আয়কর আইনে কি ধরনের আয় হিসেবে আনতে হবে অর্থাৎ আয়ের খাতসমূহ : অন্যান্য উৎস হতে আয়

আয়কর অধ্যাদেশের ধারা-২০ মোতাবেক আয়কর ধার্য্যরে জন্য এবং মোট আয় নির্ণয়ের জন্য সকল আয়কে নিম্নেবর্ণিত খাতে বিভক্ত করে হিসাবে করতে হবে, যথাঃ

(১) বেতন

(২) নিরাপত্তা (সিকিউরিটির) উপর সুদ
(৩) গৃহ সম্পত্তি হতে  আয়
(৪) কৃষি আয়
(৫) ব্যবসা বা পেশা হতে আয়
(৬) ফার্মের আয়ের অংশ

(৭) অন্যান্য উৎস হতে আয় (আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪এর ৩৩ ধারা অনুযায়ী) ঃ
বেতন, নিরাপত্তা জামানতের উপর সুদ, গৃহ স¤পত্তির আয়, কৃষি আয়, ব্যবসা বা পেশার  আয়,  মূলধনী  মুনাফা  এসকল  আয়ের  খাত  ছাড়া  অন্য  যাবতীয়  আয় অন্যান্য  সূত্রের আয় হিসাবে বিবেচিত হবে। ব্যাংকে গচ্ছিত টাকার উপর সুদ, নগদ লভ্যাংশ, সঞ্চয়পত্রের সুদ বা মুনাফা, লটারী, যন্ত্রপাতি ভাড়া দিয়ে আয়, বক্তৃতা বা লেখার সম্মানী ইত্যাদি অন্যান্য সূত্রের আয়ের কয়েকটি উদাহরণ।
ব্যাংক/সঞ্চয়পত্রের সুদ বা নগদ লভ্যাংশ এর ক্ষেত্রে মোট  (gross) প্রাপ্ত সুদ বা লভ্যাংশ আয়  হিসেবে বিবেচিত  হবে। অর্থাৎ যে সকল ক্ষেত্রে সুদ বা লভ্যাংশ হতে উৎসে আয়কর কর্তন করা হয়েছে সে সকল ক্ষেত্রে সুদ বা লভ্যাংশ হতে আয় হবে উৎসে আয়কর কর্তনপূর্ব অংক। যথাঃ ১,০০০/ টাকা উৎসে আয়কর কেটে ৯,০০০/- টাকা নীট সুদ বা মুনাফা কোন করদাতাকে প্রদান করা হলেও উক্ত  করদাতার  সুদ  বা  লভ্যাংশ  বাবদ  আয়  দেখাতে  হবে  ১০,০০০/-  টাকা। তবে  ব্যাংক/সঞ্চয়পত্রের সুদ বা লভ্যাংশ আয় থেকে উৎসে কেটে রাখা আয়কর করদাতার জন্য অগ্রিম পরিশোধিত কর হিসেবে বিবেচিত হবে যা আয়কর রিটার্র্ন দাখিল বা আয়কর মামলা নিরাপত্তি পর্যায়ে সৃষ্ট কর দাবীর বিপরীতে  সমন্বয় করা যাবে।  উদাহরণস্বরূপ  উল্লেখ  করা  যায়  যে,  একজন  করদাতার  মোট  আয়ের (সকল  করযোগ্য  আয়ের  সমষ্টি)  উপর  প্রদেয়  আয়করের  পরিমাণ ৫৫,০০০/-টাকা। তার ব্যাংক সুদ এবং লভ্যাংশের উপর কেটে রাখা আয়করের পরিমাণ যদি ১০,০০০/-  টাকা হয়, তাহলে তাকে কর নির্ধারণের পর ৫৫,০০০  -  ১০,০০০ = ৪৫,০০০/- টাকা পরিশোধ করতে হবে।

(৮) মূলধনী আয়
(৯) স্বামী/স্ত্রী বা অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের আয়

About Author

Profile Picture

Md. Jahangir Alam

Leave a Comment