সদ্যজাত কোম্পানির সফল উদ্যোক্তা কীভাবে হবেন?

Picture

নতুন যে কোনো সদ্যজাত (start-up) কোম্পানিই শুরু হয় কিছু অসাধারণ আইডিয়া থেকে। আনিসের কথা মনে আছে আপনাদের? ঐ যে হুমায়ূন আহমদের 'বহুব্রীহি' নাটকের জনপ্রিয় চরিত্র (আসাদুজ্জামান নূর অভিনীত) যে কিনা 'উপদেশকেন্দ্র' নামে একটি কোম্পানি দিয়েছিলো। টাকার বিনিময়ে সে সমস্যাগ্রস্ত মানুষকে বুদ্ধি বাতলে দিতো।

১.
যার কাছে চমৎকার কিছু আইডিয়া আছে, তার নতুন কিছু করার অনুপ্রেরণার অভাব হয় না। ব্যবসায় সাফল্য বলতে মূলত অর্থনৈতিক মুনাফাকে বোঝালেও সদ্যজাত কোম্পানির সাফল্য কেবল অর্থনৈতিক উন্নতিই নয়, আরো অনেক কিছু। নতুন কিছু করতে পারা, নতুন পথের সন্ধান দেয়া, নিজের লালিত স্বপ্নের বাস্তবায়ন, কাছের মানুষদেরকে সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে পৌছে দেয়া, সামাজিক দায়বদ্ধতা মেটানো, এরকম অনেক কিছুই একজন সফল উদ্যোক্তার পক্ষে করা সম্ভব। অনেক সময়ই দেখা যায় যে, নিজের জন্য নয় বরং কাছের মানুষকে সাহায্য করতে গিয়েই অনেকে শিল্পোদ্যোক্তা হয়েছেন। হয়তো নিজের পরিবারে এমন কেউ আছে যাকে আপনি সাহায্য করতে চান। আপনার বুদ্ধি, মেধা, শিক্ষা আর দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে একটি সদ্যজাত কোম্পানি গড়ে তুলুন, তারপর সেই মানুষটিকে আপনার কোম্পানির কাজে খাটান। আপনি যেমন উদ্যোক্তা হিসেবে সফল হবেন, তেমনিভাবে আপনার দায়বদ্ধতাও আপনি মেটাতে পারবেন। উদ্যোক্তা হবার কোনো বয়স নেই, অন্যক্ষেত্রে সফল মানুষও শিল্পোদ্যোক্তা হতে পারেন।

আমি মনে করি, ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মানুষের উদ্যোক্তা না হয়ে উঠা তার সম্ভাবনার এক চরম অপচয়।

এতকিছুর পরও সৃষ্টিশীল উপায়ে উদ্যোক্তা হবার পথে আমাদের অদৃশ্য সব জুজুর ভয়। অনেকে বাপ-দাদার দাড় করানো পারিবারিক ব্যবসাকে পেশা হিসেবে নেন, যত না আগ্রহে তার চেয়ে বেশি জীবিকার তাগিদে। অন্যথায় সহজে এই পথে হাটার লোক পাওয়া মুশকিল। ষোলো কোটি মানুষের এই দেশে হয়তো হাতে গোনা কিছু লোক পাওয়া যাবে যারা একেবারে শুরু থেকে, যাকে বলে ফ্রম স্ক্র্যাপ, কোনো প্রতিষ্ঠান দাড় করিয়েছেন। তা না হলে এখনো কেন একজন বিল গেটস, স্টিভ জবস, এন্ড্রু কার্ণেগি, হেনরি ফোর্ড, ডব্লিও কে কেলোগ, ওয়াল্ট ডিজনি, রালফ লরেন, টমাস এডিসন, জামশেদ টাটা কিংবা জন রকফেলার পেলাম না আমরা?

এখনো পাই নি তাই বলে যে কখনোই পাবো না, তা তো নয়। যদি বলি, আপনি নিজেই একজন টমাস এডিসন কিংবা একজন হেনরি ফোর্ড কিংবা আমাদের পরবর্তী স্টিভ জবস?

বিশ্বাস হচ্ছে না? সেটাই তো সমস্যা।

আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। দুনিয়ার তাবত প্রভাবশালী, সম্পদশালী আর ক্ষমতাবান মানুষের মধ্যে যদি একটা মিল থাকে তো ঐ আত্মবিশ্বাসের জোর। একজন সফল উদ্যোক্তা হতে হলে আত্মবিশ্বাসের এভারেস্টে চড়ে বসতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। সেটা থাকলে এরপর চাই শুধু এক মুঠো গুড় আর একটি চিমটি লবণ।

সেই গুড় আর লবণের খোঁজ করাই এই লেখার উদ্দেশ্য। লক্ষ্যণীয়, এই লেখার বিষয়বস্তু কেবলমাত্র সদ্যজাত কোম্পানি।

২.

যাই হোক, উদ্যোক্তা হবার জন্য আবশ্যকীয় কোনো পূর্বশর্ত নেই। যে কোনো অভিজ্ঞতাই মূল্যবান, কিন্তু ঘটনা হচ্ছে, সাফল্যের কোনো সুনির্দিষ্ট ফর্মুলা নেই। যে কারো পক্ষেই সদ্যজাত কোম্পানির উদ্যোক্তা হওয়া সম্ভব। মাত্র কয়েক হাজার টাকা বিনিয়োগ করে যে লোকটি ভাতের হোটেল দিচ্ছে সেও একজন উদ্যোক্তা। হতে পারে লোকটির একটা দারুণ আইডিয়া আছে মাথায়, তার হোটেলটি আর সব হোটেলের মতন হবে না, একটু আলাদা হবে। সেই আলাদা ব্যাপারটা কতটা চমকপ্রদ ও আনকোড়া তার উপরে নির্ভর করবে সদ্যজাত কোম্পানি হিসেবে হোটেলটির ভবিষ্যৎ।

একটি সদ্যজাত কোম্পানির নিচের বৈশিষ্ট্যগুলি থাকেঃ

  • আইডিয়ার দিক থেকে এখনো এরকম কোনো কোম্পানির অস্তিত্ব নেই।
  • যে পণ্য বা সেবাকে লক্ষ্য রেখে কোম্পানিটি শুরু হতে যাচ্ছে সেটি একদম আনকোড়া, কিংবা এই ব্যবসার ধরণটা একদম নতুন, কিংবা ব্যবসাটা কিছু ব্যতিক্রমী ও আনকোড়া ধারণার (idea) উপর প্রতিষ্ঠিত।
  • অতিসত্ত্বর রাজস্ব অর্জনের সম্ভাবনা কম
  • ধরেই নেয়া যায় যে কোম্পানিটি শুরু থেকেই ক্ষতির মুখ দেখবে এবং কিছুদিন পর্যন্ত লস দিয়েই চলবে। সেই কিছুদিন আসলে দিন মাস পেরিয়ে কয়েক বছরও হতে পারে।
  • ব্যবসার শুরুর মূলধন জোগাড় করা হবে মূলত জমানো এবং ধার করা টাকায়, ব্যাংক লোন নিয়ে কিংবা অন্য কোনো উপায়ে। কাছের ও পরিচিত মানুষেরা (Family, Friends & Fools) এইক্ষেত্রে মূখ্য ভূমিকা রাখবেন। তবে নিজের ও পরিবারের সর্বস্ব কখনোই খোয়ানো যাবে না ।
  • বেশি ঝুঁকি, যেহেতু সদ্যজাত কোম্পানির সূদুরপ্রসারী লক্ষ্য বেশি উপার্জন

শুরুতেই বলেছি, সদ্যজাত কোম্পানির শুরু হয় এক বা একাধিক অসাধারণ আইডিয়ার ফলাফল হিসেবে। ধরুন আপনার একটি দারুণ আইডিয়া আছে। উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক, আপনি পত্রিকায় দেখলেন যে বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে আলু উৎপাদিত হচ্ছে কিন্তু তার দাম খুবই সস্তা। কৃষকদেরকে কীভাবে আলুর ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা যায় সেই ব্যাপারটা ভাবতে ভাবতে হঠাৎ আপনার মাথায় এক সমাধান উঁকি দিলো। আপনি চিন্তা করলেন যে যদি কোনোভাবে আলু থেকে নতুন একটি পণ্য তৈরি করা যায় যেটির চাহিদা উন্নত বিশ্বের এক বা একাধিক দেশে খুব বেশি, তাহলে ন্যায্যমূল্যে কেনা আলুকে কাঁচামাল হিসেবে নিয়ে একটা সদ্যজাত কোম্পানি শুরু করা যায়। এই ব্যাপারটা আপনার নিকটজনদের সাথে আলোচনা করলেন, জার্মানপ্রবাসী আপনার বন্ধু হিমু আপনাকে জানালো যে জার্মানিতে "কার্টোফেলপুরে" নামে আলুর তৈরি নতুন এক খাদ্যপণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই পণ্য যেমন জার্মানিতে রপ্তানি করা যায়, তেমনিভাবে দেশেও এক অভিনব নতুন খাবারের ব্র্যান্ড হিসেবে চালু করা যায়। আরো খোঁজখবর নিয়ে জানলেন যে এই পণ্যটির শেলফ লাইফও বেশ ভালো, বাংলাদেশে আর কেউ পণ্যটি তৈরি করছে না, আপনার আরেকজন জার্মানপ্রবাসী ব্যবসায়ী বন্ধু জার্মানিতে পণ্যটির বিপণনের সার্বিক দায়িত্ব নিতে আগ্রহী। এদিকে মুন্সিগঞ্জের আলুচাষীদের একটি সমিতির সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানালো যে যদি কোনো কোম্পানি ফসল উঠার সাথে সাথেই সেটি কিনতে আগ্রহী হয় তাহলে বাজারমূল্যের চেয়েও কম মূল্যে সেই কোম্পানির কাছে তারা তাদের উৎপাদিত আলু বিক্রি করবেন। এতে তাদেরও লাভ, কারণ এর ফলে আর আলুর সংরক্ষণ নিয়ে ভাবতে হবে না, হিমাগারের ভাড়া ও পরিবহন খরচও বেঁচে যাবে, এবং নিয়মিত আলু বিক্রির নিশ্চয়তা থাকলে তারা প্রতি মৌসুমেই আরো বেশি আলু চাষে উৎসাহী হবেন। সর্বোপরি, আপনি প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখলেন যে যদিও আপনার আইডিয়াগুলি ব্যবসায়িক দিক থেকে যথেষ্ট যৌক্তিক, দেশের বেশিরভাগ আলুশিল্পের কোম্পানিগুলিই কখনো এইভাবে তাদের কাঁচামাল সংগ্রহের কথা ভাবে নি।

এই আইডিয়াগুলি নতুন, কারণ এভাবে কেউ আগে ভাবে নি, কিংবা ভাবলেও কেউ কোম্পানি পর্যন্ত যায় নি। ফলে, সদ্যজাত কোম্পানির বৈশিষ্ট্যগুলি আপনি পূর্ণ করতে পেরেছেন। এই পর্যন্ত যা বললাম, সেটা হলো ধারণা স্তর, আপনি ধারণা করছেন যে একটি সফল উদ্যোক্তা হবার সুযোগ আপনি দেখতে পাচ্ছেন। কিন্তু ধারণাই সব নয়। এর জন্য চাই প্রচুর চিন্তাভাবনা, যাকে বলে ব্রেইন স্টর্মিংSpend time on business plan before you spend a dime of your money.

আর দরকার প্রচুর তথ্য। আপনার পণ্যের পুরো যোগান শৃংখলের প্রতিটা ধাপ- কাঁচামাল সংগ্রহ, উৎপাদন, প্রযুক্তি, বাজার, বিপণন সব সম্পর্কে সঠিক ও বিস্তারিত তথ্য আপনাকে জোগাড় করতে হবে। আর ব্যবসায়িক খসড়া, পরিকল্পনা, প্রযুক্তিগত নকশা, ধারণাগত নকশা, অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ, সম্ভাব্যতা যাচাই, সব করতে হবে দারুণ দক্ষতার সাথে। প্রয়োজনে যারা বিশেষজ্ঞ তাদের সাহায্য নিন, কিন্তু যতটুকু সম্ভব নিখুঁতভাবে করুন।

এই পর্যায়ে আপনার ব্যবসায়িক পরিকল্পনায় কি কি জিনিস অন্তর্ভুক্ত থাকবে তার একটা লিস্টই না হয় করা যাক।

  • মিশনের বিবরণ
  • পণ্য/সেবার বিস্তারিত বর্ণনা
  • পণ্যের সম্ভাব্য বাজার
  • ব্যবসায়িক খসড়া/মডেল
  • মোট বিনিয়োগের সম্ভাব্য পরিমাণ
  • খাতওয়ারী প্রয়োজনীয় অর্থের পরিমাণ
  • সম্ভাব্য প্রতিযোগিতা
  • ব্যবস্থাপনা এবং অভিজ্ঞতা
  • অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত তথ্যাবলী

এবং অতি অবশ্যই, যদি ব্যবসা ধরা খায়, তাহলে নিরাপদে কীভাবে গুটিয়ে নেবেন (Exit Strategy) তার পরিকল্পনা।

এবার নিচের গ্রাফটা দেখুন।

 

গ্রাফটিতে সময়ের সাথে সাথে একটি শিল্প (বিশেষ করে সদ্যজাত শিল্প) যে ৬টি ধাপ পেরিয়ে পরিপূর্ণতা লাভ করে তা দেখানো হয়েছে। ধাপগুলি হচ্ছে, (১) গবেষণা ও বিকাশ (Research & Development), (২) ধারণাগত নকশা (Conceptual design), (৩) বিস্তারিত নকশা, (৪) কারখানার প্রকৌশলগত নির্মান (Engineering construction), (৫)কোম্পানির রক্ষণাবেক্ষণ, এবং (৬) ব্যবসার সম্প্রসারণ। গবেষণা ও বিকাশ এবং ধারণাগত নকশা প্রণয়ন এই দুই ধাপেই আপনি আসলে আপনার ব্যতিক্রমী/অভূতপূর্ব ধারণাগুলিকে জন্ম দিয়েছেন, যা আপনার প্রকল্পের মূল চালিকাশক্তি। তারপর ৩ এবং ৪ নম্বর ধাপে আসলে আপনার পরিকল্পনার বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এই পর্যায়ে আপনি প্রযুক্তি কিনেছেন, কারখানা তৈরি করেছেন, জিনিসপত্র, যন্ত্রপাতি ইত্যাদি কিনেছেন, মোটকথা আলু থেকে খাবার তৈরির প্লান্টটা দাড়িয়ে গেছে, লোকজন ভাড়া করে সেটা চালুও করে দিয়েছেন। অর্থাৎ, উৎপাদন শুরু হয়ে গেছে। এদিকে কাঁচামাল সংগ্রহ থেকে শুরু করে পণ্যের উৎপাদন, বিপণন সব চলছে পরিকল্পনা অনুযায়ী। এই দুটি ধাপের মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে পরিশ্রম, প্রযুক্তি, লোকবল ও বিনিয়োগ। সবশেষে আসে সম্প্রসারণের বিষয়টি। কোম্পানি সাধারণত মুনাফার মুখ দেখে ৫ ও ৬ নম্বর ধাপে এসে।

গ্রাফটিতে আরো দুটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার দেখানো হয়েছে। প্রথমত, ব্যবসার বিভিন্ন ধাপে নেয়া সিদ্ধান্তগুলির গুরুত্ব এবং কোম্পানির ভবিষ্যতের উপর তাদের প্রভাব কতটুকু তা দেখানো হয়েছে নীল কালিতে আঁকা রেখার মাধ্যমে। আর লাল রেখাটি দিয়ে দেখানো হয়েছে প্রকল্পের একদম শুরু থেকে মোট বিনিয়োগ (cumulative investment flow)। দেখা যাচ্ছে যে শুরুর দিকের ধাপগুলিতে নেয়া সিদ্ধান্তের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। যতই সময় যাচ্ছে, সিদ্ধান্তের গুরুত্ব ও প্রভাব কমে যাচ্ছে। অন্যদিকে, শুরুতে খুব বেশি অর্থ বিনিয়োগ করতে হয় না বললেই চলে। বুদ্ধি কিনতে খুব বেশি পয়সা লাগে না। আর সেটা যদি নিজের হয়, তাহলে তো কোনো খরচই নেই। গবেষণা ও ধারণাগত নকশা প্রণয়নের খরচ সবচেয়ে কম, কিন্তু এই সময়ে নেয়া সিদ্ধান্তগুলির প্রভাবই সবচেয়ে বেশি, এগুলোই আপনার কোম্পানির ভবিষ্যত নির্ধারন করবে। সুতরাং, সদ্যজাত কোম্পানির জন্য শুরুতে বিনিয়োগের চাইতেও হোম ওয়ার্ক অনেক অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কেবল সদ্যজাত কোম্পানিই নয়, যে কোনো ব্যবসার জন্যই প্রারম্ভিক কাজগুলিই আসলে ভবিষ্যতের সাফল্য কিংবা ব্যর্থতাকে নির্ধারণ করে দেয়। যত পারুন বন্ধুত্বের সীমানা বাড়ান। আপনার বিজ্ঞানী বন্ধুরাই হয়তো দিতে পারে দারুণ সব ব্যবসায়িক পণ্যের সন্ধান, তাদের নিজেদের আবিস্কার হয়তো খুশি মনেই আপনার বিশ্বস্ত হাতে তুলে দিতে চায় এই বিশ্বাসে যে আপনিই পারবেন নৈতিকতার সাথে সেই আবিস্কারকে জনমানসের সামনে আনতে। প্রকৌশলী বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ বাড়িয়ে দিন, একদিন হয়তো তারাই আপনার পুরো কারখানার নকশা তৈরি করতে সাহায্য করবে। ব্যাংকার বন্ধুদেরকে মনে রাখুন।

শেষ করতে চাই আরেকটি গ্রাফ দিয়ে।

 

এই গ্রাফটিকে বলা যায় সদ্যজাত কোম্পানির অর্থনৈতিক চক্র। লাল রেখাটি দিয়ে সময়ের সাথে সাথে একটি সদ্যজাত কোম্পানির উপার্জন দেখানো হয়েছে। সাধারণত, শুরুতেই উপার্জনের আশা করাটা বৃথা। এই পর্যায়ে বরং খরচ করতে হবে। মেনে নিন। উপরে যে ৬টি ধাপের কথা বলেছি, তাদের প্রথম ৪টি ধাপে উপার্জনের চেয়ে খরচ বেশি হবে সেটাই স্বাভাবিক। একে বলা যায় ঋণাত্মক উপার্জন। ঝরে যাওয়া বেশিরভাগ সদ্যজাত কোম্পানির ইতি ঘটে এই পর্যায়েই। হয়তো সেজন্যই একে বলা হয় মৃত্যু উপতক্যা। সঠিক ব্যবসায়িক পরিকল্পনা এবং চমকপ্রদ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কোম্পানির বিলীন হয়ে যাওয়া ঠেকানো সম্ভব। কোম্পানির কর্ণধার হিসেবে আপনি কতটুকু যোগ্য তার পরীক্ষাও হয়ে যাবে এই কঠিন সময়ে।

ধৈর্য্য এবং প্রস্তুতি এই দুই হচ্ছে বিপর্যয় ঠেকানোর মূল অস্ত্র। আপনার স্বপ্নের কোম্পানিটি মৃত্যু উপতক্যা পেরিয়ে পরিপূর্ণ স্তরে পৌছাক, সেই কামনা করি।

  তথ্যসূত্র: সচলায়তন.কম

About Author

Profile Picture

Mijan Niloy

Leave a Comment