Largest and fastest growing business Portals
Tweet
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, অনেকের কর দেওয়ার সামর্থ্য থাকলেও তাদের মধ্যে সেই মানসিকতা নেই। কিন্তু দেশ উন্নত করতে গেলে ভ্যাট অনেক জরুরি। এজন্য ভ্যাট দেওয়ার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। ভ্যাট দিতে ব্যবসায়ীদেরকে উৎসাহিত করতে হবে। ভ্যাটের পরিমাণ যত বাড়বে জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের বাজেটও তত বাড়বে।
আজ সোমবার নগরীর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তত্ত্বাবধানে এবং কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট চট্টগ্রামের উদ্যোগে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ বাস্তবায়নের লক্ষে এ সেমিনার আয়োজিত হয়।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কর আপীল আদালত চট্টগ্রামের কমিশনার মাহবুব হোসেন।
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমদ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ড্যাট্রিসের সভাপতি, কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট চট্টগ্রামের কমিশনার সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, শিগগির নতুন আইন বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। এটা বাস্তবায়ন হলে ব্যবসায়ীদের হয়রানি কমবে। এ আইন ব্যবসায়ীবান্ধব হবে বলে আশা রাখি।
সেমিনারে চট্টগ্রাম চেম্বারের সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমদ বলেন, অনেক সময় দেখায় ফাঁক ফোকর দিয়ে বড় বড় প্রতিষ্টান ভ্যাটের আওতায় আসে না। আবার চায়ের দোকানদারকেও অনেক সময় মূল্যরশিদ না থাকার কারণে জরিমানা গুণতে হয়। এই পার্থক্য থাকার কারণে ভ্যাট দেয়ার ক্ষেত্রে ভয় কাজ করছে। এই পার্থক্য দূর করতে হবে। ব্যবসায়ী ও ভ্যাট আদায়কারীদের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি করতে হবে। তাহলে ভ্যাট অনলাইন আইন বাস্তবায়ন সহজ হবে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি ও কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বলেন, একটি দেশকে এগিয়ে নিতে এনবিআরকে আরও শক্তিশালী ভুমিকা পালন করতে হবে। নতুন আইন যাতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ সকল ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে বাস্তবায়ন করা হয়। যাতে করে অনলাইন ভ্যাট পদ্ধতি সবার কাছে সহজতর মনে হয় সে ব্যবস্থার দিকে নজর দেয়া উচিত।
তথ্যসূত্র : অর্থসূচক
Leave a Comment