New Rules-2016

 

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড

সেগুনবাগিচা, ঢাকা

[মূল্য সংযোজন কর সম্পূরক শুল্ক]

 

প্রজ্ঞাপন

 

ঢাকা, ০৩ নভেম্বর, ২০১৬ খ্রিস্টাব্দ/ ১৯ কার্তিক, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ

 

এস, আর, নং ৩৩৩-আইন/২০১৬/১-মূসক-মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর ধারা ১৩৫ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নি¤œরূপ বিধিমালা প্রণয়ন করিল, যথা:-

 

প্রথম অধ্যায়

 

প্রারম্ভিক

 

১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন।-(১) এই বিধিমালা মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক বিধিমালা, ২০১৬নামে অভিহিত হইবে।

(২)           এই বিধিমালার দ্বিতীয় অধ্যায় ও উক্ত অধ্যায় সংশ্লিষ্ট প্রথম অধ্যায়ের সংজ্ঞাসমূহ অবিলম্বে কার্যকর হইবে।

(৩)          উপ-বিধি (২) এ উল্লিখিত অধ্যায় ব্যতীত এই বিধিমালার অন্যান্য অধ্যায়সমূহ বোর্ড, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ নির্ধারণ করিবে, সেই তারিখে কার্যকর হইবে।

 

২। সংজ্ঞা।-(১) বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোনো কিছু না থাকিলে, এই বিধিমালায়,-

(ক) আইন” অর্থ মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ৪৭ নং আইন);

(খ) আমদানি মূল্য” Customs Act, ১৯৬৯ (IV of 1969) এর section ২৫ ও ২৫অ অনুযায়ী নিরূপিত মূল্য;

(গ) টার্নওভার কর সনদপত্র” অর্থ ধারা ১০ এর উপ-ধারা (২), বা ধারা ১২ এর অধীন কোনো তালিকাভুক্ত ব্যক্তির অনুকূলে কমিশনার কর্তৃক জারীকৃত টার্নওভার কর সনদপত্র;

(ঘ)  তালিকাভুক্ত ব্যক্তি” অর্থ ধারা ১০ এর অধীন তালিকাভুক্ত ব্যক্তি;

(ঙ)  ধারা” অর্থ আইনের ধারা;

(চ)  পরস্পর সম্পর্কযুক্ত ব্যক্তি” অর্থ আইনের অধীন নিবন্ধিত বাতালিকাভুক্ত দুই জন ব্যক্তি  যাহাদের  মধ্যে  একই  মালিকানার  শেয়ারের  পরিমাণ  ন্যূনতম ৫০  (পঞ্চাশ) শতাংশ;

(চচ)     “পশ্চাদ সংযোগ শিল্প প্রতিষ্ঠান”(Backward Linkage Industry) অর্থ এইরূপ কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান যে শিল্প প্রতিষ্ঠান অভ্যন্তরীণ ব্যাক—টু—ব্যাক ঋণপত্র বা অভ্যন্তরীণ ঋণপত্রের বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময়ে এইরূপ কোনো নিবন্ধিত ব্যক্তির নিকট পণ্য সরবরাহ বা সেবা প্রদান করে যিনি বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময়ে কোনো প্রকৃত                              রপ্তানিকারকের নিকট পণ্য সরবরাহ বা সেবা প্রদানের জন্য অভ্যন্তরীণ ব্যাক—টু—ব্যাক ঋণপত্রে আবদ্ধ;

 (ছ)          প্রতিনিধি” অর্থ কোনো নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত ব্যক্তির পক্ষে আইনের অধীন যেকোনো কার্য সম্পাদনের লক্ষ্যে করদাতা কর্তৃক যথাযথ পদ্ধতিতে মনোনীত কোনো প্রতিনিধি;

(ছছ)   “প্রকৃত রপ্তানিকারক বা রপ্তানিকারক” অর্থ এইরূপ কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যিনি তাহার উৎপাদিত পণ্য বা সেবা বা অন্যবিধভাবে সংগৃহীত পণ্য বা সেবা সরকার কতৃর্ক, সময় সময়, জারীকৃত রপ্তানি নীতি আদেশে বর্ণিত  শর্তাবলি এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কতৃর্ক, সময় সময়, জারীকৃত বৈদেশিক মুদ্রা সংক্রান্ত বিধি—বিধান পালন করিয়া সরাসরি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকায় বা বাংলাদেশের বাহিরে রপ্তানি করেন;

(জ)          ফরম” অর্থ এই বিধিমালার সহিত সংযোজিত যে কোনো ফরম;

(ঝ)          বন্ডেড ওয়্যারহাউস” এবং “স্পেশাল বন্ডেড ওয়্যারহাউস” অর্থ

Customs Act,, ১৯৬৯ (IV of 1969) এর Chapter XI এ বর্ণিত,যথাক্রমে, bonded warehouse এবং special bonded ware house;

(ঞ)         বিনিময় পদ্ধতির সরবরাহ (supply under barter process)” অর্থ এমন কোনো সরবরাহ যাহা পরস্পর সম্পর্কযুক্ত ব্যক্তিদ্বয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়;

(ট)           বিল অব এক্সপোর্ট” অর্থ  Customs Act, ১৯৬৯ (IV of 1969) এর section ১৩১এর অধীন দাখিলকৃত বিল অব এক্সপোর্ট;

[(টট) বিভাগীয় কর্মকর্তা” অর্থ এমন কোনো সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা যিনি মূল্য সংযোজন কর বিভাগীয় কার্যালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত এবং বিভাগীয় কর্মকর্তার যে কোন কার্য সম্পাদনের জন্য দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত মূল্য সংযোজন কর বৃহৎ করদাতা ইউনিট এর সহকারী কমিশনার পদের ন‡¤œ নহেন এইরূপ পদমর্যাদার কোন কর্মকর্তা:। 

(ঠ)            বোর্ড” অর্থ National Board of Revenue Order, ১৯৭২ (Presi dent Order 76 of  ১৯৭২) এর অধীন গঠিত জাতীয় রাজস্ব    বোর্ড;

(ড)          ব্যক্তি” অর্থ ধারা ২ এর দফা (৭৪) এ সংজ্ঞায়িত কোনো ব্যক্তি;

(ঢ)           ব্যাংক হিসাব” অর্থ নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত ব্যক্তি কর্তৃক যেকোনো ব্যাংকের সহিত পরিচালিত হিসাব যাহা কমিশনারকে অবহিত করা হইয়াছে এবং উহা কমিশনার কর্তৃক মূসক কম্পিউটার সিস্টেমে ধারণ করা হইয়াছে;

(ণ)           মূসক আইন” অর্থ ধারা ১৩৭ এর অধীন রহিত মূল্য সংযোজনকর আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ২২ নং আইন);

(ত)          মূসক  এজেন্ট”  অর্থ  অনাবাসিক  ব্যক্তি  কর্তৃক  তাহার  পক্ষে  মূল্য

সংযোজন কর কর্তৃপক্ষের সহিত কার্য সম্পাদনের লক্ষ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি;

 (থ)     মূসক নিবন্ধন সনদপত্র” অর্থ ধারা ৬ এর উপ-ধারা (২), ধারা ৮ এর

উপ-ধারা (২) বা ধারা ১২ এর অধীন কোনো নিবন্ধিত ব্যক্তির অনুকূলে কমিশনার কর্তৃক জারীকৃত মূল্য সংযোজন কর নিবন্ধন সনদপত্র;

[(থথ)রাজস্ব কর্মকর্তা” অর্থ স্থনীয় মূল্য সংযোজন কর কার্যালয়ের বা সার্কেলের বা মূল্য সংযোজন কর বৃহৎ করদাতা ইউনিটের দায়িত্বে নিয়োজিত রাজস্ব কর্মকর্তা;

 (থথথ)  “স্থানীয়  মূল্য  সংযোজন  কর  কার্যালয়”  অর্থ  রাজস্ব  কর্মকর্তা  মূল্য সংযোজন কর এর কার্যালয়, মূল্যে সংযোজন কর বৃহৎ করদাতা ইউনিট

এর আওতাধীন রাজস্ব কর্মকর্তা এর অধীনে ন্যস্ত যে কোনো শাখা এবং

বোর্ড কর্তৃক সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নির্ধারিত অন্য কোনো কার্যালয়;]

(দ)           হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা” অর্থ প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা।

(২)           এই বিধিমালায় ব্যবহৃত হইয়াছে কিন্তু সংজ্ঞা প্রদান করা হয় নাই এইরূপ শব্দ বা অভিব্যক্তি আইনে যে সংজ্ঞা

প্রদান  করা  হইয়াছে  সেই  একই  অর্থে  ব্যবহৃত  হইয়াছে  বলিয়া গণ্য হইবে।

 

 
 

 

 

 

১ এসআরও নং-১৪০-আইন/২০২১/১৩৭-মূসক, তারিখ: ০৩/০৬/২০২১ দ্বারা দফা (চচ) সন্নিবেশিত

এসআরও নং-১৪০-আইন/২০২১/১৩৭-মূসক, তারিখ: ০৩/০৬/২০২১

এসআরও নং-১৭১-আইন/২০১৯/২৮-মূসক, তারিখ: ১৩/০৬/২০১৯ দ্বারা দফা (টট) সন্নিবেশিত

 এসআরও নং-২২৬-আইন/২০১৯/৬২-মূসক, তারিখ: ৩০/০৬/২০১৯ দ্বারা দফা ‘(থথ) ও (থথথ) সন্নিবেশিত

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

দ্বিতীয় অধ্যায়

মূসক নিবন্ধন টার্নওভার কর তালিকাভুক্তি

 

৩। নিবন্ধন বা তালিকাভুক্তির সীমা নির্ধারণ।- ধারা ২ এর দফা (৪৮) ও দফা

(৫৭)         এর বিধান সাপেক্ষে, কোনো ব্যক্তির তালিকাভুক্তি বা নিবন্ধন সীমা অতিক্রমের বিষয়টি উক্ত ব্যক্তির 1[***] সামগ্রিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম বিবেচনা করিয়া নির্ধারণ করিতে হইবে।

৪। নিবন্ধনের আবেদন ও নিবন্ধন প্রদান।- 2 [(১) প্রত্যেক নিবন্ধনযোগ্য ব্যক্তি যে দিন তাহার নিবন্ধনের আবশ্যকতা উদ্ভূত হইবে সেই দিনের পর হইতে ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে আবাসিক ব্যক্তির ক্ষেত্রে ফরম “মূসক ২.১” এবং অনাবাসিক ব্যক্তির ক্ষেত্রে ফরম “মূসক ২.২” এ সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কর্মকর্তার নিকট মূসক নিবন্ধনের জন্য আবেদন করিবেন।] 

(২)           উপ-বিধি (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, নম্নেবর্ণিত স্থানে আবেদন দাখিল করা যাইবে, যথা:-

(ক)  অনলাইনে বোর্ডের ভ্যাট অনলাইন সিস্টেমে;

(খ)  আবেদনকারীর  জন্য  সুবিধাজনক  হয়  এমন  কোনো  কাস্টমস,  এক্সাইজ ও  ভ্যাট কমিশনারেট বা বিভাগীয় দপ্তর 3[কর্তৃক নির্ধারিত সেবা কেন্দ্র];

(গ)  বোর্ড বা সংশ্লিষ্ট কমিশনার কর্তৃক নির্ধারিত কোনো সেবা কেন্দ্র;

(ঘ)  বোর্ড বা সংশ্লিষ্ট কমিশনার কর্তৃক পরিচালিত কোনো মেলা; এবং

(ঙ)  বোর্ড কর্তৃক আদেশ দ্বারা নির্ধারিত অন্য কোনো স্থান।

(৩)          উপ-বিধি (২) এর দফা (খ) হইতে (ঙ) এর অধীন আবেদনের ক্ষেত্রে আবেদন দাখিলের পরবর্তী কার্যদিবসের মধ্যে আবেদনটি ভ্যাট অনলাইন সিস্টেমে প্রেরণ করিতে হইবে।

(৪)           4 [বিভাগীয় কর্মকর্তা]  প্রাপ্ত  আবেদনে  বর্ণিত  তথ্য  প্রাথমিক  যাচাই-অন্তে  যথাযথ  পাইলে

তাহাকে ৩ (তিন) কার্যদিবসের মধ্যে নিবন্ধিত করিবেন এবং তাহার অনুকূলে ফরম “মূসক-২.৩”এ ব্যবসায় সনাক্তকরণ সংখ্যা সংবলিত একটি মূল্য সংযোজন কর নিবন্ধন সনদপত্র

জারি করিবেন 5[:

তবে শর্ত থাকে যে, নিবন্ধনের কোনো আবেদন বিধি স¤œত না হইলে বিভাগীয় কর্মকর্তা কারণ উল্লেখপূর্বক বিষয়টি আবেদনকারীকে ৩(তিন) কার্যদিবসের মধ্যে অবহিত করিবেন।

6 [ (৫) বিলুপ্ত]

(৬)          এই বিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ধারা ৩১ এর উপ-ধারা (৪) এবং ধারা ৭১ এর অধীন কর ফেরত প্রদানসহ আইনের আওতায় নিবন্ধন বা তালিকাভুক্তি বাধ্যতামূলক নয় এমন ব্যক্তির আমদানি বা রপ্তানির ক্ষেত্রে কাস্টমস সিস্টেমের সহায়তায় নৈমিত্তিক ব্যবসায় সনাক্তকরণ সংখ্যা প্রদান করা যাইবে।

৫। তালিকাভুক্তির আবেদন তালিকাভুক্তিকরণ।- (১) কোনো ব্যক্তি ধারা ১০ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্ধারিত শর্ত পূরণ করিলে তিনি উক্ত উপ-ধারার বিধান মোতাবেক ফরম মূসক-২.১”এ সংশ্লিষ্ট 7[বিভাগীয় কর্মকর্তার] নিকট তালিকাভুক্তির জন্য আবেদন করিবেন।

(২)           উপ-বিধি (১) এর অধীন, নি¤œবর্ণিত স্থানে আবেদন দাখিল করা যাইবে, যথা:-

(ক)          অনলাইনে বোর্ডের ভ্যাট অনলাইন সিস্টেমে;

(খ)           আবেদনকারীর জন্য সুবিধাজনক হয় এমন কোনো কাস্টমস, এক্সাইজ f¨ট কমিশনারেট, বিভাগীয় দপ্তর 8[কর্তৃক নির্ধারিত সেবা কেন্দ্র]

বা  বোর্ড  কর্তৃক  আদেশ  দ্বারা নির্ধারিত  অন্য  কোনো স্থান;

(গ)           বোর্ড বা সংশ্লিষ্ট কমিশনার কর্তৃক নির্ধারিত কোনো সেবা কেন্দ্র; বা

(ঘ)           বোর্ড বা সংশ্লিষ্ট কমিশনার কর্তৃক পরিচালিত কোনো মেলা।

 

(৩)          উপ-বিধি (২) এর দফা (খ) হইতে (ঘ) এর অধীন আবেদনের ক্ষেত্রে আবেদন দাখিলের পরবর্তী কার্যদিবসের মধ্যে আবেদনটি ভ্যাট অনলাইন সিস্টেমে প্রেরণ করিতে হইবে।

(৪) 9[বিভাগীয় কর্মকর্তা] প্রাপ্ত আবেদনের তথ্য প্রাথমিক যাচাই-অন্তে যথাযথ পাইলে ৩ (তিন) কার্যদিবসের মধ্যে তাহাকে তালিকাভুক্ত করিবেন এবং তাহার অনুকূলে ফরম

মূসক-২.৩” এ ব্যবসায় সনাক্তকরণ সংখ্যা সংবলিত একটি টার্নওভার কর সনদপত্র জারি করিবেন।

স্বেচ্ছা নিবন্ধন-(১) ধারা ৮ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো ব্যক্তি স্বেচ্ছা নিবন্ধিত হইতে চাহিলে তিনি বিধি ৪ এর উপ-বিধি (১) অনুযায়ী ১৩ 10[বিভাগীয় কর্মকর্তা] নিকট আবেদন করিবেন।

(২)  স্বেচ্ছা নিবন্ধনের আবেদন বিধি ৪ এ বর্ণিত পদ্ধতিতে নিষ্পন্ন করিতে হইবে।

(৩)  স্বেচ্ছা নিবন্ধিত ব্যক্তি-

(ক) নিবন্ধিত হওয়ার তারিখের পরবর্তী কর মেয়াদের প্রথম দিন হইতে কর প্রদান করিবেন; এবং

(খ)  বিধি ৯৫ এ বর্ণিত পদ্ধতিতে রেকর্ড সংরক্ষণ এবং হিসাব সংরক্ষণ করিবেন।

 

11[বিভাগীয় কর্মকর্তা]  কর্তৃক স্ব-উদ্যোগে নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্তিকরণ-(১) ধারা ১২ এর অধীন মূসক নিবন্ধনযোগ্য বা টার্নওভার কর তালিকাভুক্তিযোগ্য ব্যক্তিকে 12[বিভাগীয় কর্মকর্তা]  স্ব-উদ্যোগে নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত করিয়া নিবন্ধন বা তালিকাভুক্তি সনদপত্র প্রদান করিবেন।

(২) 13[বিভাগীয় কর্মকর্তা]  স্ব-উদ্যোগে নিবন্ধন প্রদান বা তালিকাভুক্তির সময় যথাযথ অনুসন্ধানের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত করিবেন এবং যে তারিখে উক্ত ব্যক্তির নিবন্ধন বা তালিকাভুক্তির আবশ্যকতা উদ্ভূত হইয়াছে সেই তারিখ হইতে উহার কার্যকারিতা প্রদান করিবেন।

(৩) উপ-বিধি (২) এর অধীন কার্যকারিতা প্রদানের তারিখ হইতে উক্ত উপ-বিধিতে উল্লিখিত ব্যক্তি কর, ক্ষেত্রমত বকেয়াসহ, প্রদান করিবেন।

(৪) 14[বিভাগীয় কর্মকর্তা] উপ-বিধি (২) এর অধীন তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অসহযোগিতার কারণে বার্ষিক টার্নওভার নির্ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করিতে ব্যর্থ হইলে 15[বিভাগীয় কর্মকর্তার] নিকট রক্ষিত তথ্যের ভিত্তিতে তাহাকে নিবন্ধিত করিবেন এবং তাহার অনুকূলে ব্যবসায় সনাক্তকরণ সংখ্যা সংবলিত একটি নিবন্ধন সনদপত্র প্রদান করিবেন।

(৫) 16[বিভাগীয় কর্মকর্তা]  তাহার অধিক্ষেত্রে অবস্থিত তালিকাভুক্তি বা নিবন্ধনযোগ্য সকল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে তালিকাভুক্ত বা নিবন্ধিত করিবেন।

৮। মূসক নিবন্ধন বাতিল- (১) কোনো নিবন্ধিত ব্যক্তি তাহার মূসক নিবন্ধন বাতিলের জন্য  17[ 18[***]ফরম “মূসক-২.৪Ó] এ 19[বিভাগীয় কর্মকর্তার] নিকট আবেদন করিতে পারিবেন, যদি-

(ক) তিনি নিবন্ধিত হওয়ার পরবর্তী সময়ে অর্থনৈতিক কার্যক্রম শুরু করিতে ব্যর্থ হন;

(খ)  তিনি তাহার অর্থনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ করিয়া দেন;

(গ)  তাহার অর্থনৈতিক কার্যক্রমটি অব্যাহতিপ্রাপ্ত হিসাবে ঘোষিত হয়; বা

ঘ)  পর পর ২ (দুই) বৎসর তাহার বার্ষিক টার্নওভার নিবন্ধনসীমার নিচে থাকে।

(২) উপ-বিধি (১) এর অধীন কোনো আবেদন দাখিল করা হইলে 20[বিভাগীয় কর্মকর্তা]  বিষয়টি সম্পর্কে যথাযথ অনুসন্ধানের পর-

(ক) নিবন্ধন বাতিলের কারণ যুক্তিসঙ্গত বলিয়া বিবেচিত হইলে, উক্ত নিবন্ধন সাময়িকভাবে স্থগিত করিয়া তাহাকে অবহিত করিবেন; বা

(খ) নিবন্ধন বাতিলের কারণ যুক্তিসঙ্গত বলিয়া বিবেচিত না হইলেবা আবেদন অসম্পূর্ণ থাকিলে বা অন্য কোনো কারণে নিবন্ধন বাতিল করা যুক্তিসঙ্গত না হইলে, তাহাকে (৩) উপ-বিধি (২) এর অধীন নিবন্ধন সাময়িক স্থগিতের ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে নিবন্ধিত ব্যক্তি ধারা ৯ এর উপ-ধারা (৬) এর অধীন সকল কার্যক্রম সম্পন্ন 21[***] করিবেন।

(৪)  উপ-বিধি (৩) এর অধীন চূড়ান্ত দাখিলপত্র পেশের ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে উহা যাচাইঅন্তে তথ্যাদি যথাযথ প্রাপ্তি সাপেক্ষে, 22[বিভাগীয় কর্মকর্তা]  তাহার নিবন্ধন বাতিল করিবেন।
 
(৫) উপ-বিধি (১) এর দফা (ঘ) এ বর্ণিত কারণে নিবন্ধন বাতিলের ক্ষেত্রে যদি দেখা যায় যে, তাহার বার্ষিক টার্নওভার নিবন্ধনসীমারনিচে, কিন্তু তালিকাভুক্তিসীমার উপরে, তাহা হইলে 23[বিভাগীয় কর্মকর্তা]  তাহার মূসক নিবন্ধন বাতিলপূর্বক তাহাকে টার্নওভার কর তালিকাভুক্ত করিতে পারিবেন।
(৬) 24[বিভাগীয় কর্মকর্তা]  যথাযথ অনুসন্ধানের পর যদি নিশ্চিত হন যে, কোনো ব্যক্তির মূল্য সংযোজন করদাতা হিসাবে নিবন্ধিত থাকিবার আর প্রয়োজন নাই, তাহা হইলে তিনি উক্ত ব্যক্তিকে শুনানির যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদান করিয়া তাহার মূসক নিবন্ধন বাতিল করিতে পারিবেন।
 
(৭) উপ-বিধি (৪) এর অধীন যাচাই বা উপ-বিধি (৬) এর অধীন অনুসন্ধান সত্ত্বেও, মূসক নিবন্ধন বাতিলের পর যদি উদঘাটিত হয় যে, উক্ত ব্যক্তির নিকট আইনের অধীন কোনো বকেয়া পাওনা রহিয়াছে বা কোনো অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে, তাহা হইলে তাহার প্রতি আইনের সংশ্লিষ্ট বিধান এইরূপে প্রযোজ্য হইবে যেন তিনি একজন নিবন্ধিত ব্যক্তি।
 
৯।  টার্নওভার  কর  তালিকাভুক্তি  বাতিল।- (১)  ধারা  ১১  এর  উপ-ধারা
 
(১) এর অধীন তালিকাভুক্ত কোনো ব্যক্তি তাহার তালিকাভুক্তি বাতিলের জন্য 25[ 26[***]ফরম “মূসক-২.৪”] এ 27[বিভাগীয় কর্মকর্তার] নিকট আবেদন করিতে পারিবেন।
 
(২) উপ-বিধি (১) এর অধীন আবেদন দাখিল করা হইলে 28[বিভাগীয় কর্মকর্তা]  তৎসম্পর্কে যথাযথ অনুসন্ধানের পর -
 
(ক) তালিকাভুক্তি বাতিলের কারণ যুক্তিসঙ্গত হইলে, তালিকাভুক্তি সাময়িক ভাবে স্থগিত করিয়া তাহাকে অবহিত করিবেন; বা
(খ) তালিকাভুক্তি বাতিলের কারণ যুক্তিসঙ্গত না-হইলে বা আবেদন অসম্পূর্ণ থাকিলে বা অন্যকোনো কারণে তালিকাভুক্তি বাতিল করা সঙ্গত না-হইলে, তাহাকে শুনানির সুযোগ প্রদানপূর্বক তালিকাভুক্তি সাময়িকভাবে স্থগিত
 
 বা  আইনানুগ  অন্যকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়া তাহাকে অবহিত করিবেন।
 
(৩) কোনো তালিকাভুক্ত ব্যক্তির তালিকাভুক্তি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হইলে, তিনি:-
 
 (ক)  অনতিবিলম্বে টার্নওভার কর সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম হইতে বিরত থাকিবেন;
 এবং
 
(খ) সাময়িক স্থগিতের ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে তালিকাভুক্তি সনদপত্র এবং উহার সকল প্রত্যায়িত অনুলিপি 29[বিভাগীয় কর্মকর্তার] নিকট ফেরত প্রদান করিবেন এবং বকেয়া কর, যদি থাকে,30[পরিশোধ করিবেন]
 (৪) চূড়ান্ত দাখিলপত্র দাখিলের ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে উহা যাচাই-অন্তেÍ প্রদত্ত তথ্যাদি যথাযথ প্রাপ্তি সাপেক্ষে 31[বিভাগীয় কর্মকর্তা]  তাহার তালিকাভুক্তি বাতিল করিবেন।
 
 (৫) 32[বিভাগীয় কর্মকর্তা] যথাযথ অনুসন্ধানের পর যদি নিশ্চিত হন যে, কোনো ব্যক্তির বার্ষিক টার্নওভার নিবন্ধনসীমা অতিক্রম করিয়াছে এবং তাহার মূল্য সংযোজন করদাতা হিসাবে নিবন্ধিত হওয়ার আবশ্যকতা উদ্ভূত হইয়াছে, তাহা হইলে তিনি উক্ত ব্যক্তিকে শুনানি প্রদানপূর্বক তাহার টার্নওভার তালিকাভুক্তি বাতিলপূর্বক নিবন্ধিত করিবেন।
 
(৬) 33[বিভাগীয় কর্মকর্তা]  যথাযথ অনুসন্ধানের পর যদি নিশ্চিত হন যে, কোনো ব্যক্তির টার্নওভার করদাতা হিসাবে তালিকাভুক্ত থাকিবার আর প্রয়োজন নাই, তাহা হইলে তিনি উক্ত ব্যক্তিকে শুনানির সুযোগ প্রদানপূর্বক তাহার তালিকাভুক্তি বাতিল করিতে পারিবেন।
 
(৭) উপ-বিধি (৪) এর অধীন যাচাই বা উপ-বিধি (৬) এর অধীন অনুসন্ধান সত্ত্বেও, টার্নওভার কর তালিকাভুক্তি বাতিলের পর যদি উদঘাটিত হয় যে, উক্ত ব্যক্তির নিকট আইনের অধীন কোনো বকেয়া পাওনা রহিয়াছে বা কোনো অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে, তাহা হইলে তাহার প্রতি আইনের সংশ্লিষ্ট বিধান এইরূপে প্রযোজ্য হইবে যেন তিনি একজন তালিকাভুক্ত ব্যক্তি।
১০। নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত ব্যক্তিবর্গের তালিকা।- (১) বোর্ড আইনের অধীন নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত সকল ব্যক্তির একটি নির্ভুল এবং হালনাগাদ তালিকা সংরক্ষণ করিবে, যাহাতে নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ উল্লেখ থাকিবে, যথা:-
 
 (ক)  নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত ব্যক্তির নাম এবং ঠিকানা;
 
(খ) ব্যবসায়িক নাম বা নামসমূহ, যদি থাকে, যাহার মাধ্যমে উক্ত নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত ব্যক্তি অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন;
 
(গ)  উক্ত ব্যক্তির ব্যবসায় সনাক্তকরণ সংখ্যা;
 
(ঘ) উক্ত ব্যক্তি তাহার শাখা ইউনিটের জন্য পৃথকভাবে নিবন্ধিত হইয়া থাকিলে, প্রত্যেক শাখা ইউনিটের ব্যবসায়িক নাম, ঠিকানা এবং ব্যবসায় সনাক্তকরণ সংখ্যা;
 
 (ঙ)  যে তারিখে নিবন্ধন বা তালিকাভুক্তি কার্যকর হইয়াছে, সেইতারিখ; এবং
 (চ)  নিবন্ধন বা তালিকাভুক্তির সর্বশেষ অবস্থা (ঝঃধঃঁং)।
     (২)বোর্ড আইনের অধীন নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত ব্যক্তিগণের হালনাগাদ তালিকা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করিবে।
(৩)ধারা ১৪ এবং বিধি ১২ ও ১৩ এর অধীন তথ্য পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বোর্ড পরিবর্তিত তথ্য উপ-বিধি (২) এ বর্ণিত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করিবে।
 
 ১১। ব্যবসায় সনাক্তকরণ সংখ্যার ব্যবহার।- বিধি ১১৭ এর বিধান সাপেক্ষে, ব্যবসায় সনাক্তকরণ সংখ্যা নি¤œবর্ণিত ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হইবে, যথা:-
 (ক)  ব্যাগেজ আমদানি ব্যতীত অন্য সকল আমদানি-রপ্তানি;
 (খ)  নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত ব্যক্তির নামে ভূমি বা ভবন নিবন্ধন;
 (গ)  আমদানি নিবন্ধন সনদ ও রপ্তানি নিবন্ধন সনদ গ্রহণ;
 (ঘ)  কোনো উৎসে কর্তনকারী সত্তায় কোনো সরবরাহ প্রদান;
 (ঙ)  কোনো টেন্ডারে অংশগ্রহণ;
 (চ)  কোনো সংস্থায় তালিকাভুক্তি;
(ছ) বন্ড লাইসেন্স অনুমোদন;
 
(জ) নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত ব্যক্তির অনুকূলে ব্যাংক ঋণ অনুমোদন; এবং
 
(ঝ) বোর্ড কর্তৃক আদেশ দ্বারা নির্ধারিত অন্য কোনো ক্ষেত্র।
 
 ১২। পরিবর্তিত তথ্য অবহিতকরণ।- (১) ধারা ১৪ এর 34[দফা (ছ)] এর বিধান অনুয়ায়ী প্রত্যেক নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত ব্যক্তি অর্থনৈতিক কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট উক্ত ধারার 35[দফা (ক) হইতে (চ)] তে বিধৃত তথ্যসহ নিম্নবর্ণিত তথ্যের কোনোরূপ পরিবর্তন হইলে উহা তাৎক্ষণিকভাবে 36[বিভাগীয় কর্মকর্তাকে] অবহিত করিবেন, যথা:-
 
(ক) নিবন্ধন বা তালিকাভুক্তির সময় সরবরাহকৃত তথ্যের যেকোনোটিতে পরিবর্তন;
 
(খ) নূতন ধরনের কোনো ব্যবসায় সংযোজন বা বিদ্যমান ব্যবসায়ের কোনোরূপ বিয়োজন;
 
(গ) ব্যাংক হিসাব পরিবর্তন, সংযোজন বা বিয়োজন;
 
(ঘ) নূতন শাখা ইউনিট চালু বা পুরাতন কোনো শাখা ইউনিট বন্ধকরণ;
 
(ঙ) বোর্ড কর্তৃক আদেশ দ্বারা নির্ধারিত অন্য কোনো পরিবর্তন।
 
 
         37[(২) উপ—বিধি (১) এ উল্লিখিত পরিবর্তনের তথ্য অনলাইনে দাখিলের ক্ষেত্রে নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত আবাসিক ব্যক্তি ফরম ‘মূসক—২.১’এ এবং নিবন্ধিত অনাবাসিক ব্যক্তি ফরম “মূসক ২.২” এ এবং কাগুজে আবেদনের ক্ষেত্রে ফরম “মূসক—২.৫”এ তথ্য পরিবর্তিত হইবার ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে 38[বিভাগীয় কর্মকর্তাকে] অবহিত করিবেন।] 
 
(৩)উপ বিধি (২) এর পরিবর্তিত তধেথ্যর কারণে ফরম “মুসক-২.৩” এ কোনো পরিবর্তন হইলে 39[বিভাগীয় কর্মকর্তা] নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত ব্যক্তির অনুকুলে  নূতন তথ্য সংবলিত একটি মূল্য  সংযোজন কর নিবন্ধন সনদপএ বা টার্নওভার কর তালিকাভুক্তিপএ জারি করিবেন। 
 
১৩ ব্যবসায়ের স্থান পরিবর্তন।- 40[(১) কোনো নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত ব্যক্তির ব্যবসায়ের স্থান পরিবর্তন করিবার প্রয়োজন হইলে, উক্ত পরিবর্তনের অন্যূন ১৫ (পনের) দিন পূর্বে অনলাইনে দাখিলের ক্ষেত্রে, আবাসিক ব্যক্তির জন্য ফরম “মূসক—২.১” এবং অনাবাসিক ব্যক্তির জন্য ফরম ‘মূসক ২.২’ এবং কাগুজে আবেদনের ক্ষেত্রে ফরম “মূসক—২.৫”— তে সংশ্লিষ্ট কমিশনারেটে 41[সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কর্মকর্তা] বরাবর আবেদন করিতে হইবে]।
(২)উপ-বিধি (১) এর অধীন প্রাপ্ত আবেদন যাচাই-অন্তে আবেদনে বর্ণিত তথ্যাদি যথাযথ পাওয়া গেলে  42[সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কর্মকর্তা]
(ক) আন্তঃকমিশনারেট স্থানান্তরের ক্ষেএে- 
        (অ) সকল েেকয়া, যদি থাকে, নির্ধারণ পূর্বক উহা আবেদনকারেিক অবহিত করিবে, এবং 
        (আ) নিবন্ধিত হইতে চাহেন, নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত ব্যক্তির বকেয়া ও অন্যান্য সকল তথ্যদিসহ সেই কমিশনারেটে   স্থানান্তরের অনুমতি প্রদান করিবেন । 
(খ) একই কমিশনারেটের কর্মএলাকায় একস্থান হইতে অন্য স্থানে স্থানান্তরের ক্ষেএে উহা স্থানান্তর করিয়া আবেদনকারীকে অবহিত করিবেন।  
আবদেন
১৪। নিবন্ধন সনদপত্র বা তালিকাভুক্তিপত্রের নকল।Ñ কোনো কারণে মূসক নিবন্ধন সনপত্র বা টার্নওভার কর তালিকাভুক্তিপত্র হারাইয়া গেলে বা নষ্ট হইয়া গেলে বা তাহার অনুকূলে প্রেরিত ইলেকট্রনিক কপি হারাইয়া গেলে মূসক নিবন্ধন সনদপত্র বা টার্নওভার কর তালিকাভুক্তিপত্রের নকল তাঁহার মূসক কম্পিউটার সিস্টেম হইতে প্রিন্ট করিয়া লইতে পারিবেন।
 
১৫। ক্রান্তিকালীন নিবন্ধন বা তালিকাভুক্তি।- (১) মূসক আইনের অধীন নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত ব্যক্তিগণের নিবন্ধন ও তালিকাভুক্তির উপাত্ত দ্বারা বোর্ড একটি উপাত্ত-ভান্ডার তৈরি করিবে।
 
(২) কমিশনার বিধি ৪ বা ৫ এর অধীন প্রাপ্ত আবেদন উপ-বিধি(১) এ বর্ণিত উপাত্ত-ভান্ডারের তথ্য ব্যবহার করিয়া মূসক আইনের অধীন নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত ব্যক্তিগণকে আইনের অধীন নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত করিবেন।
 
(৩) বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত তারিখের পর মূসক আইনের অধীন নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত কোনো ব্যক্তি আইনের অধীন নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত না হইলে কমিশনার উক্ত নিবন্ধন বা তালিকাভুক্তি স্থগিত বা বাতিল করিতে পারিবে।
(৪) উপ-বিধি (৩) এর অধীন নিবন্ধন বা তালিকাভুক্তি বাতিলের পর যদি উদঘাটিত হয় যে, উক্ত ব্যক্তির নিকট মূসক আইনের অধীন কোনো বকেয়া পাওনা রহিয়াছে বা কোনো অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে, তাহা হইলে তাহার প্রতি উক্ত আইনের সংশ্লিষ্ট বিধান এইরূপে প্রযোজ্য হইবে যেন তিনি একজন নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত ব্যক্তি।
 
(৫) মূসক আইনের অধীন নিবন্ধিত কোনো ব্যক্তি আইনের অধীন তালিকাভুক্ত হইতে চাহিলে তাহার বার্ষিক টার্নওভার যে নিবন্ধনসীমার নিচে রহিয়াছে উহা প্রমাণের দায় উক্ত ব্যক্তির উপর বর্তাইবে।

1মূসক এসআরও নং—১৭১—আইন/২০১৯/২৮—মূসক, তারিখ: ১৩/০৬/২০১৯ ‘প্রতিটি শাখা ইউনিটের বিলুপ্ত’
2মূসক এসআরও নং—৩০৮—আইন/২০২০/১২৬—মূসক, তারিখ: ১৫/১১/২০২০ দ্বারা প্রতিস্থাপিত
3মূসক এসআরও নং—২২৬—আইন/২০১৯/৬২—মূসক, তারিখ: ৩০/০৬/২০১৯ দ্বারা সন্নিবেশিত
4এসআরও নং—১৭১—আইন/২০১৯/২৮—মূসক, তারিখ: ১৩/০৬/২০১৯ ‘কমিশনার’ এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
5এসআরও নং—১৭১—আইন/২০১৯/২৮—মূসক, তারিখ: ১৩/০৬/২০১৯ দ্বারা ‘।’ এর পরিবর্তে ‘:’ প্রতিস্থাপিত 
6এসআরও নং—১৭১—আইন/২০১৯/২৮—মূসক, তারিখ: ১৩/০৬/২০১৯ দ্বারা উপবিধি (৫) বিলুপ্ত
7এসআরও নং—১৭১—আইন/২০১৯/২৮—মূসক, তারিখ: ১৩/০৬/২০১৯ ‘কমিশনার’ এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
8এসআরও নং—২২৬—আইন/২০১৯/৬২—মূসক, তারিখ: ৩০/০৬/২০১৯ দ্বারা সন্নিবেশিত
9এসআরও নং—১৭১—আইন/২০১৯/২৮—মূসক, তারিখ: ১৩/০৬/২০১৯ ‘কমিশনার’ এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
10এসআরও নং—১৭১—আইন/২০১৯/২৮—মূসক, তারিখ: ১৩/০৬/২০১৯ ‘কমিশনার’ এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
11এসআরও নং—১৪২—আইন/২০২০/১০৩—মূসক, তারিখ: ১১/০৬/২০২০ দ্বারা ‘কমিশনার’ এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত
12এসআরও নং—১৪২—আইন/২০২০/১০৩—মূসক, তারিখ: ১১/০৬/২০২০ দ্বারা ‘কমিশনার’ এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত
13এসআরও নং—১৪২—আইন/২০২০/১০৩—মূসক, তারিখ: ১১/০৬/২০২০ দ্বারা ‘কমিশনার’ এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত
14এসআরও নং—১৪২—আইন/২০২০/১০৩—মূসক, তারিখ: ১১/০৬/২০২০ দ্বারা ‘কমিশনার’ এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত
15এসআরও নং—১৪২—আইন/২০২০/১০৩—মূসক, তারিখ: ১১/০৬/২০২০ দ্বারা ‘কমিশনার’ এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত
16এসআরও নং—১৪২—আইন/২০২০/১০৩—মূসক, তারিখ: ১১/০৬/২০২০ দ্বারা ‘কমিশনার’ এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত
17এসআরও নং—১৫৯—আইন/২০১৭/০২—মূসক, তারিখ: ০১/০৬/২০১৭ দ্বারা প্রতিস্থাপিত 
18এসআরও নং—১৪২—আইন/২০২০/১০৩—মূসক, তারিখ: ১১/০৬/২০২০ দ্বারা বিলুপ্ত
19এসআরও নং—১৪২—আইন/২০২০/১৩৭—মূসক, তারিখ: ১১/০৬/২০২০ দ্বারা ‘কমিশনার’ এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত 
20এসআরও নং—১৪২—আইন/২০২০/১৩৭—মূসক, তারিখ: ১১/০৬/২০২০ দ্বারা ‘কমিশনার’ এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত
21এসআরও নং—১৫৯—আইন/২০১৭/০২—মূসক, তারিখ: ০১/০৬/২০১৭ দ্বারা বিলুপ্ত 
22এসআরও নং—১৪০—আইন/২০২১/১৩৭—মূসক, তারিখ: ০৩/০৬/২০২১ দ্বারা ‘কমিশনার’ এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত
23এসআরও নং—১৪০—আইন/২০২১/১৩৭—মূসক, তারিখ: ০৩/০৬/২০২১ দ্বারা ‘কমিশনার’ এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত 
24এসআরও নং—১৪০—আইন/২০২১/১৩৭—মূসক, তারিখ: ০৩/০৬/২০২১ দ্বারা ‘কমিশনার’ এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত
25এসআরও নং—১৫৯—আইন/২০১৭/০২—মূসক, তারিখ: ০১/০৬/২০১৭ দ্বারা প্রতিস্থাপিত 
26এসআরও নং—১৪২—আইন/২০২০/১০৩—মূসক, তারিখ: ১১/০৬/২০২০ দ্বারা বিলুপ্ত
27এসআরও নং—১৪০—আইন/২০২১/১৩৭—মূসক, তারিখ: ০৩/০৬/২০২১ দ্বারা ‘কমিশনার’ এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত  
28এসআরও নং—১৪০—আইন/২০২১/১৩৭—মূসক, তারিখ: ০৩/০৬/২০২১ দ্বারা ‘কমিশনার’ এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত
29এসআরও নং—১৪২—আইন/২০২০/১৩৭—মূসক, তারিখ: ০৩/০৬/২০২১ দ্বারা ‘কমিশনার’ এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত 
30এসআরও নং—১৫৯—আইন/২০১৭/০২—মূসক, তারিখ: ০১/০৬/২০১৭ দ্বারা প্রতিস্থাপিত  
31এসআরও নং—১৪০—আইন/২০২১/১৩৭—মূসক, তারিখ: ০৩/০৬/২০২১ দ্বারা ‘কমিশনার’ এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত
32এসআরও নং—১৪০—আইন/২০২১/১৩৭—মূসক, তারিখ: ০৩/০৬/২০২১ দ্বারা ‘কমিশনার’ এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত
33এসআরও নং—১৪০—আইন/২০২১/১৩৭—মূসক, তারিখ: ০৩/০৬/২০২১ দ্বারা ‘কমিশনার’ এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত
34এসআরও নং—১৪০—আইন/২০২১/১৩৭—মূসক, তারিখ: ০৩/০৬/২০২১ দ্বারা ‘(চ)’ এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত
35এসআরও নং—১৪০—আইন/২০২১/১৩৭—মূসক, তারিখ: ০৩/০৬/২০২১ দ্বারা দফা (ক) হইতে (ঙ) এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত
36এসআরও নং—১৪০—আইন/২০২১/১৩৭—মূসক, তারিখ: ০৩/০৬/২০২১ দ্বারা ‘কমিশনারকে’ এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত 
37এসআরও নং—৩০৮—আইন/২০২০/১২৬—মূসক, তারিখ: ১৫/১১/২০২০ দ্বারা প্রতিস্থাপিত 
38এসআরও নং—১৪০—আইন/২০২১/১৩৭—মূসক, তারিখ: ০৩/০৬/২০২১ দ্বারা ‘কমিশনারকে’ এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত 
39এসআরও নং—১৪০—আইন/২০২১/১৩৭—মূসক, তারিখ: ০৩/০৬/২০২১ দ্বারা ‘কমিশনার’ এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত 
40এসআরও নং—৩০৮—আইন/২০২০/১২৬—মূসক, তারিখ: ১৫/১১/২০২০ দ্বারা প্রতিস্থাপিত 
41এসআরও নং—১৪০—আইন/২০২১/১৩৭—মূসক, তারিখ: ০৩/০৬/২০২১ দ্বারা ‘কমিশনার’ এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত 
42এসআরও নং—১৪২—আইন/২০২০/১৩৭—মূসক, তারিখ: ০৩/০৬/২০২১ দ্বারা ‘কমিশনার’ এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত 
 
 
 
 
তৃতীয় অধ্যায়
 
মূল্য সংযোজন কর আরোপ: মূসক এজেন্ট,
 
ট্রাভেল এজেন্ট ও ট্যুর অপারেটর
 
১৬। মূসক এজেন্ট নিয়োগ, ইত্যাদি।-(১) অনাবাসিক ব্যক্তির মূসক এজেন্টকে, উপ-বিধি (৪) এর অধীন মূসক এজেন্ট সনদপত্র প্রাপ্তির 1[পূর্বে] পর, ধারা ৬ এর
অধীন নিবন্ধিত বা ধারা ১০ এর অধীন তালিকাভুক্ত হইতে হইবে।
 
(২) নি¤œবর্ণিত ব্যক্তিগণকে মূসক এজেন্ট হিসাবে নিয়োগ প্রদান করা যাইবে, যথা:
 
  (ক)  ধারা ১৩০ এর অধীন নিযুক্ত মূসক পরামর্শক;
 
(খ) ইন্সটিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) এর সদস্য হিসাবে নিবন্ধিত চার্টার্ড একাউন্ট্যান্ট ও একাউন্ট্যান্ট;
 
(গ) ইন্সটিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট একাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) এর সদস্য হিসাবে নিবন্ধিত একাউন্ট্যান্ট;
 
(ঘ) বাংলাদেশ বার কাউন্সিল এর সদস্য হিসাবে নিবন্ধিত কোনো আইনজীবী;
 
(ঙ) সহকারী কমিশনার পদমর্যাদার নি¤েœ নহেন, মূল্য সংযোজন কর বিভাগের এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা; 2[***]
 
(চ) ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) কর্তৃক মনোনীত বেসরকারি খাতের বিশেষজ্ঞ ব্যবসায়ী প্রতিনিধি 3[;]
 
4[(ছ) চার্টার্ড সেক্রেটারিজ আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ২৫ নং আইন) এর ধারা ২এর দফা (৬) এ সংজ্ঞায়িত চার্টার্ড সেক্রেটারি 5[;]]
6[(জ) মূসক এজন্ট হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্তির লক্ষ্যে অনাবাসিক ব্যক্তি ব্যক্তি কতৃর্ক প্রাথমিক ভাবে সম্মতি লাভ করিয়াছে এমন কোনো বাংলাদেশে নিবন্ধিত স্বনামধন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বা চার্টাড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফার্ম বা আইন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান।]
 
(৩) উপ-বিধি (২) এ বর্ণিত কোনো ব্যক্তি মূসক এজেন্ট হিসাবে নিয়োগ লাভ করিতে চাহিলে তিনি ফরম “মূসক-৩.১” এ মহাপরিচালক, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট ট্রেনিং একাডেমি বরাবর অনলাইনে আবেদন করিবেন।
 
7[(৪) মহাপরিচালক, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট ট্রেনিং একাডেমি উপ—বিধি (১) এর অধীন প্রাপ্ত আবেদনপত্র যাচাই—অন্তে উক্ত আবেদনে প্রদত্ত তথ্য যথাযথ প্রাপ্তি সাপেক্ষে বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত সিলেবাস অনুযায়ী লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করিয়া বিধি ১০৯ এর অনুরূপ পদ্ধতি অনুসরণপূর্বক আবেদনকারীকে ফরম “মূসক—৩.২”এ অনন্য (টহরয়ঁব) নম্বর সংবলিত ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদের জন্য কার্যকরি ও নবায়নযোগ্য একটি “মূসক এজেন্ট সনদপত্র” প্রদান করিবেন। তবে শর্ত থাকে যে উপ—বিধি (২) এর দফা (জ) এর ক্ষেত্রে পরীক্ষা গ্রহণ ব্যতীত বিধি ১০৯ এ বর্ণিত অন্যান্য পদ্ধতি অনুসরনপূর্বক আবেদন যথাযথ প্রাপ্তি সাপেক্ষে “মূসক এজেন্ট সনদপত্র” প্রদান করা যাইবে:আরও শর্ত থাকে যে, উক্তরূপে সনদপত্র প্রাপ্তির ৬০ (ষাট) দিনের মদ্যে অনাবাসিক ব্যক্তি কতৃর্ক উক্ত প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্তভাবে মূসক এজেন্ট এর প্রম্ণক মহাপরিচালক, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট ট্রেনিং একাডেমি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে প্রেরন করিতে হইবে, অর্নথায় উক্ত সনদপত্র বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।]
 
 
(৫) উপ-বিধি (৪) এ উল্লিখিত মেয়াদ শেষ হইবার ন্যূনতম ৩ (তিন) মাস পূর্বে উহা নবায়নের জন্য মহাপরিচালক, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট ট্রেনিং একাডেমি বরাবর ফরম “মূসক-৩.১” এ আবেদন করিবেন এবং মহাপরিচালক উহা একই পদ্ধতিতে ৩ (তিন)বৎসরের জন্য নবায়ন করিয়া ফরম “মূসক-৩.২”এ একটি “মূসক এজেন্ট সনদপত্র” প্রদান করিবেন।
 
(৬) সনদপ্রাপ্ত মূসক এজেন্টের কোনো তথ্যাদি পরিবর্তিত হইলে তিনি উহা পরিবর্তনের ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে 8[ফরম “মূসক-৩.১” এ কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট ট্রেনিং একাডেমির মহাপরিচালককে অনলাইনে] অবহিত করিবেন।
 
(৭) মূসক এজেন্ট এর সনদপত্র বাতিল করা হইবে, যদি-
 
(ক) তিনি আইনের অধীন করণীয় এইরূপ কাজ না করেন বা যাহা করণীয় নয় এইরূপ কাজ করেন; বা
 
(খ) উপ-বিধি (২) এ বর্ণিত কোনো সদস্যপদ বা নিবন্ধন বাতিল হয় বা উহার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়।
১৭। মূসক এজেন্ট মনোনয়ন।- (১) কোনো অনাবাসিক ব্যক্তি তাহার পক্ষে আইনের অধীন মূসক কর্তৃপক্ষের সহিত কোনো কার্য সম্পাদনের লক্ষ্যে মূসক এজেন্ট মনোনয়ন করিবেন।
9[(২) ***]
10[(৩) ***
(৪) ***]
(৫) এজেন্টের মনোনয়ন অকার্যকর হইবে, যদি-
(ক) অনাবাসিক ব্যক্তি 11[***]  উক্ত নিয়োগ বাতিল করেন;
 
(খ) মূসক এজেন্টের এজেন্ট নম্বর বাতিল হয়;
 
(গ) অনাবাসিক ব্যক্তির অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধ হইয়াযায়; বা
 
(ঘ) আইন বা এই বিধিমালার অধীন মূসক এজেন্ট কর্তৃক কোনো অপরাধ সংঘটিত হয়।
 
১৮। ট্রাভেল এজেন্ট এবং ট্যুর অপারেটর।- (১) কোনো সরবরাহ বাংলাদেশে প্রদত্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে না, যদি-
 
(ক) উক্ত সরবরাহ বাংলাদেশে পর্যটন সেবা গ্রহণের অধিকার সংক্রান্ত সরবরাহ হয়; এবং
 
(খ) সরবরাহকারী-
 
(অ) বাংলাদেশের  বাহিরে  অবস্থিত  কোনো  নির্দিষ্ট  স্থান  হইতে  সরবরাহ
 
প্রদান করেন এবং উক্ত স্থান হইতে সরবরাহকারী তাহার আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন; এবং
 
(আ)  নিবন্ধিত না হন।
 
(২) বাংলাদেশে প্রদত্ত কোনো সেবা সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে না যদি উহা কোনো ব্যক্তির এককভাবে কিংবা হলিডে বা ট্যুর প্যাকেজের অংশ হিসাবে বাংলাদেশে পর্যটন সেবা সরবরাহ প্রাপ্তির আয়োজন সংক্রান্ত সরবরাহ হয়।
(৩) বাংলাদেশে প্রদত্ত কোনো সেবা সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে না যদি উহা কোনো ব্যক্তির এককভাবে কিংবা হলিডে বা ট্যুর প্যাকেজের অংশ হিসাবে বাংলাদেশের বাহিরে পর্যটন সেবার সরবরাহ প্রাপ্তির আয়োজন সংক্রান্ত সরবরাহ হয়।
 
(৪) বাংলাদেশে প্রদত্ত কোনো সেবা সরবরাহ শূন্যহার বিশিষ্ট হইবে না যদি উহা বাংলাদেশের বাহিরে পর্যটনের যোগান প্রাপ্তির কিংবা হলিডে বা ট্যুর প্যাকেজের অংশ হিসাবে অধিকার অর্জন সংক্রান্ত সরবরাহ হয়।
 
(৫) উপ-বিধি (৪) এর বিধান অনুযায়ী যে সরবরাহের মূল্য শূন্যহার বিশিষ্ট নহে
 
উহা প্রত্যেক কর মেয়াদে বৈশ্বিক ভিত্তিতে নিরূপণ করা হইবে এবং উহা নিম্নবর্ণিত সূত্র অনুযায়ী নিরূপিত পরিমাণের সমান হইবে, যথা:-
 
ঢ = (ঈ - চ) ী ঞ
যেখানে-
 
ঢ হইতেছে প্রদেয় মূল্য সংযোজন করের পরিমাণ;
 
ঈ হইতেছে নির্দিষ্ট কর মেয়াদের প্রাপ্য বা প্রাপ্ত সমুদয় পণ;
চ হইতছেে উক্ত কর ময়োদে শূন্যহার বশিষ্টি পণ; এবং 
ঞ হইতছেে কর ভগ্নাংশ 
(৬) উপ-বিধি (৫) এ বর্ণিত সূত্রানুযায়ী উক্ত সরবরাহের মূল্য নিরূপণের ক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট কর মেয়াদে চ এর মূল্য যদি ঈ কে অতিক্রম করে তাহা হইলে অতিক্রান্ত অংশ পরবর্তী কর মেয়াদে চ এর মূল্যের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হইবে।
 
টীকাঃ বাংলাদেশে অধিষ্ঠিত সরবরাহকারীর ক্ষেত্রে প্রধান (চৎরহপরঢ়ধষ) হিসাবে যে ট্রাভেল এজেন্ট বা ট্যুর অপারেটর কার্যক্রম পরিচালনা করে তাহার মুনাফার মার্জিনকে এমনভাবে গণ্য করে যেন উক্ত মুনাফার মার্জিন প্রতিনিধি (অমবহঃ) হিসাবে সম্পাদিত কর্মের কমিশন (ঈড়সসরংংরড়হ)। ট্রাভেল এজেন্ট এবং ট্যুর অপারেটরগণ কার্যতঃ বাংলাদেশে তাহাদের গ্রাহকগণকে (যাহারা মূলত বাংলাদেশে অবস্থান করেন) সেবা প্রদান করিয়া থাকেন এবং অনুরূপভাবে তাহাদের কার্যক্রম করারোপযোগ্য হইবে। বাংলাদেশের বাহিরে সরবরাহকৃত পণ্য, সেবা এবং স্থাবর সম্পত্তি যে দেশে সরবরাহ করা হয় সেই দেশের কর ব্যবস্থার আওতাধীন থাকিবে।

12[১৮ক। আন্তর্জাতিক দরপত্রের বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রার পণ্য সরবরাহ বা সেবা প্রদান।-

প্রদান।- (১) আন্তর্জাতিক দরপত্রের বিপরীতে কার্যাদেশপ্রাপ্ত বাংলাদেশে নিবন্ধিত কোনো ব্যক্তি কর্তৃক বৈদেশিক মুদ্রায় স্থাপিত ঋণপত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোনো পণ্য সরবরাহ বা সেবা প্রদান করা হইলে, নি¤œবর্ণিত দলিলাদি বিভাগীয় কর্মকর্তার নিকট দাখিল সাপেক্ষে, উহা আইনের ধারা ২ এর দফা (৬২) এর অধীন প্রচ্ছন্ন রপ্তানি বলিয়া গণ্য হইবে, যথা:-

(ক) আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে নির্বাচিত পণ্য সরবরাহকারী বা সেবা প্রদান করীকে দরপত্র বিজ্ঞপ্তি, সরবরাহ আদেশ বা প্রযোগ্য ক্ষেত্রে, ক্রয়াদেশের অনুলিপি;

13[(খ) স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত পণ্য বা সেবার বর্ণনা, পরিমাণ, পরিশোধিত অর্থ বিল অব এন্ট্রি/মূসক চালানপত্র, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ঘোষিত উপকরণ-উৎপাদ সহগ ইত্যাদির বিবরণ;

(গ) পণ্য বা সেবার উপর পরিশোধিত উপকরণ কর ও সম্পূরক শুল্ক (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) হ্রসকারী সমন্বয় গ্রহণের জন্য পিআরসি (চৎড়পববফ জবধষরুধঃরড়হ ঈবৎঃরভরপধঃব) এর ব্যাংক কর্তৃক সত্যায়িত অনুলিপি 14[***]।]

15[(২) উপ—বিধি (১) এর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বাংলাদেশে নিবন্ধিত কোনো ব্যক্তি কতৃর্ক আন্তর্জাতিক দরপত্রে কার্যাদেশপ্রাপ্ত বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বা বাহিরে অবস্থিত কোনো প্রতিষ্ঠানের কার্যাদেশভুক্ত কার্যক্রমের আংশিক সম্পাদনের নিমিত্ত বৈদেশিক মুদ্রায় স্থাপিত ঋণপত্রের বিপরীতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পণ্য বা সেবা সরবরাহ করা হইলে, নিম্নবর্ণিত দলিলাদি বিভাগীয় কর্মকর্তার নিকট দাখিল সাপেক্ষে, উহা আইনের ধারা ২ এর দফা (৬২) এর অধীন প্রচ্ছন্ন রপ্তানি বলিয়া গণ্য হইবে, যথা:—

(ক) আন্তর্জাতিক দরপত্রের কার্যাদেশ প্রাপ্ত বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বা বাহিরে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানের দরপত্র বিজ্ঞপ্তি, সরবরাহ আদেশে, বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ক্রয়াদেশের তৎকর্তৃক সত্যায়িত অনুলিপি; 
(খ) আন্তর্জাতিক দরপত্রের অধীন স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত পণ্য বা সেবার বর্ণনা পরিমাণ, পরিশোধিত অর্থ, বিল অব এন্ট্রি/মূসক চালানপত্র, ঘোষিত উপকরণ উৎপাদ সহগ ইত্যাদির বিবরণ;
“(গ) স্থানীয় বা আমদানি পণ্য বা সেবার উপর পরিশোধিত উপকরণ কর ও সম্পূরক শুল্ক (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) হ্রাসকারী সমন্বয় গ্রহণের জন্য পিআরসি (চৎড়পববফ জবধষরুধঃরড়হ ঈবৎঃরভরপধঃব) এর ব্যাংক কতৃর্ক সত্যায়িত অনুলিপি।]
 
16[১৮খ। অভ্যন্তররীণ ব্যাক—টু—ব্যাক ঋণপত্রের বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময়ে পণ্য বা সেবা সরবরাহ।—
(১) কোনো নিবন্ধিত ব্যক্তি অভ্যন্তরীণ ব্যাক—টু—ব্যাক ঋণপত্রের বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময়ে কোনো প্রকৃত রপ্তারিকারককে কোনো পণ্য বা সেবা সরবরাহ (যদি প্রযোজ্য হয়) করিলে উক্ত পণ্য বা সেবার সরবরাহ আইনের ধারা ২ এর দফা (৬২) এর অধীন প্রচ্ছন্ন রপ্তানি বলিয়া গণ্য করা হইবে।
(২) উপ—বিধি (১) এ বর্ণিত নিবন্ধিত ব্যক্তির ক্ষেত্রে আইনের ধারা ৬৪ অনুয়ায়ী দাখিলপত্র প্রদানের ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ ব্যাক—টু—ব্যাক ঋণপত্রের বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময়ে কোনো রপ্তানিকারককে সরবরাহকৃত পণ্য বা সেবায় ব্যবহৃত উপকরণের ক্ষেত্রে উপকরণ কর, আইনের ধারা ৪৬ অনুযায়ী রেয়াত গ্রহণ এবং আইনের ধারা ৬২ ও বিধি ৪৫ অনুযায়ী সম্পূরক শুল্কের নিমিত্ত হ্রাসকারী সমন্বয় সাধন করা যাইবে।
(৩) উপ—বিধি (২) এ বর্ণিত ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের অনুমোদিত কর্মকর্তা কতৃর্ক সত্যায়িত ব্যাক—টু—ব্যাক ঋণপত্র, রপ্তানী ঋণপত্রের অনুলিপি ও বৈদেশিক মুদ্রায় মূল্য প্রাপ্তির প্রমাণপত্র নিবন্ধিত ব্যক্তি কতৃর্ক দখলে রাখিতে হইবে।
(৪) এই বিধিতে বর্ণিত সুবিধাতি প্রাপ্তিকল্পে প্রকৃত রপ্তানিকারকের কাস্টমস কতৃর্পক্ষ বা অন্র কোনো অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান কতৃর্ক অনুমোদিত বন্ডেড ওয়্যারহাউস বা স্পেশাল বন্ডেড ওয়্যারহাউস থাকিতে হইবে। অভ্যন্তরীণ ব্যাক—টু—ব্যাক ঋণপত্রের বিপরীতে সরবরাহতব্য পণ্য সংত্রান্ত তথ্যাদি যথা: ব্যাক—টু—ব্যাক ঋণপত্র নম্বর ও তারিখ, প্রচ্ছন্ন রপ্তানিকারকের নাম ও ঠিকানা, পণ্যের বিবরণী ও পরিমাণ ও আনুষক্সিগক অন্যান্য তথ্য প্রকৃত রপ্তানিকারকের অনুকূলে সংশ্লিষ্ট কাস্টমস কতৃর্পক্ষ বা অন্য কোনো অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান কতৃর্ক ইস্যুকৃত ইউটিলাইজেশন পারমিশন (ইউপি) বা ইউটিলাইজেশন ডিক্লারেশন (ইউডি) এ উল্লেখ থাকিতে হইবে এবং বিধি ৪৫ অনুযায়ী সম্পূরক শুল্ক হ্রাসকারী সমন্বয়ের ক্ষেত্রে ফরম মূসক—৭.১ এর সহিত উক্ত ইউটিলাইজেশন পারমিশন (ইউপি) বা ইউটিলাইজেশন ডিক্লারেশন (ইউডি)— এর অনুলিপিও সংযুক্ত করিতে হইবে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষান্তে হ্রাসকারী সমন্বয় গ্রহণের অনুমতি প্রদানের সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট ইউটিলাইজেশন পারমিশন (ইউপি) বা ইউটিলাইজেশন ডিক্লারেশন (ইউডি)এ উল্লিখিত তথ্যাদির যথার্থতা এবং সরবরাহকৃত পণ্যের প্রকৃত রপ্তানিকারকের পাশ বহি ও ওয়্যারহাউস রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করিবার বিষে তথ্যাদি নিশ্চিত হইবার জন্য সংশ্লিষ।ট মূল্য সংযোজন কর কতৃর্পক্ষ প্রকৃত রপ্তানিকারকের বন্ড নিয়ন্ত্রণকারী সংশ্লিষ্ট কাস্টমস কতৃর্পক্ষের সাথে যোগাযোগ করিবেন।
(৫) প্রতৃত রপ্তানিকারক সংগৃহীত পণ্য দ্বারা প্রস্ততকৃত পণ্যের সংরক্ষণ, রপ্তানি বা অন্য 
কোনো প্রকারে নিষ্পত্তির বিবরণী সংশ্লিষ্ট পাশ বহি , রেজিস্টার বা বোর্ড কতৃর্ক নির্ধারিত অন্যান্য দলিলপত্রে লিপিবদ্ধ করিবেন এবং বন্ড কর্মকর্তা দ্বারা উহা প্রত্যায়িত করাইবেন।
(৬) ব্যাক—টু—ব্যাক ঋণপত্রের মাধ্যমে সংগৃহীত পণ্য বা তৎদ্বারা প্রস্তুতকৃত পণ্য রপ্তানি করিতে ব্যর্থ হইলে রপ্তানিকারক উক্ত সংগৃহীত পণ্যের বিপরীতে রেয়াত বা হ্রাসকারী সমন্বয় হিসাবে যথাক্রমে গৃহীত উপকরণ কর ও সম্পূরক শুল্ক রপ্তানি ঋণপত্রের তামাদি তারিখ অথবা ঈঁংঃড়সং অপঃ, ১৯৬৯ (ঠও ড়ভ ১৯৬৯) অনুযায়ী উক্ত পণ্য বন্ডেড ওয়্যারহাউস বা স্পেশাল বন্ডেড ওয়্যারহাউস এ সংগৃহীত হইবার তারিখ হইতে ২ (দুই) বৎসর অতিক্রান্ত হইবার তারিখ, যাহা পূর্বে হইবে, এর মধ্যে ফেরত প্রদানে বাধ্য থাকিবেন।
 
17[১৮গ। পশ্চাদ সংযোগ শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে পণ্য বা সেবা সরবরাহ।— পশ্চাদ সংযোগ শিল্প প্রতিষ্ঠান (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) কতৃর্ক সরবরাহকৃত পণ্য বা সেবা নিম্নরূপ শর্তাধীনে ধারা ২ এর দফা (৬২) এর অধীন প্রচ্ছন্ন রপ্তানি বলিয়া গণ্য করা হইবে, যথঅ:—
(ক) উক্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ১০০% রপ্তানিমুখী বন্ডেড ওয়্যারহাউস বা স্পেশাল বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে পণ্য সরবরাহ বা সেবা প্রদান করিতে হইবে;
(খ) উক্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানের সরবরাহবৃত পণ্য বা সেবার অনুকূলে ইউটিলাইজেশন পারমিশন বা ইউটিলাইজেশন ডিক্লারেশন থাকিতে হইবে এবং উহাতে অভ্যন্তরীণ ব্যাক—টু—ব্যাক ঋণপত্র বা অভ্যন্তরীণ ঋণপত্রের নম্বর ও তারিখ, নিবনবন্ধন নম্বর, নাম ও ঠিকানাসহ উক্ত ব্যক্তির অনুকূলে ইস্যুকৃত অভ্যন্তরীণ ব্যাক—টু—ব্যাক ঋণপত্রে নম্বর ও তারিখ উল্লেখ থাকিতে হইবে;
(গ) উক্ত ঋণপত্রসমূহ যে ব্যাংকে হইবে সেই ব্যাংক কতৃর্ক সত্যায়িত ঋণপত্রের অনুলিপি সহ ইউটিলাইজেশন পারমিশন বা ইউটিলাইজেশন ডিক্লারেশনসমূহ উক্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানের দখলে থাকিতে হইবে;
(ঘ) উক্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান কতৃর্ক সরবরাহকৃত পণ্য বা সেবার বিপরীতে প্রদত্ত উপকরণ কর, আইনের ধারা ৪৬ এবং সম্পূরক শুল্ক, আইনের ধারা ৬২ ও বিধি ৪৫ অনুযায়ী যথাক্রমে রেয়াত ও হ্রাসকারী সমন্বয় গ্রহণের ক্ষেত্রে আবেদনপত্রের সহিত দফা (খ) ও (গ) তে উল্লিখিত দলিলাদিসহ বৈদেশিক মুদ্রা প্রাপ্তির সনদপত্র, নিবন্ধনের ছায়ালিপি, পণ্য বা সেবা সরবরাহ প্রদানের বিপরীতে ফরম “মূসক ৬.৩” এ প্রদত্ত চালানপত্র, সরবরাহকৃত পণ্য বা সেবায় ব্যবহৃত উপকরণ আমদানির সপক্ষে বিল আব এন্ট্রির মূল কপি বা উপকরণের সরবরাহকারী কতৃর্ক ফরম “মূসক ৬.৩” এ প্রদত্ত চালানপত্র দখলে রাখিতে হইবে ও উপস্থাপিত দলিলপত্রাদির সত্যতা বিষয়ে ৩ (তিন) শত টাকার নন—জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অক্সগীকারনামা সংশ্লিষ্ট কমিশনার বরাবর দাখিল করিতে হইবে; এবং 
(ঙ) উক্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান কতৃর্ক দাখিলযোগ্য প্রতি কর মেয়াদে পেশকৃত দাখিলপ “ত্র মূসক ৯.১” এ এই বিধির আওতায় প্রাপ্ত সুবিধাদি সংক্রান্ত তথ্যাদি উল্লেখ করিতে হইবে এবং প্রতি জানুয়ারি ও জুলাই মাসে এতদসংক্রান্ত ষান্মাসিক বিবরণী স্থানীয় মূল্য সংযোজন কর কার্যালয়ে দাখিল করিতে হইবে।]
 
1এসআরও নং—১৫৯—আইন/২০১৭/০২—মূসক, তারিখ: ০১/০৬/২০১৭ দ্বারা “পর” এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত।
2এসআরও নং—৩২৪—আইন/২০১৯/৮৬—মূসক, তারিখ: ১৩/১০/২০১৯ দ্বারা ‘বা’ বিলুপ্ত
3এসআরও নং—৩২৪—আইন/২০১৯/৮৬—মূসক, তারিখ: ১৩/১০/২০১৯ দ্বারা ‘।’ চিহ্নের পরিবর্তে ‘;’ প্রতিস্থাপিত
4এসআরও নং—১৭১—আইন/২০১৯/২৮—মূসক, তারিখ: ১৩/০৬/২০১৯ দ্বারা দফা (ছ) সন্নিবেশিত 
5এসআরও নং—৩২৪—আইন/২০১৯/৮৬—মূসক, তারিখ: ১৩/১০/২০১৯ দ্বারা ‘।’ চিহ্নের পরিবর্তে ‘;’ প্রতিস্থাপিত
6এসআরও নং—৩২৪—আইন/২০১৯/৮৬—মূসক, তারিখ: ১৩/১০/২০১৯ দ্বারা সংযোজিত
7এসআরও নং—৩২৪—আইন/২০১৯/৮৬—মূসক, তারিখ: ১৩/১০/২০১৯ দ্বারা প্রতিস্থাপিত
8এসআরও নং—১৫৯—আইন/২০১৭/০২—মূসক, তারিখ: ০১/১০/২০১৭ দ্বারা প্রতিস্থাপিত
9এসআরও নং—৩০৮—আইন/২০২০/১২৬—মূসক, তারিখ: ১৫ নভেম্বর, ২০২০ দ্বারা বিলুপ্ত
10এসআরও নং—১৪০—আইন/২০২১/১৩৭—মূসক, তারিখ: ০৩ জুন, ২০২১ দ্বারা বিলুপ্ত
11এসআরও নং—১৫৯—আইন/২০১৭/০২—মূসক, তারিখ: ০১ জুন, ২০১৭ দ্বারা ‘বা এজেন্’ বিলুপ্ত
12এসআরও নং—১৭১—আইন/২০১৯/২৮—মূসক, তারিখ: ১৩/০৬/২০১৯ দ্বারা বিধি ১৮ক সন্নিবেশিত
13এসআরও নং—২২৬—আইন/২০১৯/৬২—মূসক, তারিখ: ৩০/০৬/২০১৯ দ্বারা দফা (খ) ও (গ) প্রতিস্থাপিত
14এসআরও নং—১৪০—আইন/২০২১/১৩৭—মূসক, তারিখ: ০৩/০৬/২০২১ দ্বারা বিলুপ্ত
15এসআরও নং—১৪০—আইন/২০২১/১৩৭—মূসক, তারিখ: ০৩/০৬/২০২১ দ্বারা সন্নিবেশিত
16এসআরও নং—১৪০—আইন/২০২১/১৩৭—মূসক,, তারিখ: ০৩/০৬/২০২১দ্বারা বিধি ১৮খ সন্নিবেশিত।
17এসআরও নং—১৪০—আইন/২০২১/১৩৭—মূসক,, তারিখ: ০৩/০৬/২০২১ দ্বারা বিধি ১৮গ সন্নিবেশিত

 

চতুর্থ অধ্যায়

                      মূল্য সংযোজন কর আদায় পদ্ধতি

 

১৯। আমদানি পর্যায়ে পরিশোধিত আগাম কর সমন্বয় ও ফেরত।- (১) আমদানি পর্যায়ে আগাম কর পরিশোধকারী নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত 1[***] ব্যক্তি ধারা

৩১         এর উপ-ধারা (৩) এ বর্ণিত করমেয়াদের দাখিলপত্রে পরিশোধিত সমুদয় আগাম কর হ্রাসকারীসমন্বয় সাধন করিতে পারিবেন।

(২)        উপ-বিধি (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, নিবন্ধিত ৩০[বা ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট কর মেয়াদের সমুদয় প্রদেয় কর হইতে পরিশোধিত সমুদয় আগাম কর বিয়োগ করিয়া হ্রাসকারী সমন্বয় সাধন করিবেন।

 

(৩)        আমদানি পর্যায়ে আগাম কর পরিশোধকারী ব্যক্তি নি¤œবর্ণিত শর্ত ও পদ্ধতিতে পরিশোধিত সমুদয় আগাম কর ফেরত প্রদানের নিমিত্তে কমিশনারের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন, যথা:-

(ক) তাহাকে আমদানিকৃত পণ্যের সর্বশেষ ভোক্তা হইতে হইবে এবং তিনি বর্ণিত পণ্য অন্য কাহারো নিকট হস্তান্তর করিতে পারিবেন না;

(খ) যে তারিখে আগাম কর পরিশোধ করা হইবে সেই তারিখ হইতে ৬০(ষাট) দিনের মধ্যে তাহাকে ফরম “মূসক-৪.১” এ নিকটবর্তী যেকোনো কমিশনার বরাবর অনলাইনে আবেদন করিতে হইবে;

 

(গ) কমিশনার প্রাপ্ত আবেদন যাচাই-অন্তেÍ যথাযথ প্রাপ্তি সাপেক্ষে আবেদন প্রাপ্তির ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে আবেদনকারীর অনুকূলে ফেরত প্রদানের বিষয়টি মঞ্জুরপূর্বক একটি ক্রসড চেক ইস্যু করিবেন অথবা

আবেদনকারীর ব্যাংক হিসাবে মঞ্জুরীকৃত অর্থ স্থানান্তরের নির্দেশ প্রদান করিবেন।

২০। পণবিহীন করযোগ্য সরবরাহের মূল্য নির্ধারণ।- (১) ধারা ৩২ এর উপ-ধারা (৪) এর অধীন সরবরাহের ক্ষেত্রে, কোনো নিবন্ধিত ব্যক্তি কোনো অর্থ বৎসরে নমুনা হিসাবে সর্বোচ্চ ২০ (বিশ) হাজার টাকা মূল্য মানের সরবরাহ প্রদান করিতে পারিবেন।

(২)        উপ-বিধি (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোনো নিবন্ধিত ব্যক্তিএকটি অর্থ বৎসরে এক বা একাধিক সরবরাহের মাধ্যমে উক্ত উপ-বিধিতে বর্ণিত অর্থের নমুনা শূন্য   পণ হিসেবে প্রদর্শন করিতে পারিবেন।

(৩)        উপ-বিধি (১) এ বর্ণিত অর্থ ন্যায্য বাজার মূল্য দ্বারা নির্ধারিত হইবে।

৩১         [২১। উপকরণ-উ’পাদ সহগ ঘোষনা।- (১) ধারা ৩২ এর উপ-ধারা (৫) এর উদ্দেশ্যপূরণকল্পে কোন নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্তি ব্যক্তিকে পণ্য উ’পাদন বা সরবরাহের পূর্বে ফরম “মূসক-৪.৩‘‘ এ বিভাগীয় কর্মকর্তার নিকট একটি উপকরণ-উ’পাদ (রহঢ়ঁঃ ড়ঁঃঢ়ঁঃ পড়-বভভরপরবহঃ) দাখিল করিতে যাহার একটি অনুলিপি বিভাগীয় কর্মকর্তা কর্তৃক ৭ (সাত) কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কমিশনারের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে।

২২। চলমান ব্যবসা বিক্রয়ের পদ্ধতি।- (১) কোনো চলমান ব্যবসায়ের ক্রেতা এবং বিক্রেতা ফরম “মূসক-৪.২”এ যৌথ আবেদনের মাধ্যমে প্রদেয় সমুদয় কর ও বকেয়ার সমপরিমাণ অর্থের তফসিলি ব্যাংকের নিঃশর্ত ও অব্যাহত ব্যাংক গ্যারান্টি উক্ত ব্যবসা বিক্রয়ের অন্যূন ১৫ (পনের) দিন পূর্বে কমিশনার বরাবর দাখিল করিবেন।

(২)        কমিশনার দাখিলকৃত ব্যাংক গ্যারান্টি যাচাই-অন্তে যথাযথ প্রাপ্তি সাপেক্ষে আবেদন প্রাপ্তির ৭ (সাত) দিনের মধ্যে চলমান ব্যবসা বিক্রয়ের অনুমতি প্রদান করিবেন।

(৩)        চলমান ব্যবসায়ের বিক্রেতা উক্ত ব্যবসায়ের ক্রেতাকে নি¤œবর্ণি ত তথ্যাদি

প্রদান করিবেন, যথা:-

(ক)  মালিকানা সংক্রান্ত সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য;

(খ)  পূর্ণাঙ্গ আর্থিক বিবরণী;

(গ)  সকল সম্পদের বিবরণী;

(ঘ)  সকল দায়-দেনার বিবরণী;

(ঙ)  মামলা সংক্রান্ত তথ্যাদি;

(চ)  সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের নিবন্ধন, লাইসেন্স, ইত্যাদির বিবরণী; এবং

(ছ)  প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্য।

২৩। আগাম মূল্য পরিশোধিত টেলিযোগাযোগ সেবা গ্রহণকারী বা দ্রব্য ব্যবহারকারী ব্যক্তি কর্তৃক রেয়াত গ্রহণ পদ্ধতি।- (১) নি¤œবর্ণিত প্রমাণাদি থাকা সাপেক্ষে এই বিধির পরবর্তী বিধান অনুসরণপূর্বক, আগাম পরিশোধিত উপকরণ কর রেয়াত গ্রহণ করিতে পারিবেন, যথা:

 (ক)       মূল্য পরিশোধের বিপরীতে সরবরাহকারী কর্তৃক সরবরাহ গ্রহীতার অনুকূলে জারীকৃত অর্থ প্রাপ্তির প্রাপ্তি স্বীকারপত্র;

(খ)        আগাম পরিশোধিত মূল্য ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকার ওপর হইলে উহা ব্যাংকিং চ্যানেলে পরিশোধের প্রমাণপত্র; ও

(গ)        আগাম পরিশোধিত মূল্য যে ন্যায্য বাজার মূল্য উহা প্রমাণের সপক্ষে প্রামাণ্য দলিলাদি।

(২)        সরবরাহ প্রদানকারী ও সরবরাহ গ্রহীতার মধ্যে সম্পাদিত বাণিজ্যিক চুক্তি ও উহাতে বর্ণিত মূল্য কমিশনারকে আগাম অবহিত করিতে হইবে।

২৪।          অনিবন্ধিত পাওনাদার কর্তৃক ঋণ পরিশোধে সম্পত্তি বিক্রয়ের পদ্ধতি।-

(১)        অনিবন্ধিত পাওনাদার ঋণ আদায়ের লক্ষ্যে দায়বদ্ধ সম্পত্তি বিক্রয়ের পূর্বে সংশ্লিষ্ট কমিশনারকে কর নির্ধারণের লক্ষ্যে অনুরোধ করিবেন।

(২)        কমিশনার উপ-বিধি (১) এর অধীন অনুরোধ প্রাপ্তির ৭ (সাত) দিনের মধ্যে আইন ও এই বিধির অধীন প্রযোজ্য করের পরিমাণ নির্ধারণ করিয়া উহা পরিশোধের  সময় ও পদ্ধতি উল্লেখ-পূর্বক অনিবন্ধিত পাওনাদারকে অবহিত করিবেন।

(৩)        অনিবন্ধিত  পাওনাদার  উক্ত  কর  পরিশোধ  করিয়া  কমিশনারকে  অবহিত করিবেন।

(৪)        অনিবন্ধিত পাওনাদার এই বিধির বিধান লংঘন করিলে তাহার উপর আইন ও এই বিধিমালার বিধান এমনভাবে প্রযোজ্য হইবে যেন তিনি একজননিবন্ধিত ব্যক্তি।

২৮         মূসক এসআরও নং-৬২-মূসক, তারিখ: ০১/০৬/২০১৭

২৯         মূসক এসআরও নং-১৭১-আইন/২০১৯/২৮ মূসক তারিখ: ১৩/০৬/২০১৯

৩০         মূসক এসআরও নং-১৭১-আইন/২০১৯/২৮-মূসক তারিখ :১৩/০৬/২০১৯

৩১         মূসক এসআরও নং-১৭১আইন/২০১৯/২৮-মূসক,, তারিখ: ১৩/০৬/২০১৯

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

পঞ্চম অধ্যায়

করদাতা কর্তৃক প্রদেয় নীট কর নিরূপণ পরিশোধ পদ্ধতি,

উৎসে কর্তন সমন্বয়

 

২৫। কর পরিশোধ পদ্ধতি।-(১) নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত ব্যক্তি নির্দিষ্ট কর মেয়াদের নীট কর নিরূপণপূর্বক উহা নির্ধারিত হিসাব কোডে সরকারি কোষাগারে পরিশোধ করিবেন।

(২) অনলাইনে কর পরিশোধের ক্ষেত্রে কর পরিশোধের পর মূসক কম্পিউটার সিস্টেম হইতে প্রদত্ত প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (Acknowledgement Slip) কর পরিশোধের প্রমাণ হিসাবে বিবেচিত হইবে।

(৩)          অনলাইনে কর পরিশোধ ব্যতীত অন্য কোনো পদ্ধতিতে কর জমা প্রদানের ক্ষেত্রে দাখিলপত্রের সাথে কর জমা প্রদানের প্রামাণিক দলিল দাখিল করিতে হইবে।

২৬। আংশিক উপকরণ কর রেয়াত গ্রহণ।- (১) ধারা ৪৭ এর উপ-ধারা (২) এর আওতায় আংশিক উপকরণ করের পরিমাণ নিরূপণের লক্ষ্যে উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত সূত্র প্রয়োগের ক্ষেত্রে-

(ক)          বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত কোনো নির্দিষ্ট স্থানে থাকিয়া আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রদত্ত সরবরাহ সূত্রে উল্লিখিত A    অথবা T - এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হইবে না; এবং

(খ)           T/A এর ভগ্নাংশ নিম্নবর্ণিত উপায়ে পূর্ণ সংখ্যায় উন্নীত বা অবনত করা হইবে-

(অ)          যদি উহা ০.৯০- এর অধিক হয়, পূর্ণ সংখ্যা ১ (এক) এ উন্নীত করা হইবে;

(আ)         যদি উহা ০.১০ অপেক্ষা কম হয়, পূর্ণ সংখ্যা ০ (শূন্য) এ অবনত করা হইবে।

(২)           কোনো কর মেয়াদে ধারা ৪৭ এর উপ-ধারা (৩) এর অধীনকোনো ব্যক্তিকে যে উপকরণ কর রেয়াত প্রদান করা হয় উহা হইবে সাময়িক, এবং        প্রত্যেক পঞ্জিকা বৎসরের শেষে সমন্বয় সাধন করিতে হইবে এবং উহা নিম্নবর্ণিত উপায়ে হিসাব করিতে হইবে, যথা:-

(ক)          উক্ত পঞ্জিকা বৎসরের অন্তর্ভুক্ত ১২ (বারো) টি কর মেয়াদেরপ্রত্যেকটিতে ধারা ৪৭ এর উপ-ধারা (৩) এর অধীন যে উপকরণ কর রেয়াত প্রদান    করা হয় উহার সমুদয় অর্থ যোগ করিয়া;

(খ)           ধারা ৪৭ এর উপ-ধারা (৩) এ বর্ণিত সূত্র এমনভাবে প্রয়োগ করিতে হইবে যাহাতে ‘I’, ‘A’ এবং ‘T’ এর সংজ্ঞায় কর মেয়াদের উল্লেখ প্রাসঙ্গিক পঞ্জিকা বৎসরের উল্লেখ হিসাবে বুঝায়;

(গ)           দফা (ক) এর অধীন প্রাপ্ত অর্থ হইতে দফা (খ) এর অধীন প্রাপ্ত অর্থ বিয়োগের মাধ্যমে সমন্বয় করিয়া;

(ঘ)          দফা (গ) তে বর্ণিত উপায়ে হিসাবকৃত সমন্বয়ের পরিমাণ যদি ধনাত্মক হয়, তবে উক্ত অর্থের সমপরিমাণ একটি বৃদ্ধিকারী সমন্বয়, পরবর্তী পঞ্জিকা বৎসরের তৃতীয় কর মেয়াদে অথবা, কমিশনার কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোনো  পূর্ববর্তী কর মেয়াদে উক্ত করযোগ্য ব্যক্তির মূল্য সংযোজন কর দাখিলপত্রে প্রদর্শন করিতে হইবে;

(ঙ) দফা (গ) তে বর্ণিত উপায়ে হিসাবকৃত (ঈধষপঁষধঃবফ) সমন্বয়ের পরিমাণ যদি ঋণাত্মক হয়, তবে উক্ত ব্যক্তিকে পরবর্তী পঞ্জিকা বৎসরের তৃতীয় কর মেয়াদে অথবা কমিশনার যেইরূপ যুক্তিযুক্ত মনে করিবেন সেইরূপে অন্য কোনো পূর্ববর্তী কর মেয়াদে মূল্য সংযোজন কর দাখিলপত্রে উক্ত অর্থের সমপরিমাণ একটি হ্রাসকারী সমন্বয় হিসাবে প্রদান করা হইবে।

 (৩) কোনো ব্যক্তির সহিত সম্পাদিত লেনদেনের ফলস্বরূপ প্রদত্তসেবার পণ আংশিক ফি এবং আংশিক মুনাফা হওয়ার কারণে যে ক্ষেত্রে কোনো নিবন্ধিত ব্যক্তিযে আর্থিক সেবা প্রদান করেন তাহা যদি আংশিক করযোগ্য এবং আংশিক অব্যাহতিপ্রাপ্ত হয়, তাহা হইলে ধারা ৪৭ এর উপ-ধারা (৩) এ বর্ণিত সূত্রের‘ঞ’এবং‘অ’তে অন্তর্ভুক্ত অর্থ এমন হইবে যাহাতে করযোগ্য সরবরাহ প্রস্তুতেব্যবহৃত উক্ত ব্যক্তির উপকরণাদির প্রকৃত এবং যথার্থ

(ঞৎঁব ধহফ ধপপঁৎধঃব) প্রতিফলন ঘটে।

 (৪) বোর্ড আর্থিক সেবা সরবরাহকারী কর্তৃক প্রদত্ত করযোগ্য সরবরাহের বিপরীতে উপকরণ কর রেয়াত গ্রহণের বিশেষ পদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে এবং উক্তরূপে নির্ধারিত পদ্ধতি এই বিধিতে বিধৃত পদ্ধতির উপর প্রাধান্য পাইবে।

২৭। সমন্বয় ঘটনা প্রবাহের ক্ষেত্রে সরবরাহোত্তর সমন্বয় পদ্ধতি।-(১) ধারা ২ এর দফা ৭১ এর উপ-দফা (ঝ), দফা ৮৭ ও দফা ১০৩ এর উপ-দফা (ড) এবং ধারা ৪৮ এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, যখন কোনো সমন্বয় ঘটনা ঘটে এবং সরবরাহকারী কর্তৃক সরবরাহের ক্ষেত্রে ইতঃপূর্বে মূল্য সংযোজন করের যে হিসাব করা হইয়াছিল উহা প্রদেয় প্রকৃত মূল্য সংযোজন কর অপেক্ষা কম হয়, সেইক্ষেত্রে সরবরাহকারী-

(ক) যেই কর মেয়াদে উক্ত সমন্বয় ঘটনা ঘটে সেই কর মেয়াদে একটি বৃদ্ধিকারী  সমন্বয় সাধন করিবেন, যাহা উক্ত পার্থক্যের পরিমাণের সমান হইবে; এবং

(খ) সংশ্লিষ্ট সরবরাহ গ্রহীতার অনুকূলে একটি ডেবিট নোট জারি করিবেন।

 (২) যদি সরবরাহ গ্রহীতা নিবন্ধিত ব্যক্তি হন, তবে তিনি যেই কর মেয়াদে ডেবিট নোট গ্রহণ করেন সেই কর মেয়াদে অথবা তাহার পরবর্তী ২(দুই) কর মেয়াদের মধ্যে ১ (এক) টি হ্রাসকারী সমন্বয় সাধন করিতে পারিবেন।

 (৩) উপ-বিধি (২) এর হ্রাসকারী সমন্বয়ের পরিমাণ হইবে- (ক) সরবরাহ গ্রহীতা মূল অর্জনের (ঙৎরমরহধষ ধপয়ঁরংরঃরড়হ) উপর সমুদয়  উপকরণ কর রেয়াত গ্রহণের অধিকারী হইলে নিরূপিত পার্থক্যের সমপরিমাণ;

(খ) সরবরাহ গ্রহীতা মূল অর্জনের উপর উপকরণ করের আংশিকমাত্র রেয়াত  গ্রহণের অধিকারী হইলে ধারা ৪৭ এর উপ-ধারা (৩) এর অধীন ঞঅ ভগ্নাংশ

 ব্যবহার করিয়া যে মাসে সমন্বয় দাবী করা হইয়াছে সেই মাসে নিরূপিত  পার্থক্যের পরিমাণের একটি অনুপাত; অথবা

(গ) সরবরাহ গ্রহীতা মূল অর্জনের উপর উপকরণ কর রেয়াত গ্রহণের অধিকারী না  হইলে শূন্য।

 (৪) যদি কোনো সমন্বয় ঘটনা সংঘটিত হয় এবং সরবরাহকারী কর্তৃক সরবরাহের ক্ষেত্রে ইতঃপূর্বে মূল্য সংযোজন করের যে হিসাব করা হইয়াছে উহা প্রদেয় প্রকৃত মূল্য সংযোজন কর অপেক্ষা অধিক হয়, তাহা হইলে সরবরাহকারী-

(ক) সংশ্লিষ্ট সরবরাহ গ্রহীতার অনুকূলে একটি ক্রেডিট নোট জারি করিবেন; এবং

(খ) উপ-বিধি (৬) এর বিধান সাপেক্ষে, যে কর মেয়াদে উক্ত সমন্বয় ঘটনা ঘটে  সেই কর মেয়াদে অথবা উক্ত ব্যক্তি কর্তৃক যদি উক্ত সময়ে কোনো হ্রাসকারী  সমন্বয় সাধন করা না হয় তাহা হইলে তাহার পরবর্তী ২ (দুই) কর মেয়াদের  যে কোনো ১ (এক) টিতে একটি হ্রাসকারী সমন্বয় সাধন করিতে পারিবেন,  উহার পরিমাণ উক্ত পার্থক্যের পরিমাণের সমান হইবে।

 (৫) নিবন্ধিত গ্রহীতার ক্ষেত্রে-

(ক) যে কর মেয়াদে সমন্বয় ঘটনা ঘটে অথবা যে কর মেয়াদে ক্রেডিট নোট গৃহীত  হয়- এই দুইয়ের মধ্যে যাহা পূর্বে ঘটিবে সেই সময়ে সরবরাহ

 গ্রহীতাবৃদ্ধিকারী সমন্বয় সাধন করিবেন; এবং

(খ) বৃদ্ধিকারী সমন্বয়ের পরিমাণ হইবে-

 (অ) সরবরাহ গ্রহীতা যদি মূল অর্জনের উপর সমুদয় উপকরণ কর রেয়াত  গ্রহণের অধিকারী হন তাহা হইলে পার্থক্যের সমপরিমাণ;

 (আ) সরবরাহ গ্রহীতা যদি মূল অর্জনের উপর উপকরণ করের শুধু আংশিক রেয়াত গ্রহণের অধিকারী হন তাহা হইলে ধারা ৪৭ এর উপ-ধারা (৩) এর অধীন ভগ্নাংশ ব্যবহার করিয়া যে মাসে সমন্বয় দাবী করা হইয়াছে সেই মাসে নিরূপিত পার্থক্যের পরিমাণের একটি অনুপাত; অথবা

 (ই) সরবরাহ গ্রহীতা মূল অর্জনের (ঙৎরমরহধষ ধপয়ঁরংরঃরড়হ) উপর উপকরণ কর রেয়াত গ্রহণের অধিকারী না হইলে শূন্য।

 (৬) হ্রাসকারী সমন্বয় সাধন করা যাইবে না, যদি না-

(ক) সরবরাহ গ্রহীতা নিবন্ধিত ব্যক্তি হন ও সরবরাহকারীর নিকটহইতে ক্রেডিট নোট গ্রহণের সপক্ষে কোনো প্রমাণ থাকে; অথবা

(খ) সরবরাহ গ্রহীতা নিবন্ধিত ব্যক্তি না হন, সেইক্ষেত্রে সরবরাহকারী গ্রহীতাকে অতিরিক্ত মূল্য সংযোজন কর ফেরত প্রদান করেন উহা নগদ হউক

অথবা গ্রহীতা কর্তৃক সরবরাহকারীর কোনো পাওনা পরিশোধের মাধ্যমে হউক।

(৭) উপ-বিধি (৬) এর দফা (খ) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে-

(ক) ধারা ২ এর দফা (৮৭) এর উপ-দফা (ক) হইতে (গ) এ বর্ণি ত সমন্বয় ঘটনা সংঘটিত হওয়ার কারণে যদি কোনো সরবরাহকারী পরিশোধিত  মূল্যের আংশিক বা সমুদয় অর্থ ফেরত প্রদান করেন, তবে ভিন্নরূপ কোনো প্রমাণ না থাকিলে, যে পরিমাণ অর্থ ফেরত প্রদান করা হইবে উহার মধ্যে ফেরত প্রদত্ত অর্থের কর ভগ্নাংশের সমপরিমাণ মূল্য সংযোজন করের অর্থ অন্তর্ভুক্ত রহিয়াছে বলিয়া গণ্য করিতে হইবে; এবং (খ) ধারা ২ এর দফা (৮৭) এর উপ-দফা (ঘ) এ বর্ণিত সমন্বয় ঘটনা সংঘটিত হওয়ার কারণে যদি কোনো সরবরাহকারী কোনো অর্থ ফেরত প্রদান করেন, তবে ভিন্নরূপ কোনো প্রমাণ না থাকিলে, ফেরত প্রদত্ত  অর্থের সমপরিমাণ মূল্য সংযোজন কর প্রদেয় হইবে না।

২৮। অনাদায়ী পণের জন্য সরবরাহোত্তর সমন্বয়।- (১) যদি করযোগ্য সরবরাহের জন্য সরবরাহ গ্রহীতা সরবরাহকারীকে আংশিক বা সমুদয় পণ পরিশোধ

না করেন তাহা হইলে সরবরাহকারী বর্ণিত সরবরাহের জন্য কমিশনারের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধন করিতে পারিবেন।

(২) যদি ১২ (বারো) মাসাধিককাল যাবত করযোগ্য সরবরাহ বাবদ সরবরাহকারীর অনুকূলে প্রদেয় পণের আংশিক বা সমুদয় পরিমাণ বকেয়া থাকে এবং সরবরাহকারী তাহার হিসাব বহিতে (নড়ড়শং ড়ভ ধপপড়ঁহঃ) অপরিশোধিত অর্থের পরিমাণকে অনাদায়ী ঋণ হিসাবে অবলোপন করিয়া

থাকে (ৎিরঃঃবহ ড়ভভ), তবে সেইক্ষেত্রে সরবরাহকারী এমনভাবে একটি হ্রাসকারী সমন্বয় সাধন করিতে পারিবেন যেন উক্ত সরবরাহের জন্য পণ

পরিবর্তনপূর্বক কোনো সমন্বয় ঘটনা সংঘটিত হইয়াছে।

(৩) নিম্নবর্ণিত কর মেয়াদসমূহের মধ্যে যাহা সর্বশেষে সংঘটিত হয় সেই করমেয়াদে তাহা সমন্বয় সাধন করা হইবে, যদি-

(ক) প্রথমবার প্রাপ্য পণ ১২ (বারো) মাসের অধিককাল বকেয়া হয়; অথবা  ঋণটি অনাদায়ী ঋণ হিসাবে অবলোপন করা হয়;

(খ) কোনো করযোগ্য সরবরাহের জন্য কোনো সরবরাহকারীর অনুকূলে প্রদেয় পণের সমুদয় বা অংশ বিশেষ ১২ (বারো) মাসাধিককাল যাবত

 বকেয়া থাকে; এবং

(গ) সরবরাহ সম্পর্কিত উপকরণ করের জন্য সরবরাহ গ্রহীতা কোনো  বিয়োজন দাবি করিয়া থাকে।

(৪) ধারা ৪৮ এর বিধান অনুযায়ী সরবরাহ গ্রহীতা এমনভাবে একটি বৃদ্ধিকারী সমন্বয় সাধন করিবেন যেন উক্ত সরবরাহের জন্য পণ পরিবর্তনপূর্বক কোনো সমন্বয় ঘটনা সংঘটিত হইয়াছে ।

(৫) নি¤œবর্ণিত বিষয় নিশ্চিত করিবার জন্য কোনো অনাদায়ী ঋণের জন্য কোনো সরবরাহকারী অথবা কোনো সরবরাহ গ্রহীতা বকেয়া ঋণের জন্য একটি সমন্বয়সাধনের পর যদি সরবরাহ গ্রহীতা পূর্বের অপরিশোধিত অর্থের আংশিক বা সমুদয় পরিমাণ সরবরাহকারীকে পরিশোধ করেন, তাহা হইলে উক্ত ক্ষেত্রে আরও ১ (এক) টি সমন্বয় সাধন করা যাইবে উহা নিশ্চিতকরণের জন্য যে-

(ক) সরবরাহকারীর ক্ষেত্রে:পরিশোধিত উৎপাদ করের পরিমাণ হইবে প্রকৃতপক্ষে প্রাপ্ত পণের কর ভগ্নাংশের সমপরিমাণ; এবং

(খ) গ্রহীতার ক্ষেত্রে: উপকরণ কর রেয়াতের পরিমাণ হইবে প্রকৃতপক্ষে পরিশোধিত পণের কর ভগ্নাংশের প্রকৃত অনুপাত।

(৬) কোন অর্থ পরিশোধ করা হয় নাই এবং কোন ঋণ অনাদায়ী ঋণ, উহা প্রমাণের দায়িত্ব সরবরাহকারীর উপর বর্তাইবে।

 ২৯। ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ না করার কারণে সমন্বয়।-

(১) করযোগ্য সরবরাহ অর্জনের ক্ষেত্রে কোনো নিবন্ধিত ব্যক্তিকে ধারা ৪৬ এর

 [উপ-ধারা (২) এর দফা (ক) এ বর্ণিত সরবরাহের ক্ষেত্রে ব্যাংকিং মাধ্যম ব্যতিরেকে পণ

পরিশোধের ক্ষেত্রে একটি বৃদ্ধিকারী সমন্বয় সাধন করিতে হইবে।

(২) উপ-বিধি (১) এর অধীন প্রয়োজনীয় বৃদ্ধিকারী সমন্বয় সেই কর মেয়াদে বা কর মেয়াদসমূহে করিতে হইবে যেই কর মেয়াদে বা কর মেয়াদসমূহে কোনো ব্যক্তি যাচাইযোগ্য ব্যাংকিং দলিল ব্যতিরেকে অন্য কোনো উপায়ে সরবরাহের পণ পরিশোধ করেন।

(৩) সমন্বয়ের পরিমাণ যাচাইযোগ্য ব্যাংকিং দলিল ব্যতিরেকেঅন্য কোনো উপায়ে পরিশোধিত পণের কর ভগ্নাংশের সমান হইবে।

(৪) এই বিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কমিশনারের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বিনিময় পদ্ধতির সরবরাহের (ংঁঢ়ঢ়ষু সধফব ঁহফবৎ নধৎঃবৎ ঢ়ৎড়পবংং) ক্ষেত্রে ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ পরিশোধ না হইলেও রেয়াত গ্রহণ করা যাইবে।

৩০। ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে (ঢ়ৎরাধঃব ঢ়ঁৎঢ়ড়ংবং) ব্যবহৃত সম্পদের ক্ষেত্রে সমন্বয়।-(১) কোনো নিবন্ধিত ব্যক্তি ১ (এক) টি বৃদ্ধিকারী সমন্বয় সাধন করিবেন, যদি তিনি-

(ক) কোনো সম্পদ অর্জন বা আমদানির উপর উদ্ভূত বা পরিশোধিত  উপকরণ করের সমুদয় বা আংশিক পরিমাণের জন্য উপকরণ কর  রেগ্রহণ করেন বা করিয়া থাকেন; এবং

(খ) উক্ত সম্পদ ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেন।

(২) উপ-বিধি (১) এর বৃদ্ধিকারী সমন্বয়ের পরিমাণ হইবে নিবন্ধিত ব্যক্তি কর্তৃক সম্পদ অর্জন অথবা আমদানির জন্য গৃহীত উপকরণ কর রেয়াতের সমপরিমাণ অর্থ।

(৩) কোনো নিবন্ধিত ব্যক্তি উৎপাদিত সম্পদের জন্য ১ (এক) টিবৃদ্ধিকারী সমন্বয় করিবেন, যদি-

(ক) উক্ত ব্যক্তি ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে উক্ত সম্পদ ব্যবহার করেন; এবং

(খ) উক্ত ব্যক্তি সম্পদটি সরবরাহ করেন এবং উহা করযোগ্য সরবরাহ হয়।

(৪) উপ-বিধি (৩) এর বৃদ্ধিকারী সমন্বয়ের পরিমাণ হইবে সম্পদের ন্যায্য বাজার মূল্যের কর ভগ্নাংশ।

 (৫) যে কর মেয়াদে সম্পদটি প্রথমে ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়বা হইবে সেই কর মেয়াদে বৃদ্ধিকারী সমন্বয় সাধন করিতে হইবে।

(৬) এই বিধি প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি কোনো সম্পদ ব্যক্তিগত ব্যবহারে প্রয়োগ করেন মর্মে গণ্য হইবে যদি উক্ত ব্যক্তি আর্থিক কার্যক্রমের উদ্দেশ্য ব্যতিরেকে অন্য কোনো উদ্দেশ্যে বর্ণিত সম্পদ ব্যবহার বা ভোগ করেন।

৩১। নিবন্ধিত হওয়ার ক্ষেত্রে উপকরণ কর ও মূসক সমন্বয়।-(১) যেই ব্যক্তি টার্নওভার করের জন্য তালিকাভুক্ত এবং পরবর্তী সময়ে নিবন্ধিত হইয়াছেন, সেই ব্যক্তি নিবন্ধন কার্যকর হওয়ার দিবসের পূর্ববর্তী দিন শেষে তাহার দখলে থাকা পণ্যের জন্য হ্রাসকারী সমন্বয় সাধনের লক্ষ্যে কমিশনার বরাবর আবেদন করিতে পারিবেন, যদি-

(ক) উক্ত ব্যক্তির নিবন্ধন পূর্ববর্তী ৩ (তিন) মাসের মধ্যে পণ্যটি-

 (অ) উক্ত ব্যক্তি কর্তৃক আমদানিকৃত হয় এবং তৎকর্তৃক আমদানির  উপর মূল্য সংযোজন কর পরিশোধ করা হয়; অথবা

 (আ) উক্ত ব্যক্তির নিকট সরবরাহ প্রদান করা হয়, এবং তৎকর্তৃক সরবরাহ  গ্রহণের সপক্ষে চালানপত্র ধারণ করা হয়;

(খ) উক্ত ব্যক্তি পণ্য অর্জন করিয়া থাকেন-

 (অ) তাহার অর্থনৈতিক কার্যক্রমের উদ্দেশ্যে এবং উহার স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়; এবং

 (আ) চলমান সরবরাহের উদ্দেশ্যে; এবং

(গ) উক্ত ব্যক্তি আমদানি বা অর্জনের জন্য উপকরণ কর রেয়াত গ্রহণ করিতে পারিতেন যদি উক্ত ব্যক্তির নিবন্ধিত হওয়ার দিবসে উক্ত আমদানি বা অর্জন

সংঘটিত হইত।

(২) হ্রাসকারী সমন্বয়ের যে সর্বোচ্চ পরিমাণ কমিশনার প্রদান করিতে পারেন উহা হইবে নিম্নবর্ণিত পরিমাণসমূহের মধ্যে যেইটি সর্বনি¤œ উহার সমপরিমাণ

(ক) উক্ত ব্যক্তির নিকট যে সরবরাহকারী সরবরাহ প্রদান করিয়াছিল  তৎকর্তৃক প্রদেয় অথবা আমদানির উপর উক্ত ব্যক্তি কর্তৃক পরিশোধিত

 মূল্য সংযোজন করের পরিমাণ;

(খ) উক্ত ব্যক্তির নিবন্ধিত হওয়ার সময়ে পণ্যের ন্যায্য বাজার মূল্যের কর ভগ্নাংশ।

৩) যে ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি টার্নওভার করের জন্য তালিকাভুক্ত হন এবং তিনি-

(ক) পরবর্তীকালে নিবন্ধিত হন এবং করযোগ্য পণ্য সরবরাহ করেন; এবং

(খ) নিবন্ধিত হওয়ার অব্যবহিত পূর্ববর্তী কর মেয়াদে দাখিলকৃত টার্নওভার কর দাখিলপত্রে উক্ত ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত সরবরাহের পণ পূর্বেই অন্তর্ভুক্ত করিয়া

থাকেন, সেইক্ষেত্রে বর্ণিত সরবরাহের বিপরীতে উক্ত ব্যক্তি কর্তৃক পরিশোধিত টার্নওভার করের সমপরিমাণ হ্রাসকারী সমন্বয় সাধনের অনুমতি

চাহিয়া কমিশনারবরাবরে আবেদন করিতে পারিবেন।

(৪) এই বিধির অধীন হ্রাসকারী সমন্বয়ের জন্য কেবল ১ (এক) টি আবেদন করা যাইবে এবং, তাহা-

(ক) নিবন্ধিত হওয়ার ৩ (তিন) মাসের মধ্যে করিতে হইবে; এবং

(খ) প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, উপ-বিধি (১) হইতে (৩) এ বর্ণিত বিষয়সমূহ প্রমাণের জন্য  পর্যাপ্ত দালিলিক প্রমাণ থাকিতে হইবে।

(৫) কমিশনার আবেদন প্রাপ্তির ২(দুই) মাসের মধ্যে এই বিধিরঅধীন উক্ত ব্যক্তিকে প্রদত্ত হ্রাসকারী সমন্বয় সাধনের পরিমাণ (যদি থাকে) এবং যেই কর মেয়াদে হ্রাসকারী সমন্বয় সাধন করা যাইবে তাহা আবেদনকারীকে অবহিত করিবেন।

৩২। নিবন্ধন বাতিলের পরিপ্রেক্ষিতে সমন্বয়।- (১) কোনো ব্যক্তির নিবন্ধন বাতিলের সময়ে তাহার দখলে থাকা সকল সম্পদের ক্ষেত্রে ১ (এক) টি বৃদ্ধিকারী সমন্বয় সাধন করিতে হইবে, যদি উক্ত সম্পদ অর্জন বা আমদানির ক্ষেত্রে অথবা উক্ত সম্পদে অন্তর্ভুক্ত হইয়াছে (ঝঁনংঁসবফ)এমন কোনো উপকরণের জন্য উক্ত ব্যক্তি উপকরণ কর রেয়াত গ্রহণ করিয়া থাকেন।

(২) উপ-বিধি (১) এর বৃদ্ধিকারী সমন্বয়ের পরিমাণ হইবে নিবন্ধন বাতিলের অব্যবহিত পূর্বের দিবসে সম্পদের ন্যায্য বাজার মূল্যের কর ভগ্নাংশের সমপরিমাণ।

(৩) এই বিধির অধীন উপকরণ কর সংবলিত কোনো সম্পদের জন্য বিধি ২৪ এর অধীন নিরূপিত সমন্বয়ের আলোকে কোনো সমন্বয় সাধনের প্রয়োজনীয়তা

থাকিলে, উক্ত ব্যক্তি কর্তৃক নিরূপিত পূর্ববর্তী ১২ (বারো) মাসের গড় অনুপাতকে উক্ত বিধির অধীন নিরূপিত সমন্বয়ের সহিত গুণ করিয়া সমন্বয়ের পরিমাণ হ্রাস করিতে হইবে, এবং যদি এমন কোনো অনুপাত প্রযোজ্য না হয়, তাহা হইলে সমন্বয়ের পরিমাণ হ্রাস করা যাইবে না।

(৪) চূড়ান্ত কর মেয়াদের মূল্য সংযোজন কর চূড়ান্ত দাখিলপত্রে (মূসক-২.৫) সমন্বয় সাধন করিতে হইবে।

৩৩। পুনঃবিক্রয়ের জন্য ক্রীত ব্যবহৃত (ংবপড়হফ-যধহফ) পণ্যের ক্ষেত্রে

সমন্বয়।-(১) নি¤œবর্ণিত শর্তাদি পূরণ সাপেক্ষে, ব্যবহৃত পণ্য বিক্রির ব্যবসা বা কারবারের স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী বিক্রয় বা বিনিময়ের উদ্দেশ্যে (প্র স্তুতকরণের জন্য নয়) ক্রীত ব্যবহৃত পণ্যের ক্ষেত্রে কোনো নিবন্ধিত ব্যক্তি (ডিলার) একটি হ্রাসকারী সমন্বয় সাধন করিতে

পারিবেন, যদি-

(ক) পণ্যটি কোনো অনিবন্ধিত ব্যক্তির নিকট হইতে ক্রয় করা হয়;

(খ) উক্ত সরবরাহ কোনো নিবন্ধিত ব্যক্তি কর্তৃক প্রদান করা হইত, তাহা  হইলে সরবরাহটি করযোগ্য সরবরাহ হইত;

(গ) ডিলার কর্তৃক পণ্যটি আমদানি করা না হয়;

(ঘ) ডিলার বা ব্যবসায়ী কর্তৃক পণ্যের পুনঃবিক্রয় একটি করযোগ্য সরবরাহ হয়;  এবং

(ঙ) বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে বিক্রয়াধীন এবং ক্রয় সংক্রান্ত সকল  পুস্তক বা রেকর্ড ডিলার সংরক্ষণ করেন।

(২) হ্রাসকারী সমন্বয়ের পরিমাণ হইবে ব্যবহৃত পণ্য ক্রয়ের লক্ষ্যে ডিলার কর্তৃক পরিশোধিত পণের কর ভগ্নাংশের সমান।

(৩) যে কর মেয়াদে ডিলার পণ্যটি পুনরায় বিক্রয় করিবেন সেই কর মেয়াদে মূল্য সংযোজন কর দাখিলপত্রে হ্রাসকারী সমন্বয় সাধন করিতে হইবে।

৩৪। বীমা সংক্রান্ত সমন্বয়।-  (১) কোনো নিবন্ধিত বীমাকারী একটি হ্রাসকারী সমন্বয় সাধনকরিতে পারিবেন যদি উক্ত বীমাকারী ব্যক্তি বীমা চুক্তি মোতাবেক অন্যকোনো ব্যক্তিকে অর্থ পরিশোধ করেন এবং নিম্নবর্ণিত সকল শর্ত পূরণ করেন, যথা:-

(ক) বীমা চুক্তির সরবরাহ যদি একটি করযোগ্য সরবরাহ হয়;

(খ) বীমাকারী কর্তৃক আমদানি অথবা বীমাকারীর অনুকূলে কোনো সরবরাহ  প্রদানের জন্য অর্থ পরিশোধ না করা হয়;

(গ) অন্য কোনো ব্যক্তির অনুকূলে কোনো সরবরাহ প্রদানের জন্য অর্থ পরিশোধ  করা হয় না, যদি না উক্ত করযোগ্য সরবরাহ, যাহার উপর শূন্য হার ব্যতীত  ভিন্ন হারে মূল্য সংযোজন কর আরোপিত হয়; এবং

(ঘ) যেই ব্যক্তির অনুকূলে অর্থ পরিশোধ করা হয় সেই ব্যক্তি অনিবন্ধিত ও  অনাবাসিক না হন।

(২) কোনো নিবন্ধিত বীমাকারী একটি বৃদ্ধিকারী সমন্বয় সাধন করিতে পারিবেন, যদি-

(ক) বীমাচুক্তির অধীন স্থলাভিষিক্ত হওয়ার মাধ্যমে অর্জিত অধিকার প্রয়োগের  ফলে বীমাকারী কোনো অর্থ (অধিকতর খারাপ বা দৃষ্টান্ত মূলক ক্ষয়ক্ষতি

 ব্যতীত) আদায় করেন; এবং

(খ) আদায়কৃত অর্থের সংশ্লিষ্ট পরিমাণের জন্য বীমাকারীকে উপ-বিধি (১) এর  অধীন একটি হ্রাসকারী সমন্বয় সাধনের অনুমতি প্রদান করা হইয়া থাকে।

(৩) কোনো নিবন্ধিত ব্যক্তি একটি বৃদ্ধিকারী সমন্বয় সাধন করিতে পারিবেন, যদি-

(ক) উক্ত ব্যক্তি বীমাচুক্তির আওতায় কোনো অর্থ লাভ করেন, তিনি উক্ত চুক্তির  কোনো পক্ষ হউন বা না হউন;

(খ) প্রদত্ত অর্থ লোকসান সংশ্লিষ্ট হইবে, যদি উহা-

 (অ) উক্ত ব্যক্তির অর্থনৈতিক কার্যক্রমের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হয়; বা

(আ) উক্ত ব্যক্তির অর্থনৈতিক কার্যক্রমের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় কোনো   সম্পদের আংশিক বা সমুদয় ব্যবহার সংশ্লিষ্ট হয়; এবং

(গ) বীমাচুক্তির সরবরাহ একটি করযোগ্য সরবরাহ হয়।

(৪) হ্রাসকারী বা বৃদ্ধিকারী সমন্বয়ের পরিমাণ হইবে পরিশোধিত অর্থের কর ভগ্নাংশের সমপরিমাণ।

(৫) হ্রাসকারী বা বৃদ্ধিকারী সমন্ব য়ের পরিমাণ হইবে প্রাপ্ত অর্থের কর ভগ্নাংশের সমপরিমাণ এবং উহা নিম্নবর্ণিত উপায়ে হ্রাসপ্রাপ্ত হইবে-

(ক) যে আর্থিক কার্যক্রমে লোকসান সাধিত হইয়াছিল উহা কর অব্যাহ  তিপ্রাপ্ত সরবরাহ প্রস্তুতে সংশ্লিষ্ট ছিল; অথবা

(খ) লোকসান সংশ্লিষ্ট সম্পদ কর অব্যাহতিপ্রাপ্ত সরবরাহ প্রস্তুতে অথবা ব্যক্তিগত  উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়; এবং

(গ) যদি দফা (ক) এবং দফা (খ) উভয়ই প্রযোজ্য হয়, তবে প্রাপ্ত অর্থের প্রসঙ্গে  যেইটি খুব বেশি যুক্তিযুক্ত সেইটি প্রযোজ্য হইবে।

(৬) যে কর মেয়াদে অর্থ পরিশোধ করা হয় সেই কর মেয়াদের মূল্য সংযোজন কর  দাখিলপত্রে সমন্বয় সাধন করিতে হইবে।

 ৩৫। লটারি, লাকি-ড্র, র‌্যাফেল ড্র, হাউজি এবং অনুরূপ কার্যক্রমের ক্ষেত্রে সমন্বয়।-(১) লটারি, লাকি-ড্র, র‌্যাফেল-ড্র, হাউজি, অথবা অনুরূপ কার্যক্রম পরিচালনাকারী কোনো নিবন্ধিত ব্যক্তি কর্তৃক বর্ণিত কার্যক্রমের ফলশ্রুতিতে আর্থিক পুরস্কার বাবদ কোনো অর্থ পরিশোধ করা হইলে উক্ত ব্যক্তি একটি হ্রাসকারী সমন্বয় সাধন করিতে পারিবেন।

(২) উক্ত নিবন্ধিত ব্যক্তি যে কর মেয়াদে আর্থিক পুরস্কার বাবদ অর্থ পরিশোধ করা হইবে সেই কর মেয়াদের দাখিলপত্রে হ্রাসকারী সমন্বয় সাধন করিতে পারিবে।

৩৬। করহার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সমন্বয়।- (১) কোনো নিবন্ধিত ব্যক্তি একটি হ্রাসকারী বা বৃদ্ধিকারী সমন্বয় সাধন করিতে পারিবেন যদি উক্ত নিবন্ধিত ব্যক্তিসরবরাহের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য প্রকৃত হার অপেক্ষা ভিন্ন হারে বিশেষ কোনো সরবরাহের ক্ষেত্রে মূল্য সংযোজন কর পরিশোধ করিয়া থাকেন।

(২) প্রকৃত পরিশোধিত মূল্য সংযোজন করের পরিমাণ এবং সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রদেয় মূল্য সংযোজন করের পরিমাণের মধ্যে পার্থক্যজনিত অর্থ হইল সমন্বয়যোগ্য অর্থের পরিমাণ।

(৩) যেই কর মেয়াদে অর্থ পরিশোধ করা হইবে সেই কর মেয়াদের মূল্য সংযোজন কর দাখিলপত্রে সমন্বয় সাধন করিতে হইবে।

৩৭। অনিবন্ধিত সরবরাহ গ্রহীতা কর্তৃক উৎসে কর্তিত মূল্য সংযোজন কর পরিশোধ।-(১) উৎসে কর্তনকারী সত্তা বিধি ৪০ এর উপ-বিধি (১) এর দফা (চ) এর উপ-দফা (ই) তে বর্ণিত সময়ের মধ্যে উৎসে কর্তিত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা প্রদানকরিবেন।

(২) উৎসে কর্তনকারী সত্তা উক্তরূপে কর্তিত মূসক জমা প্রদানের তথ্য (ট্রেজারি চালান ও উৎসে কর কর্তন সনদপত্রের কপিসহ), অনলাইনে জমার ক্ষেত্র ব্যতীত, উৎসে কর কর্তন সনদপত্র ইস্যুর ৭ (সাত) কার্যদিবসের মধ্যে নিকটবর্তী মূল্য সংযোজন কর কার্যালয়ে প্রেরণ করিবেন।

৩৮। হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা কর্তৃক অনিবন্ধিত সরবরাহ গ্রহীতার পক্ষে উৎসে মূল্য সংযোজন কর কর্তন ও পরিশোধ।- (১) বিধি ৩৭ এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ধারা

৪৯ এর উপ-ধারা (৩) এর দফা (খ) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ধারা ২ এর দফা (২১) এ বর্ণিতউৎসে কর্তনকারী সত্তাসমূহের মধ্যে যে সকল অনিবন্ধিত সত্তার লেনদেন বা তৎসংক্রান্ত বিল হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা কর্তৃক নিষ্পত্তি হয়, তাহাদের উৎসে মূল্য সংযোজন কর কর্তন ও তাহা কোষাগারে পরিশোধ সংক্রান্ত কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা কর্তৃক সম্পাদিত  হইবে।

 (২) উপ-বিধি (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সংশ্লিষ্ট উৎসে কর্তনকারী সত্তা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার নিকট দাখিলকৃত বিলে, যাহার অনুকূলে বিল অনুমোদন করা হইয়াছে তাহার নাম ও ব্যবসায় সনাক্তকরণ সংখ্যা উল্লেখ করিবেন।

 (৩) উপ-বিধি (২) এ বর্ণিত বিল পরিশোধের জন্য অনুমোদিত হইলে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা উহা হইতে প্রযোজ্য মূল্য সংযোজন কর কর্তন করিয়া বুক ট্রান্সফার বা অন্যবিধ স্বীকৃত পদ্ধতিতে সরকারি কোষাগারে জমা করিবেন।

 (৪) হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা বিল পরিশোধের ৩ (তিন) কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট উৎসে কর্তনকারী সত্তাকে অবহিত করিবেন ও মূসক কম্পিউটার সিস্টেমে উক্ত তথ্য প্রেরণ করিবেন।

৩৯। উৎসে কর্তনের পর সরবরাহকারী কর্তৃক হ্রাসকারী সমন্বয়।-বিধি ৩৮ এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ধারা ৫০ এর উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, উক্ত ধারার উপ-ধারা (২) ও (৩) এর বিধান সাপেক্ষে কর্তিত মূসকের সমপরিমাণ অর্থ সংশ্লিষ্ট কর মেয়াদের দাখিলপত্রে হ্রাসকারী সমন্বয় সাধন করিবেন।

ষষ্ঠ অধ্যায়

মূল্য সংযোজন কর টার্নওভার করের হিসাবরক্ষণ

৪০। মূল্য সংযোজন কর হিসাবরক্ষণ।- (১) কোনো নিবন্ধিত ব্যক্তিকে তাহার সরবরাহের স্থান বা স্থানসমূহে নিম্নবর্ণিত পুস্ত কসমূহ, চালানপত্রসমূহ, উৎসে কর কর্তন সনদপত্র এবং ক্রেডিট নোট ও ডেবিট নোট, যাহাই প্রযোজ্য হয়, উহার বিপরীতে নির্ধারিত ফরমে ও পদ্ধতিতে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করিতে হইবে, যথা:-

[(ক) ক্রয় হিসাব পুস্তক।-  নিবন্ধিত ব্যক্তি, যেই পণ্য ক্রয় করেন সেই পণ্যই  বিক্রয় করেন এমন ক্ষেত্র ব্যতীত, তাহার অর্থনৈতিক কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট সকল

 ক্রয়ের হিসাব ফরম “মূসক-৬.১”এ সংরক্ষণ করিবেন;

(খ) বিক্রয় হিসাব পুস্তক।- নবন্ধিত ব্যক্তি, নিবন্ধিত ব্যক্তি তাহার অর্থনৈতিক কার্যক্রম  সংশ্লিষ্ট সকল বিক্রয়ের হিসাব ফরম “মূসক-৬.২” এ সংরক্ষন করিবেন।

(খখ) ক্রয়-বিক্রয় হিসাব।- যদি নিবন্ধিত ব্যক্তি যে সকল পণ্য ক্রয় করেন উক্তরূপ  পণ্য কোনোরূপ প্রক্রিয়াকরণ ব্যতিরেকে উহা সরবরাহ করেন, তাহা হইলে

 তিনি উক্ত পণ্যের ক্রয়-বিক্রয় হিসাব “মূসক-৬.২.১” এ সংরক্ষন করিবেন;

(গ) কর চালানপত্র।-  নি¤œবর্ণিত পদ্ধতিতে নিবন্ধিত ব্যক্তি কর্তৃক কর চালানপত্র  জারি করিতে হইবে, যথা:-

(অ) প্রতিটি সরবরাহের বিপরীতে ফরম “মূসক-৬.৩”এ একটি কর চালান পত্র;

(আ) চালানপত্র প্রদানের প্রকৃত তারিখ ও সময়;

(ই) সরবরাহকারীর নাম ঠিকানা ও ব্যবসা সনাক্তকরণ সংখ্যা;

(ঈ) সরবরাহমূল্য ২৫,০০০.০০ (পঁচিশ হাজার) টাকার অধিক হইলে ক্রেতার  নাম, ও ঠিকানা ও ব্যবসা সনাক্তকরণ সংখ্যা;

 (উ) সরবরাহকৃত পণ্যের বর্ণনা, পরিমাণ, সরবরাহ প্রদানের প্রকৃত তারিখ ও  সময়

 (ঊ) সরবরাহ মূল্য (মূসক ব্যতিত);

 (ঋ) সরবরাহের উপর প্রযোজ্য মূসক হার;

 (এ) প্রদেয় মূসকের পরিমাণ;

 (ঐ) সরবরাহ মূল্য এবং প্রদেয় মূসকের যোগফল;

 (ও) অর্থ বৎসর ভিত্তিক সংখ্যানুক্রমিক কর চালানপত্র;

 (ঔ) নিবন্ধিত ব্যক্তি নাম, ঠিকানা ও চালানপত্র নম্বর উল্লেখপূর্বক পৃথক  সংখ্যানুক্রমিক কর চালানপত্র;

 (অঅ) মূল চালানপত্রটি ক্রেতাকে প্রদান করিতে হইবে এবং অনুলিপি নিবন্ধিত  ব্যক্তি সংরক্ষণ করিবেন এইরূপ ন্যূনতম ২(দুই) প্রস্থে কর চালানপত্র;

 (ইই) বোর্ডে কর্তৃক নির্ধারিত অন্য যে কোন তথ্য।]

(ঘ) চুক্তিভিত্তিক উৎপাদনের চালানপত্র।-নি¤œবর্ণিত পদ্ধতিতে নিবন্ধিত  ব্যক্তিকে চুক্তিভিত্তিক উৎপাদনের চালানপত্র জারি করিতে হইবে, যথা:-

(অ) চুক্তিভিত্তিক পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে চুক্তিবদ্ধ নিবন্ধিত ব্যক্তিদ্বয়ের  মধ্যে তাহাদের অর্থনৈতিক কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট পণ্যের উপকরণ ও উৎপাদিত পণ্য ফরম “মূসক-৬.৪”দ্বারা পারস্পরিকভাবে স্থানান্তরিত হইতে হইবে;

(আ) চুক্তিভিত্তিক উৎপাদনের চালানপত্র অর্থবৎসর ভিত্তিক সংখ্যানুক্রমিক  হইতে হইবে;

(ই) নিবন্ধিত ব্যক্তি একাধিক স্থান হইতে চুক্তিভিত্তিক উৎপাদনের  কার্যক্রম পরিচালনা করিলে প্রতিটি স্থ ানের জন্য পৃথক সংখ্যানুক্রমিক  চুক্তিভিত্তিক উৎপাদনের চালানপত্র জারি করিতে পারিবেন যাহাতে স্থানের  নাম, ঠিকানা ও চালানপত্র নম্বর থাকিবে;

(ঈ) চুক্তিভিত্তিক উৎপাদনের চালানপত্র ন্যূনতম ২(দুই) প্রস্থে জারিকরিতে  হইবে, যাহার মূল চালানপত্রটি উপকরণ বা উৎপাদিত পণ্য  গ্রহণকারীকে প্রদান করিতে হইবে এবং অনুলিপি নিবন্ধিত সরবরাহকারী  ব্যক্তি সংরক্ষণ করিবেন; এবং

(উ) চুক্তিভিত্তিক উৎপাদন পদ্ধতিতে উৎপাদিত পণ্য, পণ্যের প্রকৃত  মালিকের নিকট সরবরাহ শেষে চুক্তিভিত্তিক উৎপাদনের জন্য প্রাপ্য বা  প্রাপ্ত পণের জন্য ফরম “মূসক-৬.৩”এ একটি কর চালানপত্র জারি  করিতে হইবে।

ঙ) পণ্য স্থানান্তর চালানপত্র।- নি¤œবর্ণিত পদ্ধতিতে নিবন্ধিত ব্যক্তিকে পণ্য স্থানান্তর চালানপত্র জারি করিতে হইবে, যথা:-

(অ) নিবন্ধিত ব্যক্তি অর্থনৈতিক কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট পণ্য তাহার এক শাখা  হইতে অন্য শাখায় (পণ্যগারসহ) ফরম “মূসক-৬.৫”এ স্থানান্তর  করিবেন;

(আ) পণ্য স্থানান্তর চালানপত্র অর্থবৎসর ভিত্তিক সংখ্যানুক্রমিক হইবে;

(ই) নিবন্ধিত ব্যক্তি একাধিক স্থান হইতে পণ্য স্থানান্তরের কার্যক্রম পরিচালনা করিলে প্রতিটি স্থানের জন্য পৃথক সংখ্যানুক্রমিক পণ্য  স্থানান্তর চালানপত্র জারি করিতে পারিবেন যাহাতে স্থানের নাম,  ঠিকানা ও চালানপত্র নম্বর থাকিবে; এবং

(ঈ) পণ্য স্থানান্তর চালানপত্র ন্যূনতম ২(দুই) প্রস্থে জারি করিতে হইবে  যাহার মূল চালানপত্রটি পণ্য গ্রহণকারী শাখা (পণ্যগারসহ) বরাবর প্রেরণ  করিতে হইবে এবং অনুলিপি জারিকারী শাখায় সংরক্ষণ করিবেন।

(চ) উৎসে কর কর্তন সনদপত্র।-নিবন্ধিত ব্যক্তি নি¤œবর্ণিত পদ্ধতিতে উৎসে কর কর্তন সনদপত্র জারি করিবেন, যথা:-

(অ) নিবন্ধিত ব্যক্তি কোনো উৎসে কর্তনকারী সত্তার নিকট কোনো  সরবরাহ প্রদানকালে দফা (গ) এ বর্ণিত পদ্ধতিতে ফরম “মূসক-৬.৩”এ  একটি কর চালানপত্র ইস্যু করিবেন;

(আ) নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত সরবরাহ গ্রহীতা পণ পরিশোধের ৩  (তিন) কার্যদিবসের মধ্যে ফরম “মূসক-৬.৬” তে সরবরাহকারীর

 অনুকূলে একটি উৎসে কর কর্তন সনদপত্র ইস্যু করিবেন;

(ই) নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত নন এমন সরবরাহ গ্রহীতা পণ পরিশোধের  ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা প্রদানপূর্বক জমা  প্রদানের, বা ক্ষেত্রমত, বিধি ৩৮ এর উপ-বিধি (৪) এর অধীন অবহিত  হওয়ার ৩ (তিন) কার্যদিবসের মধ্যে ফরম “মূসক-৬.৬” এ সরব  রাহকারীর অনুকূলে একটি উৎসে কর কর্তন সনদপত্র ইস্যু করিবেন;

(ঈ) দফা (ই) এর অধীন কর্তিত অর্থ সরবরাহকারী যে কাস্টমস, এক্সাইজ ও মূসক কমিশনারেটের আওতায় নিবন্ধিত তাহার বরাবরে

 সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করিতে হইবে;

(উ) উপ-দফা (ই) এর বিধান সত্ত্বেও সরবরাহ গ্রহীতা উৎসে কর কর্তনযোগ্য একাধিক সরবরাহের বিপরীতে সরবরাহকারী কর্তৃক  জারীকৃত কর চালানপত্র ফরম “মূসক-৬.৩” সমূহের সূত্রে একটি  উৎসে কর কর্তন সনদপত্র জারি করিতে পারিবেন;

(ছ) ক্রেডিট নোট ও ডেবিট নোট।-নিবন্ধিত ব্যক্তি বিধি ২৭ এর বিধান  সাপেক্ষে, ফরম “মূসক-৬.৭”এ ক্রেডিট নোট এবং ফরম  “মূসক-৬.৮”এ ডেবিট নোট জারি করিবেন। নোট :এই বিধির উদ্দেশ্য পূরণকল্পে,-

(১) “ডেবিট নোট” অর্থ বাংলাদেশ একাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ড, বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল  রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ড ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অন অডিটিং এবং আন্ত র্জাতিক  ভাবে স্বীকৃত হিসাবরক্ষণ পদ্ধতির বিধানানুযায়ীএকটি সম্পূরক চালান, যাহা  পূর্বে ইস্যুকৃত এক বা একাধিক কর চালানপত্রের সংশোধনী সংশ্লিষ্ট যাহার কারণে  নিবন্ধিত ব্যক্তি বৃদ্ধিকারী সমন্বয় সাধন করিতে পারেন।

(২) “ক্রেডিট নোট” অর্থ বাংলাদেশ একাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ড, বাংলাদেশ  ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ড ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অন  অডিটিং এবং আন্ত র্জাতিকভাবে স্বীকৃত হিসাবরক্ষণ পদ্ধতির বিধানানুযায়ীএকটি সম্পূরক চালান, যাহা পূর্বে ইস্যুকৃত এক বা একাধিক কর চালানপত্রের সংশোধনী সংশ্লিষ্ট যাহার

কারণে নিবন্ধিত ব্যক্তি হ্রাসকারী সমন্বয় সাধন করিতে পারেন।

(২) নিবন্ধিত ব্যক্তি তাহার ব্যবসায়িক প্রয়োজনে, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত তথ্যসহ, এ অধ্যায়ে বর্ণিত ফরমসমূহ নিজস্ব ফরম্যাটে ও প্রস্থে সংরক্ষণ

করিতেপারিবেন, যাহাতে-

(ক) ফরমের নাম থাকিবে;

(খ) নির্ধারিত ফরমের সকল তথ্য অর্ন্তভুক্ত থাকিবে; এবং

(গ) সংশ্লিষ্ট ফরমটি ন্যূনতম নির্ধারিত প্রস্থে জারি হইবে।

(৩) কোনো ত্রুটিপূর্ণ বা অসম্পূর্ণ “কর চালানপত্র”, “উৎসে করকর্তন সনদপত্র” “ডেবিট নোট” ও “ক্রেডিট নোট” রেয়াত বা সমন্বয়ের জন্য প্রামাণিক দলিল হিসাবে বিবেচিত হইবে না।

(৪) উপ-বিধি (১) এর বিধান সত্ত্বেও, নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত ব্যক্তি বাংলাদেশ একাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ড, বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ড ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অন অডিটিং অনুযায়ী, যথাক্রমে, হিসাবরক্ষণ, রির্পোট ও নিরীক্ষা সম্পন্ন করিবেন।

(৫) উপ-বিধি (৪) এর অধীন প্রণীত দলিলাদিসহ ব্যবসা পরিচালনার লক্ষ্যে সংরক্ষণীয় ও ব্যবসায়ের অবস্থাজ্ঞাপক সকল দলিল বাণিজ্যিক দলিল হিসাবে বিবেচিত হইবে এবং উহা নিবন্ধিত ব্যক্তির করদায়িতা নির্ধারণে ব্যবহার করা যাইবে।

(৬) কোনো নিবন্ধিত ব্যক্তি একই সাথে এই বিধির অধীন নির্ধারিত ফরমেটে এবং উপ-বিধি

(২) এর বিধান অনুসরণ করিয়া নিজস্ব পদ্ধতিতে হিসাবরক্ষণ করিতেপারিবেন না।

৪১। টার্নওভার কর হিসাবরক্ষণ।-  যেকোনো তালিকাভুক্ত ব্যক্তিকে তাহার সরবরাহের স্থানে-

(ক) তাহার সরবরাহ সংশ্লিষ্ট সকল ক্রয়-বিক্রয়ের হিসাব, যথাক্রমে, ফরম  “মূসক-৬.১” ও “মূসক-৬.২” [বা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, “মূসক-৬.২.১”] এ

 সংরক্ষণ করিবেন;

(খ) নি¤œবর্ণিত পদ্ধতিতে তালিকাভুক্ত ব্যক্তি টার্নওভার কর চালানপত্র  জারি  করিবেন, যথা:-

(অ) প্রতিটি সরবরাহের বিপরীতে ফরম “মূসক-৬.৯” এ টার্নওভার  কর চালানপত্র;

 (আ) টার্নওভার কর চালানপত্র অর্থবৎসর ভিত্তিক সংখ্যানুক্রমিক হইবে;

 (ই) তালিকাভুক্ত ব্যক্তি একাধিক স্থ ান হইতে সরবরাহ প্রদান  করিলে প্রতিটি স্থানের জন্য আলাদা সংখ্যানুক্রমিক চালানপত্র  জারি করিতে হইবে যাহাতে স্থানের ঠিকানা ও চালানপত্র নম্বর  উল্লেখ থাকিবে; এবং

 (ঈ) টার্নওভার কর চালানপত্র ২ (দুই) প্রস্থে জারি করিতে হইবে  যাহার মূল চালানপত্রটি ক্রেতাকে প্রদান করিতে হইবে এবং  অনুলিপি তালিকাভুক্ত ব্যক্তি তাহার ব্যবসায় প্রাঙ্গণে সংরক্ষণ করিবেন।

৪২। ক্রয়-বিক্রয়ের তথ্য দাখিল।-(১) কোনো নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত ব্যক্তি-

 (ক) কোনো সরবরাহ প্রদানের বিপরীতে, ২ (দুই) লক্ষ টাকার অধিক  মূল্যমানের কোনো মূসক চালানপত্রে বা চালানপত্রসমূহের অথবা  টার্নওভার কর চালানপত্র বা চালানপত্রসমূহের তথ্য সংশ্লিষ্ট কর  মেয়াদের দাখিলপত্র জমাপ্রদানের সময় বা পূর্বে ফরম “মূসক-৬.১০”এ  অনলাইনে মূসক কম্পিউটার সিস্টেমে প্রেরণ করিবেন;

 (খ) কোনো সরবরাহ গ্রহণের বিপরীতে, ২ (দুই) লক্ষ টাকারঅধিক মূল্যমানের  মূসক চালানপত্র বা চালানপত্রসমূহের অথবা টার্নওভার কর চালানপত্র বা

 চালানপত্রসমূহের তথ্য সংশ্লিষ্ট কর মেয়াদের দাখিলপত্র জমা প্রদানের সময়  বা পূর্বে ফরম “মূসক-৬.১০”এ মূসক কম্পিউটার সিস্টেমে প্রেরণ

 করিবেন।

 (২) কোনো নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত ব্যক্তি অনলাইনে তথ্য প্রেরণে অসমর্থ হইলে তিনি তাহা [সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার] নিকট দাখিল করিবেন।

 (৩) উপ-বিধি (১) এর তথ্য প্রেরণের প্রক্রিয়া, তথ্যের কাঠামো, নিরাপত্তা, তথ্যের প্রক্রিয়াকরণ, সফটওয়্যার তালিকাভুক্তির শর্ত ও পদ্ধতি ইত্যাদি নির্ধারণের লক্ষ্যে বোর্ড নির্দেশনা (এঁরফবষরহব) জারি করিতে পারিবে।

 (৪) উপ-বিধি (৩) এর অধীন তালিকাভুক্ত সফটওয়্যারের একটি তালিকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হইবে।

 (৫) যথাযথ অবকাঠামো তৈরি সাপেক্ষে, করদাতা কর্তৃক ব্যবহৃত পিওএস, ইসিআর, সফটওয়্যার বা অন্যকোনো বিক্রয় মেশিন হইতে বোর্ড আদেশ দ্বারা নির্ধারিত তারিখ হইতে প্রয়োজনীয় তথ্য মূসক কম্পিউটার সিস্টেমে গ্রহণ করিতে পারিবে।

 (৬) উপ-বিধি (৪) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বর্তমানে যেসকল নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত ব্যক্তি নিজস্ব সফটওয়্যার ব্যবহার করিতেছেন তাহা উপ-বিধি (৩)এর আওতায় জারীকৃত নির্দেশনা (এঁরফবষরহব) এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া বা সামঞ্জস্যপূর্ণ করিয়া হালনাগাদকরণ সাপেক্ষে ব্যবহার করা যাইবে।

 (৭) উপ-বিধি (৩), (৫) বা (৬) এর আওতায় কোনো স্বয়ংক্রীয় পদ্ধতিতে

ক্রয়-বিক্রয়সহ বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত তথ্য মূসক কম্পিউটার সিস্টেমে প্রেরণের ক্ষেত্রে উপ-বিধি (১) এ বর্ণিত ফরম “মূসক-৬.১০”এ তথ্য প্রেরণ আবশ্যক হইবে না।

 মূসক এসআরও নং-৬২-মূসক, তারিখ: ৩০/০৬/২০১৯।

 ৪৩। প্রতিনিধি কর্তৃক জারীকৃত অথবা প্রতিনিধি বরাবর জারীকৃত দলিল।-  (১) যদি কোনো করযোগ্য সরবরাহ মূল সরবরাহকারীর পক্ষে কর্মরত কোনো নিবন্ধিত প্রতিনিধি কর্তৃক প্রদান করা হয়, সেইক্ষেত্রে কর চালানপত্র, ডেবিট বা ক্রেডিট নোটসহ যেকোনো দলিল যাহা মূল সরবরাহকারী কর্তৃক প্রদান করা আবশ্যক, উহা প্রতিনিধি কর্তৃক প্রদান করা যাইবে: তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ চালানপত্র, ডেবিট বা ক্রেডিট নোটসহ যেকোনো দলিল মূল সরবরাহকারীর নামে প্রদান করিতে হইবে এবং উহাতে উক্ত মূল সরবরাহকারীর নাম, ঠিকানা ও ব্যবসায় সনাক্তকরণ সংখ্যা উল্লেখ থাকিবে।

 (২) যদি কোনো করযোগ্য সরবরাহ মূল সরবরাহ গ্রহণকারীর পক্ষে কর্মরত কোনো নিবন্ধিত প্রতিনিধির নিকট প্রদান করা হয়, সেইক্ষেত্রে কর চালানপত্র, ডেবিট নোট বা ক্রেডিট নোটসহ যেকোনো দলিল যাহা মূল সরবরাহ গ্রহণকারী বরাবরে প্রদান করা আবশ্যক, উহা প্রতিনিধি বরাবরে প্রদান করা যাইবে:

তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ চালানপত্র ডেবিট বা ক্রেডিট নোটসহ যেকোনো দলিল উহাতে উক্ত মূল সরবরাহ গ্রহণকারীর নাম, ঠিকানা ও ব্যবসায় সনাক্তকরণ সংখ্যা উল্লেখ থাকিবে।

 ৪৪। প্রতিলিপি সংক্রান্ত বাধানিষেধ।- (১) কোনো করযোগ্য সরবরাহের জন্য মাত্র একটি মূল কর চালানপত্র জারি করা যাইবে, তবে যে ব্যক্তি মূল কর চালানপত্র জারি করিয়াছিলেন তিনি, মূল কর চালানপত্র হারাইয়া গিয়াছে মর্মে কোনো নিবন্ধিত গ্রহীতা দাবি করিয়া থাকিলে, পরিষ্কারভাবে প্রতিলিপি (উঁঢ়ষরপধঃব) উল্লেখপূর্বক একটি অনুলিপি প্রদান করিতে পারিবেন।

(২) কোনো একটি সরবরাহের বিষয়ে কোনো বিশেষ সমন্বয় সাধনের জন্য মাত্র একটি মূল ক্রেডিট বা ডেবিট নোট জারি করা যাইবে, তবে যে ব্যক্তি মূল ক্রেডিট বা ডেবিট নোট জারি করিয়াছিলেন তিনি, মূল ক্রেডিট অথবা ডেবিট নোট হারাইয়া গিয়াছে মর্মে কোনো নিবন্ধিত গ্রহীতা দাবি করিয়া থাকিলে পরিষ্কারভাবে প্রতিলিপি (উঁঢ়ষপধঃব) উল্লেখপূর্বক একটি অনুলিপি প্রদান করিতে পারিবেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সপ্তম অধ্যায়

সম্পূরক শুল্ক সমন্বয়

৪৫। রপ্তানির ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক সমন্বয়।- (১) যেই তারিখে পণ্যটি রপ্তানি করা হইয়াছে অথবা কোনো জাহাজ, উড়োজাহাজ বা অন্যকোনো যানে রপ্তানির লক্ষ্যে বোঝাই করা হইয়াছে উক্ত তারিখ হইতে ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে নিবন্ধিত ব্যক্তিকে হ্রাসকারী সমন্বয়ের

উদ্দেশ্যে ফরম “মূসক-৭.১”এ কমিশনারের নিকট আবেদন করিতে হইবে।

 (২) উপ-বিধি (১) এ বর্ণিত আবেদনের সহিত নি¤œবর্ণিত কাগজপত্রাদি দাখিল করিতে হইবে, যথা:-

(ক) উপকরণ আমদানি ও ব্যবহারের জন্য

(অ) রিলিজ অর্ডার বা শুল্ক-কর পরিশোধের প্রমাণসহ বিল অব এন্ট্রি এর কপি;

(আ) শুল্ক কর্মকর্তা (ঈঁংঃড়সং ঙভভরপবৎ) কর্তৃক প্রত্যায়িত ইনভয়েস ও প্যাকিং লিস্ট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশোধিত আকারে) এর কপি; ও

(ই) রপ্তানিকৃত পণ্যে আমদানিকৃত উপকরণ ব্যবহারের প্রমাণপত্র; এবং

(খ) পণ্য রপ্তানির জন্য-

(অ) বিল অব লেডিং বা এয়ারওয়ে বিল বা ট্রাক রিসিট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) এর কপি;

(আ) এক্সপোর্ট জেনারেল মেনিফেস্ট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) এর কপি; ও

(ই) বৈদেশিক মুদ্রা প্রত্যাবাসন সনদ (চৎড়পববফ জবধষরুধঃরড়হ ঈবৎঃরভরপধঃব- চজঈ) এর কপি।

 (৩) উপ-বিধি (১) ও (২) এ বর্ণিত শর্তাদি পূরণ সাপেক্ষে কমিশনার আংশিক অথবা সমুুুুুুুুুুুুুুুুুদয় হ্রাসকারী সমন্বয় সাধনের অনুমতি প্রদান করিবেন এবং যে কর মেয়াদে বা মেয়াদসমূহে সমন্বয় সাধন করা যাইবে উহা উল্লেখপূর্বক অনুমতি প্রদান করিয়া

আবেদনারীকে লিখিতভাবে অবহিত করিবেন।

 (৪) উপ-বিধি (১) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে কমিশনার উক্ত আবেদনের উপর সিদ্ধান্ত প্রদান করিবেন।

 (৫) কমিশনার কর্তৃক জারীকৃত অনুমতিপত্রে উল্লিখিত কর মেয়াদের দাখিলপত্রে আবেদনকারী হ্রাসকারী সমন্বয় সাধন করিবেন।

 (৬) কমিশনার উপ-বিধি (৪) এ নির্ধারিত সময়ে সিদ্ধান্ত প্রদাননা করিলে তিনি আবেদনটি মঞ্জুর করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে।

 

অষ্টম অধ্যায়

[টার্নওভার কর আদায়]

 [৪৬। টার্নওভার কর আদায়।- বোর্ড বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে তালিকাভুক্তি প্রদানের লক্ষে নিবন্ধন সীমা নিরুপন ও টার্নওভার কর আদায় পদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।]

 

 

 

 

 

 

 

 

 

নবম অধ্যায়

দাখিলপত্র পেশ সংশোধন

৪৭। দাখিলপত্র পেশ।- (১) নিবন্ধিত ব্যক্তি ফরম “মূসক-৯.১” এ মূল্য সংযোজন কর দাখিলপত্র এবং তালিকাভুক্ত ব্যক্তি ফরম “মূসক-৯.২”এ টার্নওভার কর দাখিলপত্র পেশ করিবেন।

(২) মূল্য সংযোজন কর বা টার্নওভার কর দাখিলপত্র কমিশনারের নিকট পেশ করিতে হইবে এবং উহা, অনলাইনে দাখিলের ক্ষেত্র ব্যতীত, নি¤œবর্ণিত ব্যক্তি কর্তৃক স্বাক্ষরিত ও যাচাইকৃত হইবে, যথা:-

(ক) নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত ব্যক্তি;

(খ) যদি উক্ত ব্যক্তি বাংলাদেশে উপস্থিত না থাকেন, অথবা তাহার পক্ষে অন্যকোনো কারণে দাখিলপত্র স্বাক্ষর করা সম্ভব না হয়, সেইক্ষেত্রে তাহার

 পক্ষে যথাযথভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি অথবা তাহার পক্ষ হইতে এমন কোনো ব্যক্তি যিনি উক্ত ব্যক্তি কর্তৃক স্বাক্ষর করার জন্য আমমোক্তারনামা

 প্রাপ্ত;

(গ) নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত ব্যক্তি কর্তৃক যথাযথভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত মূসক পরামর্শক; অথবা

(ঘ) অনাবাসিক ব্যক্তির ক্ষেত্রে তাহার এজেন্ট।

(৩) কমিশনারের নিকট দাখিলপত্র পেশ করিবার লক্ষ্যে, নি¤œবর্ণিত স্থানে উহা জমা প্রদান করা যাইবে, যথা:-

(ক) অনলাইনে বোর্ডের ভ্যাট অনলাইন সিস্টেম;

(খ) নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত ব্যক্তির জন্য সুবিধাজনক হয় এমন কোনো কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট বা বিভাগীয় দপ্তর;

(গ) বোর্ড বা সংশ্লিষ্ট কমিশনার কর্তৃক নির্ধারিত কোনো সেবা কেন্দ্র;

(ঘ) বোর্ড বা সংশ্লিষ্ট কমিশনার কর্তৃক পরিচালিত কোনো মেলা;

(ঙ) বোর্ড কর্তৃক আদেশ দ্বারা নির্ধারিত অন্যকোনো স্থান।

৪৮। বিলম্বে দাখিলপত্র পেশের পদ্ধতি।- (১) নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত ব্যক্তি কোনো কর মেয়াদের দাখিলপত্র বিলম্বে পেশ করিতে চাহিলে যথাযথ কারণ উল্লেখ- পূর্বক উক্ত কর মেয়াদ শেষ হওয়ার ন্যূনতম ৭ (সাত) দিন পূর্বে ফরম “মূসক-৯.৩” এ কমিশনার বরাবর আবেদন করিতে পারিবেন।

 (২) কমিশনার আবেদনে প্রদর্শিত কারণ যুক্তিযুক্ত বিবেচনা করিলে আবেদন প্রাপ্তির ৭ (সাত) দিনের মধ্যে তাহা অনুমোদন করিবেন।

 (৩) উপ-বিধি (২) এর অধীন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কমিশনারসিদ্ধান্ত প্রদান না করিলে তাহা অনুমোদিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।

 (৪) দাখিলপত্র বিলম্বে দাখিলের আবেদন গৃহীত হইলে এবং কমিশনার কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাহা দাখিল করা হইলে নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত ব্যক্তিকে ধারা ৮৫ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (চ) এর অধীন জরিমানা প্রদান করিতে হইবে না; তবে তাহাকেধারা ১২৭ এর অধীন সুদ প্রদান করিতে হইবে।

 (৫) নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত ব্যক্তি বিলম্বে দাখিলপত্র দাখিলের জন্য এই বিধির অধীন কমিশনারের পূর্বানুমোদন গ্রহণ না করিলে তাহাকে ধারা ৮৫ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (চ) এর অধীন জরিমানা এবং ধারা ১২৭ এর অধীন সুদ পরিশোধ করিতে হইবে।

৪৯। দাখিলপত্র সংশোধন।-(১) কোনো করদাতা কর্তৃক মূল্য সংযোজন কর অথবা টার্নওভার কর দাখিলপত্র পেশ করিবার পর পেশকৃত দাখিলপত্রে নি¤œবর্ণিত ক্ষেত্রে সংশোধনী আনয়ন করা যাইবে, যথা:-

(ক) কোনো করণিক ত্রুটি থাকিলে;

(খ) কোনো হিসাবের ভুল সংক্রান্ত কারণে কর কম পরিশোধিত হইয়া থাকিলে;

(গ) কোনো হিসাবের ভুল সংক্রান্ত কারণে কর বেশি পরিশোধিতহইয়া থাকিলে; বা

(ঘ) জালিয়াতি ব্যতীত অন্যকোনো ধরনের ত্রুটি সম্পাদিত হইয়া থাকিলে।

(২) করদাতা ত্রুটি চিহ্নিত হওয়ার অব্যবহিত পর, করদাতা

(ক) অনলাইনে সংশ্লিষ্ট করমেয়াদের দাখিলপত্রের মাধ্যমে; বা

(খ) অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্র ব্যতিরেকে, ফরম “মূসক-৯.৪”এ কমিশনার বরাবর আবেদন করিবেন; এবং

(গ) আবেদনে সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা ও ত্রুটির কারণ বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করিবেন।

 (৩) সংশোধনীর আবেদন-

(ক) সংশ্লিষ্ট দাখিলপত্র দাখিলের ৪ (চার) বৎসরের মধ্যে দাখিল করা যাইবে;

(খ) মূসক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোনো নিরীক্ষা বা তদন্তের সূচনা করিলে বা অন্যকোনো উপায়ে ত্রুটি উদঘাটিত হইলে দাখিল করা যাইবে না।

 (৪) দাখিলপত্র সংশোধনীর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট করমেয়াদের নীট প্রদেয় কর হ্রাস করিবার ক্ষেত্রে, উপ-বিধি (২) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে কমিশনার উক্ত আবেদনের উপর সিদ্ধান্ত প্রদান করিবেন।

 (৫) উপ-বিধি (২) এর অধীন প্রাপ্ত আবেদন উপ-বিধি (৪) এ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনুমোদন না করিলে তাহা মঞ্জুর করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।

 (৬) যেইক্ষেত্রে নিরীক্ষা নোটিশ প্রাপ্তির পূর্বে দাখিলপত্র সংশোধনের কোনো অনুরোধ করদাতা কর্তৃক পেশ করা হয় এবং দাখিলপত্র সংশোধনের ফলে নীট প্রদেয় করের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, সেইক্ষেত্রে-

(ক) প্রযোজ্য কম পরিশোধিত করের উপর ধারা ১২৭ এর অধীন সুদ গণনা করিতে হইবে; এবং

(খ) সুদসহ কম পরিশোধিত কর পরিশোধের ক্ষেত্রে দাখিলপত্র সংশোধনজনিত কারণে কোনো অর্থদ- বা জরিমানা আরোপ করা হইবে না।

(৭) যেইক্ষেত্রে নিরীক্ষা নোটিশ প্রাপ্তির পূর্বে দাখিলপত্র সংশোধনের কোনো অনুরোধ করদাতা কর্তৃক পেশ করা হয় এবং দাখিলপত্র সংশোধনের ফলে নীট প্রদেয় করের পরিমাণ হ্রাস পায়, সেইক্ষেত্রে-

(ক) মূল্য সংযোজন কর দাখিলপত্রের ক্ষেত্রে:করদাতা কমিশনার কর্তৃক নির্ধারিত কর মেয়াদে অতিরিক্ত পরিমাণ অর্থের সমপরিমাণ হ্রাসকারী সমন্বয়

 সাধন করিতে পারিবেন;

(খ) টার্নওভার কর দাখিলপত্রের ক্ষেত্রে:কমিশনার কর্তৃক নির্ধারিত কর মেয়াদে অতিরিক্ত পরিমাণ অর্থের সমপরিমাণ অর্থ প্রদেয় টার্নওভার করের পরিমাণ

 হইতে বাদ দিতে পারিবেন; অথবা

(গ) উৎসে কর্তনকারী সত্তার ক্ষেত্রে: কমিশনার কর্তৃক নির্ধারিত ফেরতযোগ্য কর আইনের বিধান অনুযায়ী ফেরত পাইবেন।

৫০। পূর্ণ, অতিরিক্ত অথবা বিকল্প দাখিলপত্র।-(১) কমিশনার কর মেয়াদ ও দাখিলপত্র দাখিলের সময় নির্ধারণপূর্বক কোনো ব্যক্তিকে, তাহার নিজের পক্ষে হউক কিংবা অন্য কোনো ব্যক্তির এজেন্ট অথবা ট্রাস্টি হিসাবে হউক, একটি “পূর্ণ, অতিরিক্ত বা বিকল্প দাখিলপত্র” পেশ করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।

(২) উক্ত ব্যক্তি উপ-বিধি (১) এর অধীন আদেশ প্রাপ্তির পর আদেশে বর্ণিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর মেয়াদের জন্য একটি “পূর্ণ, অতিরিক্ত বা বিকল্প দাখিলপত্র” পেশ করিবেন।

(৩) উক্ত ব্যক্তি যদি ইতঃপূর্বে সংশ্লিষ্ট কর মেয়াদের নিয়মিত দাখিলপত্র পেশ করিয়া থাকেন তাহা হইলে এই বিধির অধীন দাখিলকৃত “পূর্ণ, অতিরিক্ত বা বিকল্প দাখিলপত্র”দ্বারা তাহা প্রতিস্থাপিত হইয়াছে বলিয়া বিবেচিত হইবে।

(৪) উপ-বিধি (১) এ বর্ণিত সময়ের মধ্যে নির্দেশিত “পূর্ণ, অতিরিক্ত বা বিকল্প দাখিলপত্র” পেশ করিতে ব্যর্থতা বা পেশ না করা ধারা ৮৫ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (চ) এর ব্যর্থতা বা অনিয়ম হিসাবে গণ্য হইবে।

 ৫১। ডাক বা বাহক মারফত দাখিলপত্র দাখিলের ক্ষেত্রে সময় গণনা।– ধারা ৬৪ এর উপধারা

 (১) এ উল্লিখিত সময়সীমা ডাকে বা বাহক মারফত প্রেরিত দাখিলপত্রের ক্ষেত্রে উহা গ্রহণের তারিখ হইতে গণনা করা হইবে।

দশম অধ্যায়

ঋণাত্মক নীট অর্থ জের টানা ফেরত প্রদান

 ৫২। ফেরত প্রদান।-(১) নিবন্ধিত ব্যক্তি ফরম “মূসক-৯.১” এ কমিশনার বরাবর অর্থ ফেরত গ্রহণের জন্য আবেদন করিতে পারিবেন।

 (২) প্রাপ্ত আবেদন যথাযথ পাওয়া গেলে ধারা ৭০ এর শর্তাদি পূরণ সাপেক্ষে কমিশনার আবেদনকারীর ব্যাংক হিসাবে ফেরতযোগ্য অর্থ জমা করিবেন অথবা তাহার অনুকূলে একটি ক্রসড-চেক ইস্যু করিবেন।

 (৩) হ্রাসকারী সমন্বয় গ্রহণের অনুমতি প্রদানের পরবর্তী ৬ (ছয়) টি কর মেয়াদের মধ্যে নিবন্ধিত ব্যক্তিকে হ্রাসকারী সমন্ব য় সাধন করিতে হইবে।

 (৪) নিবন্ধিত ব্যক্তি উপ-বিধি (৩) এ বর্ণিত কর মেয়াদের মধ্যেহ্রাসকারী সমন্বয় গ্রহণে ব্যর্থ হইলে ফরম “মূসক-৯.১”এ কমিশনার বরাবর অর্থ ফেরত গ্রহণের আবেদন করিতে পারিবেন।

 (৫) কমিশনার উপ-বিধি (৪) এ বর্ণিত আবেদন প্রাপ্তির ৩ (তিন) মাসের মধ্যে আবেদনকারীর ব্যাংক হিসাবে ফেরতযোগ্য অর্থ জমা করিবেন অথবা তাহার অনুকূলে একটি ক্রসড-চেক ইস্যু করিবেন।

 (৬) কোনো নিবন্ধিত ব্যক্তি তাহার অতিরিক্ত পরিশোধিত কর, পরিশোধ পরবর্তী ৬ (ছয়) কর মেয়াদের মধ্যে দাখিলপত্রে হ্রাসকারী সমন্বয় করিতে পারিবেন।

 (৭) নিবন্ধিত ব্যক্তি উপ-বিধি (৬) এ বর্ণিত কর মেয়াদের মধ্যেহ্রাসকারী সমন্বয় গ্রহণে ব্যর্থ হইলে ফরম “মূসক-৯.১” এ কমিশনার বরাবর ফেরতযোগ্য অর্থ ফেরত গ্রহণের জন্য আবেদন করিবেন এবং কমিশনার এই বিধিতে বর্ণিত পদ্ধতিতে ফেরত আবেদন নিষ্পত্তি করিবেন।

৫৩। নির্মাণ, গৃহ বা ভবন নির্মাণ, ভূমি বা সম্পত্তি উন্নয়ন ও অন্যান্য অর্থনৈতিক কার্যক্রম একত্রে পরিচালনার ক্ষেত্রে ফেরত প্রদান।- নির্মাণ, গৃহ বা ভবন

নির্মাণ, ভূমি বা সম্পত্তি উন্নয়ন ও অন্যান্য অর্থনৈতিক কার্যক্রম একত্রে পরিচালনাকারী নিবন্ধিত ব্যক্তি ধারা ৬৮ এর উপ-ধারা (৫) এর বিধান মোতাবেক ঋণাত্মক জের টানিবেন।

৫৪। ফেরত প্রদত্ত অর্থের প্রয়োগ।- ধারা ৭০ এর উপ-ধারা (৩) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, উক্ত উপ-ধারায় বর্ণিত অর্থ ধারা ৬৮ এর উপ-ধারা (৪) ও (৫) এর বিধান মতে হ্রাসকারী সমন্বয় করিবেন।

৫৫। কূটনৈতিক এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত কর ফেরত প্রদান।- (১) ধারা ৭১ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন কূটনৈতিক এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত কর ফেরত প্রাপ্তির লক্ষ্যে উক্ত কূটনৈতিক বা আন্তর্জাতিক সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ফরম “মূসক-১০.১”এ সংশ্লিষ্ট কমিশনার বরাবর আবেদন করিতে হইবে।

(২) উপ-বিধি (১) এর অধীন আবেদন কর পরিশোধের ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে কর পরিশোধের প্রামাণিক দলিলাদিসহ দাখিল করিতে হইবে।

 (৩) কমিশনার দাখিলকৃত আবেদন ও কর পরিশোধের প্রামাণিক দলিলাদি যাচাই-অন্তেÍ যথাযথ পাইলে ধারা ৭১ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) ও (খ) এর শর্তাদি পূরণসাপেক্ষে-

(ক) অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে:আবেদন জমার তারিখ হইতে ২ (দুই) মাসের মধ্যে, বা

(খ) অন্যান্য পদ্ধতিতে আবেদনের ক্ষেত্রে:আবেদন জমার তারিখ হইতে ৩ (তিন) মাসের মধ্যে- ফেরতযোগ্য অর্থ আবেদনকারীর ব্যাংক হিসাবে জমা করিবেন  অথবা তাহার অনুকূলে একটি ক্রসড-চেক ইস্যু করিবেন।

 (৪) উপ-বিধি (৩) এর অধীন অনুমোদিত ফেরতযোগ্য অর্থের পরিমাণের সহিত দাবিকৃত অর্থের পরিমাণের কোনো তফাৎ বা পার্থক্য পরিলক্ষিত হইলে,

পার্থক্যের কারণ উল্লেখপূর্বক ফেরতযোগ্য অর্থের পরিমাণ আবেদনকারীকে নোটিশের মাধ্যমে অবহিত করিবেন এবং আবেদনকারী শুনানির সুযোগ চাহিলে তাহাকে শুনানির সুযোগ প্রদান করিয়া ফেরতযোগ্য অর্থের পরিমাণ নির্ধারণ করিবেন।

 (৫) উপ-বিধি (৩) এর অধীন ফেরত প্রদানের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর নিকট আইনের অধীন কোনো পাওনা বকেয়া দায়-দেনা (সুদ, অর্থদন্ড, জরিমানা ইত্যাদিসহ) থাকিলে ফেরতযোগ্য অর্থ হইতে তাহা হ্রাস করিয়া অবশিষ্ট অর্থ (যদি থাকে) ফেরতযোগ্য হইবে।

৫৬। বৈদেশিক পর্যটকদের কর ফেরত।- (১) কোনো বৈদেশিক পর্যটক এই বিধির বিধান সাপেক্ষে তাহার করযোগ্য পণ্য ক্রয়ের বিপরীতে পরিশোধিত মূল্য সংযোজন কর ফেরত পাইবেন।

 (২) নি¤œবর্ণিত পণ্যের ক্ষেত্রে কর ফেরত প্রযোজ্য হইবে না, যথা:-

(ক) রপ্তানি নিষিদ্ধ পণ্য;

(খ) আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য বা সমজাতীয় অন্যকোনো পণ্য; এবং

(গ) বোর্ড কর্তৃক আদেশ দ্বারা নির্ধারিত অন্যকোনো পণ্য।

 (৩) কোনো বৈদেশিক পর্যটক উপ-বিধি (১) এর অধীন ফেরত দাবি করিতে পারিবেন, যদি তিনি-

(ক) ১ (এক) পঞ্জিকাবর্ষে ১৮০ (একশত আশি) দিন বা তাহার কমসময় বাংলাদেশে অবস্থান করেন;

(খ) কোনো বিমানের ক্রু সদস্য না-হন; এবং

(গ) বাংলাদেশের কোনো আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর দিয়া প্রস্থান (ফবঢ়ধৎঃ) করেন।

 (৪) কোনো বৈদেশিক পর্যটক উপ-বিধি (১) এর অধীন ফেরত দাবি করিতে পারিবেন, যদি তিনি-

(ক) "ঠঅঞ জবভঁহফ ঋড়ৎ ঞড়ঁৎরংঃং" চিহ্নিত কোনো দোকান হইতে পণ্য ক্রয় করেন;

(খ) পণ্যটি বাংলাদেশের বাহিরে ভোগের উদ্দেশ্যে ক্রয় করেন;

(গ) ক্রীত পণ্যের প্রতিটি মূসক চালানে প্রদর্শিত মূল্য (মূসক ব্যতীত) ৫,০০০ (পাঁচ হাজার) টাকার ঊর্ধ্বে হয়; এবং

(ঘ) পণ্য ক্রয়ের ৩ (তিন) মাসের মধ্যে তিনি প্রস্থান করেন।

 (৫) বিধি ৫৭ এর বিধানানুযায়ী কোনো ব্যক্তিকে "ঠঅঞ জবভঁহফ ঋড়ৎঞড়ঁৎরংঃং"চিহ্ন ব্যবহার করিবার অনুমতি প্রদান করা যাইবে এবং সেই ক্ষেত্রে উক্তনিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত ব্যক্তি-

(ক) বৈদেশিক পর্যটকের পাসপোর্ট পরীক্ষা করিয়া তাহার পরিচিতি ও কর ফেরত প্রাপ্তির শর্ত যাচাই-অন্তেÍ যথাযথ প্রাপ্তি সাপেক্ষে তাহার অনুকূলে ফরম

 “মূসক-১০.২”এ একটি “মূসক ফেরত সনদ (ঠঅঞ জবভঁহফ ঈবৎঃরভরপধঃব)” জারি করিবেন; এবং

(খ) উক্ত “মূসক ফেরত সনদ”-এর সহিত মূসক চালানপত্র সংযুক্ত করিয়া বৈদেশিক পর্যটককে প্রদান করিবেন।

 (৬) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের "ঠঅঞ জবভঁহফ"চিহ্নিত কাস্টমস ডেস্ক হইতে নি¤œবর্ণিত পদ্ধতিতে মূসক ফেরত প্রদান করা হইবে, যথা:-

(ক) বৈদেশিক পর্যটক “মূসক ফেরত সনদ” ও সংশ্লিষ্ট মূসক চালানপত্রসহ ক্রীত পণ্যাদি সংশ্লিষ্ট শুল্ক কর্মকর্তার নিকট উপস্থাপন করিবেন;

(খ) বৈদেশিক পর্যটক কর্তৃক দাখিলকৃত “মূসক ফেরত সনদ” অনলাইনে যাচাই করিয়া তাহার সত্যতা নিশ্চিত হইলে ও পণ্যাদি যথাযথ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট শুল্ক কর্মকর্তা তাহার অনুকূলে ফেরত অনুমোদন করিয়া তাহাকে ফেরতযোগ্য অর্থ পরিশোধ করিবেন।

(৭) বোর্ড, সময়ে সময়ে, ফেরতযোগ্য অর্থ হইতে যৌক্তিক পরিমাণ অর্থ সেবা মাশুল (ংবৎারপব পযধৎমব) হিসাবে কর্ত ন করিতে পারিবে।

 ৫৭। বৈদেশিক পর্যটকদের মূসক ফেরত সনদ জারির লক্ষ্যে নিবন্ধিতব্যক্তি নির্বাচন।- (১) কোনো বৈদেশিক পর্যটকের মূসক ফেরত প্রদানের লক্ষ্যে কমিশনার নি¤œবর্ণিত ব্যক্তিগণকে অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন, যথা:-

(ক) যেসকল দোকানে বিগত ১ (এক) মাসে দৈনিক গড়ে ন্যূনতম ৫ (পাঁচ) জন পর্যটক ক্রয় করেন;

(খ) যাহার মূসক সম্মাননাপত্র আছে; এবং

(গ) যাহার এই কার্যক্রম পরিচালনার মতো অবকাঠামো ও পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল আছে।

 (২) উপ-বিধি (১) এর অধীন অনুমতি প্রাপ্তির লক্ষ্যে নিবন্ধিত ব্যক্তি কমিশনার বরাবর ফরম “মূসক-১০.৩”এ আবেদন করিবেন।

 (৩) উপ-বিধি (২) এর অধীন আবেদন পেশের ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে উহা যাচাই-অন্তে তথ্যাদি যথাযথ প্রাপ্তি সাপেক্ষে, কমিশনার তাহাকে মূসক ফেরত সনদ জারির অনুমতি প্রদান করিবেন।

 (৪) উপ-বিধি (২) এর অধীন প্রদত্ত তথ্য যাচাই-অন্তে যথাযথ পাওয়া না গেলে কমিশনার নিবন্ধিত ব্যক্তিকে শুনানির সুযোগ প্রদানপূর্বক আবেদনটি নাকচ

করিবেন বা তাহার মতে যথাযথ অন্যবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়া আবেদনকারীকে অবহিত করিবেন।

একাদশ অধ্যায়

কমিশনার কর্তৃক কর নির্ধারণ: কর সুবিধা রদকরণ

 [৫৭ক। কর নির্ধারণ পদ্ধতি।- কোনো নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত ব্যক্তি ধারা ৬৪ এর উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত সময়ের মধ্যে দাখিলপত্র পেশ করিতে ব্যর্থ হইলে ফরম “মূসক-১১.১” কমিশনার তাহাকে বিলল্বে দাখিলপত্র পেশ করিবার জন্য নোটিশ প্রদান করিবেন।

 (২) নোটিশ প্রদানের ২১ (একুশ) দিনের মধ্যে যদি উক্ত ব্যক্তি দাখিলপত্র পেশ করিতে ব্যর্থ হন তাহা হইলে কমিশনার ফরম “মূসক-১১.২” এ কর নির্ধারণী নোটিশ জারি করিবেন।

 (৩) উপ-বিধি ৯১) এ উল্লিখিত নোটিশ প্রদানের পর উপ-বিধি (২) এ বর্ণিত সময়ের মধ্যে দাখিলপত্র পেশ করিতে ব্যর্থ হইলে বোর্ড ভ্যাট অনলাইন সিস্টেমের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাহার আমাদানি-রপ্তানি, উৎসে কর্তনযোগ্য সরবরাহ প্রদান সাময়িকভাবে স্থগিত করিবার লক্ষ্যে বিআইএন সাময়িকভাবে অকার্যকর (খড়পশবফ) করিতে পারিবে এবং দাখিলপত্র পেশ করিবার ২ (দুই) দিনের মধ্যে উহা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর  (টহষড়পশবফ)

হইবে।

 ৫৮। বিশেষ পরিকল্প  (ংপযবসব)  হইতে কর সুবিধা রদকরণ (হবমধঃরড়হ)।-  (১) কমিশনার কর সুবিধা লাভকারী ব্যক্তির দায়-দেনা এমনভাবে নির্ধারণ

করিতে পারিবেন যেন, বিশেষ পরিকল্পটি গৃহীত হয় নাই বা কার্য কর করা হয় নাই, অথবা কমিশনার এই বিধির পরবর্তী বিধানানুযায়ী উক্ত ব্যক্তির দায়-দেনা নির্ধারণ করিবেন যাহা কর সুবিধার যথার্থতা নিরূপণ, নির্ধারণ, রদকরণ বা হ্রাসকরণের জন্য যুক্তিযুক্ত।

(২) উপ-বিধি (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কমিশনার নিম্নবর্ণিত যেকোনো বা সকল কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারিবেন, যথা:-

(ক) বিশেষ কোনো ঘটনা যাহা প্রকৃত অর্থেই ঘটিয়াছিল, কিন্তু তাহা ঘটে নাই হিসাবে গণ্য করিতে পারিবেন;

(খ) একটি বিশেষ ঘটনা যাহা মূলত ঘটে নাই, তাহা ঘটিয়াছিল মর্মে ধরিয়া নিতে পারিবেন এবং যদি যুক্তিসঙ্গত হয়, তাহা হইলে ঘটনাটিকে নিম্নবর্ণিত

 হিসাবে ধরিয়া লইবেন:

 (অ) একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘটনাটি ঘটিয়াছে; এবং (আ) বিশেষ কোনো ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতার মাধ্যমে বিশেষ কোনো  কার্য সম্পাদিত হইয়াছে;

(গ) কোনো বিশেষ ঘটনা যাহা কার্যত ঘটিয়াছিল, তাহা কমিশনার নিম্ন বর্ণিতরূপে গণ্য করিতে পারিবেন:

(অ) ঘটনার প্রকৃত সময় হইতে ভিন্ন কোনো সময়ে ঘটিয়াছিল; অথবা

(আ) কোনো বিশেষ কার্য, কোনো বিশেষ ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতার মাধ্যমে ঘটিয়াছিল (উক্ত ব্যক্তির দ্বারা কোনো কার্যে জড়িত হইয়া ঘটনাটি

 ঘটানো হউক বা না হউক)।

 (৩) যেইক্ষেত্রে কমিশনার কর্তৃক উপ-বিধি (১) এর অধীনে কোনো ব্যক্তির দায়দেনা নির্ধারণ করা হইয়াছে, সেইক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তিকে শুনানির সুযোগ প্রদান করিয়া সংশ্লিষ্ট প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত কর মেয়াদের কর নির্ধারণের বিষয়টি অবহিত করিবেন এবং কর নির্ধারণী নোটিশ জারি করিবেন।

দ্বাদশ অধ্যায়

মূল্য সংযোজন কর কর্তৃপক্ষ

 ৫৯। মূসক কর্মকর্তার আদেশ বা সিদ্ধান্ত সংশোধনে বোর্ডের ক্ষমতা।-(১) বোর্ড স্বতপ্রণোদিত হইয়া কোনো মূসক কর্মকর্তার যেকোনো সিদ্ধান্ত বা আদেশ উক্ত সিদ্ধান্ত বা আদেশ প্রদানের ২ (দুই) বৎসরের মধ্যে পুনর্বিবেচনা বা সংশোধন করিতে পারিবে।

 (২) উপ-বিধি (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বোর্ড মূসক কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত বা আদেশের নথি তলব করিবেন এবং পর্যালোচনান্তে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত প্রদান করিবে।

 (৩) উপ-বিধি (২) এর সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো ব্যক্তি বা করদাতা ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা তাহার করদায়িতা বৃদ্ধি পাইলে বা হ্রাসকারী সমন্বয় বা ফেরতযোগ্য অর্থের পরিমাণ হ্রাস পাইলে তাহাকে ব্যক্তিগত শুনানির যুক্তিসঙ্গত সুযোগ প্রদান না করিয়া সিদ্ধান্ত প্রদান করা যাইবে না।

 (৪) এই বিধির অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, আপিলাত ট্রাইব্যুনাল বা সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রীট (ৎিরঃ) বা আপিলাধীন কোনো বিষয়ে বোর্ড কোনো সংশোধনী আনিতে পারিবে না।

৬০। মূসক কর্ম কর্তার প্রবেশ ও তল্লাশির ক্ষমতা।- [(১) ধারা ৭৮ এ বর্ণিত মূসক কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে সহকারী কমিশনার বা মহাপরিচালকের নি¤েœ নহেন এমন কোনো কর্মকর্তা অনুরোধক্রমে কমিশনার বা মহাপরিচালক ফরম “মূসক-১২.১”এ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে উক্ত ধারায় বর্ণিত স্থান, অঙ্গন, ঘরবাড়ি, যানবাহন, ইত্যাদিতে প্রবেশ বা তল্লাশির ক্ষমতা অর্পণ করিতে পারিবেন।]

 (২) উপ-বিধি (১) এর অধীন ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরম “মূসক-১২.২” এ সংশ্লিষ্ট স্থানের স্বত্বাধিকারী বা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা তত্ত্বাবধানকারী ব্যক্তিকে একটি নোটিশ প্রদান করিবেন।

 (৩) তল্লাশিকালে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে কোনো দলিলপত্র বা পণ্য বা বস্তু জব্দ করার প্রয়োজন হইলে বিধি ৬১ এ বর্ণিত পদ্ধতিতে উক্ত কর্মকর্তা তাহাজব্দ করিবেন।

৬১। রেকর্ড, দলিলপত্র, পণ্য বা পণ্যবাহী যান জব্দকরণ।-(১) ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা বিধি ৬০ এর অধীন প্রবেশ বা তল্লাশিকালে, ধারা ৯০ এর অধীন নিরীক্ষা বা অনুসন্ধানকালে ধারা ৮৪ এর অধীন কোনো রেকর্ড, দলিলপত্র, পণ্য বা পণ্যবাহী যান আটক ও জব্দ করিতে পারিবেন।

 (২) উপ-বিধি (১) এর অধীন আটক বা জব্দের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট স্থান, পণ্য, রেকর্ড, দলিলাদি বা পণ্যবাহী যানের স্বত্বাধিকারী বা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা তত্ত্বাবধানকারী ব্যক্তি বা চালক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা দলকে সম্ভাব্য সকল ধরনের সহযোগিতা করিবেন।

 (৩) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ফরম “মূসক-১২.৩”এ একটি জব্দ তালিকা তৈরি করিয়া সংশ্লিষ্ট স্থান, পণ্য, রেকর্ড, দলিলাদি বা পণ্যবাহী যানের স্বত্বাধিকারী বা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা তত্ত্বাবধানকারী ব্যক্তি বা চালকের স্বাক্ষরসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ন্যূনতম ২ (দুই) জন ব্যক্তির স্বাক্ষর গ্রহণ করিবেন এবং উহার ১ (এক) টি অনুলিপি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নিকট হস্তান্তর করিবেন।

 (৪) সংশ্লিষ্ট স্থান, পণ্য, রেকর্ড, দলিলপত্র বা পণ্যবাহী যানেরস্বত্বাধিকারী বা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা তত্ত্বাবধানকারী ব্যক্তি বা চালক উপ-বিধি (২) এর অধীন সহযোগিতা না করিলে বা উপ-বিধি (৩) এর অধীন উপস্থিত ব্যক্তি জব্দ তালিকায় স্বাক্ষর প্রদানে অস্বীকৃি জানাইলে উপস্থিত ব্যক্তির স্বাক্ষর ব্যতীত প্রস্তুতকৃত জব্দ তালিকা বৈধ বলিয়া বিবেচিত হইবে।

 (৫) তল্লাশি ও রেকর্ডপত্র, দলিলপত্র, পণ্য বা পণ্যবাহী যান জব্দকরণের পরবর্তী কার্যদিবসের মধ্যে ফরম “মূসক-১২.৪” এ প্রাথমিক প্রতিবেদন ও ৫ (পাঁচ) কার্যদিবসের মধ্যে ফরম “মূসক-১২.৫”এ চূড়ান্ত প্রতিবেদন কমিশনার বরাবর দাখিল করিতে হইবে।

 (৬) তল্লাশি ও রেকর্ডপত্র, দলিলপত্র, পণ্য বা পণ্যবাহী যান জব্দকরণের মাধ্যমে কোনো অনিয়ম বা কর ফাঁকি উদঘাটিত হইলে উপ-বিধি (৫) এ বর্ণিত চূড়ান্ত প্রতিবেদনের সহিত কমিশনার বরাবর ফরম “মূসক-১২.৬”এ একটি অনিয়ম বা কর ফাঁকির মামলা দায়ের করিতে হইবে।

 [৬২। জব্দকৃত রেকর্ড ও দলিলপত্র ফেরত প্রদান।- (১) আইনের ধারা ৯১ এর উপ-ধারা (৩) এর উদ্দেশ্যে পূরণকল্পে, বিধি ৬১ অধীন যে উদ্দেশ্যে রেকর্ড ও দলিলাদি জব্দ করা হইয়াছিল উহা নি¤œবর্ণিত শর্তপূরণ সাপেক্ষে বিষয়টি নিষ্পত্তির ৭ (সাত) কার্যদিবসের মধ্যে নিবন্ধিত ব্যক্তির বরাবর ফেরত প্রদান করিতে হইবে, যথা।-

(ক) চালানপত্রের মূলকপি ব্যতীত জব্দকৃত রেকর্ড ও দলিলাদির প্রতিলিপির প্রতিটি পৃষ্ঠায় নিবন্ধিত ব্যক্তি বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধির লমোহরকৃত স্বাক্ষর গ্রহণ করিতে ইহবে।

 (খ) প্রয়োজনে, নিবন্ধিত ব্যক্তি কর চালানপত্রের প্রতিলিপিতে মূসক কর্মকর্তার স্বাক্ষর গ্রহণ করিতে পারিবেন।

 (২) উপ-বিধি (১) এ উল্লিখিত জব্দকৃত রেকর্ড ও দলিলাদির প্রতিলিপি এতদ্সংক্রান্ত মামলার বৈধ দলিল হিসাবে গণ্য হইবে।

৬৩। জব্দকৃত পণ্য ও পণ্যবাহী যান ছাড় প্রদান।-(১) জব্দকৃত কোনো পণ্য বা পণ্য বোঝাই কোনো যানবাহন যে উদ্দেশ্যে জব্দ করা হইয়াছে তাহার চূড়ান্তনি®পত্তি না হওয়া সত্ত্বেও আটককারী কর্মকর্তা বা তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কোনো কর্মকর্তা কমিশনারের অনুমোদন সাপেক্ষে এই বিধির পরবর্তী বিধানসমূহ অনুসরণপূর্বক অন্তর্বর্তী কালীন ছাড় প্রদান করিতে পারিবেন।

 (২) পণ্য বা পণ্য বোঝাই যানবাহন উপ-বিধি (১) অনুযায়ী ছাড় প্রদান করিবার উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিকট নি¤œবর্ণিত বিষয়সমূহ বিশ্বাসযোগ্যহইতে হইবে,

যথা:-

(ক) পণ্য বা পণ্য বোঝাই যানবাহনের মালিক বা চালক ইতঃপূর্বে অনুরূপ পণ্য পরিবহনে অংশ গ্রহণ করেন নাই; এবং

(খ) পণ্য বা পণ্য বোঝাই যানবাহন ছাড় প্রদান করার ফলে উক্ত পণ্য ও যানবাহন সংক্রান্ত বিচারাধীন মামলা নি®পত্তির ক্ষেত্রে ন্যায়বিচারের স্বার্থ

 ক্ষুণœ অথবা আলামত বিনষ্ট হইবে না।

 (৩) উপ-বিধি (১) অনুযায়ী পণ্য বা পণ্য বোঝাই যানবাহন ছাড় প্রদানের ক্ষেত্রে নি¤œরূপ পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে; যথা:-

(ক) পণ্য বা পণ্য বোঝাই যানবাহনের প্রকৃত মালিককে উক্ত যানবাহনের মালিকানা স¤পর্কিত সকল প্রকার প্রমাণাদিসহ ফরম “মূসক-১২.৭”এ উক্ত

 যানবাহন ছাড় প্রদানের আবেদনপত্র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিকট দাখিল করিতে হইবে;

(খ) পণ্য বা পণ্য বোঝাই যানবাহনের প্রকৃত মালিককে সংশ্লিষ্টকর্মকর্তার নিকট ফরম “মূসক-১২.৮”এ মুচলেকা প্রদান করিতে হইবে; এবং

(গ) দফা (খ) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, মৌসুমী ইট ভাটার কোনো পণ্য বা পণ্যবাহী যান আটক করা হইলে, বকেয়া আদায় বা বকেয়া

 করের সমপরিমাণ অর্থের ব্যাংক গ্যারান্টি রাখিয়া উহা অন্তর্বর্তী ছাড় প্রদান করিতে হইবে।

 (৪) পণ্য বা পণ্য বোঝাই যানবাহন স¤পর্কে কোনো আদালতে কোনো মামলা বিচারাধীন থাকিলে, সংশ্লিষ্ট আদালতের পূর্বানুমতি সাপেক্ষে, উক্ত যানবাহন ছাড় প্রদান করা যাইবে।

৬৪। ব্যাংক হিসাব অপরিচালনযোগ্য (ভৎববুব) করিবার ক্ষমতা ও পদ্ধতি।-(১) সহকারী কমিশনার পদমর্যাদার নি¤েœ নহেন এমন কোনো কর্মকর্তা কমিশনারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং বিধি ৬৮ এর অধীন পদায়নকৃত বকেয়া আদায় কর্মকর্তা (উবনঃ জবপড়াবৎু ঙভভরপবৎ-উজঙ) নি¤œবর্ণিত ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব অপরিচালনযোগ্য (ভৎববুব) করিতে পারিবেন, যথা:-

(ক) ধারা ২ এর দফা (৭৪) এ সংজ্ঞায়িত কোনো ব্যক্তি;

(খ) নিবন্ধিত বা নিবন্ধনযোগ্য কোনো ব্যক্তি;

(গ) তালিকাভুক্ত বা তালিকাভুক্তিযোগ্য কোনো ব্যক্তি; এবং

(ঘ) সহযোগী কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

 (২) কমিশনার বা উপ-বিধি (১) এর অধীন কমিশনার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নিকট ব্যাংক হিসাব অপরিচালনযোগ্য (ভৎববুব)করিবার লক্ষ্যে ফরম “মূসক-১২.৯”এ একটি পরোয়ানা জারি করিবেন।

 (৩) সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ উপ-বিধি (২) এর অধীন জারীকৃত পরোয়ানা প্রাপ্ত হইয়া তাৎক্ষণিকভাবে ব্যাংক হিসাব অপরিচালনযোগ্য (ভৎববুব) করিবেন এবং ফরম মূসক-১২.১০”এ একটি প্রতিপালন প্রতিবেদন পরবর্তী দুই কার্যদিবসের মধ্যে পরোয়ানা জারিকারী কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করিবেন।

 (৪) যে কারণে ব্যাংক হিসাব অপরিচালনযোগ্য (ভৎববুব) করা হইয়াছে তাহা নিষ্পত্তি হইলে উহা নিষ্পত্তির ৩ (তিন) কার্যদিবসের মধ্যে পরোয়ানা জারিকারী কর্মকর্তা ফরম “মূসক-১২.১১”এ ব্যাংক হিসাব পরিচালনযোগ্য করিবার একটি সনদ জারি করিবেন যাহার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ব্যাংক হিসাব পরিচালনযোগ্য করিবেন।

 (৫) ধারা ১১৫ এর অধীন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক ব্যাংক হিসাব অপরিচালনযোগ্য (ভৎববুব) করিবার ক্ষেত্রে ফৌজদারী কার্যবিধিতে বিধৃত পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে।

 ৬৫। জরিমানা আরোপের পদ্ধতি।-(১) ধারা ৮৫ এর উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত ব্যর্থতা বা অনিয়ম ব্যতীত অন্য যেকোনো ধরনের ব্যর্থতা বা অনিয়মের জন্য-

(ক) যদি কোনো কর ফাঁকি হইয়া থাকে তাহা হইলে ফাঁকি প্রদত্ত করের অনূর্ধ্ব সমপরিমাণ জরিমানা আরোপিত হইবে; এবং

(খ) যদি কোনো কর ফাঁকি না হইয়া থাকে তাহা হইলে অন্যূন ১০,০০০ (দশ হাজার) এবং অনূর্ধ্ব ১ (এক) লক্ষ টাকা জরিমানা   আরোপিত হইবে।

(২) ব্যর্থতা বা অনিয়মের ক্ষেত্রে ফরম “মূসক-১২.৬”এ প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর-

(ক) উপ-বিধি (১) এর দফা (ক) এর অধীন জরিমানা আরোপেরলক্ষ্যে ধারা ৮৬ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এ বর্ণিত আর্থিক ক্ষমতা অনুযায়ী ন্যায়-নির্ণয়নকারী কর্মকর্তা; এবং

(খ) ধারা ৮৬ এর উপ-ধারা (১) এর শর্তাংশ ও উপ-বিধি (১) এর দফা (খ) এর অধীন জরিমানা আরোপের ক্ষেত্রে কমিশনার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ফরম “মূসক-১২.১২”এ কারণ দর্শানো নোটিশ জারি করিবেন।

 (৩) উপ-বিধি (২) এ বর্ণিত কারণ দর্শানো নোটিশে, অন্যান্য তথ্যের সহিত নি¤œবর্ণিত তথ্যাদি সন্নিবেশিত থাকিবে, যথা:-

(ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম, ঠিকানা ও ব্যবসায় সনাক্তকরণ সংখ্যা(যদি থাকে);

(খ) ব্যর্থতা বা অনিয়মের ধরন ও বিবরণ;

(গ) ব্যর্থতা বা অনিয়মের কারণে লংঘিত ধারা বা বিধি বা তদধীনে প্রণীত বিধান;

(ঘ) শাস্তির ধারা বা বিধি;

(ঙ) ফাঁকি প্রদত্ত বা পরিহারকৃত করের পরিমাণ (যদি থাকে);

(চ) কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব প্রদানের শেষ তারিখ;

(ছ) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ব্যক্তিগত শুনানি দিতে আগ্রহী কিনা;

(জ) নির্ধারিত সময়ে জবাব পাওয়া না গেলে প্রাথমিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ন্যায়-নির্ণয়ন আদেশ প্রদান করা হইবে মর্মে অবহিতকরণ; এবং

(ঝ) ন্যায়-নির্ণয়নকারী কর্মকর্তার নাম, পদবি, ফোন, ই-মেইল ও জবাব প্রেরণের ঠিকানা।

 (৪) কারণ দর্শানো নোটিশ জারির তারিখ ও জবাব প্রদানের শেষ তারিখের মধ্যে অন্যূন ২ (দুই) সপ্তাহ ও অনূর্ধ্ব ৪ (চার) সপ্তাহ ব্যবধান থাকিতে হইবে।

 (৫) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব প্রদানের জন্য নির্ধারিত সময়ে সময় বৃদ্ধির আবেদন করিলে ন্যায়-নির্ণয়নকারী কর্মকর্তা তাহার বিবেচনায় উপযুক্ত সময় মঞ্জুর করিতে পারিবেন।

 (৬) কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব প্রাপ্তির পর ব্যর্থতা বা অনিয়মের জন্য দায়ী ব্যক্তি শুনানি প্রদানে আগ্রহী হইলে তাহাকে শুনানি প্রদান করিয়া ন্যায়-নির্ণয়নকারী কর্মকর্তা ফরম “মূসক-১২.১৩”এ ন্যায়-নির্ণয়ন আদেশ জারি করিবেন, যাহাতে অন্যান্য তথ্যের

সহিত, নি¤œবর্ণিত তথ্যাদি সন্নিবেশিত থাকিবে, যথা:-

 (ক) ব্যর্থতা বা অনিয়মের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম, ঠিকানা ও ব্যবসায় সনাক্তকরণ সংখ্যা (যদি থাকে);

(খ) আনীত অভিযোগের ধরন ও বিবরণ;

(গ) আনীত অভিযোগের কারণে লংঘিত ধারা বা বিধি বা তদাধীনে প্রণীত কোনো বিধান;

(ঘ) শাস্তির ধারা বা বিধি;

(ঙ) ফাঁকি প্রদত্ত বা পরিহারকৃত করের পরিমাণ (যদি থাকে);

(চ) আরোপিত জরিমানার পরিমাণ;

(ছ) কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব;

(জ) ব্যক্তিগত শুনানিতে দেওয়া বক্তব্য (যদি থাকে);

(ঝ) আনীত অভিযোগ ও অভিযুক্ত ব্যক্তির জবাব বিশ্লেষণ বা পর্যালোচনা;

(ঞ) বিশ্লেষণের ফলাফল (অভিযোগ প্রমাণিত বা খন্ডিত);

(ট) আদেশ;

(ঠ) আদেশে কোনো জরিমানা আরোপ করা হইয়া থাকিলে জরিমানা ও ফাঁকি প্রদত্ত বা পরিহারকৃত করসহ (যদি থাকে) মোট প্রদেয় অর্থেরর পরিমাণ এবং তাহা সরকারি কোষাগারে জমা প্রদানের তারিখ, হিসাব কোড ও জমা প্রদানের পদ্ধতি (সড়ফব ড়ভ ঢ়ধুসবহঃ);

(ড) ন্যায়-নির্ণয়ন আদেশে কোনো পক্ষ সংক্ষুব্ধ হইলে আপিলের স্থান, সময় ও পদ্ধতি; এবং

(ঢ) ন্যায়-নির্ণয়নকারী কর্মকর্তার নাম, পদবি, ফোন, ই-মেইল ও যোগাযোগের ঠিকানা।

 (৭) উপ-বিধি (৪) এ নির্ধারিত সময়ে বা উপ-বিধি (৫) এ নির্ধারিত বর্ধিত সময়ে কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব পাওয়া না গেলে ন্যায়-নির্ণয়নকারীকর্মকর্তা প্রাপ্ত দলিলাদির ভিত্তিতে ন্যায়নির্ণয়ন আদেশ জারি করিবেন।

 

 

মূসক এসআরও নং-৬২-মূসক, তারিখ: ৩০/০৬/২০১৯

মূসক এসআরও নং-৬২-মূসক, তারিখ: ৩০/০৬/২০১৯

 

ত্রয়োদশ অধ্যায়

নিরীক্ষা অনুসন্ধান

৬৬। তত্ত্বাবধানাধীন সরবরাহ, পর্যবেক্ষণ ও নজরদারি।- (১) ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার ভিত্তিতে তত্ত্বাবধানাধীন সরবরাহ, পর্যবেক্ষণ ও নজরদারির লক্ষ্যে

কমিশনার [বা মহাপরিচালক] এক বা একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সমন্বয়ে আদেশ দ্বারা এক বা একাধিক দল (ঃবধস) গঠন করিতে পারিবেন।

(২) কমিশনার [বা মহাপরিচালক] বর্ণিত আদেশে সরবরাহ তত্ত্বাবধানের স্থান, সময় এবং মেয়াদ নির্দিষ্ট করিয়া দিবেন।

(৩) সরবরাহ তত্ত্বাবধানকারী দল সরবরাহস্থল পরিদর্শনপূর্বক সরবরাহ তত্ত্বাবধান শুরুর পূর্বে ফরম “মূসক-১৩.১”এ [কমিশনার বা মহাপরিচালকের] নিকট একটি প্রতিবেদন দাখিল করিবেন।

(৪) সরবরাহ তত্ত্বাবধানকারী দল আদেশে বর্ণিত স্থানে নির্ধারিত সময়ে পূর্ণকালীন অবস্থানপূর্বক সরবরাহ চালানপত্র জারিসহ মূসক সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যাদি সম্পন্ন করিবেন এবং প্রতিদিনের কার্যক্রম পরবর্তী দিবসের মধ্যে ফরম “মূসক-১৩.২”এ একটি দৈনিক প্রতিবেদন এবং সরবরাহ তত্ত্বাবধানের মেয়াদ শেষে ফরম “মূসক-১৩.৩”এ একটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন [কমিশনার বা মহাপরিচালকের] নিকট দাখিল করিবেন।

 [৬৬ক। করদাতা কর সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম নিরীক্ষা।- যুগ্ম কমিশনার বা যুগ্ম পরিচালক পদপর্যাদার নি¤েœ নহেন এইরূপ কোনো মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তা, এই আইনের অধীন প্রদেয় করের

৬৭। বিশেষ নিরীক্ষা সম্পন্নের লক্ষ্যে নিরীক্ষক নিয়োগ।-(১) বোর্ড এই বিধির পরবর্তী বিধানসমূহ অনুসরণ করিয়া নিরীক্ষক নিয়োগ করিতে পারিবে।

 (২) নিরীক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬ ও তদধীনে প্রণীত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধান অনুসরণ করিতে হইবে।

 (৩) নিরীক্ষক নিয়োগের টেন্ডার দলিলে অন্যান্য তথ্যের সহিত নি¤œবর্ণিত বিষয়াদি সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করিতে হইবে, যথা:-

(ক) নিরীক্ষার জন্য নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা;

(খ) নিরীক্ষার মেয়াদ;

(গ) নিরীক্ষকের কার্যপরিধি (ঃবৎসং ড়ভ ৎবভবৎবহপব);

(ঘ) নিরীক্ষার জন্য প্রযোজ্য নির্দেশিকা (এঁরফবষরহব);

(ঙ) নিরীক্ষার সময় অনুসরণীয় মানদ- (ংঃধহফধৎফ);

(চ) নিরীক্ষা প্রতিবেদন দাখিলের সময়; এবং

(ছ) অপরাধ ও দন্ড।

 (৪) নিযুক্ত নিরীক্ষকের নি¤œবর্ণিত কার‌্যাবলী দ-যোগ্য অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে, যথা:-

(ক) অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করা;

(খ) সরকারি রাজস্ব হানিকর কোনো কাজ করা;

(গ) অসত্য তথ্যপূর্ণ প্রতিবেদন প্রদান করা;

(ঘ) বোর্ডের চাহিদা মোতাবেক তথ্যাদি সরবরাহে ব্যর্থ হওয়া;

(ঙ) নিরীক্ষার সময় অনুসরণীয় নির্দেশিকা (এঁরফবষরহব) অনুসরণ না করা;

(চ) নিরীক্ষার জন্য নির্ধারিত মানদ- (ংঃধহফধৎফ) অনুসরণ না করা;

(ছ) কর ফাঁকি প্রদান করা বা অন্য কাউকে তাহা করিতে সহায়তা করা;

(জ) দরপত্র দাখিলের সময় মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রদান করা;

(ঝ) নিয়োগ প্রাপ্তির পর কার্যক্রম গ্রহণে অনীহা প্রকাশ বা গৃহীত কার্যক্রম বন্ধ করা বা আংশিকভাবে কার্যক্রম গ্রহণ করা;

(ঞ) নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলকরণে ব্যর্থতা; এবং

(ট) আইন ও এই বিধিমালার কোনো বিধান লংঘন ও টেন্ডার দলিলাদিতে প্রদত্ত শর্ত ভংগ করা।

 (৫) কোনো নিযুক্ত নিরীক্ষক কর্তৃক উপ-বিধি (৪) এর অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে উক্ত অপরাধের কারণে যদি-

(ক) কর ফাঁকি হইয়া থাকে তাহা হইলে-

(অ) উক্ত নিরীক্ষক ফাঁকি প্রদত্ত করের ন্যূনতম দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থদন্ডে দন্ডিত  হইবেন;(্আ) তাহার চুক্তি বাতিল হইবে; ও

(ই) প্রথমবার অপরাধের ক্ষেত্রে ৫ (পাঁচ) বৎসরের জন্য এবং দ্বিতীয়বার অপরাধের ক্ষেত্রে সারা জীবনের জন্য স্থায়ীভাবে কালো

 তালিকাভুক্ত হইবেন; এবং (খ) যদি কর ফাঁকি না হইয়া থাকে তাহা হইলে:-

(অ) উক্ত নিরীক্ষক ন্যূনতম ৩ (তিন) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত হইবেন; (্আ) তাহার চুক্তি বাতিল হইবে; ও

(ই) প্রথমবার অপরাধের ক্ষেত্রে ৫ (পাঁচ) বৎসরের জন্য এবং  দ্বিতীয়বার অপরাধের ক্ষেত্রে সারা জীবনের জন্য স্থায়ীভাবে কালো

 তালিকাভুক্ত হইবেন।

 (৬) উপ-বিধি (৫) এ বর্ণিত দন্ড আরোপের ক্ষেত্রে কারণ দর্শানো নোটিশ ও ব্যক্তিগত শুনানির ক্ষেত্রে বিধি ৬৫-এর বিধান অনুসরণ করিতে হইবে।

 (৭) উপ-বিধি (৫) এর বিধান পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬ ও তদধীনে প্রণীত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮ এর এতদসংক্রান্ত বিধানের

অতিরিক্ত হইবে।

চতুর্দশ অধ্যায়

বকেয়া কর আদায়

৬৮। বকেয়া কর আদায়ের সাধারণ পদ্ধতি।- (১) কমিশনার আইনের অধীন সৃষ্ট চূড়ান্ত বকেয়া কর আদায়ের লক্ষ্যে উপ-কমিশনারের নি¤েœ নহেন এমন একবা একাধিক মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তাকে বকেয়া আদায় কর্মকর্ত া [উবনঃ জবপড়াবৎু ঙভভরপবৎ (উজঙ)]হিসাবে পদায়ন করিবেন।

 (২) বকেয়া আদায় কর্মকর্তা বকেয়া কর আদায়ের লক্ষ্যে খেলাপি করদাতা বরাবর ফরম “মূসক-১৪.১”এ ধারা ৯৫ এর উপ-ধারা (৩) এর অধীন বকেয়া কর দাবি করিয়া একটি বকেয়া কর আদায় সার্টিফিকেট জারি করিবেন।

৬৯। কোনো আয়কর, শুল্ক, মূসক বা আবগারি কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন অর্থ হইতে কর্তন পদ্ধতি।- (১) কোনো খেলাপি করদাতার কোনো অর্থ আয়কর, শুল্ক, আবগারি বা মূসক কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে থাকিলে বকেয়া আদায় কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট কমিশনার বরাবর ফরম “মূসক-১৪.২”এর মাধ্যমে বিধি ৬৮ এর উপ-বিধি (২) এ উল্লিখিত বকেয়া কর আদায় সার্টিফিকেটের মূল কপি বা সার্টিফাইড কপিসহ একটি নোটিশ প্রেরণ করিবেন।

 (২) বকেয়া কর আদায় সার্টিফিকেট বা নোটিশ প্রাপ্তির পর কমিশনার তাহার নিয়ন্ত্রণাধীন অর্থ, বা বিধি ৬৮ এর অধীন ফেরতযোগ্য অর্থ হইতে সার্টিফিকেট বা নোটিশে উল্লিখিত অর্থ, বা সার্টিফিকেট বা নোটিশে উল্লিখিত অর্থ হইতে তাহার নিয়ন্ত্রণাধীন অর্থ কম হইলে নিয়ন্ত্রণাধীন সমুদয় অর্থ আদায়পূর্বক সার্টিফিকেট বা নোটিশ জারিকারী কমিশনারেটের হিসাব কোডে জমাপূর্বক সার্টিফিকেট বা নোটিশ জারিকারী বকেয়া আদায় কর্মকর্তাকে ফরম “মূসক-১৪.৩” এ অবহিত করিবেন।

 ৭০। কোনো ব্যক্তি, সহযোগী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক হইতে কর্তন পদ্ধতি।-(১) কোনো খেলাপি করদাতার কোনো অর্থ কোনো ব্যক্তি, সহযোগী

বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে থাকিলে বকেয়া আদায় কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, সহযোগী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংককে ফরম “মূসক-১৪.২”এর মাধ্যমে বিধি ৬৮ এর উপ-বিধি (২) এ উল্লিখিত বকেয়া আদায় সার্টিফিকেট বা নোটিশের মূল কপি বা সার্টিফাইড কপিসহ অনুরোধপত্র প্রেরণ করিবেন।

 (২) বকেয়া আদায় সার্টিফিকেট প্রাপ্তির পর ব্যক্তি, সহযোগী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক তাহার নিয়ন্ত্রণাধীন অর্থ হইতে সার্টিফিকেটে উল্লিখিত অর্থ, বা

সার্টিফিকেটে উল্লিখিত অর্থ হইতে তাহাদের নিয়ন্ত্রণাধীন অর্থ কম হইলে সমুদয় অর্থ আদায়পূর্বক সার্টিফিকেট জারিকারী কমিশনারেটের হিসাব কোডে জমা প্রদান করিয়া জমা প্রদানের ৩ (তিন) কার্যদিবসের মধ্যে সার্টিফিকেট জারিকারী বকেয়া আদায় কর্মকর্তাকে ফরম “মূসক-১৪.৩”এ অবহিত করিবেন।

 (৩) উপ-বিধি (১) এ বর্ণিত বকেয়া আদায় কর্মকর্তার অনুরোধপ্রতিপালন করা উক্ত ব্যক্তি, সহযোগী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক এর জন্য ধারা ৮২ এর উপ-ধারা (২) এর বিধানমতে বাধ্যতামূলক হইবে এবং এই বিধানের লংঘন একই ধারা ৮৫ এর উপ-ধারা (২) এর বিধানমতে দ-যোগ্য অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে।

৭১। কোনো খেলাপি করদাতার ব্যাংক হিসাব অপরিচালনযোগ্য (ভৎববুব) করিবার পদ্ধতি।-ধারা ৯৫ এর উপ-ধারা (৫) এর দফা (ঙ) এর অধীন

কোনো খেলাপি করদাতার নিকট হইতে বকেয়া অর্থ আদায়ের লক্ষ্যে তাহার ব্যাংক হিসাব অপরিচালনযোগ্য (ভৎববুব) করিবার ক্ষেত্রে বকেয়া আদায় কর্মকর্তা বিধি ৬৪ এর বিধান অনুসরণ করিবেন।

৭২। কোনো খেলাপি করদাতার ব্যবসায় অঙ্গন তালাবদ্ধ করিবার পদ্ধতি।-(১) কোনো খেলাপি করদাতার নিকট হইতে বকেয়া কর আদায়ের লক্ষ্যে

বকেয়া আদায় কর্মকর্তা বকেয়া কর আদায় না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট খেলাপি করদাতার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করিয়া উহা তালাবদ্ধ রাখিবার লক্ষ্যে ফরম “মূসক-১৪.৪”এ নোটিশ প্রদান করিবেন।

 (২) খেলাপি করদাতা উপ-বিধি (১) এর অধীন নোটিশ প্রাপ্তিরপর নোটিশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে তাহার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করিয়া উহা তালাবদ্ধ করিবেন এবং ফরম “মূসক-১৪.৫”এ বকেয়া আদায় কর্মকর্তাকে অবহিত করিবেন।

 (৩) উপ-বিধি (১) এ বর্ণিত সময়ের মধ্যে খেলাপি করদাতা তাহার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করিয়া উহা তালাবদ্ধ না করিলে বকেয়া আদায় কর্মকর্তা উহা তালাবদ্ধ করিয়া সীলগালা করিবেন এবং ফরম “মূসক-১৪.৬” এ এতদসংক্রান্ত একটি নোটিশ তালাবদ্ধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দর্শনীয় স্থানে ঝুলাইয়া দিবেন।

 (৪) খেলাপি করদাতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তালাবদ্ধকালীন উক্ত প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ, গ্যাস, টেলিফোনসহ অন্যান্য সেবা সরবরাহ বন্ধ রাখিবার জন্য বকেয়া আদায় কর্মকর্তা ধারা ৮২ এর অধীন ফরম “মূসক-১৪.৭” এ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করিবেন এবং উহার প্রতিপালন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জন্য বাধ্যতামূলক হইবে।

 (৫) সমুদয় বকেয়া কর আদায় বা আংশিক আদায়ের ক্ষেত্রে অবশিষ্ট বকেয়া কর পরিশোধের অঙ্গীকারনামার ভিত্তিতে বকেয়া আদায় কর্মকর্তা তালাবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের তালা খুলিয়া ব্যবসা কার্যক্রম শুরুর অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন এবং তালা খুলিয়া দেয়া বিষয়টি ফরম “মূসক-১৪.৮”এ বিদ্যুৎ, গ্যাস, টেলিফোনসহ অন্যান্য সেবা সরবরাহকারী কর্তৃপক্ষকে অবহিত করিবেন।

 (৬) বকেয়া আদায় কর্মকর্তা তাহার দপ্তরে এই বিধির অধীন গৃহীত কার্যক্রমের বিবরণী ফরম “মূসক-১৪.৯”এর একটি রেজিস্টারে সংরক্ষণ করিবেন।

৭৩। কোনো খেলাপি করদাতার অস্থাবর সম্পত্তি জব্দকরণ (ংবরুঁৎব) পদ্ধতি।-(১) কোনো খেলাপি করদাতার নিকট হইতে প্রাপ্য বকেয়া কর আদায়ের লক্ষ্যে বকেয়া আদায় কর্মকর্ত া সংশ্লিষ্ট খেলাপি করদাতার অস্থাবর সম্পত্তি জব্দকরণের লক্ষ্যে ফরম “মূসক-১৪.১০” এ একটি জব্দকরণ আদেশ বিধি ৭৫ এ বর্ণিত পদ্ধতিতে জারি করিবেন।

 (২) বকেয়া আদায় কর্মকর্তা নি¤œবর্ণিত পদ্ধতিতে জব্দকৃত সম্পত্তিসংরক্ষণ করিবেন,যথা:-

(ক) তাহার বা তাহার অধীন কোনো কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে সংরক্ষণ;

(খ) কোনো নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর;

(গ) খেলাপি করদাতার প্রাঙ্গণ তালাবদ্ধকরণ;

(ঘ) কোনো জিম্মাদারের জিম্মায় প্রদান; বা

(ঙ) তাহার সন্তুষ্টি মতে অন্যকোনো নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণ।

 (৩) জব্দকৃত সম্পত্তি খেলাপি করদাতার প্রাঙ্গণে তালাবদ্ধ করিয়া রাখিবার ক্ষেত্রে বকেয়া আদায় কর্মকর্তা বিধি ৭২ এর উপ-বিধি (৩) হইতে (৬) এ বিধৃত পদ্ধতিঅনুসরণ করিবেন।

 (৪) উপ-বিধি (১) এর অধীন জব্দকরণ আদেশ প্রাপ্তির পর খেলাপি করদাতা বা তাহার কোনো প্রতিনিধি বা দায়িত্বপ্রাপ্ত রিসিভার জব্দকৃত অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রয়, স্থানান্তর বা হস্তান্তর করিতে পারিবেন না।

৭৪। কোনো খেলাপি করদাতার স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক (ধঃঃধপযসবহঃ) পদ্ধতি।-(১) কোনো খেলাপি করদাতার নিকট প্রাপ্য বকেয়া কর আদায়ের লক্ষ্যে বকেয়া আদায় কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট খেলাপি করদাতার স্থাবর সম্পত্তি ক্রোককরণের লক্ষ্যে ফরম “মূসক-১৪.১১”এ একটি ক্রোক আদেশ বিধি ৭২ এ বর্ণিত পদ্ধতিতে জারি করিবেন।

(২) ক্রোকি স্থাবর সম্পত্তি বকেয়া আদায় কর্মকর্তা তাহার বা তাহার অধীন কোনো কর্মকর্তার দখলে নিবেন।

(৩) উপ-বিধি (১) এর অধীন ক্রোক আদেশ প্রাপ্তির পর খেলাপি করদাতা বা তাহার কোনো প্রতিনিধি বা দায়িত্বপ্রাপ্ত রিসিভার ক্রোকি স্থাবর সম্পত্তি বিক্রয়, স্থানান্তর বা হস্ত ান্ত র করিতে পারিবেন না।

(৪) খেলাপি করদাতার ক্রোকিস্থ াবর সম্পত্তি হস্তান্তর, উহাতেবিদ্যুৎ, গ্যাস,টেলিফোনসহ অন্যান্য সেবা সরবরাহ বন্ধ রাখিবার জন্য বকেয়া আদায় কর্ম কর্তা ফরম“মূসক-১৪.৭”এ সংশ্লি ষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করিতে পারিবেন এবং উহা প্রতিপালন সংশ্লিষ্টকর্তৃপক্ষের জন্য বাধ্যতামূলক হইবে।

৭৫। কোনো খেলাপি করদাতার অস্থাবর সম্পত্তি জব্দকরণ (ংবরুঁৎব) বা স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের (ধঃঃধপযসবহঃ) আদেশ জারি।-কোনো খেলাপি করদাতার নিকট হইতে বকেয়া কর আদায়ের লক্ষ্যে বকেয়া আদায় কর্মকর্তা নি¤œবর্ণিত সংশ্লিষ্ট খেলাপি করদাতার স্থ াবর সম্পত্তি ক্রোক বা অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ করিবার আদেশ জারি করিবেন, যথা:-

(ক) খেলাপি করদাতা বা তাহার প্রতিনিধি বা রিসিভারকে প্রদান করিয়া;

(খ) খেলাপি করদাতার জ্ঞাত ঠিকানায় উহা রেজিস্টার্ড ডাকযোগেপ্রেরণ করিয়া;

(গ) খেলাপি করদাতার ই-মেইলে বা ফ্যাক্সে প্রেরণ করিয়া;

(ঘ) খেলাপি করদাতার জ্ঞাত আবাসস্থল বা ঠিকানায় সাঁটিয়া বা লটকাইয়া দিয়া;

(ঙ) এক বা একাধিক জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ করিয়া; বা

(চ) বকেয়া আদায় কর্মকর্তার দপ্তরের নোটিশ বোর্ডে সাঁটিয়া বা লটকাইয়া দিয়া।

  ৭৬।খেলাপি করদাতার ব্যবসা অঙ্গন তালাবদ্ধকরণ, অস্থাবর সম্পত্তি জব্দকরণ বাস্থাবর সম্পত্তি ক্রোককরণে অসহযোগিতা বা বাধা প্রদান।–

 খেলাপি করদাতা তাহার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তালাবদ্ধকরণকালে, অস্থাবর সম্পত্তি জব্দকরণ বা স্থাবর সম্পত্তি ক্রোককরণে অসহযোগিতা বা বাধা প্রদান করিলে অথবা তালাবদ্ধকরণ পরবর্তীকালে তালা খুলিয়া বাভাঙ্গিয়া ফেলিলে অথবা খুলিবার বা ভাঙ্গিবার চেষ্টা করিলে বকেয়া আদায় কর্মকর্তা দেওয়ানী

কার্যবিধি, ১৯০৮ এর ধারা ৭৪ এর বিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।

৭৭। সুদ, খরচ, চার্জ, ইত্যাদি।-কোনো খেলাপি করদাতার নিকট হইতে বকেয়া কর আদায়ের ক্ষেত্রে বকেয়া করের উপর প্রযোজ্য সুদ, আদায়ের লক্ষ্যে গৃহীত কার্যক্রম সম্পাদনে ব্যয়িত অর্থ, চার্জ, ফি ইত্যাদি খেলাপি করদাতার নিকট হইতে আদায়যোগ্য হইবে।

৭৮। যে সম্পত্তি ক্রোক বা জব্দ করা যাইবে না।-দেওয়ানী কার্যবিধি, ১৯০৮ এর ধারা ৬০ এর শর্তাংশের বিধান অনুযায়ী যেইসকল সম্পত্তি ক্রোক বা জব্দযোগ্য নয় তাহা ধারা ৯৫ এর উপধারা (৫) এর দফা (ছ) অনুযায়ী ক্রোক বা জব্দ করা যাইবে না।

৭৯। ডিক্রি স্থগিতকরণ।-(১) ধারা ৯৫ এর উপ-ধারা (৫) এর দফা (ছ) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোনো দেওয়ানী আদালত কর্তৃক দেওয়ানী কার্যবিধি, ১৯০৮ এর অধীন অর্থ পরিশোধের বা কোনো বন্ধকি সম্পত্তি বিক্রির ডিক্রি প্রদানের ক্ষেত্রে, বকেয়াকর আদায় কর্মকর্তা ডিক্রি প্রদানকারী আদালতকে নি¤œবর্ণিত সময় পর্যন্ত ডিক্রি স্থগিত রাখিতে ফরম “মূসক-১৪.১২”এর মাধ্যমে অনুরোধ করিতে পারিবেন, যথা:-

(ক) বকেয়া কর আদায় কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত সার্টিফিকেট প্রত্যাহার করা; বা

(খ) খেলাপি করদাতা বা বকেয়া কর আদায় কর্মকর্তা উক্ত আদালতে ডিক্রি কার্যকর করিবার জন্য আবেদন করা।

 (২) উপ-বিধি (১) এর দফা (খ) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পরআদালত দেওয়ানী কার্যবিধি, ১৯০৮ অনুযায়ী বর্ণিত ডিক্রি নি®পত্তি করিবেন।

৮০। কর্মচারীর বেতন ক্রোককরণ।-কোনো খেলাপি করদাতা চাকুরিজীবী হইলে বকেয়া আদায় কর্মকর্তা তাহার সম্পূর্ণ বেতন বা তাহার অংশবিশেষ ক্রোক করিতে পারিবেন।

৮১। শেয়ার বা হস্তান্তরযোগ্য দলিল (হবমড়ঃরধনষব রহংঃৎঁসবহঃ) জব্দকরণ।-বকেয়া আদায় কর্মকর্তা কোনো খেলাপি করদাতার কোনো শেয়ার বাহস্তান্তরযোগ্য দলিল (হবমড়ঃরধনষব রহংঃৎঁসবহঃ) জব্দ করিতে পারিবেন।

৮২। ব্যাংক বা গণকর্মচারীর তত্ত্বাবধানে থাকা সম্পদ ক্রোক বা জব্দকরণ।-খেলাপি করদাতার কোনো সম্পদ ব্যাংক বা গণকর্মচারীর তত্ত্বাবধানে থাকিলে

বকেয়া আদায় কর্মকর্তা তাহা ক্রোক বা জব্দ করিতে পারিবেন।

৮৩। কোনো যৌথ মালিকানার সম্পত্তি ক্রোক বা জব্দকরণ।–খেলাপি করদাতা যৌথ মালিকানাধীন কোনো সম্পত্তির মালিক হইলে বকেয়া আদায় কর্মকর্তা উক্ত খেলাপি করদাতার মালিকানাধীন সম্পদ ব্যাংক বা গণকর্মচারীর তত্ত্বাবধানে থাকিলে বকেয়া আদায় কর্মকর্তা তাহা ক্রোক বা জব্দ করিতে পারিবেন।

৮৪। সম্পত্তি ক্রোক বা জব্দকরণের পূর্বে উহার তালিকা প্রস্তুতকরণ।-কোনো খেলাপি করদাতার নিকট হইতে বকেয়া কর আদায়ের লক্ষ্যে তাহার

সম্পত্তিক্রোক বা জব্দ করিবার পূর্বে ফরম “মূসক-১২.৩”এ উহার একটি তালিকা প্রস্তুত করিতে হইবে।

 ৮৫। সম্পত্তি ক্রোক বা জব্দকরণের সময়।-ধারা ৯৫ এর উপ-ধারা (৫) এর দফা

(ছ) এর অধীন সূর্যোদয় হইতে সূর্যাস্তের মধ্যে খেলাপি করদাতার স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক বা অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ করিতে হইবে।

৮৬। সম্পত্তি ক্রোক বা জব্দকরণের সীমা।-ধারা ৯৫ এর উপ-ধারা (৫) এর দফা

(ছ) এর অধীন স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক বা অস্থাবর সম্পত্তি জব্দকরণের ক্ষেত্রে আনুপাতিক হারে সেই পরিমাণ সম্পত্তি ক্রোক বা জব্দ করিতে হইবে যাহা বিক্রয় করিলে ফরম “মূসক-১৪.১”- এর মাধ্যমে জারিকৃত সার্টিফিকেটে উল্লিখিত বকেয়া সম্পূর্ণ আদায় করা যায়।

৮৭। সম্পত্তি ক্রোক বা জব্দকরণের জন্য উহাতে প্রবেশের ক্ষমতা।-ধারা ৯৫ এর উপ-ধারা (৫) এর দফা (ছ) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোনো খেলাপি করদাতার নিকট হইতে বকেয়া কর আদায়ের লক্ষ্যে বকেয়া আদায় কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট খেলাপি করদাতার স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক বা অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ করিবার লক্ষ্যে কোনো স্থাপনায় প্রবেশের প্রয়োজনহইলে এবং উহা তালাবদ্ধ থাকিলে, সম্ভাব্য সকল উপায়ে উহাতে প্রবেশ করিতে পারিবেন।

৮৮। সম্পত্তি ক্রোক বা জব্দকরণের জন্য পুলিশসহ সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তার সহায়তা।- (১) কোনো খেলাপি করদাতার নিকট হইতে বকেয়া কর আদায়ের লক্ষ্যে বকেয়া আদায় কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট খেলাপি করদাতার স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক বা অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ করিবার লক্ষ্যে ধারা ৮২ এ উল্লিখিত কর্মকর্তার নিকট হইতে প্রয়োজনীয় সহায়তা গ্রহণ করিতে পারিবেন।

 (২) বকেয়া আদায় কর্মকর্তা প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ক্রোকি সম্পত্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করিবার লক্ষ্যে উক্ত সম্পত্তিতে বাংলাদেশ আনসার বাহিনীর সদস্য নিয়োগ প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন।

৮৯। স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক বা অস্থাবর সম্পত্তি জব্দের ক্ষেত্রে বকেয়া আদায় কর্মকর্তার কার্যপদ্ধতি।-(১) কোনো খেলাপি করদাতার নিকট হইতে বকেয়া

কর আদায়ের লক্ষ্যে বকেয়া আদায় কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট খেলাপি করদাতার স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক বা অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ করিবার জন্য নোটিশ জারির পর যদি কোনো ব্যক্তি এই মর্মে আবেদন করেন যে, ক্রোকি বা ক্রোকযোগ্য স্থাবর সম্পত্তি অথবা জব্দকৃত বা জব্দযোগ্য অস্থাবর সম্পত্তি বিধি ৬৮ এর উপ-বিধি (২) এর অধীন জারিকৃত সার্টিফিকেটের সহিত সংশ্লিষ্ট নয়, তাহা হইলে বকেয়া আদায় কর্মকর্তা বিষয়টি যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারিবেন:

তবে বকেয়া আদায় কর্মকর্তার নিকট যদি এই মর্মে প্রতীয়মান হয় যে, আবেদনটি তথ্যভিত্তিক নয় বা অযথা কালক্ষেপণের লক্ষ্যে দাখিল করা হইয়াছে তাহা হইলে উহা নথিভুক্ত করিয়া আবেদনকারীকে অবহিত করিবেন। (২) উপ-বিধি (১) এর অধীন আবেদন দাখিলের ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে

এইরূপ তথ্য উপস্থাপন করিতে হইবে যাহাতে প্রমাণিত হয় যে-

(ক) অস্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রে, বকেয়া পরিশোধের সার্টিফিকেট জারির তারিখে; বা

(খ) স্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রে, ক্রোক আদেশ জারির তারিখে, উক্ত সম্পত্তিতে তাহার অধিকার ছিল বা উহা তাহার দখলে ছিল।

 (৩) উপ-বিধি (১) এর অধীন দাখিলকৃত আবেদন বিক্রয়ের প্রক্রিয়াধীন থাকা ক্রোকি বা জব্দকৃত সম্পত্তি সংশ্লিষ্ট হইলে এবং আবেদনটি যাচাইয়ের জন্য গৃহীত হইলে, বকেয়া আদায় কর্মকর্তা বিক্রয় কার্যক্রম বন্ধ রাখিতে পারিবেন।

 (৪) যাচাই-অন্তেÍÍ যদি প্রমাণিত হয় যে, উপ-বিধি (২) এ বর্ণিত তারিখে উক্ত সম্পত্তিতে খেলাপি করদাতার সম্পূর্ণ বা আংশিক স্বত্ব¡ ছিল, তাহা হইলে বকেয়া আদায় কর্মকর্ত া সমুদয় সম্পত্তি বা স্বত্বের আনুপাতিক হারে অংশ বিশেষ হইতে জব্দকরণ বা ক্রোক আদেশ প্রত্যাহার করিবেন।

 (৫) এই বিধির বিধান প্রয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, খেলাপি করদাতাসহ, যুক্তিসঙ্গত শুনানির সুযোগ প্রদান করিতে হইবে।

৯০। কোনো খেলাপি করদাতার ক্রোকি স্থাবর সম্পত্তি বা জব্দকৃত অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রয় পদ্ধতি।-(১) কোনো খেলাপি করদাতার নিকট হইতে বকেয়া কর আদায়ের লক্ষ্যে বকেয়া আদায় কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট খেলাপি করদাতার ক্রোকি স্থাবর সম্পত্তি বা জব্দকৃত অস্থাবর সম্পত্তি প্রকাশ্য নিলামে বিক্রয় করিতে পারিবেন।

 (২) নিলামে বিক্রয় ও বিক্রয়লব্ধ অর্থের বিলি বন্দেজের ক্ষেত্রে ধারা ১০০ এবং ঈঁংঃড়সং অপঃ, ১৯৬৯ (ওঠ ড়ভ ১৯৬৯) এরংবপঃরড়হ ২০১ এ বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে।

 (৩) বকেয়া আদায় কর্মকর্তা ফরম “মূসক-১৪.১৩” এ একটি বিক্রয় সনদ জারি করিবেন যাহা নিবন্ধনসহ আনুষঙ্গিক সকল কার্য সম্পাদনে ব্যবহৃত হইবে।

৯১। কোনো খেলাপি করদাতার ক্রোকি স্থাবর সম্পত্তি বা জব্দকৃত অস্থাবর সম্পত্তি জব্দকরণের সার্টিফিকেট প্রত্যাহার।-বকেয়া আদায় কর্মকর্তা সমুদয় বকেয়া কর, সুদ, খরচ, চার্জ, ইত্যাদি আদায় সম্পন্ন হওয়ার পর ফরম “মূসক-১৪.১৪”এ বিধি ৬৮ এর উপ-বিধি (২) এর অধীন জারিকৃত সার্টিফিকেট প্রত্যাহার করিবেন।

৯২। খেলাপি করদাতার কোনো জিম্মাদারের নিকট হইতে জামানত গ্রহণ।- (১) ধারা ৯৫ এর উপ-ধারা (৫) এর দফা (জ) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোনো খেলাপি করদাতার নিকট হইতে বকেয়া কর আদায়ের লক্ষ্যে বকেয়া আদায় কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট খেলাপি করদাতার কোনো জিম্মাদারের নিকট হইতে অনধিক ১ (এক) বৎসর সময়ের জন্য তাহার বিবেচনায় যথোপযুক্ত পরিমাণ ও আকারের জামানত গ্রহণ করিতে পারিবেন।

 (২) নির্ধারিত সময়ের মধ্যে খেলাপি করদাতা সমুদয় বকেয়া করপরিশোধ করিতে ব্যর্থ হইলে তাহা খেলাপি করদাতা ও জিম্মাদারের নিকট হইতে ধারা ৯৫ এর উপ-ধারা (৫) এর বিধানাবলি প্রয়োগ করিয়া আদায়যোগ্য হইবে।

৯৩। রিসিভার কর্তৃক কর পরিশোধের পদ্ধতি।- ধারা ১০২ এর উপ-ধারা (২) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বকেয়া আদায় কর্মকর্তার অনুরোধ প্রাপ্তির পর রিসিভার সম্পদের বিক্রয়লব্ধ অর্থ হইতে বকেয়া কর সরকারি কোষাগারে সংশ্লিষ্ট হিসাব কোডে জমা প্রদানপূর্বক ট্রেজারি চালানের কপিসহ বকেয়া আদায় কর্মকর্তাকে অবহিত করিবেন।

৯৪। বকেয়া কর কিস্তিতে পরিশোধের পদ্ধতি।-(১) ধারা ১০৬ এর উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, খেলাপি করদাতার লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে

কমিশনার উক্ত ধারার উপ-ধারা

 (২) এর বিধান সাপেক্ষে কিস্তির সংখ্যা নির্ধারণ করিতে পারিবেন।  (২) উপ-বিধি (১) এর অধীন আবেদন করিবার পূর্বে মোট বকেয়া করের অন্যূন ১০% (দশ শতাংশ) পরিশোধ করিতে হইবে।

পঞ্চদশ অধ্যায়

ফরম, নোটিশ এবং রেকর্ড সংরক্ষণ

৯৫। রেকর্ড এবং হিসাব সংরক্ষণ।-ধারা ১০৭ এর উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য  পূরণকল্পে, নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত ব্যক্তি নি¤œবর্ণিত পদ্ধতিতে রেকর্ড ও হিসাব সংরক্ষণ করিবেন, যথা:-

(ক) সংরক্ষণীয় রেকর্ড ও হিসাব নিবন্ধিত প্রাঙ্গণ বা প্রাঙ্গণসমূহে অর্থবৎসর ভিত্তিক এইরূপে সংরক্ষণ করিতে হইবে যাহাতে উহা নষ্ট না হইয়া যায় এবং

 যেকোনো সময় সহজেই পরীক্ষা করা যায়; এবং

(খ) ইলেকট্রনিক তথ্যাদি যথাযথ নিরাপত্তাসহ এইরূপে সংরক্ষণ করিতে হইবে যাহাতে উহা সহজেই ব্যবহার করা যায়।

 

ষোড়শ অধ্যায়

অপরাধ, বিচার দন্ড

৯৬। অপরাধের তদন্ত পদ্ধতি।-(১) মামলা দায়েরকারী মূসক কর্মকর্তা আদালত কর্তৃক মামলা গ্রহণের চার মাসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করিয়া কমিশনারের মাধমে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করিবেন; তবে শর্ত থাকে যে, তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত কর্তৃক উক্ত সময়সীমা আরো ৩ (তিন) মাস পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যাইবে। (২) উপ-বিধি (১) এ বর্ণিত সময়সীমার মধ্যে, প্রযোজ্য ক্ষেত্রেবর্ধিত সময়সীমার মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করিয়া আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা না হইলে মামলার অভিযোগ প্রমাণিত হয় নাই বলিয়া গণ্য হইবে।

 (৩) তদন্তকারী কর্মকর্ত া অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ফরম “মূসক-১৬.১” এ অভিযোগের বিষয়টি অবহিত করিবেন এবং অভিযোগ সংক্রান্ত নোটিশ প্রাপ্তির ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানের জন্য অনুরোধ করিতে পারিবেন।

 (৪) অভিযুক্ত ব্যক্তি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ফরম“মূসক-১৬.২”জবাব প্রদান করিবেন।

 (৫) তদন্তকারী কর্মকর্ত া উপ-বিধি (১) এ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনাপূর্বক একটি প্রতিবেদন কমিশনারের নিকট উপস্থাপন করিবেন।

 (৬) অভিযুক্ত ব্যক্তিকে তদন্তকালে শুনানির যুক্তিসঙ্গত সুযোগ প্রদানকরিতে হইবে।

 (৭) উপ-বিধি (৪) এর অধীন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানে অস্বীকৃতি জানাইবার ক্ষেত্রে মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তির পর অভিযুক্ত ব্যক্তির অপরাধ প্রমাণিত হইলে তাহার নাম ও প্রয়োজনীয় তথ্য আইনের অধীন অপরাধী তালিকায় প্রকাশিত হইবে।

৯৭। অপরাধের আপোষরফার পদ্ধতি।-(১) বোর্ড কোনো অপরাধের আপোষরফা করিতে পারিবে, যদি অভিযুক্ত ব্যক্তি-

(ক) কোনো মামলার আপোষরফার জন্য লিখিতভাবে বোর্ডের নিকট আবেদন করেন;

(খ) হলফনামা দাখিল করিয়া কমিশনার কর্তৃক নির্ধারিত কিস্তিতে অভিযোগের সাথে সংশ্লিষ্ট কর পরিশোধ করিবার অঙ্গীকার করেন; এবং

(গ) এই মর্মে অঙ্গীকার করেন যে আপোষরফা করিতে যেই পরিমাণ প্রশাসনিক ব্যয় হইবে তিনি উহা বহন করিবেন।

 (২) উপ-বিধি (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি একই ধরনের অপরাধ ইতঃপূর্বে করিয়া থাকিলে বোর্ড কোনো মামলা আপোষরফা করিতে পারিবে না।

 (৩) আপোষরফার জন্য আবেদনকারী এবং সংশ্লিষ্ট কমিশনার ও অভিযোগ দাখিলকারী কর্মকর্তাকে বোর্ড শুনানির সুযোগ প্রদান করিবে।

(২) ব্যর্থতা বা অনিয়মের ক্ষেত্রে ফরম “মূসক-১২.৬”এ প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর-

(ক) উপ-বিধি (১) এর দফা (ক) এর অধীন জরিমানা আরোপেরলক্ষ্যে ধারা ৮৬ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এ বর্ণিত আর্থিক ক্ষমতা অনুযায়ী

 ন্যায়-নির্ণয়নকারী কর্মকর্তা; এবং (খ) ধারা ৮৬ এর উপ-ধারা (১) এর শর্তাংশ ও উপ-বিধি (১) এর দফা (খ) এর  অধীন জরিমানা আরোপের ক্ষেত্রে কমিশনার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা,  ফরম “মূসক-১২.১২”এ কারণ দর্শানো নোটিশ জারি করিবেন।

 (৩) উপ-বিধি (২) এ বর্ণিত কারণ দর্শানো নোটিশে, অন্যান্য তথ্যের সহিত নি¤œবর্ণিত তথ্যাদি সন্নিবেশিত থাকিবে, যথা:-

(ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম, ঠিকানা ও ব্যবসায় সনাক্তকরণ সংখ্যা(যদি থাকে);

(খ) ব্যর্থতা বা অনিয়মের ধরন ও বিবরণ;

(গ) ব্যর্থতা বা অনিয়মের কারণে লংঘিত ধারা বা বিধি বা তদধীনে প্রণীত বিধান;

(ঘ) শাস্তির ধারা বা বিধি;

(ঙ) ফাঁকি প্রদত্ত বা পরিহারকৃত করের পরিমাণ (যদি থাকে);

(চ) কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব প্রদানের শেষ তারিখ;

(ছ) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ব্যক্তিগত শুনানি দিতে আগ্রহী কিনা;

(জ) নির্ধারিত সময়ে জবাব পাওয়া না গেলে প্রাথমিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে  ন্যায়-নির্ণয়ন আদেশ প্রদান করা হইবে মর্মে অবহিতকরণ; এবং

(ঝ) ন্যায়-নির্ণয়নকারী কর্মকর্তার নাম, পদবি, ফোন, ই-মেইল ও জবাব প্রেরণের ঠিকানা।

 (৪) কারণ দর্শানো নোটিশ জারির তারিখ ও জবাব প্রদানের শেষ তারিখের মধ্যে অন্যূন ২ (দুই) সপ্তাহ ও অনূর্ধ্ব ৪ (চার) সপ্তাহ ব্যবধান থাকিতে হইবে।

 (৫) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব প্রদানের জন্য নির্ধারিত সময়ে সময় বৃদ্ধির আবেদন করিলে ন্যায়-নির্ণয়নকারী কর্মকর্তা তাহার বিবেচনায় উপযুক্ত সময় মঞ্জুর করিতে পারিবেন।

 (৬) কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব প্রাপ্তির পর ব্যর্থতা বা অনিয়মের জন্য দায়ী ব্যক্তি শুনানি প্রদানে আগ্রহী হইলে তাহাকে শুনানি প্রদান করিয়া ন্যায়-নির্ণয়নকারী কর্মকর্তা ফরম “মূসক-১২.১৩”এ ন্যায়-নির্ণয়ন আদেশ জারি করিবেন, যাহাতে অন্যান্য তথ্যের সহিত, নি¤œবর্ণিত তথ্যাদি সন্নিবেশিত থাকিবে, যথা:-

 (ক) ব্যর্থতা বা অনিয়মের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম, ঠিকানা ও ব্যবসায় সনাক্তকরণ সংখ্যা (যদি থাকে);

(খ) আনীত অভিযোগের ধরন ও বিবরণ;

(গ) আনীত অভিযোগের কারণে লংঘিত ধারা বা বিধি বা তদাধীনে প্রণীত কোনো বিধান;

(ঘ) শাস্তির ধারা বা বিধি;

(ঙ) ফাঁকি প্রদত্ত বা পরিহারকৃত করের পরিমাণ (যদি থাকে);

(চ) আরোপিত জরিমানার পরিমাণ;

(ছ) কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব;

(জ) ব্যক্তিগত শুনানিতে দেওয়া বক্তব্য (যদি থাকে);

(ঝ) আনীত অভিযোগ ও অভিযুক্ত ব্যক্তির জবাব বিশ্লেষণ বা পর্যালোচনা;

(ঞ) বিশ্লেষণের ফলাফল (অভিযোগ প্রমাণিত বা খন্ডিত);

(ট) আদেশ;

(ঠ) আদেশে কোনো জরিমানা আরোপ করা হইয়া থাকিলে জরিমানা ও ফাঁকি প্রদত্ত বা পরিহারকৃত করসহ (যদি থাকে) মোট প্রদেয় অর্থেরর পরিমাণ এবং

 তাহা সরকারি কোষাগারে জমা প্রদানের তারিখ, হিসাব কোড ও জমা প্রদানের পদ্ধতি (সড়ফব ড়ভ ঢ়ধুসবহঃ);

(ড) ন্যায়-নির্ণয়ন আদেশে কোনো পক্ষ সংক্ষুব্ধ হইলে আপিলের স্থান, সময় ও পদ্ধতি; এবং

(ঢ) ন্যায়-নির্ণয়নকারী কর্মকর্তার নাম, পদবি, ফোন, ই-মেইল ও যোগাযোগের ঠিকানা।

 (৭) উপ-বিধি (৪) এ নির্ধারিত সময়ে বা উপ-বিধি (৫) এ নির্ধারিত বর্ধিত সময়ে কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব পাওয়া না গেলে ন্যায়-নির্ণয়নকারীকর্মকর্তা প্রাপ্ত দলিলাদির ভিত্তিতে ন্যায়নির্ণয়ন আদেশ জারি করিবেন।

সপ্তদশ অধ্যায়

আপিল রিভিশন

৯৮। কমিশনার (আপিল) এর নিকট আপিল ও উহার নিষ্পত্তির পদ্ধতি।-(১) কোনো সংক্ষুব্ধ করদাতা বা মূসক কর্ম কর্তা, স্বীয় অধীক্ষেত্রের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিশনার (আপিল) বরাবর আপিল আবেদন দাখিল করিবেন।

 (২) কমিশনার (আপিল) আপিল আবেদন প্রাপ্তির ৭ (সাত) দিনের মধ্যে শুনানির তারিখ ঘোষণা করিয়া উহা আপিলসংশ্লিষ্ট উভয় পক্ষকে অবহিত করিবেন।

 (৩) কমিশনার (আপিল) যথাযথ পদ্ধতিতে উভয় পক্ষের বা তাহাদের ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে শুনানি গ্রহণ করিবেন।

 (৪) কমিশনার (আপিল) প্রয়োজন বোধ করিলে ১ (এক) বা একাধিক সদস্য সমন্বয়ে গঠিত কমিটি দ্বারা আপিল আবেদন সংশ্লিষ্ট বিষয়টি অধিকতর তদন্ত করাইতে পারিবেন।

৯৯। বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির পদ্ধতি।-(১) মূল্য সংযোজন কর কমিশনারেট, বা ক্ষেত্রমত, আপিল কমিশনারেট বা আপিলাত ট্রাইবুনালে নিষ্পন্নাধীন কোনো বিরোধ ধারা ১২৫ এর অধীন নিষ্পত্তি করিতে চাহিলে সংশ্লিষ্ট করদাতা বা তালিকাভুক্ত বা তালিকাভুক্তিযোগ্য ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট কমিশনার বা কমিশনার (আপিল) বা প্রেসিডেন্ট (আপিলাত ট্রাইব্যুনাল), যাহাই প্রযোজ্য হয়, বিরোধীয় বিষয় সংশ্লিষ্ট প্রাসঙ্গিক দলিলাদিসহ ফরম “মূসক-১৭.১”এ-

(ক) কমিশনারেটে বিচারাধীন বা নিষ্পন্নাধীন মামলা বা বিরোধের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কমিশনার; অথবা

(খ) আপিল কমিশনারেট বা আপিলাত ট্রাইবুনালে বিচারাধীন মামলা বা বিরোধের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কমিশনার (আপিল) বা প্রেসিডেন্ট (আপিলাত ট্রাইবু ্যনাল); এর নিকট দফা (ক) এর ক্ষেত্রে ২ (দুই) প্রস্থ এবং দফা (খ) এর ক্ষেত্রে ৩ (তিন) প্রস্থে আবেদন করিতে হইবে।

 (২) উপ-বিধি (১) এর অধীন আবেদনের সময় আবেদনকারী বিধি ১০১ এর অধীন প্রস্তুত তালিকা হইতে একজন সহায়তাকারীর নাম উল্লেখ করিবেন।

 (৩) উপ-বিধি (১) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর সংশ্লিষ্ট কমিশনার, বা ক্ষেত্রমত,আপিল কমিশনারেট বা আপিলাত ট্রাইব্যুনাল ফরম “মূসক-১৭.২”অনুযায়ী প্রস্তুত রেজিস্টারে আবেদনপত্রে উল্লিখিত তথ্যাদির বিবরণসমূহ অন্তর্ভুক্ত করিবেন

(৪) উপ-বিধি (১) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর সংশ্লিষ্ট কমিশনার ৩ (তিন) কার্যদিবসের মধ্যে বিধি ১০৬ এর অধীন প্রস্তু ত তালিকা হইতে একজন বিভাগীয় সহায়তাারী মনোনয়ন প্রদান করিবেন এবং উহার বিষয়ে মনোনয়ন প্রদানের ২ (দুই) কার্যদিবসের মধ্যে সহায়তাকারী, আবেদনকারী ও বিভাগীয় সহায়তাকারীকে অবহিত করিবেন এবং পরবর্তী ৪ (চার) কার্যদিবস অর্থাৎ আবেদন প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৯ (নয়) কার্যদিবসের মধ্যে আবেদনপত্র, এতদসংক্রান্ত নথি, মতামত, সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র, আবেদন নিষ্পত্তির জন্য মনোনীত সহায়তাকারীর নিকট পৌঁছাইবেন।

 (৫) আপিল কমিশনারেট বা আপিলাত ট্রাইব্যুনাল উপ-বিধি (১) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর ইহা নিষ্পত্তির জন্য ৪ (চার) কার্যদিবসের মধ্যে-

 (ক) বিধি ১০১ এর অধীন প্রস্তুত তালিকা হইতে করদাতা কর্তৃক মনোনীত  সহায়তাকারীকে অবহিত করিবেন; এবং

 (খ) আবেদনপত্রের উপর আবেদন তথা বিরোধ সংশ্লিষ্ট কমিশনারেটের মন্তব্য ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সংশ্লিষ্ট নথি ও বিধি ১০৬ এর অধীন প্রস্তুত তালিকা হইতে একজন বিভাগীয় সহায়তাকারী মনোনয়নপূর্বক তাহার মাধ্যমে উপ- বিধি (৭) এর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপিল কমিশনারেট বা ক্ষেত্রমত

 আপিলাত ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে মনোনীত মহায়তাকরীর নিকট প্রেরনের অনুরোধসহ বিশেষ ব্যবস্থায় আবেদনপত্রের এক প্রস্থ সংশ্লিষ্ট মূল্য সংযোজন

 কর কমিশনারেটে প্রেরণ করিবেন।

 (৬) আপিল কমিশনারেট, বা ক্ষেত্রমত, আপিলাত ট্রাইব্যুনাল কর্তৃপক্ষ হইতে উপ-বিধি (৩) এ উল্লিখিত আবেদনপত্র ও সেই বিষয়ে প্রদত্ত নির্দেশনা প্রাপ্তির পর সংশ্লিষ্ট কমিশনারেট কর্তৃপক্ষ উক্ত আবেদনপত্রের উপর নির্দেশনা অনুযায়ী ইহার উপর তাহার দপ্তরে মন্তব্যসহ প্রতিনিধি মনোনয়নপূর্বক প্রয়োজনীয় দলিলাদিসহ সংশ্লিষ্ট নথি উক্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে ১০ (দশ) কার্যদিবসের মধ্যে আপিল কমিশনারেটে বা ক্ষেত্রমত, আপিলাত ট্রাইব্যুাল মাধ্যমে উপ-বিধি (৪) মোতাবেক মনোনীত সহায়তাকরীর নিকট প্রেরণ করিবেন।

 (৭) উপ-বিধি (৬) এর অধীন আবেদনপত্রসহ সংশ্লিষ্ট নথি প্রাপ্তির পর মনোনীত সহায়তাকারীগণ ৩ (তিন) কার্যদিবসের মধ্যে আবেদন উল্লিখিত বিরোধীয় বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।

 ১০০। সহায়তাকরীর (ঋধপরষরঃধঃড়ৎ) বিরুদ্ধে আপত্তি।- (১) বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষে মনোনীত কোনো সহায়তাকারীর বিরুদ্ধে আবেদনকরী অথবা সংশ্লিষ্ট মূল্যে সংযোজন কর বিভাগের প্রতিনিধির যুুক্তিসঙ্গত অভিযোগ বা আপত্তি থাকিলে সেই সম্পর্কে বোর্ড বরাবর লিখিতভাবে আবেদন করিতে হইবে।

 (২) উপ-বিধি (১) এর অধীন প্রাপ্ত অভিযোগ বা আপত্তির বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ১০ (দশ) কার্যদিবসের মধ্যে তদন্তর্র্পূবক প্রয়োজনবোধে উক্ত সহায়তাকরীকে পরিবর্তন করিতে অথবা তালিকা হইতে বাদ দিতে পারিবে।

 (৩) উপ-বিধি (২) এর অধীন সহায়তাকরী পরিবর্তন করা হইলে সহায়তাকরীর তালিকা হইতে অন্য একজনকে করদাতা সহায়তাকরী হিসাবে নির্বাচন করিতে পারিবেন।

 (৪) সহায়তাকারী পরিবর্তন অথবা পুনঃমনোনয়নের কারণে ব্যয়িত সময় বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আইনে নির্ধারিত সময়সীমা হইতে বাদ যাইবে না।

 ১০১। সহায়তাকারীর যোগ্যতা, নিয়োগ এবং তালিকা।-(১) এই বিধিমালার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বোর্ড নিম্নবর্ণিত যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে সহায়তাকারীর একটি তালিকা প্রস্তুত করিবে, যথা:-

(ক) মূল্য সংযোজন কর বিষয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ অতিরিক্ত কমিশনারের নিম্নে নহেন এইরূপ অবসরপ্রাপ্ত কোনো মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তা;

(খ) অতিরিক্ত জেলা জজের নিম্নে নহেন এইরূপ বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের অবসরপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা;

(গ) মূল্য সংযোজন কর বিষয়ে অন্যূন ৭ (সাত) বৎসরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন আইনজীবী বা চার্টার্ড একাউন্ট্যান্ট;

(ঘ) উপ-সচিব বা সমমর্যাদার পদের নিম্নে নহেন এইরূপ আইন ও লেজিসলেটিভ বিষয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ অবসরপ্রাপ্ত কোনো সরকারি কর্মকর্তা; এবং

(ঙ) ব্যবসার ক্ষেত্রে ন্যূনতম ১৫ (পনের) বৎসরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও মূল্য সংযোজন কর বিষয়ে দক্ষ কোনো ব্যবসায়ী।

 (২) বোর্ড প্রতি ৬ (ছয়) মাস পর পর প্রত্যেক সহায়তাকারীর কর্মতৎপরতা পর্যালোচনাপূর্বক উপ-বিধি (১) এর অধীন প্রস্তুত তালিকা সংশোধন করিতে পারিবে।

 (৩) বোর্ড সহায়তাকারীগণের একটি তালিকা উহার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করিবে এবং উহা নিয়মিত হালনাগাদ করিবে।

 ১০২। সহায়তাকারীর দায়িত্ব ও কর্তব্য।-(১) সহায়তাকারী, আবেদনকারী ও বিভাগীয় প্রতিনিধির সাথে আলোচনাক্রমে বিবেচ্য বিরোধের-

(ক) নিষ্পত্তির বা সিদ্ধান্তের বিষয়বস্তু (ওংংঁবং ড়ভ জবংড়ষঁঃরড়হ) নির্ধারণ করিবেন;

(খ) বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়ায় অনুসরণীয় পদ্ধতি, কৌশলবা কাঠামো নির্ধারণ করিবেন;

(গ) বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে অনুষ্ঠেয় আলোচনা সভার স্থান, তারিখ ও সময় নির্ধারণ করিবেন; এবং

(ঘ) উভয় পক্ষকে সময় উল্লেখসহ প্রয়োজনীয় দলিলাদি দাখিল করিবার জন্য লিখিতভাবে অবহিত করিবেন।

 (২) সহায়তাকারী প্রয়োজনবোধে আবেদনকারী এবং বিভাগীয় প্রতিনিধিকে বিরোধীয় বিষয়ে আইনানুগ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে উভয় পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা

(গবফরধঃরড়হ) করিতে পারিবেন।

 (৩) বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি চলমান থাকা অবস্থায় আবেদনকারী, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, আইনসংগত বা যুক্তিসংগত কারণ ব্যতীত বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিতে আমলযোগ্য অসহযোগিতা (পড়মহরুধনষব হড়হ-পড়ড়ঢ়বৎধঃরড়হ) করিলে বা নির্ধারিত তারিখে হাজির হইতে ব্যর্থ হইলে কিংবা আইনসংগত নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হইলে, সহায়তাারী কোনো প্রকার নোটিশ প্রদান ব্যতিরেকে চলমান বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া বাতিল করিতে পারিবেন।

 (৪) বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ায় বিরোধীয় বিষয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মতৈক্যের ভিত্তিতে (নু ধমৎববসবহঃ)সিদ্ধান্ত হইলে, সহায়তাকারী যথাশীঘ্র সম্ভব ফরম “মূসক-১৭.৩”এ মতৈক্যের শর্তসমূহ (ঞবৎসং ড়ভ অমৎববসবহঃ) লিপিবদ্ধ করিবেন এবং সহায়তাকারীসহ উভয় পক্ষ উক্ত লিপিবদ্ধ সিদ্ধান্তে স্বাক্ষর প্রদানপূর্বক উহা ৩ (তিন) কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করিবেন

 (৫) বিরোধীয় বিষয় সম্পর্কে উভয় পক্ষের মধ্যে মতৈক্য প্রতিষ্ঠিত না হইলে সহায়তাকারী উহার কারণসমূহ ফরম “মূসক-১৭.৩” এ লিপিবদ্ধ করিবেন এবং উভয় পক্ষের স্বাক্ষর গ্রহণপূর্বক বিরোধীয় বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কমিশনার, বা ক্ষেত্রমত, আপিলাত ট্রাইব্যুনালে নিষ্পন্নের তারিখ হইতে ২ (দুই) কার্যদিবসের মধ্যে ফেরত প্রদান করিবেন।

 (৬) উভয় পক্ষের মধ্যে মতৈক্যের ভিত্তিতে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্ত বায়নের লক্ষ্যে সহায়তাকারী বিরোধ নিষ্পত্তির ভিত্তিতে পাওনা অর্থ আদায়, পরিশোধ এবং ফেরত প্রদানের সময় ও পদ্ধতি নির্ধারণ করিবেন।

 (৭) উভয় পক্ষের মধ্যে মতৈক্যের ভিত্তিতে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্ত বায়ন করা উভয় পক্ষের জন্য বাধ্যতামূলক হইবে।

১০৩। সহায়তাকারীর আচরণ-বিধি।- সহায়তাকারীর আচরণ-বিধি হইবে নিম্নরূপ, যথা:-

(ক) সহায়তাকারী সততা ও বিশ্ব স্ততার সহিত দায়িত্ব পালন করিবেন;

(খ) বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিকালে সহায়তাকারী স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কার্য সম্পাদন করিবেন;

(গ) সহায়তাকারী আবেদন বহির্ভূত কোনো বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারিবেন না;

(ঘ) সহায়তাকারী বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ায় মতৈক্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আবেদনকারী ও বিভাগীয় প্রতিনিধিকে সহায়তা করিবেন;

(ঙ) সহায়তাকারী উভয় পক্ষের সম্মতিতে বিরোধীয় বিষয়ে কারিগরি বা পেশাগত জ্ঞান রহিয়াছে এইরূপ কোনো ব্যক্তির সহায়তা বা পরামর্শ গ্রহণ করিতে

 পারিবেন;

(চ) সহায়তাকারী অবশ্যই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিরোধসমূহ নিষ্পত্তি করিবেন;

(ছ) গোপনীয়তা (ঈড়হভরফবহঃরধষরঃু):

(অ) বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ায় সহায়তাকারীর নিকট কোনো পক্ষ কর্তৃক প্রকাশিত তথ্য সহায়তাকারী গোপন রাখিবেন এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহের অনুমতি ব্যতীত উক্তরূপ সরবরাহকৃত তথ্য প্রকাশ করিবেন না;

(আ) বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ার আওতায় সকল কার্যক্রম, দলিলাদি ও ফলাফল গোপন রাখিতে হইবে, তবে কেবল অন্যকোনো আইনের  অধীনে অথবা উভয় পক্ষের সম্মতিতে এতদ সংক্রান্ত তথ্যাদি প্রকাশ করা যাইবে।

 ১০৪। স্বার্থের দ্বন্দ্ব  (ঈড়হভষরপঃ ড়ভ ওহঃবৎবংঃ)।- (১) বিভাগীয় প্রতিনিধি বা সহায়তাকারী তাহার নিকট কোনো বিকল্প বিরোধ প্রক্রিয়া নিষ্পন্নাধীন বিষয়ের সহিত স্বার্থসংশ্লিষ্ট থাকিলে তিনি উক্ত দায়িত্ব পালন করিতে পারিবেন না।

 (২)সহায়তাকারী তাহার নিকট কোনো বিকল্প বিরোধ প্রক্রিয়া নিষ্পন্নাধীন থাকা অবস্থায় ন্যায় বিচার প্রভাবিত হইতে পারে বলিয়া মনে করিলে অথবা তিনি কোনো বিরোধ নিষ্পত্তি করিতে ইচ্ছুক না হইলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিরোধীয় বিষয়টি ফেরত প্রদান করিবেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে উহা সংশ্লিষ্ট পক্ষকেও লিখিতভাবে অবহিত করিবেন।

 (৩) বিরোধীয় বিষয়ে মনোনীত সহায়তাকারীর নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, সংশ্লিষ্ট বিরোধীয় বিষয়ে তাহার স্বার্থ জড়িত রহিয়াছে অথবা বিরোধ নিষ্পত্তিতে নিরপেক্ষতা ক্ষুণœ হইতে পারে, সেইক্ষেত্রে সহায়তাকারী তাহার মনোনয়নে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করিবেন এবং লিখিতভাবে বোর্ড ও আবেদনকারীকে অবহিত করিবেন।

 (৪) কোনো বিরোধের ক্ষেত্রে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া শুরু হইবার পর সহায়তাকারীর অনুরোধের প্রেক্ষিতে অথবা উভয় পক্ষের সম্মতিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সহায়তাকারীকে প্রত্যাহার এবং নূতন সহায়তাকারী নিয়োগের ব্যবস্থা করিবেন।

১০৫। বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে আবেদনকারীর অধিকার ও দায়িত।-

(১) আবেদনকারী বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে মনোনীত বিভাগীয় প্রতিনিধির সহিত এতদুদ্দেশ্যে নিযুক্ত সহায়তাকারীর তত্ত্বাবধানে, বিরোধীয় বিষয়ে স্বাধীনভাবে সমঝোতা আলোচনা করিতে পারিবেন।

 (২) বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্দেশ্যে বিরোধ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়ায় আবেদনকারী স্বয়ং অথবা তদকর্তৃক মনোনীত কোনো পেশাদার উপদেষ্টা অংশ গ্রহণ করিতে পারিবেন।

 (৩) জালিয়াতি বা ফৌজদারি অপরাধ সংক্রান্ত মামলা এবং জনস্বার্থে সাধারণ বিচারিক প্রক্রিয়ায় নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন, এইরূপ গুরুত্বপূর্ণ আইনগত বিষয় বা উহার ব্যাখ্যা সম্পর্কিত বিরোধসমূহ এই বিধির অধীন বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ার আওতা বহির্ভূত হইবে।

১০৬। মূল্য সংযোজন কর বিভাগের জন্য বিভাগীয় সহায়তাকারী মনোনয়ন।- (১) কমিশনার বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট মূল্য সংযোজন কর কমিশনারেটের প্রতিনিধিত্ব করিবার জন্য উক্ত কমিশনারেটে কর্মরত সহকারী কমিশনার হইতে অতিরিক্ত কমিশনার পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের মধ্য হইতে তুলনামূলকভাবে দক্ষ, অভিজ্ঞ ও তৎপর (ঢ়ৎড়ধপঃরাব) কর্মকর্তাদের ন্যূনতম ৫ (পাঁচ) জনের একটি তালিকা প্রণয়ন করিবেন এবং প্রতি ৬ (ছয়) মাস পরপর তালিকাভুক্ত কর্মকর্তাগণের কর্মতৎপরতা পর্যালোচনাপূর্বক তালিকা প্রয়োজনে সংশোধন করিবেন।

 (২) বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় সহায়তাকারী, আবেদনকারীর সহায়তাকারীর সহিত সমঝোতা আলোচনা করার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বাধীন ও নিরপেক্ষ থাকিবেন এবং বিরোধীয় বিষয়ের উপর প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণকরতঃ পেশাদারী ও সমঝোতার মনোভাব পোষণপূর্বক দায়িত্বশীলতার সহিত বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ায় সমঝোতা আলোচনায় অংশগ্রহণ করিবেন।

১০৭। সহায়তাকারীর সম্মানী।-(১) আইন ও এই বিধিমালার আওতাভুক্ত কোনো বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আবেদনকারীর মনোনীত সহায়তাকারীকে নি¤েœর টেবিলে সংশ্লিষ্ট বিরোধের ক্ষেত্রে উল্লিখিত পরিমাণ বা হারে বিরোধীয় বিষয়ের উপর সম্মানী ওমূল্য সংযোজন করসহ অন্যান্য কর (যদি প্রযোজ্য হয়) প্রদান করিতে হইবে, যথাঃ (২) উপ-বিধি (১) এ বর্ণিত সম্মানী সংক্রান্ত ব্যয়ের ৫০% সরকার এবং ৫০% আবেদনকারী প্রদান করিবেন।

১০৮। অধিকার সংরক্ষণ।- বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী কোনো ব্যক্তি বা সহায়তাকারীকে কোনো আদালতে উপস্থিত হইয়া সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্বাক্ষী হিসাবে সাক্ষ্য প্রদানের জন্য লিখিত আদেশ বা নোটিশ জারি করা যাইবে না বা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ায় উপস্থাপিত কোনো দলিলাদি সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করিবার জন্য বাধ্য করা যাইবে না বা এই বিষয়ে কোনো আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা কর্তৃপক্ষের নিকট দেওয়ানী বা ফৌজদারি মামলাদায়ের করা যাইবে না।

 

 

অষ্টাদশ অধ্যায়

বিবিধ

১০৯। মূসক পরামর্শক লাইসেন্স প্রদান পদ্ধতি।- (১) বোর্ড বিধি ১১০ এ বর্ণিত যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিগণের নিকট হইতে অনলাইনে ফরম “মূসক-১৮.১” এ মূসক পরামর্শক লাইসেন্সের আবেদন গ্রহণ করিবে।

 (২) যোগ্য প্রার্থীগণ বোর্ডের নিজস্ব ওয়েবসাইটে অনলাইনে যেকোনো সময় বিধি ১১১ এ বর্ণিত দলিলাদিসহ আবেদন করিতে পারিবেন।

 (৩) অর্ধবার্ষিক ভিত্তিতে আবেদনপত্র প্রাথমিক বাছাইয়ের পর পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা বোর্ড, মহাপরিচালক, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট ট্রেনিং একাডেমি বরাবর প্রেরণ করিবে এবং উহা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হইবে।

 (৪) মহাপরিচালক প্রতি বৎসর জানুয়ারি-জুন মেয়াদে প্রাপ্ত আবেদনের ভিত্তিতে আগস্ট বা সেপ্টেম্বর মাসে এবং জুলাই ডিসেম্বর মেয়াদে প্রাপ্ত আবেদনের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারি বা মার্চ মাসে আবেদনকারী প্রতি ১০ (দশ) হাজার টাকা পরীক্ষার ফি আদায়পূর্বক বোর্ড কর্তৃক আদেশ দ্বারা নির্ধারিত সিলেবাস অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করিবেন এবং মৌখিক পরীক্ষার সময় দাখিলকৃত দলিলাদির সত্যতা নিশ্চিত করিবেন।

 (৫) মহাপরিচালক পরীক্ষা গ্রহণের ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করিবেন এবং যোগ্য প্রার্থীদের একটি তালিকা বোর্ডে প্রেরণ করিবেন।

 (৬) বোর্ড মহাপরিচালকের নিকট হইতে প্রাপ্ত তালিকা অনুযায়ী উত্তীর্ণ প্রার্থীগণকে বিধি ১১২ এ বর্ণিত মেয়াদের জন্য যথাযথ নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সংবলিত কার্ডে  [ফরম “মূসক-১৮.১ক” এ] মূসক পরামর্শক লাইসেন্স প্রদান করিবেন, যাহাতে নি¤œবর্ণিত তথ্যাদিও উল্লেখ থাকিবে, যথা:-

(ক) লাইসেন্সধারীর নাম, ছবি, জন্ম তারিখ, রক্তের গ্রুপ, জাতীয় পরিচয়পত্র  নম্বর ও নমুনা স্বাক্ষর;

(খ) লাইসেন্স ইস্যুর ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ; ও

(গ) লাইসেন্স প্রদানকারী কর্মকর্তার স্ব াক্ষর, নাম ও পদবি।

 (৭) মূসক পরামর্শক নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রমের ব্যয় উপ-বিধি

(৪) এর অধীন আদায়কৃত ফি হইতে পরিশোধ করা হইবে।

 (৮) মূল্য সংযোজন কর বিভাগে জাতীয় বেতন স্কেলের [৯ম] গ্রেডের নি¤েœ নহেন এমন পদে ন্যূনতম ৫ (পাঁচ) বৎসর কাজ করিবার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন অবসরপ্রাপ্তকর্মকর্তাগণকে উপ-বিধি (৪) এর অধীন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিতে হইবে না।

 (৯) এই আইন ও বিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, মূল্য সংযোজন কর আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ২২ নং আইন) এর অধীন প্রদত্ত মূসক পরামর্শক লাইসেন্সসমূহ আইনের আওতায় প্রদত্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।

 ১১০। মূসক পরামর্শক লাইসেন্সের জন্য আবেদনকারীর যোগ্যতা ও অযোগ্যতা।- (১) মূসক পরামর্শক লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য আবেদনকারীর নিম্নবর্ণিত যোগ্যতা থাকিতে হইবে, যথা:-

(ক) বাংলাদেশের নাগরিক হইতে হইবে;

(খ) আবেদনের তারিখে বয়স অন্যূন ২৫ (পঁচিশ) বৎসর হইতে হইবে; [*]

(গ) কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হইতে যেকোনো বিষয়ে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী হইতে হইবে [; এবং

(ঘ) নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত হইতে হবে।

 (২) নিম্নবর্ণিত যেকোনো ব্যক্তি মূসক পরামর্শক লাইসেন্স পাওয়ার জন্য অযোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইবেন, যথা:-

(ক) সরকার বা কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অধীনে চাকুরিরত ব্যক্তি;

(খ) চাকুির হইতে অপসারিত বা বরখাস্তকৃত কোনো ব্যক্তি;

(গ) কোনো ফৌজদারী অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি যাহার সাজা ভোগের পর  ৫ (পাঁচ) বৎসর অতিবাহিত হয় নাই; এবং

(ঘ) ইতঃপূর্বে যাহার মূসক পরামর্শক, মূসক এজেন্ট, ক্লিয়ারিং ও ফরোয়ার্ডিং, ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার্স বা আয়কর পরামর্শকের (ওহপড়সব ঞধী চৎধপঃরঃরড়হবৎ) লাইসেন্স বাতিল করা হইয়াছে এমন কোনো ব্যক্তি।

১১১। আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় দলিলাদি।- মূসক পরামর্শক লাইসেন্সের জন্য আবেদনের সহিত আবেদনকারীকে নি¤œবর্ণিত দলিলাদি দাখিল করিতে হইবে, যথা:-

(ক) বয়স নির্ধারণের জন্য এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার সনদ;

(খ) পাসপোর্ট আকারের ছবি;

(গ) সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের কপি;

(ঘ) জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি; এবং

(ঙ) মহাপরিচালক, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট ট্রেনিং একাডেমি এর অনুকূলে পরীক্ষার ফি হিসেবে ১০ (দশ) হাজার টাকা মূল্যমানের পে অর্ডার।

১১২। মূসক পরামর্শক লাইসেন্সের মেয়াদ ও নবায়ন।- (১) মূসক পরামর্শক লাইসেন্সের মেয়াদ হইবে উহা জারির তারিখ হইতে ৫ (পাঁচ) বৎসর।

 (২) মহাপরিচালক প্রতিবৎসর ১ (এক) বা একাধিক বার বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত উপযুক্ত ফি এর বিনিময়ে মূসক পরামর্শক লাইসেন্সধারীগণের জন্য মূল্যায়ন পরীক্ষার ব্যবস্থা করিবেন।

 (৩) মূসক পরামর্শক লাইসেন্সধারী তাহার লাইসেন্সের মেয়াদের শেষ বর্ষে অনুষ্ঠিত মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করিয়া উত্তীর্ণ হইলে বোর্ড তাহার লাইসেন্স পরবর্তী ৫(পাঁচ) বৎসরের জন্য নবায়নপূর্বক বিধি ১০৯ এর উপ-বিধি (৬) এ বর্ণিত মূসক পরামর্শক কার্ড জারি করিবেন।

 (৪) উপ-বিধি (২) ও (৩) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বিধি১০৯ এর উপ-বিধি

(৮) এর অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ মূল্যায়ন পরীক্ষার ফি বাবদ ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা মহাপরিচালক, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট ট্রেনিং একাডেমি বরাবর পরিশোধ করিয়া পরবর্তী মেয়াদের জন্য লাইসেন্স নবায়নের সুযোগ পাইবেন।

 (৫) মূল্য সংযোজন কর আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ২২ নং আইন) এর অধীন প্রদত্ত মূসক পরামর্শক লাইসেন্সসমূহ প্রদানের তারিখ হইতে ৫ (পাঁচ) বৎসর মেয়াদ উত্তীর্ণ হইলে তাহা উপ-বিধি (১) হইতে উপ-বিধি (৪) এ বর্ণিত পদ্ধতিতে নবায়ন করিতে হইবে।

১১৩। মূসক পরামর্শকের দায়িত্ব।- প্রত্যেক পরামর্শক আইন ও বিধি অনুসারে মূল্য সংযোজন কর এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে যথাসম্ভব সততা ও নিষ্ঠার সহিত তাহার দায়িত্ব পালন করিবেন এবং তাহার দায়িত্বের ক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো কর্তৃপক্ষের বা অন্যকোনো ব্যক্তির নিকট অসত্য বা বিকৃত তথ্য সরবরাহ করিবেন না বা ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো প্রয়োজনীয় তথ্য গোপন করিবেন না বা অনুরূপ পরামর্শ প্রদান করিবেন না।

১১৪। মূসক পরামর্শকের অপরাধ ও দন্ড।- (১) এই বিধির বিধান লংঘন মূসক পরামর্শকের জন্য দন্ডনীয় অপরাধ হইবে এবং সেই ক্ষেত্রে বোর্ড সংশ্লিষ্ট পরামর্শ ককে লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর সুযোগ প্রদান করিয়া তাহার লাইসেন্স বাতিল করিতে পারিবে এবং অনুরূপ বাতিলকরণের পূর্বে সাময়িকভাবে লাইসেন্সের কার্যকারিতা স্থগিত করিতে পারিবে।  (২) উপ-বিধি (১) এর অধীন লাইসেন্স স্থগিতকরণের ক্ষেত্রে বোর্ড অনধিক ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পরামর্শককে শুনানির সুযোগ প্রদানপূর্বক লাইসেন্সবাতিল করিবার বা না করিবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে।

১১৫। দলিলপত্রের প্রত্যায়িত অনুলিপি।- (১) ধারা ১৩২ এর অধীন দলিলপত্রের প্রত্যায়িত অনুলিপি প্রাপ্তির লক্ষ্যে করদাতা ফরম “মূসক-১৮.২” এ কমিশনার বা তাহার দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করিবেন।  (২) উপ-বিধি (১) এর অধীন আবেদনের সহিত নি¤œবর্ণিত হারে প্রযোজ্য ফি জমা প্রদান করিয়া ট্রেজারি চালান বা অনলাইনে জমার প্রমাণপত্র দাখিল করিতে হইবে, যথা:-

(ক) কাক্সিক্ষত দলিলপত্রের পৃষ্ঠা সংখ্যা ৫ (পাঁচ) বা তাহার কম হইলে ১০০ (একশত) টাকা; এবং

(খ) কাক্সিক্ষত দলিলপত্রের পৃষ্ঠা সংখ্যা ৫ (পাঁচ) এর অধিক হইল প্রথম ৫ (পাঁচ) পৃষ্ঠার জন্য ১০০ (একশত) টাকা এবং পরবর্তী প্রতি পৃষ্ঠার জন্য ১০ (দশ) টাকা হারে।

 (৩) ধারা ১৩২ এর শর্ত পূরণ হইলে বর্ণিত আবেদন প্রাপ্তির ৭ (সাত) দিনের মধ্যে কমিশনার বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রার্থিত দলিলপত্র প্রত্যয়নপূর্বক আবেদনকারীকে সরবরাহ করিবেন।

 ১১৬। মূসক ছাড়পত্র ও সম্মাননাপত্র প্রদানের পদ্ধতি।- (১) কোনো করদাতা ধারা ১৩৩ এর অধীন মূসক ছাড়পত্র প্রাপ্তির লক্ষ্যে ফরম “মূসক-১৮.৩”এ কমিশনারের নিকট আবেদন করিবেন।

 (২) কমিশনার উপ-বিধি (১) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর ধারা ১৩৩ এর উপ-ধারা (২) এর শর্তপূরণ সাপেক্ষে ফরম “মূসক-১৮.৪” এ একটি মূসক ছাড়পত্র প্রদান করিবেন।

 (৩) যেই ক্ষেত্রে করদাতার নিকট কর পাওনা এবং বকেয়া রহিয়াছে, সেইক্ষেত্রে কমিশনার কর্তৃক জারিকৃত বৈধ কর ছাড়পত্র প্রদর্শন ব্যতিরেকে

আইনানুগভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষ যাহাতে করদাতার অনুকূলে কোনো প্রকার লাইসেন্স, পারমিট, নিবন্ধন সনদপত্র, বা অন্য কোনো ক্ষমতা প্রদানকারী বা সুবিধা সৃষ্টিকারী দলিলপত্র জারি করিতে বা নবায়ন করিতে না পারেন সেইজন্য উক্ত ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষকে কমিশনার অনুরোধ করিতে পারিবেন।

 (৪) কোনো করদাতা সংশ্লিষ্ট অর্থ বৎসরের সকল কর মেয়াদের মূল্য সংযোজন কর বা টার্নওভার কর দাখিলপত্র নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাখিল করিলে

একটি মূল্য সংযোজন কর সম্মাননাপত্র পাওয়ার অধিকারী হইবেন।

 (৫) যে সকল করদাতা উপ-বিধি (৪) এর শর্তপূরণ করিবেন, কমিশনার অর্থবৎসর শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে মূসক কম্পিউটার সিস্টেম হইতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাহার অনুকূলে ফরম “মূসক-১৮.৫”এ মূল্য সংযোজন কর সম্মাননাপত্র প্রেরণ করিবেন।

 (৬) উপ-বিধি (৪) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, মূসক কম্পিউটার সিস্টেমে যে সকল করদাতার প্রোফাইল হালনাগাদ নাই, কমিশনার তাহাদের অনুকূলে মূল্য সংযোজন কর সম্মাননাপত্র প্রেরণ করিবেন না।

১১৭। মূসক ছাড়পত্র ও সম্মাননাপত্রের ব্যবহার।- (১) কোনো নিবন্ধিত ব্যক্তির মূসক ছাড়পত্র নি¤œবর্ণিত ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হইবে, যথা:-

(ক) বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নির্বাচনের ক্ষেত্রে;

(খ) মূল্য সংযোজন কর সম্মাননা প্রদানের ক্ষেত্রে; এবং

(গ) বোর্ড কর্তৃক আদেশ দ্বারা নির্ধারিত অন্যকোনো ক্ষেত্রে।

 (২) বিধি ১১ এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত ব্যক্তির সম্মাননাপত্র নি¤œবর্ণিত ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হইবে, যথা:-

(ক) নিবন্ধনের বা তালিকাভুক্তির অর্থ বৎসর ব্যতীত পরবর্তী সময়ে কোনো উৎসে কর্তনকারী সত্তায় কোনো সরবরাহ প্রদানের ক্ষেত্রে;

(খ) নিবন্ধনের বা তালিকাভুক্তির অর্থ বৎসর ব্যতীত পরবর্তী সময়ে কোনো টেন্ডারে অংশ গ্রহণের ক্ষেত্রে;

(গ) কোনো সংস্থায় তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে;

(ঘ) বন্ড লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে;

(ঙ) নিবন্ধন বা তালিকাভুক্তির অর্থ বৎসর ব্যতীত পরবর্তী সময়ে নিবন্ধিত বা তালিকাভুক্ত ব্যক্তির অনুকূলে ব্যাংক ঋণ অনুমোদনের ক্ষেত্রে;

(চ) নিবন্ধনের বা তালিকাভুক্তির অর্থ বৎসর ব্যতীত পরবর্তী সময়ে নিবন্ধিত ব্যক্তির নামে কোন স্থাবর সম্পত্তির নিবন্ধনের ক্ষেত্রে; এবং

(ছ) বোর্ড কর্তৃক আদেশ দ্বারা নির্ধারিত অন্যকোনো ক্ষেত্রে।

১১৮। মূল্য সংযোজন কর আইন, ১৯৯১ এর অধীন চলতি হিসাব (মূসক-১৮) এ স্থিত সমাপনী জের সমন্বয়।- (১) মূল্য সংযোজন কর আইন, ১৯৯১

অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত এর অধীন কোনো নিবন্ধিত ব্যক্তির চলতি হিসাব (মূসক-১৮) এ সমাপনী জের থাকিলে এবং উহা উক্ত আইনের অধীন প্রদেয় করের বিপরীতে সমন্বয় করিতে অসমর্থহইলে আইন প্রবর্তনের তারিখে এই বিধির পরবর্তী বিধান সাপেক্ষে উক্ত স্থিত সমাপনী জের আইনের অধীন হ্রাসকারী সমন্বয় সাধন করিতে পারিবেন। (২) উক্ত আইন এর অধীন কোনো নিবন্ধিত ব্যক্তি উক্ত আইনের অধীন স্থিত সমাপনী জের আইনের অধীন হ্রাসকারী সমন্বয় সাধন করিতে পারিবেন না, যদি-

(ক) তিনি আইনের অধীন নিবন্ধিত না হন;

(খ) তাহার বিরুদ্ধে উক্ত আইন এর অধীন অনিষ্পন্ন কোনো মামলা থাকে;

(গ) উক্ত আইন বা আইনের অধীন তাহার কোনো আপিল বা রিট অনিষ্পন্ন থাকে; বা

(ঘ) উক্ত আইন বা আইনের অধীন তাহার নিকট কোনো বকেয়া কর পাওনা থাকে।

 (৩) কোনো নিবন্ধিত ব্যক্তি প্রতি কর মেয়াদে আইনের অধীন নীট প্রদেয় করের সর্বোচ্চ ১০% (দশ শতাংশ) পরিমাণ উক্ত উপকরণ কর হ্রাসকারী সমন্বয় সাধন করিতে পারিবেন।

 (৪) উপ-বিধি (৩) এর অধীন হ্রাসকারী সমন্বয় সাধনের লক্ষ্যে নিবন্ধিত ব্যক্তি উক্ত আইন এর আওতায় দাখিলকৃত দাখিলপত্রসহ (মূসক-১৯) কমিশনারের নিকট আবেদন করিবেন।

 (৫) কমিশনার আবেদন প্রাপ্তির এক মাসের মধ্যে উপ-বিধি (২)এর শর্তাদি যাচা পূর্বক ফরম “মূসক-১৮.৬” এ একটি প্রত্যয়নপত্র ইস্যু করিবেন যাহার ভিত্তিতে নিবন্ধিত ব্যক্তিউক্ত আইন এর আওতায় স্থিত সমাপনী জের আইনের অধীন ব্যবস্থিত হইবে।

 (৬) উক্ত আইন এর আওতায় একাধিক নিবন্ধন আইনের অধীন একটিনিবন্ধনের আওতায় কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে কমিশনার কর্তৃক ফরম “মূসক-১৮.৬” এ ইস্যুকৃত প্রতিটি প্রত্যয়নপত্রের বিপরীতে উল্লিখিত স্থিত সমাপনী জের আইনের অধীন নিবন্ধিত ব্যক্তি সমন্বিত আকারে হ্রাসকারী সমন্বয় সাধনের অধিকারী হইবেন।

 [১১৮ক। আদেশ, বিজ্ঞপ্তি, ব্যাখ্যা, পরিপত্র, স্পষ্টিকরণ ইত্যাদি জারির ক্ষমতা।- এই বিধিমালা, আইনে নির্ধারিণযোগ্য বিষয়, মূল্য সংযোজন কর ব্যবস্থায়

অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের প্রক্রিয়া, অটোমেশনের সহিত মূসক প্রক্রিয়া সামঞ্জ¯্রকরণ, ইত্যাদি বিষয় হইতে উদ্ভূত যে কোনো সমস্যা নিরসণ কল্পে বোর্ড সামগ্রিকভাবে এবং কিরয়া আদেশ, বিজ্ঞপ্তি, ব্যাখ্যা পরিপত্র স্পষ্টিকরণ ইত্যাদি জারি করিতে পারিবে।

 ১১৯। রহিতকরণ ও হেফাজত।- (১) এই বিধিমালা কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রজ্ঞাপন এসআরও নং-১৭৮-আইন/৯১/৩-মূসক, তারিখ: ২৮ জ্যৈষ্ঠ, ১৩৯৮ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ১২ জুন, ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দ দ্বারা জারিকৃত মূল্য সংযোজন কর বিধিমালা, ১৯৯১ অতঃপর উক্ত বিধিমালা বলিয়া উল্লিখিত, রহিত হইবে।

(২) উক্ত বিধিমালা রহিত হওয়া সত্ত্বেও-

(ক) উক্ত বিধিমালার অধীন কৃত বা গৃহীত ব্যবস্থ া, এই বিধিমালার বিধানাবলীর সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, এই বিধিমালার অধীন কৃত বা গৃহীত

 হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে;

(খ) উক্ত বিধিমালার অধীন প্রদত্ত সকল আদেশ বা নোটিশ এই বিধিমালার বিধানাবলীর সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, রহিত বা সংশোধিত

 না হওয়া পর্যন্ত, বলবৎ থাকিবে এবং এই বিধিমালার অধীন প্রণীত, প্রদত্ত বা জারিকৃত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।

About Author

Profile Picture

Md. Jahangir Alam

Leave a Comment