Largest and fastest growing business Portals
Tweet
২০১৫ সালে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) খাতভিত্তিক টার্নওভারে সেরা অবস্থানে রয়েছে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত। খাতটি ২০১৪ সালের মতোই গত বছর সেরা পারফর্মেন্স করেছে। আলোচিত বছরে এই খাত মোট টার্নওভারের ১৬ দশমিক ৫২ শতাংশ লেনদেন করেছে। তবে এবারও তলানির মুখে ব্যাংক খাত।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ব্যাংক খাতের লেনদেন কমেছে ১ দশমিক ৪০ শতাংশ। আলোচিত সময়ে মোট লেনদেনের ৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ ছিল ব্যাংক খাতের। ২০১৪ সালে এর পরিমাণ ছিল ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ। আর লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১১ হাজার ১৭৪ কোটি ৬৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকার। ২০১৫ সালে যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৮ হাজার ১৫ কোটি ২২ লাখ ৩৮ হাজার টাকা।
কারণ হিসেবে বিশ্লেষকরা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি, নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার প্রবণতা, খাত নিয়ে সরকারের সদিচ্ছা জ্বালানি খাতকে এগিয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে ব্যাংকের শেয়ারের প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি, মন্দ ঋণ, অলস টাকার বিপরীতে বিনিয়োগ কম, বড় পেইড আপের শেয়ার হওয়ায় কেনাবেচা কম হয়েছে।
এ খাতের ১৮টি কোম্পানি পুরো বছরে লেনদেন করেছে ১৭ হাজার ৩৭ কোটি ৫৫ লাখ ৬৯ হাজার ৪৪৩ টাকার শেয়ার। পুরো বছরে খাতটির ২১৩ কোটি ৫২ লাখ ১৩ হাজার ৯৮১টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
২০১৪ সালে মোট লেনদেনের ১৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ ছিল জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের। ওই বছর খাতটিতে লেনদেন হয় ১৭ হাজার ৬৯৫ কোটি ৭৬ লাখ ৯৪ হাজার ৭৬২ টাকার। আর শেয়ারের অংকে যার পরিমাণ ছিল ১৯৪ কোটি ১১ লাখ ১০ হাজার ৮২টি।
খাতভিত্তিক অবদানের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ আবু আহমেদের সঙ্গে। তিনি ব্যাংক খাত নিয়ে বলেন, ব্যাংক মূলত ইক্যুয়িটি বেইজ শেয়ার। এ খাতের কোম্পানিগুলোর পরিশোধিত মূলধন অনেক বেশি। তাই চাইলে এটা নিয়ে ‘জুয়া খেলা’ যায় না। তাছাড়া বিনিয়োগকারীদের মাঝে ব্যাংকের শেয়ার নিয়ে নেতিবাচক ধারণা তো আছেই।
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিজনেস অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মুছা। তিনি বলেন, গত বছর ব্যাংকের নিট মুনাফা বাড়েনি, তারল্য বেড়েছে। বিপুল অলস টাকা পড়ে থাকার কারণে বছরজুড়ে ব্যাংক খাতের কোনো ইতিবাচক খবর বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে পারেনি। এর ফলে ভলিউম কম হয়েছে। আর্থিকখাতেও এমন সমস্যার কারণে ভালো করেনি বলে মনে করেন তিনি।
সাউথইস্ট ব্যাংক ক্যাপিটাল সার্ভিসেস লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, আসলে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানিগুলো বেশিরভাগ সময়ে নগদ লভ্যাংশ দিয়ে থাকে। বড় কথা হলো জ্বালানি ও বিদ্যুৎ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের কাছে মনোভাব ছিল ইতিবাচক। ফলে এ খাতের শেয়ার লেনদেনে আগ্রহী ছিল বেশি।
তবে ব্যাংকের ক্ষেত্রে অলস টাকা পড়ে রয়েছে। মানুষের মাঝে ঋণ নেওয়ার আগ্রহ অনেকটাই কম ছিল। বিশেষ করে ব্যাংক খাতের শেয়ারের দর কম ছিল। তাই সাধারণ বিনিয়োগকারীদের খুব বেশি আগ্রহ দেখা দেখা যায়নি।
গত বছরে লেনদেনের ভিত্তিতে ডিএসইতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। মোট লেনদেনের ১৫ দশমিক ৯৫ শতাংশই ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিগুলোর।
গত বছর লেনদেনে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অবদান ছিল ৪ দশমিক ১৫ শতাংশ। যা এর আগের বছর ছিল ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ। গত বছর লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ২৭৬ কোটি ২১ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। আর শেয়ারের অংকে যার পরিমাণ ১৭৭ কোটি ৭৪ লাখ ১৩ হাজার।
এছাড়া প্রকৌশল খাতে লেনদেনের অবদান ১৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ, খাদ্য ও আনুষাঙ্গিকখাতের অবদান ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ, পাট খাতের দশমিক ১৫ শতাংশ, বস্ত্রখাতের ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ, কাগজ ও মুদ্রন খাতের দশমিক ৩৭ শতাংশ, সেবা ও আবাসন খাতের ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ, সিমেন্ট খাতের ৪ দশমিক ২৪ শতাংশ, তথ্য প্রযুক্তিখাতের ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ, ট্যানারি খাতের দশমিক ৯৫ শতাংশ, সিরামিক খাতের ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ, বিমাখাতের ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ, ভ্রমণ ও পর্যটন খাতের ২ দশমিক ২৪ শতাংশ, যোগাযোগ খাতের ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১ দশমিক ৩১ শতাংশ ও বিবিধ খাতের ৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ অবদান ছিল।
Golden Bangladesh is a point of access to information.We present information from diverse sources in a unified way. It is the leading web portal, e-Directory and business guide in Bangladesh.
Leave a Comment