Largest and fastest growing business Portals
Tweet
১৯৯০ সালের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের সিমেন্ট খাত ছিল আমদানিনির্ভর। দেশের চাহিদার ৯৫ শতাংশ সিমেন্টই ইন্দোনেশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন থেকে আমদানি করা হতো। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে নগরায়ণ, শিল্পায়ন, অবকাঠামো উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে দেশে সিমেন্টের চাহিদাও বাড়তে থাকে। এ অবস্থায় নব্বইয়ের পর সরকারের অনুমোদন নিয়ে দেশি-বিদেশি একাধিক কোম্পানি বাংলাদেশে সিমেন্ট উৎপাদন শুরু করে। উৎপাদন শুরুর কয়েক বছর পর্যন্ত সিমেন্ট খাতে ছিল মাত্র চারটি কোম্পানির আধিপত্য। কোম্পানিগুলো হলো মেঘনা সিমেন্ট, ইস্টার্ন সিমেন্ট, ছাতক ও চিটাগাং সিমেন্ট। এর মধ্যে ইস্টার্ন সিমেন্ট বর্তমানে সেভেন হর্স সিমেন্ট হিসেবে পরিচিত। আর চিটাগাং সিমেন্ট হাতবদল হয়ে এখন হাইডেলবার্গ সিমেন্ট। ২০০০ সালের পর থেকে এ খাতে নতুন নতুন দেশীয় কোম্পানি
যুক্ত হতে থাকে। বর্তমানে সিমেন্ট খাতে ১২৪টি কোম্পানি নিবন্ধিত থাকলেও এর মধ্যে উৎপাদনে রয়েছে ৩৩টি। বর্তমানে দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি সীমিত আকারে কিছু সিমেন্ট রপ্তানিও হচ্ছে। সারা বিশ্বে বাংলাদেশ ৪০তম বৃহত্তম সিমেন্ট উৎপাদনকারী দেশ।
জানতে চাইলে প্রিমিয়ার সিমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আমীরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘২০০০ সালের আগে সিমেন্ট খাতে হাতে গোনা কয়েকটি কোম্পানি ছিল। তাই দীর্ঘদিন ধরে সিমেন্টের বাজারটি ছিল বহুজাতিক কোম্পানির দখলে। কিন্তু ২০০০ সালের পর দেশীয় অনেক কোম্পানি এ খাতে বিনিয়োগ করায় সিমেন্টের বাজারে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর একক আধিপত্য কমতে শুরু করে। আশা করছি আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সিমেন্টের বাজারের সিংহভাগই দেশীয় কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।’
সিমেন্ট খাতের ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে দেশে প্রতি মাসে গড়ে ২০ থেকে ২২ লাখ মেট্রিক টন সিমেন্টের চাহিদা রয়েছে। তবে এটি কখনো কখনো ওঠানামা করে।
তথ্যসূত্র : প্রথমআলো
Leave a Comment