রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বাড়াতে হবে করের আওতা

Picture

কর প্রদান পদ্ধতি সহজ করা, করের আওতা বাড়ানো এবং ব্যবসার লাভ-ক্ষতি বিবেচনায় এনে কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের তাগাদা দিয়েছেন ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিবিদরা। একই করদাতার ওপর বারবার কর আদায়ের সমালোচনা করলেও বক্তারা একবাক্যে স্বীকার করেছেন, দেশকে এগিয়ে নিতে হলে আয়কর আদায় বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। গতকাল মঙ্গলবার আয়কর দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাঁরা এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম কর বিভাগের পক্ষ থেকে নগরের চট্টগ্রাম কর ভবন-২-তে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম জেলা, কক্সবাজার জেলা, তিন পার্বত্য জেলা, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ির মোট ২৭ করদাতাকে সম্মাননা জানানো হয়। প্রধান অতিথি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও বিশেষ অতিথি সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন সর্বোচ্চ ও দীর্ঘমেয়াদি করদাতাদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন।

প্রধান অতিথি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশে ছয় কোটি ব্যবসায়ী থাকলেও কর দেয় মাত্র চার কোটি, বাকিদের করের আওতায় না আনা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ব্যর্থতা। একই করদাতাদের বারবার করারোপ না করে করবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করে নতুন করদাতা বাড়িয়ে লক্ষ্যমাত্রা পূরণের পরিকল্পনা নিতে হবে।

কর কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ব্যবসায় লাভ-ক্ষতি বিবেচনায় এনে কর আদায় করতে হবে। আর ঠিক সময়ে কর দিতে না পারলে জরিমানার হার আরো একটু কমানো দরকার।

কর মানে রাষ্ট্রের হক, সুতরাং সেই হক প্রদান সবার নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য উল্লেখ করে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, 'আপনারা ভালো সড়ক, অবকাঠামো চাইবেন, সুন্দর পরিচ্ছন্ন নগর চাইবেন, কিন্তু কর দেবেন না তা হবে না। দেশে মোবাইল ফোন গ্রাহকের সংখ্যা ১২ কোটি হলেও করদাতার সংখ্যা মাত্র ১২ লাখ, এটা অস্বাভাবিক। তারাও বাধ্য হয়ে দিচ্ছে। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে কর দেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।' বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় এনবিআর সদস্য (শুল্কনীতি) মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেন, অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়ার পদ্ধতি আগামী এক বছরের মধ্যে বাস্তবায়ন হবে। ফলে অডিটের ক্ষেত্রে কর কর্মকর্তাদের বাছাই, আচরণ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত (ইনটেনশন) কোনো প্রভাব ফেলবে না। সিস্টেমই প্যারামিটারের ভিত্তিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই সেগুলো বাছাই করবে।

তথ্যবহুল বক্তৃতায় ফরিদ উদ্দিন বলেন, বিগত অর্থবছরে আয়কর খাতে রাজস্ব আয়ের ৫৩ শতাংশই উৎসে আয়কর খাত থেকে জমা পড়েছে। কিন্তু স্বেচ্ছায় করদাতা খুব সামান্য। অনুষ্ঠানে কর দিবস উদ্‌যাপন কমিটির আহ্বায়ক কাজী ইমদাদুল হকের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার সভাপতি আলহাজ খলিলুর রহমান, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ।

তথ্যসূত্র : কালেরকন্ঠ

About Author

Profile Picture

Golden Bangladesh

Golden Bangladesh is a point of access to information.We present information from diverse sources in a unified way. It is the leading web portal, e-Directory and business guide in Bangladesh.

Leave a Comment