রপ্তানির দ্বিগুণ আমদানি

শুল্কমুক্ত সুবিধা থাকলেও নিউজিল্যান্ডে তেমন রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডে যা রপ্তানি করে, দেশটি থেকে আমদানি করে তার দ্বিগুণের বেশি। অর্থাৎ বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড বাণিজ্য বাংলাদেশের বিপক্ষে।
সচিবালয়ে গতকাল বুধবার বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত নিউজিল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত গ্রাহাম মার্টনের এক বৈঠকে এ বিষয়টি উঠে এসেছে।
বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রীও বলেন, ‘উভয় দেশের বাণিজ্যে নিউজিল্যান্ড এগিয়ে থাকলেও বাংলাদেশের অনেক ভালো করার সুযোগ রয়েছে। কারণ, দেশটিতে পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাই আমরা।’
গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৭ কোটি ৩৬ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলারের পণ্য নিউজিল্যান্ডে রপ্তানি করেছে। একই বছরে বাংলাদেশ দেশটি থেকে আমদানি করেছে ১৫ কোটি ৪ লাখ ডলারের পণ্য।
নিউজিল্যান্ডে নিট ও ওভেন পোশাক, পাটজাত পণ্য, তামাক, শুকনো খাদ্য ও সিরামিক পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ। দেশটি থেকে আমদানি হয় কেমিক্যাল পণ্য, প্লাস্টিক, চিকিৎসাসামগ্রী, গুঁড়া দুধ ইত্যাদি।
দেশটিতে বাংলাদেশি ওষুধ ও চামড়াজাত পণ্যের বাজার রয়েছে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
জানা গেছে, রপ্তানি বাড়াতে নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশি পণ্যের মেলা আয়োজনের সুপারিশ করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের ৯২১ কোটি পাকিস্তানি রুপি (৬৯২ কোটি টাকা) দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বরং বাংলাদেশ যে পাকিস্তানের কাছে টাকা পায়, তা ফেরত না দিতেই এমন উল্টো দাবি করছে দেশটি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের আগে বাংলাদেশ পাট রপ্তানি করে যে আয় করত, তা তারা নিয়ে যেত। তা ছাড়া একাত্তরে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছে। আমরা ক্ষতিপূরণ দাবি করায় তারা তা না দেওয়ার জন্য বরং উল্টো টাকা দাবি করছে।’
বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের ৯২১ কোটি রুপি পাওনা রয়েছে এবং পাকিস্তান তা ফেরত চায় বলে পাকিস্তানি গণমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এর সূত্র ধরেই বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন করা হয়।

তথ্যসূত্র : প্রথমআলো

About Author

Profile Picture

Md. Jahangir Alam

Leave a Comment