকা
(৩) কোম্পানীটার ন্যূনতম করের পরিমাণ হবে ৬,০০০ + ১০,২৮৬ = ১৬,২৮৬/- টাকা।

উপধারা (4) এর জন্য gross receipts বলতে বুঝাবে-
(অ) sale of goods থেকে উদ্ভূত সকল প্রাপ্তি;
(আ) সেবা প্রদানের বিপরীতে বা কোন সুবিধা প্রদানের বিপরীতে প্রাপ্ত ফি বা চার্জ (কমিশন বা ডিসকাউন্টসহ);
(ই) যে কোন খাতের আয় থেকে উদ্ভূত সকল প্রাপ্তি।

উপধারা (5) এর বিধান অনুযায়ী, কোন করদাতার ক্ষেত্রে উপধারা (2) এবং উপধারা (4)- উভয় বিধানের আওতায় ন্যূনতম কর প্রযোজ্য হলে উক্ত দুটি উপধারার আওতায় পরিগণনাকৃত ন্যূনতম করের অংকের মধ্যে যেটি বেশি তা-ই হবে করদাতার ন্যূনতম করদায়।

উদাহরণ ৪৪-৮

ধরা যাক, একটি প্রইভেট লিঃ কোম্পানী ৩০ জুন ২০১৬ তারিখে সমাপ্ত আয় বছরে মোট ৪০,০০,০০০/- টাকার পণ্য আমদানি করে আমদানি পর্যায়ে ৫% হারে উৎসে মোট ২,০০,০০০/- টাকা আয়কর প্রদান করেছে। করদাতা কোম্পানী উক্ত ব্যবসা খাতে ৮,০০,০০০/- টাকা আয় প্রদর্শিত হয়। করদাতার কোন খরচ ধারা 30 অনুযায়ী অননুমোদনযোগ্য নয় এবং করদাত অবচায় দাবীসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে আইনানুগ সীমা অনুসরণ করেছেন।

করদাতা একটি আমদানি ব্যবসায়ে নিয়োজিত কোম্পানী বিধায় এ ক্ষেত্রে উপধারা (2) এবং উপধারা 82C অনুযায়ী ন্যূনতম করের পরিমাণ হবে নিম্নরূপ-

উপধারা (2) অনুযায়ী ন্যূনতম কর:
উৎসে কর্তিত কর: ২,০০,০০০/- নিয়মিত পদ্ধতিতে নিরূপিত মোট আয়: ৮,০০,০০০/-
নিরুপিত মোট আয়ের উপর করদায়: (৮,০০,০০০ x ৩৫%)= ২,৮০,০০০/-
ফলে উপধারা (2) অনুযায়ী ন্যূনতম করদায় হবে ২,৮০,০০০/- টাকা।

উপধারা (4) অনুযায়ী ন্যূনতম কর:
gross receipts ( বিক্রয়): ৭৫,০০,০০০/-
উপধারা (2) অনুযায়ী ন্যূনতম করদায়: (৭৫,০০,০০০ x .০৬%)= ৪৫,০০০/-
ফলে, ২০১৬-১৭ কর বছরে বর্ণিত কোম্পানীর ক্ষেত্রে ধারা 82C অনুযায়ী ন্যূনতম করদায় হবে ২,৮০,০০০/- টাকা।
ধারা 82C অনুযায়ী প্রযোজ্য ন্যূনতম কর ফেলৎযোগ্য হবে না অথবা পূর্ববর্তী কোন কর বছর বা বছরসমূহের কর প্রত্যর্পণের সাথে বা কোন কর বছরের নিয়মিত উৎসের কর প্রদ্যর্পণের সাথে সমন্বয়যোগ্য হবে না।

কোন করদাতার ক্ষেত্রে আয়কর অধ্যাদেশের কোন বিধানের আওতায় কোন সারচার্জ, অতিরিক্ত সুদ, অতিরিক্ত অংক ইত্যাদি প্রযোজ্য হলে তা ন্যূনতম করের অতিরিক্ত হিসেবে প্রদেয় হবে।

উদহরণ ৪৪-৯
ধরা যাক, উদহরণ ৪৪-১ এ বর্ণিত করদাতা জনাব ইকবালের ৩০ জুন ২০১৬ তারিখে প্রদর্শিত নীট সম্পদের পরিমাণ ৩ কোটি টাকা । ফলে করদাতার ক্ষেত্রে ১০% হারে সারচার্জ প্রযোজ্য।
যেহেতু করদাতার করদায়ের পরিমাণ ২,০৫,০০০/- টাকা, করদাতার প্রদেয় সারচার্জের পরিমাণ হবে (২,০৫,০০০ x ১০%) = ২০,৫০০/- টাকা, যা আয়করের অতিরিক্ত হিসেবে প্রদেয় হবে। অর্থাৎ আয়কর ও সারচার্জসহ করদাতার মোট প্রদেয় অংকের পরিমাণ হবে (২,০৫,০০০ + ২০,৫০০) টাকা বা ২,২৫,৫০০/- টাকা।

কোন কর বছরের জন্য প্রদেয় নিয়মিত কর যদি ন্যূনতম কর অপেক্ষা বেশি হয় তাহলে নিয়মিত কর প্রদেয় হবে। আর যদি নিয়মিত কর, ন্যূনতম কর অপেক্ষা কম হয় তাহলে ন্যূনতম কর প্রদেয় হবে।

উদহরণ ৪৪-১০

ধরা যাক, একটি সেবা প্রদানকারী প্রাইভেট লিঃ কোম্পানীর ৩০ জুন ২০১৬ তারিখে সমা্প্ত আয় বছরে প্রাপ্তি ৭৫,০০,০০০/- টাকা ছিল। করদাতার প্রস্তুতকৃত হিসাব বিবরনীতে উক্ত আয় বছরে ১,০০,০০০/- টাকা আয় প্রদর্শিত হয়। করদাতার কোন খরচ ধারা 30 অনুযায়ী অননুমোদনযোগ্য নয় এবং করদাতা অবচয় দাবীহস অন্যান্য ক্ষেত্রে আইনানুগ সীমা অনুসরণ করেছেন।

এক্ষেত্রে ২০১৬-১৭ কর বছরের জন্য করদাতার-

নিয়মিত কর: (১,০০,০০০ x ৩৫%)= ৩৫,০০০/-
ন্যূনতম কর: (৭৫,০০,০০০ x ০.৬০%)= ৪৫,০০০/-
ফলে, করদাতার দরদায় হবে ৪৫,০০০/- টাকা।

উদাহরণ ৪৪-১১
উদহরণ ৪৪-১০ এ বর্ণিত কোম্পানীর আয় ২,০০,০০০/- টাকা হলে করদায় হতো নিম্নরূপ:
নিয়মিত কর: (২,০০,০০০ x ৩৫%)= ৭০,০০০/-
ন্যূনতম কর: (৭৫,০০,০০০ x ০.৬০%)= ৪৫,০০০/-
ফলে, ২০১৬-১৭ কর বছরে করদাতার করদায়: ৭০,০০০/- টাকা।

ধারা 82C তে,
(১) নিয়মিত উৎস (regular source) বলতে উপধারা (2) এর আওতায় ন্যূনতম কর প্রযোজ্য নয় এরূপ উৎসকে বুঝাবে।

(২) নিয়মিত কর (regular tax) বলতে নিয়মিত আয়ের উপর নিয়মিত হার প্রয়োগ করে পরিগণনাকৃত ককে বুঝাবে।
(৩) নিয়মিত হার (regular rate) বলতে কোন ক্ষেত্রে কর অব্যাহতি বা হ্রাসকৃত করহার না থাকলে যে করহার প্রযোজ্য হতো সে হারকে বুঝাবে।

৪৫। আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 1071 এর সংশোধনঃ
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এ ধারা 1071 তে উল্লিখিত “ from Chartered Accountant ” শব্দগুলি বিলোপ করে এ ধারার বিধানকে ধারা 107F এর বিধানের সাথে সংগতিপূর্ন করা হয়েছে।
৪৬। আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 107A এর সংশোধন
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 117A এর “any other law for the time being in force,” শব্দগুলির পর “without prejudice to the provisions of section 75AA,” শব্দগুলি সন্নিবেশ করা হয়েছে। এর ফলে ধারা 117A এর আওতায় বোর্ড বা বোর্ড কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ধারা 117A এর আওতায় কার্যক্রম প্রহণের কারণে ধারা 75AA এর আওতায় উপ কর কমিশনারের অডিট করার ক্ষমতা ক্ষুণ্ন হবে না।
৪৭। আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 129A এর সংশোধনঃ
অর্থ আইন,২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 35 তে যে সংশোধনী আনা হয়েছে তার সাথে সংগতি রাখার জন্য ধারা 129A এর সংশ্লিষ্ট বিধানে সংশোধনী আনা হয়েছে। পরিবর্তিত বিধার অনুযায়ী, যদি কোন অডিট রিপোর্টে সংশ্লিষ্ট চার্টার্ড একাউন্টেন্ট কর্তৃত এ মর্মে প্রত্যয়ন করা না থাকে যে হিসাব সংরক্ষণ, বিবরণী(Statements) প্রস্তুত ও report করার ক্ষেত্রে Bangladesh Accounting Standard (BAS) এবং Bangladesh Financial Reporting Standard (BFRS) এবং অডিটের ক্ষেত্রে (Statements) Bangladesh Standards on Auditing (BSA)এর বিধানাবলী অনুসরণ করা হয়েছে, তাহলে সংশ্লিষ্ট চার্টার্ড একাউন্টেন্টর উপর এ ধারার অধীনে জরিমানা আরোপযোগ্য হবে।
৪৮। আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 134 এর সংশোধনঃ
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর অন্যান্য ধারায় আনীত পরিবর্তনের সাথে সংগতি রাখার জন্য ধারা 134 এর সংশ্লিষ্ট বিধানে সংশোধনী এনে “interest’’ শব্দের পর “delay interest, additional amount,’’ শব্দগুলি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে অধ্যায় XVI এর সকল বিধানাবলী বিলম্ব সুদ বা অতিরিক্ত অংক আদায়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
৪৯ । বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির আওতা পম্প্রসারণ: আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 152J এর প্রতিস্হাপন
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 152J প্রতিস্হাপন করে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির আওতা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। আগের বিধান অনুযায়ী, কোন কর বছরের জন্য আয়কর বিটার্ন দাখিল না করা হয়ে থাকলে সে বছরের কর মামলা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির আওতায় আসার সুযোগ ছিলনা। পরিবর্তিত বিধান অনুযায়ী কোন কর বছরের জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিল না করা হয়ে থাকলেও সে বছরের রিটার্ন দাখিল করা হয়েছে সে ক্ষেত্রে ধারা 74 এর বিধান অনুযায়ী কর পরিশাধ করা না থাকলে সংশ্লিষ্ট কর বছর বা বছরের কর মামলা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (ADR) এর আওতায় আসার যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না।
১ জুলাই ২০১৬ বা তারপরে দাখিলকৃত বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (ADR) এর আবেদনের ক্ষেত্রে এ বিধান প্রযোজ্য হবে।
৫০। আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 153 এর সংশোধনঃ
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 153 এর উপধারা (3) এর পর একটি proviso সংযোজন করে আপীল দায়েরের যোগ্যতার শর্তে পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগের বিধান অনুযায়ী, কোন কর বছরে ধারা 74 এর বিধান অনুযায়ী স্বীকৃত করদায় পরিশোধ করা না হয়ে থাকলে সে বছরের কর মামলা ধারা 153 অনুযায়ী আপীলযোগ্য ছিলনা পরিবর্তিত বিধান অনুযায়ী,দবি আপীল দায়েরের পূর্বে করদাতা কর্তৃক সংশ্লিষ্ট কর মামলা স্বীকৃত দায় পরিশোধ করা হয় এবং যদি আপীলাত কর্তৃপক্ষ এ মর্মে সন্তুষ্ট হন যে করদাতা কর্তৃক বর্ণিত কর পরিশোধ না করার যৌক্তিক করণ ছিল, তাহলে অন্যান্য প্রযোজ্য শর্ত পূরণ সাপেক্ষ আপীলাত কর্তৃপক্ষ মামলটি শুনানীল জন্য গ্রহণ করতে পারবেন।
51। আপীলাত কর্তৃপক্ষের নিকট আপীল দায়েরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার-আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 154 এর সংশোধন
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 154 এর উপধারা (1) এর পর নতুন উপধারা (1A) সন্নিবেশ করে আপীল দায়েরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের বিধান প্রবর্তন করা হয়েছে। উপধারা (1A) এর বিধান অনুযুয়ী, বোর্ড সরকারী গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যামে নির্দ্যশনা জীরী করে-

(১) কোন করদাতাকে বা কোন শ্রেণির দরদাতাকে electronically বা অন্য কোন machine readable বা computer readable মাধ্যমে আপীল দায়ের করতে হবে মর্মে বলে দিতে পারবে;

(২) উক্ত electronic বা machine readable বা computer readable মাধ্যমের আপীল কিরূপে এবং কিভাবে দাখিল করা হবে তা নির্ধারণ করে দিতে পারবে।
৫২। কর আপীলাত ট্রাইবুনালে আপীল দায়েরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার: আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 158 এর সংশোধন
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 158 এর উপধারা (5) এর পর নতুন উপধারা (6) সংযোজন করে সিন্নবেশ করে কর আপীলাত ট্রাইবুরালে আপীল দায়েরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের বিধান প্রবর্তন করা হয়েছে। উপধারা (6) এর বিধান অনুযায়ী, বোর্ড সরকারী গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে নির্দেশনা জারী করে-

(১) কোন করদাতাকে বা কোন শ্রেণির করদাতাকে electronically বা অন্য কোন machine readable বা computer readable মাধ্যমে আপীল দায়ের করতে হবে মর্মে বলে দিতে পারবে;

(২) উক্ত electronic বা machine readable বা computer readable মাধ্যমের আপীল কিরূপে এবং কিভাবে দাখিল করা হবে তা নির্ধারণ করে দিতে পারবে।
৫৩। আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 163 এর সংশোধন
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 163 এর উপধারা (3) এর ক্লজ (P) এর পর নতুন একটি ক্লজ (PP) সংযোজন করা হয়েছে। সংযোজিত করা হয়েছে। সংযোজিত ক্লজ (PP) এর বিধান মোতাবেক, মানিলন্ডরিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সংক্রান্ত মামলার অনুমোদনকারী কোন কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে অনুরোধ পাওয়া গেলে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন সংক্রান্ত তদন্তের স্বার্থে তদন্তকারীকে করদাতার তথ্য সরবরাহ করা যাবে।
৫৪। ১২-ডিজিট টি, আই, এর গ্রহণের ক্ষেত্রে সম্প্রসারণ: আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 184A এর সংশোধন
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 184A এর উপধারা (1) তে নতুন তিনটি ক্লজ (Y), (Z) এবং (za) সংযোজন করে নিম্নবর্ণিত ব্যক্তির জন্য ১২-ডিজিট টি, আই, এন প্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে-

(১) সরকার অথবা করকারের কোন কর্তৃপক্ষ, কর্পোরেশন, সত্তা বা ইউনিটের বা প্রচলিত কোন আইন্, আদেশ বা দলিলের মাধ্যমে গঠিত কোন কর্তৃপক্ষ, কর্পোরেশন, সত্তা বা ইউনিটের কর্মচারী যদি তিনি সংশ্লিষ্ট আয় বছরের যে কান সময় ২০১৫ সালে ঘোষিত চাকরি (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ, ২০১৫ এর দশম গ্রেড বা তদূর্ধ্ব গ্রেডে অথবা ২০১৫ সালে ঘোষিত যে কোন পে-স্কেলের দশম গ্রেড বা তদূর্ধ্ব গ্রেডের সমতুল্য কোন গ্রেডে বেতন- ভাতাদি প্র
হণ করেন;
(২) Monthly Payment Order (MPO) আওতায় সরকার থেকে মাসিক ১৬,০০০/- টাকার বেশি অর্থ পান এমন কোন ব্যক্তি;

(৩) ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনিক পদে বা উৎপাদনের সুপারভারইজরী পদে নিয়োজিত কোন employee,তার বেতন-ভাতাদি যা-ই হোক না কেন।
৫৫। কর আরোপ ও আদায়, কর অব্যাহতি, তথ্য সংগ্রহ, তথ্যের গোপনীয়তা সংরক্ষণ ইত্যাতি ক্ষেত্রে অন্যান্য আইনের উপর আযকর অধ্যাদেশের প্রধান্য: আয়কর অধ্যাদেশের ধারা184F এর সংশোধন
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা 184F সংশোধন করা হয়েছে। ষংশোধিত বিধান মোতাবেক, র্বতমানে বলবৎ অন্য কোন আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, আয়কর আরোপ ও আদায়, আয়কর অব্যাহতি, করহার হ্রাসকরণ, করারোপণের স্বার্থে কোন তথ্য সংগ্রহ এবং এ অধ্যাদেশের আওতায় কর তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা সংশ্লিস্ট বিষয়ে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর বিধান বা উক্ত অধ্যাদেশের অধীন গৃহীত কার্যক্রম অপর সকল আইনের উপরে প্রাধান্য পাবে।

এ বিধান ১ জুলাই ২০১৬ থেকে কার্যকর হবে। তবে বর্তমানে বলবৎ বিভিন্ন আইন বা চার্টারের আওতায় বিভিন্ন আন্তঃরাষ্টীয় ও আন্তর্জাতিক সংঘ, সংস্থা, মিশন ও ব্যক্তিগণ বর্তমানে যে কর সুবিধা পাচ্ছেন, ধারা 184F এর পরিবর্তিত বিধান কার্যকর হওয়ার করণে তা রহিত হবে না।
৫৬। বোর্ড কর্তৃক পরিপত্র, স্পষ্টিকরণ ইত্যাদি জারীর ক্ষমতা সংক্রান্ত আয়কর অধ্যাদেশে ধারা 185A এর সন্নিবেশ
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ তে একটি নতুন ধারা 185A সন্নিবেশ করা হয়েছে। সন্নিবেশিত নতুন এ ধারার বিধান মোতাবেক বোর্ড লিখিত আদেশের মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ ও এর আওতায় প্রণীত বিধি ও আদেশের ক্ষেত্র ও প্রয়োগ (scope and application) এর বিষয়ে পরিপত্র (circular), স্পষ্টীকরণ (clarification,) ব্যাখ্যা (explanation) এবং নির্দেশনা (directives) জারী করতে পারবে।
৫৭। বিশেষায়িত সেবা প্রদানকারী কোম্পানীর নির্দিষ্ট লাইসেন্স ফি এর ক্ষেত্রে amortization অনুমোদন: আয়কর অধ্যাদেশের এর সংশোধন
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে Third Schedule এর অনুচ্ছেদ 10A এর উপ- অনুচ্ছেদ (2) এর সংশোধন করা হয়েছে। সংশেধিত বিধান অনুযায়ী, বিশেষায়িত সেবা প্রদানে নিয়োজিত কোন কোম্পানী কর্তৃক যদি এরূপ কোন রাইসেন্স ফি পরিশোধ করা হয় যা উক্ত কোম্পানীর বিশেষায়িত সেবা প্রদান কাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ তাহলে ঐ রাইসেন্স ফি এর ক্ষেত্রে অনুচ্ছেদ 10A অনুযায়ী amortization অনুমোদনযোগ্য হবে।
৫৮। আয়কর অধ্যাদেশের এর সংশোধন (ক) Workers’ Participation Fund থেকে প্রাপ্ত অর্থের উপর কর অব্যাহতির সীমা আরোপ: অনুচ্ছেদ 21 এর সংশোধন
আগে শ্রম আইন, ২০০৬ এর আওতায় গঠিত কোন workers’ participation fund থেকে উক্ত আইনের ধারা 2(65) অনুযায়ী সংজ্ঞায়িত কোন শ্রমিক কর্তৃক যে কোন অংকের অর্থ প্রাপ্ত হলে সমুদয় অংক কর অব্যাহতিপ্রাপ্ত ছিল। অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে এ সংক্রান্ত অনুচ্ছেদ 21 এর সংশোধন করা হয়েছে। সংশোধিত বিধান অনুযায়ী, অন্য কোন আইনে যা-ই বলা থাকুক না কেন, শ্রমিক-ব্যবস্থাপনা কর্মী নির্বিশেষে যে কোন সুবিধাভোগী কর্তৃক শ্রম আইন, ২০০৬ এর আওতায় গঠিত কোন workers’ participation fund থেকে প্রাপ্ত অর্থ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত করমুক্ত থাকবে। কোন সুবিধাভোগী ৫০ হাজার টাকার বেশি অর্থ প্রাপ্ত হলে ৫০ হাজার টাকার অতিরিক্ত অংক করযোগ্য হবে। পরিবর্তিত বিধন ২০১৬-১৭ করবছর থেকে কার্যকর হবে।

উল্লেখ্য, workers’ participation fund থেকে সুবিধাভোগীর প্রাপ্ত যে কোন অংকের উপর আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 52 অনুযায়ী ৫% হারে উৎসে কর কর্তন প্রযোজ্য।

প্রশ্ন ৫৮-১: workers’ participation fund থেকে আমার পাওনা ৪০,০০০/- টাকা। আমার এ টাকার উপর কি উৎসে কর কর্তন করা হবে?
উত্তর ৫৮-১: হ্যাঁ, আপনার ৪০,০০০/- টাকার উপর উৎসে ৫% হারে কর কর্তন করা হবে।

প্রশ্ন ৫৮-২ workers’ participation fund থেকে আমি ৫% কর বাদ দিয়ে ৯৫,০০০/-টাকা প্রাপ্ত হয়েছি। আয়কর রিটার্নে এ খাতে কত টাকা আয় প্রদর্শিত হবে?
উত্তর ৫৮-২: আপনার প্রস পাপ্তি ছিল ১,০০,০০০/- টাকা, যা থেকে ৫% হারে ৫,০০০/- টাকা উৎসে আয়কর কেটে রেখে অবশিষ্ট ৯৫,০০০/-টাকা আপনাকে পরিশোধ করা হয়েছে। আয়কর রিটার্নে আপনি এ খতে আয় প্রদর্শন করবেন (১০,০০,০০০ – ৫০,০০০)= ৫০,০০০/- টাকা। উৎসে কর্তিত ৫,০০০ টাকা আপনা করদায়ের বিপরীতে ক্রেডিট পাবেন।
(খ) অনুচ্ছেদ 32A এর প্রতিস্থাপন
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে অনুচ্ছেদ 32A প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। পরিবর্তিত বিধান অনুসারে কোন আয় বছর সমাপ্তির তারিখে কোন করদাতার কেবলমাত্র পেনশনার সঞ্চয়পত্রে পুঞ্জিভূত বিনিয়োগের পরিমাণ ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অতিক্রম না করলে উক্ত বিনিয়োগ হতে অর্জিত সুদ/মুনাফা করমুক্ত আয় হিসেবে বিবেচিত হবে।
এ বিধান ২০১৬-১৭ করবছর থেকে কার্যকর হবে।

(গ) অনলাইন শপিং ও ই-কমার্সের কর অব্যাহতি প্রত্যাহার: অনুচ্ছেদ 33 এর সংশোধন
অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে অনুচ্ছেদ 33 এ বর্ণিত Information Technology Enabled Services (ITES) এর Explanation সংশোধন করে অনলাইন শপিং এবং ই-কমার্স এর আওতা বহির্ভূত করা হয়েছে। এর ফলে অনলাইন শপিং (online shopping) এবং ই-কমার্স (E-commerce) কে ITES এর আওতা বহির্ভূথ করা হয়েছে। এর ফলে অনলাইন শপিং এবং ই-কমার্স (E-commerce) থেকে উদ্ভূত আয় করযোগ্য হবে।
তবে অনলাইন শপিং বা ই-কমার্সের জন্য সফটওয়্যার তৈরিসহ ITES ভূক্ত অন্যান্য কাজ থেকে উদ্ভূত আয় আগের মতে করমুক্ত থাকবে।
অপরদিকে, “digital archiving of physical records” কে ITES এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ফলে উক্ত খাত হতে অর্জিত আয় করমুক্ত আয় হিসেবে বিবেচিত হবে।
পরিবর্তিত বিধান ২০১৬-১৭ কর বছর থেকে কার্যকর হবে।

(ঘ) ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যেগ (SME) এর কর অব্যঅহতির সীমা বৃদ্ধি: অনুচ্ছেদ 39 এর সংশোধন
পণ্য উৎপাদনে নিয়োজিত কোন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ(SME) এর বার্ষিক টার্নওভার ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হলে উক্ত SME এর আয় করমুক্ত ছিল। অর্থ আইন, ২০১৬ এর মাধ্যমে অনুচ্ছেদ 39 সংশোধন করে টার্নওভারের এ সীমা ৩০ লক্ষ টাকা থেকে ৩৬ লক্ষ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।
পরিবর্তিত বিধান ২০১৬-১৭ কর বছর থেকে কার্যকর হবে।

৫৯। জারীকৃত প্রঙ্গাপনসমুহ
(ক) পন্য রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য উৎস কর হার হ্রাস

এস, আর, ও নং ২৫৭-আইন/আয়কর/২০১৬, তারিখ ১০ আগস্ট, ২০১৬ এর মাধ্যমে ধারা 53BB এবং ধারা 53BBBB তে উল্লিখিত পণ্যের (পাটজাত পণ্য ব্যতীত) রপ্তানি মূল্যের উপর উৎসে আয়কর কর্তনের হার হ্রাসপূবক ০.৭০% এ নির্ধারণ করা হয়েছে। এস,আর,ও তে বর্ণিত হ্রাসকৃত উৎস কর ১ জুলাই ২০১৬ থেকে কার্যকর হবে এবং ৩০ জুন ২০১৭ পর্যন্ত বলবৎ খাকবে। ১ জুলাই তারিখ থেকে কোন কারণে বর্ণিত ধারা সমূহের অধীনে ০.৭% এর বেশি হারে উৎস কর কর্তন করা হয়ে থাকলে অতিরিক্ত কর্তনকৃত উৎস কর ৩০ জুন ২০১৭ তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ধারার অধীনে কোন কর্তনের বিপরীতে সমন্বয়যোগ্য হবে।
এস, আর, ও নং ২০৭-আইন/আয়কর/২০১৬, তারিখ ২৯ জুন, ২০১৬ খ্রিস্টাব্দ এর মাধ্যমে ধারা 53BB তে উল্লিখিত পাটজাত দ্রব্যের ক্ষেত্রে উৎসে আয়কর কর্তনের হার হ্রাসপূর্বক ০.৬০% এ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ উৎসে করহার ১ জুলাই ২০১৬ থেকে কার্যকর হবে এবং ৩০ জুন ২০১৯ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

(খ) নীটওয়্যার ও ওভেন গার্মেন্টস রপ্তনির আয়ের ক্ষেত্রে করহার হ্রাস
এস, আর, ও নং ২০৮-আইন/আয়কর/২০১৬, তারিখ ২৯ জুন, ২০১৬ খ্রিস্টাব্দ এর মাধ্যমে নীটওয়্যার ও ওভেন গার্মেন্টস উৎপাদন ও রপ্তানিতে নিয়োজিত করদাতার উক্ত পণ্য রপ্তানী হবে উদ্ভূত আয়ের উপর আয়করের হার নিম্নরূপে হ্রাস করা হয়েছে:
(১) কোম্পানীর করদাতার ক্ষেত্রে আয়করের হার হবে ২০% ;
(২) কোম্পানীর ব্যতীত অন্যান্য করদাতার ক্ষেত্রে আয়করের সর্বোচ্চ হার হবে ২০%
এ কর হার ২০১৬-১৭ করবছরের জন্য প্রযোজ্য হবে।

(গ) পাট শিল্পের আয়ের ক্ষেত্রে করহার হ্রাস
(১) এস, আর, ও নং ২০৭-আইন/আয়কর/২০১৬, তারিখ ২৯ জুন, ২০১৬ খ্রিস্টাব্দ এর মাধ্যমে পাট জাত দ্রব্য উৎপাদনে নিয়োজিত করদাতার উক্ত পণ্য রপ্তানি হবে উদ্ভূত আয়ের ক্ষেত্রে আয়করের হার নিম্নরূপে হ্রাস করা হয়েছে:
(ক) কোম্পানী করদাতার ক্ষেত্রে আয়করের হার হবে ১০%;
(খ) কোম্পানী ব্যতীত অন্যান করদাতার ক্ষেত্রে আয়করের সর্বোচ্চ হার হবে ১০।

(২) এছাড়া এস,আর ও নং ২৫৮-আইন/আয়কর/২০১৬, তারিখ ১০ আগস্ট, ২০১৬ খ্রিস্টাব্দ এর মাধ্যমে পাটজাত দ্রব্য উৎপাদনে নিয়োজিত কোন শিল্প প্রতিষ্ঠনের কেবল উক্ত শিল্প হতেত অর্জিত আয়ের ক্ষেত্রে আয়করের হার নিম্নরূপে হ্রাস করা হয়েছে:
(ক) কোম্পানীর করদাতার ক্ষেত্রে আয়করের হার হবে ১০;
(খ) কোম্পানীর ব্যতীত অন্যান্য করদাতার ক্ষেত্রে আয়করের সর্বোচ্চে হার হবে ১০%।
এস,আর ও দুটিতে উল্লিখিত হ্রাসকৃত করহারের সুবিধা ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮,২০১৮-১৯, এবং ২০১৯-২০ কর বছরের জন্য প্রযোজ্য হবে।
পাটশিল্পের আয়ের উপর আয়করের হার সংক্রান্ত এস, আর, ও নং ১৯৪-আইন/আয়কর/২০১৫,তারিখ ৩০ জুন, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ রহিত করা হয়েছ।
(ঘ) মোটর কার, জীপ বা মাইক্রোবাসের মালিকানা জনিত অনুমিত আয়ের উপর আয়কর সংক্রান্ত এস, আর, ও নং ৯৯-আইন/২০১৫ খ্রিস্টাব্দ রহিত করা হয়েছে। মোটর গাড়ির উপর মালিকানাজনিত অনুমিত আয়ের উপর অগ্রিম কর আরোপের বিষয়ে আয়কর অধ্যাদেশে নতুন ধারা 68B সন্নিবেশ করা হয়েছে।

৬০। আয়কর বিধামালা,১৯৮৪ এর সংশোধনীসমূহ
এস, আর ও নং ২৫৯-আইন/আয়কর/২০১৬, তারিখঃ ১০ আগস্ট, ২০১৬ এর মাধ্যমে আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ তে নিম্নরূপ সংশোধনী আনা হয়েছে-

(ক) আয়কর বিধিমালার বিধি 11 এর বিলোপ
বিধি 11 সংশ্লিষ্ট আয়কর অধ্যাদেশের সংশ্লিষ্ট বিধান ইতোপূর্বে বিলোপ হওয়ায় বিধিটি কার্যকারিতা হারিয়েছে। ফলে তা বিলোপ করা হয়েছে।

(খ) উৎসে কর্তিত/আদায়কৃত কর সরকারী কোষাগারে পমা প্রদানের নির্ধারিত সময়সীমা পরিবর্তন: বিধি 13 এর প্রতিস্থাপন
আগের বিধি 13 এর প্রতিস্থাপন করে পরিবর্তিত বিধিতে বিধান কারা হয়েছে যে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর অধ্যায় VII অনুযায়ী উৎসে কর্তিত/আদায়কৃত কর নিম্নবণিত সময়সীমার মধ্যে সরকারী কোষাগারে জমা করতে হবে:

(১) অর্থ বছরের জুলাই থেকে মে মাসে উৎস কর কর্তন/আদায়ের ক্ষেত্রে: যে মাসে উৎস কর কর্তন/আদায় হবে যে মাস শেয় হওয়ার পরবর্তী দুই সম্তাহের মধ্যে;
(২) অর্থ বছরের জুন মাসের ১ হতে ২০ তারিখ পর্যন্ত উৎস কর কর্তন/আদায়ের ক্ষেত্রে: যে তারিখে উৎস কর কর্তন/আদায় হবে সে তারিখ হতে পরবর্তী ৭ (সাত) তিনের মাধ্যে;
(৩) অর্থ বছরের জুন মাসের অবশিষ্ট দিনগুলোতে উৎস কর কর্তন/আদায়ের ক্ষেত্রে: যে দিন উৎস কর কর্তন/আদায় হবে তার পরের দিন।
তবে জুন মাসের শেষদুই কার্যদিবসে উৎস কর কর্তন/আদায়ের দিন তা সরকারী কোষগারে জমা দিতে হবে।

(গ) উৎসে কর্তিত/সংগৃহীত কর সরকারী কোয়াগারে জমা প্রদানের পদ্ধতি সুনির্দিষ্টকরণ: বিধি 14 এর প্রতিস্থাপন
আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ সংশোধন করে বিধি 14 এর প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
পরিবর্তিত বিধি 14 অনুযায়ী, উৎসে কর কর্তিত/আদায়কৃত কর বিধি13 তে বর্ণিত সময়সীমর মধ্যে নিম্নবর্নিত পদ্ধতিতে সরকারী কোষাগারে জমা করতে হবেঃ
(১) আয়কর চালানের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক বা সোরালী ব্যাংক (যেক্ষেত্রে যেটি প্রযোজ্য) জমা করার মা্ধ্যমে; বা
(২) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে ইলেকট্রনিক স্থানান্তরের মাধ্যমে।
যদি সরকারের কোন দপ্তর বা বিভাগ সরকারের কোন আদেশের প্রক্ষিতে উৎসে কর্তিত/আদায়কৃত কর আয়কর চালানের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক বা সোনালী ব্যাংকে জমা প্রদান করার পরিবর্তে বুক-ট্রান্সফার বা অন্যে কোনভাবে সরকারী কোষগারে জমা করে বা সরকারের সংশ্লিষ্ট হিসাবে স্থানানাতর করে তবে করকারের সে দপ্তর বা বিভাদের জন্য তা যথানিয়মে জমা হয়েছে বলে গণ্য হবে।
উৎসে কর্তিত/আদায়কৃত কর ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে সরকারী কোষাগারে কি পদ্ধতিতে স্থানান্তরিত হবে তা কোর্ড সরকারী গেজেট প্রাজ্ঞাপন জারীর মাধ্যমে নির্ধারণ করে দিতে পারবে।

(ঘ) ঠিকাদার,ইত্যাদির বিলের উপর উৎসে কর কর্তনের হার পরিবর্তন: বিধি 16 এর প্রতিস্থাপনঃ
বিধি 16 ইর প্রতিস্থাপন করে আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 52 তে বির্ণিত কয়েকটি ক্ষেত্রে উৎসে কর কর্তনের নতুন হার নির্ধারণকরা করা হয়েছে। এ পরিপত্রের ধারা 52এর আলোচনায় উৎসে করের পরিবর্তিত হার উল্লেখ করা হয়েছে।
১ জুলাই ২০১৬ থেকে পরিশোধের ক্ষেত্রে পরিবর্তিত হার প্রযোজ্য হবে।

(ঙ) কয়লা আমদানির ক্ষেত্রে ৫% হারে উৎক কর আদায়ের বিধান: বিধি 17A এর সংশোধন
বিধি 17A তে সংশোধনী এনে বিদেশ হতে কয়লা [Coal, whether or not pulverize, butnot agglomerated, other coal (H.S Code: 2701.19.00)] আমদানির ক্ষেত্রে ৫% হারে উৎসেআয়কর আদায়ের বিধান করা হয়েছে।
১ জুলাই ২০১৬ থেকে আমদানির ক্ষেত্রে পরিবর্তিত হার প্রযোজ্য হবে।

(চ) উৎস করের সার্টিফিকেট যুগোপষোগীকরণ: বিধি 18 এর প্রতিস্থাপন
বিধি 18 প্রতিস্থাপন করে পরিবর্তিত নিধানে উৎব করের ক্ষেত্রে পূর্বর ২ ধরণের সার্টিফিকেটের পরিবর্তে নিম্নরূপ ৩ ধরণের সার্টিফিকেট প্রবর্তন করা হয়েছে:
(১) সরকারি বেতনভোগী ব্যতীত অন্যান্য বেতনভোগীর বেতন-ভাত হতে উৎসে কর কর্তনের সার্টিফিকেট;
(২) আয়কর অধ্যাদেশের আধ্যায় VIIএর অধীন কোন ধারায় উৎসে কর কর্তনের সার্টিফিকেট (নির্দিষ্ট ফরমে, পরিশিষ্ট ১০ মতে); এবং

(৩) আয়কর অধ্যাদেশের অধ্যায়VII এর অধীন কোন ধারায় উৎসে কর আদায়ের সার্টিফিকেট (নিদিষ্ট ফরমে, পরিশিষ্ট ১১ মেতে)

সরাকারি বেতনভোগী ব্যতীত অন্যান্য বেতনভোগীর বেতন-ভাতা হতে উৎসে কর কর্তনের সার্টিফিকেটের নির্দিষ্ট কোন করম নেই। বেতন প্রদনিকারী দাপ্তরিক লেটারহেডে বা কাগজে সার্টিফিকেট ইস্যু করবেন। তবে সার্টিফিকেট নিম্নবর্ণিত বিষয়াদির উল্লেখ থাকবে-
(১) বেতন প্রদানকারী ব্যক্তি (person) বা কর্তৃপক্ষের নাম ও ঠিকানা;
(২) কোন সময়ের জন্য বতেন-ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে;
(৩) বেতন প্রাপকের নাম, পদবী ও ১২-ডিজিট টিআইএন;
(৪) বেতন-ভাতা পরিশোধের খাত-ওয়ারী বিবরণ (যথা: মূল বেতন, ভাতাদি ও সুবিধদির নাম ও পরিমাণ);
(৫) উপরে উল্লিখিত বেতন-ভাতার বাইরে কোন সুবিধা দেয় হলে তার আর্থিকমূল্য;
(৬) বেতনভাতা থেকে কর্তনযোগ্য করের পরিমাণ;
(৭) আয়, করদায় বা রেয়াত পরিগণনার সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য তথ্য;
(৮) উৎসে কর্তিত করের পরিমাণ;
(৯) নিম্নোক্ত ছকে উৎসে কর্তিত কর সরকারী কোষাগারে জমর বিবরণ

SI No Challan*Number Challan date Bank Name Total amount in the challan ৳ Amount relation to this certificate ৳ Remarks
1            
2          
Total  
In words:

*if payment is made in any other mode specified by the Board, provide information relevant to that mode.
(১০) সার্টিফিকেট প্রদানকারী ব্যক্তির নাম, পদবী, স্বাক্ষর ও তারিখ।
*বেতন ভাতা ব্যতীত আয়কর অধ্যাদেশের অধ্যায় VII এর অধীন অন্য কোন খাতের উৎসে কর কর্তনের সার্টিফিকেট নির্ধারিত ফরমে প্রদান করতে হবে।
আয়কর আধ্যাদেশের VII এর অধীনে কোন ধারায় উৎসে কর আদায়ের ক্ষেত্রে নির্ধারিত ফরমে সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে।
*বিশেষ ক্ষেত্রে উৎসে কর কর্তন/আদায়ের পরিমাণ উল্লেখ রয়েছ এরূপ বিল অব এন্ট্রি, রেজিস্ট্রেশন দলিল, পেমেন্ট উনস্ট্রুমেনট বা অন্যান্য দলিলাদিকে উল্লিখিত সার্টিফিকেট হিসেবে। বিবেটন করার জন্য রাজস্ব বোর্ড নদের্শনা জারী করতে পাবে।
*উৎসে কর্তনকারী/আদায়কারী কর্তৃপক্ষ যে মাসে উৎসে কর কর্তন/সংগ্রহ করবেন তা শেষ হওয়ার পরবর্তী ০২ সপ্তাহের মধ্যে অথবা যে ব্যক্তির নিকট হতে উৎসে কর কর্তন/আদায় করা হয়েছে তার কর সংক্রান্ত বিষয়াদি নিষ্পাত্তিতে সুবিধিাজনক সময়সীমার মধ্যে উৎস করের সার্টিফিকেট প্রদান করবেন।
*উৎস করের সার্টিফিকেটের সাথে কর্তিত/ আদায়কৃত কর সরকারী কোয়গোরে জমা প্রদানের প্রামাণ্য দলিলাদি (যথা, ট্রেজারী চালানের কপি) পাদন করবেন।
*প্রতিমাসে কর্তিত/আদায়কৃত উৎস করের বিবরণী নির্ধারিত ফরমে (পরিশিষ্ট ১২) পরবর্তী মাসের ২০ তারিখের মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্হ কর্তৃক নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করতে হবে।

(ছ) বেতন খাতে উৎসে কর কর্তনের মাসিক বিরণী যুগোপযোগীকরণ: 21 এর প্রতিস্থাপন
বিধি 21 এর প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে বেতনখাতে উৎসে কর কর্তনের বিবরণী দাখিল সংক্রান্ত বিধানে পরিবর্তণ আনা হয়েছে। পরিবর্তিত বিধান অনুযায়ী, সরকারি বেতনভোগী ব্যতীত অন্য যে কোন বেতনভোগীর ক্ষেত্রে বেতন খাতে উৎসে কর কর্তনের একটি বিবরণী নির্ধারিত ফরম(পরিশিষ্ট ১৩) উপবিধি (3) তে উল্লিখিত কর কর্তৃপক্ষের নিকট প্ররণ করতে হবে।
যে মাসে বেতনভাতা খাতে উৎসে কর কর্তন করা হবে তার পরবর্তী মাসের ২০ তারিখের মধ্যে বিবরণীটি প্রেরণ করতে হবে।
কোন অনুমোদিত super annuation fund এর ট্রাস্টী (trustee) কর্তৃক employee কে চাঁদার টাকা ফেরত প্রদানের ক্ষেত্রে কর কর্তৃপক্ষের নিকট বিবরণী প্রদানের বিধান অপরিবর্তিত আছে।
বিধি 21 তে উল্লিখিত বিবরণীসমূহ যে উপ কর কমিশনারের অধিক্ষেত্রাধীন সে উপ কর কমিশনারের নিকট অথবা বোর্ড নির্দেশ দিলে অন্য আর কোন কর কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করতে হবে।

(জ) বেতন-ভাতাদি পরিশোধের বার্ষিক বিবরণী প্রদান সংক্রান্ত বার্ষিক বিবরণী প্রদান সংক্রান্ত বিধি 23 এর সংশোধন
বিধি 23 তে সংশোধনী এনে বেতন-ভাতাদি পরিশোধ সংক্রান্ত বার্ষিক বিবরণী ফরমটি (পরিশিষ্ট ১৪) যুগোপযোগী করা হয়েছে। পরিবর্তিত বিবরণীতে তিনটি অংশ রয়েছে:

Part I পূর্বের ন্যায় কর্মমর্তা-কর্মচারীদের সাধারণ তথ্য, তাদেরকে পরিশোধিত বেতন-ভাতাদিক তথ্য এবং পরিশোধিন বেতন- ভাদাদি হতে উৎসে কর্তিত করের তথ্য
Part II ১২-ডিজিট টিআইএন বিহীন employee এবং বিদেশি employee দের পরিশোধিত বেতন/ভাতাদির তথ্য
Part III দের বেতন/ভাতাদির অতিরিক্ত পরিশোধিত নগদ পুনর্ভরণ (Cash reimbursement) এর তথ্য


বিধি 23 তে উল্লিখিত বিবরণীর একটি করে কপি প্রতি অর্থ বছরের ১ সেপ্টেম্বর তারিখে নিম্নবর্ণিত কর কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করতে হবে:
(১) employee যে উপ কর কমিশনারের অধিক্ষেত্রাধীন সে উপ কর কমিশনার;
(২) employee এর নিয়োগকারীর কর নির্ধারণ () যে উপ কর কমিশনারের অধিক্ষেত্রাধীন সে উপ কর কমিশনার; এবং
(৩) বোর্ড নির্দেশিত অন্য কোন কর কর্তৃপক্ষ।

(ঝ) নতুন আয়কর রিটার্ন ফরম প্রবর্তন: বিধি 24 এর প্রতিস্থাপন
আয়কর রিটার্ন ফরম সংক্রান্ত বিধি 24 প্রতিস্থাপন করে ব্যক্তিশ্রেণি (individual), কোম্পানী (company) এবং ব্যক্তিশ্রেণি ও কোম্পানী ব্যতীত অন্যান্য (ther than individual and company)করদাতার (যমন-ফার্ম, ব্যক্তি-সংঘ, এনজিও ইত্যাদি) জন্য পৃথক তিনটি নতুন রিটার্ন ফরম প্রবর্তন করা হয়েছে।
ব্যক্তি শ্রেণির করদাতার জন্য বিদ্যামান তিন ধরণের রিটার্নের পরিবর্তে একটি অভিন্ন রিটার্ন (IT-11GA2016) প্রবর্তন করা হয়েছে। মূল রিটার্নটি তিন পৃষ্ঠার। মূল রিটার্নের সাথে প্রাপ্তি স্বীকার পত্র এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বেতন, গৃহ-সংযুক্ত করতে হবে।
তিন পৃষ্ঠার মূল রিটার্ন পূরণ করা ব্যক্তি-করদাতাদের সকলের জন্য বাধ্যতামূলক। এতে প্রথম পৃষ্ঠায় করদাতার বিষয়ে মৌলিক তথ্য, দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় আয় ও করের হিসাব এবং তৃতীয় পৃষ্ঠায় সংলাগ, করদাতার প্রতিপাদন ও স্বাক্ষর প্রদান করতে হবে।
করদাতার আয়ের উৎসের উপর নির্ভর করে মূল রিটার্নের সাথে তফসিল যোগ হবে। বেতন আয় থাকলে বেতন সংক্রান্ত তফসিল 24A, বাড়িভাড়া আয় থাকলে সে আয়ের তফসিল 24B এবং ব্যবসায় বা পেশাগত আয় থাকলে ব্যবসায় বা পেশাগত আয়ের তফসিল 24C মূল রিটার্নের সাথে যোগ হবে। যে করদাতার এসব কোন খাতের আয় নেই তার কেবল তিন পৃষ্ঠার মূল রিটার্ন দাখিল করলেই চলবে, তফসিল দাখিল করার প্রয়োজন হবে না।
কেউ বিনিয়োগ রেয়াত দাবী করলে মূল রিটার্নের সাথে বিনিয়োগ রেয়াত সংক্রান্ত তফসিল 24D দাখিল করতে হবে। করদাতা রেয়াত দাবী না করলে তফসিল 24D দাখিল করার প্রয়োজন হবে না।
ব্যক্তি-শ্রেণির করদাতাগণকে রিটার্নের সাথে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণী এবং জীবন যাত্রা সংশ্লিষ্ট ব্যয়ের বিবরণীও দাখিল করতে হবে।
কোম্পানী করদাতার জন্য নতুন রিটার্ন ফরম এবং ফার্ম IT-11GHA2016 ব্যক্তি-সংঘ, এনজিওসহ অন্যান্য সকল শ্রেণির করদাতার জন্য নতুন রিটার্ন ফরম IT-11CHA2016 প্রবর্তন করা হয়েছে।

প্রতিটি রিটার্নের সাথে এক পাতার একটি প্রাপ্তি স্বীকারপএ সংযোজন করা হয়েছে।
২০১৬-১৭ কর বছরে আগের রিটার্নগুলোও বহাল থাকবে।
কোন করদাতা নতুন ফরমে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র পেতে চাইলে তাকে নতুন ফরমে রিটার্ন, তফাসিল (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)ও বিবরণী (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) দাখিল করতে হবে।
এছাড়াও কেবলমাত্র স্পট এ্যাসেসমেন্ট এর আওতাধীন ব্যবসা এবং ডাক্তার ও আইর পেশায় নিয়োজিত নতুন করদাতাদের জন্য প্রযোজ্য রিটার্ন ফরম (IT-11GAGA) পরিমার্জন করা হয়েছে।
নতুন প্রবর্তিত সকল আয়কর রিটার্ন, তফসিল ও বিবরণী পরিশিষ্ট অংশে সন্নিবেশ করা হয়েছে।
রিটার্ন দাখিলের সময় বড়ানোর জন্য উপ কর কমিশনারের নিকট আবেদনের ক্ষেত্রে আবেদনের ঢরম নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এ পরিপত্র জারীর পর তেকে সকল সময়ের আবেদন নির্ধারিত ফরমে করতে হবে। নির্ধারিত ফরমে আবেদন করা না হলে সময় বাড়ানোর অনুরোধ বিবেটনাযোগ্য হবে না।

(ঞ) উৎস করের নতুন রিটার্ন ফরম প্রবর্তন: বিধি 24 এর প্রতিস্থাপন
বিধি 24A প্রতিস্থাপন করে উৎস করের নতুন রিটার্ন ফরম প্রবর্তন করা হয়েছে। মূল রিটার্নের সাথে তিনটি তফসিল রয়েছে। উৎস করের মূল খাতগুলো হতে কর্তিত/আদায়কৃত করের তথ্য মূল রিটার্নে রাখা হয়েছে। ধারা 52AA এর আওতাভুক্ত কোন খাত থেকে উৎসে কর কর্তন থাকলে তফসিল 24AA, ধারা 56 এর আওতাভুক্ত কোন খাত থেকে উৎসে কর কর্তন থাকলে তফসিল24AB এবং মূল রিটার্নে বর্ণিত খাতসমূহ ব্যতীত অন্যান্য উৎস হতে কতর্ন/আদায় থাকলে তফসিল 24AC দাখিল করতে হবে।
এ পরিপত্র জারীর পর থেকে সকল উৎস করের রিটার্ন নতুন প্রবর্তিত ফরমে দাখিল করতে হবে।

(ট) পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণীর নতুন ফরম প্রবর্তন: বিধি 25 এর প্রতিস্থাপন
বিধি 25 প্রতিস্থাপন করে পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণীর নতুন ফরম IT-10B2016 প্রবর্তন করা হয়েছে (পরিশিষ্ট ১৬)। ২০১৬-১৭ কর বছরে যে সকল করদাতা নতুন রিটার্ন ফরম (IT-11GA2016)ব্যবহার করবেন তাদেরকে IT-10B2016 ফরম ব্যবহার করতে হবে। আর যে সকল করদাতা আগের রিটার্ন ফরম ব্যবহার করবেন তারা পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণীর আগের ফরম (IT-10B) দাখিল করবেন।

(ঠ) জীবনযাত্রা সংশ্লিষ্ট ব্যয় বিবরণীর নতুন ফরম প্রবর্তন: বিধি 25A এর প্রতিস্থাপন
বিধি 25A প্রতিস্থাপন করে জীবনযাত্রা সংশ্লিষ্ট ব্যয় বিবরণীরন নতুন ফরম IT-10BB2016 প্রবর্তন করা হয়েছে (পরিশিষ্ট ১৭)। ২০১৬-১৭ কর বছরে যে সকল করদাতা নতুন রিটার্ন ফরম (IT-11GA2016) ব্যবহার করবেন তাদেরকে IT-10BB2016 ফরম ব্যবহার করতে হবে। আর যে সকল করদাতা আগের বিটার্ন ফরম ব্যবহার করবেন তারা জীবনযাত্রা সংশ্লিষ্ট ব্যয বিবরণীর আগের ফরম (IT-10BB) দাখিল করবেন।

(ড) দাবি/প্রত্যর্পণ এর নোটিশ সংক্রান্ত বিধি 26 এর সংশোধন
বিধি 26 এর সংশোধনপূর্বক আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 135 এর অধীন কর দাবী/প্রত্যর্পন নোটিশ ফরমটি পরিমার্জন করা হয়েছে (পরিশিষ্ট ২৭)।

(ঢ) চাকুরিজীবী করদাতার নগদ চিকিৎসাভাতা সংক্রান্ত বিধি 33I এর সংশোধন
বিধি 33I দে নদুন একটি proviso সন্নিবেশ করে বিধান করা হয়েছে যে-
(১) কোন employee প্রতিবন্ধী ব্যক্তি (serson with disability) হলে তার বেতন খাতে আয় নিরূপনের ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তা হতে আয় বছরে প্রাপ্ত নগদ চিকিৎসা ভাতার ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অংক মোট আয়ের অন্তর্ভুক্ত হবেনা; <
(২) কোন employee এর হার্ট, কিডনি, চক্ষু, লিভার ও ক্যান্সার সার্জারির খরচ নিয়োগকর্তা কর্তৃক পুরর্ভরণ (reimburse) করা হলে উক্ত employee এর বেতনখাতে আয় নিরূপণে পুনর্ভরণ (reimburse) কৃত অর্থ মোট আয়ের অন্তর্ভুক্ত হবে না। তবে শেয়ারহোল্ডার পরিচালকগণ এ কর অব্যাহতির সুবধা প্রাপ্য হবেন না।
এ বিধান ২৯১৬-১৭ করবছর কার্যকর হবে।

(ণ) স্পট এসেসমেন্ট সংক্রান্ত বিধি 38B এর সংশোধন
বর্ণিত এস, আর ও এর মাধ্যমে বিদ্যমান বিধি 38B এর সংশোধনপূর্বক স্পট এসেসমেন্টের ক্ষেত্রে আয়করের হার নিম্নরূপে পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে:

Intitial capital investment ot be shown Tate of Tax (TK.) Applicability
Upto Tk 6 lakh 3,000/- For the assessee not located under any city corportation or paurashava of district heabquarters;
Upto Tk 7 lakh 3,500/- For the assessee located at Paurashava in sistrict headquarters and other area excluding city corporation;
Upto Tk 8 lakh 4,000/- For assesse of any area;
Upto Tk 10 lakh 5,000/- For assesse of any area;
Upto Tk 15 lakh 10,000/- For assesse of any area;

(b) Where an assessee carries on profession as a lowyer or doctor-

Length of profession Tate of Tax (TK.) Applicability
Upto 3 years 3,000/- For the assessee not located under any city corporation or paurashava of district headquarters;
Upto 4 years 3,500/- For the assessee located at Paurashava in district headquarters and other area excluding city corporation;
Upto 5 years 4,000/- For assesse of any area;
Upto 10 years 5,000/- For assesse of any area;

(ত) ফ্রি-স্যাম্পল বিতরণ বাবদ খরচ অনুমোদন সংক্রান্ত বিধি 65C এর প্রতিস্থাপন
বিধি 65C এর প্রতিস্থাপন করে নতুন বিধি 65C এর মাধ্যমে ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে ফ্রি স্যাম্পল বিতরণ বাবদ খরচ অনুমোদনের হার নিম্নমূপে পুনর্বিন্যাস করা হয়েছেঃ
(a) in case of a pharmaceutical industry-
(i) for a turnover upto taka 5 crore, at the rate of 2%
(ii) for a turnover in excess of taka 5 crore but upto 10 crore, at the rate of 1%
(iii) for a turnover in excess of taka 10 crore, at the rate of 0.50%;
(b) in case of a food, cosmetics and toiletries industry-
(i) for a turnover upto taka 5 crore, at the rate of 1%
(ii) for a turnover in excess taka 5 crore but upto 10 crore, at the rate of 0.5%
(iii) for a turnover in excess of taka 10 crore, at the rate of 0.25%;
(c) in case of any other industries-
(i) for a turnover upto taka 5 crore, at the rate of 0.5%
(ii) for a turnover in excess of taka 5 crore but upto 10 crore, at the rate of 0.25%
(iii) for a turnover in excess of taka 10 crore, at the rate of 0.1%

৬১। বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি বিদির সংশোধনী
এস, আর, ও নং ২০৪-আইন/আয়কর/২০১৬, তাকিখ: ২৯ জুন, ২০১৬ খ্রিস্টাব্দ এর মাধ্যমে আয়কর বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (পদ্ধতি) বিধিমালা, ২০১২ তে নিম্নরূপ সংশোধনী আনা হয়েছে-
(ক) বিদি ৭ সংশোধন করে কর কমিশনার কর্তৃক বিভাগীয় প্রতিনিধি মনোনয়নের সময়সীমা আবেদন প্রাপ্তির পরবর্তী কার্যদিবসের পরিবর্তে পরবর্তী ৩ (তিন) কার্যদিবস করা হয়েছে;
(খ) সহায়তাকারী কি সময়ের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তি করবেন তা সুনির্দিষ্ট করার জন্য বিধি ১২ এর দাফা (চ) প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। পরিবর্তিত বিধান অনুযায়ী, সহায়তাকারী অবশ্যই আয়কর অধ্যাদেশের ধারা 1520 এর উপধারা (8) এ বর্ণিত সময়ের মধ্যে বিরোধসমূহ নিষ্পন্ন করবেন।
এ পরিপত্রে অন্য কিছু সুনির্দিষ্টভাবে বলা না থাকলে অধ্যায় বলতে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর Chapter, ধারা বলতে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর section এবং বিধি বলতে আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ এর rule কে বুঝাবে।
২০১৬-১৭ সালের বাজেট কার্যক্রমের মাধ্যমে আয়কর ও সারচার্জের হার নির্ধারণ, আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এবং আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ এর সংশোধনী / পরিবর্তন এবং নতুন জারীকৃত প্রজ্ঞাপনসমূহ স্পষ্টীকরণের উদ্দেশ্যে এ পরিপত্র প্রণয়ন করা হয়েছে। এ পরিপত্রের কোন বক্তব্য বা উপস্থাপনা আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ অথবা আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ অথবা জারীকৃত প্রজ্ঞাপনের সাথে সাংঘর্ষিক হলে বা কোন মুদ্রণজনিত ক্রটির কারণে কোনরূপ অস্পষ্টতা দেখা দিলে অর্থ আইন, ২০১৬, আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪, আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ এবং মূল প্রজ্ঞাপনসমূহের ভাষ্য প্রাধান্য পাবে।

(মোঃ শব্বির আহমদ)
প্রথম সচিব (কর নীতি)
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, ঢাকা।

About Author

Profile Picture

Golden Bangladesh

Golden Bangladesh is a point of access to information.We present information from diverse sources in a unified way. It is the leading web portal, e-Directory and business guide in Bangladesh.

Leave a Comment