ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু

ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু

পরীক্ষামূলকভাবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন ভারত থেকে আমদানি করা বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে।

প্রথমবারের মতো ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হয়েছে। 

শুক্রবার সকাল পৌনে ১১টায় কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র চালুর মধ্য দয়ে এই বিদ্যুৎ আমদানি কার্যক্রম শুরু হয়।
 
এর আগে সকাল থেকেই দু'দেশের প্রকৌশলীরা স্টেশনে বসে ওয়াকিটকির মাধ্যমে তথ্য ও কমান্ড আদান-প্রদান করেন।
 
এসময় উপস্থিত ছিলেন পাওয়ার গ্রিড অব বাংলাদেশের কনসালট্যান্ট পি কে রায়, ভারতের পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশনের ডিজিএম কলিম আকতার, ৫০০ মেগাওয়াট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কাজী ইশতিয়াক হাসান, আন্তঃসংযোগ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মো. আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
 
আন্তঃসংযোগ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মো. আলমগীর হোসেন জানান, সকাল পৌনে ১১টার দিকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিয়ে যোগ হওয়ার মধ্য দিয়ে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হয়।
 
তিনি জানান, শুক্রবার বেলা ১২টার মধ্যে এই বিদ্যুতের পরিমাণ ১৭৫ মেগাওয়াটে উন্নীত হবে এবং বিকেল ৪টায় তা বন্ধ হয়ে যাবে। এরপর শনিবার সকাল ১০টা থেকে আবার বিদ্যুৎ আমদানি কার্যক্রম শুরু হবে।
 
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এভাবেই পরীক্ষামূলকভাবে ভারতের বিদ্যুৎ বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে জানিয়ে আলমগীর হোসেন বলেন, তবে কখনও একটু কম আবার কখনও একটু বেশি বিদ্যুৎ আসবে।
 
প্রকল্পের উপ-ব্যবস্থাপক গৌতম কুমার পাল জানান, গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে সঞ্চালন লাইনে ভোল্টেজ পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ১/২ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ এনে পরীক্ষা চলছিল।
 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৫ অক্টোবর কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় গিয়ে বিদ্যুৎ আমদানির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
 
অন্যদিকে ভারতে বসে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। তিনি ভারত থেকে বিদ্যুৎ সঞ্চালন কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।
 
এর আগে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, এ মাসের মধ্যেই সিস্টেমের পরীক্ষা শেষ হবে। শুরুতে কম বিদ্যুৎ পাওয়া গেলেও অক্টোবরের শেষ নাগাদ আড়াইশ' মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। নভেম্বরের মধ্যে তা বেড়ে ৫০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হবে।
 
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত থেকে নভেম্বরে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এলে লোডশেডিং অনেকটাই কমে যাবে। পাশাপাশি ভারতের বিদ্যুৎ এলে ডিসেম্বরে সেচ মৌসুম শুরু হলেও লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।
 
পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের লক্ষ্যে ভারতের সরকারি বিদ্যুৎ সংস্থা ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার লিমিটেডের (এনটিপিসি) সঙ্গে গত সপ্তাহে একটি সম্পূরক চুক্তি করেছে পিডিবি।
 
ক্ষমতায় আসার পর বর্তমান সরকার বিদ্যুৎ সংকট মোকাবেলায় নতুন নতুন কেন্দ্র স্থাপনের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে বিদ্যুৎ কেনার উদ্যোগ নেয়।
 
প্রথম পর্যায়ে ভারতের সরকারি খাত থেকে আড়াইশ' মেগাওয়াট এবং পরে বেসরকারি খাত থেকে আরও আড়াইশ' মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে ২০১১ সালে উভয় দেশে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণকাজ শুরু হয়।

সমকাল: ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ১১:১৪:৪৪


About Author

Profile Picture

Golden Bangladesh

Golden Bangladesh is a point of access to information.We present information from diverse sources in a unified way. It is the leading web portal, e-Directory and business guide in Bangladesh.

Leave a Comment