পোশাকপল্লি স্থাপনে চসিক ও বিজিএমইএর চুক্তি

Picture

চট্টগ্রামের কালুরঘাটে পোশাকপল্লি স্থাপনে তৈরি পোশাক শিল্পমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে নগরের জিইসি কনভেনশন সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে এই সমঝোতা স্মারক সই হয়। চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও বিজিএমইএর সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি অনুযায়ী, কালুরঘাট বিসিক শিল্প এলাকার পাশে ১০ দশমিক ৩৬ একর জায়গায় এই শিল্পপল্লি স্থাপন করা হবে। বিদেশি ক্রেতাদের জোটের বিধি ও শর্ত মেনে ওই পল্লিতে অবকাঠামো নির্মাণ করবে সিটি করপোরেশন। পাশাপাশি গ্যাস-বিদ্যুৎ ও পানি-সংযোগও নিশ্চিত করবে করপোরেশন। আর পরবর্তী সময়ে নির্মাণ খরচ বাবদ বরাদ্দপ্রাপ্ত কারখানা মালিকদের কাছ থেকে অর্থ নেওয়া হবে।
বিজিএমইএর সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গতকালের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ছাড়াও শ্রমসচিব মিকাইল শিপার, বিজিএমইএর সহসভাপতি (অর্থ) মোহাম্মদ নাছির, প্রথম সহসভাপতি মঈনউদ্দিন আহমেদও বক্তব্য রাখেন।
মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বিদেশি ক্রেতাদের জোটগুলোর শর্ত মেনেই পোশাকপল্লিতে অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। অনেক ঝুঁকি নিয়ে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এই পোশাকপল্লি হচ্ছে। এ রকম সুবিধা শহরের কোথাও পাওয়া যাবে না।
শ্রমসচিব মিকাইল শিপার বলেন, অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের শর্ত না মানায় সারা দেশে ৩৮টি পোশাক কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামে মাত্র ১১টি কারখানা বন্ধ করা হয়েছে। তবে সারা দেশের মতো চট্টগ্রামেও শেয়ারড ভবনে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ কারখানা আছে, যারা বিজিএমইএ বা বিকেএমইএর সদস্য নয়। এসব কারখানা সরিয়ে নেওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হলেও তারা তোয়াক্কা করছে না। অথচ এসব কারখানা ভবনে কোনো দুর্ঘটনা হলে বিজিএমইএর ওপর দায় এসে পড়বে। এ জন্য বিজিএমইএসহ সবাইকে উদ্যোগ নিতে হবে।
বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘চুক্তির কিছু শর্তের সঙ্গে আমি একমত নই। তারপরও যেহেতু চসিক প্রথমবারের মতো এ ধরনের একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে, সেহেতু এটিকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। তাই আমাদের অনুরোধ, প্রকল্পের নির্মাণ খরচের অর্ধেক সিটি করপোরেশন বহন করুক আর অর্ধেক বরাদ্দপ্রাপ্ত কারখানা মালিকেরা দেবেন।’
চুক্তি অনুযায়ী, পোশাকপল্লিটিতে ১০-১১টি ভবন নির্মিত হবে। প্রতিটি ভবনের প্রতিটি মেঝের আয়তন হবে ২০ হাজার বর্গফুট। প্রতিটি ভবনে ৮ ফুট চওড়া চারটি সিঁড়ি ও চারটি লিফট থাকবে। কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার (সিইটিপি) থাকবে। ভবনগুলোর প্রতি বর্গফুটের ভাড়া ১০ টাকা হারে নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি পাঁচ বছর পরপর ৫ শতাংশ হারে ভাড়া বাড়বে।
সিটি করপোরেশন, বিজিএমইএ ও বরাদ্দ গ্রহীতার মধ্যে ১০ বছরের চুক্তি হবে, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নবায়ন হবে। কমপক্ষে ৪০ বছর পর্যন্ত এ ত্রিপক্ষীয় চুক্তি বলবৎ থাকবে।

তথ্যসূত্র : প্রথমআলো

About Author

Profile Picture

Golden Bangladesh

Golden Bangladesh is a point of access to information.We present information from diverse sources in a unified way. It is the leading web portal, e-Directory and business guide in Bangladesh.

Leave a Comment