Vat Act -2012

Displaying 21-30 of 142 results.

১৯। অনাবাসিক ব্যক্তির মূসক এজেন্ট।-

১৯। অনাবাসিক ব্যক্তির মূসক এজেন্ট।— (১) কোন অনাবাসিক ব্যক্তি বাংলাদেশের কোন নির্দিষ্ট স্থান হইতে অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা না করিলে, তাহাকে একজন মূসক এজেন্ট নিয়োগ করিতে হইবে। 
 1[(২) অনাবাসিক ব্যক্তির সকল দায়দায়িত্ব ও কার্যাবলী উক্ত মূসক এজেন্ট পালন ও সম্পাদন করিবেন, এবং আরোপিত কর, জরিমানা, দণ্ড এবং সুদসহ যাবতীয় অর্থ পরিশোধের জন্য তিনি অনাবাসিক ব্যক্তি দায়বদ্ধ থাকিবেন।] 
 (৩) মূসক এজেন্ট কর্তৃক সম্পাদিত অর্থনৈতিক কার্যক্রমের নিবন্ধন তাহার প্রধানের (ঢ়ৎরহপরঢ়ধষ) নামে হইতে হইবে। 
 (৪) বোর্ড, মূসক এজেন্ট নিয়োগের শর্ত, পদ্ধতি ও তাহার দায়—দায়িত্ব নির্ধারণ করিতে পারিবে।

1অর্থ আইন, ২০২১ (২০২১ সনের ১১ নং আইন) এর ধারা ৩৯ দ্বারা প্রতিস্থাপিত

২০। আমদানিকৃত সেবার ক্ষেত্রে গ্রহীতার নিকট হইতে (reverse charged) কর আদায়।-

২০। আমদানিকৃত সেবার ক্ষেত্রে গ্রহীতার নিকট হইতে  (reverse charged) কর আদায়।—
 (১) এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, আমদানিকৃত কোন সেবা সরবরাহ করযোগ্য সরবরাহ হইবে, যদি
 (ক) সরবরাহ গ্রহীতা একজন নিবন্ধিত বা নিবন্ধনযোগ্য ব্যক্তি হন এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম প্রক্রিয়ায় উক্ত সেবা অর্জন (ধপয়ঁরৎব) করেন; এবং 
 (খ) সরবরাহটি নিবন্ধিত বা নিবন্ধনযোগ্য ব্যক্তি কর্তৃক অর্থনৈতিক কার্যক্রম প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশে প্রদত্ত হইলে—
 (অ) উক্ত সেবা শূন্যহার বিশিষ্ট না হইয়া অন্য কোন হারে করযোগ্য হয়; এবং 
 (আ) সরবরাহগ্রহীতা উক্ত সেবার উপর আরোপিত সমুদয় মূসক রেয়াতপ্রাপ্ত 1[*] হন। 
(২) আমদানিকৃত সেবার করযোগ্য সরবরাহের গ্রহীতা কর্তৃক প্রদেয় মূল্য সংযোজন কর উক্ত ব্যক্তির উৎপাদ এবং উপকরণ উভয়বিধ কর হইবে। 
(৩) আমদানিকৃত সেবা সরবরাহের কারণে যদি কোন সমন্বয় ঘটনা সংঘটিত হইয়া থাকে বা হয়, তাহা হইলে উক্তরূপ সমন্বয় সংঘটনের কারণে উক্ত সেবা একটি করযোগ্য সরবরাহ হইবে এবং উক্ত সেবার সরবরাহ গ্রহীতা সেবা সরবরাহকারী হিসাবে গণ্য হইবেন।
(৪) “আমদানিকৃত সেবা”র সংজ্ঞা এবং উক্ত সেবার ক্ষেত্রে এই আইন প্রয়োগের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, যদি কোন নিবন্ধিত বা নিবন্ধনযোগ্য ব্যক্তি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নির্দিষ্ট কোন স্থান হইতে এবং বাংলাদেশের বাহিরে এক বা একাধিক নির্দিষ্ট স্থান হইতে অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন, তবে—
(ক) উক্ত ব্যক্তিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এবং বাহিরে পরিচালিত করযোগ্য কার্যক্রমের ক্ষেত্রে দুইজন পৃথক ব্যক্তি হিসাবে গণ্য করা হইবে;
(খ) বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত ব্যক্তি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত ব্যক্তির নিকট (এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সংজ্ঞায়িত) সেবার প্রকৃতি বিশিষ্ট সুবিধা সম্বলিত সেবা প্রদান করিয়াছে বলিয়া গণ্য করা হইবে, যাহা বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত ব্যক্তি কর্তৃক পরিচালিত কার্যক্রমের মাধ্যমে বা ফলশ্রম্নতিতে বাংলাদেশের 
অভ্যন্তরে অবস্থিত ব্যক্তি কর্তৃক প্রাপ্ত হইয়াছে;

(গ) সেবা সরবরাহ করা হইয়াছে উহা অনুমান করিয়া সরবরাহের সময় নির্ধারণ করা হইবে; এবং 
(ঘ) সেবা সরবরাহ বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত কোন অনাবাসিক ব্যক্তি কর্তৃক বাংলাদেশে অবস্থিত কোন সহযোগীর নিকট প্রদান করা হইয়াছে অনুমান করিয়া উহার মূল্য নির্ধারণ করা হইবে।
 2[(৫) এই ধারা অন্যান্য উপ—ধারাসমূহে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, প্রথম তফসিলে বর্ণিত অব্যাহতিপ্রাপ্ত সেবাসমূহ ব্যতীত নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত নহেন অথবা নিবন্ধন বা তলিকাভূক্তিযোগ্য নহেন এমন কোন ব্যক্তি কর্তৃক আমদানিকৃত কোন সেবা করযোগ্য সরবরাহ ্হইবে এবং উহা হইতে নিম্নরূপে মূল্য সংযোজন কর আদায় হইবে, যথা:
 (ক) সংশ্লিষ্ট সেবা আমদানির ক্ষেত্রে সেবামূল্যের আংশিক বা পূর্ণমূল্য পরিশোধের সময় প্রদেয় সমুদয় মূল্য সংযোজন কর মূল্য পরিশোধের মাধ্যম হিসেবে  ব্যবহৃত ব্যাংক বা অন্য কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তন করিবে; এবং
 (খ) কর্তনকারী ব্যাংক বা অন্য কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান সেবা আমাদানিকারকের পক্ষে তাহার দাখিলপত্রের মাধ্যমে হিসাব করিয়া কর্তনকৃত মূসক পরিশোধ  করিবে।


1অর্থ আইন, ২০২১ (২০২১ সনের ১১ নং আইন) এর ধারা ৪০ দ্বারা “না” শব্দটি বলুপ্ত

2অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন) এর ধারা ৬৪ দ্বারা নূতন উপ—ধারা (৫) সন্নিবেশিত

২১। শূন্যহার বিশিষ্ট সরবরাহ।-

২১। শূন্যহার বিশিষ্ট সরবরাহ।- (১) এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, নিম্নবর্ণিত সরবরাহের ক্ষেত্রে মূসক হার হইবে শূন্য, যথা:-

(ক) ধারা ২২, ২৩ এবং ২৪ এ উল্লিখিত কোন সরবরাহ; বা

(খ) শূন্যহার বিশিষ্ট সরবরাহ গ্রহণের অধিকার (right) বা ভবিষ্য ক্রয় বা বিক্রয়ের অধিকার (option) সংক্রান্ত সরবরাহ।

(২) যদি কোন সরবরাহ অব্যাহতিপ্রাপ্ত এবং শূন্যহার বিশিষ্ট উভয়ই হয়, তাহা হইলে এই উপ-ধারার আওতায় সরবরাহটি অব্যাহতিপ্রাপ্ত না হইয়া শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে।

২২। বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত ভূমি।-

২২। বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত ভূমি।- স্থাবর সম্পত্তির সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে, যদি স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কিত ভূমি বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত হয়।

২৩। রপ্তানির নিমিত্ত পণ্য সরবরাহ।-

২৩। রপ্তানির নিমিত্ত পণ্য সরবরাহ।- (১) রপ্তানির উদ্দেশ্যে কোন পণ্যের সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে: তবে শর্ত থাকে যে, পুনঃআমদানিকৃত বা পুনঃআমদানির জন্য অভিপ্রেত কোন পণ্যের রপ্তানির

[ক্ষেত্রে এই উপ-ধারার বিধান প্রযোজ্য হইবে না।

(২) নিম্নবর্ণিত সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে, যথা:-

(ক) যদি পণ্যটি সরবরাহের সময় বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত হয় এবং উক্ত পণ্য সরবরাহকারী কর্তৃক বাংলাদেশে সংযোজন, সংস্থাপন বা আমদানি করা না হয়;

(খ) যদি পণ্যটি আমদানির পর বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভোগের নিমিত্তে প্রবেশের পূর্বে বাংলাদেশের বাহিরে কোন স্থানে সরবরাহ করা হয়, তাহা হইলে উক্ত পণ্য সরবরাহকালে বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত ছিল বলিয়া গণ্য হইবে;

(গ) লাইসেন্সধারী শুল্কমুক্ত পণ্য বিক্রেতা কর্তৃক পর্যটক বা বিদেশ হইতে আগত কোন দর্শনার্থীর নিকট বাংলাদেশের বাহিরে ভোগের নিমিত্ত কোন পণ্যের সরবরাহ; বা

(ঘ) যদি পণ্যটি একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের সমগ্র সময়কাল বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থান করে, তাহা হইলে উক্ত পণ্যের লিজ, হায়ার, লাইসেন্স বা উহারব্যবহার সম্পর্কিত অন্যান্য সরবরাহ পৃথক সরবরাহ হিসাবে গণ্য হইবে এবং উক্তরূপ প্রতিটি সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে।

তবে, শর্ত থাকে যে, যদি পণ্যটি আন্তর্জাতিক ভূখন্ডে অবস্থানের অব্যবহিত পূর্বে এবং পরে বাংলাদেশে অবস্থান করে, তাহা হইলে লিজকৃত পণ্যটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আছে বলিয়া গণ্য হইবে।

(৩) নিম্নবর্ণিত শর্ত সাপেক্ষে, কোন পণ্যের মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ, পরিষ্কারকরণ, সংস্কার সাধন, পরিবর্তন সাধন বা অনুরূপ কাজে ব্যবহার্য কোন পণ্যের সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে, যথা:-

(ক) যদি সরবরাহকৃত পণ্য উক্ত পণ্যের সহিত সংযোজন করা হয় বা উহার অংশে পরিণত হয় বা সংযোজিত হইবার ফলে উহা অব্যবহারযোগ্য বা নষ্ট হইয়া যায়;

(খ) যদি উক্ত পণ্য [কাস্টমস আইনের] অধীন বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আমদানি করা হয়; বা

(গ) যদি উক্ত পণ্য বাংলাদেশে সেবা গ্রহণের নিমিত্ত অস্থায়ীভাবে আনয়ন করা হয় ও সেবা গ্রহণের পর উক্ত পণ্য সেবা গ্রহণ ব্যতীত বাংলাদেশে অন্য কোন উদ্দেশ্যে ব্যবহার না করিয়া উহা বাংলাদেশ হইতে রপ্তানি করা হয়।

(৪) নিম্নবর্ণিত শর্ত সাপেক্ষে, মেরামত বা প্রতিস্থাপনের ওয়ারেন্টিযুক্ত পণ্যের সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে, যথা:-

(ক) অনাবাসিক ও অনিবন্ধিত ওয়ারেন্টি প্রদানকারী কর্তৃক পণ প্রদান করা হইবে মর্মে ওয়ারেন্টি প্রদানকারীর সহিত সম্পাদিত চুক্তির অধীন যদি উক্ত পণ্য সরবরাহ করা হয়; এবং

(খ) মালিকের উপর কোনরূপ মাশুল (পযধৎমব) আরোপ ব্যতিরেকে যদি উক্ত পণ্য মেরামত বা প্রতিস্থাপন করা হয়।

(৫) আন্তর্জাতিক পরিবহনে নিয়োজিত সমুদ্রগামী জাহাজ বা উড়োজাহাজ বা অনুরূপ কোন যানবাহনের মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ, পরিষ্কারকরণ, সংস্কার সাধন, পরিবর্তন সাধন বা অন্যবিধভাবে উহার কায়িক অবস্থার উপর অন্য কোন প্রভাব বিস্তারকরণের প্রক্রিয়ায় সরবরাহকৃত পণ্য শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে।

(৬) আন্তর্জাতিক পরিবহনে নিয়োজিত সমুদ্রগামী জাহাজ বা উড়োজাহাজ সম্পর্কিত পণ্যসম্ভার বা যন্ত্রাংশ ফ্লাইটের সময় বা সামুদ্রিক যাত্রাপথে উক্ত যানবাহনে ব্যবহার, ভোগ বা বিক্রয়ের কাজে ব্যবহৃত হইলে উক্ত পণ্য-সম্ভার বা যন্ত্রাংশ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে।

ব্যাখ্যা: এই ধারায়, “পণ্যসম্ভার” অর্থ কোন সমুদ্রগামী জাহাজ বা উড়োজাহাজের

ক্রু বা যাত্রীগণের ব্যবহার্য বা উহার রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের কাজে ব্যবহার্য পণ্য-সম্ভার, এবং ব্যবহার্য পণ্য, জ্বালানী, খুচরা যন্ত্রাংশ, যন্ত্রপাতি, অনুরূপ পণ্য, তাৎক্ষণিক ব্যবহৃত হউক বা না হউক, উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে।


অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন ) এর ধারা ৬৫ এর দফা (ক) দ্বারা “রপ্তানির” শব্দটি বিলুপ্ত

অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন ) এর ধারা ৬৫ এর দফা (খ) দ্বারা “শুল্ক আইনের” শব্দ গুলো প্রতিস্থাপিত

২৪। শূন্যহার বিশিষ্ট সেবা সরবরাহ।-

২৪। শূন্যহার বিশিষ্ট সেবা সরবরাহ।-
 (১) বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত কোন ভূমির সহিত প্রত্যক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট সেবার সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে।
 (২) সরবরাহ প্রদানকালে বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত কোন পণ্যের উপর কায়িকভাবে প্রদত্ত সেবা শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে। 
 (৩) নিম্নবর্ণিত শর্ত সাপেক্ষে, কোন পণ্যের মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ, পরিষ্কারকরণ, সংস্কার সাধন, পরিবর্তন সাধন, ইত্যাদি কাজে ব্যবহার্য কোন সেবা সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে, যথা:—
 (ক) যদি উক্ত পণ্য 1[কাস্টমস আইনের] অধীন অস্থায়ীভাবে আমদানি করা হয়; বা 
 (খ) যদি সেবা গ্রহণের উদ্দেশ্যে অস্থায়ীভাবে উক্ত পণ্য বাংলাদেশে আনয়ন করিবার পর সেবা গ্রহণ শেষে বাংলাদেশে অন্য কোন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত না হইয়া উহা বাংলাদেশ হইতে রপ্তানি করা হয়। 
 (৪) আমদানিকৃত পণ্যের শুল্কমূল্যের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত সেবার সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে। 
 2[(৫) বাংলাদেশের বাহিরে সেবা রপ্তানি শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে। ] 
 (৬) উপ—ধারা (৫) এর বিধান সাপেক্ষে, কোন সেবা সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে, যদি—
(ক) সরবরাহ গ্রহীতা—
 (অ) কোন অনাবাসিক ব্যক্তি হন এবং সেবা সরবরাহের সময় বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থান করেন; বা 
 (আ) কোন আবাসিক ব্যক্তি হন এবং সেবা সরবরাহের সময় বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থান করিয়া কার্যত উক্ত সেবা গ্রহণ করেন; এবং 
(খ) উক্ত সেবা—
 (অ) বাংলাদেশে অবস্থিত ভূমির সহিত প্রত্যক্ষভাবে সম্পর্কযুক্ত না হয়; 
 (আ) সরবরাহকালে বাংলাদেশে অবস্থিত পণ্যের উপর উহা কায়িকভাবে প্রদান করা না হয়; বা
 (ই) বাংলাদেশের বাহিরে সাময়িকভাবে অবস্থানরত কোন ব্যক্তিকে বৈশ্বিক পদচারণার (মষড়নধষ ৎড়ধসরহম) ক্ষেত্রে প্রদান করা না হয়।

(৭) উপ—ধারা (৪) এর অধীন কোন সেবা সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে না, যদি—
 (ক) উক্ত সেবা সরবরাহ বাংলাদেশে অন্য কোন বিষয়ে একটি পরবর্তী সরবরাহ প্রাপ্তির (যাহা অব্যাহতিপ্রাপ্ত বা শূন্যহার বিশিষ্ট নয়) অধিকার (ৎরমযঃ) বা ভবিষ্যতে ক্রয়ের অধিকার অর্জন (ড়ঢ়ঃরড়হ) করা সংক্রান্ত হয়; বা
 (খ) উক্ত সেবা বাংলাদেশে অনিবন্ধিত কোন ব্যক্তির নিকট সরবরাহ করিবার উদ্দেশ্যে কোন অনাবাসিক ব্যক্তির সহিত সম্পাদিত চুক্তির অধীন সরবরাহ করা হয়। 
 (৮) বাংলাদেশের বাহিরে কোন বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি সম্পর্কিত অধিকার সংরক্ষণের লক্ষ্যে মামলা নথিভুক্তকরণ, মামলা পরিচালনা, অধিকার অর্পণ, উহার সংরক্ষণ, হস্তান্তর, স্বত্বহস্তান্তর, লাইসেন্সকরণ বা অধিকার বলবৎকরণ সংক্রান্ত সেবা সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে। 
 (৯) কোন টেলিযোগাযোগ সরবরাহকারী কর্তৃক অন্য কোন অনাবাসিক টেলিযোগাযোগ সরবরাহকারীর নিকট প্রদত্ত টেলিযোগাযোগ সেবার সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে। 
 (১০) মেরামত বা প্রতিস্থাপনের ওয়ারেন্টিযুক্ত পণ্যের অনুকূলে প্রদত্ত সেবা সরবরাহ নিম্নবর্ণিত শর্ত সাপেক্ষে, শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে, যথা:—
 (ক) অনাবাসিক ও অনিবন্ধিত ওয়ারেন্টি প্রদানকারী কর্তৃক পণ প্রদত্ত হইবে মর্মে ওয়ারেন্টি প্রদানকারীর সহিত সম্পাদিত চুক্তির অধীন যদি উক্ত সেবা সরবরাহ করা হয়; বা
 (খ) মালিকের উপর কোনরূপ মাশুল আরোপ ব্যতিরেকে সেবা প্রদান করা হয়। 
 (১১) নিম্নবর্ণিত সেবা সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে, যথা:—
 (ক) আন্তর্জাতিক পরিবহনে সেবা সরবরাহ;
 (খ) পণ্যের আন্তর্জাতিক পরিবহনে বীমা সেবা সরবরাহ;
 (গ) আন্তর্জাতিক পরিবহনে নিয়োজিত সমুদ্রগামী জাহাজ বা উড়োজাহাজের মেরামত, সংরক্ষণ, পরিষ্কারকরণ, সংস্কার সাধন, পরিবর্তন সাধন বা অন্য কোনভাবে কায়িক অবস্থার উপর প্রভাব বিস্তারকরণের সেবা সরবরাহ; 
 (ঘ) আন্তর্জাতিক পরিবহনে নিয়োজিত কোন সমুদ্রগামী জাহাজ বা উড়োজাহাজের চালনা, পরিচালনা বা ব্যবস্থাপনা, অনুরূপ বিষয়ের সহিত প্রত্যক্ষভাবে জড়িত সেবা অনিবন্ধিত ও অনাবাসিক ব্যক্তির নিকট সরবরাহ; বা 
 (ঙ) জাহাজে মালামাল বোঝাই ও খালাসকরণ সংক্রান্ত সরবরাহ।


1অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন) এর ধারা ৬৬ দ্বারা “শুল্ক আইনের” শুব্দগুলো প্রতিস্থাপিত 
2অর্থ আইন, ২০২১ (২০২১ সনের ১১ নং আইন) এর ধারা ৪১ দ্বারা প্রতিস্থাপিত

২৫। ট্রাভেল এজেন্ট এবং ট্যুর অপারেটর।-

২৫। ট্রাভেল এজেন্ট এবং ট্যুর অপারেটর।- এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, পর্যটন সেবা বাংলাদেশে প্রদত্ত হউক বা না হউক তাহা নির্বিশেষে এবং উহা বাংলাদেশে প্রদত্ত হইলে শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে কি-না তাহা বোর্ড নির্ধারণ করিতে পারিবে এবং প্রতি করমেয়াদে সামগ্রিক ভিত্তিতে শূন্যহার বিশিষ্ট নয় এমন পর্যটন সেবার মূল্য নির্ধারণ করিয়া বোর্ড বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।

ব্যাখ্যা: এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে “পর্যটন সেবা” অর্থ আবাসন, খাদ্য, ভ্রমণ, বিনোদন এবং সমজাতীয় কোন বিষয় যা সচরাচর পর্যটক এবং আন্তর্জাতিক দর্শণার্থীদেরকে প্রদান করা হয়।


 

২৭। করযোগ্য আমদানির উপর মূসক আদায় পদ্ধতি।-

খ- ‘ক’- আমদানির ক্ষেত্রে

[২৭। করযোগ্য আমদানির উপর মূসক আদায় পদ্ধতি।- কাস্টমস আইনের অধীন যে পদ্ধতি ও সময়ে আমদানি শুল্ক আইনের আদায় করা হয় সেই একই পদ্ধতি ওসময়ে, আমদানির উপর আমদানি শুল্ক প্রযোজ্য না হইলেও করযোগ্য আমদানির উপর মূসক আদায় করিতে হইবে। ]


অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন ) এর ধারা ৬৭ দ্বারা প্রতিস্থাপিত

২৬। অব্যাহতিপ্রাপ্ত সরবরাহ বা অব্যাহতিপ্রাপ্ত আমদানি।-

২৬। অব্যাহতিপ্রাপ্ত সরবরাহ বা অব্যাহতিপ্রাপ্ত আমদানি।- এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, নিম্নবর্ণিত সরবরাহসমূহ মূসক অব্যাহতিপ্রাপ্ত হইবে, যথা:-

(ক) প্রথম তফসিলে উল্লিখিত কোন সরবরাহ বা আমদানি; বা

(খ) অব্যাহতিপ্রাপ্ত সরবরাহ গ্রহণের অধিকার (right ) বা ভবিষ্য ক্রয় বা বিক্রয়ের অধিকার (option) সংক্রান্ত সরবরাহ।

২৮। করযোগ্য আমদানির মূল্য নির্ধারণ।-

[২৮। করযোগ্য আমদানির মূল্য নির্ধারণ।- কোন করযোগ্য আমদানির ক্ষেত্রে মূসক আরোপের ভিত্তিমূল্য হইবে নিম্নবর্ণিত পরিমাণের সমষ্টি, যথা:-

(ক) কাস্টমস আইনের অধীন আমদানি শুল্ক আরোপের উদ্দেশ্যে ধার্যকৃত পণ্য মূল্যের পরিমাণ; এবং

(খ) পণ্য আমদানির উপর প্রদেয়, যদি থাকে, আমদানি শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক এবং অন্যান্য কর (মূসক এবং আগাম আয়কর ব্যতীত)। ]


অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সনের ১০ নং আইন ) এর ধারা ৬৮ দ্বারা প্রতিস্থাপিত