ডিএসইর ট্রেকহোল্ডার নির্বাচনে কমিশন গঠন

Picture

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ট্রেক বা শেয়ারহোল্ডার পরিচালক নির্বাচন করার জন্য কমিশন গঠন করেছে পরিচালনা পর্ষদ। মঙ্গলবার ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিমিউচুয়ালাইজেশনের (স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনাকে আলাদা করা) শর্ত অনুসারে প্রথম বছর চারজন শেয়ারহোল্ডার পরিচালক নির্বাচিত হবেন। এর মধ্য পরের বছর একজন বিদায় নিবেন; তার বিপরীতে একজন পরিচালক নির্বাচিত হয়ে পর্ষদে যুক্ত হবেন। দ্বিতীয় বছর তিন জন থেকে একজন পরিচালক অবসরে যাবেন। তার বিপরীতে একজন নতুন পরিচালক আসবেন নির্বাচনের মাধ্যমে। শর্ত অনুযায়ী এবার একজন পরিচালক অবসরে যাবেন। তার বিপরীতে নির্বাচনের মাধ্যমে এক পরিচালক পর্ষদে যুক্ত হবেন।

সূত্র মতে, ডিএসইর নির্বাচন বিষয়ে তিন সদস্যের কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান সুপ্রীম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. আব্দুস সামাদ। নির্বাচন কমিশনের অন্য দুই সদস্য হলেন- হারুন সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হারুন-উর-রশিদ এবং এম অ্যান্ড জেড সিকিউরিটিজ লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম মনজুর উদ্দিন আহমেদ। গঠিত কমিটি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন।

এদিকে, সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে আলোচনার এক পর্যায়ে বলা হয়, যারা পুঁজিবাজার নিয়ে কথা বলছেন; তাদের অনেকের এ বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা নেই। এটি কোনো জুয়ার বোর্ড নয়, বিনিয়োগের জায়গা।

পর্ষদের মতে, যদি পুরো সংবাদটি তথ্যনির্ভর নয়। এ ধরনের সংবাদের ফলে বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন অনুযায়ী, স্বতন্ত্র পরিচালক ও শেয়ারহোল্ডার পরিচালক সবাই মিলে একত্রে কাজ করবেন। যদি সবার মধ্যে ঐক্য না থাকে তাহলে স্টক এক্সচেঞ্জের কাজ এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।

সূত্র মতে, ২০১০ সালের পর পুঁজিবাজারে অনেক সংস্কার হয়েছে। বাজার ভালো করার জন্য কাজ চলছে। একজনের পরিবর্তন হলেই বাজার ভালো হয়ে যাবে- এমন ধারণা ঠিক নয়।

ডিএসই মনে করে, পুঁজিবাজারে আস্থা নেই- এ কথাটিও সত্য নয়। আস্থা আছে, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকলে এ আস্থা আরও সুদৃঢ় হবে।

সম্প্রতি বিনিয়োগ সম্মেলনে বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান এস এ সামাদ পুঁজিবাজারকে জুয়ার কোট হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের ভাবমূর্তি খুবই খারাপ। বর্তমান বাজার মোটেই দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত নয়। স্বল্প মেয়াদে জুয়া ও গুজবনির্ভর মুনাফার জন্য হয়তো এখানকার বাজার ঠিক আছে।

এই বক্তব্যের সূত্র ধরে সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।

তথ্যসূত্র : অর্থসূচক

About Author

Profile Picture

Golden Bangladesh

Golden Bangladesh is a point of access to information.We present information from diverse sources in a unified way. It is the leading web portal, e-Directory and business guide in Bangladesh.

Leave a Comment