১[৫১। তল্লাশী ও গ্রেফতার পদ্ধতি
এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির অধীন যে কোন তল্লাশী বা গ্রেফতার Code of Criminal Procedure-এর বিধানাবলী অনুযায়ী পরিচালিত হইবে।]
১অর্থ আইন, ২০০৪ (২০০৪ সনের ১৬ নং আইন) এর ধারা ৫৯ দ্বারা প্রতিস্থাপিত।
Largest and fastest growing business Portals
এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির অধীন যে কোন তল্লাশী বা গ্রেফতার Code of Criminal Procedure-এর বিধানাবলী অনুযায়ী পরিচালিত হইবে।]
১অর্থ আইন, ২০০৪ (২০০৪ সনের ১৬ নং আইন) এর ধারা ৫৯ দ্বারা প্রতিস্থাপিত।
এই আইনের অধীন গ্রেফতারকৃত প্রত্যেক ব্যক্তিকে অবিলম্বে নিকটতম এমন কোন মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করিতে হইবে যিনি উক্তরূপ গ্রেফতারকৃত কোন ব্যক্তিকে ম্যাজিষ্ট্রেট-এর নিকট প্রেরণ করার জন্য ৪[কমিশনার], মূল্য সংযোজন কর এর নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হইয়াছেন অথবা যদি যুক্তিসঙ্গত দূরত্বের মধ্যে এইরূপ কোন মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তা না থাকেন তাহা হইলে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে নিকটতম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করিতে হইবে।
ধারা ৫২ এর অধীন কোন ব্যক্তিকে থানার ভারপ্রাপ্ত যে কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করা হয় তিনি তাহাকে এখতিয়ার সম্পন্ন ম্যাজিষ্ট্রেট-এর নিকট হাজির হওয়ার জন্য জামিন দান করিবেন অথবা জামিন নামঞ্জুর করা হইলে তাহাকে উক্ত ম্যাজিষ্ট্রেট-এর হেফাজতে প্রেরণ করিবেন।
(১) ধারা ৫২ এর অধীন কোন ব্যক্তিকে কোন মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করা হইলে উক্ত কর্মকর্তা তাহার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত শুরু করিবেন।
(২) এই উদ্দেশ্যে মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তা, কোন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিনা পরওয়ানায় গ্রেফতারযোগ্য কোন অপরাধের তদন্তের ক্ষেত্রে Code of Criminal Procedure এর অধীন যে ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারেন এবং যে বিধানসমূহের আওতায় থাকেন সেই একই ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন এবং সেই একই বিধানসমূহের আওতাধীন থাকিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে,
(ক) যদি মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তা এইরূপ অভিমত পোষণ করেন যে, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে যথেষ্ট সাক্ষ্য রহিয়াছে বা সন্দেহের যুক্তিসঙ্গত কারণ রহিয়াছে তাহা হইলে তিনি তাহাকে এখতিয়ারসম্পন্ন ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মুখে হাজির হওয়ার জন্য জামিন মঞ্জুর করিবেন অথবা উক্ত ম্যাজিস্ট্রেটের হেফাজতে প্রেরণ করিবেন;
(খ) যদি মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তার নিকট প্রতীয়মান হয় যে, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে যথেষ্ট সাক্ষ্য নাই বা সন্দেহের যুক্তিসঙ্গত কারণ নাই তাহা হইলে তিনি তাহার নির্দেশ মোতাবেক জামানত সহকারে বা জামানত ব্যতীত একটি মুচলেকা প্রদান সাপেক্ষে, এখতিয়ারসম্পন্ন ম্যাজিস্ট্রেট যদি তলব করেন, এবং যখন তলব করেন তখন, তাহার সম্মুখে হাজির হওয়ার জন্য উক্ত ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তি দিবেন এবং উক্ত মামলার পূর্ণ বিবরণী সম্বলিত একটি প্রতিবেদন তাহার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট পেশ করিবেন।
৩[(১)যেক্ষেত্রে কোনো নিবন্ধিত বা নিবন্ধনযোগ্য ব্যক্তি বা টার্ণওভার কর এর আওতায় তালিকাভুক্ত বা তালিকাভুক্তির যোগ্য ব্যক্তি, তদকর্তৃক ধারা ৩৭ এর উপ-ধারা (২) এ বর্ণিত এক বা একাধিক ৪[কার্যক্রম গ্রহণের কারণে অথবা ভুলবশতঃ বা ভুল ব্যাখ্যার কারণে, সরবরাহকৃত পণ্য বা প্রদত্ত সেবার উপর প্রদেয়-
(ক) মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক ধার্য বা পরিশোধ করা হয় নাই,
(খ) একই কারণে মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক ফেরত প্রদান করা হইয়াছে,
(গ) ধারা ১৩ এর অধীন মূল্য সংযোজন কর, সম্পূরক শুল্ক, আমদানি শুল্ক, আবগারী শুল্ক, অন্যান্য শুল্ক ও কর (আগাম আয়কর ব্যতীত) প্রত্যর্পণ করা হইয়াছে,
(ঘ) বাংলাদেশে সরবরাহকৃত কোন পণ্য বা সেবার উপর প্রদেয় মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্কের বিপরীতে সমন্বয় করা হইয়াছে,
সেক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তিকে তাহার উপর যে তারিখে উক্ত মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক প্রদেয় হইয়াছিল বা প্রত্যর্পণ বা ফেরত প্রদান বা সমন্বয় করা হইয়াছিল সেই তারিখ হইতে পাঁচ (৫) বৎসরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তা নোটিশ দ্বারা, নোটিশে উল্লিখিত শুল্ক বা মূল্য সংযোজন কর দাবি করিয়া, উহাতে উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে উক্ত শুল্ক বা মূল্য সংযোজন কর পরিশোধের জন্য কারণ দর্শানো নোটিশ জারি করিবেন ৫[:
তবে শর্ত থাকে যে, যদি কোন ব্যাতক্ত ধারা ৩৭ এর উপ-ধারা (২) এর দফা (ক), (গ),(চ),(জ),(ঝ),(ট) ও (ঠ)এর অধীন অপরাধ সংগঠন করেন, তাহা হইলে মূল্য সংযোজন কর ও কর্মকর্তা, বা ক্ষেত্রমত, সংশ্লিষ্ঠ ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই উপধারায় উল্লিখিত পাঁচ(৫) বৎসর সময়সীমা প্রযোজ্য হইবে না।
(২) আমদানিকৃত পণ্যের ক্ষেত্রে কোন মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক, কোন কারণবশতঃ পরিশোধ করা না হইয়া থাকিলে ৬[বা ভুলবশতঃ কম পরিশোধিত] হইয়া থাকিলে বা ফেরত প্রদত্ত হইয়া থাকিলে উহা Customs Act- এর Section 32 ৭[এবং Section 83A তে প্রদত্ত বিধান অনুযায়ী আদায় করা হইবে।
৮[(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন শুল্ক ও কর প্রদানের জন্য যেই ব্যক্তির নিকট হইতে দাবী করা হয় সেই সেই ব্যক্তি উক্ত উপ-ধারার অধীন কারণ দর্শানো নোটিশে উল্লিখিত সময় সীমার মধ্যে লিখিতভাবে উক্ত দাবীর বিরুদ্ধে আপত্তি উত্থাপন করিলে তাহাকে শুনানীর সুযোগদান করিতে হইবে; অতঃপর উক্ত ব্যক্তির উত্থাপিত আপত্তি বিবেচনা করিয়া সংশ্লিষ্ট মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তা উক্ত আপত্তি দাখিলের ৯[১২০ (একশত বিশ) দিনের] মধ্যে বা কোন আপত্তি দাখিল করা না হইলে উক্ত উপ-ধারার অধীন নোটিশ জারীর তারিখের ১২০ (একশত বিশ) দিনের মধ্যে নোটিশে দাবীকৃত শুল্ক ও করের পরিমান, প্রয়োজনবোধে, পুনঃনির্ধারণক্রমে চূড়ান্ত করিতে পারিবেন, এবং উক্ত ব্যক্তি নোটিশে দাবীকৃত বা, ক্ষেত্রমত, পুনঃনির্ধারত শুল্ক ও কর পরিশোধ করিতে বাধ্য থাকিবেন।]
১০[(৪) উপ-ধারা (১) এ অধীন শুল্ক ও কর প্রদানের জন্য যেই ব্যক্তির নিকট হইতে দাবী করা হয়, সেই ব্যক্তি লিখিতভাবে উক্ত দাবীকৃত অর্থ কিস্তিতে পরিশোধের ইচ্ছা ব্যক্ত করিলে কমিশনার তৎকর্তৃক নির্ধারিত শর্ত ও কিস্তিতে উক্ত ১১[দাবীকৃত শুল্ক ও কর] পরিশোধের জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, কিস্তি প্রদানের সময়সীমা ছয় মাসের অতিরিক্ত হইবে না।]
১অর্থ আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১৭ নং আইন) এর ধারা ৪৫ দ্বারা প্রতিস্থাপিত।
২অর্থ আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ২২ নং আইন) এর ধারা ৪১(ক) দ্বারা প্রতিস্থাপিত।
৩অর্থ আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ২৬ নং আইন) এর ধারা ৮২ দ্বারা প্রতিস্থাপিত।
৪অর্থ আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৫ নং আইন) এর ধারা ৪২(ক) দ্বারা প্রতিস্থাপিত।
৫অর্থ আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৫ নং আইন) এর ধারা ৪২(খ) বলে (:) প্রতিস্থাপিত ও শর্তাংশ সংযোজিত।
৬অর্থ আইন, ১৯৯২ (১৯৯২ সনের ২১ নং আইন) এর ধারা ১১(১৩)(খ) দ্বারা প্রতিস্থাপিত।
৭অর্থ আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৩৩ নং আইন) এর ধারা ৮৮(খ) দ্বারা সন্নিবেশিত।
৮অর্থ আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ২২ নং আইন) এর ধারা ৪১(গ) দ্বারা প্রতিস্থাপিত।
৯অর্থ আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১৭ নং আইন) এর ধারা ৪৬ দ্বারা সংযোজিত।
১০অর্থ অধ্যাদেশ, ২০০৮ (২০০৮ সনের ৩৩ নং অধ্যাদেশ) এর ধারা ৪৪ দ্বারা প্রতিস্থাপিত।
(১) যেক্ষেত্রে কোন ব্যক্তির নিকট হইতে ধার্যকৃত কোন মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক কিংবা আরোপিত কোন অর্থদন্ড কিংবা এই আইনের বা কোন বিধির অধীন সম্পাদিত কোন মুচলেকা বা অন্য কোন দলিলের অধীনে দাবীকৃত কোন অর্থ প্রাপ্য থাকে সেক্ষেত্রে ১[সহকারী কমিশনার পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এমন কোন মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তা বিধিদ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে]-
(ক) উক্ত অর্থ, যে ব্যক্তির নিকট হইতে উহা আদায়যোগ্য হয় সেই ব্যক্তির কোন অর্থ উক্ত কর্মকর্তা বা যে কোন আয়কর, ২[শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর বা আবগারী কর্মকর্তার] নিকট হইতে প্রাপ্য হইলে এবং উহা সেই কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণাধীন হইলে, তাহা হইতে কর্তন করিবেন;
(খ) উক্ত অর্থ, যে ব্যক্তির নিকট হইতে আদায়যোগ্য হয় সেই ব্যক্তির পক্ষে বা তাহার হিসাবে কোন অর্থ যে ব্যক্তির নিকট রহিয়াছে বা পরবর্তীকালে থাকিতে পারে সেই ব্যক্তিকে লিখিত নোটিশ দ্বারা, নোটিশে উল্লিখিত পরিমাণ অর্থ, নোটিশ প্রাপ্তির ৩[পনের] দিনের মধ্যে উক্ত কর্মকর্তার নিকট পরিশোধ করার ৪[বা ক্ষেত্রমত উক্ত অর্থ যে ব্যক্তির নিকট হইতে প্রাপ্য সেই ব্যক্তির ব্যাংক একাউন্ট অপরিচালনযোগ্য (ঋৎববুব) করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে] নির্দেশ দান করিতে পারিবেন;
৫[(খখ) যদি সংশ্লিষ্ট ব্যাংক দফা (খ) এর অধীন প্রদত্ত নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হয় তাহা হইলে ব্যর্থতার জন্য দায়ী কর্মকর্তা বা কর্মকর্তাগণের বেতন ভাতাদি উক্ত দফার অধীন নোটিশে উল্লিখিত অর্থ উপ-ধারা (৪) এর অধীনে আদায় না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ করার উদ্দেশ্যে উক্ত ব্যাংক এর যথাযথ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দান করিতে পারিবেন;]
(গ) উক্ত অর্থ সম্পূর্ণরূপে পরিশোধ না করা বা আদায় না হওয়া পর্যন্ত উক্ত ব্যক্তির ব্যবসায় অঙ্গন হইতে কোন পণ্যের অপসারণ বা সেবা প্রদান বন্ধ বা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের যানবাহন (পণ্যসহ বা ব্যতিরেকে) আটক] করিতে পারিবেন;
(ঘ) উক্ত অর্থ সম্পূর্ণরূপে পরিশোধ না করা বা আদায় না হওয়া পর্যন্ত উক্ত ব্যক্তির ব্যবসায় অঙ্গন তালাবদ্ধ করিয়া রাখিতে পারিবেন;
৬[(ঘঘ) দফা (গ) বা (ঘ) অনুযায়ী কোন ব্যবস্থা গ্রহণ থাকা অবস্থায় কোন পণ্য পঁচনশীল বা নষ্ট হওয়ার হওয়ার উপক্রম হইলে, নিবন্ধিত ব্যক্তিকে নোটিশ প্রদান সাপেক্ষে, সম্ভাব্য স্বল্পতম সময়ের মধ্যে, সহকারী কমিশনারের নিম্নে নহেন এরূপ যে কোন মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তা প্রকাশ্য নিলামে বিক্রয় করিবার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন;]
(ঙ) উক্ত অর্থ যে ব্যক্তির নিকট হইতে প্রাপ্য সেই ব্যক্তির যে কোন স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও বিক্রয় অথবা বিনা ক্রোকে বিক্রয় করিতে পারিবেন;
(চ) উক্ত অর্থ যে ব্যক্তির নিকট পাওনা রহিয়াছে তাহার মালিকানাধীন কোন পণ্য কোন মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তা বা শুল্ক কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণাধীন থাকিলে উহা আটক ও বিক্রয় করিয়া উক্ত অর্থ আদায় করিত পারিবেন ৭[;
(ছ) উক্ত অর্থ যদি কোন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট হইয়া থাকে এবং ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানটি হস্তান্তরিত হইয়া থাকে তাহা হইলে উহা যে ব্যক্তির নিকট হস্তান্তরিত হইয়াছে সেই ব্যক্তির নিকট হইতে উক্ত অর্থ আদায় করিতে পারিবেন।]
৮[(১ক) কোন ব্যক্তির নিকট হইতে উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত পাওনা সম্পূর্ণরূপে আদায় না হওয়া পর্যন্ত বা উক্তরূপ পাওনার আইনানুগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা উক্ত ব্যক্তির নিবন্ধনপত্রের কার্যকারিতা স্থগিত রাখিতে পারিবেন এবং সমুদ্র বন্দর, বিমান বন্দর, অন্য কোন শুল্ক স্টেশন অথবা শুল্কাধীন পণ্যাগারে রক্ষিত সেই ব্যক্তির মালিকানাধীন কোন পণ্যের খালাস কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
ব্যাখ্যাঃ এই উপ-ধারায় “নিবন্ধনপত্রের কার্যকারিতা স্থগিত” অর্থে কম্পিউটারাইজড বিল অব এন্ট্রি প্রসেসিং সিস্টেম মূল্য সংযোজন কর নিবন্ধন নম্বর (BIN) বন্ধ (Lock) করিয়া রাখাও অন্তর্ভুক্ত হইবে।]
(২) যদি উক্ত ব্যক্তির নিকট হইতে উক্ত অর্থ উপ-ধারা (১) এ ব্যবস্থিত পদ্ধতিতে আদায় করা না যায় তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা উক্ত অর্থ প্রদানে বাধ্য ব্যক্তির নিকট হইতে প্রাপ্য অর্থের পরিমাণ উল্লেখ করিয়া তাহার স্বাক্ষরে একটি সার্টিফিকেট প্রস্তুত করিয়া উহা এমন কোন জেলা কালেক্টর এর নিকট প্রেরণ করিবেন যাহার অধিক্ষেত্রের মধ্যে উক্ত ব্যক্তি বসবাস করেন বা তাহার কোন সম্পত্তি রহিয়াছে বা তিনি কোন ব্যবসায় পরিচালনা করেন; এবং উক্ত কালেক্টর, উক্ত সার্টিফিকেট প্রাপ্তির পর উহাতে উল্লিখিত অর্থ সরকারী পাওনা বা বকেয়া ভূমি রাজস্ব হিসেবে আদায় করার কার্যক্রম শুরু করিবেন।
৯[(৩) সংশ্লিষ্ট মূল্য সাংযোজন কর কর্মকর্তা উপ-ধারা (২) এর অধীনে এক্তিয়ার- সম্পন্ন জেলা কালেক্টরের নিকট সার্টিফিকেট প্রেরণ করার পর যে কোন সময় উহা সংশোধন বা প্রত্যাহার করিতে বা উহাতে উল্লিখিত অর্থ আদায়ের কার্যক্রম স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত প্রদান করিতে বা উহা বাতিলপূর্বক নূতন সার্টিফিকেট প্রেরণ করিতে পারিবেনঃ
তবে শর্ত থাকে যে, যে ক্ষেত্রে কোন সার্টিফিকেট প্রত্যাহার করার পূর্বে সংশ্লিষ্ট জেলা কালেক্টর কর্তৃক উহাতে উল্লিখিত অর্থ আদায়ের কার্যক্রম শুরু করা হইয়াছে বা উক্ত অর্থ সম্পূর্ণ বা আংশিক আদায় করা হইয়াছে সেই ক্ষেত্রে সার্টিফিকেটটি প্রত্যাহার করা হয় নাই বলিয়া গণ্য হইবে।
(৪) উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এর অধীন কোন নোটিশ প্রাপ্তির পর যদি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ উক্ত নোটিশে প্রদত্ত নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হন তাহা হইলে উক্ত নোটিশে উল্লিখিত অর্থ উক্ত ব্যক্তি বা ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে প্রাপ্য বকেয়া রাজস্ব পাওনা বলিয়া গণ্য হইবে এবং বকেয়া রাজস্ব হিসাবে উহা আদায়যোগ্য হইবে।
(৫) সংশ্লিষ্ট মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তা যে কোন সময় উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এর আওতায় দাবীকৃত অর্থের পরিমাণ সংশোধন বা উহা পরিশোধের সময় বৃদ্ধি বা ইস্যুকৃত নোটিশ সংশোধন বা তাহা বাতিল করিতে বা উক্ত অর্থ আদায়ের কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।]
১অর্থ আইন, ১৯৯৬ (১৯৯৬ সনের ১৮ নং আইন) এর ধারা ৬(১৬)(ক)(অ) দ্বারা প্রতিস্থাপিত।
২অর্থ আইন, ২০০৫ (২০০৫ সনের ১৬ নং আইন) এর ধারা ৩৯ দ্বারা প্রতিস্থাপিত।
৩অর্থ আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ২২ নং আইন) এর ধারা ৪২ দ্বারা প্রতিস্থাপিত।
৪অর্থ আইন, ১৯৯৬ (১৯৯৬ সনের ১৮ নং আইন) এর ধারা ৬(১৬)(ক)(আ) দ্বারা সন্নিবেশিত।
৫অর্থ আইন, ১৯৯৬ (১৯৯৬ সনের ১৮ নং আইন) এর ধারা ৬(১৬)(ক)(ই) দ্বারা সন্নিবেশিত।
৬অর্থ আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৩৩ নং আইন) এর ধারা ৮৯ দ্বারা সন্নিবেশিত।
৭অর্থ আইন, ১৯৯৬ (১৯৯৬ সনের ১৮ নং আইন) এর ধারা ৬(১৬)(ক)(ঈ) দ্বারা (;)প্রতিস্থাপিত দফা (ছ) সংযোজিত।
৮অর্থ আইন, ২০০৪ (২০০৪ সনের ১৬ নং আইন) এর ধারা ৬০ দ্বারা সংযোজিত।
৯অর্থ আইন, ১৯৯৬ (১৯৯৬ সনের ১৮ নং আইন) এর ধারা ৬(১৬)(খ)দ্বারা সংযোজিত।
এই আইনের অধীন কোন আদেশ বা সিদ্ধান্ত কিংবা কোন সমন বা নোটিশ জারী করা হইবে―
(ক) আদেশ, সিদ্ধান্ত, সমন বা নোটিশটি যাহার জন্য অভিপ্রেত তাহাকে বা তাহার এজেন্টকে প্রদান করিয়া বা উহা তাহার বা তাহার এজেন্ট-এর নিকট প্রাপ্তি স্বীকারপত্র সহকারে রেজিষ্ট্রিকৃত ডাকযোগে প্রেরণ করিয়া; অথবা
(খ) যদি আদেশ, সিদ্ধান্ত বা নোটিশটি দফা (ক) তে ব্যবস্থিত কোন পদ্ধতিতে জারী করা না যায় তাহা হইলে উহা স্থানীয় মূল্য সংযোজন কর কার্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে আঁটিয়া দিয়া।
কোন পণ্যের মালিক, কোন পণ্য মূল্য সংযোজন কর বিভাগের কোন পণ্যগুদামে অথবা শুল্ক এলাকায় অথবা ঘাটে বা অবতরণ স্থানে কোন মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে থাকাকালে বা বৈধভাবে
আটক থাকাকালে উহার কোন ক্ষতি বা অনিষ্ট হইলে তজ্জন্য উক্ত পণ্যের মালিক কোন মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তা হইতে কোন ক্ষতিপূরণ দাবী করিতে পারিবেন না, যদি না ইহা প্রমাণিত হয় যে উক্ত কর্মকর্তার ইচ্ছাকৃত অবহেলা বা কোন স্বেচ্ছাচারমূলক কার্যের ফলে উক্ত ক্ষতি বা অনিষ্ট সংঘটিত হইয়াছে।
কোন নিবন্ধিত ব্যক্তি তাহার ১[ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের আওতাধীন কোন স্থাবর স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি বা মালিকানা], উক্ত ব্যবসায় পরিচালনায় এই আইনের অধীন প্রদেয় সকল মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক, ২[বা অন্যবিধ পাওনা] সম্পূর্ণরূপে পরিশোধ না করা পর্যন্ত, হস্তান্তর করিতে পারিবেন না ৩[;
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত প্রতিষ্ঠানের স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি বা মালিকানা ক্রয়কারী ব্যক্তি প্রদেয় মূল্য সংযোজন কর বা, ক্ষেত্রমত, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক ৪[বা অন্যবিধ পাওনা] পরিশোধ করা বিষয়ে কোন তফসিলী ব্যাংকের নিঃশর্ত ব্যাংক গ্যারান্টি দাখিল করিলে যথোপযুক্ত বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট কমিশনার তৎকর্তৃক নির্ধারিত শর্তে উহা হস্তান্তরের অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন।]
১অর্থ আইন, ২০০০ (২০০০ সনের ১৫ নং আইন) এর ধারা ১০০ দ্বারা প্রতিস্থাপিত।
২অর্থ আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ২৬ নং আইন) এর ধারা ৮৩ দ্বারা সন্নিবেশিত।
৩অর্থ আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১৭ নং আইন) এর ধারা ৪৭ দ্বারা (:) প্রতিস্থাপিত এবং শর্তাংশ সংযোজিত।
৪অর্থ আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ২৬ নং আইন) এর ধারা ৮৩ দ্বারা সন্নিবেশিত।
সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, Customs Act বা Exercises and Salt Act 1944 (I of 1944) এবং উহার অধীন প্রণীত বিধিমালার যে কোন বিধান প্রয়োজনীয় পরিবর্তন সহকারে এই আইনের প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে বলিয়া ঘোষণা করিতে পারিবে।