পুঁজিবাজার উন্নয়নে কাজ করবে ডিএসই-বিএমবিএ

Picture

পুঁজিবাজারের উন্নয়নে একত্রে কাজ করতে চায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)। আজ মঙ্গলবার বিএমবিএর নবনির্বাচিত কমিটির ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে এমন আশ্বাস দেন ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডিএসই চেয়ারম্যান বিচারপতি সিদ্দিকুর রহমান মিয়া, ব্যাবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ড. স্বপন কুমার বালা, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, ডিএসইর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিএমবিএর নব নির্বাচিত কমিটির সদস্যরা।

বৈঠক শেষে বিএমবিএর সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান অর্থসূচককে জানান, আজ বিকেল ৫টায় ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ ও উর্ধ্বতন কর্মকতাদের সঙ্গে বিএমবিএর নবনির্বাচিত কমিটির সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে। এসময় ডিএসই পরিচালনা পর্ষদ পুঁজিবাজার উন্নয়নে বিএমবিএর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার আশ্বাস দিয়েছে।

তিনি বলেন, যার যার অবস্থান থেকে পুঁজিবাজার উন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। যদি কাজগুলো সবাই মিলে একত্রে করতে পারি তাহলে এটার ফল পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক কিছুু বয়ে আনবে; চাঙ্গা হবে বাজার। 

এর আগে গত বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে বৈঠকে বসে নতুন কমিটি। সেখানেও গভর্নর একটি শক্তিশালী পুঁজিবাজার গঠনে যৌথভাবে কাজ করার আশ্বাস দেন।

তথ্যসূত্র : অর্থসূচক

সারা দেশে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য এসএমই উদ্যোক্তা। যাদের পরিকল্পনা থাকলেও বাস্তবায়নে সক্ষমতা নেই। পুঁজি সংকটে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে জোটে না ন্যূনতম সহযোগিতা। নেই প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তিগত সুবিধা ও বাজারজাতকরণের সুব্যবস্থা। এমএসই খাতের এসব উদ্যোক্তাকে সহজ সেবা দিতে ২০০৬ সালে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এসএমইএসডিপি (স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ অব সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট) প্রকল্পের শাখা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গঠন করা হয় এমএসই ফাউন্ডেশন।

এমএসই খাতের উদ্যোক্তাদের আশা জাগিয়ে ১০ বছর আগে যে প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়, তা আজ স্থবির একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। অভিযোগ পাওয়া যায় বোর্ড সভায় ১৬ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। এসএমই ফাউন্ডেশনের বর্তমান চেয়ারপারসন এককভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন।

২০১৪ সালের ২১ মে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন হিসেবে নিযুক্ত হন সাবেক উপসচিব কে এম হাবিব উল্লাহ। অভিযোগ পাওয়া যায়, চেয়ারপারসন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই এসএমই ফাউন্ডেশনের নির্ধারিত পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন না নিয়েই এককভাবে অনেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন তিনি। নিজের মেয়েকে এসএমই ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দেন। অন্যদিকে ব্যক্তিগত সহকারীকে প্রশাসন, লজিস্টিক ও তহবিল ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেন। পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনের জন্য চেয়ারপারসনের বেশির ভাগ সিদ্ধান্ত বোর্ড সভায় উপস্থাপনই করা হয় না।

এসএমই ফাউন্ডেশন এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে যে লক্ষ্যে কাজ করার কথা ছিল তা বর্তমানে বাস্তবায়ন হচ্ছে না বললেই চলে। নিয়মিত মেলা আয়োজন, প্রকাশনা, দেশব্যাপী এসএমই উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম প্রায় বন্ধ রয়েছে। সম্প্রতি এসএমই ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের মধ্যে ছাঁটাই আতঙ্ক বিরাজ করছে। এতে স্বাভাবিক কাজের গতি নষ্ট হচ্ছে। আবার চেয়ারপারসনের সঙ্গে পরিচালনা পর্ষদের অনেক সদস্যের দূরত্বের কারণে এসএমই খাতের উন্নয়নমূলক নতুন নতুন কার্যক্রম গ্রহণ একরকম বন্ধ রয়েছে। এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এসএমই উদ্যোক্তারা। এসএমই ফাউন্ডেশন এখন আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় মুখ থুবড়ে পড়েছে।

২০১৫ সালের ২০ আগস্ট এসএমই ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত অবস্থায় মুজিবুর রহমান ও উপমহাব্যবস্থাপক এস এম নূরুল আলমকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে অব্যাহতিপত্রে উল্লেখ করা হলেও ২০ আগস্টের পর্ষদ সভায় এ বিষয়ে কোনো আলোচনা বা সিদ্ধান্ত হয়নি।

পরিচালনা পর্ষদের অনুমতি না নিয়ে কী কারণে এ দুই কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে ৬ সেপ্টেম্বর ফাউন্ডেশনের ৮৭তম পর্ষদ সভায় এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদকে আহ্বায়ক করে ‘কর্মকর্তাদের অব্যাহতিবিষয়ক গঠিত তদন্ত উপকমিটি’ গঠন করা হয়। এ কমিটিতে এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের আরো চার সদস্য এস এ সুর চৌধূরী, আব্দুল মতিন, সেলিমা আহমদ ও মির্জা নূরুল গনি শোভনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তদন্ত কমিটির দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন না নিয়েই কোনো রকম সতর্কীকরণ ছাড়াই রাত ১২টায় তড়িঘড়ি করে দুই কর্মকর্তাকে অব্যাহতিপত্র দেওয়া হয়েছে। দুই কর্মকর্তার অব্যাহতি প্রদানের কারণগুলো সরাসরি অব্যাহতি প্রদানের জন্য গ্রহণযোগ্য নয় এবং ফাউন্ডেশনের চাকরি বিধিমালার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। অব্যাহতিপত্র প্রত্যাহার করে ওই দুই কর্মকর্তাকে স্বপদে পুনর্বহালের জন্য এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের কাছে সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি।

অব্যাহতি পাওয়া দুই কর্মকর্তা পরিচালনা পর্ষদের কাছে লিখিত বক্তব্যে দাবি করেন, সম্পূর্ণ অসাংবিধানিকভাবে তাঁদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা এমএসই ফাউন্ডেশনের চাকরি বিধিমালা ৭.৪.০, ৭.৫.০, ৭.১২.০, ৭.১৫.০ ধারার পরিপন্থী। তদন্ত কমিটির সুপারিশ নিয়ে ১১ জানুয়ারি পরিচালনা পর্ষদের সভায় উপস্থিত বেশির ভাগ পর্ষদ সদস্য তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী অব্যাহতি পাওয়া দুই কর্মকর্তাকে স্বপদে ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ নিতে বলে। তবে এ বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেন চেয়ারপারসন। এ বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভা শেষ হয়।

এ বিষয়ে পর্ষদের সদস্য ও নাসিব সভাপতি মির্জা নূরুল গনি শোভন কালের কণ্ঠকে বলেন, বর্তমানে এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, যা এসএসমই ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্রবহির্ভূত। তিনি আরো বলেন, ‘এসএসমই ফাউন্ডেশন গঠনের শুরু থেকেই আমি আছি। সম্প্রতি চেয়ারপারসনের একক সিদ্ধান্তে দুজন কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা এসএমই ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্রবহির্ভূত। তদন্ত কমিটি তথ্য-প্রমাণ নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এখানে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এসএমই পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সিদ্ধান্ত মূল্যায়ন করা না হলে আমরা অন্য সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হব। আমরা সবাই এসএমই খাতের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। এসএমই ফাউন্ডেশনকে কার্যকরী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চাই।’

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন কে এম হাবিব উল্লাহ এবং তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী মাসুম বিল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। চেয়ারপারসন বলেন, আর্থিক অনিয়ম এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের চাকরি বিধিমালা অমান্য করায় দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন না নিয়ে অব্যাহতি দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসএমই ফাউন্ডেশনের নীতিমালা অনুযায়ী কাউকে অব্যাহতি দিতে হলে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন হয় না।

এসএমই ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা হিসেবে নিজের মেয়েকে নিয়োগ দেওয়া বিষয়ে চেয়ারপারসন বলেন, ‘আমার মেয়ে বর্তমানে লন্ডনের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাকে এসএমই ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা হিসেবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করতে অনুরোধ করা হলে সে বিনা বেতনে বা ভাতায় কাজ করতে রাজি হয়।’

মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘বর্তমান চেয়ারপারসন এসএমই ফাউন্ডেশনে যোগদানের আগে থেকেই আমি বর্তমান পদে আছি। তাই চেয়ারপারসন এসে আমাকে এসব পদ-পদবি দিয়েছেন তা সঠিক নয়।’

- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/industry-business/2016/02/10/323127#sthash.fN5AhwQO.dpuf

সারা দেশে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য এসএমই উদ্যোক্তা। যাদের পরিকল্পনা থাকলেও বাস্তবায়নে সক্ষমতা নেই। পুঁজি সংকটে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে জোটে না ন্যূনতম সহযোগিতা। নেই প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তিগত সুবিধা ও বাজারজাতকরণের সুব্যবস্থা। এমএসই খাতের এসব উদ্যোক্তাকে সহজ সেবা দিতে ২০০৬ সালে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এসএমইএসডিপি (স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ অব সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট) প্রকল্পের শাখা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গঠন করা হয় এমএসই ফাউন্ডেশন।

এমএসই খাতের উদ্যোক্তাদের আশা জাগিয়ে ১০ বছর আগে যে প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়, তা আজ স্থবির একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। অভিযোগ পাওয়া যায় বোর্ড সভায় ১৬ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। এসএমই ফাউন্ডেশনের বর্তমান চেয়ারপারসন এককভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন।

২০১৪ সালের ২১ মে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন হিসেবে নিযুক্ত হন সাবেক উপসচিব কে এম হাবিব উল্লাহ। অভিযোগ পাওয়া যায়, চেয়ারপারসন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই এসএমই ফাউন্ডেশনের নির্ধারিত পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন না নিয়েই এককভাবে অনেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন তিনি। নিজের মেয়েকে এসএমই ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দেন। অন্যদিকে ব্যক্তিগত সহকারীকে প্রশাসন, লজিস্টিক ও তহবিল ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেন। পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনের জন্য চেয়ারপারসনের বেশির ভাগ সিদ্ধান্ত বোর্ড সভায় উপস্থাপনই করা হয় না।

এসএমই ফাউন্ডেশন এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে যে লক্ষ্যে কাজ করার কথা ছিল তা বর্তমানে বাস্তবায়ন হচ্ছে না বললেই চলে। নিয়মিত মেলা আয়োজন, প্রকাশনা, দেশব্যাপী এসএমই উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম প্রায় বন্ধ রয়েছে। সম্প্রতি এসএমই ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের মধ্যে ছাঁটাই আতঙ্ক বিরাজ করছে। এতে স্বাভাবিক কাজের গতি নষ্ট হচ্ছে। আবার চেয়ারপারসনের সঙ্গে পরিচালনা পর্ষদের অনেক সদস্যের দূরত্বের কারণে এসএমই খাতের উন্নয়নমূলক নতুন নতুন কার্যক্রম গ্রহণ একরকম বন্ধ রয়েছে। এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এসএমই উদ্যোক্তারা। এসএমই ফাউন্ডেশন এখন আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় মুখ থুবড়ে পড়েছে।

২০১৫ সালের ২০ আগস্ট এসএমই ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত অবস্থায় মুজিবুর রহমান ও উপমহাব্যবস্থাপক এস এম নূরুল আলমকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে অব্যাহতিপত্রে উল্লেখ করা হলেও ২০ আগস্টের পর্ষদ সভায় এ বিষয়ে কোনো আলোচনা বা সিদ্ধান্ত হয়নি।

পরিচালনা পর্ষদের অনুমতি না নিয়ে কী কারণে এ দুই কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে ৬ সেপ্টেম্বর ফাউন্ডেশনের ৮৭তম পর্ষদ সভায় এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদকে আহ্বায়ক করে ‘কর্মকর্তাদের অব্যাহতিবিষয়ক গঠিত তদন্ত উপকমিটি’ গঠন করা হয়। এ কমিটিতে এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের আরো চার সদস্য এস এ সুর চৌধূরী, আব্দুল মতিন, সেলিমা আহমদ ও মির্জা নূরুল গনি শোভনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তদন্ত কমিটির দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন না নিয়েই কোনো রকম সতর্কীকরণ ছাড়াই রাত ১২টায় তড়িঘড়ি করে দুই কর্মকর্তাকে অব্যাহতিপত্র দেওয়া হয়েছে। দুই কর্মকর্তার অব্যাহতি প্রদানের কারণগুলো সরাসরি অব্যাহতি প্রদানের জন্য গ্রহণযোগ্য নয় এবং ফাউন্ডেশনের চাকরি বিধিমালার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। অব্যাহতিপত্র প্রত্যাহার করে ওই দুই কর্মকর্তাকে স্বপদে পুনর্বহালের জন্য এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের কাছে সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি।

অব্যাহতি পাওয়া দুই কর্মকর্তা পরিচালনা পর্ষদের কাছে লিখিত বক্তব্যে দাবি করেন, সম্পূর্ণ অসাংবিধানিকভাবে তাঁদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা এমএসই ফাউন্ডেশনের চাকরি বিধিমালা ৭.৪.০, ৭.৫.০, ৭.১২.০, ৭.১৫.০ ধারার পরিপন্থী। তদন্ত কমিটির সুপারিশ নিয়ে ১১ জানুয়ারি পরিচালনা পর্ষদের সভায় উপস্থিত বেশির ভাগ পর্ষদ সদস্য তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী অব্যাহতি পাওয়া দুই কর্মকর্তাকে স্বপদে ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ নিতে বলে। তবে এ বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেন চেয়ারপারসন। এ বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভা শেষ হয়।

এ বিষয়ে পর্ষদের সদস্য ও নাসিব সভাপতি মির্জা নূরুল গনি শোভন কালের কণ্ঠকে বলেন, বর্তমানে এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, যা এসএসমই ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্রবহির্ভূত। তিনি আরো বলেন, ‘এসএসমই ফাউন্ডেশন গঠনের শুরু থেকেই আমি আছি। সম্প্রতি চেয়ারপারসনের একক সিদ্ধান্তে দুজন কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা এসএমই ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্রবহির্ভূত। তদন্ত কমিটি তথ্য-প্রমাণ নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এখানে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এসএমই পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সিদ্ধান্ত মূল্যায়ন করা না হলে আমরা অন্য সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হব। আমরা সবাই এসএমই খাতের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। এসএমই ফাউন্ডেশনকে কার্যকরী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চাই।’

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন কে এম হাবিব উল্লাহ এবং তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী মাসুম বিল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। চেয়ারপারসন বলেন, আর্থিক অনিয়ম এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের চাকরি বিধিমালা অমান্য করায় দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন না নিয়ে অব্যাহতি দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসএমই ফাউন্ডেশনের নীতিমালা অনুযায়ী কাউকে অব্যাহতি দিতে হলে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন হয় না।

এসএমই ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা হিসেবে নিজের মেয়েকে নিয়োগ দেওয়া বিষয়ে চেয়ারপারসন বলেন, ‘আমার মেয়ে বর্তমানে লন্ডনের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাকে এসএমই ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা হিসেবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করতে অনুরোধ করা হলে সে বিনা বেতনে বা ভাতায় কাজ করতে রাজি হয়।’

মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘বর্তমান চেয়ারপারসন এসএমই ফাউন্ডেশনে যোগদানের আগে থেকেই আমি বর্তমান পদে আছি। তাই চেয়ারপারসন এসে আমাকে এসব পদ-পদবি দিয়েছেন তা সঠিক নয়।’

- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/industry-business/2016/02/10/323127#sthash.fN5AhwQO.dpuf

সারা দেশে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য এসএমই উদ্যোক্তা। যাদের পরিকল্পনা থাকলেও বাস্তবায়নে সক্ষমতা নেই। পুঁজি সংকটে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে জোটে না ন্যূনতম সহযোগিতা। নেই প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তিগত সুবিধা ও বাজারজাতকরণের সুব্যবস্থা। এমএসই খাতের এসব উদ্যোক্তাকে সহজ সেবা দিতে ২০০৬ সালে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এসএমইএসডিপি (স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ অব সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট) প্রকল্পের শাখা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গঠন করা হয় এমএসই ফাউন্ডেশন।

এমএসই খাতের উদ্যোক্তাদের আশা জাগিয়ে ১০ বছর আগে যে প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়, তা আজ স্থবির একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। অভিযোগ পাওয়া যায় বোর্ড সভায় ১৬ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। এসএমই ফাউন্ডেশনের বর্তমান চেয়ারপারসন এককভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন।

২০১৪ সালের ২১ মে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন হিসেবে নিযুক্ত হন সাবেক উপসচিব কে এম হাবিব উল্লাহ। অভিযোগ পাওয়া যায়, চেয়ারপারসন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই এসএমই ফাউন্ডেশনের নির্ধারিত পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন না নিয়েই এককভাবে অনেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন তিনি। নিজের মেয়েকে এসএমই ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দেন। অন্যদিকে ব্যক্তিগত সহকারীকে প্রশাসন, লজিস্টিক ও তহবিল ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেন। পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনের জন্য চেয়ারপারসনের বেশির ভাগ সিদ্ধান্ত বোর্ড সভায় উপস্থাপনই করা হয় না।

এসএমই ফাউন্ডেশন এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে যে লক্ষ্যে কাজ করার কথা ছিল তা বর্তমানে বাস্তবায়ন হচ্ছে না বললেই চলে। নিয়মিত মেলা আয়োজন, প্রকাশনা, দেশব্যাপী এসএমই উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম প্রায় বন্ধ রয়েছে। সম্প্রতি এসএমই ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের মধ্যে ছাঁটাই আতঙ্ক বিরাজ করছে। এতে স্বাভাবিক কাজের গতি নষ্ট হচ্ছে। আবার চেয়ারপারসনের সঙ্গে পরিচালনা পর্ষদের অনেক সদস্যের দূরত্বের কারণে এসএমই খাতের উন্নয়নমূলক নতুন নতুন কার্যক্রম গ্রহণ একরকম বন্ধ রয়েছে। এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এসএমই উদ্যোক্তারা। এসএমই ফাউন্ডেশন এখন আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় মুখ থুবড়ে পড়েছে।

২০১৫ সালের ২০ আগস্ট এসএমই ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত অবস্থায় মুজিবুর রহমান ও উপমহাব্যবস্থাপক এস এম নূরুল আলমকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে অব্যাহতিপত্রে উল্লেখ করা হলেও ২০ আগস্টের পর্ষদ সভায় এ বিষয়ে কোনো আলোচনা বা সিদ্ধান্ত হয়নি।

পরিচালনা পর্ষদের অনুমতি না নিয়ে কী কারণে এ দুই কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে ৬ সেপ্টেম্বর ফাউন্ডেশনের ৮৭তম পর্ষদ সভায় এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদকে আহ্বায়ক করে ‘কর্মকর্তাদের অব্যাহতিবিষয়ক গঠিত তদন্ত উপকমিটি’ গঠন করা হয়। এ কমিটিতে এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের আরো চার সদস্য এস এ সুর চৌধূরী, আব্দুল মতিন, সেলিমা আহমদ ও মির্জা নূরুল গনি শোভনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তদন্ত কমিটির দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন না নিয়েই কোনো রকম সতর্কীকরণ ছাড়াই রাত ১২টায় তড়িঘড়ি করে দুই কর্মকর্তাকে অব্যাহতিপত্র দেওয়া হয়েছে। দুই কর্মকর্তার অব্যাহতি প্রদানের কারণগুলো সরাসরি অব্যাহতি প্রদানের জন্য গ্রহণযোগ্য নয় এবং ফাউন্ডেশনের চাকরি বিধিমালার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। অব্যাহতিপত্র প্রত্যাহার করে ওই দুই কর্মকর্তাকে স্বপদে পুনর্বহালের জন্য এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের কাছে সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি।

অব্যাহতি পাওয়া দুই কর্মকর্তা পরিচালনা পর্ষদের কাছে লিখিত বক্তব্যে দাবি করেন, সম্পূর্ণ অসাংবিধানিকভাবে তাঁদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা এমএসই ফাউন্ডেশনের চাকরি বিধিমালা ৭.৪.০, ৭.৫.০, ৭.১২.০, ৭.১৫.০ ধারার পরিপন্থী। তদন্ত কমিটির সুপারিশ নিয়ে ১১ জানুয়ারি পরিচালনা পর্ষদের সভায় উপস্থিত বেশির ভাগ পর্ষদ সদস্য তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী অব্যাহতি পাওয়া দুই কর্মকর্তাকে স্বপদে ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ নিতে বলে। তবে এ বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেন চেয়ারপারসন। এ বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভা শেষ হয়।

এ বিষয়ে পর্ষদের সদস্য ও নাসিব সভাপতি মির্জা নূরুল গনি শোভন কালের কণ্ঠকে বলেন, বর্তমানে এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, যা এসএসমই ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্রবহির্ভূত। তিনি আরো বলেন, ‘এসএসমই ফাউন্ডেশন গঠনের শুরু থেকেই আমি আছি। সম্প্রতি চেয়ারপারসনের একক সিদ্ধান্তে দুজন কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা এসএমই ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্রবহির্ভূত। তদন্ত কমিটি তথ্য-প্রমাণ নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এখানে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এসএমই পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সিদ্ধান্ত মূল্যায়ন করা না হলে আমরা অন্য সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হব। আমরা সবাই এসএমই খাতের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। এসএমই ফাউন্ডেশনকে কার্যকরী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চাই।’

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন কে এম হাবিব উল্লাহ এবং তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী মাসুম বিল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। চেয়ারপারসন বলেন, আর্থিক অনিয়ম এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের চাকরি বিধিমালা অমান্য করায় দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন না নিয়ে অব্যাহতি দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসএমই ফাউন্ডেশনের নীতিমালা অনুযায়ী কাউকে অব্যাহতি দিতে হলে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন হয় না।

এসএমই ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা হিসেবে নিজের মেয়েকে নিয়োগ দেওয়া বিষয়ে চেয়ারপারসন বলেন, ‘আমার মেয়ে বর্তমানে লন্ডনের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাকে এসএমই ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা হিসেবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করতে অনুরোধ করা হলে সে বিনা বেতনে বা ভাতায় কাজ করতে রাজি হয়।’

মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘বর্তমান চেয়ারপারসন এসএমই ফাউন্ডেশনে যোগদানের আগে থেকেই আমি বর্তমান পদে আছি। তাই চেয়ারপারসন এসে আমাকে এসব পদ-পদবি দিয়েছেন তা সঠিক নয়।’

- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/industry-business/2016/02/10/323127#sthash.fN5AhwQO.dpuf

সারা দেশে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য এসএমই উদ্যোক্তা। যাদের পরিকল্পনা থাকলেও বাস্তবায়নে সক্ষমতা নেই। পুঁজি সংকটে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে জোটে না ন্যূনতম সহযোগিতা। নেই প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তিগত সুবিধা ও বাজারজাতকরণের সুব্যবস্থা। এমএসই খাতের এসব উদ্যোক্তাকে সহজ সেবা দিতে ২০০৬ সালে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এসএমইএসডিপি (স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ অব সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট) প্রকল্পের শাখা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গঠন করা হয় এমএসই ফাউন্ডেশন।

এমএসই খাতের উদ্যোক্তাদের আশা জাগিয়ে ১০ বছর আগে যে প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়, তা আজ স্থবির একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। অভিযোগ পাওয়া যায় বোর্ড সভায় ১৬ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। এসএমই ফাউন্ডেশনের বর্তমান চেয়ারপারসন এককভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন।

২০১৪ সালের ২১ মে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন হিসেবে নিযুক্ত হন সাবেক উপসচিব কে এম হাবিব উল্লাহ। অভিযোগ পাওয়া যায়, চেয়ারপারসন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই এসএমই ফাউন্ডেশনের নির্ধারিত পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন না নিয়েই এককভাবে অনেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন তিনি। নিজের মেয়েকে এসএমই ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দেন। অন্যদিকে ব্যক্তিগত সহকারীকে প্রশাসন, লজিস্টিক ও তহবিল ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেন। পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনের জন্য চেয়ারপারসনের বেশির ভাগ সিদ্ধান্ত বোর্ড সভায় উপস্থাপনই করা হয় না।

এসএমই ফাউন্ডেশন এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে যে লক্ষ্যে কাজ করার কথা ছিল তা বর্তমানে বাস্তবায়ন হচ্ছে না বললেই চলে। নিয়মিত মেলা আয়োজন, প্রকাশনা, দেশব্যাপী এসএমই উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম প্রায় বন্ধ রয়েছে। সম্প্রতি এসএমই ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের মধ্যে ছাঁটাই আতঙ্ক বিরাজ করছে। এতে স্বাভাবিক কাজের গতি নষ্ট হচ্ছে। আবার চেয়ারপারসনের সঙ্গে পরিচালনা পর্ষদের অনেক সদস্যের দূরত্বের কারণে এসএমই খাতের উন্নয়নমূলক নতুন নতুন কার্যক্রম গ্রহণ একরকম বন্ধ রয়েছে। এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এসএমই উদ্যোক্তারা। এসএমই ফাউন্ডেশন এখন আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় মুখ থুবড়ে পড়েছে।

২০১৫ সালের ২০ আগস্ট এসএমই ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত অবস্থায় মুজিবুর রহমান ও উপমহাব্যবস্থাপক এস এম নূরুল আলমকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে অব্যাহতিপত্রে উল্লেখ করা হলেও ২০ আগস্টের পর্ষদ সভায় এ বিষয়ে কোনো আলোচনা বা সিদ্ধান্ত হয়নি।

পরিচালনা পর্ষদের অনুমতি না নিয়ে কী কারণে এ দুই কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে ৬ সেপ্টেম্বর ফাউন্ডেশনের ৮৭তম পর্ষদ সভায় এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদকে আহ্বায়ক করে ‘কর্মকর্তাদের অব্যাহতিবিষয়ক গঠিত তদন্ত উপকমিটি’ গঠন করা হয়। এ কমিটিতে এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের আরো চার সদস্য এস এ সুর চৌধূরী, আব্দুল মতিন, সেলিমা আহমদ ও মির্জা নূরুল গনি শোভনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তদন্ত কমিটির দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন না নিয়েই কোনো রকম সতর্কীকরণ ছাড়াই রাত ১২টায় তড়িঘড়ি করে দুই কর্মকর্তাকে অব্যাহতিপত্র দেওয়া হয়েছে। দুই কর্মকর্তার অব্যাহতি প্রদানের কারণগুলো সরাসরি অব্যাহতি প্রদানের জন্য গ্রহণযোগ্য নয় এবং ফাউন্ডেশনের চাকরি বিধিমালার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। অব্যাহতিপত্র প্রত্যাহার করে ওই দুই কর্মকর্তাকে স্বপদে পুনর্বহালের জন্য এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের কাছে সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি।

অব্যাহতি পাওয়া দুই কর্মকর্তা পরিচালনা পর্ষদের কাছে লিখিত বক্তব্যে দাবি করেন, সম্পূর্ণ অসাংবিধানিকভাবে তাঁদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা এমএসই ফাউন্ডেশনের চাকরি বিধিমালা ৭.৪.০, ৭.৫.০, ৭.১২.০, ৭.১৫.০ ধারার পরিপন্থী। তদন্ত কমিটির সুপারিশ নিয়ে ১১ জানুয়ারি পরিচালনা পর্ষদের সভায় উপস্থিত বেশির ভাগ পর্ষদ সদস্য তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী অব্যাহতি পাওয়া দুই কর্মকর্তাকে স্বপদে ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ নিতে বলে। তবে এ বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেন চেয়ারপারসন। এ বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভা শেষ হয়।

এ বিষয়ে পর্ষদের সদস্য ও নাসিব সভাপতি মির্জা নূরুল গনি শোভন কালের কণ্ঠকে বলেন, বর্তমানে এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, যা এসএসমই ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্রবহির্ভূত। তিনি আরো বলেন, ‘এসএসমই ফাউন্ডেশন গঠনের শুরু থেকেই আমি আছি। সম্প্রতি চেয়ারপারসনের একক সিদ্ধান্তে দুজন কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা এসএমই ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্রবহির্ভূত। তদন্ত কমিটি তথ্য-প্রমাণ নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এখানে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এসএমই পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সিদ্ধান্ত মূল্যায়ন করা না হলে আমরা অন্য সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হব। আমরা সবাই এসএমই খাতের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। এসএমই ফাউন্ডেশনকে কার্যকরী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চাই।’

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন কে এম হাবিব উল্লাহ এবং তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী মাসুম বিল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। চেয়ারপারসন বলেন, আর্থিক অনিয়ম এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের চাকরি বিধিমালা অমান্য করায় দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন না নিয়ে অব্যাহতি দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসএমই ফাউন্ডেশনের নীতিমালা অনুযায়ী কাউকে অব্যাহতি দিতে হলে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন হয় না।

এসএমই ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা হিসেবে নিজের মেয়েকে নিয়োগ দেওয়া বিষয়ে চেয়ারপারসন বলেন, ‘আমার মেয়ে বর্তমানে লন্ডনের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাকে এসএমই ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা হিসেবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করতে অনুরোধ করা হলে সে বিনা বেতনে বা ভাতায় কাজ করতে রাজি হয়।’

মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘বর্তমান চেয়ারপারসন এসএমই ফাউন্ডেশনে যোগদানের আগে থেকেই আমি বর্তমান পদে আছি। তাই চেয়ারপারসন এসে আমাকে এসব পদ-পদবি দিয়েছেন তা সঠিক নয়।’

- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/industry-business/2016/02/10/323127#sthash.fN5AhwQO.dpuf

সারা দেশে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য এসএমই উদ্যোক্তা। যাদের পরিকল্পনা থাকলেও বাস্তবায়নে সক্ষমতা নেই। পুঁজি সংকটে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে জোটে না ন্যূনতম সহযোগিতা। নেই প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তিগত সুবিধা ও বাজারজাতকরণের সুব্যবস্থা। এমএসই খাতের এসব উদ্যোক্তাকে সহজ সেবা দিতে ২০০৬ সালে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এসএমইএসডিপি (স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ অব সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট) প্রকল্পের শাখা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গঠন করা হয় এমএসই ফাউন্ডেশন।

এমএসই খাতের উদ্যোক্তাদের আশা জাগিয়ে ১০ বছর আগে যে প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়, তা আজ স্থবির একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। অভিযোগ পাওয়া যায় বোর্ড সভায় ১৬ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। এসএমই ফাউন্ডেশনের বর্তমান চেয়ারপারসন এককভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন।

২০১৪ সালের ২১ মে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন হিসেবে নিযুক্ত হন সাবেক উপসচিব কে এম হাবিব উল্লাহ। অভিযোগ পাওয়া যায়, চেয়ারপারসন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই এসএমই ফাউন্ডেশনের নির্ধারিত পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন না নিয়েই এককভাবে অনেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন তিনি। নিজের মেয়েকে এসএমই ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দেন। অন্যদিকে ব্যক্তিগত সহকারীকে প্রশাসন, লজিস্টিক ও তহবিল ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেন। পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনের জন্য চেয়ারপারসনের বেশির ভাগ সিদ্ধান্ত বোর্ড সভায় উপস্থাপনই করা হয় না।

এসএমই ফাউন্ডেশন এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে যে লক্ষ্যে কাজ করার কথা ছিল তা বর্তমানে বাস্তবায়ন হচ্ছে না বললেই চলে। নিয়মিত মেলা আয়োজন, প্রকাশনা, দেশব্যাপী এসএমই উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম প্রায় বন্ধ রয়েছে। সম্প্রতি এসএমই ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের মধ্যে ছাঁটাই আতঙ্ক বিরাজ করছে। এতে স্বাভাবিক কাজের গতি নষ্ট হচ্ছে। আবার চেয়ারপারসনের সঙ্গে পরিচালনা পর্ষদের অনেক সদস্যের দূরত্বের কারণে এসএমই খাতের উন্নয়নমূলক নতুন নতুন কার্যক্রম গ্রহণ একরকম বন্ধ রয়েছে। এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এসএমই উদ্যোক্তারা। এসএমই ফাউন্ডেশন এখন আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় মুখ থুবড়ে পড়েছে।

২০১৫ সালের ২০ আগস্ট এসএমই ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত অবস্থায় মুজিবুর রহমান ও উপমহাব্যবস্থাপক এস এম নূরুল আলমকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে অব্যাহতিপত্রে উল্লেখ করা হলেও ২০ আগস্টের পর্ষদ সভায় এ বিষয়ে কোনো আলোচনা বা সিদ্ধান্ত হয়নি।

পরিচালনা পর্ষদের অনুমতি না নিয়ে কী কারণে এ দুই কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে ৬ সেপ্টেম্বর ফাউন্ডেশনের ৮৭তম পর্ষদ সভায় এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদকে আহ্বায়ক করে ‘কর্মকর্তাদের অব্যাহতিবিষয়ক গঠিত তদন্ত উপকমিটি’ গঠন করা হয়। এ কমিটিতে এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের আরো চার সদস্য এস এ সুর চৌধূরী, আব্দুল মতিন, সেলিমা আহমদ ও মির্জা নূরুল গনি শোভনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তদন্ত কমিটির দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন না নিয়েই কোনো রকম সতর্কীকরণ ছাড়াই রাত ১২টায় তড়িঘড়ি করে দুই কর্মকর্তাকে অব্যাহতিপত্র দেওয়া হয়েছে। দুই কর্মকর্তার অব্যাহতি প্রদানের কারণগুলো সরাসরি অব্যাহতি প্রদানের জন্য গ্রহণযোগ্য নয় এবং ফাউন্ডেশনের চাকরি বিধিমালার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। অব্যাহতিপত্র প্রত্যাহার করে ওই দুই কর্মকর্তাকে স্বপদে পুনর্বহালের জন্য এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের কাছে সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি।

অব্যাহতি পাওয়া দুই কর্মকর্তা পরিচালনা পর্ষদের কাছে লিখিত বক্তব্যে দাবি করেন, সম্পূর্ণ অসাংবিধানিকভাবে তাঁদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা এমএসই ফাউন্ডেশনের চাকরি বিধিমালা ৭.৪.০, ৭.৫.০, ৭.১২.০, ৭.১৫.০ ধারার পরিপন্থী। তদন্ত কমিটির সুপারিশ নিয়ে ১১ জানুয়ারি পরিচালনা পর্ষদের সভায় উপস্থিত বেশির ভাগ পর্ষদ সদস্য তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী অব্যাহতি পাওয়া দুই কর্মকর্তাকে স্বপদে ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ নিতে বলে। তবে এ বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেন চেয়ারপারসন। এ বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভা শেষ হয়।

এ বিষয়ে পর্ষদের সদস্য ও নাসিব সভাপতি মির্জা নূরুল গনি শোভন কালের কণ্ঠকে বলেন, বর্তমানে এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, যা এসএসমই ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্রবহির্ভূত। তিনি আরো বলেন, ‘এসএসমই ফাউন্ডেশন গঠনের শুরু থেকেই আমি আছি। সম্প্রতি চেয়ারপারসনের একক সিদ্ধান্তে দুজন কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা এসএমই ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্রবহির্ভূত। তদন্ত কমিটি তথ্য-প্রমাণ নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এখানে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এসএমই পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সিদ্ধান্ত মূল্যায়ন করা না হলে আমরা অন্য সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হব। আমরা সবাই এসএমই খাতের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। এসএমই ফাউন্ডেশনকে কার্যকরী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চাই।’

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন কে এম হাবিব উল্লাহ এবং তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী মাসুম বিল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। চেয়ারপারসন বলেন, আর্থিক অনিয়ম এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের চাকরি বিধিমালা অমান্য করায় দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন না নিয়ে অব্যাহতি দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসএমই ফাউন্ডেশনের নীতিমালা অনুযায়ী কাউকে অব্যাহতি দিতে হলে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন হয় না।

এসএমই ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা হিসেবে নিজের মেয়েকে নিয়োগ দেওয়া বিষয়ে চেয়ারপারসন বলেন, ‘আমার মেয়ে বর্তমানে লন্ডনের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাকে এসএমই ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা হিসেবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করতে অনুরোধ করা হলে সে বিনা বেতনে বা ভাতায় কাজ করতে রাজি হয়।’

মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘বর্তমান চেয়ারপারসন এসএমই ফাউন্ডেশনে যোগদানের আগে থেকেই আমি বর্তমান পদে আছি। তাই চেয়ারপারসন এসে আমাকে এসব পদ-পদবি দিয়েছেন তা সঠিক নয়।’

- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/industry-business/2016/02/10/323127#sthash.fN5AhwQO.dpuf

সারা দেশে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য এসএমই উদ্যোক্তা। যাদের পরিকল্পনা থাকলেও বাস্তবায়নে সক্ষমতা নেই। পুঁজি সংকটে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে জোটে না ন্যূনতম সহযোগিতা। নেই প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তিগত সুবিধা ও বাজারজাতকরণের সুব্যবস্থা। এমএসই খাতের এসব উদ্যোক্তাকে সহজ সেবা দিতে ২০০৬ সালে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এসএমইএসডিপি (স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ অব সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট) প্রকল্পের শাখা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গঠন করা হয় এমএসই ফাউন্ডেশন।

এমএসই খাতের উদ্যোক্তাদের আশা জাগিয়ে ১০ বছর আগে যে প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়, তা আজ স্থবির একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। অভিযোগ পাওয়া যায় বোর্ড সভায় ১৬ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। এসএমই ফাউন্ডেশনের বর্তমান চেয়ারপারসন এককভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন।

২০১৪ সালের ২১ মে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন হিসেবে নিযুক্ত হন সাবেক উপসচিব কে এম হাবিব উল্লাহ। অভিযোগ পাওয়া যায়, চেয়ারপারসন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই এসএমই ফাউন্ডেশনের নির্ধারিত পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন না নিয়েই এককভাবে অনেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন তিনি। নিজের মেয়েকে এসএমই ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দেন। অন্যদিকে ব্যক্তিগত সহকারীকে প্রশাসন, লজিস্টিক ও তহবিল ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেন। পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনের জন্য চেয়ারপারসনের বেশির ভাগ সিদ্ধান্ত বোর্ড সভায় উপস্থাপনই করা হয় না।

এসএমই ফাউন্ডেশন এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে যে লক্ষ্যে কাজ করার কথা ছিল তা বর্তমানে বাস্তবায়ন হচ্ছে না বললেই চলে। নিয়মিত মেলা আয়োজন, প্রকাশনা, দেশব্যাপী এসএমই উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম প্রায় বন্ধ রয়েছে। সম্প্রতি এসএমই ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের মধ্যে ছাঁটাই আতঙ্ক বিরাজ করছে। এতে স্বাভাবিক কাজের গতি নষ্ট হচ্ছে। আবার চেয়ারপারসনের সঙ্গে পরিচালনা পর্ষদের অনেক সদস্যের দূরত্বের কারণে এসএমই খাতের উন্নয়নমূলক নতুন নতুন কার্যক্রম গ্রহণ একরকম বন্ধ রয়েছে। এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এসএমই উদ্যোক্তারা। এসএমই ফাউন্ডেশন এখন আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় মুখ থুবড়ে পড়েছে।

২০১৫ সালের ২০ আগস্ট এসএমই ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত অবস্থায় মুজিবুর রহমান ও উপমহাব্যবস্থাপক এস এম নূরুল আলমকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে অব্যাহতিপত্রে উল্লেখ করা হলেও ২০ আগস্টের পর্ষদ সভায় এ বিষয়ে কোনো আলোচনা বা সিদ্ধান্ত হয়নি।

পরিচালনা পর্ষদের অনুমতি না নিয়ে কী কারণে এ দুই কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে ৬ সেপ্টেম্বর ফাউন্ডেশনের ৮৭তম পর্ষদ সভায় এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদকে আহ্বায়ক করে ‘কর্মকর্তাদের অব্যাহতিবিষয়ক গঠিত তদন্ত উপকমিটি’ গঠন করা হয়। এ কমিটিতে এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের আরো চার সদস্য এস এ সুর চৌধূরী, আব্দুল মতিন, সেলিমা আহমদ ও মির্জা নূরুল গনি শোভনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তদন্ত কমিটির দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন না নিয়েই কোনো রকম সতর্কীকরণ ছাড়াই রাত ১২টায় তড়িঘড়ি করে দুই কর্মকর্তাকে অব্যাহতিপত্র দেওয়া হয়েছে। দুই কর্মকর্তার অব্যাহতি প্রদানের কারণগুলো সরাসরি অব্যাহতি প্রদানের জন্য গ্রহণযোগ্য নয় এবং ফাউন্ডেশনের চাকরি বিধিমালার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। অব্যাহতিপত্র প্রত্যাহার করে ওই দুই কর্মকর্তাকে স্বপদে পুনর্বহালের জন্য এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের কাছে সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি।

অব্যাহতি পাওয়া দুই কর্মকর্তা পরিচালনা পর্ষদের কাছে লিখিত বক্তব্যে দাবি করেন, সম্পূর্ণ অসাংবিধানিকভাবে তাঁদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা এমএসই ফাউন্ডেশনের চাকরি বিধিমালা ৭.৪.০, ৭.৫.০, ৭.১২.০, ৭.১৫.০ ধারার পরিপন্থী। তদন্ত কমিটির সুপারিশ নিয়ে ১১ জানুয়ারি পরিচালনা পর্ষদের সভায় উপস্থিত বেশির ভাগ পর্ষদ সদস্য তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী অব্যাহতি পাওয়া দুই কর্মকর্তাকে স্বপদে ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ নিতে বলে। তবে এ বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেন চেয়ারপারসন। এ বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভা শেষ হয়।

এ বিষয়ে পর্ষদের সদস্য ও নাসিব সভাপতি মির্জা নূরুল গনি শোভন কালের কণ্ঠকে বলেন, বর্তমানে এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, যা এসএসমই ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্রবহির্ভূত। তিনি আরো বলেন, ‘এসএসমই ফাউন্ডেশন গঠনের শুরু থেকেই আমি আছি। সম্প্রতি চেয়ারপারসনের একক সিদ্ধান্তে দুজন কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা এসএমই ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্রবহির্ভূত। তদন্ত কমিটি তথ্য-প্রমাণ নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এখানে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এসএমই পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সিদ্ধান্ত মূল্যায়ন করা না হলে আমরা অন্য সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হব। আমরা সবাই এসএমই খাতের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। এসএমই ফাউন্ডেশনকে কার্যকরী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চাই।’

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন কে এম হাবিব উল্লাহ এবং তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী মাসুম বিল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। চেয়ারপারসন বলেন, আর্থিক অনিয়ম এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের চাকরি বিধিমালা অমান্য করায় দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন না নিয়ে অব্যাহতি দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসএমই ফাউন্ডেশনের নীতিমালা অনুযায়ী কাউকে অব্যাহতি দিতে হলে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন হয় না।

এসএমই ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা হিসেবে নিজের মেয়েকে নিয়োগ দেওয়া বিষয়ে চেয়ারপারসন বলেন, ‘আমার মেয়ে বর্তমানে লন্ডনের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাকে এসএমই ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা হিসেবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করতে অনুরোধ করা হলে সে বিনা বেতনে বা ভাতায় কাজ করতে রাজি হয়।’

মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘বর্তমান চেয়ারপারসন এসএমই ফাউন্ডেশনে যোগদানের আগে থেকেই আমি বর্তমান পদে আছি। তাই চেয়ারপারসন এসে আমাকে এসব পদ-পদবি দিয়েছেন তা সঠিক নয়।’

- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/industry-business/2016/02/10/323127#sthash.fN5AhwQO.dpuf

About Author

Profile Picture

Golden Bangladesh

Golden Bangladesh is a point of access to information.We present information from diverse sources in a unified way. It is the leading web portal, e-Directory and business guide in Bangladesh.

Leave a Comment