FAQ

Displaying 11-20 of 41 results.

প্রশ্ন: বন্ধ হওয়া ব্যবসার ক্ষেত্রে কর নির্ধারণ

(১) ধারা  ৮৭ এর  বিধানবলীকে হানী না করে যেক্ষেত্রে  কোন অর্থ বৎসরে কোন ব্যবসা বা পেশা বন্ধ হয়ে যায় এবং ঐবৎসরে কর নির্ধারণী প্রস্তুুত  করা যায় তবে ১৬ ধারায় যা-ই উল্লেখ থাকুক না কেন উক্ত আয় বৎসর শেষে  ঐ বৎসরের কর নির্ধারণ করা যাবে এবং অনুরুপ ব্যবসা বা পেশা বন্ধের তারিখ থেকে বৎসরের শেষ  সময় পর্যন্ত মোট আয়ের ভিত্তিতে ্ঐ বৎসরের কর নির্ধারণ করা যাবে ।
(২)  কোন ব্যক্তি কোন অর্থ বৎসরে কোন ব্যবসা বা পেশা বন্ধ করবে, অনুরুপ বন্ধের ১৫ দিনের মধ্যে তিনি  উপ-কর কমিমনারকে  এ   বিষয়ে অবগত করার করার জন্য বিজ্ঞতি প্রদান করিবেন  এবং  অনুরুপ বিজ্ঞতির  সাথে আয় বৎসরে শেষ থেকে ব্যবসা বা পেশা বন্ধের তারিখ পর্যন্ত সময় কালের জন্য মোট আয়ের রিটার্ণ দাখিল  করিবেন  এবং উল্লেখিত  সময়ে আয়ের জন্য ঐ অর্থ বৎসরকেই  কর নির্ধারণী বৎসর বিবেচনা করা হবে ।
 (৩)   যেক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি উপধারা (২) কর্র্তৃক  বিজ্ঞতি প্রদান করতে ব্যর্থ হয়েছেন উপ-কর কমিমনার তার নিকট জরিমানা আদায়ের জন্য নির্দেশ দিতে পারবেন ; উক্ত জরিমানার পরিমান  উহা বন্ধের  আগ পর্যন্ত ব্যবসা বা পেশা হতে আয়ের উপর ইতিমধ্যে যে পরিমান কর নির্ধারণ করা হয়েছে তার চাইতে বেশি হবেনা ।
(৪) যেক্ষেত্রে উপধারা (১) এর অধীনে কর নির্ধারণ করতে হবে  সেক্ষেত্রে উপ-কর কমিমনার জারী করতে পারবেন

(ক)   যার আয় নির্ধারণ করা হবে সেই ব্যক্তিকে  ।
(খ) ফার্মের ক্ষেত্রে    ব্যবসা বা পেশা বন্ধ হবার সময় ফার্মের অংশীদার ছিলেন এরুপ ব্যাক্তির প্রতি ।
(গ) কোম্পানির ক্ষেত্রে কোম্পানির মুখ্য কর্মকর্তার  প্রতি; বিজ্ঞতি প্রদান করে সাত দিনের কম নয় এমন নির্ধারিত সময়ে তাঁর আয়ের রিটার্ন দাখিল করতে বলবেন । ৭৫ ধারার বিধান অনুযায়ী  দাখিলকৃত রিটার্নের  সাথে যে তথ্যদি এবং বিষয়াদি দিতে হয় তৎসঙ্গে অনুরুপ অন্যন্য বিষয়াদি, দলিলগত্র রেকর্ড সমূহ সংযুক্ত করতে হবে ।
(৪)    উপধারা (৪) এর অধীনে কর নির্ধারণের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত নোটিশকে ৭৭ ধারার নোটিশের ন্যায় বিবেচনা করতে হবে এবং  এক্ষেতে অধ্যাদেশের  বিধান  যতটুকু সম্ভব প্রযোজ্য হবে ।

প্রশ্ন: মৃত্যু ছাড়া অন্যভাবে ব্যবসার উত্তরাধিকারীর ক্ষেত্রে কর নির্ধারণ

(১)     যেক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি  পরিচালিত কোন ব্যবসা বা পেশায়  মৃত্যু ছাড়া অন্য কোনভাবে  অন্য কোন ব্যক্তি   কর্তৃক  ( এই ধারায় অত:পর উত্তরসূরী হিসেবে  উল্লেখিত) কোন আয় বৎসরে স্থলাভিষিক্ত হন এবং ঐ আয় উত্তরসূরী এই ব্যবসা বা পেশা পরিচালনা চালু রাখেন সেক্ষেত্রে
 (ক)  যে আয় বৎসরে উত্তরাধিকারীত্ব প্রাপ্ত হয়েছে  সে দিন হতে  উত্তরাধিকারীতের ¡  তারিখের সময় পর্যন্ত পূর্বসরীর আয়ের জন্য  তার কর নির্ধারণ করা হবে ; এবং
(খ) উত্তরাধিকারীতে¦র তারিখের পরবর্তী সময়ের আয় বৎরের আয়ের জন্য উত্তরসূরীর কর নির্ধারণ করা হবে

(২)    উপধারা (১) এ যা-ই উল্লেখ থাকুক  না কেন,  যেক্ষেত্রে  পূর্বসূরীকে পাওয়া যাবেনা সেক্ষেত্রে   যে আয়বর্ষে উত্তরাধিকারী হয়েছে
সে আয়বর্ষে উত্তরাধিকারী হওয়ার পূর্ববতী  সময় পর্যন্ত  এবং তার পূর্রবর্তী আয়বর্ষ বা বর্ষসমূহের জন্য  জন্য পূর্বসূরীর উপর যে পদ্ধতিতে কর নির্ধারণ করা হত  ঠিক সেভাবেই উত্তরসূরীর উপর  কর নির্ধারণ করা হবে এবং এই অধ্যদেশের  বিধানবলী যতটা সম্ভব এক্ষেত্রে একইভাবে প্রযোজ্য হবে ।
(৩)    যেক্ষেত্রে  এই ধারায় অধীনে ব্যবসা বা পেশার আয়ের উপর  কোন পরিমান  প্রদেয় অর্থ পূর্বসরী  হতে আদায় করা না যায় সেক্ষেত্রে
উপকর কমিশনার এ বিষয়ে তার ফলাফল লিপিবদ্ধ করবেন এবং ঐ অর্থ তার নিকট থেকে আদায়যোগ্য অর্থ হিসেবে বিবেচিত হবে
এবং তিনি পূর্বসরীর নিকট থেকে আদায় করবার অধিকারী হবেন ।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ ত্যাগকারী ব্যক্তিবর্গের কর নির্ধারণ

(১)    যেক্ষেত্রে  উপকর কমিশনারের নিকট প্রতীয়মান হয় যে,  কোন  ব্যক্তি বাংলাদেশ ত্যাগকরেছে  চলতি অর্থ বৎসরের মধ্যে অথবা অর্থ বৎসর শেষহওয়ার  কিছুদিনের মধ্যে এবং তাঁর দেশে ফিওে আসার ইচ্ছা নেই, তবে ১৬ ধারার যা-ই উল্যেখ  থাকুক না কেন, সেক্ষেত্রে  অনুরুপ ব্যক্তির মোট আয়ের  ভিত্তেতে  ঐ সময়ের  কর নির্ধারণ করতে হবে ।
(ক) যদি ইতিপূর্বে তাঁর কর নির্ধারণ হয়ে থাকে তবে যে আয় বৎসরের জন্য তাঁর কর  নির্ধারণ করা হয়েছে , উক্ত আয়কর  বৎসর উত্তীর্ন  হবার পর থেকে, তাঁর সম¦াব্য বাংলাদেশ ত্যাগের তারিখ পর্যন্ত সময়ের জন্য; এবং
(খ) যদি ইতিপূর্বে তাঁর কর নির্ধারণ না হয়ে থাকে, তবে বাংলাদেশ ত্যাগ করবার সম¦াব্য তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থানরত সমগ্র মেয়াদের জন্য ।
(২)  উপধারা (১) এর অধীনে কর নির্ধারণ করতে হবে-
        (ক) উপধারা (১) এর অধীনে এ বর্ণিত  মেয়াদের আওতাধীন  প্রতিটি পূর্ণ আয় বৎসরের ক্ষেত্রে , এ আয় পুন:  নির্ধারিত হলে  যে হারে কর ধার্য হত সে হারই প্রযোজ্য হবে; এবং
        (খ) সর্বশেষ পূর্ণ আয় বৎসর অতিক্রম হবার পর থেকে দেশ ত্যাগের তারিখ পর্যন্ত মেয়াদের জন্য যে অর্থ বৎসরের কর  নির্ধারণ করা হচ্ছে
 সেই অর্থ বৎসরের প্রযোয্য হারে এবং উল্লেখিত সময়ের আয়ের জন্য উক্ত অর্থ বৎসরকে আয় বৎসর হিসেবে গণ্য করা হবে ।
(১)    এই ধারার  অধীনে  কর  নির্ধারণের উদ্দেশ্যে উপকর কমিশনার সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিকে সাতদিনের কম নয় অনুরুপ সময়ের মধ্যে নি¤েœক্তভাবে নির্ধারিত উপায়ে নোটিশ  প্রদান করিবেন।
(ক)   রিটার্ন  যে ফরমে এবং যে নিয়মে  যাচাইপূর্বক ৭৫ ধারার অধীনে দাখিল করা হয়  সে ফর্মে  ও পদ্ধতিতে যাচাইপূর্বক উপধারা ধারা (১)
-এ উল্লেখিত সংশ্লিষ্ট মেয়াদে প্রতিটি পূর্ণ আয় বর্ষসমূহের মোট আয় ও বিজ্ঞপ্তিতে বর্ণিত অন্যন্য তথ্য ও বিবারণদি সম্বলিত রিটার্ন; এবং
(খ) সর্বশেষ পূর্ণ আয় বৎসর উত্তীর্ন হওয়ার পর থেকে তাঁর বাংলাদেশ হতে ত্যাগ করবার সম্ভাব্য তারিখ পর্যন্ত মেয়াদে মোট আয়ের একটি হিসাব
(৪) অধ্যাদেশের সকল বিধান যতটুকু সম্ভাব প্রয়োগ করে কর নির্ধারণের উদ্দেশ্যে উপধারা (৩)  এর  অধীনে বিজ্ঞতি এভাবে কার্যকর করতে হবে যেন তা ধারা ৭৭- এর অধীনেই করা হয়েছিল ।
(৫)   যখন কোন আয় নির্ধারণের  কর নির্ণয় এড়িয়ে যায় বা কর নির্ধারণ করা হয় বা অতি নি¤œ হারে  নির্ধারণ করা হয় বা অধ্যাদেশের আওতায় অতিরিক্ত অব্যহতি দেওয়া হয়  কিন্তু  এই প্রেক্ষিতে উপকর কমিশনারকে  ৯৩  ধারার  অধীনে বিজ্ঞতি জারী হতে  বিরত রাখা হয়, তবে এই ধারার কোন কিছুই  উপকর কমিশনারকে   নির্ধারণের ক্ষমতা দিবে না ।

প্রশ্ন: মৃত ব্যক্তির আয়ের ক্ষেত্রে কর নির্ধারণ

(১)    যেক্ষেত্রে  কোন ব্যক্তি মারা যায় তবে তিনি মারা না গেলে  তার আইনগত প্রতিনিধি  যে পরিমান কর বা এ অধ্যাদেশের আওতায় অন্য কোন অর্থ পরিশোধের জন্য বাধিত থাকতেন , উক্ত পরিমান কর বা অন্য কোন দাবি একই উপায়ে পরিশোধের জন্য দায়ী থাকবেন  এবং একই অধ্যাদেশের উদ্দেশ্য মৃত ব্যক্তির আইনগত প্রতিনিধিকে করদাতা হিসেবে বিবেচনা করা হবে
তবে শর্ত থাকে যে,   মৃত ব্যক্তির আইনানুগ প্রতিনিধিকে করদাতা বিবেচনা করার পূর্বে, উপকর কমিশনার  তাঁর প্রতি এতদ্বিষয়ে বিজ্ঞতি প্রদান করিবেন
(২)    মৃত ব্যক্তির আয় নির্ধারণ এবং কর আদায়ের লক্ষে-
(ক) মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর পূর্বে তার বিরুদ্ধে কোন কার্যক্রম নেয়া হলে তা তার আইনানুগ প্রতিনিধির বিরুদ্ধে নেয়া হয়েছে মর্মে বিবেচিত হবে এবং মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর তারিখে ঐ কার্যক্রম যে স্তরে ছিল  সে স্তর থেকেই চালিয়ে যেতে হবে; এবং
(খ) মৃত ব্যক্তি জীবিত থাকলে তার বিরুদ্ধে যে কার্যক্রম নেয়া যেত আইনানুগ প্রতিনিধির বিরুদ্ধে ও একই কার্যক্রম গ্রহোন করা যাবে এবং   অধ্যাদেশের সকল বিধান যতটুকু সম্ভব এক্ষেত্রে  প্রয়োগ করা হবে।
(৩)    অত্র অধ্যাদেশের অধীনে মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি  যে পরিমান দায় পূরণে সক্ষম, আইনানুগ প্রতিনিধির দায় ও  সে পরিমাণই সীমাবদ্ধ থাকবে
(৪)   এই ধারার এবং এই  অধ্যাদেশের অন্যন্য বিধানবলীর উদ্দ্যেশ্য সাধনকল্পে মৃত ব্যক্তির অধিকার স্বার্থ এবং দায় দায়িত্ব সম্পর্কযুক্ত আইনানুগ প্রতিনিধির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত নির্বাহোক, প্রশাসক এবং মৃত ব্যক্তির সম্পত্তির মোতায়াল্লীকে ও ।

প্রশ্ন: অগ্রীম কর জমা

জরিমানা অথবা সুদ ছাড়া করদাতা কর্তৃক প্রদান অথবা তার থেকে  অগ্রীম কর   আদায়কৃত  যে কোন পরিমান অর্থ যে বৎসর উহা প্রদান করার কথা ছিল তার পরবর্তী বৎসরের নির্ধারণের লক্ষে আয় বৎসরের আয়ের জন্য পরিশোধিত কর হিসাবে বিবেচিত হবে ।

প্রশ্ন: অগ্রীম কর প্রদানে ব্যর্থতার জন্য সুদ আরোপ

যেক্ষেত্রে একজন করদাতা যার অগ্রীম কর  প্রদানের কথা, কিন্তু নিয়মিত  কর নির্ধারণের সময় দেখা যায় যে,  এই অধ্যায়ের  বিধানবলি অনুসরে  তিনি  অগ্রীম কর  প্রদান করেননি, সেক্ষেত্রে ৬৯ ধারার অধীনে খেলাপি  করদাতা  হিসেবে  চিহ্নিতকরনের বিধান অক্ষুণœ  রেখে  বর্ণিত উপায়ে নির্ধারিত  করের উপর  ৭৩ ধারার  নির্ধারিত সময়ের জন্য ও হারে সরল সুদে  অতিরিক্ত সুদ  পরিশেধে করতে হবে ।

প্রশ্ন: অগ্রীম করের কিস্তি প্রদানে ব্যর্থতা

একজন করদাতার অগ্রীম কর প্রদানের উপযোগী করের যে কোন কিস্তি পরিশেধে ব্যর্থতার কারণে তার মুল হিসাব অনুসওে বা প্রাক্কলন হিসেব অনুসরে কিস্তির নির্ধারিত তারিখে পরিশোধ না করিলে খেলাপি করদাতা হিসাবে বিবেচ্য হবেন।

প্রশ্ন: রিটার্নের ভিত্তিতে কর পরিশোধে ব্যর্থতা

যেক্ষেত্রে এই আদেশের অধীনে কোন কার্যক্রমে উপকর কমিশনার যদি এ মর্মে সন্তষ্ট হন যে ,  সে কোন ব্যাক্তি ৭৪ ধারার অধীনে প্রয়োজনীয়  কর পরিশোধ করেননি অথবা  যে কর প্রদান করেছেন  তা ঐ ধারার অধীনে  তার প্রদেয় করের ৮০ শতাংশের কম , সেক্ষেত্রে উপকর কমিশনার অনুরুপ ব্যাক্তির উপর ঐরুপ দন্ড ধা
আরোপ করতে পারবেন যা তার মোট কর বা অপরিশোধিত করের শতকরা পঁচিশ ভাগের বেশী নয় ।

প্রশ্ন: বিজ্ঞপ্তি পালন না করার দন্ড

যেক্ষেত্রে কোন ব্যাক্তি যুক্তিসংগত কারন ছাড়া ৭৯,৮০ অথবা ৮৩ (১) বা ৮৩ (২) ধারার অধীনে জারীকৃত কোন নোটিশ পালনে ব্যর্থ
হয়েছেন  সেক্ষেত্রে উপকর কমিশনার তাঁর উপর এরুপ দন্ড ধার্য করিবেন য অনুরুপ ব্যাক্তির মোট আয়ের জন্য ধার্যযোগ্য করের অতিরিক্ত পরিমান নয়

প্রশ্ন: অগ্রীম কর ইত্যাদি পরিশোধে ব্যার্থতা

(ক) ৬৪ ধারার বিধান অনুসরে যৌক্তিক কারন ছাড়া অগ্রীম কর প্রদানে ব্যর্থ হয়েছেন; বা
(খ)  ৬৭ ধারার অধীনে তাঁর প্রদেয় করের আনুমানিক হিসাব সম্পর্কে জানামতে অসত্য বলে বিশ্বাাস করার যুক্তিসংগত কারন আছে, তিনি
অনুরুপ ব্যাক্তির উপর সর্বোচ্চ ঐ পরিমান দন্ড প্রয়োগ করতে পারেন যা তার পরিশোধিত কর ও যে পরিমান কর তার পরিশোধ করা উচিত ছিল এ দুইয়ের মধ্যে পার্থক্যের অতিরিক্ত নয় ।