Largest and fastest growing business Portals
Tweet
আর্থিক প্রতিষ্ঠানে খেলাপি ঋণ বেড়ে ২১০১ কোটি টাকা
ব্যাংকের মতো ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও বেড়েছে খেলাপি ঋণ। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে মোট ২ হাজার ১০১ কোটি টাকা। আগের প্রান্তিক শেষে এ পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৬৮২ কোটি টাকা। এ হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে এসব প্রতিষ্ঠানে খেলাপি ঋণ বেশি হয়েছে ৪১৯ কোটি টাকা, যা প্রায় ২৫ শতাংশ। আর গত ৯ মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ৭২৯ কোটি টাকা, যা ৫৩ দশমিক ১৩ শতাংশ। গত বছরের ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৩৭২ কোটি টাকা। রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাবে আগে বিতরণ করা ঋণের আদায় কমে যাওয়ায় এমন হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিএলএফসিএ) চেয়ারম্যান আসাদ খান সমকালকে বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৩ থেকে ৫ বছর মেয়াদি ঋণ দিয়ে থাকে। এক বছর ধরে চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ-গ্যাসের সংযোগ বন্ধ থাকায় মেয়াদি ঋণ গ্রহণকারী অনেক ভালো উদ্যোক্তা যথাসময়ে ঋণের অর্থ ফেরত দিতে পারছেন না। আবার অনেকে পণ্য উৎপাদন করে তা বিক্রি করতে পারছেন না। এসব কারণে ঋণের আদায় একেবারে কম। এতে বাড়ছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ। এই পরিস্থিতি স্থায়ী হলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা চালানোই কঠিন হয়ে পড়বে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ব্যাংকের তুলনায় তুলনামূলকভাবে ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে খেলাপি ঋণ বেশি বেড়েছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৫৬ হাজার ৭২০ কোটি টাকা। এর আগের প্রান্তিক শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ৫২ হাজার ৩০৯ কোটি টাকা। আর গত বছরের ডিসেম্বর শেষে ছিল ৪২ হাজার ৭২৫ কোটি টাকা। এ হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৪ হাজার ৪১১ কোটি টাকা, যা ৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ। আর ৯ মাসে বেড়েছে ১৩ হাজার ৯৯৫ কোটি টাকা। হার দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বেশিরভাগ ঋণ মেয়াদি হওয়ায় তাদের আদায় কমেছে। এ কারণে তুলনামূলক পরিস্থিতি বেশি খারাপ বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ১৮ কোটি টাকা। জুন শেষে ছিল ২৭ হাজার ৩৬১ কোটি টাকা।
এ হিসাবে তিন মাসে ঋণ বিতরণ বেড়েছে ২ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা, যা ৯ দশমিক ৭১ শতাংশ। ৯ মাস আগে তথা গত ডিসেম্বরে ঋণ স্থিতি ছিল ২৫ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা। এতে করে ৯ মাসে বেড়েছে ৪ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা, যা ১৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ শ্রেণীকরণের তিনটি পর্যায় রয়েছে। তা হলো_ সাব স্ট্যান্ডার্ড বা নিম্নমান, সন্দেহজনক এবং মন্দ বা ক্ষতিজনক। এই তিনটি পর্যায় বিবেচনায় নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা সঞ্চিতি (প্রভিশন) সংরক্ষণ করতে হয়। সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের মোট খেলাপি ঋণের মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মন্দ বা ক্ষতি মানে শ্রেণীকৃত ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৯১ কোটি টাকা। জুনে ছিল ৮৮৯ কোটি টাকা। সন্দেহজনক মানে শ্রেণীকরণ করা হয়েছে ৩০৯ কোটি টাকা। আগের প্রান্তিক শেষে ছিল ৩৩৮ কোটি টাকা। আর নিম্নমানে শ্রেণীকরণ করা হয়েছে ৮০১ কোটি টাকা, যা গত জুনে ছিল ৪৫৫ কোটি টাকা। ব্যাংকগুলোতে নতুন নীতিমালার আলোকে ঋণ শ্রেণীকরণ করতে হলেও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আগের নিয়মেই শ্রেণীকরণ করছে। এতে করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তিনটি পর্যায়ের শ্রেণীকৃত ঋণই খেলাপি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
Golden Bangladesh is a point of access to information.We present information from diverse sources in a unified way. It is the leading web portal, e-Directory and business guide in Bangladesh.
Leave a Comment