Income Tax Hot-2019-20

Displaying 1-5 of 5 results.

রিটার্ন দাখিল না করলে?

কোন করদাতা আয়কর অধ্যাদেশের ৭৫ ধারানুসারে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থ হলে তার উপর আয়কর অধ্যাদেশের ১২৪ ধারা অনুযায়ী জরিমানা, ৭৩ ধারা অনুযায়ী ৫০ শতাংশ অতিরিক্ত সরলসুদ এবং ৭৩এ ধারা অনুযায়ী বিলম্ব সুদ (delay interest) আরোপযোগ্য হবে। যে ক্ষেত্রে করদাতা রিটার্ন দাখিলের জন্য সময়ের আবেদন করে উপ কর কমিশনার কর্তৃক মঞ্জুরকৃত বর্ধিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করবেন, সে ক্ষেত্রে করদাতার উপর জরিমানা আরোপিত হবে না, তবে অতিরিক্ত সরলসুদ ও বিলম্ব সুদ আরোপিত হবে।

আয়কর রিটার্ন কারা দেবেন?

কোন ব্যক্তি  (individual)  করদাতার  আয় যদি বছরে  ২,৫০,০০০/-  টাকার বেশী হয় তবে তাকে রিটার্ন দিতে হবে। মহিলা  এবং ৬৫ বছর বা তদুর্ধ্ব বয়সের পুরুষ করদাতার আয়  যদি  বছরে  ৩,০০,০০০/-  টাকার  বেশি,  প্রতিবন্ধী  করদাতার  আয়  যদি  বছরে ৩,৭৫,০০০/-  টাকার বেশী  এবং গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার আয় যদি বছরে ৪,২৫,০০০/-  টাকার বেশী  হয়  তাহলে ঐ করদাতাকে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। তবে নিম্নবর্নিত  ক্ষেত্রসমূহে আয়ের পরিমাণ যা-ই হোক না কেন, ব্যক্তি-করদাতাকে সংশ্লিষ্ট আয় বছরের জন্য আবশ্যিকভাবে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে:
(ক) যদি আয় বছরে করদাতার মোট আয় করমুক্ত সীমা অতিক্রম করে;
(খ) আয় বছরের পূর্ববর্তী তিন বছরের যেকোন বছর করদাতার কর নির্ধারণ হয়ে  থাকে বা তার আয় করযোগ্য হয়ে থাকে;
(গ) করদাতা যদি-
১. কোন কোম্পানীর শেয়ারহোল্ডার পরিচালক বা শেয়ারহোল্ডার employee হন;
২. কোন ফার্মের অংশীদার হন;
৩. সরকার অথবা সরকারের কোন কর্তৃপক্ষ, কর্পোরেশন, সত্তা বা ইউনিটের বা প্রচলিত কোন আইন, আদেশে বা দলিলের মাধ্যমে গঠিত কোন কর্তৃপক্ষ, কর্পোরেশন, সত্তা বা     
   ইউনিটের কর্মচারী (employee) হয়ে আয় বছরের যেকোন সময় ১৬,০০০/- টাকা তদূর্ধ্ব পরিমাণ মূল বেতন আহরণ করে থাকেন;
(ঘ) আয় বছরে করদাতার আয় কর অব্যহতি প্রাপ্ত বা হ্রাসকৃত হারে করযোগ্য হয়ে থাকে;
(ঙ) যদি আয় বছরের কোন এক সময়ে নিম্নবর্ণিত শর্তের যে কোনটি করদাতার জন্য প্রযোজ্য হয়-
১. মোটর গাড়ির মালাকানা থাকা (মোটর গাড়ি বলতে জীপ বা মাইক্রোবাসকেও বুঝাবে);
২. মূল্য সংযোজন কর আইন, ১৯৯১ এর অধীন নিবন্ধিত কোন ক্লাবের সদস্যপদ থাকা;
৩. কোন সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা  অথবা  ইউনিয়ন পরিষদ হতে ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ করে কোন ব্যবসা বা পেশা পরিচালনা;
৪. চিকিৎসক, দন্তচিকিৎসক, আইনজীবী, চার্টার্ড একাউন্টেন্ট, কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট এ্যাকাউন্টেন্ট, প্রকৌশলী, স্থপতি, সার্ভেয়ার অথবা সমজাতীয় পেশাজীবী হিসেবে কোন স্বীকৃত পেশাজীবী সংস্থার নিবন্ধন থাকা;
৫. আয়কর পেশাজীবী (income tax practitioner) হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নিবন্ধন থাকা;
৬. কোন বণিক বা শিল্প বিষয়ক চেম্বার বা ব্যবসায়িক সংঘ বা সংস্থার সদস্যপদ থাকা;
৭. কোন পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশনের কোন পদে বা সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হওয়া;
৮. কোন সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা কোন স্থানীয় সরকারে কোন টেন্ডারে অংশগ্রহণ করা;
৯. কোন কোম্পানীর বা কোন গ্রুপ অব কোম্পানীজের পরিচালনা পর্ষদে থাকা;

বিনিয়োগের হার, সীমা এবং অনুমোদনের ক্ষাতসমূহ

আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর কর রেয়াত ধারা-৪৪(২)(বি) অনুযায়ী (তফসিল ৩ ও নতুন ফর্মে Schedule-24D অনুসারে)
একজন করদাতা নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে বিনিয়োগ কিংবা দান করলে তিনি বিনিয়োগ ও দানকৃত অংকের ১৫% সরাসরি আয়কর রেয়াত পাবেন। রেয়াত পাওয়ার যোগ্য বিনিয়োগ বা দান প্রচলিত রিটার্ন ফরম আইটি-১১গ এর তফসিল-৩ এ উল্লেখ করতে হবে। কর রেয়াতের জন্য এরকম বিনিয়োগ ও দানের পরিমাণ মোট আয়ের (স্বীকৃত ভবিষ্যৎ তহবিলে নিয়োগকর্তার দান, ৮২সি ধারায় নির্ণিত চুড়ান্ত করদায় এবং হ্রাসকৃত করহার প্রযোজ্য এমন আয় থাকলে তা বাদে) ২৫% অথবা ১,৫০,০০,০০০/- টাকা অথবা প্রকৃত বিনিয়োগ এ তিনটির মধ্যে যেটি কম তার বেশী হতে পারবে না। উল্লেখ্য,যে সকল করদাতা বেতন আয়ের ক্ষেত্রে আইটি-১১ঙ অথবা ব্যবসা বা পেশার আয়ের ক্ষেত্রে আইটি-১১চ ব্যবহার করবেন তাঁদের এরূপ কোন তফসিল পূরণ করতে হবে না। তবে বিনিয়োগ বা দানের প্রমাণপত্র রিটার্নের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।

বিনিয়োগের খাতঃ একজন করদাতার বিনিয়োগ ও দানের সম্ভাব্য খাতের তালিকা নীচে দেয়া হলোঃ

* জীবন বীমার প্রিমিয়াম।
* সরকারি কর্মকর্তার প্রভিডেন্ট ফান্ডে চাঁদা।
* স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিলে নিয়োগকর্তা ও কর্মকর্তার চাঁদা।
* কল্যাণ তহবিল ও গোষ্ঠী বীমা তহবিলে চাঁদা।
* যেকোন তফসিলি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডিপোজিট পেনশন স্কীমে
 বার্ষিক সর্বোচ্চ ৬০,০০০/- টাকা বিনিয়োগ।
* সঞ্চয়পত্র ক্রয়ে বিনিয়োগ।
* বাংলাদেশের ষ্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভূক্ত কোম্পানীর শেয়ার, স্টক,  মিউচ্যুয়াল ফান্ড বা ডিবেঞ্চারে বিনিয়োগ;
* বাংলাদেশ সরকার ট্রেজারী বন্ডে বিনিয়োগ;
* নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ক্রয়ে বিনিয়োগ। এক্ষেত্রে ডেস্কটপ ৫০,০০০/- টাকা এবং ল্যাপটপ ১,০০,০০০/- টাকার যেন বেশি না হয়।
দানঃ
* যাকাত তহবিলে দান।
* জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত কোন দাতব্য হাসপাতালে দান।
* প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে স্থাপিত প্রতিষ্ঠানে দান।

* মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে প্রদত্ত দান।
* আগাঁ খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কে দান।
* আহসানিয়া ক্যান্সার হাসপাতালে দান।
* ICDDRB তে প্রদত্ত দান।
* CRP, সাভার এ প্রদত্ত দান।
* সরকার কর্তৃক অনুমোদিত জনকল্যাণমূলক বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দান।
* এশিয়াটিক সোসাইটি, বাংলাদেশ এ দান।
* ঢাকা আহসানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতালে দান।
* মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার্থে নিয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের কোন প্রতিষ্ঠানে অনুদান;
* জাতির জনকের স্মৃতি রক্ষার্থে নিয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানে অনুদান;

উদাহরণের সাহায্যে অনুমোদনযোগ্য বিনিয়োগ ভাতার পরিমাণ এবং কর রেয়াত কিভাবে পরিগণনা করা হবে তা নিম্নে দেখানো হলোঃ
(১). ধরা যাক, জনাব সালাউদ্দিন একজন সরকারি বেতনভোগী করদাতা। তাঁর বেতন খাত, গৃহ সম্পত্তি ও সঞ্চয়পত্রের সুদ খাতে আয় রয়েছে। ২০১৬-১৭ কর বছরে উক্ত আয়ের পরিমাণ নিম্নরূপ:

আয়ের খাত পরিমাণ ৳
(ক) বেতন খাতে আয় ৭,১৮,২০০
(খ) ব্যাংক সুদ আয় ১,২০,০০০    
নিয়মিত উৎসের আয় ৮,৩৮,২০০   
(গ) সঞ্চয়পত্রের সুদ খাতে আয় (৮২সি ধারায়) ৫০,০০০
(সঞ্চয়পত্রের সুদ হতে ৫% হারে উৎসে কর কর্তনের  ২,৫০০/-)     
মোট আয় ৮,৮৮,২০০

 

জনাব সালাউদ্দিনের রেয়াত পাওয়ার যোগ্য খাতে মোট প্রকৃত বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল নিম্নরূপ:

ক্রম বিনিয়োগ পরিমাণ (৳)
১. ভবিষ্য তহবিবলে আইন, ১৯২৫ অনুযায়ী প্রযোজ্য ভবিষ্য তহবিলে প্রদত্ত চাঁদা ৯৬,০০০
২. কল্যাণ তহবিলে প্রদত্ত চাঁদা এবং গোষ্ঠি বীমা স্কীমের কিস্তি ১,০৮০
৩. নতুন সঞ্চয়পত্র ক্রয় ১,০০,০০০
৪. জীবন বীমার কিস্তি প্রদান ১২,০০০
৫. ষ্টক এক্সচেঞ্জ তালিকাভূক্ত কোম্পানীর শেয়ারে বিনিয়োগ ৫,০০০
৬. মোট প্রকৃত বিনিয়োগ, দান ইত্যাদি ২,১৪,০৮০

 

রেয়াত পূর্ববর্তী করদায় হবে নিম্নরূপ:

মোট আয় করের পরিমাণ (৳)
সঞ্চয়পত্রের সুদ বাদে নিয়মিত উৎসের আয় ৮,৩৮,২০০/- এর উপর প্রযোজ্য আয়কর:  
প্রথম ২,৫০,০০০/- টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর শূন্য
পরবর্তী ৪,০০,০০০/- টাকার উপর ১০% ৪০,০০০
অবশিষ্ট ১,৮৮,২০০/- টাকা আয়ের উপর ১৫% ২৮,২৩০
সঞ্চয়পত্রের সুদ আয়ের জন্য প্রদেয় কর:  
সঞ্চয়পত্রের সুদ আয় ৫০,০০০/- উপর উৎসে কর্তিত কর ২,৫০০
রেয়াত পূর্ববর্তী করদায় ৭০,৭৩০

 

জনাব সালাউদ্দিনের তথ্য অনুযায়ী রেয়াতের জন্য অনুমোদযোগ্য অংক (eligible amount) হবে:

(ক) মোট অনুমোদনযোগ্য বিনিয়োগ, দান ইত্যাদি ২,১৪,০৮০  
(খ) সঞ্চয়পত্রের সুদ ৮২সি ধারার আয় হওয়ায় উক্ত আয় বিনিয়োগ রেয়াতের অনুমোদনযোগ্য সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ পর্যায়ে বিবেচিত হবে না। তাই অনুমোদনযোগ্য অংক বিবেচনার জন্য উক্ত আয় ব্যতীত মোট আয় দাঁড়ায় (৮,৮৮,২০০-৫০,০০০) = ৮,৩৮,২০০/- টাকা যার উপর ২৫% হারে

 

 

২,০৯,৫৫০

(গ)   ১,৫০,০০,০০০
  অনুমোদনযোগ্য অংক (eligible amount) [(ক) বা (খ) বা (গ), এ তিনটির মধ্যে যেটি কম]   ২,০৯,৫৫০

 

 

গৃহ সম্পত্তির আয়

 গৃহ সম্পত্তির আয় (আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ২৪ ও ২৫ ধারা অনুযায়ী):
কোন করদাতা তার বাড়ী আবাসিক বা বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য ভাড়া দিলে, সেই আয় রিটার্ণের গৃহ সম্পত্তির আয়ের ঘরে দেখাবেন। যারা আট পাতার ফরম পূরণ করবেন (আইটি-১১গ) সেই ফরমের সাথে একটি তফসিল (তফসিল-২) দেয়া আছে। আর যারা তিন পাতার ফরম (ITUMA
) ব্যবহার করবেন তারা আলাদা কাগজে দেখাবেন এবং নতুন ফরমে Part-352 নং Colum-Schedule-24B সিলেক্ট করতে হবে এবং উক্ত Schedule এ বাড়ী ভাড়া সংক্রান্ত তথ্যগুলো ইনপুট দিতে হবে।

তফসিল -২ (গৃহ সম্পত্তির আয়)

গৃহ সম্পত্তির
অবস্থান ও বর্ণনা
বিবরণ টাকা টাকা
বাড়ীর অবস্থান
কত তলা উল্লেখ
 করতে হবে
১। ভাড়া বাবদ বার্ষিক আয়।
গৃহ সম্পত্তি ভাড়া দেয়া হলে ১২ মাসের ভাড়া দেখাতে হবে। যদি এক বা একাধিক মাস
বাড়ী খালি থাকে সেক্ষেত্রেও ১২ মাসের ভাড়া দেখাতে হবে। তবে খালি থাকা মাসের
ভাড়া নীচের আরেকটি ঘরে খরচ হিসাবে দাবী করা যাবে।
  ****
 

২। দাবীকৃত ব্যয়সমূহঃ

মেরামত,আদায়, ইত্যাদিঃ
(ক) আবাসিক ব্যবহারের জন্য ভাড়া দেয়া হলে বার্ষিক ভাড়ার উপর ২৫% মেরামত আদায় ইত্যাদি খরচ অনুমোদন যোগ্য।
(খ) বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য ভাড়া দেয়া হলে বার্ষিক ভাড়ার উপর ৩০% খরচ মেরামত , আদায়, ইত্যাদি খরচ অনুমোদনযোগ্য।
এই খরচের জন্য কোন প্রমাণ দাখিলের প্রয়োজন নেই।

****  
  পৌর কর/ ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড কর / স্থানীয় কর ****  
  ভূমি রাজস্ব ****  
  ব্যাংক অথবা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে গৃহীত ঋণের উপর সুদ/ বন্ধকী/ মূলধনী চার্জঃ
সংশ্লিষ্ট গৃহ সম্পত্তি নিমার্ণ বা পুনঃ নির্মাণের জন্য ঋণ গ্রহণ করা হলে উক্ত ঋণের সুদ
****  
  বীমা কিস্তি: সংশ্লিষ্ট গৃহ সম্পত্তির বীমা করা হলে ****  
  গৃহ সম্পত্তি খালি থাকার কারণে দাবিকৃত রেয়াত ****  
  অন্যান্য , যদি থাকে ****  
  মোট =   ****
  ৩। নীট আয়ঃ (ক্রমিক ১ হতে ২ এর বিয়োগফল)   ****

 

আয়ের বিস্তারিত বিবরণী

আয়ের বিস্তারিত বিবরণী সম্বলিত তফসিল-১ (বেতনাদি)
(সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী ব্যতীত)

বেতন ও ভাতাদি আয়ের
পরিমাণ (টাকা)
কর মুক্ত আয়ের পরিমাণ
টাকা
নীট করযোগ্য আয়
(টাকা)
মূল বেতন   করমুক্ত নয় সম্পূর্ণ অংশ করযোগ্য।
মহার্ঘ ভাতা   করমুক্ত নয় সম্পূর্ণ অংশ করযোগ্য।
যাতায়াত ভাতা (নগদে গৃহীত)   ৩০,০০০/- টাকা পর্যন্ত করমুক্ত ৩০,০০০/- টাকা বাদ দিলে
যে অংশ অবশিষ্ট থাকে।
বাড়ী ভাড়া ভাতা (নগদে গৃহীত)   ৩,০০,০০০/-টাকা বা মূল বেতনের
৫০% এর মধ্যে যেটি কম তা করমুক্ত।
অবশিষ্ট অংশ
চিকিৎসা ভাতা   প্রাপ্ত মূল বেতনের ১০% অথবা বার্ষিক
১,২০,০০০/- টাকা, এ দুটির মধ্যে যেটি কম
সে পরিমাণ অংক
- প্রাপ্ত ভাতার অবশিষ্ট অংশ
- প্রতিবন্ধী এমপ্লয়ির ক্ষেত্রে ১০
লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা ভাতা কর মুক্ত আয় হিসেবে গণ্য হবে।
- কোম্পানীর শেয়ার হোল্ডার পরিচালক ব্যতীত অন্য কোন এমপ্লয়ির ক্ষেত্রে হার্ট, কিডনি, চক্ষু, লিভার এবং ক্যান্সার সার্জাারীর জন্য প্রাপ্ত চিকিৎসা খরচ কর মুক্ত হিসেবে বিবেচিত হবে।
পরিচারক ভাতা   করমুক্ত নয় সম্পূর্ণ অংশ
ছুটি ভাতা   করমুক্ত নয় সম্পূর্ণ অংশ
সম্মানী/পুরস্কার/ফি   করমুক্ত নয় সম্পূর্ণ অংশ
ওভারটাইম ভাতা/মহার্ঘভাতা   করমুক্ত নয় সম্পূর্ণ অংশ
উৎসব ভাতা   করমুক্ত নয় সম্পূর্ণ অংশ
স্বীকৃত ভবিষ্যৎ তহবিলে
নিয়োগকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত চাঁদা
  করমুক্ত নয় সম্পূর্ণ অংশ
স্বীকৃত ভবিষ্যত তহবিলে অর্জিত সুদ   মূল বেতনের ১/৩ অংশ পর্যন্ত প্রাপ্ত সুদ
(এখানে বেতন বলতে মূল বেতন এবং
মহার্ঘ ভাতা বুঝাবে) অথবা সরকার কর্তৃক
নির্ধারিত হার ১৪.৫০% এ দুয়ের মধ্যে
যেটি কম
এর অতিরিক্ত করযোগ্য।
যানবাহন সুবিধার জন্য বিবেচিত আয়  

যদি করদাতা ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য নিয়োগকর্তার নিকট থেকে গাড়ী পান তাহলে মূল বেতনের ৫% সরাসরি নীট করয্যোগ্য আয় হবে। অথবা সর্বনিম্ন বার্ষিক ৬০,০০০/- টাকা, দুটির মধ্যে  যেটি বেশি বলে অনুমিত আয় হিসাবে গণ্য হবে।

 

মূল বেতনের ৫%
বা ৬০,০০০/- যেটি বেশি।
বিনামূল্যে বা হ্রাসকৃত ভাড়ায় প্রাপ্ত বাসস্থানের জন্য বিবেচিত আয়  

ক। যদি করদাতা নিয়োগকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত বিনা ভাড়ায় সজ্জিত বা অ-সজ্জিত বাসস্থানে বাস করেন তাহলে সাধারণ ভাবে মূল বেতনের ২৫% করযোগ্য আয় হিসাবে গণ্য হবে।

খ। যদি করদাতা নিয়োগকর্তা থেকে হ্রাসকৃত ভাড়ায় সজ্জিত বা অ-সজ্জিত বাসস্থান প্রাপ্ত হন সেক্ষেত্রে সাধারণভাবে মূল বেতনের ২৫% হতে প্রকৃত পরিশোধিত ভাড়া বাদ দিয়ে পার্থক্য করযোগ্য আয় হিসাবে গণ্য হবে।

মূল বেতনের ২৫%
যোগ হবে।

পার্থক্য করযোগ্য আয় হবে = *
বাদঃ প্রকৃত ভাড়া           =*
খ) মূল বেতনের ২৫%     = *

অন্যান্য, যদি থাকে (বিবরণ দিন)   করদাতা যদি নিয়োগকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত বাসস্থানে দারোয়ান, মালি, বাবুর্চী কিংবা অন্য কোন সুবিধা পেয়ে থাকেন তবে প্রাপ্ত সুবিধার সমপরিমাণ আর্থিক মূল্য করযোগ্য আয় হিসাবে দেখাতে হবে।  
ছুটি নগদায়ন   করমুক্ত নয়। করযোগ্য
পেনশন   করমুক্ত। শূণ্য
গ্র্যাচুইটি   ২.৫ কোটি টাকা পর্যন্ত করমুক্ত। ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার অতিরিক্ত অংক করযোগ্য
Workers Participation Fund   ৫০,০০০/- টাকা পর্যন্ত করমুক্ত। ৫০,০০০/- টাকার অবশিষ্ট অংশ