হস্তশিল্প রপ্তানি কমার শঙ্কা

হস্তশিল্পপণ্য রপ্তানি করে প্রথমবার এক কোটি ডলার আয় করেছে দেশের উদ্যোক্তারা। সদ্য বিদায়ী ২০১৫-১৬ অর্থবছরের এই সাফল্যের পর চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ৪৩ লাখ ডলারের হস্তশিল্প রপ্তানি হয়। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৫৬ শতাংশ বেশি।
সংশ্লিষ্ট খাতের একাধিক ব্যবসায়ী বলছেন, চার বছর ধরে হস্তশিল্পপণ্যের রপ্তানি বাড়ছে। তবে এটি আবার থমকে যেতে পারে। কারণ হলো, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, চীন, ভারতের মতো দেশের সঙ্গে হস্তশিল্পপণ্য রপ্তানিতে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে সরকার এত দিন প্রায় ২০ শতাংশ নগদ সহায়তা দিয়েছে। সম্প্রতি সেটি ৫ শতাংশ কমানো হয়েছে। এর ফলে প্রতিযোগী দেশের চেয়ে বাংলাদেশের পণ্যের দাম বাড়বে, রপ্তানি কমবে—এমন আশঙ্কা তাদের।
অর্থ মন্ত্রণালয় গত ২৩ আগস্ট চলতি অর্থবছরের জন্য বিভিন্ন খাতের নগদ সহায়তার পরিবর্তিত হার প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, হোগলা, খড়, আখের ছোবড়া ইত্যাদি দিয়ে তৈরি হস্তশিল্পপণ্য রপ্তানিতে নগদ সহায়তা ২০ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার জন্য বাংলাদেশ হস্তশিল্প প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বাংলাক্রাফট) অর্থমন্ত্রীর কাছে গত মাসে একটি লিখিত আবেদন দিয়েছে।
জানতে চাইলে সমিতির সভাপতি আশরাফুর রহমান গতকাল বৃহস্পতিবার বলেন, ‘আমরা যেসব হস্তশিল্পপণ্য উৎপাদন করি, তাতে মূল্য সংযোজনের পরিমাণ প্রায় শতভাগ। দেশের ঐতিহ্য সংস্কৃতির বাহক সম্ভাবনাময় এই খাত টিকিয়ে রাখতে হলে নগদ সহায়তার পরিমাণ বাড়াতেই হবে।’
আশরাফুর রহমানআরও বলেন, ‘সব ধরনের কাঁচামালের দাম প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে গেছে। সরকার নগদ সহায়তা কমিয়ে দিল ৫ শতাংশ। এভাবে তো রপ্তানি বাড়ানো সম্ভব না।’

তথ্যসূত্র : প্রথমআলো

About Author

Profile Picture

Md. Jahangir Alam

Leave a Comment